নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহজিয়া

যে ঘড়ি তৈয়ার করে - সে - লুকায় ঘড়ির ভিতরে

সাদিক মোহাম্মদ আলম

প্রথমত: সময় নাই। দ্বিতীয়ত এখনই সময়। তৃতীয়ত: আমি না থাকলেও ব্যাপারটা ঘটবে, তবু আমাকেই চাই।

সাদিক মোহাম্মদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সালাম। সেকু্যলার সম্ভাষন

২৪ শে মার্চ, ২০০৭ ভোর ৬:৩৯

অনেকে হয়তো ভেবে থাকেন যে মুসলিমদের সম্ভাষণ পদ্ধতি আসসালামু আলাইকুম বোধ হয় হযরত মুহাম্মদ (সালাম) এর প্রচলন করা। খেয়াল করলাম আজকে একজনে পোস্টে সেইরকমই বক্তব্য।



প্রকৃত পক্ষে যে সালাম মুসলিমদের মধ্যে এখন ধর্মের অংশ হিসেবে প্রচলিত সেটা আরবের বহুল প্রচলিত সামাজিক রীতি। মাথায় টুপি যেমন মুশরিক, মুসলিম বা কাফের সবাইই পড়তো অনেকটা সেইরকম মুসলিম অমুসলিক সব আরবেরই সম্ভাষন ছিলো সালাম এবং এখনও আছে। নবী সেই সামাজিক রীতিটাকে বহাল রেখেছেন এবং উৎসাহিত করেছেন মাত্র। তিনি এটি চালুু করেন নি।



ভালো সোস্যাল নর্ম বা সামাজিক রীতিকে নবী নিজে সন্মান করতেন, একই সালাম যা মুশরিক বা কাফের সবাই ব্যবহার করতো, সেটাকে ধরে রাখা ও উৎসাহিত করার এটা একটা লক্ষ্যনীয় উদাহরন। ইসলামে প্লুরালিজম এবং আরো বেশি সহনশীলতা নিয়ে যাদের গবেষণা তারা এই জায়গাটাতেই জোর দিয়ে থাকেন। এক্সিট্রিমিজম মোকাবেলায় তাই এর তাৎপর্য আসলে অনেক।



মুসলিম ছাড়াও আরব সমাজে সালামের প্রচলন প্রায় সব জায়গায়। ইহুদী সম্প্রদায়, সময়ের হিসেবে যারা মুসলিম গোষ্ঠির অনেক আগেই বিদ্যমান তারাও নিজেদের মধ্যে, নিজেদের হিব্রু ভাষায় সালাম বিনিময় করে। হিব্রুতে সালামকে বলে সালোম। ইরানীরা নিজেদের মধ্যে গ্রিটিংস হিসেবে শুধু "সালাম" বলে, পুরো আরবীটুকু কদাচিৎ ব্যবহার হয়। প্রতি উত্তরেও বলা হয় "সালাম"।



নিউ টেস্টামেন্ট বা বাইবেল পড়লে দেখা যাবে ইংরেজী অনুবাদে যীশু খ্রিস্ট (ইসা আ.) যখন তার সাহাবী বা সঙ্গীদের কাছ থেকে শেষ বিদায় নেয় (বাইবেলের লেখকের লিপিবদ্ধ ইতিহাস অনুসারে) তখন তার সম্ভাষনটিও ছিলো Peace be unto you। যীশুর মাতৃভাষা ছিলো আরামায়িক যেটি আরবীর খুব কাছাকাছি। তাই সালামের ভাষাও খুব কাছাকাছি।



আরবের গোত্রে গোত্রে হানাহানির সময়ে সালামের অন্য আরেকটা তাৎপর্যও ছিলো। দুটি গোত্রের মানুষের মধ্যে দেখা হলে তারা যদি সালাম বিনিময় করতো তবে ধরে নেওয়া হতো তারা বন্ধুবৎসল। সালাম না দেওয়া মানে গোত্রের ভিতরে যুদ্ধ বা শত্রুতা বিদ্যমান।



প্রকৃতপক্ষে মুসলিমদের মধ্যে প্রচলিত এই সম্ভাষণ যে "আসসালামু আলাইকুম" তার ভিতরে ধমর্ীয় কম্পোনেন্টের চাইতে সামাজিক কম্পোনেন্টই বেশি। খ্রিস্টানদের সম্ভাষন, গড ব্লেস ইউ (আপনাকে খোদা রহম করুন) - অনেক বেশি ধর্ম কেন্দ্রিক। খোদা বা স্রষ্টাকে উহ্য রেখে কেবলমাত্র "আপনার প্রতি সালাম" (আসসালামুআলাইকুম) অনেকটাই সেকুলার (ধর্ম নির্ভর নয়) একটা সম্ভাষণই বোধ করি।



আমাদের নবীও সেই সম্ভাষনটাই রেকমেন্ড করছেন।



একটা ভালো সম্পূরক পোস্ট লিখেছেন [link|http://www.somewhereinblog.net/Fazalblog/post/28703744|dR

মন্তব্য ৫৯ টি রেটিং +০/-১

মন্তব্য (৫৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ১১:৪৪

নজমুল আলবাব বলেছেন: এইগুলাকি এখনই পড়লেন? না মাথায় নিয়া ঘুরেন!!!

গুড পোস্ট। জানাইলেন অজানারে...

২| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ১১:৪৭

অতিথি বলেছেন: সাধু হে, বাংলার বেশীর ভাগ মুসলমানকেই ধর্মবেত্তা গন শিক্ষা দেন- মুসলমানের জন্য সম্ভাষন ' আস সালাম' , 'অমুসলিমে' র জন্য অন্য কিছু । অমুসলিমের জন্য শান্তি কামনা করা বোধ করি মুসলিমদের বিধানে নেই ।
এমনকি মুসলমানের মৃতু্য সংবাদে নাকি বলতে হয় ' ইন্নালিল্লাহে' আর অমুসলিমের মৃতু্য সংবাদে ' ফি জাহান্নামে খালিদুন' !!!!

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ১১:৪৯

অতিথি বলেছেন: কোন বরাহ নন্দন, কমেন্ট না করে রেট কমায়?

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ১১:৫০

অতিথি বলেছেন: খাইছে! @ হাসান মোরশেদ

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ১১:৫১

নজমুল আলবাব বলেছেন: আমি সারা জীবন সবাইরে সালাম দিয়া গেলাম! কেউতো আমারে জ্ঞান দিতে আসলনা! আমার যে ধর্মবোধ সম্পন্ন নানাজান, যার কাছে আমার জীবন পাঠ, তিনিইতো আমায় শেখালেন মানুষের শান্তি কামনা করতে। এবং সালামের মাধ্যমে...

৬| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ১১:৫৪

অতিথি বলেছেন: নজমুল,
এইসব ছেলেমানুষী জিনিস এহন পড়নের বয়স আছে নি?!

হাসান মোরশেদ,
কাঠ মোল্লা বেকুবগুলারে এইডা একটু জিগানো দরকার যে নবী যখন ছোট বেলা থেইকা সবাইরে সালাম দিয়া আইলো তখন মক্কায় মুসলিম আছিলো কোন? তাইলে তিনি দেখি জীবনভর অমুসলিমরেই সালাম বিলাইলেন। তাইলে এইটাতো সুন্নতের কাতারে পড়ে, না কি?

সালামের মানে না বুইঝাই ফালায়। বিরক্তিকর বস, খুবই বিরক্তিকর।

৭| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ১১:৫৭

অতিথি বলেছেন: আচ্ছা সাদিক , কোনটা সুন্নত? মুহাম্মদ(দ:) নবী হবার পরের জীবনাচরন নাকি আগের গুলো ও?

৮| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ১১:৫৮

বিকেল বলেছেন: ভিন্নমত প্রকাশ করার কোনো কারন দেখি না ।

৯| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১২:০২

অতিথি বলেছেন: এইডা মোল্লারা ভালো কইতে পারবে। দুইদিকেই যুক্তি দেওয়া যাইতে পারে, কঠিন যুক্তি। তবে এইটা নিয়া খুব একটা বদারড হওয়ার কিছু নাই।

যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেই তিনি নবী হওয়ার পরের আচরনই পিওর সুন্নত তাইলেও বলতেই হবে তার আচরন ছিলো সবার প্রতি সমান।

কেউ মুসলিম হইতে তিনি তার দিকে তাকায়ে হাসতেন, তার আগে মুখ গোমড়া; মুসলিম হইলে সালাম মুশরিক হইলে "তফাৎ যাও" এ্যটিচু্যড থাকলে আর তার এই বিশাল ক্যানভাসে সাফল্য পাইতে হইতো না।

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১২:১৮

অতিথি বলেছেন: এই বিষয় জানার পর আমার শিখ ফেন্ড খুব অবাক হইছিল। সে জানত এইটা শুধু মুসলমানদের একটা প্রথা, এবং এই বাক্যে আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছে।

১১| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১২:২০

অতিথি বলেছেন: শিখরা যেন কি সম্ভাষন করে নিজেদের ভিতরে? জানিস নাকি? আমার জানার কৌতুহল।

১২| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১২:৩২

ম. রহমান বলেছেন: সালাম...কেমন আছেন?

১৩| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১২:৩২

অতিথি বলেছেন: মূল বক্তব্য ঠিক আছে।

নবীর জীবনের একটা ঘটনা থেকে বলা হয় অমুসলিমদের সালাম দেয়া যায় না। একবার একটা অমুসলিম সালামের উচ্চারণ বিকৃত করে অভিশাপ দিয়েছিলেন নবীর উপর, এই কাজটা প্রায়শই হতো মুসলিমদের সাথে। তখন মুসলিমদের বলা হয়, জবাবে 'ওয়ালাইকুম' অর্থ্যাৎ 'আপনার উপরও' বলা, কোন রকম ক্যাঁচালে না গিয়ে। এখন অমুসলিমদের সালাম না দেয়ার একটা কারণই বুঝি--কেউ বুঝবে না সালাম। তার চেয়ে প্রচলিত গ্রীটিংস চালানোই ভাল।

১৪| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১২:৩২

পথিক!!!!!!! বলেছেন: বিধমর্ ী দের সালাম দেয়া যাবেনা ধরনের যে ফতোয়া মওলানা রা বলেন , সেটার পক্ষে বিপক্ষে কোন ..হাদিস বা কোরআনের উক্তি দিতে পারে কেউ

১৫| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১২:৪০

অতিথি বলেছেন: আস্তমেয়ের যুক্তিতে আমি বিমোহিত ।

১৬| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১:০৮

অতিথি বলেছেন: আমিও @ হাসান।

ওইটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা আস্ত। যার পরিপ্রেক্ষিতে আয়াত নাজিল হইছে। ওই বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্য সারা জীবন নবীর যে আইয়িাল, যে প্রিনসিপ্যাল সেইটারে ইগনোর করার এ্যাটিচু্যডের কারন কি হুদাই বিদ্্বেষ তোষন?

১৭| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১:০৯

অতিথি বলেছেন: নবীর যে আইডিয়াল -

১৮| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১:১৮

অতিথি বলেছেন: ম. রহমান,
সালাম। ভালো আছি। আপনি নিশ্চই ভালো!

১৯| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১:২৭

অতিথি বলেছেন: আপনার মন্তব্য বুঝি নাই সাদিক, আপনিও মনে হয় আমারটা বুঝেন নাই। আমি কি বলেছি এইটা আমার যুক্তি কেন আমি মনে করি অমুসলিমদের সালাম দেয়া উচিত না? আমি অমুসলিমদের সামনে আলহামদুলিল্লাহ, ইনশাআল্লাহ এগুলা বলারও বিপক্ষে, কারণ শুধু শুধু বিজাতীয় ভাষায় কথা বলে ওদের ভড়কে দেয়া হয়।

নবীর সুন্নতের মধ্যে সারকাজম পড়ে না। যতটুকু জানি, হি হেইটেড সারকাজম :)

ভালো থাকবেন!

২০| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১:৩২

অতিথি বলেছেন: এটা ঠিক যে সাধারণত অমুসরিমের সালাম দেয়া হয় না তবে সালাম শুনে কখনোই মনে হয় না ইসলামিক কিছু শুনতেছি, এমনকি বলার সময়ও না। সালাম বাঙালী সংস্কৃতির মধ্যেই ডুকে পড়েছে।

২১| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১:৩৪

অতিথি বলেছেন: তুই যখন বললি, 'বলা হয়' তার মানে কি, এইটার তোর বক্তব্য না ফতোয়াবাজদের বা অথোরিটির - পরিস্কার না।

তোর নিজের যুক্তি হইলে বল। কিন্তু যুক্তিটা হাস্যকর।

সমস্যাটা শুধু বিধমর্ীদের সালাম দেওয়া না দেওয়ার সীমাবদ্ধ থাকলে কিছু বলতাম না। কিন্তু যখন স্পষ্ট কইরা শিখানো হয় অমুসলিমদের সালাম দেওন নিষেধ অথবা অমুসলিমদের সালামের জবাব দেওয়া নিষেধ (এইটা ব্যক্তিগতভাবে দেখা, হিন্দুদের ক্ষেত্রে আমাদের দেশে এইটা করা হয়) - আমার আপত্তি, সারকাজম সবই সেইখানে।

নবীর সুন্নতের মধ্যে সারকাজম পড়ে না। হাসি তামাশা পড়ে। সব কিছুরে সারকাজম না দেইখা একটু হাসি তামাশা দেখিস। নবী রাম গড়ুড়ের ছানা না। তার সেনস অফ হিউমার যথেষ্ট উন্নত শ্রেনীর আছিলো এবং তিনি সেইটা প্রকাশও করতেন।

২২| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১:৩৮

অতিথি বলেছেন: ঠিকাছে @ বাকি বিল্লাহ।

সংস্কৃতির জিনিস সংস্কৃতির মধ্যে ঢুকছে।

২৩| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১:৪৫

তিমুর বলেছেন: শব্দটা কিন্তু ল্যাটিনেও আছে!Pax Vabiscum

২৪| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১:৫৮

অতিথি বলেছেন: পাক্স মানে যদি শান্তি হয়।

ভাবিসকাম মানে কি?

২৫| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ২:০২

তিমুর বলেছেন: তোমাদের উপর শান্তি (ল্যাটিনে আবার অনেক শব্দ উহ্য থাকে)

২৬| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ২:০৫

হাসিব বলেছেন: হ, বাকী ঠিক্কৈছে ।

২৭| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ২:০৫

অতিথি বলেছেন: শিখলাম। আপনেরে Pax Vabiscum।

২৮| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ২:০৭

তিমুর বলেছেন: ওয়াআলাইকুম!

২৯| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ২:১২

অতিথি বলেছেন: সালাম

৩০| ২৪ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ২:১৬

বকলম বলেছেন: "নাই কাজ তো খই ভাঁজ"

নাঁক একটা, তার ছিদ্র কেন দুইটা?
রুকু একটা সিজদা কেন দুইটা?

তর্ক চলতে থাকুক....

হাকঁ মওলা!

৩১| ২৫ শে মার্চ, ২০০৭ ভোর ৫:৫৪

মাহমুদ রহমান বলেছেন: সাদিক ভাই,
ধন্যবাদ আপনাকে। সেই সাথে একটা সুন্দর লেখা উপহার দেয়ার জন্য অভিনন্দন। আসলে আমি আমার লেখায় উদ্ভাবন না করে চালু করেছেন এজন্যই বলেছি, অন্য সামাজিক রীতির ক্ষেত্রে(যেমন মাথায় টুপি পরা) তিনি এরকম জোরালো তাগিদ দেননি, যেটা সালামের ক্ষেত্রে দিয়েছেন।
আমি পোস্ট করেই বাইরে চলে গিয়েছিলাম ফিরেছি অনেক দেরি করে এবং খুব টায়ার্ড ছিলাম । ফলে জবাব লিখতে অনেক দেরি হয়ে গেল

৩২| ২৫ শে মার্চ, ২০০৭ ভোর ৬:০৭

অতিথি বলেছেন: নো প্রবস ব্রাদার। আবারো ধন্যবাদ।

৩৩| ২৫ শে মার্চ, ২০০৭ ভোর ৬:০৭

অতিথি বলেছেন: সুন্দর লেখা.... ভাল লাগলো... সেকুল্যার এর ভাল যে দিকটা সবাই বেশি ফোকাস করে, সেটা আসলে ইসলামেই বেশী। পৃথিবীর কোন মতবাদই অন্য মতবাদকে এতটা সম্মান দেখাতে পারে নাই আজ পার্যন্ত। তবে বর্তমানে প্রায়োগিক অর্থে যে সেকুল্যারিজম আছে.. সেটা ইসলামের পুরোপুরি বিপরীত...

এনিওয়ে.. সালাম বিষয়ক সুন্দর একটি লেখা পড়লাম অনেক দিন পর। ধন্যবাদ।

৩৪| ২৫ শে মার্চ, ২০০৭ ভোর ৬:০৯

অতিথি বলেছেন: মজার একটি ব্যাপার হলো আমরা মুসলমানরা সকল ধর্মের মানুষকেই সালম দেই.. কিন্তু তারা আমাদের পারলে কাঁচা খেয়ে ফেলে... (বর্তমান বিশ্বে সকল মতাবদর্শের শক্তিগুলো ইসলামের বিরুদ্ধে কিভাবে লাগছে দেখুন..)

৩৫| ২৫ শে মার্চ, ২০০৭ ভোর ৬:১১

অতিথি বলেছেন: ধন্যবাদ ত্রিভুজ।

সেকুলারিজমের নামে পশ্চিমে এক্সট্রিমিজমও চলে আজকের দুনিয়া। সেই বিষয়ে একটা ইংরেজী পোস্ট ছিলো [link|http://mysticsaint.blogspot.com/2007/03/would-you-ask-mother-mary-to-remove-her.html|GBLv

৩৬| ২৫ শে মার্চ, ২০০৭ ভোর ৬:১১

অতিথি বলেছেন: আপনাকেও সালাম @ সমুদ্র

৩৭| ২৫ শে মার্চ, ২০০৭ ভোর ৬:১৪

অতিথি বলেছেন: বরাবরের মতোই। চমৎকার!!
সাদিক ভাই, ভাবছি - ধর্মান্ধতা এবং এ নিয়ে রিলেটেড আপনার পোস্টগুলো একসাথে পড়বো একদিন। বিক্ষিপ্তভাবে যা পড়েছি তাতে আমাকে আপনার বিশ্লেষণের একান্ত ভক্ত পাঠক বলতে পারেন। অজস্র শুভকামনা...

৩৮| ২৫ শে মার্চ, ২০০৭ ভোর ৬:১৮

অতিথি বলেছেন: শিমুল,
অনেক ধন্যবাদ। ধমর্ান্ধতা নিয়ে লেখালেখি কমে গেছে। আরো লিখবো আশা রাখি। আমি অনেক পজেটিভ ইমপ্যাক্ট দেখি লেখাগুলার, ফিডব্যাকও পাই যেটা তৃপ্তি দায়ক।

আপনি পড়লে খুব খুশি হবো। আপনাকেও শুুভ কামনা।

৩৯| ২৫ শে মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:৫৯

অতিথি বলেছেন: আরবী অমুসলিমদের জন্য বিজাতীয় ভাষা, তাই ওদের সালাম টালাম না দেয়াটাই ভালো, পাছে বেচারারা বিজাতীয় ভাষা শুনে ভড়কে যায় ।

অতীব চমৎকার যুক্তি । জানতে ইচ্ছে হয়, অনারব মুসলিমের জন্য আরবী কবে থেকে জাতীয় ভাষা হলো?

৪০| ২৭ শে মার্চ, ২০০৭ ভোর ৪:০৯

অতিথি বলেছেন: সাদিক মোহাম্মদ আলম-
"আসসালামু 'আলাইকুম" (সাথে যোগ হওয়া- ওয়ারাহমাতুল্লাহ্ এবং ওয়াবারাকাতুহ্ -এগুলোর সংযোগ সহকারে না হয় নাই বা চাইলাম) অথবা "সালাম" শব্দাবলী ইসলাম পূর্ব যুগে আরবের প্রচলিত সম্ভাষণ রীতি ছিল; এমন তথ্যের [গাঢ়]সূত্র[/গাঢ়] জানতে চাই।
পোষ্ট যেহেতু দিয়েছেন অবশ্যই এ ব্যাপারে আপনার কাছে তথ্যসূত্র রয়েছে, আশা করছি জানতে পারবো।

৪১| ২৭ শে মার্চ, ২০০৭ ভোর ৫:৩৯

অতিথি বলেছেন: 'আল্লাহ্' যে ইসলাম পূর্ব আরবের দেবতা ছিল এটা মানেনতো ? @ ফজলে এলাহি

৪২| ২৭ শে মার্চ, ২০০৭ ভোর ৬:০৬

অতিথি বলেছেন: না; কারণ ইসলামপূর্ব কালে আরবগণ এক আল্লাহকে নিজেদের স্রষ্টা ও প্রতিপালক মানতো ঠিকই; কিন্তু তারা তাঁর সাথে আরো অসংখ্য মূর্তিকেও আহবান করতো তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে। যাদের মধ্যকার প্রধান কয়েকটি ছিল 'লাত', 'মানাত', উজ্জা ইত্যাদি। বর্তমানে যাদরকে আপনারা দেবতা বলে জানেন, লাত, মানাত, উজ্জা ওরা অনেকটা সে পর্যায়ের। ওরা এদের আশ্রয় গ্রহণ করতো ছোটখাট প্রয়োজনে, সুদিনে এবং এক আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য মাত্র। বড় বড় বিপদে সকলেই এক বাক্যে একক আল্লাকেই ডাকত। পড়ে দেখুন সূরা ফীল -এর তাফসীর, যেখানে আব্রাহার কা'বা আক্রমণ প্রতিহত করার সামর্থ্য না রাখায় আব্দুল মুত্তালিব (কুরাইশ সর্দার ও রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাদা) কা'বার দরজা ধরে একমাত্র আল্লাহর নিকটই প্রার্থনা করেছেন; অথচ তখনো কাবার ভেতর 360 বা তদোধর্্ব মূর্তি বর্তমান ছিল।
পড়ে দেখতে পারেন বদরের যুদ্ধের ইতিহাস, যেখানে কাফেররা এই বলে দো'আ করেছে যে, " হে আল্লাহ, যারা সত্যের উপর রয়েছে তুমি তাদেরকে বিজয় দান কর"।


=সাদিক, আপনার তথ্যের অপেক্ষায় এখনো......

৪৩| ২৭ শে মার্চ, ২০০৭ ভোর ৬:১৪

অতিথি বলেছেন: বুঝলামনা!

প্রথমে বললেন না; কিন্তু লেখায় আমার কাথাই ্বিীকার করলেন।

৪৪| ২৭ শে মার্চ, ২০০৭ ভোর ৬:১৭

অতিথি বলেছেন: ওয়ালাইকুম সালাম ফজলে এলাহী।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আমি তো ভাই হালকা যা পড়াশুনা করি তার সব বইয়ের নাম আর পাতা মনে রাখতে পারি না। এইটা আমার সীমাবদ্ধতা।

তবে আপনি নবীর জীবনী পড়লেও জানার কথা যে তিনি তার ছোটবেলা থেকেই ছোট বড় সবাইকে সন্মান করতেন। কাউকে দেখলে সন্মান করার প্রাথমিক ব্যাপারটা সম্ভাষণ। আরবের আরবী ভাষায় সম্ভাষণটা সালামা, আসসালামুয়ালাইকুম।

এবং আরবী ভাষার জন্ম নবীর নবু্যয়ত থেকে না। আপনি খুঁজলেই তথ্যটা জানতে পারবেন। সৌদি আরবের মানুষকে জিজ্ঞেস করলে জানতে পারবেন।

সুন্নতে খৎসা বা মুসলমানীও আরবের ট্রাডিশন ছিলো (এবং ইহুদীদের ধর্মেতো বটেই)। এটাও নবী চালু করেন নাই, বাড়তি একটু সম্পূরক তথ্য যোগ করলাম এই ভেবে যে ইসলামের অনেক আচরন নবীর সময়ে চালু করা- এটা যাতে না মনে করেন।

৪৫| ২৭ শে মার্চ, ২০০৭ ভোর ৬:১৮

অতিথি বলেছেন: সংশোধন:
সুন্নতে খৎনা

৪৬| ২৭ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ৭:৩২

অতিথি বলেছেন: অচেনা বাঙ্গালী-
আরেকবার পড়ার অনুরোধ করছি। লাত, মানাত, উজ্জাকে দেবতা পর্যায়ের বলেছি। যেগুলো মূর্তি। আর এক আল্লাহকে দেবতা নয়;বরং স্রষ্টা ও পালনকর্তা হিসেবে আরবরাও মানতো; কিন্তু সাথে শির্কের মিশ্রণ ঘটাতো।

সাদিক-
এমন সীমাবদ্ধতা নিয়ে আপনি যে ভয়াবহ ধূম্রজালের সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন এবং সেটাকে ভিত্তি করে পৃথিবীর ইতিহাসেরও সর্বসেরা মানব আর আল্লাহ ও তাঁর বান্দাদের হিসেবে সর্বশ্রেষ্ঠ নবীকে আপনি সেক্যুলার প্রমাণের ব্যর্থ চেষ্টা করেছেন; নিঃসন্দেহে ভয়ংকর কিছু করেছেন। লেখায় কোন দিকে ইঙ্গিত করেছেন; আপনি বুঝুন এবং আপনার শুভ বুদ্ধির উদয় কামনা করছি।

মন্তব্য তো মন্তব্যের ঘরে দেয়া সম্ভব নয়; !@@!375424 !@@!375425 ; দেখবেন আশা করি।

=এই পোষ্টের সকল পাঠক ও মন্তব্যকারীকেও উপরোক্ত লিংকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। ধন্যবাদ।

৪৭| ২৭ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ৮:০১

অতিথি বলেছেন: মন্তব্যে ও সম্পূরক পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ। লিংকটি এই পোস্টেও সংযুক্ত করেছি।

৪৮| ২৭ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ৮:১৪

অতিথি বলেছেন: ফজলে এলাহীর পোস্টে খুব সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা, আরবের লোকেরা অন্য সম্ভাষন ব্যবহার করতো। আমি বুঝতে পারছি 'মে গড ব্লেস য়ু' এর মত কোন কিছু না 'আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক' কিন্তু আমার যেটা জানা দরকার সেটা হলো, শান্তি কামনার কনসেপ্টটা কি সেমেটিক রিলিজনে ইউনিক? অর্থ্যাৎ মুসলিমরা কি এই দাবী করতে পারে সালাম শিখানো হয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে বিভিন্ন নবী রাসুলের (সা) মাধ্যমে? আপনার পোস্টের মূল যুক্তি ছিল, সালাম যে কাউকে দেয়া যায়। এটা সামাজিক রীতি (মক্কায় ইসমাইল (আ) এর বংশধররাই পরবর্তী কুরাইশ, তাই সামাজিক রীতিও ইসমাইল (আ) এর সুন্নত হতে পারে)। ফজলে এলাহী ভাইয়ের পোস্টে সুনির্দিষ্ট উদাহরন দিয়ে বলা, এই নির্দিষ্ট বাক্যাংশটা ইসলামের ইউনিক। এই ব্যাপারে আপনার ভাবনা কি?

নো সারকাজম প্লীজ।

৪৯| ২৭ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ৮:২৯

অতিথি বলেছেন: আস্ত, থুক্কু সন্ধ্যাবাতি,
ধর্ম গ্রন্থে সুনির্দিষ্টভাবে অন্য সম্ভাষনের কথা বলা হইছে। কিন্তু যেটা বলা হয় নাই সেইটা হলো আসসালামু আলাইকুমও নবু্যয়ত পূর্ব আরবে প্রচলিত একটা সম্ভাষণ। এইটা জিব্রাইল ফিরিশতার মাধ্যমে ওহী নাজিল হয়ে শিখানো সম্ভাষন না।

শান্তি কনসেপ্টের উপরে সেমিটিকদের মনোপলি নাই। ভারতে "ওম শান্তি" সম্বোধনটা সিন্ধু অববাহিকার মানুষের প্রচলিত শান্তি কামনাকারী বাক্য।

বৌদ্ধের পালি ভাষায় এই শান্তি কামনাটাই, "সুখী" হওয়া দিয়া বুঝানো হইছে। সুখিতা হন্তু ...

না, ইসলামে ইউনিক আমি স্বীকার করি না। ইসলামে এডাপটেড বলার পক্ষে।

সপ্তাহে একদিন স্যাবাথ পালন করা ইহুদীদের ইউনিক আচরন। খ্রিস্টানরা সেইটার অনুকরনে রবিবার পালন করা শুরু করলো। এইটা খ্রিষ্টানদের ইউনিক আচরন না, এডাপটেড আচরন।

আর আল্লাহর পক্ষ থেকে শিখানো কথাটার মধ্যে যে লিমিটেড ছবি তৈরী করা হয় আমি সেইটার বিরুদ্ধে। সচরাচর আল্লাহর পক্ষ থেকে শেখানো বললে আমরা ফেরেশতা, ওহী কল্পনা করি।

অথব নবজাতকের মুখের ভাষাও খোদার পক্ষ থেকেই শিখানো। সমাজের রীতিনীতি যা মানুষের তৈরী সেইগুলাও সেইরকম। সবই তার পক্ষ থেইকা। সব কিছুর মধ্যে দৈব দেব দেবী (ফেরেশতা জি্বন) কল্পনার লিমিটেশন থেকে বাইর হইয়া আসা জরুরী।

৫০| ২৭ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ৮:৩১

অতিথি বলেছেন: অনেস্টলি, আমি সারকাজম করি নাই উপরের মন্তব্যে। সারকাজম খুজনের দৃষ্টিতে দেখিস না আবার, অনুরোধ @ সন্ধ্যাবাতি

৫১| ২৭ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ৮:৩২

অতিথি বলেছেন: ধর্ম গ্রন্থ বলতে আমি ফজলে এলাহী যে হাদিস ও অন্যান্য বইয়ের রেফারেনস দিছি সেইগুলার কথা বুঝাইছি।

৫২| ২৭ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ৯:০২

অতিথি বলেছেন: ঘুম পাইতেছে। এই বিষয়ে ফায়সালা হয়া গেলে ডাইকেন।

৫৩| ২৭ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ৯:০৩

অতিথি বলেছেন: ফয়সালা আপাতত হইবো না। এতক্ষন ঘুমাইবেন নি?

৫৪| ২৭ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ৯:০৮

অতিথি বলেছেন: হ!
আমাদের একটা বড় সমস্যা হলো, আমরা মূল বাদ দিয়ে ডালপালা (তা আবার অনেক সময়ই মনগড়া) ধরে ঝাকাঝাকি করি, ক্যাচাল করি, লা'নত দেই, দো'আ পাই।

আল্লাহ যেটার নির্দেশ দেন নাই, সেটাকে ইসলাম বলে আমরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলি।

যাউকগা, এই পোস্টের আর অন্যদের কমেন্টের সাথে মন্তব্যের সম্পর্ক থাকতেও পারে, নাও পারে।
---
পোস্টের মূল বক্তব্য ভালো হইছে।

৫৫| ২৭ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ১১:২১

অতিথি বলেছেন: একনলেজড @ চোর

৫৬| ২৭ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ১১:২৭

অতিথি বলেছেন: কৃতার্থ@সাদিক।

৫৭| ২৭ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ১১:৩৯

পথিক!!!!!!! বলেছেন: অনেক কিছ ুজানলাম ......

৫৮| ২৭ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১:০০

মাহমুদ রহমান বলেছেন: পৃথিবীতে মানুষের পা পড়ার পর থেকেই সৃষ্টিকর্তা তার সৃষ্টির চলার পথকে সহজ করার জন্য গাইড লাইন (ইসলাম) পাঠিয়েছেন এবং প্রথম ব্যক্তিকে তিনি রাসুল (বার্তাবাহক) মনোনীত করেছেন। এভাবে তিনি বিভিন্ন সময়ে নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের সর্বশেষ নবী হলেন মুহাম্মদ (সা.)।

মুহাম্মদ (সা.) এর সময় সবকিছুর উৎপত্তি ঘটেছে এটা ভাবলে ভুল হবে। তাঁর আবির্ভাবের পূর্বে নামাজ, রোজা ছিল, বায়তুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ করার সিস্টেমও ছিল। এরকম অনেক বিষয়ই ছিল। কিন্তু অধিকাংশ বিষয়ই করাপটেড হয়ে গিয়েছিল অথবা আল্লাহ পাক এগুলো আপডেট করতে চেয়েছেন। এর আগের দেয়া বিধানগুলি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী ও নির্দিষ্ট ভূখন্ডে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু সর্বশেষ নবীর এ ধরনের কোন সীমাবদ্ধতা নেই।
সালামের ব্যাপারটিও সেরকম। এটাও একটা ইবাদত। তবে যে ব্যক্তি তার সৃষ্টিকর্তার প্রতি অনুগত সে ব্যক্তিকেই সালাম দিতে হবে। কারণ সৃষ্টিকর্তাকে প্রভু হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়া এটা বান্দাহর পক্ষ থেকে সৃষ্টিকর্তার উপর যুলুম, যদিও তাতে সৃষ্টিকর্তার কোন কিছুই আসে যায় না। আর এমন ব্যক্তির জন্য স্রষ্টার কাছে দোয়া করাটা যুক্তি সংগত নয়। তবে তার হেদায়াতের জন্য দোয়া করা যেতে পারে অথবা এমন কোন ভাল ভাষায় সম্বোধন করা যেতে পারে যেটা সৃষ্টিকর্তার শেখানো নয়, কিন্তু তাতে তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়। রাসুলের (সা.) জীবনী থেকে অবিশ্বাসীদের সম্মান প্রদর্শনের ভুরি ভুরি নজীর পাওয়া যায়। উদাহরণ দিতে গেলে মন্তব্য আরও বড় হবে।

মনে রাখা উচিত রাসুলের সময় ইসলামের আবির্ভাব নয় বা তিনি ইসলামের প্রবর্তকও নন, তবে তিনি হচ্ছেন Last and Final messenger of Allah Subhanallahuta'la.

৫৯| ২৭ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১:৩৭

মাহমুদ রহমান বলেছেন: পৃথিবীতে মানুষের পা পড়ার পর থেকেই সৃষ্টিকর্তা তাঁর সৃষ্টির চলার পথকে সহজ করার জন্য গাইডলাইন (ইসলাম)এবং সেই সাথে প্রথম ব্যক্তিকে তাঁর বর্তাবাহক করে পাঠিয়েছেন। এভাবে বিভিন্ন সময় নবী-রাসূল এসেছে। তার ধারাবহিকতায় আমাদের সর্বশেষ নবী হলেন মুহাম্মদ (সা.)।

রাসূল আসার আগেই নামাজ রোজার বিধান , বায়তুল্লাহ শরীফ তাওয়াফের বিধান ছিল । এরকম আরও অনেক বিষয়ই ছিল। তবে আদায়ের ধরণ ভিন্ন ছিল বা এখনকার মত ছিল না এবং তাদের অধিকাংশই করাপটেড হয়ে গিয়েছিল। এসব বিধান আল্লাহর তরফ থেকেই এসেছিল, তবে তা ছিল নির্দিষ্ট ভূখন্ড এবং নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ। সর্বশেষ নবীর এরকম সীমাবদ্ধতা নেই।

সালামের ব্যাপারটিও অন্য সব ইবাদতের মত। এটার আবির্ভাব রাসূলের সময় বললে ভুল হবে এবং তিনি কেবল প্রচলিত রীতি থেকে গ্রহণ করেছেন এভাবে বললেও ভুল হবে। বরং তিনি এটার ব্যপক প্রচার, প্রসার এবং গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

যারা অবিশ্বাসী, সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস না করাটা সৃষ্টিকর্তার প্রতি তাদের যুলুম, যদিও তাতে সৃষ্টিকর্তার কিছুই আসে যায় না। এমন ব্যক্তির জন্য দোয়া করাটা যুক্তি সংগত নয় (সালাম একধরনের দোয়া বিশেষ), তবে এমন ব্যক্তির জন্য হেদায়াতের দোয়া করা যেতে পারে। এদের সম্বোধনের ক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তার সেখানো পদ্ধতি অবলম্বন না করে প্রচলিত পদ্ধতিতে সম্মান করা উচিত, কারণ তারা সৃষ্টিকর্তাকেই স্বীকার করে না। অবিশ্বাসীদেরকে সম্মান করার রাসুলের ভুরি ভুরি নজীর হাদীসে পাওয়া যায়।

মনে রাখা উচিত ইসলামের আবির্ভাব রাসুলের সময়ে নয় এবং তিনি এর প্রবর্তকও নন বরং তিনি হলেন Last and Final messanger of Allah Subhanallahuta'ala

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.