নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় জুড়ে শুধু শুন্যতা ...

সময় জুড়ে শুধু শুন্যতা ...

টানিম

তড়িৎ প্রকৌশলী। টুইটার : https://twitter.com/mztanim88

টানিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবিক আবেদন । একবার পড়ে দেখুন ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২১

মানুষ কি মানুষের জন্যে? সত্যি?



মানুষ মানুষের জন্যে,

জীবন জীবনের জন্যে।

একটু সহানুভুতি কি,

মানুষ পেতে পারে না?



গানটা শুনতেই ভালো, কিন্তু বাস্তবে গানের শেষের লাইনের জবাব কি? জবাব হচ্ছে না। মানুষ সহানুভুতি পেতে পারে না। কত সহানুভুতি দেখাবো রে ভাই? তলা বিহীন ঝুড়ির মতন এ দেশে যতই সহানুভুতি দেখাই না কেন, সেটাকে পূর্ণ করতে পারি না। প্রতি বছর শীত আসলেই এ জিনিসটা উপলব্ধি করি। কিন্তু তারপরও উত্তরবঙ্গের শীতার্ত মানুষগুলোর আকুতি উপেক্ষা করতে পারি না। অবশ্য সবাই আমার মতন আহাম্মক নয়। অনেকেই অনেক আগেই এসব ব্যাপার বুঝে গিয়েছেন। তাইতো তারা এই শীতের মধ্যে ফ্যাশন শোর আয়োজন করেন, যেখানে শীতের মধ্যে শাড়ি আর পাঞ্জাবী পরে ড়্যাম্পে মডেলরা হাটাহাটিও করে। এনাদের দেখে আমার বেশ মজাই লাগে। আমার দেশের বাড়ির কামলা আর বেটিদেরকে নিয়ে আসলেইতো হতো। মডেলদের মতন কষ্ট করে শীত সহ্য করতে হতো না। কারণ বাই-ডিফল্ট তাদের গায়ে শীতের দিনেও পাতলা জামাকাপড় থাকে। ব্যাটাদের চামড়া মনেহয় গন্ডারের মতন হয়ে গিয়েছে। তা না হলে সেই পাতলা কাপড়-চোপড় পরেই শীতের মধ্যে কাপতে কাপতে কিভাবে হাসিমুখে বলে যে, “ভাইও, একনা কম্বল দিলে ভাল হইল হয়! ”



আবার একদল লোক আছেন, যারা শীতকাল এলেই হলো, সওয়াব কামানোর জন্যে ওয়াজ মাহফিল আয়োজনের হিড়িক লাগিয়ে দেন। শীতকালে নাকি গা গরম করা ওয়াজ হয়, তাই ঠান্ডা লাগে না। আরে ভাই, মাহফিল আয়োজনের খরচ দিয়ে গরীব মানুষগুলোকে কিছু কম্বল কিনে দেন না। তারা তাহলে তাদের বাসায় বসেই গা গরম রাখতে পারবে। গা গরম করার জন্যে ঠান্ডার মধ্যে মাঠে ওয়াজ শুনতে আসতে হবে না।



সেদিন একটু বুদ্ধিমান হয়ে গিয়েছিলাম অন্যদের মতন। ভাবলাম একটা বারবিকিউ পার্টির আয়োজন করি। শীতের মধ্যে ভালোই লাগবে। একদিন পরে আবার আহাম্মক বনে গেলাম। আসলে ২০১০ এ কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা আসার সময় নাইটকোচে পাশে বসা এক দাদা আর নাতনীর কথা মনে পরে যাওয়ায় এই অবস্থা। নাতনীটা ছিলো অনেক ছোট। আমার বড় ভাতিজি টিনটিনের বয়সী হবে হয়তো। দেখলাম দাদা, নাতনীকে চাদর দিয়ে মুড়ে রেখেছে যাতে ঠান্ডা না লাগে। কিন্তু পিচ্চির পায়ে কোন মোজা নাই। পা খালি। আমি দাদাকে বললাম, “ছাওয়ার পাত ঠান্ডা লাগি যাবেতো। তোমার ওড়োন নাই?” দাদা কিছুটা শঙ্কিত আর কিছুটা লজ্জিত হয়ে জবাব দিয়েছিলো, “না লাগে ঠান্ডা।” সেদিন ছিলো মারাত্বক শীত। বাস ছাড়ার মিনিট পনেরো পরে পিচ্চি বমি করে অস্থির। পরে বাস থেকে নেমে অ্যাভোমিন কিনে খাওয়ানোর পরে পিচ্চির অবস্থা কিছুটা ভালো হয়েছিলো। দাদাটি অশ্রুসজল চোখে বলেছিলো, “কি করিম? পার মোজা কিনি দেবার পারং নাই। ” ঐ দাদা-নাতনীর কথা মনে পড়ে যাওয়ায় আবারও বুদ্ধিমান থেকে আহাম্মক বনে গেলাম। বারবিকিউ আয়োজনে যে খরচ হবে, তা দিয়ে কোন পিচ্চি নাতনী যদি তার পায়ের গরম উলেন মোজা পায় তাতে খারাপ কি?



যে যা পারি তাই নিয়ে কি একটু সাহায্য করতে পারেন ? টাকা পয়সা / পুরনো কাপড় চোপড় যাই হোক , অল্পই হোক ।



কেউ যদি সাহায্য করতে পারেন আমার সাথে যোগাযোগ করুন। মন্তব্য করে জানাতে পারেন ।



ধন্যবাদ

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫৪

বাংলার হাসান বলেছেন: খুব ভাল উদ্দোগ, শুভ কামনা রইল।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪১

টানিম বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:০৩

মাক্স বলেছেন: আমরাও একটা উদ্যোগ নিয়েছি অবশ্য অনেক ছোট পরিসরে। তবে সাড়া পাওয়া গিয়েছে ভালই।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪২

টানিম বলেছেন: খুব ভাল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.