নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি, আমার কাছে তোমার তুমি একটা বিশেষ্য, তুমি বিশেষ্য জন।তোমাতে বাস সব অসাধারণ বিশেষণ। আর আমি সর্বনাম।যেন তেন একজন \'সে\', অথবা যে কেউ।তোমাতে জমা আমার আনন্দ ভাগের সবটুকু অব্যয়।

সর্বনাম ও নামপুরুষ

সর্বনাম ও নামপুরুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সর্বনাম ও নামপুরুষ

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭


চকলেট খাওয়া শৈশব মনে পড়ার পর আরও কিছু ঘ্রাণ...
এই যেমন অগ্রহায়ণের বিরান ফসলের মাঠে
সদ্য কেটে নেওয়া ফসলের ঘ্রাণ, আবছা কুয়াশার বাষ্প, বাষ্পে মাটির গন্ধ
বিকেল পেরিয়ে গোধূলী গলানো সন্ধ্যায়
খুব দামী মুখের মুখোমুখি মুহূর্তের মহেন্দ্রক্ষণ
হাত ও আঙুল জুড়ে বুনোফুল ঘাসের ঘ্রাণ-
ইতিবৃত্ত নিয়ে ফিরে আসে।
অতি প্রাচীন দুঃখ বোধেরা তীব্রতায়
ছায়া ছেড়ে হয় উজ্জ্বল।
হৃদয়ের অনেক অনেক শূন্য হয়ে যাওয়া সংরক্ষিত স্থানে
থরে থরে সাজিয়েছি ভাল ভাল ভালবাসা,
অপূর্ণ প্রিয় আশা,
পরে দেখেছি আস্থাহীন স্বপ্নের মত সেই সব সবুজের পরজীবি হয়ে ওঠা
অর্কিডের ফুল, অর্কিডের কাঁটা
অর্কিডের বেড়ে ওঠা।
বেঁচে থাকা- দীর্ঘ নাতিদীর্ঘ পথের ভয়, ভাব, ভালবাসায়, ভনিতায়, আশায়,
আমার মাঝে বেড়ে ওঠে
দিনের আলোতে এসে, রাতের মাঝে একা একা, নিঃসঙ্গতা সমভিব্যাহারে।
সকল অর্কিড, আঙিনার ঘ্রাণ ছাপিয়ে আসে
ছেড়ে আসে অগ্রহায়ণের শুন্যতা।
যেখানে পূর্ণতার পর হঠাৎ শূন্য প্রান্তর এসে হাজির হয়
কোথাও প্রাপ্তির আনন্দ, প্রত্যাশার সমীকরণ, কোথাও রিক্তশ্বাস।
অহম ও বাস্তবতা।
পরাবাস্তবতা ও আবেগ।
সব যুক্তিহীন মনে হয়,
মনে হয়, সব অহম পরাবাস্তবতা ছেড়ে চলে গেছে বালুচর
সব আবেগ গড়েছে বাস্তব সম্মত বনানী
কষ্টগুলো ছাঁচে ঢেলে
গলিয়েছে সুদক্ষ কারিগর- বিনিদ্র রজনীর অনুজ্জ্বল আলোর অবয়ব।
ক্রমশ দীর্ঘ হয় বাতিল হওয়া সুরে সিক্ত কথামালা
লহরী ও অন্যান্য ধ্বনি
দেয়ালিকা জুড়ে খন্ড খন্ড আহত চিহ্নের শিল্প।
প্রতীতি ও প্রতিজ্ঞা।
প্রশ্রয় বা প্রতিদান।
প্রকৃতি ও প্রত্যয়।
প্রণয় বা প্রত্যাখ্যান।
প্রতিটা প্রহর প্রত্যহ কিংবা প্রত্যেক প্ররোচনায়
প্রতিফলিত হয় প্রাণেশ্বরীর প্রতিবিম্ব,
প্রবোধ নেই ,কেবলই প্রত্যাশার প্রতারণা
প্রাণহীন প্রাচীর হতে প্রতিধ্বনির প্রত্যাবর্তন,
প্রচন্ড প্রলয়ের প্রতিবেদন হয়ে যায় প্রহসন।
প্রিয় যায় প্রতিকূলে, প্রচুরতার প্রলোভনে।
প্রেম পড়ে রয় প্রতীক্ষায়।
প্রতিদিনই হয় যার প্রথম দিন
প্রশমিত হয় না প্রায় কোন কিছু।
প্রথা ও প্রশ্নাবলী,
প্রতিহিংসার বাণীর প্রতিঘাত ,
প্রবাদপ্রতিম প্রবঞ্চনা আনে জীবনে।
প্রবল ক্রন্দনে নিমজ্জিত বিগত ঘ্রাণ
প্রত্যুত্তরহীন প্রতিচ্ছবি হয়েছে আপাত সম্বল,
প্রতিশোধ, পরিশোধ বাদে আমার বেয়াত্রিস (ইকলেবিদিস বেয়াত্রিস)।
প্রখর সকল দুর্যোগে, হাসিতে একমাত্র মেঠোপথ
প্রকান্তরে প্রতিষ্ঠিত প্রাজ্ঞ জন
প্রার্থিত ভালবাসার প্রকাশিত অংশ নিয়ে থাকে সংশয়ে।
প্রগাঢ় শূন্যতায় ঢাকা পল্লবীর সকল পল্লব তাই পুষ্প-পত্র বিহীন- আজও।
নম্রতা, আদর, উষ্ণতা
সব ছেড়ে যায় আমার প্রেম।
পিদিম আর জ্বলে না আলো আর মেলে না।
আমার উল্টো হাটা
পেছন ফিরে দেখা
শূন্যতাকে হাত নেড়ে বিদায় জানাই,
পথের সমান্তরাল, পথের আড়াল আর পথের স্থিতিস্থাপকতা
সরিয়ে দিতে দূরে, বহু দূ-র
হেটেছি ভুতুড়ে পাথার, বাঁদাড় একলা একা।
শূন্য শূন্য অভাব যা কিছু গোপন
তারে জানে রাজন্য জন, সকল চক্ষুষ্মান হৃদয়
সকল আমাত্য, সকল সভাজন
মেনেছি তার হেলা, অবজ্ঞা আর তীক্ষè অপমান
কী লাভ বলো বান্ধব, তুমিও বিকাও যদি পার্থিব সংজ্ঞায়
বিছাও আঁচল যদি কেবলই সুখ সমাগমে,
আমার পিয়াসী পূজারী মন নিশ্চুপ হয়ে যায় তখন,
খেয়ালী চলন তখন নিশ্চল বধির; শীতে শ্রীহীন কৃষ্ণচূড়া যেমন।
আমি তো চাই প্রেম -প্রাণে, বোধের সকল তানে।
আমি চাই সকল চোখের তারায় প্রকাশিত হোক মগ্ন যুগল, নিমগ্ন প্রেম।
আমি তো চাই যুগ যুগান্ত ব্যাপী আস্থা বিনির্মাণ- এক লহমায়।
চাই সুপরিবাহী মাধ্যমে কথোপকথন, উজ্জ্বল আলো, উষ্ণতা বিনিময়।
আমি চাই দিতে দিতে শুদ্ধ লোনা জলকণা- আনন্দের, প্রতি উৎসবে।
আমি চাই বৈষম্যেরা সব অসম্ভবেও যদি রয়, তুমি আমার; শুধু আমার হবে।।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

রুদ্ধ দারের কবাট খুলে হঠাৎ কেমন ঝাপিয়ে পড়ে আলো
আমারও তেমনি দীর্ঘ দীর্ঘ দিন কবাট বন্ধ ভালবাসায় অন্ধকারে ডুবে আছি
তুমি এসে আলোর মতন ঝাঁপিয়ে পড়ো যদি
যদি আবেগ এসে তুলে নেয় লজ্জা শঙ্কা ভয় দ্বিধা
যদি তুমি বিশাল শুন্যতা বুকে নিয়ে ঝর ঝর করে হু হু করে কেঁদে ফেলো
যদি তুমি আমাকে যুগল আলিঙ্গনে বিহ্বল করে ফেলো
যদি তুমি আমায় ছুঁয়ে দেখো দৃষ্টিতে, আঙুলে, হাসিতে
যদি তুমি শুন্য আমায় দাও ভূ সম্পত্তির অধিকার, জতুগৃহের নকশা, বিবরণ সহ সব
যদি তুমি ভালবেসে বলো আর কোথাও যাব না
যদি তুমি বিষন্ন চোখে দাও ভালবাসা চুম
আমাকে নিবিড় স্বরে বলো ভালবাসি
আমি সেইদিন বিরহ ব্যথার সাথে বন্ধ করে দেব মুখ দেখাদেখি
তোমার উষ্ণতা পাবার উষ্ণতায় ডুবে যাবার বাসনা হবে খাঁচায় পোষা পাখি।
তোমার ভালবাসায় দাবদাহ হবে বৃষ্টি জলে সিক্ত
তোমার চোখের তারায় পাব চিরন্তন বসবাস অধিকার
তোমায় আমায় মিলে পদ্ম ফোটা ঝিলে ডুবিয়ে দিয়ে পা, শান্ত হবে বিগত অস্থির শুন্যতা
যা কিছু স্বপ্ন, শুকতারা ছেড়ে দিয়ে রবে করতল পত্রপুটে
আমরা যাব লৌকিকতা ছেড়ে কিছুটা দূর যেখানে প্রেম স্বপ্নবান, যেখানে প্রেম মধুর
আমরা পোড়াব কষ্ট ব্যথা ক্লেদ, যা কিছু জমা বেসুরো সুর
আমরা জড়াবো পশমি চুমু গায়ে গায়, ছড়াবো অধর হতে অলিন্দে নিলয়ে
আমরা মহাশুন্যের মহা শুন্যতায় বুনে দেব লক্ষ তারার ঝালর, জোছনার চাঁদোয়া
আমরা ঝরাবো চৈত্রে ঘামের মত আঝোর অশ্রুজল, হৃদয়ের শুন্যতা
আমরা জুড়াবো প্রাণ কথকতায়, রবো একান্ত নিমগ্ন যুগল অনুভবে,মৌণ ভাষায়,
আমরা হারাবো আমাদেরই মাঝে-আমাদের ভালবাসায়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

কথায় ও চেতনায় ভীষনরকম ভারী যন্ত্রণা
ভারী যাতনার নিচে সাদা ঘাসের মত বাস করে কল্পনা
কল্যাণীয়াসু হতে প্রিয়তমাষুতে প্রত্যাবর্তনের সাধনা
চাই একটা বা সব কয়টা সম্মতি ভঙ্গি ও ভাবনা, ভাব ও ভালবাসা
এমনকি পরিবাহী ত্বকের ভাষা প্রবাহের গোপন সব সঙ্কেত
সকল কিছু খুঁজে পেতে এনে জড় করেছি প্রসিদ্ধ আঙিনায়
বসার ঘরে, বাহির পথে কথায়, ভাষায়
ধনাত্মক অবয়বে দেখব বলে প্রতীক্ষা বিভোর ক্ষণ
কিছুকেই ভাবিনি আর বিশেষ প্রয়োজন
শুধু একবার, মাত্রই একবার, মিথ্যা করে হলেও বলবার।
সাহসবোধকে শৃঙ্খলিত করবার মিনতি হয়েছে মিথ্যে
অর্থহীন করে দিয়েছে প্রতীক্ষিত নতমুখ
তিথী অতিথীর মতন সংকটে দেয়নিকো সাড়া

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

মাঝে মধ্যে ইচ্ছা করে আকন্ঠ মদ্যপান করে টালমাটাল পায়
পড়ে থাকি রাস্তায়।
পায়ে চলা কালো পথ শুষে নেবে ক্লান্তি।
আঙুলের, হাতের ভ্রান্তি।
এই যে আমার হাতের ভেতর দশটি আঙুল।
কেউ জানে না আমি জানি
জানে আমাদের প্রেম জানে নির্ভুল।
ভনিতা নেই আছে যা কিছু শুদ্ধ প্রেমের সাধ
আছে ভালবাসা স্বপ্ন, আছে আহ্লাদ।
ইচ্ছা করে বৈষম্য যা কিছু গবলেটে ঢেলে নিয়ে যাই রেচক আলয়ে।
ইচ্ছা করে অসম্ভবেরে দেই ফাঁসি।
ইচ্ছা করে পাঁড় মাতাল হয়েও তোমাকেই শুধু ভাবি...
শুধু তোমাকেই ভালবাসি।
ইছা করে মাতাল হই ওষ্ঠাধরের চুমু করে পান
তারপর ইচ্ছামতন ভেঙে ফেলি যা কিছু গোপন সংশয়,
মুক্ত করি বাসনা যা কিছু বন্দী বেদনায়।
মাঝে মধ্যে ইচ্ছা করে বিবসমনা তোমারে- বিহ্বল করে তুলি আদরে
ঢেকে রাখি লাজে আরক্তিম মুখ বুকের চাদরে
ইচ্ছা করে
ইচ্ছা করে।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।


ভালবাসাটাই গোপন, দুঃখগুলি সবাই জানে
ভালবাসা আমার পড়ে থাকে চোখের আড়ালে সুদূর
প্রতিহিংসার, জিঘাংসার মুখগুলি ঘিরে থাকে বাতায়ন, আমার আঙিনা
ভালবাসারে পেতে পারি নাই প্রতি প্রহরে বেঁধে নিতে অথচ
দুঃখ কিছু অমরতা পেল জীবনের খাতায় পাতায় লেখায় কথায়
শুন্যতা রয়ে গেল ভেতরে ভেতরে
সকল শর্ত সন্ধির, মেনে নিলাম তবু যুদ্ধ থামানো গেল না চারিদিকে
উচ্ছিষ্ট থেকেও নিকৃষ্ট অকৃতজ্ঞতা ছুঁয়ে গেল পথ
পাথেয়
তুলে দিলো নিলামে যা কিছু ছিলো নির্ভরতার
এখনও ভালবাসা তবু ঘেরে কাঁটাতার- দশদিক, আমারে রেখে বাহ্যসীমায়
ভালবাসাটাই রয়ে গেল গোপন সকল উৎসবে
শোকবার্তায় লেখা জোছনার নাম
যাপিত জীবনের প্রাপ্তিতে অভিশাপ
অভিমান পেল অনির্বান উপমা, উপনাম।
তোমার নামে লেখা চিঠির খামে রুধিরের রঙ শুকিয়ে হয়েছে ঝাপসা তবু
ক্ষরণের ব্যথা এখনও জ্বলজ্বল্ব জীবন্ত
বাহুতে বেঁধেছে বাসা বিষন্নতা আর
নামেতে নিঃসঙ্গতা
তবু জানি আমাদের প্রেম পাবে পূর্ণতা
আমাদের এই বিরহ হবে জানি হীরক খচিত সুবর্ণ প্রাসাদ
যেখানে মুছে যাবে সব অভিমান, অপেক্ষা, অপূর্ণতা, অস্থিরতা
প্রবেশ অনধিকারে রয়ে যাবে দূর ভাঙ্গনের খুলে খসে পড়া উপকূল
আমাদের প্রেম হবে প্রাঞ্জল সেখানে
আমাদের চোখ রবে অপলক শুভ শুভ দৃষ্টি দানে
আমরাই রবো ছন্দে ভাষায় সিক্ত
রিক্ত হবে জানি সেদিন দুঃখ মহাজন
ভালবাসা আর রবে না গোপন, জানে আমার মন
আমাদের মন।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।


কামান্ধ, প্রেমান্ধ, মোহান্ধ কিংবা মূর্খান্ধ যে কোন মাধ্যমে
আনা যেত প্রলয় অনেক প্রণয়ের পথে, পদে পদে।
করা যেত কাঙ্ক্ষিত দশটি আঙুল হাতের তালুতে বন্দী।
কিন্তু কোনটাই হয়ে ওঠেনি
তুমি যে আমার প্রেম
আমি তোমাকে বিব্রত হতে দিতে পারি না
আমার জন্য তো নয়ই, কিছুতেই না
হয়তো বা সে, আমার মন, এখন অর্বাচীন এর মতন কিঞ্চিত বেসুরো
সে পেতে পারতো আরও বেশী গাঢ় নিমগ্নতা হতে পারতো আরও গভীর অবধি আলোকিত
স্নিগ্ধ হতে পারতো আলপনা মেখে
মাটির মমতার মত আপন হতে পারতো
গুণ টানা নায়ের দুলুনী নিয়ে কেটে যেতে পারতো এক একটা বিকেল
পাশাপাশি দুজনে মগ্ন নিশ্চুপ তবু চুপচাপ বলে নিতাম কত কত কথা
দীর্ঘশ্বাসের থেকে বহু বহু দী-র্ঘ চুমুর, মধুমিলনের ঝঙ্কার সুর টুং টাং সুরে বয়ে যেত লোহিত কণা
চোখে, চিবুকে, ওষ্ঠে অধরে,পরস্পর গ্রীবা ছুঁয়ে থাকা সে সুর
যাপিত প্রতি পল অনুপল হতো থৈ থৈ আঙিনায় পদ্মাসনে বসার মতন- আমাদের মন
আমাদের মাঝে নিমজ্জমান। যেমন জোয়ারের মাঝে টগর যেমন আমার মাঝে তেমন তুমি
একটা কমল সরোবর, একটা ঝর্ণা ঝরঝর, একটা নদী থরথর, একটা উচ্ছ্বল কল্লোলিনী।
একটা সুখ।
একটা তুমি।
আলোতে কেমন হত তোমার চাহনি
এইটুকু দেখার শখে আমি চোখ লাল করে ঘুরে বেরিয়েছি পথে প্রান্তরে
গোপনে একা একা।
আমার আমাতে তুমি নাই তাই ভেতরে অযত্নে অবহেলায় রয়ে গেছে ক্ষরণের দাগ,
দগদগে ব্যথা আর আড়াল করা হয়নি ঔষধে
কাঁচা বাঁশের ঘেরাটোপে বীজ বুনে রাখা কৃষ্ণচূড়া গাছ গত জনমের- ছায়া মেলে আকাশে আকাশে
কিন্তু সেই দৃষ্টি ঝোঁকার লাল টক টকে ঝালর তার আসেনি চৈত্র শেষ বৈশাখেও
আমি যে ভেবেছি বহুবার আমি আমাদের পারস্পরিক আস্থায় দিয়ে দেব সমর্পণ আমাদের মন
আমি যে চেয়েছি সুখের ভনিতায় নয় সুখে, সুখের অসুখে হব চিরঞ্জীব
এক একটা অসুখে এক একটা কচ্ছপের আয়ু
তোমাকে দেখা এক লহমাকে সবাই বলবে জানি যুগ,
মাধুকরীর দিনে কয়েক লহমায় আর কতটুকু দেখা যায় বলো
তবু তোমার হাসিতে জুড়াবো যে কোন জ্বলে পুড়ে যাওয়া ঈর্ষার পোড়া ব্যথা
যতনের মুখ রেখে দিতে চাই সৌম্যদর্শনের খুব কাছাকাছি সময় অবধি
তারপর...
মধুচন্দ্রিমা দুজনের।
সেই যে আমাদের সকল ঝগড়ানো বেড়ানো শেষে যাব সেখানে
যেখানে পাখির কোরাসের মত আমাদের পদধ্বনি তখনও বাধেনি বাসা
সুবর্ণ জয়ন্তীর বিকেলে আমরা বলব ভালবাসি
এর আগে শুধু অনুভবে বুনে যাব একটার পর একটা স্বছ নীলাকাশ
রৌদ্র বৃষ্টির উল্লাস,ছেলেমানুষীর কোন উপকরণের উপর আত্মজ মতন মমতা,
রবে বচনে বাচনে দারুন বোঝাপড়া
এ বাসনা মনের- মনের দায় হবে অধিকার, এমন আশায় প্রেমের গুণকীর্তন আজও, হররোজ অষ্টপ্রহর।
হবে দেখো আমাদের প্রেম ঠিক ঠিক এখনের চেয়েও আরো গভীর,
আরও বেশী ব্যাঞ্জনাময়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

বিশেষত তোমার কষ্টগুলি ডাক হরকরার মত ঠিক ঠিক খুঁজে পেলে আমার আঙিনা
চলতি পথে, মধ্যি পথে, সুখ হাসি সমাগমে
আমি যেন বলে দিতে চাই আমি নেই এখানে এখন
আমার কান্না পেলে কনিষ্ঠা আর বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে খুব সন্তর্পনে চেপে ধরি দুই চোখের দুই কোণ
ধীরে ধীরে বাড়িয়ে চলি চাপ
যেন একটা জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের স্লুইস গেটগুলি বন্ধ করে দিলাম
যেন জলাধারে পাবো শক্তি
যেন কোন একদিন অজ পাড়া গাঁ দূর কোন এক পাবে ঝলমলে আলো
ঠাটবাহারী মেকাপে চৌকষ শহর হবে আর আপন জতুগৃহের দুঃখ লুকাবে নিয়নের আলোয়।
কিংবা স্রেফ পৃথিবীর কাউকেই সঠিক কারণটা যৌক্তিক করে বোঝানো যাবে না বলে।
কিন্তু তোমার নামে আমার কষ্টগুলি হতে কিছু কষ্ট ওড়ানো দরকার
আমি কিছু কষ্ট ওড়াতে চাই
কষ্টগুলি ঘনবসতির কারণে কষ্টে আছে বহুদিন।
তুমিও কি তাই?
চলো, কষ্ট ওড়াই।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

নীল রক্ত লাল রক্ত দূষিত রক্ত সব খানে শুন্যতা
সব খানে ভীড় করে বিষম ব্যথা শেষ অবধি
হেলা অপমান বিব্রত বোধ আর অন্যায় অপরাধ
ছাপিয়ে ওঠে, ছাড়িয়ে যায় বিদগ্ধ সুখ অনুভূতি
অথচ কেবল জলের ছলে মৃত্তিকার প্রেম চেয়েছি সেই কবে থেকে
উপরি ভাগে ত্বক ছুঁয়ে নিঃসীম গভীরে রবে তার কোলাহল
সুপেয় শুদ্ধ ভালবাসা মন্ত্রপূত জল
কিন্তু অষ্ট গন্ডা ফাগুনের পরও এখনও
গভীর শুন্যতা রাহুগ্রাসের মত আমার
প্রেম মগ্নতাকে করেছে দীর্ণ, আমি আজও এখনও দীনহীন
কেন যে সময় বাধা হয়ে রয়
কেন সে জন্মায় রাশি রাশি বাধা মহাপ্রাচীর আমার আঙিনায়
যেন কোন মৃত জীবনের উপর জন্মানো ভারী ছত্রাক
দিন যায় তারা মহীরুহ হয়ে ওঠে
রাত যায় তারা আরও গভীরে হৃদয় অবধি বাড়িয়ে চলে সমূল বিস্তার
তারুণ্য মাখা হৈ চৈ ছেড়ে দূরে পালাই, লুকাই মুখ আলোতে পেঁচকের মতন
যে কোন হাসিতে মন পড়ে রয় বিষন্ন মতন
অথচ এই জীবনের মানে হতে পারতো ভালবাসা
হতে পারতো বাদশাহী সুখের একচ্ছত্র অধিপতি
পেলেও পেতে পারতো বোহেমিয়ান জীবন হতে স্থায়ী ছাড়পত্র
কোন এক মুখের হাসির জন্য আবারও
বরফ গলনাঙ্কের সাথে দিতে পারতো পাল্লা সে
শিখে নিতে পারতো সকল ভালবাসার সকল রকমফের সংজ্ঞা ও সহবত
শেকলে সুকৌশলে বন্দী বেয়াত্রিস আমার
দ্বিধায় বাধায় লৌকিকতায় অন্ধকারে নিমজ্জমান প্রেম
জোছনায় বা প্রখর রৌদ্রালোকেও সে আঁধারে বন্দী
প্রথায় আড়াল করেছে সুর্যদীপ্ত প্রেম
আমি অভিমানে নিমগ্নমান আহত তবু লুকাই ব্যথিত প্রাণ
শিরায় শিরায় শূন্যতা লুকাই বারংবার
রক্তকণায় নাচন যত ব্যাকুল আহ্বানের
তারে দেই ইচ্ছাধীন স্বাধীনতা
সেখানে অপাপবিদ্ধ আমার মন
শুধু বোহেমিয়ানের প্রয়োজন প্রেম
কেবলই প্রেম
আমি এমনকি নীল পানি ধূ ধূ সমুদ্দুর
মাঠে মঞ্চে ছন্দবদ্ধ নূপুর সুরেলা সুর
সব ছেড়ে ছেড়ে পড়ে থাকি দূরে দূর বহুদূর
কোন অনুচক্রিকায় বাধা পড়ে না আহতের ক্ষরণ
তোমাকেই তাই নিতে হবে তুলে প্রণয়ের দায়ভার
ভালবাসার।
আমার ভালবাসা এই তোমাকেই আমাদের ভালবাসার প্রয়োজন।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

ভালবাসা এত নিষ্ঠুরতা কোথায় পেল?
কে শেখালো? কেমন করে হলো?
তবু কে তারে ভালবাসা নাম দিলো?
পুড়ে যায় ভেতর বাহির সবকে সব অথচ
তবু পুড়ে যেতে ছুটে যায় মন,
পতঙ্গের মতন।
হয় চঞ্চল, ভালবেসে আঁচলে জড়াতে চায় অনুক্ষণ, প্রতিক্ষণ।
জানি তোমাকেও পোড়ায় ভালবাসা
আর তাই আরও ভালবাসা দিতে চাই
ভালবেসে যেতে চাই যতদূর দাহ্য সীমা ভালবাসার।
ভালবাসা পেতে চাই যতখানি তুমি ভালবাসতে পারো আমায়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।


নানা কথা নানা কাজ, নানান ব্যথা নানান সাজ
হাজার রকম দ্বিধা দ্বন্দ্বের কঠিন স্বরাজ আর
অগণন চিন্তা স্রোত দিনমান আমাতে রয় বর্তমান
তবু তোমার সঙ্গ বাসনা চিত্ত মাঝে হয় চঞ্চল
আনমনা করে তোলে এমনকি বর্ণিল ব্যস্ততায়,
দুঃখ ফেনিল হয়ে ওঠে প্রতিটা রক্ত কণায়।
প্রণয়ের বেলায় ভালবাসা জানাবার সাধ
হৃদয়ে পড়ে থাকে নিশ্চল, যত্নহীন।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

আমাকে শুদ্ধ করো।
তোমাকে দিতে চাই ভালবাসা অধিকার , সব জনমের
সম্ভবপর সবটুকু শ্রেষ্ঠ ভালবাসা, হৃদয়ের।
চোখে তুলে দিতে চাই পূর্ণ চন্দ্র জোছনা।
ভালবাসা সরোবরে চলো ফোটাই একটার পর একটা লাল নীল পদ্ম,
তারার গায়ে গায়ে তারার সমবয়সী চুমু
এনে দেবে জানি উজ্জ্বল দিন,
উষ্ণতা সীমাহীন।
আমরা পোড়াব বিগত অনাগত বিরহ, ব্যবধান, রবে কুহুতান প্রতিদিন।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

লালচোখ ম্লান ক্ষয়িষ্ণু চাঁদ জাগে
উৎকর্ণ হয়ে থাকে সারা রাত
টংকারে বেজে ওঠার মত নিউরন সেল ছাড়িয়ে
ছড়িয়ে পড়ে কোষে কোষে কলায় দৃষ্টিতে, তার আলো।
তখনই যদি প্রণায়াক্ত প্রাণ চায় শান্তির ঘুম
ঘুম ভেঙে যদি জেগে ওঠে আবার আর
প্রশ্ন করে সংশয়ে বিষ্ময়ে ভালবাসায়
"জেগে আছো কি?"
অথবা অভিমান নিয়ে বলে
"কাল রাতেই ঘুমপরী তোমায় এত ভালবাসলো?"
দূর পৃথিবীতে বিবসমনা ঘুমায়
ভাবুকেরে ভাবায়, ব্যাথার প্রাণ জাগায় আর
কেউ একজনকে পোড়ায়
অসহায় প্রতীক্ষায়
নক্ষত্রহীন হতে চায় অমানিশায় মোড়া আকাশ
তবু জোছনা এসে ছায়া ফেলে যায়
কংক্রীটের জঙ্গলে ঢাকা কোন নগরে, এমনকি গাঢ় সবুজাভ বনানীর পাখালীর বাসায়,
এমনকি আহত হৃদয়ে।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

বহু বহু দিন
আশৈশব পরিচিত মুখ, ক্ষুদ্রতর ছোট ছোট সুখ পাই না আমি।
বিরহে ব্যাকুল পত্রলেখক
শাপ পুর্ণ শাপান্ত আমায়
আর আনছে না কোন আলোচ্য সভায়, সুখের বা শোকের সম্মেলনে
তাদের কোন কেউ।
জানছে না আমার ছায়াপথের
উপগ্রহের কক্ষপথ শূন্য।
তাই রাত্রি নেমে এলে আঁধার আর কাটে না কিছুতেই,
দিনমান স্থির,
আর্দ্রতাহীন, বহুদিন
মাধুকরীর দিনই যেন চিরন্তন সত্য
তোকে হলা হয়নি কোন কিছু তার আদ্যোপান্ত। শোনার কেউ নেই আর
কী যে ব্যথায় ব্যথাতুর সুহৃদ হৃদয়পুর
প্রথায় সাব্যস্ত দোষী, প্রথাগত বিশ্লেষনহীন কথায় আমি দোষী
গ্রাহ্যযোগ্য সকল নিবেদনে
স্বেচ্ছামৃত্যুর পুরনো শপথ আমায় নিয়েছে টেনে
সব ঋতু হতে দূরে
হৃদয়ে ব্যথার ভার
তাকে সরাবার
কিংবা দিনে দিনে জমা গুচ্ছ গুচ্ছ ক্ষুদ্র তুচ্ছ সকল দুঃখের, একাকীত্বের সম্ভার
কোনভাবে কমাবার, শুন্যে নামাবার
কোন শ্লোক
কোন স্তাবক
কোন না কোনভাবে ভুলে যাবার ভুলিয়ে দেবার মাধ্যম... আমি এখনও
এখনও
আজ অবধি পাইনি।
মুখের ছবিগুলি কাগজে ভাসমান হবার আগে তার শুন্যে মেলাবার
সকল সম্ভাবনার দ্বারে করাঘাতে বহুবার প্রচেষ্টার
সর্বৈব মুখের বিস্তৃত রেখায়
খুজেছি ক্ষমাহীন হাসির বাইরে
এতটুকু প্রশ্রয়, গোধূলী আলোতে কমলা রঙা শৈশবের সামান্যতম হাসি নিংড়াবার একটা উৎস, কিন্তু-
পাইনি।
আমি বলেছি, আমি চাইনি।
দৈব হোক বা দুর্ঘটনা, আমি ক্ষমাহীন রয়ে গেছি যুগ যুগান্ত কালব্যাপী- সুহৃদের সন্নিকটে
এ আমার ক্ষোভ সুজন, এ আমার বিজিত বোধের উপর বোধহীনে আক্রোশ
ক্ষত হোক বা ক্ষতি
সবখানে এমনকি সব খানে
কাংক্ষায়,দাবীতে সবখানে ভালবাসার ব্যাপারীপনা
সমরে, শয্যায়, পঙ্কিলে, সজ্জায়, অস্থিতে, মজ্জায়,
ভাবনায়, আস্থায়, গৃহকোনে, রাস্তায়, এমনকি প্রথার ব্যবস্থায়
মরমে ভীড় করেছে মৃত্যুযন্ত্রণা।
দহনে দগ্ধ ভেতর বাহির, চোখ ও অন্তপুর।
স্নিগ্ধতা নেই, প্রখর দুপুর।
তবু হৃদয়ে আমার প্রণয়ের অবধারিত সুর।
হয়তো সুখ সুখেই আছে বহুদূর।
প্রাণখানি প্রাণের প্রণয় নিয়ে নিমজ্জমান দুঃখে, ভাবনায়।
তবু আমায় সঁপে দিতে চাই
শুদ্ধ প্রণয়ে,
প্রণয়ের বন্দনায়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

কোন এক পৌষি শীতার্ত রাতে মর্ত্যলোকের পৃথিবী ঘুমায় আর
চোখেমুখে জ্বলজ্বলে রূপা মেখে একাকী চাঁদ পুর্ণিমা হয়ে জাগে
তবু জোছনা তার ম্লান হয়ে রয়
এই এমন পুর্ণিমায় তোমায় চাই
চাঁদের মত নিরব থেকেই পুড়িয়ে নিতে চাই ঊষ্ণতায়, শীতার্ততা যদি কিছু জমে।
ভেলা হয়ে থাকে সমুদ্রে এই গোপন বাসনা...
এ যে এই প্রণয়গ্রস্ত যুগলের অবিসংবিদিত প্রাসাংগিক যৌক্তিক অধিকার।
আমরাও জড়াব প্রেম গায় গায়, শীতার্ত পূর্ণিমায়।
আর্দ্র অথচ আর্দ্রতা ছিনিয়ে নিতে
মেঘ হয়ে নামে কুয়াশা
চাদরে লুকায় পথ ঘাট প্রান্তর
ভরিয়ে তোলে ভেতর বাহির অভিসারে, সকল বিরহ ব্যথা জর্জর প্রাণ।
এমনিভাবে নিয়মিত হয় মিলনের লক্ষ সহস্র শত বার্ষিকী বছর বছর তাদের, ব্যত্যয়হীন।
তুমি আমিও অনাদিকালের সেই প্রাণের তৃষ্ণা মেটাবো জোছনা জলে।
তারে দিয়ে দেবো নিবারিত করবার দায়ভার, তায় মেটাবার অধিকার।
জোছনা আলো ছলকায় কুয়াশার বিন্দুকণায়, রূপালী জোনাকীরে দিয়ে পাখা।
এক একটা ভারী হুড়কো টানা দেয়াল ঘিরে রাখা তোমায় নিয়ে যেতে চাই এমন জোছনায়।
থৈ থৈ ভালবাসায় টুইটুম্বর জোছনা জলজ পৃথিবীর গায় চাঁদ লুকায়,
লুকোচুরি খেলায়।
ভরাট যুবতি হেসে নেচে বেড়ায় মাইলন্তক বিলের পরগনায়, পুর্ণিমায়।
আমরাও যদি না ভাসি তায়
না দেখি যদি মন মনন মাধুরী মাতানো রূপবতী অপরূপা তোমায় এই পুর্ণিমায়
কণ্ঠায় রবে কুয়াশা বাষ্পচাপ, চিরদিন।
ভেসে যাবে মুখ, অশ্রু লোনা জলকণায়।
সুখের কল্পনায়, উৎসবে, পার্বণে অথবা সকল সাদামাটা দিন আটপৌরে ভাবনায়
অসহায় যন্ত্রণায় হোক, অথবা কষ্টে লুকোনো প্রবল কান্নায়
তোমায় চাই শুধু তোমায়
অমাবস্যায়, পুর্ণিমায়- সব সময়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

তুমি বাহুতে জড়াও বিষন্নতা, বহু বহু প্রহর বিরামহীন।
তুমি আমার প্রেম।
তবু তুমিও দূর বন্দরের মধ্য দুপুর বিষন্নতা রাখো
তৃষ্ণ লোমকূপে, গ্রন্থিতে, মজ্জায়, ধমনীতে।
স্পন্দন দাও ইথারে, আনন্দে আরক্ত মুখ রাখো অন্ধকারে।
দেখো নিশ্চুপ দহন,
তুমিও তো পোড় সহমরণের চিতানলে তবু কেন যে পোড়াও এ হোমানলে।
আগুন আগুন চারদিক,
পথে পথে বেড়া তাঁর,দুর্বৃত্তায়ন,
দূষণের মিশ্রণ আদর্শে, অহংকারে, বাক্যে, ভাষায়
তখন আমাদের এসেছে মহেন্দ্রক্ষণ-
উজান ভাটির মোহনায় ভেলা ভাসাবার,
সরোবরে ডুব সাঁতারে পদ্ম তোলার
চুমুতে চুমুতে নামাবার ভীষন মুষলধারার
শিহরণ জাগাবার
জানাবার জানাবার পরস্পর পরস্পরায় প্রতি জাগ্রত প্রহরে বারংবার
আমরা অবগাহনের নামে ডুবে যাব জোছনায়
হাতে হাত রেখে, পিঠে পিঠ রেখে
কিঞ্চিৎকর কোন মুহূর্তের বিরহ ব্যথারে দিতে ছুটি
প্রজাপতি করে উড়িয়ে দিতে নীল জোছনায়
আমরা মিলবো দুটি প্রাণ।
আমাদের স্পন্দনেরে দিতে চাই ভাষা, ইথার ছেড়ে অন্তরে।
আমি তো দিয়েছি নিলামে স্বত্ব, সর্বস্বের- ভালবাসায়; এই অন্তর মন্তরে।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

আমাকে শুদ্ধ করো।
তোমাকে দিতে চাই ভালবাসা অধিকার , সব জনমের
সম্ভবপর সবটুকু শ্রেষ্ঠ ভালবাসা, হৃদয়ের।
চোখে তুলে দিতে চাই পূর্ণ চন্দ্র জোছনা।
ভালবাসা সরোবরে চলো ফোটাই একটার পর একটা লাল নীল পদ্ম,
তারার গায়ে গায়ে তারার সমবয়সী চুমু
এনে দেবে জানি উজ্জ্বল দিন,
উষ্ণতা সীমাহীন।
আমরা পোড়াব বিগত অনাগত বিরহ, ব্যবধান, রবে কুহুতান প্রতিদিন।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

দীর্ঘ, সিক্ত, নিষিক্ত চুম্বন...
এরপর চুপচাপ কিছুক্ষণ।
অনেকটা পথ চলতে চলতে দীর্ঘ কথোপকথনের মাঝে নিরবরতার মত কি?
নাহ।অন্যরকম।প্রতি ও প্রথম সমুদ্র দর্শনের আনন্দ মন্থন,
আর শুদ্ধ স্নানের পর বেলাভুমিতে জোছনা দেখার মতন।
আমরা লোকগত প্রথাগত সব সংকোচের আড়ালে
বহু প্রতিক্ষীত পরিতৃপ্ত সহবত নিয়ে বসে আছি কাছাকাছি
মুখোমুখি অথবা ঊর্ধ্বমুখী।
আমার আঙুল তোমার চিবুক ও চুলে চঞ্চল হবার আগ পর্যন্ত আমরা
নীরব,
নিমজ্জমান,
আয়নিত।
এরপর ক্রমশ জেগে ওঠে
বর্ষনে প্রমত্ত পাহাড়ি নদীর উৎসমূল, ঝর্ণার মতন।
জলের শিল্প নিয়ে বহতা নদী।
স্বচ্ছ টলটলে জলাচল তখন-ঘোলাটে, অন্ধ।
আমরা তখনও যাইনি তাবেদারীর তকমা ছেড়ে দূরে,
অথচ স্রোত পূর্বাপর সকল কূল ছাপিয়ে উঠে এসেছে
গোড়ালি হতে নাভিদেশ ছেড়ে গ্রীবায়,
চোখে, চাহনিতে- সবখানে।
অধমর্ণ আমার, তুচ্ছ আমার লোভ যদি হয়
দেনা পাওনা থেকে ঢের বেশী...
তাকে আর বলা যাবে না ভয়ার্ত ভালবাসা।
দাবী তখন দ্বৈত; পাওনা ও পরিশীলন।
তীক্ষ্ণ শীতে তুষারপাতে ছত্রীবিহীন আর গ্রীষ্ম ছিল মরুময়
বর্ষা এসে যদি রেখে যায় কিছু জলাধার পুর্ণ
সাগর হয়ে মহাসমুদ্র পরিভ্রমনের পর প্রত্যাবর্তনের
প্রণয়,
প্রলাপ নয়।
প্রতিবিম্ব, প্রতিকৃতি নয়।
প্রতীক্ষায় প্রত্যয় আমার, আমাদের, আগ্রাসী হয়ে ওঠে যদি
পৃথিবীর
চোখের শাসন
প্রথার বাঁধন
ছিন্ন ভিন্ন ছাই হবে,
দুজন পরস্পর দেহে মজ্জায় মিশে যাওয়া স্পন্দনে অভিন্ন প্রাণ।
ভরা হেমন্তের সোনালী আমন মাঠ থেকে চলে আসে উঠানে
মিশে যায় হাসিতে, সম্ভাবনায়।
তেমনি দুঃখ চারা সরল সমভূমিতে এনেছে মহীরুহ শালবনে শীতল বসতি,শান্তির ঘর।
রৌদ্র জল ছায়া ছেড়ে স্বপ্ন স্বীয় তালুতে বন্দী- আজ্ঞাধীন।
আমি তখন জমি জোতদার; চিরদিনের, চিরস্বত্ত্বের একচ্ছত্র অধিপতি।
মন হতে উঠে আসা আলোয়
আমাদের দিনমান, আমাদের শুভ দৃষ্টি দান,
সাধের শখের যুগল যুগ যুগ যাপন।
মধু ব্যপনের পার্বণে আর নেই শাখা কোন যেন
মূল সুত্র,ভালবাসায়।
শুধু যুগলের যুগ ছাড়িয়ে কালান্তক অবধি প্রণয় পরিভ্রমণ
সমূলে বহুদূর তার বিস্তার, বহু বর্ণে বর্ণিল তার বিবরণ।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

নিঃশ্বাসের আশে পাশে দীর্ঘশ্বাস ওড়ায় কণ্ঠায় জমা বাষ্পরাজি
যেন বাতাসে ভেসে আসে জলের ঘ্রাণ
বজ্রকন্ঠে ঘোষণা করবে বুঝি এখনই ঝড়ো হাওয়া এই তো পেয়ে গেলে প্রেমের জন্য সন্ধিনামা
অতি প্রাকৃত আলোর নিচে পৃথিবীকে ভরিয়ে দিতে
অজস্র লক্ষ কোটি চুম্বনে
সিক্ততায়, সশব্দে সাজাতে পৃথিবীর ত্বক।
ত্বকের গভীরে জলাধারে পৌঁছে দিতে
আরও শুদ্ধ জল কণা।
আমারই কেবল কাতর ব্যাকুল লোভাতুর মন
কুড়োনো আত্মবঞ্চনা, প্রাপ্তিতে জমা হয় অভিশাপ আর অভিমান,
কিছু না ভেবে যাচ্ছেতাই করার অক্ষমতার দংশনে আহত হতে হতে
শুষ্ক শুন্য মরুতে দীর্ঘ তপ্ত লু হাওয়া
মেলেছে পাখা যতদূর চোখ যায় তার ভেতর
ছুঁয়েছে জীবনের দশ দিক
দিগন্ত ছুঁয়ে মনের গভীরতম প্রাণে
কেন্দ্র হতে পরিধী অবধি ধোঁয়াশা,শুন্য মেঘ লেগে আছে
বেসামাল আমায় নিয়েছে উড়িয়ে বিপথে, ভৎর্সনায়
বিধেছে তিক্ষ্ণতম ক্যাক্টাসে,চোখ কুঁচকানো মুখর সমালোচনায়।
পাথরে বাধা পড়ে আছে জানি ঝর্নার ঘুম।
দীর্ঘ পথ লোকালয় উন্মূখ প্রান্তর কাছে বসে আছে অথচ চুমুতে চুমুতে পেরুতে পারি এক লহমায়
নদী হতে হতে থেমে আছে নিথর, নিশ্চল
যুগ যুগান্ত পাড়ি দেয়া আশ্রুলোনা মহাসাগরে
কেবলই বাড়িয়েছে কেন্দ্র হতে তার সীমানা
তবু কেন্দ্র হতে ব্যাসার্ধ সমান পথ বেয়ে
পরিধী হয়নি সীমায় সসীম
হয়নি কেন্দ্রাতিগ, হয়নি আপনার আপন
এখনও।
রাত্রি দিন বিভোর ভালবাসার আশায়
ভুলে গেছি কৃষ্ণপক্ষের সঠিক দিন ক্ষণ
শুধু আরক্তিম আকাশের গায় হেলাল উঠবে জেগে
ভাসাবে জগত জোছনায় এ বাসনায়
ক্লান্তিহীন চোখে দৃষ্টি মেলেছে হৃদয়
আমার অবুঝ হৃদয়
বলেছে আমার হৃদয়
হৃদয়ের আঙিনায়
আসবে তোমার বৃষ্টিজল
দৃষ্টি জুড়াতে
ঝর্ণায় মোড়াতে
তাপদহ অন্তঃপুর
কুহুতান, কলতান, রাগিনী সুর, স্বরলিপি ভালবাসার
যুগপৎ হৃদয়পুরে হবে মহাকাব্য রচনা, মগ্ন দুজনে দোঁহায়, রবে প্রেমে নিমগ্ন,আদরে আহ্লাদে বিভোর
বাতাসে জলের মত স্নিগ্ধতা নিয়ে
পৃথিবীতে আসে নেমে সবুজের ঢল
শুধু একলা আমারই বুঝি
বন্ধুর ছায়াহীন পথে চলাচল
আমারই জন্য হলাহল
শুন্যতায়, শুদ্ধ হাহাকারের
অবিশ্রান্ত কোলাহল
কন্ঠে বাষ্পীভূত অশ্রুজল।
দ্বিধায় আছ বলে
দূরবীনের থেকেও দূরে রও তাই
শ্রবণ সীমার বাইরে থাকো তারও দূরে থাকে তোমার মুখচ্ছবি, তোমার হাসি
এসো এই হৃদয় আহূত ব্যক্ত ভালবাসায়
এসো আহত প্রেমের শশ্রুষায়
এসো আঁধারের চন্দ্রবিন্দু নাম ছেড়ে
এসো জোছনায় মাখি যুগলের মুখ, মুখোমুখি
দেখো সখি, ঝর্ণার সিক্ততা নিয়ে নিষিক্ত হয় কেমনে পৃথিবীর সুখ
যুগ যুগান্ত দহনের দায় একমাত্র ভালবাসায়
শুধুমাত্র ভালবাসাতেই হবে সমাপন
জনমের মতন
সবুজে, স্নিগ্ধতায়, মহাসাগরে মহা মোহনায়
সুর শব্দে আলোকমালায়
রবে প্রেম, তোমাতে আমাতে মগ্ন
ভালবাসায়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

প্রিয়, তোমার প্রহরায় ভীষন সুখে উন্মূল ক্ষণ হয়ে যায় আনমনা।
বন্ধ হয়ে থাকা দরজার মধ্যভাগে শৈবালের আস্তরণ।
সমুদ্র শৈবাল।
যার সবুজে কোথাও না কোথাও লেগে আছে লোনা জলের ঘ্রাণ
আহত বিজিতের গর্জন শুন্য নগরীর প্রতিধ্বনি ক্রন্দন হয়ে বাজে ভেতরে
হেলা অবহেলা আর বিদ্রুপের বিকটদর্শন
দেখা দিয়েছিল কমলা রঙা সকালে সেই কবে
তার প্রতিটা দৃষ্টি এড়াবার আঁচড়
ডমরু হয়ে বাজে ঊর্ধ্ব তালে
বিরহ ছেড়ে বিষের পথে আমার পথ
উল্টো হয়ে চলে
যেতে চায় প্রাঞ্জল ছেড়ে পংকিলতায়
ক্রমশ যেতে চায় মসৃণতা ছেড়ে উর্বরতায়
বন্ধ দরজার ওপাশে ঘুমায় আমার কোয়েলিয়া
কাঠঠোকরার জীবন আর সযতনে গোপনে।
আড়াল না করে দেয়ালের লিখন
দেখা হবে না কি কোনদিন আর
তবু বারবার বারংবার আসে
সমুদ্র স্রোতের ঢেউ- বালুচর ভেজাতে
পাথর বালুতে ছড়িয়ে থাকা সবুজ
শ্রান্ত করে তোলে সিক্ত চোখের দৃষ্টি।
আমি চাই বিন্যাস্ত সবুজ, বিস্তৃত জলের পাশে ছায়া ফেলা সবুজ
নীলের নিচে অথবা প্রবল প্রচন্ড একটানা বৃষ্টির পর
আবছা যখন চারদিক ঘন জলকনায়-
তার ভেতর দিয়ে দেখা সবুজ
নতুন পাতা নিয়ে স্বচ্ছ রোদের সবুজ, সবুজের চকচকে হাসি।
চাইছি আমি এখনও
গুল্ম হয়ে জড়িয়ে ওঠা।
ঝোপঝাড় গড়া বসতি অঞ্চলে
বসবাস, যাতায়াত ও
পৃথিবীর কাছে সুর্যের রাত্রি যাপনের মতন
আপন হয়ে থাকা
প্রতি প্রত্যেক দিন
চির নতুন, চিরন্তন।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।


কেন যে আমার জোছনায় মিশে থাকে বিষন্ন বিষাদ
কেনই বা জোছনাহীনে মহাকাশের মহা শূন্যতা নেমে আসে হৃদয়ে
কৃষ্ণপক্ষের রাতের শুন্য শুন্য আকাশে যখন
একটা দুটো তারা জেগে থাকে
তখনও মনে হয়
পৃথিবীর দৃষ্টিসীমায় না হোক মহাশুন্যের কোথাও না কোথাও
পৃথিবীকে ঘিরে আছে সে, সেই সে একমাত্র যে পৃথিবীর চারপাশ ঘুরে বানিয়েছে কক্ষপথ তার
আসবে জোছনায় ধোয়াতে পৃথিবীর জলরাশি সাগরে মহাসাগরে।
মহা মোহানায় মিলাতে সুপেয় শুদ্ধ জল, অশ্রু লোনা জলে।
জেগে জেগে
ভেবে ভেবে
হয়রান হয়ে যাই;
এ ভাঙ্গা হৃদয়ে
তোমার হৃদয়!
তোমার ভালবাসা!
তুমি!
তোমার নাম!
তোমার অস্তিত্ব...
এক মুহূর্ত বিহবল করে তোলে আমায়
কিন্তু তারপর প্রতিধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়
এ ভাঙ্গনের দায় কার।।
এক অগ্নিগিরির বহু বহু কাংখিত উষ্ণতা পায়নি যে
তার জন্য দাবানল নিয়ে এলো
যুগ যুগান্ত দহন
সমস্ত সবুজ,সমস্ত কুহুতান, ছায়া ছেড়ে হয় ভষ্ম মাখা নিস্তব্ধ শ্মশান।
ভাঙল কি পাথরের নিচে ঝর্ণার ঘুম?
কেউ জানে না।
জানে না কবে হবে যন্ত্রণার উপশম।
শুধু জানে
মরুদ্যানকে সবুজ পত্রময় করে হলেও
জোছনায় ভাসবে পৃথিবীর ঝর্ণার জল
পৃথিবীতে ভাসবে, পৃথিবীরে ভাসাবে... ভালবাসায়।
নিয়ে যাবে তারে গভীরতম গভীরে
যেখানে জ্বলজ্বলে জীবন্ত সব অনুভূতি
যেখানে ভাষা ফিরে পাবে সব আকুতি;
রবে বিগত, অনাগত, সমাগত, সম্ভ্যাব্য ভালবাসাবাসি।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

কোন কিছুতেই লাগে না মন।
ঘুর ঘুর সারাক্ষণ।
চুপ থাকার ক্ষণ ভরিয়ে দেয়
মেঘলা দিনের ক্রন্দন।
পথে বিপথে চলার দহন
ব্যথা পায় অবুঝ চঞ্চল চির দুঃখী মন।
কথা নাই ভাষাহীন,
চেয়ে থাকে দৃষ্টিহী্‌ন,
আমাকে করে আনমনা আমার মন।
এখনও আসেনি যদিও মহা মহান মহেন্দ্রক্ষণ-
অথচ আমার কত কিছু ছিল বলবার, বুঝবার
বাকী রয়ে গেল চর্চা- ভালবাসার।
তবু সে দুঃখে শ্রান্তিতে,
ডুবে যেতে চায় ভ্রান্তিতে
ভালবাসা ভালবাসার নেশায়
প্লাবিত হয় মোহগ্রস্ততার সংসার, ভেসে গেছে সারা সার
তবু সে লুকাতে চায়, শব্দ নয়, ব্যথায়।
দারিদ্র তার ছাড়েনিকো পিছু আর- ভালবাসার।
মন পেতে পারেনি যুগ যুগান্ত অনাদি হতে অনন্ত কালের
উষ্ণ নিঃশ্বাসের তলে লোহিত কণার স্রোত।
হৃদয়ে প্রবল বেগে বহমান ঝর্ণার কলতান
বুদ্বুদ হয়ে উড়ে গেছে, মিলিয়েছে শূন্যে,
রয়ে গেছে এক একটা লহমায় এক একটা জনম- প্রতীক্ষার, যন্ত্রণার।
এখন আমার মনেতে সুর্য গ্রহণের আঁধার, সেখানে রাখা ইচ্ছা চঞ্চল
আঁধারেও খোঁজে সিক্ত অধর, আগ্রাসী চেতনারে ভরিয়ে দিতে নিষিক্ততায়।
পৃথিবী ঋতুমতি হয়
শ্রাবণে, বর্ষায়
তবু তার সন্তান বেড়ে ওঠে, বেঁচে থাকে ভাদ্রে মাঘে ফাল্গুনে
আমারও তেমনি মন খোঁজে সারাক্ষণ
প্রিয় প্রিয়ার কথোপকথন।
ভুলে যায় বিগত শাপ, বিগত যা কিছুরে মেনেছে পাপ, পিছু পথ বেদনাময়তার
নিজেকে ছেড়ে হয় আনমনা।
ফুলের থেকে ছুড়ে দিয়ে দূরে- কীটের ভক্ষণ লোভী ভালবাসা
জাগাতে চায় চরাচরে, সভ্যস্থলে নব জীবনের নব তান; মৌমাছি, ভ্রমরের মধুময় প্রণয়ের জয়গান
প্রণয় প্রেম ভালবাসার শ্লোগান, ক্ষোভে কি হাসিতে চিরদিন জানি রয় অম্লান।
তবু প্রতীক্ষায় প্রতীতি হয়েছে ক্ষয়
একমাত্র, শুধুমাত্র ভালবাসায়
ফিরে পেতে পারে প্রাণ।
ভালবেসে নিমিষে হতে পারে যে কোন সঙ্গীত, জীবনমুখী গান।
মন উচাটন
মন আনচান
মন... অপেক্ষমাণ
নূপুরের নিক্কনের, ভালবাসার আহ্বানের
অধর থেকে হৃদয় অবধি বিস্তৃত চুম্বনে
আরও অজস্র জনম দোঁহের দেহে
গড়ে নেবে অভিন্ন আবাসন
জোছনায়-রোদ্দুরে, অভিমানে-আদরে, লক্ষ কোটি বছর অষ্ট প্রহরে।
কোথাও লাগে না মন- বলেছে আমায় সে স্পষ্ট স্বরে
একাকী রবে না আর- অধর আধার।
প্রণয়ী হবে সে এখন,
আমার মন।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

আমি চাই চিরহরিৎ বনের মত
সবুজ হয়ে ওঠে যেন আমাদের ভালবাসা, চেতনায়
হলুদ হবে না একটা চিঠির পাতাও
ঝরে যাবে না কোন স্বপ্ন পত্রপূট
চুমুতে চুমুতে বৃষ্টি নামাব আমরা
শীতলতা থাকবে না আর
যে দৃষ্টিতে ভলবাসা হয়ে রয় জোছনা কমল
আমি চাই অনন্ত মহাকাশের শূণ্যতায়
মিশে যাবে দীর্ঘ লালিত প্রতীক্ষার প্রহর
রাত জাগা পাখিরা রবে না আর নিশ্চুপ
কোন কিছুতেই
বিরহী পাখি ফিরে পাবে
কোরাসের সুর যুগপৎ অন্তরে
তারপর
রাতভর
ভালবাসা বিনিময়
সুরেলা ছন্দগীতে মোহময়
আমি চাই
চোখের ঝিনুক
প্রখর সূর্যের আলোয় মুখোমুখি জমানো মুক্তার অশ্রুজল
আমি চাই
পাথর চিড়ে ঝরণা হোক
ঝর্ণা থেকে নদী- একোটাই যার মোহনা
জলের ছল পাবে হৃদয়ের স্পন্দন
হৃদয়ের ভাষা,
আমি চাই
আমাদের মিলিত স্বেদবিন্দু হয়ে উঠুক আকন্ঠ তৃষ্ণায় পদ্ম সরোবর
আমাদের শঙ্কা, আভিমান ঈর্ষা হবে পরিমিত
বোধের সীমায়
আর সব সহবত, নহবত আমরা করে নেব কোন একদিন সহজাতমতন
আমাদের ঠাট্টায়, আদরে ঘনিষ্ঠ লাল বিকেলে,
তারার ঝালরের নিচে, চূড়ায়, গুহায়, মুষলধারা বৃষ্টিতে, কুয়াশায়, সৈকতের বালুতটে
আমার, তোমার, আমাদের নিবিড় আলিঙ্গন
এক একটা মহাকাব্য
এক একটা বিঠোফেন স্বরলিপি
এক একটা গম্ভীর শৃঙ্গার শীৎকার
আমি চাই ভোর এসে চায়ের কাপের সাথে পৌঁছে দেবে
প্রেমমগ্ন ঊষার জন্ম সংবাদ, আরও একটা জনম
আমাদের যুগলের
আমি চাই
আঙুলে জড়ানো নিঃসঙ্গতার শাপ
বিলীন হবে, নিঃশেষ হবে
তোমার চুলে, চিবুকে, কণ্ঠায়, ত্বকে, গ্রীবায়, চোখে
জড়াবে তারা
তোমার আঙুলে যেনবা পরজীবি পরাশ্রায়ী উদ্ভিদের মত আমার আঙুল
নিউরনের অনুরনণ ফিরে পাবে
সৃষ্টির প্রথম লগ্ন হতে কুড়ানো গঞ্জনা
মুছে যাবে
আপন আপন ভালবাসায় জাগ্রত অনাদিকাল
গড়ে নেবে কালজয়ী নকশায় যদি চাও কংক্রিটে মোড়া অথবা মেঘের ভিতর নিরালা জতুগৃহ
সবুজে নীলে, খয়েরি ও লাল, সাদা বেগুনী দলরাজি
একাকার হবে
প্রেম সংশ্লেষণ
আমরা হব নির্ভার- বিগত বেদনার
আমরা হব নির্ঝর- পাহাড় প্রমাণ হিবাহ হতে
আমরাই হব নিঃসংশয়- আমাদের বোধনে, চেতনায়
চির সবুজ- চিরহরিৎ
ভালবাসায়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

তারস্বরে চিৎকার- বারবার বারবার
কান্নার, কষ্টের, অবোধ্য প্রয়োজনের
সহজবোধ্য অন্য সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের
প্রাপ্তির প্রত্যাশার আকাঙ্ক্ষার জটীল সমীকরণ
একক প্রতি গুনাগুণ নিয়ে চোখের সামনে নাচে অবজ্ঞা
নেচে চলে তীক্ষ্ণতম শর- শণিতের নেশায়
হৃৎকম্পনের অলিন্দে আহত রক্ত এসে জমে
বন্ধুবৎসল হৃদয় মাতে জিঘাংসায়, ক্ষোভে,অহংকার হরণের যুদ্ধে এবং ঈর্ষায়
বিগত দিনের বন্ধনে অথবা এখনও আসেনি এমন দিনের প্রতি।
সবখানে স্থির মুখচ্ছবি দোলে
দৃষ্টি আড়াল করে দীর্ঘ সৈকত, প্রাণোচ্ছল চোখ, চোখের দৃষ্টি
একটা বা প্রত্যেকটা কষ্টের বর্ণনাতীত ব্যাখ্যা আমার অন্তরস্থ পরিমন্ডলে পরিব্যাপ্ত হয়
প্রাকৃতিক প্রলয় বা প্রকৃতিগত বৈষম্যে অথবা মজ্জাগত নীল লোহিতের যে স্রোত বাধা হয়েছিল
সেইসব ব্যবধান অস্বচ্ছ ঘন কঠিন বরফের মত শীতল
ধ্বংসাত্মক রকম ভাবে নাগরিক বোধকে করেছে বিঘ্ন
আরম্ভ হয় নাই যার তারও জন্য বিমূর্ত হাহাকার
প্রারম্ভিক আলোচনাতে কেবলই দুর্নাম
মধ্যভাগে মধ্যরাত পোহাবার জন্য তারা গুনে গুনে রাখা
তাদের উত্থান পতনে যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ সমীকরণ
বিশ্বাস ছিল হব আস্থাশীল
হৃদয়ে ক্ষত দীঘিতে শতধা হওয়া চাঁদের গায়ে
বিম্বিত অক্ষরে লেখা হি-রি-দ-য়ে-র পে-রে-ম
ক্ষোভের উৎসমূলে অক্ষমের আর্তচিৎকার
তাতে ঘনীভূত বাষ্পজল আছে, আছে দংশন,আছে গোপনতাও
শুধু দক্ষিণ চক্ষে টলটলে কষ্ট।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

ব্যথা বারিধি! ব্যথা বারিধি!!
কত গভীরে তুমি লুকিয়ে রাখো পদ্ম কুঁড়ি!
ফাল্গুনের তপ্ত দুপুর লুকিয়ে রাখো বেমানান মেঘমালায়,
উদ্বায়ী দুঃখ বিষাদ সীসাভারে হয় ভারী।
গভীর লোনাজলেও তারা চির অমলিন।
হেলার হোলিতে যদি মাতো,
রুধীরে মাখো যদি রঙ,
যদি নিশ্চুপ হয়ে থাকো যুগলের রাত জাগা প্রহরে,
কথা না কও ভালবেসে তবে
তৃষিত হৃদয়দেশ তুষের আগুনে হবে ছাই।
জানবে না দহনে পুড়ে গেল কি না শিল্পমণ্ডিত প্রেম।
রৌদ্রঝরা ফাল্গুনের দিন মেঘে মেঘে অযথা ম্লান হয়ে রবে,
লাজুক মুখচোরা মন ব্যস্ত ভীড়ে প্রাণহীন হয়ে রবে
বিষাদের বাষ্প কণা জড়িয়ে রবে কণ্ঠায়।
পূর্ণিমার চাঁদ ঘোলাটে হয়ে যাবে,
বিষন্ন রঙা মেঘে ঢেকে যাবে অভিসারী জোছনা।
ব্যথা রবে না আর বুকের খাঁচায়
ছড়িয়ে যাবে তেজ কটালের জোয়ারের মত প্রতিটা রক্ত কণায়,
অনুভূতিতে,
প্রতি পদচারণায়,
সবখানে।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

তুমি, আমার কাছে তোমার তুমি একটা বিশেষ্য, তুমি বিশেষ্য জন।
তোমাতে বাস সব অসাধারণ বিশেষণ।
আর আমি সর্বনাম।
যেন তেন একজন 'সে', অথবা যে কেউ।
তোমাতে জমা আমার আনন্দ ভাগের সবটুকু অব্যয়।
আমাদের ক্রিয়াকরম এখনও দ্যাখো প্রত্যক্ষ প্রেমের থেকে দূর বহুদূরের অসমাপিকা ক্রিয়া।
আমাদের প্রেম পদাবলীতে দুঃখ,বিষাদ,বিরহ এসেছে বার বার বহুভাবে বহুবার,বহু বছরের, বহু জোছনার...
এসেছে প্রেম বিষ্ময়সূচক চিহ্ন নিয়ে।
হাহাকার, আর্তনাদ, প্রতীক্ষা আর দুঃখ আলোতে ভরা।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

এখন ঘুঘু ডাকা ঘোর দুপুর,
আকাশের নীলের মধ্যে মেঘের সারি,
মনে হয় যেন দিগন্ত ছুয়ে ঘন সবুজ পাহাড়ের বন...
যেখানে আমি ভেবে রেখেছি আমাদের ঘর বাড়ি।
বিস্তির্ণ বন্ধুরতায় আমাদের বুকে জমানো 'কষ্ট বহ্নি' থেকে
জ্বালবো অজস্র অনির্বাণ দীপালী প্রতি জোছনার দেওয়ালী উৎসবে।
সে আগুন ঝরা আলোয়
হবে পরস্পর শুভদৃষ্টি বিনিময়, প্রতিদিন।
আঁচলে শুকাবো ঘাম,
কাজলে মেশাবো নাম,
অধরে উষ্ণতা,
বোধে প্রশান্তি আর
ভাবনাতে ভালবাসা।
শুধু ভালবাসা।
অথচ ভালবাসার এই অগ্নিগিরির শহরে এমন দৃষ্টি ঝলসানো দুপুরে
আমি ডুবে আছি অন্ধকারে ।
আমি তার অগ্নুৎপাতের পাচ্ছি না কোন শব্দ।
যুগান্ত দাবানলের দহনে বরং
যোগ হয়েছে হোমাগ্নি, এক হাস্যোজ্জ্বল নারীর মুখচ্ছবিতে।
এই যে পৃথিবীর পথে পথে সবুজ পাতায় ঝকঝক করে ওঠে রৌদ্র
আশু শীতেই তারা ঝরে যাবে আগামী ফাল্গুনে ফিরবে বলে
নব জনমে,
নব সবুজ নিয়ে নবঘনের নিচে।
গ্রীষ্মে,
বর্ষায়,
শরতে,
হেমন্তে
আবারও হাসবে,
ভিজবে,
জোছনা মাখাবে,
জৈবিকতর অংশ হিসেবে জিরোবে মেঘের ছায়ায়।
শুধু তোমার আগমনী বার্তায় এখনও মিশে আছে প্রতীক্ষার কাঁটা।
হৃদয়ে অবিশ্রান্ত রক্ত ক্ষরণ,
অতি গোপন অশ্রু আহরণ,
অস্তিত্ব জুড়ে আলোড়ন
যেনবা দূরদেশ চলে গেছে সব দুরন্ত শিহরণ...
অজানা কারনে বা
অকারণ।
এসো এই জনমের বাকী দিন ভিজি ভালবাসায়,
ভাসি জোছনায়
আমরা যুগল যুগপৎ।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

দ্যাখো এই অন্ধ রাত্রি উন্মন হয়ে আছে সূর্যোদয়ের প্রতীক্ষায়,
সবুজে মেলবে বলে মুগ্ধ দৃষ্টি।
চেয়ে থাকে ঠায় দিগন্ত বরাবর
উষ্ণ উজ্জ্বল সূর্য কিরণে মেলে দেবে পাতায় পাতায় জমা অশ্রু শিশির,
নীলের মাঝে গোপনে রাখবে বলে ব্যাথা নক্ষত্ররাজি।
যেমন আমি চাই রেখে দিতে তোমায় অলিন্দে নিলয়ে,
সিক্ত পক্ষ্ণ ডোবাতে চাই ভালবাসা ওমে,
বৃষ্টি নামাতে চাই পেলবতা মাখা ত্বকে।
মনে হয় যেন সময় অন্ধ! সময় বধির!
দূরবীক্ষণে সে রেখেছে তোমায়,
আহতের আর্ত হাহাকারেও সে বধির হয়ে রয়।
ভালোলাগায় বিমূর্ত একটা আধটা মুহূর্ত ভালবাসার সাথে...
রেখেছে বন্দী করে দৃষ্টিসীমার বাইরে।
অনুভবে যুগান্ত তৃষ্ণা
বুঝিবা তলিয়ে যায় পংকিলে,
জোছনা হারিয়ে যায়,
এসে যায় পাতা ঝরা দিন,
শুভাশিষ মিশে যায় বুঝি আমার কানন ছেড়ে বুনোফুলে।
সঞ্চিত সাধে মেশে প্রতীক্ষার বিষফল,
পাথর সময় মাথা কুটে ফেরে পুজারী হৃদয়,
ঝর্ণার জল নদী হয়ে মিশবে মোহনায়,
দুর্যোগে উপদ্রত উপকূল পাবে সুপেয় জল।
তাল লয় সুরে কথামালায়, শুধু বেসুরো দীর্ঘশ্বাস আর
ইথারের বায়বীয় সংকেত জমা হয়।
দ্যাখো তবু এখনও এই অন্ধ রাত্রি বসে রয়
প্রতীক্ষায়, বুঝিবা বন্ধ কালের চাকায়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

পার্বণগুলি তুমিহীন হয়ে যায় নিতান্ত সাদামাটা
তুমি বিনা আটপৌরে দিন ভরাট হয়ে থাকে বিষন্নতায়
তোমায় ভাববো না ভেবে ভেবেও ভাবনায় বিভোর এক একটা দিন
তোমাকে দিতে চাই ভালবাসা করে
যতগুলো বিকেল,
যতোগুলি মুষলধারা বাদলের দিন
যতগুলি জ্যোৎস্না,
মুগ্ধ সকাল
বহু বহু গুণ করে।
উৎসব মুখর শহরে আমার বিষন্নতা লুকাতে চাই
জনারণ্যে ঢেকে রাখি একাকীত্ব
তুমি বিহীন সব শহর, নগর, বন্দর, জনপদ
বিশেষত্বহীন।
যে যুগল পরস্পরকে দিয়েছে হাতে হাত রাখার অধিকার
তাদের কাছে যাই না আশীর্বাদ কুড়াতে
কবল প্রতীক্ষার প্রহরগুলিকে দিতে চাই স্বল্পায়ুতার শাপ।
এই মুহূর্ত থেকে প্রতীক্ষা কষ্টকে ভুলিয়ে দিতে চাই পুনর্বার ফিরে আসার পণ, পথ ও প্রত্যাশা।
প্রথিতযশা করে তুলতে চাই প্রণয়, প্রাণে।
চুম্বনেরে দিতে চাই দুঃসময়ের দীর্ঘতা।
তোমাকে জড়াতে চাই এমনকি ভুলেও।
চোখের তারাকে দিতে চাই অনির্বাণ করে
ভালবাসা নক্ষত্রের দ্বৈত আকাশ আমার।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

ঘুম ঘুম কুয়াশা,
শীতার্ত ধূসর দিন,
মিশে থাকে দারুন আহ্বান যুগলের তরে,
স্বেচ্ছাবন্দি থাকার,
নেশাতুর দৃষ্টি দেখার,
ভালবাসা মাখিয়ে রাখার,
গড়ে তোলা প্রাসা্দ..
আস্থার,
আশার।
যার এমন প্রহর রয় প্রতীক্ষার প্রহরায়,
বেমানান নিঃসঙ্গতায়,
কিংবা বিষাদ বিষ মেশে সকল ভঙ্গীতে, সুরে, সঙ্গীতে,
তার তরে ব্যঞ্জনাময় প্রেম,
বহু বহু পৌষের আস্তরিত শীতলতা জয়ী উষ্ণ আদর,
চৈতন্যে মরুময়তাএ মেশাতে ষোড়শী সবুজ,
চলে এসো এই বেলা মেটাতে হৃদয়ের দায়,
অনুভবে মেশাতে শ্রেষ্ঠ শিহরণ।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

একটা চিঠির জন্য অপেক্ষা কত মধুর
তুমি জানো না।
পৌষের একটা শীতার্ত রাত স্পর্শ মেখে হতে পারে ভীষন উষ্ণ,
ক্ষুদ্র,
নাতিদীর্ঘ।
তুমি তা বুঝছো না কিছুতেই।
এক একটা মহামূল্য জ্যোৎস্না নিঃসঙ্গতায় ম্লান হয়ে যাচ্ছে,
তুমি দেখছো না।
দিনে দিনে বোধবেদ বাক্য রক্তাক্ত করে দিলো ভিতর-বাহির
তুমি শুনছ না।
শুনতে চাইছ না।
চোখে ভার হয়ে আসে চোখের তৃষ্ণা,
তুমি তবু ভালবাসা নিয়ে আছ দূরে।
আসছো না;
আসছো না।
বহ্নি জ্বলে,
বেদনা ভুলে তবু ভালবাসা জানাতে আসি তোমায়, ভালবাসা।
তুমি এমন পাথর নিরব হয়ে থাকো,
আমি লাভায় ভেসে যাই বহুদূর,
তবু করুণা নয়, মায়া মোহ নয়
প্রেম চাই বারংবার।
অনামিকায় জড়াবো তোমার নাম,
হৃদয়ে দিতে ধনুকের ছিলার টান,
দৃষ্টিকে দিতে ও মুখচ্ছবির সহজলভ্যতা,
সকল বিকেল গুলিকে দিতে অমরতা।
শুভ দৃষ্টিকে বানাবো দাহকালের এনসাইক্লোপিডিয়া,
লুটেরা হৃদয়কে দেবো প্রেমের সন্ধিনা্মা,
অমরায় লালিত ভালবাসাকে দিতে চাই শ্রেষ্ঠত্ব,
আর...
তোমাকে পেতে চাই আগামী স-ব জনমে।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

ভালবাসি শব্দটা ভরা পুর্ণিমায় প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসে আমার কাছেই বারবার
কোমল সুধাকর বহ্নি হয়ে জ্বলে।
বারুদ হয়ে জমে থাকে আকাঙ্ক্ষা প্রবল।
জোছনায় গা ডুবিয়ে হাঁটি
ছায়া হয়ে থাকে অন্ধ অনুভূতি
কথোপকথনের প্রয়োজনীয়তা দুঃসহ নিরবতায় দুর্বিসহ একাকীত্বে ভারী হয়ে থাকে
তুমি প্রহসনের চাদর যদি জড়িয়ে রাখো গায়
ভীষন ভাললাগা এমন সন্ধ্যায়
এমন উথালী জোছনায়
তৃষিত অমরায়
তবে ব্যর্থ হবে অনুভবের শুদ্ধ আকুলতা যত।
যদি চাও স্থিত আবেগের,স্পন্দন অনুরণনের,বহু বহু জনমের বিশ্বাসের ব্যবচ্ছেদ তবে
পেতে পারো অতি নাটকীয়তার উদাহরণ
শুন্য শূন্যতার ব্যথা
কিছু ভয়ংকর উপকরণ অথবা
পদ্মে ভ্রমরের একটানা গুঞ্জরণ অথবা
পুরপুরি আমাকে।
কী প্রয়োজন তার বলো
আমাদের এখনো অনেক ভালবাসাবাসি রয়েছে বাকী।
অনেক
অনেক
অনেক এবং
অনেক।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

আমি অবাকই হই এতগুলো আনন্দাশ্রু নিয়ে আমি দুঃখগুলোকে করেছি নিমজ্জমান
তবু বোধের ভেতর বাহির ব্যথায় পেয়েছে পূর্ণতা।
যে অধিষ্ঠমান থাকে নিশ্বাসের কাছে,
যে কায়মনো বাক্যের চাওয়া,
যার জন্য উচাটন অনুপল অনুক্ষণ,
দীর্ঘ চৌপহর শেষে যে তারাগুলি ফিরে আসে প্রতিদিন
সে থাকে আমার থেকে তারও বেশুমার দূরে।
যে পোড়ালো দাবানলে যুগান্তকাল
সে এসে ইথারে রয়,
ছায়া লুকায়,
রয় তিন শতক ক্রোশ দূরে আর হৃদয় প্রদেশ মরুকরণে রয় চুপ।
তারে ভালবাসি শব্দ শোনাই,
তারে ছুঁই দূর উপগ্রহ হয়ে কদাচিৎ।
মুহূর্তগুলি হয়ে উঠতে পারে না দায়হীন।
দেনা বেড়ে চলে।
বেড়ে চলে তৃষ্ণা, কান্না, দহন, হাহাকার তোমার নামে।
কখনও মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে দুঃস্বপ্নে, বা পিপাসায়
তোমাকেই চাই পাশে প্রতিবার।
কখনও মনে জেগে ওঠে শঙ্কা, লজ্জা, ভয়
তোমাতেই লুকোতে চাই থরথর হৃদয়।
তোমাকে শুধু তোমাকে পেতে চাই ভালবাসা সমেত
আর কোন চাওয়া নয়,
তোমাকেই গন্তব্য মেনেছে তাই বোহেমিয়ান হৃদয়।
তোমাকে মেশাতে চাই ভাবনায়, ভালবাসায়, উন্মূল বাহুমূলে।
আমাকে হারাতে চাই তোমার অঙ্গুলী হেলনে, দৃষ্টিতে, ঐ চুলে।
তোমায় দিতে চাই বহুদূর হতে এসে শেষে শ্রান্তির ঘুম,
অজস্র উষ্ণ,সিক্ত, আর্দ্র দীর্ঘ ভালবাসা চুম।
আমায় পোড়াব না নতমুখে আর,
হৃদয়ে জড়াবো সাধ তোমায় তুমি তুমি বলে ডাকবার।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

অন্ধ রাত্রি সূর্যকে নিয়ে ভোর হয়ে ওঠে
তবু জমাট কুয়াশা অভিশাপের মতো ঘিরে আসে
এমনকি শ্রেষ্ঠ একটা দিনেও।
অভিসার সুখ ঢেকে রাখে চাদরে
শীতল করে রাখে দশ দশটি আঙুল
উষ্ণ রৌদ্রকর থাকে দূরে, আড়ালে।
তুমি ঠাট্টাচ্ছলে হাসতে পারো তবু
ছটফটে প্রাণের ক্রন্দনটাকে ভুলো না।
বুঝে নিও তুমি এভাবেই অবিনশ্বর সময়রে মাঝে আমাদের চলে গেছে দিন
যুগল যাপনের।
এভাবেই আমাদের চির যুগলের জমেছে বহুবিধ বহু বহু ঋণ, ভালবাসার।
তুমি আজ থেকে আর শুন্য রবে না আর
হবে বৃত্ত, ভালবাসার।
বিন্দুকে দেবে অধিকার, পরিবাহিতার।
কেন্দ্রবিন্দুকে দেবে তার সবটুকু পরিসীমায় পরিবাহিতার সম অধিকার।
যেখানে সময়ে ভর করে দুঃসহ প্রতীক্ষা,
চলৎশক্তিহীন করে রাখে চঞ্চল ঘড়ির কাঁটা
অথবা তার আবর্তনে স্থির হয়ে থাকে স্বাভাবিক পরিবর্তনশীলতা,
শীতার্ত কুয়াশায় সিক্ত করে রাখে চোখের পলক
ওড়াওড়ি ডানার পালক
সেখানে রেখে দেব আমাদের প্রেম
পরস্পরকে অনুভবের সর্বৈব বাসনা এবং
সবগুলি উপকরণ সম্ভার।
আমরা চেয়ে নেব প্রেম,
আমরা বিগত বিরহকাল শত সহস্র জনম করে চাইবো বহু বহু ভালবাসা মুদ্রায়
কিনে নেব কিছু চুমুতে সিক্ত উষ্ণতা
প্রলেপ করে পৌঁছে দেব ত্বকের ভেতর হয়ে প্রতিটা নিউরন সেলে
দেব অলিন্দ নিলয়ের দগ্ধ অমরায়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ, পেরিয়ে গেলে রাত্রি দ্বিপ্রহর
ধীর পায় অরুণোদয়ের দ্বারে হয় অবতীর্ণ।
চোখ তার লাল,
গায়ে তার বিষন্নতার গন্ধ ছড়ায় পৃথিবীর পরে,
তারা নক্ষত্রগণ কথা কয় নিশ্চল থেকে থেকে, তবু পৃথিবীর পথে পথে নিরবতা কাটে না
পরাণ পোড়ে তার, প্রতিবার
রাতের আঁধারে নিয়ন নিয়ে নেয় অধিকার আর
জোছনা হারায় নিয়নের হলদেটে আলো মেশা আবছা অন্ধকারে।
কবাটবদ্ধ অন্ধকার কোন এক যুগলের জন্য না এলে অবগুন্ঠণ ছেড়ে স্মিত হাসিতে ,
হবে না দিনের দিন হয়ে ওঠা।
যাপনের শুরু।
হৃদয় পাবে না এক লহমার শান্তি
অর্থপূর্ণ ভালয়াবসা রবে অধরা
কোষের কণায় কণায় রবে অপুর্ণতার আস্বাদ।
যোজিত না হলে ইলেক্ট্রনে ভালবাসা লেনদেন
এ পৃথিবীর সবুজে, সজ্জায়, স্পন্দনে, প্রাণের বন্ধনে শূন্য হয়ে রবে।
ভালবাসাহীন হলে পৃথিবী হারাবে তার আহ্নিক গতি।
চিরন্তন যা কিছু মিথ্যা হয়ে যাবে।
শুন্য নয়, মিথ্যা নয়
ভালবাসা ঠিক ঠিক একদিন ভালবাসা পাবে।
বিনিদ্র পক্ষ্ণ আনন্দ অশ্রুজলে নিষিক্ত হবে
পাবে রত্নাকর সমুদ্রের নির্জলা গৌরব।
আঙুলে, আলিঙ্গনে, ভঙ্গির ভাষা বিনিময়ে, কথপকথনে,
উৎকর্ণ নিউরণে, চুমুতে, চাহনিতে, অন্তকরণ ও বহিরাবরণে যুগল পরস্পর পাবে সহজাত পরিবাহিতা।
কোন এক কৃষ্ণপক্ষের অভিসার যদি রয় অপূর্ণ তাতে
ভালবাসা গতিতে ক্ষতি হবে না তবু
তৃষ্ণাতুর হৃদয় কোন এক পূর্ণিমায় আহত দৃষ্টিতে নোনাজলের আর্দ্রতা মাখাবে।
ছটফটে উচাতন মন নীলচে হয়ে যাবে।
হৃদয়াধারে প্রতীক্ষা বিষ আরো জমে যাবে।
ফাগুনে শাওন রবে,
ভাদ্রে খরা,
ভালবাসাহীন এক একটা মুহূর্ত বেঁচে থাকার...
অনন্তকাল হয়ে রবে।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

তখন আমি সবচে সুখী,
যখন বুঝতে পারি তোমার ভালবাসা।
যদিও মরুর জলতেষ্টার মতন তোমাকে ছোঁবার, নিবিড় করে কাছে পাবার ইচ্ছারা এসে
আমাকে শোনায় দাহকালের গান।
তবুও আমি সুখী।
তোমার ভাবনায় মিশে থাকে আমার নাম
এই ভাবনায় আমার ভিতরে সকলের অগোচরে জেগে ওঠে সুহাসিনী নির্ঝরিণী।
কোন কোন অন্ধ অমাবস্যাও আমাতে হয়ে ওঠে বর্ণিল।
আমাদের অনুভবে আমরা শুন্য থাকি না শুধু
চোখের বাতায়নে ভীড় করে অন্ধকার।
এসো, চোখের ভিতরে বুনি স্বপ্ন বাসনা সারি, আদিগন্ত ভালবাসা।
এসো, প্রতীক্ষার বন্দরেই নোঙর ফেলে জোছনায় জুড়াই মন।
চলো, এখানেই থাকি আরও কিছুটা ক্ষণ।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

আমাকে তখন যদি কেউ ডাকে আমি সোজা বলে দেবো, দুঃখিত,
আমি এখন যেতে পারছি না।
আমি এখন অন্য কিছু সেবনে ব্যস্ত।
এখন আমি ভালবাসা পান করছি।
ভালবাসার শুদ্ধ চুমু ভালবেসে করছি পান।
কোন অনুপান, কোন মহান শিল্পীর মোহন তান ছাড়াই
আমরা যুগল তখন বেঘোর মাতাল।
বহু বহু দিন প্রাপ্য প্রণয় সুধা হতে বঞ্চিত,
আমরা বাহ্যত জ্ঞানলুপ্ত দুটি প্রাণ।
আমাদের সাড়ে চার হাজার দিন পিছে চলে গেছে আরও তিন হাজার দিন বাকী।
যুগ জনম ছাড়ানো তৃষ্ণারে এইবার দাও ছুট্টি।
ভালবাসারে দাও অভ্যর্থনা,
শিমুলে বা পলাশে অথবা কৃষ্ণচূড়ার লাল গালিচায়।
স্পন্দনে আনো বিঠোফেন সুর।
চুমুতে আনো ঝংকার।
বহু জোছনা সায়রে ডুব সাঁতার,
বহু বহু পথ একলা চলার কষ্ট রয়েছে জমা।
ভালবাসার দায়খানি তো বুঝে নিতে দাও।
চেতনায় বিশ্বাসটুকু জেগে ছিল তাই কোন বিশ্বাসে পাই নাই সুরের আবেগ,
কোথাও পাই নাই সর্বনাশের এমন দ্বিধা সমুদ্দুর।
বোধনের শেষ সুরা মন্থনে সে আমার ভালবাসা,
রাত্রি শেষের ঊষা,
আমার সাধের পিরিতি,
আমার সুধা সঞ্জিবান,
আমার আধেক প্রাণ,
আমার শিয়রে জাগা রাত, রাত জাগা প্রভাত।
আমার সুখ, আমার আনমনা হবার অসুখ।
আমারই প্রেম, হৃদয় অববাহিকায় বসতির একমাত্র অধিপতি।
আমার ভালবাসা, আমার কান্না, আমার হাসা।
আমার কষ্ট, আমার আশা।
আমার প্রতীক্ষায় জাগা প্রত্যাশার ‘আমাদের ভালবাসা’।
মাঝে মধ্যে আমার মনে হয় জীবনের সঙ্গে চিৎকার করে কথা বলি,
ক্রোধে আক্রোশে কিছু একটা ভেঙে ফেলি,
দু'চোখ যেদিকে যায় যাই,
শুন্যে রেখে বাস্পরুদ্ধ কণ্ঠস্বর ফুসফুস উগড়ে ফেলি দু'একটা আর্তনাদ।
তোমাকে দেই ভালবাসা আলিঙ্গন
ইচ্ছেমতন।
নিভৃতে নিয়ে রাখি আমাদের প্রেম।
তাকে দেই দুষ্ট গ্রহ থেকে অনন্ত মুক্তি,
ইহলৌকিক ও পরলৌকিক মোক্ষলাভ।
তুমি... দৃষ্টিতে, ভালবাসা বৃষ্টিতে ভষ্ম করে দেবে যদি থেকে থাকে
থরের থেকেও বড় কোন শাপ।
দিতে বাদশাহী সুখ
বিগত দুঃখ গুলোকে দেবে দূরদ্বীপ নির্বাসন।
অশান্ত তনুমনে দেবে চুমুর শান্তি,
অনুভবে রবে দিনমান।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

ফাল্গুনের কুয়াশা শরতের মেঘ হয়ে নামে পথে পথে।
ঝাপসা দৃষ্টি ফেলে মরা কটালের চাঁদ,
দেখে পৃথিবীর নিশ্চুপ মুখ।
তবু মাটির হৃদয় ভেদ করে ছুঁয়ে যায় শিশিরের কান্না।
জোছনা জাগে আর জাগে প্রতীতি প্রতীক্ষা,
জেগে থাকে বিতস্ত্র ভাবনা শত শত।
জাগে শঙ্কা, স্বপ্ন যুগপৎ।
রাত্রি ভোর হবে, প্রণয় রবে জনারণ্যে দেদীপ্যমান,
দিনের তারার মত লুকাবে অভিমান,
রবে আদিগন্ত সবুজ,
বোহেমিয়ানের জন্য রবে কামার্ত আহবান, চোখে।
তাবৎ গুহাবাসী হারালেও গৃহাস্তলী সুখ,
ব্যাকুল হৃদয় পাবে আস্থার বিনির্মাণ,
তৃষিত ত্বক পাবে নিষিক্ত চুম্বন,
অমরতা পাবে ভালবাসা দিন,
পুষ্প রঙধনু পাবে হীরক বিচ্ছুরণ, হাসিতে।
ফাল্গুনের কুয়াশা শরতের মেঘ হয়ে নামে পথে পথে।
বড্ড বিষন্ন হয়ে থাকে হাওয়া।
আর্দ্র হয়ে থাকে মৌনতা,
কেননা কোন শব্দের সাথেই আমার কোন সংশ্রব নেই।
তুমি এখনও শখে, সুখে অথবা সময় নিরিখে থাকো দৃষ্টি ছেড়ে দূরে,
আমারে দেখো না হলাহলে নিমজ্জমান
তাই আর্তনাদেরে বলো আহবান।
অধিকারকে ভাবো আবদার,
প্রাণের প্রয়োজনকে বলো গৌণ।
আমি দেখি পথ, তুমি বলো পঙ্কিলতা,
আমি বলি মানবিক ভুল, তুমি বলো মনের রঙ্গিন ফুল।
আমি বলি প্রত্যাশার, পূজার প্রেম,
তুমি বলো ইথারে অস্পৃশ্য শুদ্রের প্রতীক্ষা রাগিনীতে প্রার্থণা ভজন।
আমার ভেতর দেখো কৃষ্ণচূড়া সারি সার পুষ্প পত্রহীন
কঠিন বল্কলে মোড়ানো স্বপ্ন সাধ রাশি রাশি যন্ত্রণায় জাগে অন্তর্গত অস্তিত্বে বারংবার
বারবার পলে অনুপলে পোড়ায় প্লাস্টিডে জমা রঙ
অনুভবে জমা অনুরাগ, অভিমান।
ত্বকে তৃষ্ণা, চোখে দিগন্ত জোড়া শূন্যতা,
এই নিয়ে চাতকের কেটে গেছে যুগান্তকাল ছাড়িয়ে আরও কত কত দিন...
এবার তো বৃষ্টি নামাও
চুমুতে দাও সাড়া।
হৃদয় রুধিরের ফল্গুধারা শুদ্ধ আবেগে হয় যদি হয় হোক ভীষণ বল্গাহারা,
জীবনের সব প্রভাতে তোমাকে চাই; এসো, হও ঊষা আলোকধারা ।
প্রণয়ে দাও সাড়া।
বিরহ, প্রতীক্ষা,কান্না, অভিমান যুগ ছাড়িয়েছে
এখনও বাহুবন্ধনে হয়নি উষ্ণতা বিনিময় যথাযথ,
ভালবাসি হয়নি বলা স্পন্দনের ভাষায়,
তবু ফাল্গুনের কুয়াশা শরতের মেঘ হয়ে নামে পথে পথে।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

যে শহরের বেলাভূমিতে শুরু হয়েছে মরুকরণ,
সমুদ্র হারিয়েছে তার গর্জন- হ্রদের মতন
যেখানে জোছনা হারায় নিওনের মাঝে
যেখানে লক্ষ জনতার ভিড়ে ঘুরে ফিরে এক একটা নিঃসঙ্গ মুখ
বৃষ্টিতে বা কৃষ্টিতে উল্লাস অনুভব হয় না সৃষ্টি
সেখানে তারার আলোতে আর
দিনের আলোতে থামেনা
মেঘলা হাওয়ার আসা যাওয়ার
রাত্রি দিন সমান নিদ্রাহীন।
শুধু স্বপ্ন...
স্বপ্ন জেগে রয় চোখের চারপাশে
মনের ঘরে, নিউরণের আঙিনায়
তন্দ্রাহীন, আলোহীন সুদীর্ঘ রাত্রির মত
স্বপ্নের মুখেরা মুখরা হয় প্রহর শেষে।
দৃষ্টিতে তারা শব্দহীন
দিনমান তাই নিদ্রার আয়োজন
শ্রান্তিরে নিয়ে আসা হৃদয় গহবর হতে
পায়ের আওয়াজ, সামান্য বোধে তারা হয়ে যায় লীন
সেখানে সেই শহরের কোন এক নিয়ন্ত্রিত সভায়
তুমি আমন্ত্রিত
তুমি এসেছো আমার প্রবেশাধিকারহীন শহরের সৈকতে।
আমি জানি আমার ছবি ছাপা হয়ে আছে
শহরের সব পোস্টারে, সমস্ত সরাইখানায়
প্রত্যন্ত গলিতে, রাজসভায়, বিচারালয়ে, শোভিত উদ্যানে
জলছাপ হয়ে আছি শ্ত্রুদল, মিত্রকূল
এমনকি অনেক অচেনা'র স্মৃতিতে
তুমি আলোর বিপরীতে ঠিক ঠিক পাবে তারে
স্বপ্ন সমাগম দরবারে।
সব ঊষা ফাগের সম্ভারে
অস্তাচলের সোনালী আঁধারে
রাজপথে, জনারণ্যে, জনশুন্যে,অনিদ্রায়। ঘোলাটে দৃষ্টির কাতারে
বোহেমিয়ানের আস্তিনে
পার্বণের কোলাহলে, প্রাচীন পাথরের ফাটলে
সবুজের আদলে
আবোল-তাবোলে
বহ্নিতে, দাবানলে
যেমন তোমার মুখের, গ্রীবায়, কন্ঠায়, স্বরের টেরাকোটা ছাপ
রেখেছি উল্কি করে আহত নিলয়ে।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

এসো, আরো সুপরিবাহী করে তুলি
আমাদের স্বরগাম, স্বরগ্রাম।
আরও সহজে অনূদিত হোক আমাদের ভাষা
এসো আমাদের দৃষ্টিকে আরও স্বচ্ছ করে তুলি
দৃষ্টিতে বিস্তৃত হোক আলোচনা
গভীরতর হোক তার ব্যাপ্তি।
বাহুময় আমাদের যুগলবন্ধন আরও দৃঢ় করে
খাঁজগুলো এসো মিলাই
চলো বাড়িয়ে দিই উষ্ণতা- তাপ
যুগ জনমের ব্যাথা দ্রবীভূত হোক
গলে ঝরে পড়ে যাক অনন্ত ব্যাপ্ত বিচ্ছেদ বিরহ
নিমেষে নিঃশেষ হোক নিখিলের নিচে সব হাহা্কার
চলো চুমুতে চুমুতে শিঞ্জন তুলি।
ক্ষনিকের দৃষ্টি বিনিময়ের 'সুখ শিখা'য় পুড়ে যাক দ্বিধার অবরোধ
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সমগ্র তাল লয় সুরে নেচে যাক হৃদয়।
আমাদের আন্তসীমায়
সীমারেখার সব প্রাচীর মহাপ্রাচীর ধ্বংস হোক
উন্মত্ত সাগরের ঢেউ এসে যেমন মুছে দিয়ে যায় বালুতটের হাবিজাবি দাগ।
ভালবাসার প্রতিকূলবাসী সকল 'না'
হারিয়ে যাবে কাতর শৃঙ্গার ধ্বনিতে।
আমরা হবো ঊষার ফাগ রাঙা রবির কিরণে জাগা
শান্ত শালবন।
আমাদেরও অন্তপুরে অশ্রুমতন ঝরা পাতা বুনেছিল যে মর্মর সুর
তাতে রবে মধুময় তান
মর্মবেদনা যত আহত চেতনে, ছাড়িয়ে যাবে বিঠফোনের সব সুর
মহাকাব্যে হবে তার বন্দনা বাণী।
মহাস্রোতে স্থির রবে মনের মাস্তুল
আমাদের সব বন্দর হবে বন্দনার বেদী
মহাকালের মানমন্দিরে অধিষ্ঠিত হবে
আমাদের পরিবাহী দৃষ্টির
বিগত, অনাগত ব্যাকুলতা যত
বলিদান হবে বিচ্ছেদ বিরহের
অনাদরের, প্রতীক্ষার প্রহরের, দীর্ঘ অনাবৃষ্টির।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

যদি পঙ্কিলে রাখি পা,
অভিমানে তোমার ছায়াকে লুকিও না।
জেনো আমি উল্টো হেঁটে বৃত্ত করেছি রচনা।
জেনো আমি তোমাকেই চেয়েছি, যেখানেই গিয়েছি
যেখানে রেখেছি পা।
যেখানে রেখেছি হৃদয়, তোমাতে মেনেছে সীমানা।
তুমি বন্ধুর প্রান্তর শেষে স্নিগ্ধ মেঠপথ।
আমি দহনে শুদ্ধ হবো বলে তাই
যারপরনাই আগুনে পুড়িয়েছি সর্বস্বের সবটুকু
অবশেষ যা কিছু অশেষ হবে ছুঁয়ে দিলে তুমি আহত হৃদয়
প্রবল গভীরতা নিয়ে প্রার্থিত ভালবাসায়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

তোমার জন্য আমার ভেতর আমি বুনে রাখি কৃষ্ণচূড়া সারি,
হৃদয় রুধীর হতে তারা নেয় কুসুমের রঙ।
পুষে রাখি বৃষ্টি ভেজা সবুজ,
এই দেখো গন্ডে গন্ডে সিক্ততা।
রাখি পাতা ঝরা শালবন,
গহীনে গোপনে লেখা অগণিত ভালবাসা চিরকূট সেখানে।
আমার ভেতরে দেখো সগর্জন সমুদ্র ঢেউ,
দিগন্ত জোড়া যার ব্যাপ্তি তবু ঠিক ঠিক ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্ষুদ্ধ জলকণা কূলে উপকূলে প্রতিদিন।
ঝর্ণাগত নদী বয় আমার ভেতর ...
স্বচ্ছ স্রোতে দেখি তোমার মুখ।
আর জোছনার আলোয়ান রাখি তোমায় পরাবো বলে।
আমি দেয়ালে দেয়ালে পাথুরে টেরাকোটায় লিখেছি তোমার নাম,
আমি চিৎকারে, সাবলীল ভাষায় তোমায় বলতে চাই ভালবাসি।
আমি তোমাকে মেনেছি আমার গন্তব্য চিরকাল,
আটপৌরে চাহিদায়, পার্বণে, বন্য বাসনায়, দুঃখঘেরা প্রহরে।
তোমারে দিতে চাই সর্বশ্রেষ্ঠ প্রেম।
আঙুলে জড়াতে চাই সম্মতি, অধরে দিতে চাই উষ্ণতা।
তুমি আমার প্রেম, আমার সদা সহচরী।
তোমাতে মেনেছি তীর্থ, তোমাতে দেখেছি তারার শর্বরী।
তুমি, তুমি আমার মৌনতার, মুখরতার ভাষা।
তুমি যুগান্ত প্রতীক্ষার সঞ্চিত বাসনা,
তুমি লালপেড়ে শাড়ির সুবসনা,
আধো আঁধারে শুদ্ধ বিবসনা।
তুমি যে আমার রঙ রূপ মাখা পৃথিবী,
আমার জনম জনমের পরিণয় পরিচয়।
আমারই তুমি।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

যত যুগল ফাল্গুনের পুর্ণিমায় পেল ভালবাসা পরশ,
মুহূর্তগুলি মদির করেছে ভালবাসায়,
যারা স্বপনেরে দিল এনে প্রজাপতি পাখা
তাদের জন্য ঈর্ষা নয়, শুভ কামনা।
শুধু গোপনে আমার ভেতর ক্ষরণের ধারা পুণর্বার পায় প্রাণ।
সুন্দরের প্রতি অনীহা জেগে ওঠে।
তুমি নাই, লু হাওয়া হয়, পোড়ায় অচ্ছুৎ ত্বক।
খরা আর অনাবৃষ্টিতে চৌচির হৃদয়দেশ,
তবু কোত্থেকে যে চোখের বাতায়নে জলোচ্ছ্বাস উঠে আসে।
রঙ মাখা বিকেলে তুমি নেই স্পর্শের বৃত্তে,
অনুভূতিগুলি প্রতীক্ষায় প্রতীক্ষায় পায় চঞ্চলতা,
উদাসীনতা এসে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে।
কে যে পোড়ায়,
কেন যে পুড়ি,
কেন যে অভিমানে ধূমকেতু হয়ে ছিটকে যেতে পারি না এই কক্ষপথ ছেড়ে দূরে,
যদি যাই যেতে দেবে?
ব্যথা পাবে না তো?
এই যে ফিরে ফিরে আসি বারবার...
তুমিও কি একাধিকবার তোমার চোখের জোছনায় দেখবে না অন্ধকার অভিমান আমার?
হবে না কি ক্রন্দসী, ভালয়াবাসার?
রবে না কি শত সহস্র যুগ জনম কেবলই আমার?
আমার ভালবাসার?
তবে কেন এই জোছনায় পূর্ণ করো আহত করবার দায়ভার?
কেন দাও অস্তিত্বে দাও অপূর্ণতা?
কেন যে এত দূরে রও,
ভালবাসো... তবুও কেন যে দহনে জ্বালিয়ে রাখো অনির্বান শিখা।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

প্রজাপতি পাখা নেবে?
কিছু স্বপ্ন রঙ পদ্মরেণু করে পক্ষ্ণতে জড়াবে।
নেবে নাকি ঝুমকো জবা ফুল?
কানের দুল করে দোলাবে?
কিংবা সোমেশ্বরী নদীর কলতানে কান পেতে রবে
উজানে বা ভাটিতে যেখানে যাও উৎসমূলে ঝর্ণা দেখতে পাবে।
তোমাকে দিতে চাই শীতার্ত জোছনায় উষ্ণতা, নিশ্বাসে।
তোমায় জড়াতে চাই বাহুমূলে, বিশ্বাসে।
চল যাই, যাবে?
হাসি হাসি সূর্যের দিন বিছিয়ে দিলে অচেনা রঙের বিকেল লাল মাটির শালবনে
অবচেতনভাবে, আনমনে গেঁথে নেব অনামিকা পরস্পর।
চলো যাই দেখে আসি পরিযায়ী পাখির প্রেম,
হাজার মাইল ভ্রমণ শেষে তারা ঠিক খুঁজে নেয় মৈথুন সঙ্গিনী,
জলকেলিতে মুছে ফেলে দীর্ঘ পথের একাকীত্ব
হৃদয়ে পোড়া দাগ।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

প্রিয় পংক্তিমালা কিছু হয়ে গেছে অচেনা, এমনকি ভাবলেশহীন
প্রিয় হবারই কথা ছিল এমন কিছু স্মৃতিচারণ করা যাচ্ছে না এখন আর কিছুতেই
মন মদিরা সরোবর গড়েছে তোমার নামে, তোমার ছায়াই সেখানে দিগন্ত জোড়া আকাশ হয়ে আছে
অলস পড়ে আছে সব অস্থিরতা, সব গন্তব্যেই তুমি মিশছ অবধারিতভাবে
তুমি এসে
তুমি এমন এক এক অদ্ভূত সময়ে চক্রাকার হয়ে আছো চিন্তায় লৌকিকতার রঙে
দেখছো না বিন্দুর মাঝে যে নীল আকাশ রৌদ্রকে ছাড়া হয়ে আছে কালো
যে আকাশের মতো এমন নীল কোথাও নেই আর
যেখানে কেবল রৌদ্র এসে সবুজে শ্যামলে পলাশে শিমুলে রাঙাবে কূজন কাকলি।
যেখানে তুমি কেবল তুমি এসে দেখাতে পারো সবুজ সঙ্কেত সকল সুখের
পঙ্কিলতা থেকে বাঁচাতে পারো নিঃসঙ্গ বিরহি হৃদয়ের সেই যে জ্যোৎস্নায় উন্মাতাল হাত ছুঁয়ে পরস্পর বিভোর হবার বাসনা
সেই যে আমাদের কথা হয়ে আছে ঠিক ঠিক যাব খুব তাড়াতাড়ি ঘাসেদের বাড়ির জোড়া বিলে বালিহাঁস দেখবো বলে
পাখি দেখে দেখে পরিযায়ী প্রেম ছেড়ে বানাবে বাসা বুকের ওমে।
অথবা যেখানে পল্লীওয়ালা এক, প্রেমের কাছে জগত জোড়া যশ যমুনার কালো জলে দিয়েছিল জলাঞ্জলী
ফেলে সাগর সেঁচা রত্ন আকড় ডুবেছে গহীনে,তবু সে পেয়ে গেছে সম্ভাবনা, অভাবিত ভালবাসা, সহজে।
সারি সারি শালবনে আমরা কুড়োব প্রেমের চিরকুট
পৃথিবীকে লেখা গাছেদের
নতুন সবুজের আগাম আগমনি সাদর সম্ভাষণ।
আমরা হারিয়ে যাব গমগমে বন্দরের ধোয়াটে ধূলার ব্যস্ততায়, গোপনে।
আমরা যাব ঘুম ঘুম তাতানো দুপুরে মাঝিদের , জেলেদের, জলের ও গাঙচিলের মাঝে ঢেউয়ে ঢেউয়ে দুলে দুলে ছায়ায় পাতা পাটাতনে
আমরা যাব ঝর্ণা ছেড়ে আসা খরস্রোতা সোমেশ্বরির বালু চরে,
আমরা যাব শ্রদ্ধায় নত সৌধের পাদদেশে, চত্ত্বরে, বেদীতে

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

কোনভাবেই এখনও জানা গেল না শাপ মোচনের মন্ত্রখানি,
প্রতীক্ষা প্রহর পেল না শ্রান্তির ছোঁয়া,
জগদ্দল পাথরের মত ভারী বিরহে ম্রিয়মান হৃদয় পেল না প্রদীপ্ত প্রত্যয় এখনও
আলো এসেছে ঠিক ঠিক তবু কবাটবন্ধ জানালায় রৌদ্র এসে ব্যথা পায়
অপরিবাহিতায় আটকে থাকে উষ্ণতা।
তোমায় ভালবাসি এই ভাবনা উদাস হয়ে রয় বেমানান নিঃসঙ্গতায়
দেখ, এই ভরাট জোছনায় তুমি নাই
আশু পূর্ণিমায় তুমি রবে না তাই
আমার কাছে শব্দময় পৃথিবী শবময় হয়ে রয়
আলো ছেড়ে আঁধারে যাই
পিছে পড়ে রয় সামনে চলার পথ।
প্রতিটা পল অনুপল তুমি ছুঁয়ে থাকলে কেমন করে কেটে যাবে
যল্পনার আল্পনায় রাঙিয়ে তুলি রিক্ত হাত, হাতের আঙুল
যন্ত্রণা মিশে যায় তন্ত্রীতে,
ধমনী শিরা হৃদয় হয়ে
কিছু দীর্ঘশ্বাসে, কিছু অশ্রুতে পায় অমরতা...
কিছু জমে থাকে উদাসীনতায়, মৌনতায়, নির্লিপ্ততায়
ঊষায়,ভর দুপুর, গোধুলী, সন্ধ্যায়
পূর্নিমায় হোক বা অমাবশ্যায়।
তুমি আছো, তুমি রও,
তুমি চুপ করে থাকো, তুমি কথা কও,
তুমি ভালবাসো, তুমি অনুরাগে ডোবাও,
তুমি দূর বহুদূর হতে দারুণ পোড়াও
আমাকে মোড়াও নিষেধের বেড়াজালে,
ছড়াও তৃষ্ণা নিউরনে, চোখে, ঠোঁটে, বাহুমূলে।
এসো, এ মনের ছায়াতলে,
কাছাকাছি আরো নিবিড় বাঁধনে,যুগল আলিঙ্গনে
চলো, ব্যাকুলতা করি প্রশমিত
এই জনমের মত।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

যেন আমার নতমুখে তোমার শতসুখ,
যেন আমি পরাস্ত হলে তুমি পুলকিত হও
তুমি রুদ্র হও যখন
আমি আমাকে শুদ্র ভাবি তখন
জোছনাকে মনে হয় তরল অন্ধকার
পথকে মনে হয় অপার্থীব, অচেনা।
তুমি আমার অস্থিরতাকে বলো অযৌক্তিক, বাড়াবাড়ি
আর আমার স্পন্দনে অদ্ভূত নিরবতা নামে
প্রবল প্রলয়ের পর যেমন মুখ থুবড়ে পড়ে রয় পৃথিবী।
তুমি প্রলয় আনো, প্রবঞ্চনা আনো
পরাবাস্তব লৌকিকতা আনো ঢের
শুধু শুন্যতাকে দেখো না আমাদের, আমাদের প্রণয়ের।
তুমি খেয়ালকে বলো ভালবাসা, ক্ষরণকে খেয়াল
তুমি প্রতীক্ষায় ডুবিয়ে রাখো প্রেম
দেয়ালে দেয়ালে মহপ্রাচীর করে আঙ্গুলের দাস্তানা বানাও।
তবুও আমার কেন মনে হয় সব দেয়ালের দেয়ালিকায় লেখা আমাদের নাম
প্রতীক্ষায় প্রথিতযশা হবে আমাদের প্রেম
প্রত্যাবর্তনে পড়ে রবে না কিছুই যা কিছু পাওনা পরস্পরের
মিলনে মদির রবে আঁখি যুগল
বধির বর্তমান পাবে উন্মাতাল ঝর্ণা
জোছনার দহন রবে না আর, রবে না তৃষ্ণার দায়ভার
দু'জনার।
শুধু এই বন্ধুর ক্ষণটাকে চলো চুমুতে করে তুলি কিছুটা মসৃণ
এসো, দৃষ্টিকে দাও স্বস্তি
শুষ্ক পাতার পোড়া গন্ধে নিমগ্নতার মত
থাকো, আটপৌড়ে দিনমান জুড়ে সকল সকাল,প্রতি ঊষা গোধূলীর লাল আভায় তোমায় চোখের দৃষ্টি সীমায়
দ্বিধার দেয়ালকে দাও নাজুকতা
আলিঙ্গন আনো
করতলে তুলে নাও কিছুটা ব্যাকুলতা, স্পন্দনে দাও তারে ভাষা।
বলো, কণ্ঠায় বাষ্পের চাপ
এরই নাম ভালবাসা।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

তুমিই আমার প্রেম,আমারই প্রেম।
তোমাতেই আমার আরব্য রজনী রূপকথা,
তোমাতে ভালবাসা
তোমাতে চুপকথা
তোমাতেই গল্প, হাসি, গাঁথা।
তুমি স্বপ্নচূড়ার রাজকুমারী,
বেশুমার ভালবাসার মেঘ-রোদ্দুর লুকোচুরি
তোমাতে আলোকধারা
তুমিই, তোমার নামে নামে রক্ত কণায় দুরন্ত প্রেম জমায় হৃদয় গহবরে
এক একটা স্রোত নিয়ে আসে তোমার মুখচ্ছবি, ভঙ্গিমা, হাসি ও চোখের বাতায়ন
তোমাতে বিভোরনামা
তুমি ভেতরেই কর বসবাস,
কথা কও ভালবেসে
তুমি তন্ত্রীতে রাগ রাগিনী সুর লহরী,
বাজো অনুক্ষণ, দিনমান
তুমি বোধনের সৃষ্টিলগ্নে সযত্ন শ্রেষ্ঠ চাওয়া,
একমাত্র তুমিই দহনেও দিতে পারো বিদগ্ধ অনুভবে শুদ্ধ প্রেম
তুমি মরুতে মরুদ্যান, অনুরাগে অভিমান
কুয়াশামাখা শীতার্ত সকালে তুমি উষ্ণ সূর্যস্নান।
ঘন নীল নিকষ কালো হলে রাতের আকাশে
তুমি হও জ্বলজ্বল্বে ধ্রুবতারা
শ্রাবণের ধারায় আনো তুমি সবুজের প্রাণ
তুমি ফাগুনে আগুন লাগা কৃষ্ণচূড়া সারি
তুমি প্রবাদপ্রতীম প্রেম আমার
নির্জনাতায় কুহুতান
কলাতান তুমি
তুমি চুমুতে চাহনিতে অদম্য সুখ,
তুমি সুখের অসুখ।
তুমি নেশাতুর শর্বরী
নিদ্রাহর নীল পরী।
তোমাতে জীবন যাপনের সব উপাদান,
তোমাতেই রেখে দিতে চাই তোমার জন্য উচাটন প্রাণ।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

প্রতীক্ষার ফরমালিনে ডুবিয়ে রাখো হেমন্তের বিকেলগুলি,
দৃষ্টিতে শ্রবণে লাগিয়ে রাখো তালা,
তোমাকে দেখি না তাই প্রতিটা রাত জাগা ভোর হয়ে যায় নিছক সাদা-কালো।
তখন আমার হাসি ম্লানময়,
আমার কন্ঠে জড়তা,
দৃষ্টিতে শুণ্যতা,
আমি চলি আমার ছায়া পড়ে রয় স্থবির ।
আমি নীলে ডুবিয়ে ছিলাম তোমার নাম,
আলোয় এসে হয়েছে তা দিগন্তজোড়া রঙধনু,
আমি ছেড়ে যেতে চেয়েছি তোমার পরিসীমা কিন্তু বিন্দু হয়ে রয়ে গেছি বৃত্তের ভিতর।
আমি আমার সর্বস্ব ডুবিয়ে এনেছি পংকিলে তবু দেখো
রয়ে গেছি একান্ত তোমারই।
যুগান্ত কালব্যাপী পুষে রেখছি আকাশছোঁয়া দাবানল
অথচ এখন এক অনুপলমাত্র আমার হৃদয়কে বাঁধতে পারি না কিছুতে।
পারি না।
পারি না।
সময় এসে কাঁটাতার বুনে রাখে আমার পথে,
এমনকি রাজপথ থেকে রাজপ্রাসাদ অবধি
আমার এ বিচ্ছেদ বিরহে হয়েছে একাট্টা।
দাবী আদায়ের আন্দোলন দোলায় আমার পুষ্পরথ।
যদিও বাহ্যত এ সবের সাথে আমার কোন সংশ্লেষ্টতা নেই তবু
এ দুর্বার বাধায় মন খুঁজে পায় গভীর ভালবাসার বন্দনা বাণী।
দগ্ধ, শুদ্ধ প্রেম।
পৃথিবীর সবখানে,
সব তানে, প্রতি আবর্তনে
আমাদের প্রণয় পাবে
বিচ্ছেদের মন্ত্রণায় সিদ্ধ অবিচ্ছেদ্য প্রেম,
বহু জনমের।
সব জনমের

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

দ্যাখো এই অন্ধ রাত্রি উন্মন হয়ে আছে সূর্যোদয়ের প্রতীক্ষায়,
সবুজে মেলবে বলে মুগ্ধ দৃষ্টি। চেয়ে থাকে ঠায় দিগন্ত বরাবর,
উষ্ণ উজ্জ্বল সূর্য কিরণে মেলে দেবে পাতায় পাতায় জমা অশ্রু শিশির,
নীলের মাঝে গোপনে রাখবে বলে ব্যাথা নক্ষত্ররাজি। যেমন আমি চাই রেখে দিতে তোমায় অলিন্দে নিলয়ে,
সিক্ত পক্ষ্ণ ডোবাতে চাই ভালবাসা ওমে,
বৃষ্টি নামাতে চাই পেলবতা মাখা ত্বকে।
মনে হয় যেন সময় অন্ধ সময় বধির সময় দূরবীক্ষণে রেখেছে তোমায়,
আহত আর্তনাদে হাহাকারে বধির হয়ে রয়।
ভালোলাগায় বিমূর্ত একটা আধটা মুহূর্ত ভালবাসার সাথে...
রেখেছে বন্দী করে দৃষ্টিসীমার বাইরে। অনুভবে যুগান্ত তৃষ্ণা
বুঝিবা তলিয়ে যায় পংকিলে,
জোছনা হারিয়ে যায়,
এসে যায় পাতা ঝরা দিন,
শুভাশিষ মিশে যায় বুঝি আমার কানন ছেড়ে বুনোফুলে।
সঞ্চিত সাধে মেশে প্রতীক্ষার বিষফল,
পাথর সময় মাথা কুটে ফেরে পুজারী হৃদয়,
ঝর্ণার জল নদী হয়ে মিশবে মোহনায়,
দুর্যোগে উপদ্রত উপকূল পাবে সুপেয় জল।
তাল লয় সুরে কথামালায়, শুধু বেসুরো দীর্ঘশ্বাস আর
ইথারের বায়বীয় সংকেত জমা হয়।
দ্যাখো তবু এখনও এই অন্ধ রাত্রি বসে রয়
প্রতীক্ষায়, বুঝিবা বন্ধ কালের চাকায়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

পার্বণগুলি তুমিহীন হয়ে যায় নিতান্ত সাদামাটা
তুমি বিনা আটপৌরে দিন ভরাট হয়ে থাকে বিষন্নতায়
তোমায় ভাববো না ভেবে ভেবেও ভাবনায় বিভোর এক একটা দিন
তোমাকে দিতে চাই ভালবাসা করে
যতগুলো বিকেল,
যতোগুলি মুষলধারা বাদলের দিন
যতগুলি জ্যোৎস্না,
মুগ্ধ সকাল
বহু বহু গুণ করে।
উৎসব মুখর শহরে আমার বিষন্নতা লুকাতে চাই
জনারণ্যে ঢেকে রাখি একাকীত্ব
তুমি বিহীন সব শহর, নগর, বন্দর, জনপদ
বিশেষত্বহীন।
যে যুগল পরস্পরকে দিয়েছে হাতে হাত রাখার অধিকার
তাদের কাছে যাই না আশীর্বাদ কুড়াতে
কেবল প্রতীক্ষার প্রহরগুলিকে দিতে চাই স্বল্পায়ুতার শাপ।
এই মুহূর্ত থেকে প্রতীক্ষা কষ্টকে ভুলিয়ে দিতে চাই পুনর্বার ফিরে আসার পণ, পথ ও প্রত্যাশা।
প্রথিতযশা করে তুলতে চাই প্রণয়, প্রাণে।
চুম্বনেরে দিতে চাই দুঃসময়ের দীর্ঘতা।
তোমাকে জড়াতে চাই এমনকি ভুলেও।
চোখের তারাকে দিতে চাই অনির্বাণ করে
ভালবাসা নক্ষত্রের দ্বৈত আকাশ আমার।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

কখনও কখনও ক্রোধে কান্নায় চিৎকার করে বলি ভালবাসি,
কখনও গোপনে মনে মনে বলি,
সারাটি দিন মুখোমুখি বসে ভালবাসি বলবার সাধ ভার হয়ে থাকে,
ইচ্ছে করে দৃষ্টির কাছে তুলে দিয়ে ভালবাসার ও ভালবাসি বলবার দায়ভার,
আমরা দুজনা মুখোমুখি হয়ে যাব আনমনা
অথচ সেই কবে থেকে অসহ যন্ত্রণায় ডুবে ডুবে
অবচেতন মনও হয়েছে অচেতন ।ভালবাসা বুদবুদ মিলায় অন্ধকারে
একা একা,
চেয়ে থেকে থেকে প্রতীক্ষায়
দৃষ্টি হয়েছে ঝাপসা,
ক্ষরণে হয়েছে নিরবধি নদী,
লোনাজল ছলকায় জোছনায়,
পূর্ণিমা এসে ডুবে যায় নিঃসংগতায়।
ভালবাসা নিয়ে থাকো দূরে,
পুড়ে যায় বেহুলা বাসর
তবু উদাসীন
প্রতিদিন
অশ্রুবিহীন।
ভালবাসবার দায় হারিয়ে যায় বুঝি পারিপার্শ্বিকতায় আর
আমাকে দাও স্থবির সংশয়,
বোধে ও ভালবাসায়;
ডুবাও বিস্বাদ বিষাদে,
পোড়াও অসহনীয় অবহেলায়।
আমি পুড়ে যাই,
ডুবে যাই,
ভেসে যাই,
তুমি হেসে হেসে দূরে যাও,
সুরে সুরে হেসে যাও।
তোমার সংগীতে, ভংগিতে বেমানানরকম বেসুরো নির্মমতা,
অথচ তোমার কাছে জমা আমার পূর্বাপর প্রেম,
আপামর ছন্দগীতের স্বরলিপি,
বস্তুগত লৌকিকতা,
অপাপবিদ্ধতার শপথ,
অপার্থিব চিত্তবাসনা এবং
তোমার কাছেই জমা আমার সব টুকু তুমি!

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

একটা রৌদ্রষ্ণ দুপুর হঠাৎ করেই হারিয়ে যায়,
হয়ে যায় ম্লান বিকেল।
আমার ভেতর বাহির স্তব্ধ রাত্রির মতো চুপচাপ,
কেবল শীতার্ত সবুজ পাতায় টুপটাপ শিশির ঝরার শব্দ।
শুদ্ধ, শুভ্র জোছনা দশমী বিফল হয় একা একা।
আমার নিঃসঙ্গ আঙুল খোঁজে প্রতিশ্রুত দশটি আঙুল।
পথে পথে জেগে থাকে নিয়ন তবু
কুয়াশায় জোছনা ম্লান।
প্রবল দুর্যোগে প্রাণবন্ত পৃথিবী লুকায় নিরাপদ আধারে, এমনকি আঁধারেও।
আমি তখনও দূর তোমাতে খুঁজছি উষ্ণতা,
তোমার স্মিত হাসিতে লুকাতে চাইছি পুর্বাপর বিষন্নতা,
একনাগাড়ে তিন সহস্র যুগ ভালবাসাহীন থাকার কষ্ট,
পোড়া মন ডুবাতে চাই ভালবাসা ভরা জোড়া দীঘিতে।
এসো, এই রঙহীন ফাল্গুন ডাকছে তোমায়,
তেত্রিশবার কড়া নেড়ে গেছে তবু
এখনও গভীরে বাস করে গাঢ় বাসনা সুবর্ণজয়ন্তীর।
তুমি আমার।
মহাকালের গায়ে লেখা যুগলের নাম,
তবু এই নশ্বর পৃথিবীর এক একটা পল অনুপল, মুহূর্ত বা দন্ড
অবিনশ্বর করে তোলে বিরহ যন্ত্রণা।
আমাকে পোড়ায় যাহাতক আছে এ হৃদয়ের দাহ্যসীমা।
নিস্তরঙ্গ হয় না তোমাতে নিবদ্ধ অনুভূতি,
আল্পস এসে বারংবার ঝর্ণাগত নদীপথ থামিয়ে দেয়,
বাড়িয়ে নেয় বিরহ অপার,
মোহনায় প্রতীক্ষা ছলকায়,
ক্ষয়ে যায় ক্রমশ বালুকা থেকে বিস্তৃত জনপদ।
সারি সারি সবুজ, কালের আবর্তে লীন হয়ে যায়।
বসতী ঘিরে আসে গোবি, সাহারা, উদ্দাম লু হাওয়া
তবু অন্তপুর উষ্ণতাহীন।
ভালবাসা নিতে চায় নিরাপত্তা শরণ।
নিদারুণ অপহরণ আপামর প্রণয় ধরণ।
অকারণ, কখনও কখনও অচল কার্যকারণ
এই সব নিরব পরাজয় আমাকে পোড়ায়,
ভাষায় নিয়ে নেয় মৌণবরণ।
পৌষে এসে বৃষ্টি নামায় চন্দ্রগ্রস্ত কুয়াশা,
তনুমন শীতে আর্তস্বর হলেও কঠিন বল্কলের আড়ালে চলছে জানি পুরাদম প্রস্তুতি সবুজ হয়ে ওঠার,
টকটকে লাল ঊষায় একদিন পলাশ শিমুল মেলাবে অন্তর্গত ভালবাসা সম্ভার,
তার, তার ও তাদের রঙ,
জানি এই শীত শীত বিরহ ধূন ছেড়ে তারা বাহ্যত মিলবে আর
অন্দর দেশে আড়মোড়া ছেড়ে আলোড়ন তুলবে উদ্যানজোড়া সবুজ,
নুপূর হয়ে রবে,
শিঞ্জনে ধরা দেবে,
রোদে ফিরে পাবে উষ্ণতার ভাষা,
কোষ হতে কোষে,
কলায়,
তন্ত্রীতে।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

পার্বণগুলি তুমিহীন হয়ে যায় নিতান্ত সাদামাটা
তুমি বিনা আটপৌরে দিন ভরাট হয়ে থাকে বিষন্নতায়
তোমায় ভাববো না ভেবে ভেবেও ভাবনায় বিভোর এক একটা দিন
তোমাকে দিতে চাই ভালবাসা করে
যতগুলো বিকেল,
যতোগুলি মুষলধারা বাদলের দিন
যতগুলি জ্যোৎস্না,
মুগ্ধ সকাল
বহু বহু গুণ করে।
উৎসব মুখর শহরে আমার বিষন্নতা লুকাতে চাই
জনারণ্যে ঢেকে রাখি একাকীত্ব
তুমি বিহীন সব শহর, নগর, বন্দর, জনপদ
বিশেষত্বহীন।
যে যুগল পরস্পরকে দিয়েছে হাতে হাত রাখার অধিকার
তাদের কাছে যাই না আশীর্বাদ কুড়াতে
কেবল প্রতীক্ষার প্রহরগুলিকে দিতে চাই স্বল্পায়ুতার শাপ।
এই মুহূর্ত থেকে প্রতীক্ষা কষ্টকে ভুলিয়ে দিতে চাই পুনর্বার ফিরে আসার পণ, পথ ও প্রত্যাশা।
প্রথিতযশা করে তুলতে চাই প্রণয়, প্রাণে।
চুম্বনেরে দিতে চাই দুঃসময়ের দীর্ঘতা।
তোমাকে জড়াতে চাই এমনকি ভুলেও।
চোখের তারাকে দিতে চাই অনির্বাণ করে
ভালবাসা নক্ষত্রের দ্বৈত আকাশ আমার।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

দ্যাখো এই অন্ধ রাত্রি উন্মন হয়ে আছে সূর্যোদয়ের প্রতীক্ষায়,
সবুজে মেলবে বলে মুগ্ধ দৃষ্টি। চেয়ে থাকে ঠায় দিগন্ত বরাবর,
উষ্ণ উজ্জ্বল সূর্য কিরণে মেলে দেবে পাতায় পাতায় জমা অশ্রু শিশির,
নীলের মাঝে গোপনে রাখবে বলে ব্যাথা নক্ষত্ররাজি।
যেমন আমি চাই রেখে দিতে তোমায় অলিন্দে নিলয়ে,
সিক্ত পক্ষ্ণ ডোবাতে চাই ভালবাসা ওমে,
বৃষ্টি নামাতে চাই পেলবতা মাখা ত্বকে।
মনে হয় যেন সময় অন্ধ সময় বধির
সময় দূরবীক্ষণে রেখেছে তোমায়,
আহত আর্তনাদে হাহাকারে বধির হয়ে রয়।
ভালোলাগায় বিমূর্ত একটা আধটা মুহূর্ত ভালবাসার সাথে...
রেখেছে বন্দী করে দৃষ্টিসীমার বাইরে।
অনুভবে যুগান্ত তৃষ্ণা বুঝিবা তলিয়ে যায় পংকিলে,
জোছনা হারিয়ে যায়, এসে যায় পাতা ঝরা দিন,
শুভাশিষ মিশে যায় বুঝি আমার কানন ছেড়ে বুনোফুলে।
সঞ্চিত সাধে মেশে প্রতীক্ষার বিষফল,
পাথর সময় মাথা কুটে ফেরে পুজারী হৃদয়,
ঝর্ণার জল নদী হয়ে মিশবে মোহনায়,
দুর্যোগে উপদ্রত উপকূল পাবে সুপেয় জল।
তাল লয় সুরে কথামালায়, শুধু বেসুরো দীর্ঘশ্বাস আর
ইথারের বায়বীয় সংকেত জমা হয়।
দ্যাখো তবু এখনও এই অন্ধ রাত্রি বসে রয়
প্রতীক্ষায়, বুঝিবা বন্ধ কালের চাকায়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ, পেরিয়ে গেলে রাত্রি দ্বিপ্রহর
ধীর পায় অরুণোদয়ের দ্বারে হয় অবতীর্ণ।
চোখ তার লাল, গায়ে তার বিষন্নতার গন্ধ ছড়ায় পৃথিবীর পরে,
তারা নক্ষত্রগণ কথা কয় নিশ্চল থেকে থেকে, তবু পৃথিবীর পথে পথে নিরবতা কাটে না
পরাণ পোড়ে তার, প্রতিবার
রাতের আঁধারে নিয়ন নিয়ে নেয় অধিকার আর
জোছনা হারায় নিয়নের হলদেটে আলো মেশা আবছা অন্ধকারে।
কবাটবদ্ধ অন্ধকার কোন এক যুগলের জন্য না এলে অবগুন্ঠণ ছেড়ে স্মিত হাসিতে ,
হবে না দিনের দিন হয়ে ওঠা।
যাপনের শুরু।
হৃদয় পাবে না এক লহমার শান্তি
অর্থপূর্ণ ভালয়াবসা রবে অধরা
কোষের কণায় কণায় রবে অপুর্ণতার আস্বাদ।
যোজিত না হলে ইলেক্ট্রনে ভালবাসা লেনদেন
এ পৃথিবীর সবুজে, সজ্জায়, স্পন্দনে, প্রাণের বন্ধনে শূন্য হয়ে রবে।
ভালবাসাহীন হলে পৃথিবী হারাবে তার আহ্নিক গতি।
চিরন্তন যা কিছু মিথ্যা হয়ে যাবে।
শুন্য নয় মিথ্যা নয়
ভালবাসা ঠিক ঠিক একদিন ভালবাসা পাবে।
বিনিদ্র পক্ষ্ণ আনন্দ অশ্রুজলে নিষিক্ত হবে
পাবে রত্নাকর সমুদ্রের নির্জলা গৌরব।
আঙুলে, আলিঙ্গনে, ভঙ্গির ভাষা বিনিময়ে, কথপকথনে,
উৎকর্ণ নিউরণে, চুমুতে, চাহনিতে, অন্তকরণ ও বহিরাবরণে যুগল পরস্পর পাবে সহজাত পরিবাহিতা।
কোন এক কৃষ্ণপক্ষের অভিসার যদি রয় অপূর্ণ তাতে
ভালবাসা গতিতে ক্ষতি হবে না তবু
তৃষ্ণাতুর হৃদয় কোন এক পূর্ণিমায় আহত হৃদয় নোনাজল আর্দ্রতা মাখাবে।
ছটফটে উচাতন মন নীলচে হয়ে যাবে।
হৃদয়াধারে প্ররতীক্ষা বিষ আরো জমে যাবে।
ফাগুনে শাওন রবে,
ভাদ্রে খরা,
ভালবাসাহীন এক একটা মুহূর্ত বেঁচে থাকার
অনন্তকাল হয়ে রবে।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

আমার তুমি।
তোমার ভেতর ঝর্ণা আমার ভেতর ধারা হয়ে বইতে দাও।
এ অন্তকরণ দহণে দগ্ধ তোমার নামে,
তোমাতেই রয়েছে উষ্ণতা যাতে এ মরুময়তায় তাপসহ সবুজেরমরুদ্যাণ বানাবে,
ছায়া হয়ে রবে।
তোমাতে সুরা সঞ্জীবান
তোমাতে পাতাল্পুরীর লক্ষ কোটি জলাধার,
তোমাতেই আলোতে ডানা মেলা রঙধনু
তুমি কণ্ঠায় হয়ে চোখের আনাচে কানাচে অকস্মাৎ লোনা হয়ে ওঠার কারণ।
তুমি তুমি তুমি।
তুমিই আমার, তুমি আমার, তুমি আমারই, আমার তুমি।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

দেখো, জোছনা আসে ধীরে।
রাতের নদীর বুকে চাঁদের উজ্জ্বল মুখ লেগে থাকে, লেপ্টে থাকে মেঠো পথের মতো।
আমার শুন্যতা বঝার মত কেউ নেই বুঝি আর, সমব্যাথা জানাবার
ও ভালবাসা কিছুতে যাবে না বোঝানো সে যন্ত্রণার কণা কিঞ্চিত মাত্র।
ভেবেছি বারংবার যদি সীমাহীন বন্ধুরও হয় তবু
জোছনা এসে ঠিক্টহাক বুঝে নেবে আলোহীন পৃথিবীর সবগুলি পথ,
পথের সাথী ও সারথী।
আজ এই আলোমাখা জোছনা যদিবা স্রোতে, ঢেউয়ে শতধা হয় বারবার তবু সে জানে আলো তার চলমান স্রোতে নিবিড় চুমুর মত মিশে রয়।
এ আঁধার মাখা পৃথিবী আলোতে উজ্জ্বল হয়।
তুমি থাকো, হৃদয়ের কাছে, চোখের ও চুমুর গ্রাহ্যসীমায়।
থাকো কুয়াশা মাখা ভোরে, থাকো এই হৃদয়ের কাছাকাছি, ভাষা বিনিময়ের পরিসীমায়।
থাকো অনিবার্য স্পন্দনে আমাকে রাখো।
ভালবাসি ভালবাসি বলতে চাই,
হৃদয়ের এ ব্যাকুলতা তোমায় বোঝাতে যাই।
স্বপ্নে ঘুমে জাগরিত দৃষ্টিতে তোমাকে জড়াতে চাই।
নিশ্বাসের উষ্ণতায় জড়তা পোড়াতে চাই।
ঊষা অস্তে ও মুখখানি আঙুলে ছোঁয়াতে চাই।
কালবৈশাখীর মুখে কার্পাস করে বৈষম্যগুলি অড়াতে চাই।
সম্ভবে বা অসম্ভবে একান্ত তোমাকেই চাই।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

আমাদের শত যুগের সাধনার প্রেম,
তবু দেখ এখনও এখানে অখানে ওত পেতে থাকে সময়ের সৃষ্ট দ্বিধার প্রাচীর
তেপান্তরে জেগে ওঠে প্রথার পর্বতমালা
বিদ্ধ করে আমাদের না ও নিষেধের তীর
আহত হই ঠিক বারংবার, প্রতিদিন।
তবু কষ্ট ব্যাথা ভুলে আমরা গেঁথে যাই ভালবাসা মহাকাব্য শব্দে, ভাষায়
এমনকি মৌনতায়
জানি হৃদয় বাসনা ছুঁয়ে যাবে দূর শুভ্র বসনা তারার মত কালজয়ী ভালবাসা,
চিরন্তনে মিশে যাবে আমাদের কাছে আসা।
বিস্মৃত হবো সময়ের মাঝে বিচ্ছিন্ন থাকার যন্ত্রণা যত,
সকলের মাঝে রবো পাশাপাশি,
সব জনমে পাবো পরস্পরের তরে শ্রেষ্ঠ শুদ্ধ প্রেম।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

ভালবাসার নাম দুঃখ,
দুঃখ পুষে রাখার নাম সুখ।
আমার দুঃখ তুমি,
এ দুঃখে সুখী তুমি।
একদিন জানি আমাদের পরস্পরকে ঘিরে রবে সুখ দুঃখ যুগপৎ।
আমরা হব জ্বলজ্বলে তারার নিচে সুখ দুঃখের শ্রেষ্ঠ সুখী।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

লোহালিয়া নদীতীরে চুপচাপ সন্ধ্যা নামে
মাইল জোড়া চরে মেশে শান্ত মরা কটালের জোয়ার,
এক সার বক এক পায় দাঁড়িয়ে থাকে
এক সার বক উড়ে যায়।
কুয়াশায় ভর করে আঁধার মেশে বিস্তীর্ণ চরাচরে।
একে একে আসে শুকতারা, লুব্ধক,ক্যাসিওপিয়া, ঋষিমন্ডল।
এইখানে এই সভ্যতায় এক লোহামানবী আমাকে ভালবেসে রয় মৌণ
যেন এই জনমে হবে কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ।
ক্ষীণ হয়ে এলে কূজনের শব্দ,
পাখায় জড়াবে তারা জতুগৃহের গন্ধ,
তীরে তীরে পৌছাবে যখন জোয়ারের জল স্পন্দনের মত
সেই নারী তখন ছেড়ে দেবে জানি মৌণব্রত,
ভুলে যাবে প্রথাগত সংস্কার,
তার আনত নয়নে রবে প্রেম
বোহেমিয়ানের বাহুমূলের তৃষ্ণায় ডুবে যাবে সে।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

অন্ধ রাত্রি সূর্যকে নিয়ে ভোর হয়ে ওঠে
তবু জমাট কুয়াশা অভিশাপের মতো ঘিরে আসে
এমনকি শ্রেষ্ঠ একটা দিনেও।
অভিসার সুখ ঢেকে রাখে চাদরে
শীতল করে রাখে দশ দশটি আঙুল
উষ্ণ রৌদ্রকর থাকে দূরে, আড়ালে।
তুমি ঠাট্টাচ্ছলে হাসতে পারো তবু
ছটফতে প্রাণের ক্রন্দনটাকে ভুলো না।
বুঝে নিও তুমি এভাবেই অবিনশ্বর সময়রে মাঝে আমাদের চলে গেছে দিন
যুগল যাপনের।
এভাবেই আমাদের চির যুগলের জমেছে বহুবিধ বহু বহু ঋণ, ভালবাসার।
তুমি আজ থেকে আর শুন্য রবে না আর
হবে বৃত্ত, ভালবাসার।
বিন্দুকে দেবে অধিকার, পরিবাহিতার।
কেন্দ্রবিন্দুকে দেবে তার সবটুকু পরিসীমায় পরিবাহিতার সম অধিকার।
যেখানে সময়ে ভর করে দুঃসহ প্রতীক্ষা,
চলৎশক্তিহীন করে রাখে চঞ্চল ঘড়ির কাঁটা
অথবা তার আবর্তনে স্থির হয়ে থাকে স্বাভাবিক পরিবর্তনশীলতা,
শীতার্ত কুয়াশায় সিক্ত করে রাখে চোখের পলক
ওড়াওড়ি ডানার পালক
সেখানে রেখে দেব আমাদের প্রেম
পরস্পরকে অনুভবের সর্বৈব বাসনা
সবগুলি উপকরণ সম্ভার
আমরা চেয়ে নেব প্রেম,
আমরা বিগত বিরহকাল শত সহস্র জনম করে চাইবো বহু বহু ভালবাসা মুদ্রায়
কিনে নেব কিছু চুমুতে সিক্ত উষ্ণতা
প্রলেপ করে পৌঁছে দেব ত্বকের ভেতর হয়ে প্রতিটা নিউরন সেলে
দেব অলিন্দ নিলয়ের দগ্ধ অমরায়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

ভালবাসি শব্দটা ভরা পুর্ণিমায় প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসে আমার কাছেই বারবার
কমল সুধাকর বহ্নি হয়ে জ্বলে।
বারুদ হয়ে জমে থাকে আকাঙ্ক্ষা প্রবল।
জোছনায় গা ডুবিয়ে হাঁটি
ছায়া হয়ে থাকে অন্ধ অনুভূতি
কথোপকথনের প্রয়োজনীয়তা নিরবতা দুর্বিসহ একাকীত্বে ভারী হয়ে থাকে
তুমি প্রহসনের চাদর যদি জড়িয়ে রাখো গায়
ভীষন ভাললাগা সন্ধ্যায়
এমন উথালী জোছনায়
তৃষিত অমরায়
তবে ব্যর্থ হবে অনুভবের শুদ্ধ আকুলতা যত।
যদি চাও স্থিত আবেগের,স্পন্দন অনুরণনের,বহু বহু জনমের বিশ্বাসের ব্যবচ্ছেদ তবে
পেতে পারো অতি নাটকীয়তার উদাহরণ
শুন্য শূন্যতার ব্যথা
কিছু ভয়ংকর উপকরণ অথবা
পদ্মে ভ্রমরের একটানা গুঞ্জরণ অথবা
পুরপুরি আমাকে।
কী প্রয়োজন তার বলো
আমাদের এখনো অনেক ভালবাসাবাসি রয়েছে বাকী।
অনেক
অনেক
অনেক এবং
অনেক।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

চন্দ্রগ্রস্ত পৃথিবীতে দেখ অস্তরাগের ফাগ নিয়ে হয় দিনের যবনিকাপাত
অস্তাচলে আবির রঙা গালিচায় জমকালো সম্বর্ধনা দিয়ে শুরু হয়
জোছনা রাত্রির বন্দনা।
যেমন তোমার নামে রক্তাক্ত আমার শুরু প্রতীক্ষা প্রহর যাপন।
তোমায় এক আকাশ তারায় গুনে গুনে দিতে চাই যথার্থ যৌক্তিক চুম্বন।
তোমায় বৃষ্টির জল মেশে যেমন সরবরের সাথে তেমন নিবিড় আলিঙ্গনে জড়াতে চাই।
রৌদ্র আলোতে তোমাতে হারাতে চাই
তোমার নামে ওড়াতে চাই দহনের কাল ভোকাট্টা ঘুড়ির মতন।
আঁচলে মুছে নিতে চাই যুগান্তকালব্যাপী একাকীত্বের ক্লান্তি।
যদিও মহাকালে মহাকাশে
কালের রথে ছায়াপথে লেখা আমাদের প্রেমগাথা
আমাদের নাম।
তবু তুমি অসহনীয় প্রতিক্ষায় রেখেছো ডুবিয়ে পুর্বাপর প্রেম।
কে জানি কী আনন্দে আমাকে পোড়াও
বিরহ অগ্ন্যুৎপাতে আমাকে মোড়াও
তৃষিত দৃষ্টি হতে আমাকে সরাও
থাকো দূরে
ইথারে ইথারে।
এসো এই বোহেমিয়ানের বুকে আর তোমার নামে রাখা প্রাণের স্পন্দনগুলি বুঝে নাও
এসো এই অভিশপ্ত প্রতীক্ষা পারস্পরিক উষ্ণতায় ভষ্ম করে দাও
তুমিই পারো জমানো অশ্রুজল করে দিতে সুপেয় শুদ্ধ জলের সুহিসিনী ঝর্ণা
তোমাতে সিদ্ধ করতে পারো আমার ব্যাকুলতা, আমার প্রেম, আমাদের ভালবাসা
আমার রক্তাক্ত বিকেল হতে পারে নরম আলোর মহৌষধি, ত্বকে এনে দিতে পারে প্রবল প্রশান্তি
নিকষ কালো রাতে খুঁজে নেব প্রগাঢ় নিরবতা পরস্পর
আলোতে, জনারণ্যে, সবখানে আমরা যুগল যুগলের দৃষ্টিতে হারাবো বারংবার।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শব্দমালায় প্রতিদিন অন্তত একবার চাই ভালবাসা বিনিময়
অনুভুতিগুলো শানিয়ে নিতে চাই চুমুতে
পৃথিবীতে নেমে আসা তাবৎ ভোরগুলি তোমার মুখ দেখে দেখে
মুগ্ধ সকাল করে নিতে চাই
তোমার ভালয়াবসায় দুঃখ ভাসাতে চাই
সকল সুন্দরের মুখমুখি দাঁড়িয়ে তোমাকে জড়াতে চাই
তোমার ভালবাসা পেতে চাই
তোমার হাসিতে জানি আমার বৃষ্টিমগ্ন দিন পাবে উজ্জ্বল রঙধনু
প্রতি অনু পরমাণু পাবে বিহ্বলতা
তুমি যদি স্পর্শ জড়াও পরিধির প্রান্তসীমায়।
তোমাকে পেতে চাই ঘুমে জাগরণে
উন্মুক্ততায়
আবরণে।
আমার সাহসী কল্পনায়
জীবন যাপনের সব উপকরণে
সহযাত্রায়
সহমরণে।
তোমাকে চাই।
তোমাকে চাই।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

ভালবাসা লুকাও যদি আঁধারে ছায়ার মতন
তোমারে লুকাও যদি আমার দৃষ্টি হতে দূরে
বিহ্বলতা করো গোপন যদি লৌকিকতায়
যদি বন্ধ করে দাও হৃদয় ঘরে যখন তখন আনাগোনা
তবে এই কাব্যিক পৃথিবী বোবা হয়ে যাবে
ঘোর লাগা বর্ষায় প্রতিটা জলকণায় রঙধনু তার রঙ হারাবে।
সূর্য না দেয় যদি উষ্ণ রৌদ্রকর
চন্দ্র শুক্লপক্ষে জোছনা হারাবে
শুধু কলঙ্ক পড়ে রবে।
পথ মধ্যপথে পথ হারাবে।
বৃত্তবন্দি বিন্দু দিশাহীন সমুদ্রে ভেলা হয়ে রবে
হারাবে কুয়াশামাখা ভোরে
ঝঞ্ঝাক্ষুদ্ধ রাত্তিরে
পাথুরে পাহাড়ে।
দৃষ্টিতে গ্রহণ লেগে রবে
বিষন্ন অন্ধকারে ঢেকে যাবে মুখায়বয়ব।
আর
তোমাতে মিশে রবে ভালবাসা লুকোবার অসুন্দর অগৌরব।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

কেন পৃথিবী তাবৎ কক্ষপথ ঘুরপাক খেতে খেতে
দূরের বহুদূরে সূর্যকিরণ পেতে চায়,জানা নেই।
তবু সেই দূরের রৌদ্রকর পৃথিবীতে বৃষ্টি নামায়,
প্রখর খরতাপে পোড়ায় পৃথিবীর বুক,
শীতলতা ছেড়ে দলে দলে শতদল ফোটায় সুরভিত ফাল্গুনে।
পৃথিবী পায় প্রাণ, অগুণিত প্রাণের উচ্ছ্বাসে।
পৃথিবী জানে, এই আহ্নিক গতিই শেষ কথা নয়
সূর্য একদিন ঠিক মিলবে পৃথিবীর সাথে।
সেদিন পৃথিবী তার অন্তর্গত সব উপাদান তুলে আনবে দৃষ্টিসীমায়।
তারপরই শুরু হবে অনন্তকাল...
সে কালে র গভীরে রবে প্রেমের বন্দনা,
সেখানে অদ্ভূত উপায়ে বৃত্ত জেনে যাবে তার পরিধির সবটুকু জুড়ে আছে বিন্দু,
অজস্র ব্যাস-ব্যাসার্ধে কেন্দ্রবিন্দু পাবে সহজ পরিবাহীতা।
পৃথিবী তার ছিন্ন হৃদয় চাঁদে ভয়ালভাবে চন্দ্রগ্রস্ত হয়ে থাকে জলের অবগাহনে
ভাসায় অপলক চেয়ে থাকা জোছনায়,
আবার তারার ঝালরের নিচে ডুবায় অন্ধকারে।
পাহাড় হয়ে থাকা এক একটা দুঃখ কষ্ট নাম নিয়েছে কলঙ্ক বলে।
এরই মাঝে যা কিছু জোছনা হয়ে ঝরে তারও উৎস মূলে দূরবীন দূরের রৌদ্রকমল। দহনের নাম জোছনা,
বিচ্ছেদের নাম শবনম,
ভালবাসা সেখানে আলো- আলেয়া নয়।
রাত্রি শেষে লাজ রাঙা ভালবাসা হয়ে দেখা দেয়
অরুণাভ ভোর... প্রতিদিন।
আমার দৃষ্টি আধার হৃদয় হতে ছাড়া আর
কোথা হতে আনবে বলো নীলচে রঙা জোছনা কমল।
এক গ্রহণের দায় ভাঙেনি এখনও
এখনও আঁধার,
এখনও আবডাল,
আসেনি সকাল,
জাগেনি শোভিত সবুজ পৃথিবীর গায়।
গ্রহণ ছেড়ে গ্রহতে ছড়াতে ভালবাসা আলো
আরও কত প্রতীক্ষায় রাত জাগা প্রহর রবে নিমজ্জমান।
বরফের নিচে ঝর্ণাকে জাগতে দাও,
বইতে দাও প্রবল স্রোতস্বিনী,
ভেসে যাক বিগত অভিমান,
মরুকরণের সব উপাদান।

চকলেট খাওয়া শৈশব মনে পড়ার পর আরও কিছু ঘ্রাণ...
এই যেমন অগ্রহায়ণের বিরান ফসলের মাঠে
সদ্য কেটে নেওয়া ফসলের ঘ্রাণ, আবছা কুয়াশার বাষ্প, বাষ্পে মাটির গন্ধ
বিকেল পেরিয়ে গোধূলী গলানো সন্ধ্যায়
খুব দামী মুখের মুখোমুখি মুহূর্তের মহেন্দ্রক্ষণ
হাত ও আঙুল জুড়ে বুনোফুল ঘাসের ঘ্রাণ-
ইতিবৃত্ত নিয়ে ফিরে আসে।
অতি প্রাচীন দুঃখ বোধেরা তীব্রতায়
ছায়া ছেড়ে হয় উজ্জ্বল।
হৃদয়ের অনেক অনেক শূন্য হয়ে যাওয়া সংরক্ষিত স্থানে
থরে থরে সাজিয়েছি ভাল ভাল ভালবাসা,
অপূর্ণ প্রিয় আশা,
পরে দেখেছি আস্থাহীন স্বপ্নের মত সেই সব সবুজের পরজীবি হয়ে ওঠা
অর্কিডের ফুল, অর্কিডের কাঁটা
অর্কিডের বেড়ে ওঠা।
বেঁচে থাকা- দীর্ঘ নাতিদীর্ঘ পথের ভয়, ভাব, ভালবাসায়, ভনিতায়, আশায়,
আমার মাঝে বেড়ে ওঠে
দিনের আলোতে এসে, রাতের মাঝে একা একা, নিঃসঙ্গতা সমভিব্যাহারে।
সকল অর্কিড, আঙিনার ঘ্রাণ ছাপিয়ে আসে
ছেড়ে আসে অগ্রহায়ণের শুন্যতা।
যেখানে পূর্ণতার পর হঠাৎ শূন্য প্রান্তর এসে হাজির হয়
কোথাও প্রাপ্তির আনন্দ, প্রত্যাশার সমীকরণ, কোথাও রিক্তশ্বাস।
অহম ও বাস্তবতা।
পরাবাস্তবতা ও আবেগ।
সব যুক্তিহীন মনে হয়,
মনে হয়, সব অহম পরাবাস্তবতা ছেড়ে চলে গেছে বালুচর
সব আবেগ গড়েছে বাস্তব সম্মত বনানী
কষ্টগুলো ছাঁচে ঢেলে
গলিয়েছে সুদক্ষ কারিগর- বিনিদ্র রজনীর অনুজ্জ্বল আলোর অবয়ব।
ক্রমশ দীর্ঘ হয় বাতিল হওয়া সুরে সিক্ত কথামালা
লহরী ও অন্যান্য ধ্বনি
দেয়ালিকা জুড়ে খন্ড খন্ড আহত চিহ্নের শিল্প।
প্রতীতি ও প্রতিজ্ঞা।
প্রশ্রয় বা প্রতিদান।
প্রকৃতি ও প্রত্যয়।
প্রণয় বা প্রত্যাখ্যান।
প্রতিটা প্রহর প্রত্যহ কিংবা প্রত্যেক প্ররোচনায়
প্রতিফলিত হয় প্রাণেশ্বরীর প্রতিবিম্ব,
প্রবোধ নেই ,কেবলই প্রত্যাশার প্রতারণা
প্রাণহীন প্রাচীর হতে প্রতিধ্বনির প্রত্যাবর্তন,
প্রচন্ড প্রলয়ের প্রতিবেদন হয়ে যায় প্রহসন।
প্রিয় যায় প্রতিকূলে, প্রচুরতার প্রলোভনে।
প্রেম পড়ে রয় প্রতীক্ষায়।
প্রতিদিনই হয় যার প্রথম দিন
প্রশমিত হয় না প্রায় কোন কিছু।
প্রথা ও প্রশ্নাবলী,
প্রতিহিংসার বাণীর প্রতিঘাত ,
প্রবাদপ্রতিম প্রবঞ্চনা আনে জীবনে।
প্রবল ক্রন্দনে নিমজ্জিত বিগত ঘ্রাণ
প্রত্যুত্তরহীন প্রতিচ্ছবি হয়েছে আপাত সম্বল,
প্রতিশোধ, পরিশোধ বাদে আমার বেয়াত্রিস (ইকলেবিদিস বেয়াত্রিস)।
প্রখর সকল দুর্যোগে, হাসিতে একমাত্র মেঠোপথ
প্রকান্তরে প্রতিষ্ঠিত প্রাজ্ঞ জন
প্রার্থিত ভালবাসার প্রকাশিত অংশ নিয়ে থাকে সংশয়ে।
প্রগাঢ় শূন্যতায় ঢাকা পল্লবীর সকল পল্লব তাই পুষ্প-পত্র বিহীন- আজও।
নম্রতা, আদর, উষ্ণতা
সব ছেড়ে যায় আমার প্রেম।
পিদিম আর জ্বলে না আলো আর মেলে না।
আমার উল্টো হাটা
পেছন ফিরে দেখা
শূন্যতাকে হাত নেড়ে বিদায় জানাই,
পথের সমান্তরাল, পথের আড়াল আর পথের স্থিতিস্থাপকতা
সরিয়ে দিতে দূরে, বহু দূ-র
হেটেছি ভুতুড়ে পাথার, বাঁদাড় একলা একা।
শূন্য শূন্য অভাব যা কিছু গোপন
তারে জানে রাজন্য জন, সকল চক্ষুষ্মান হৃদয়
সকল আমাত্য, সকল সভাজন
মেনেছি তার হেলা, অবজ্ঞা আর তীক্ষè অপমান
কী লাভ বলো বান্ধব, তুমিও বিকাও যদি পার্থিব সংজ্ঞায়
বিছাও আঁচল যদি কেবলই সুখ সমাগমে,
আমার পিয়াসী পূজারী মন নিশ্চুপ হয়ে যায় তখন,
খেয়ালী চলন তখন নিশ্চল বধির; শীতে শ্রীহীন কৃষ্ণচূড়া যেমন।
আমি তো চাই প্রেম -প্রাণে, বোধের সকল তানে।
আমি চাই সকল চোখের তারায় প্রকাশিত হোক মগ্ন যুগল, নিমগ্ন প্রেম।
আমি তো চাই যুগ যুগান্ত ব্যাপী আস্থা বিনির্মাণ- এক লহমায়।
চাই সুপরিবাহী মাধ্যমে কথোপকথন, উজ্জ্বল আলো, উষ্ণতা বিনিময়।
আমি চাই দিতে দিতে শুদ্ধ লোনা জলকণা- আনন্দের, প্রতি উৎসবে।
আমি চাই বৈষম্যেরা সব অসম্ভবেও যদি রয়, তুমি আমার; শুধু আমার হবে।।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

রুদ্ধ দারের কবাট খুলে হঠাৎ কেমন ঝাপিয়ে পড়ে আলো
আমারও তেমনি দীর্ঘ দীর্ঘ দিন কবাট বন্ধ ভালবাসায় অন্ধকারে ডুবে আছি
তুমি এসে আলোর মতন ঝাঁপিয়ে পড়ো যদি
যদি আবেগ এসে তুলে নেয় লজ্জা শঙ্কা ভয় দ্বিধা
যদি তুমি বিশাল শুন্যতা বুকে নিয়ে ঝর ঝর করে হু হু করে কেঁদে ফেলো
যদি তুমি আমাকে যুগল আলিঙ্গনে বিহ্বল করে ফেলো
যদি তুমি আমায় ছুঁয়ে দেখো দৃষ্টিতে, আঙুলে, হাসিতে
যদি তুমি শুন্য আমায় দাও ভূ সম্পত্তির অধিকার, জতুগৃহের নকশা, বিবরণ সহ সব
যদি তুমি ভালবেসে বলো আর কোথাও যাব না
যদি তুমি বিষন্ন চোখে দাও ভালবাসা চুম
আমাকে নিবিড় স্বরে বলো ভালবাসি
আমি সেইদিন বিরহ ব্যথার সাথে বন্ধ করে দেব মুখ দেখাদেখি
তোমার উষ্ণতা পাবার উষ্ণতায় ডুবে যাবার বাসনা হবে খাঁচায় পোষা পাখি।
তোমার ভালবাসায় দাবদাহ হবে বৃষ্টি জলে সিক্ত
তোমার চোখের তারায় পাব চিরন্তন বসবাস অধিকার
তোমায় আমায় মিলে পদ্ম ফোটা ঝিলে ডুবিয়ে দিয়ে পা, শান্ত হবে বিগত অস্থির শুন্যতা
যা কিছু স্বপ্ন, শুকতারা ছেড়ে দিয়ে রবে করতল পত্রপুটে
আমরা যাব লৌকিকতা ছেড়ে কিছুটা দূর যেখানে প্রেম স্বপ্নবান, যেখানে প্রেম মধুর
আমরা পোড়াব কষ্ট ব্যথা ক্লেদ, যা কিছু জমা বেসুরো সুর
আমরা জড়াবো পশমি চুমু গায়ে গায়, ছড়াবো অধর হতে অলিন্দে নিলয়ে
আমরা মহাশুন্যের মহা শুন্যতায় বুনে দেব লক্ষ তারার ঝালর, জোছনার চাঁদোয়া
আমরা ঝরাবো চৈত্রে ঘামের মত আঝোর অশ্রুজল, হৃদয়ের শুন্যতা
আমরা জুড়াবো প্রাণ কথকতায়, রবো একান্ত নিমগ্ন যুগল অনুভবে,মৌণ ভাষায়,
আমরা হারাবো আমাদেরই মাঝে-আমাদের ভালবাসায়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

কথায় ও চেতনায় ভীষনরকম ভারী যন্ত্রণা
ভারী যাতনার নিচে সাদা ঘাসের মত বাস করে কল্পনা
কল্যাণীয়াসু হতে প্রিয়তমাষুতে প্রত্যাবর্তনের সাধনা
চাই একটা বা সব কয়টা সম্মতি ভঙ্গি ও ভাবনা, ভাব ও ভালবাসা
এমনকি পরিবাহী ত্বকের ভাষা প্রবাহের গোপন সব সঙ্কেত
সকল কিছু খুঁজে পেতে এনে জড় করেছি প্রসিদ্ধ আঙিনায়
বসার ঘরে, বাহির পথে কথায়, ভাষায়
ধনাত্মক অবয়বে দেখব বলে প্রতীক্ষা বিভোর ক্ষণ
কিছুকেই ভাবিনি আর বিশেষ প্রয়োজন
শুধু একবার, মাত্রই একবার, মিথ্যা করে হলেও বলবার।
সাহসবোধকে শৃঙ্খলিত করবার মিনতি হয়েছে মিথ্যে
অর্থহীন করে দিয়েছে প্রতীক্ষিত নতমুখ
তিথী অতিথীর মতন সংকটে দেয়নিকো সাড়া

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

মাঝে মধ্যে ইচ্ছা করে আকন্ঠ মদ্যপান করে টালমাটাল পায়
পড়ে থাকি রাস্তায়।
পায়ে চলা কালো পথ শুষে নেবে ক্লান্তি।
আঙুলের, হাতের ভ্রান্তি।
এই যে আমার হাতের ভেতর দশটি আঙুল।
কেউ জানে না আমি জানি
জানে আমাদের প্রেম জানে নির্ভুল।
ভনিতা নেই আছে যা কিছু শুদ্ধ প্রেমের সাধ
আছে ভালবাসা স্বপ্ন, আছে আহ্লাদ।
ইচ্ছা করে বৈষম্য যা কিছু গবলেটে ঢেলে নিয়ে যাই রেচক আলয়ে।
ইচ্ছা করে অসম্ভবেরে দেই ফাঁসি।
ইচ্ছা করে পাঁড় মাতাল হয়েও তোমাকেই শুধু ভাবি...
শুধু তোমাকেই ভালবাসি।
ইছা করে মাতাল হই ওষ্ঠাধরের চুমু করে পান
তারপর ইচ্ছামতন ভেঙে ফেলি যা কিছু গোপন সংশয়,
মুক্ত করি বাসনা যা কিছু বন্দী বেদনায়।
মাঝে মধ্যে ইচ্ছা করে বিবসমনা তোমারে- বিহ্বল করে তুলি আদরে
ঢেকে রাখি লাজে আরক্তিম মুখ বুকের চাদরে
ইচ্ছা করে
ইচ্ছা করে।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।


ভালবাসাটাই গোপন, দুঃখগুলি সবাই জানে
ভালবাসা আমার পড়ে থাকে চোখের আড়ালে সুদূর
প্রতিহিংসার, জিঘাংসার মুখগুলি ঘিরে থাকে বাতায়ন, আমার আঙিনা
ভালবাসারে পেতে পারি নাই প্রতি প্রহরে বেঁধে নিতে অথচ
দুঃখ কিছু অমরতা পেল জীবনের খাতায় পাতায় লেখায় কথায়
শুন্যতা রয়ে গেল ভেতরে ভেতরে
সকল শর্ত সন্ধির, মেনে নিলাম তবু যুদ্ধ থামানো গেল না চারিদিকে
উচ্ছিষ্ট থেকেও নিকৃষ্ট অকৃতজ্ঞতা ছুঁয়ে গেল পথ
পাথেয়
তুলে দিলো নিলামে যা কিছু ছিলো নির্ভরতার
এখনও ভালবাসা তবু ঘেরে কাঁটাতার- দশদিক, আমারে রেখে বাহ্যসীমায়
ভালবাসাটাই রয়ে গেল গোপন সকল উৎসবে
শোকবার্তায় লেখা জোছনার নাম
যাপিত জীবনের প্রাপ্তিতে অভিশাপ
অভিমান পেল অনির্বান উপমা, উপনাম।
তোমার নামে লেখা চিঠির খামে রুধিরের রঙ শুকিয়ে হয়েছে ঝাপসা তবু
ক্ষরণের ব্যথা এখনও জ্বলজ্বল্ব জীবন্ত
বাহুতে বেঁধেছে বাসা বিষন্নতা আর
নামেতে নিঃসঙ্গতা
তবু জানি আমাদের প্রেম পাবে পূর্ণতা
আমাদের এই বিরহ হবে জানি হীরক খচিত সুবর্ণ প্রাসাদ
যেখানে মুছে যাবে সব অভিমান, অপেক্ষা, অপূর্ণতা, অস্থিরতা
প্রবেশ অনধিকারে রয়ে যাবে দূর ভাঙ্গনের খুলে খসে পড়া উপকূল
আমাদের প্রেম হবে প্রাঞ্জল সেখানে
আমাদের চোখ রবে অপলক শুভ শুভ দৃষ্টি দানে
আমরাই রবো ছন্দে ভাষায় সিক্ত
রিক্ত হবে জানি সেদিন দুঃখ মহাজন
ভালবাসা আর রবে না গোপন, জানে আমার মন
আমাদের মন।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।


কামান্ধ, প্রেমান্ধ, মোহান্ধ কিংবা মূর্খান্ধ যে কোন মাধ্যমে
আনা যেত প্রলয় অনেক প্রণয়ের পথে, পদে পদে।
করা যেত কাঙ্ক্ষিত দশটি আঙুল হাতের তালুতে বন্দী।
কিন্তু কোনটাই হয়ে ওঠেনি
তুমি যে আমার প্রেম
আমি তোমাকে বিব্রত হতে দিতে পারি না
আমার জন্য তো নয়ই, কিছুতেই না
হয়তো বা সে, আমার মন, এখন অর্বাচীন এর মতন কিঞ্চিত বেসুরো
সে পেতে পারতো আরও বেশী গাঢ় নিমগ্নতা হতে পারতো আরও গভীর অবধি আলোকিত
স্নিগ্ধ হতে পারতো আলপনা মেখে
মাটির মমতার মত আপন হতে পারতো
গুণ টানা নায়ের দুলুনী নিয়ে কেটে যেতে পারতো এক একটা বিকেল
পাশাপাশি দুজনে মগ্ন নিশ্চুপ তবু চুপচাপ বলে নিতাম কত কত কথা
দীর্ঘশ্বাসের থেকে বহু বহু দী-র্ঘ চুমুর, মধুমিলনের ঝঙ্কার সুর টুং টাং সুরে বয়ে যেত লোহিত কণা
চোখে, চিবুকে, ওষ্ঠে অধরে,পরস্পর গ্রীবা ছুঁয়ে থাকা সে সুর
যাপিত প্রতি পল অনুপল হতো থৈ থৈ আঙিনায় পদ্মাসনে বসার মতন- আমাদের মন
আমাদের মাঝে নিমজ্জমান। যেমন জোয়ারের মাঝে টগর যেমন আমার মাঝে তেমন তুমি
একটা কমল সরোবর, একটা ঝর্ণা ঝরঝর, একটা নদী থরথর, একটা উচ্ছ্বল কল্লোলিনী।
একটা সুখ।
একটা তুমি।
আলোতে কেমন হত তোমার চাহনি
এইটুকু দেখার শখে আমি চোখ লাল করে ঘুরে বেরিয়েছি পথে প্রান্তরে
গোপনে একা একা।
আমার আমাতে তুমি নাই তাই ভেতরে অযত্নে অবহেলায় রয়ে গেছে ক্ষরণের দাগ,
দগদগে ব্যথা আর আড়াল করা হয়নি ঔষধে
কাঁচা বাঁশের ঘেরাটোপে বীজ বুনে রাখা কৃষ্ণচূড়া গাছ গত জনমের- ছায়া মেলে আকাশে আকাশে
কিন্তু সেই দৃষ্টি ঝোঁকার লাল টক টকে ঝালর তার আসেনি চৈত্র শেষ বৈশাখেও
আমি যে ভেবেছি বহুবার আমি আমাদের পারস্পরিক আস্থায় দিয়ে দেব সমর্পণ আমাদের মন
আমি যে চেয়েছি সুখের ভনিতায় নয় সুখে, সুখের অসুখে হব চিরঞ্জীব
এক একটা অসুখে এক একটা কচ্ছপের আয়ু
তোমাকে দেখা এক লহমাকে সবাই বলবে জানি যুগ,
মাধুকরীর দিনে কয়েক লহমায় আর কতটুকু দেখা যায় বলো
তবু তোমার হাসিতে জুড়াবো যে কোন জ্বলে পুড়ে যাওয়া ঈর্ষার পোড়া ব্যথা
যতনের মুখ রেখে দিতে চাই সৌম্যদর্শনের খুব কাছাকাছি সময় অবধি
তারপর...
মধুচন্দ্রিমা দুজনের।
সেই যে আমাদের সকল ঝগড়ানো বেড়ানো শেষে যাব সেখানে
যেখানে পাখির কোরাসের মত আমাদের পদধ্বনি তখনও বাধেনি বাসা
সুবর্ণ জয়ন্তীর বিকেলে আমরা বলব ভালবাসি
এর আগে শুধু অনুভবে বুনে যাব একটার পর একটা স্বছ নীলাকাশ
রৌদ্র বৃষ্টির উল্লাস,ছেলেমানুষীর কোন উপকরণের উপর আত্মজ মতন মমতা,
রবে বচনে বাচনে দারুন বোঝাপড়া
এ বাসনা মনের- মনের দায় হবে অধিকার, এমন আশায় প্রেমের গুণকীর্তন আজও, হররোজ অষ্টপ্রহর।
হবে দেখো আমাদের প্রেম ঠিক ঠিক এখনের চেয়েও আরো গভীর,
আরও বেশী ব্যাঞ্জনাময়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

বিশেষত তোমার কষ্টগুলি ডাক হরকরার মত ঠিক ঠিক খুঁজে পেলে আমার আঙিনা
চলতি পথে, মধ্যি পথে, সুখ হাসি সমাগমে
আমি যেন বলে দিতে চাই আমি নেই এখানে এখন
আমার কান্না পেলে কনিষ্ঠা আর বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে খুব সন্তর্পনে চেপে ধরি দুই চোখের দুই কোণ
ধীরে ধীরে বাড়িয়ে চলি চাপ
যেন একটা জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের স্লুইস গেটগুলি বন্ধ করে দিলাম
যেন জলাধারে পাবো শক্তি
যেন কোন একদিন অজ পাড়া গাঁ দূর কোন এক পাবে ঝলমলে আলো
ঠাটবাহারী মেকাপে চৌকষ শহর হবে আর আপন জতুগৃহের দুঃখ লুকাবে নিয়নের আলোয়।
কিংবা স্রেফ পৃথিবীর কাউকেই সঠিক কারণটা যৌক্তিক করে বোঝানো যাবে না বলে।
কিন্তু তোমার নামে আমার কষ্টগুলি হতে কিছু কষ্ট ওড়ানো দরকার
আমি কিছু কষ্ট ওড়াতে চাই
কষ্টগুলি ঘনবসতির কারণে কষ্টে আছে বহুদিন।
তুমিও কি তাই?
চলো, কষ্ট ওড়াই।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

নীল রক্ত লাল রক্ত দূষিত রক্ত সব খানে শুন্যতা
সব খানে ভীড় করে বিষম ব্যথা শেষ অবধি
হেলা অপমান বিব্রত বোধ আর অন্যায় অপরাধ
ছাপিয়ে ওঠে, ছাড়িয়ে যায় বিদগ্ধ সুখ অনুভূতি
অথচ কেবল জলের ছলে মৃত্তিকার প্রেম চেয়েছি সেই কবে থেকে
উপরি ভাগে ত্বক ছুঁয়ে নিঃসীম গভীরে রবে তার কোলাহল
সুপেয় শুদ্ধ ভালবাসা মন্ত্রপূত জল
কিন্তু অষ্ট গন্ডা ফাগুনের পরও এখনও
গভীর শুন্যতা রাহুগ্রাসের মত আমার
প্রেম মগ্নতাকে করেছে দীর্ণ, আমি আজও এখনও দীনহীন
কেন যে সময় বাধা হয়ে রয়
কেন সে জন্মায় রাশি রাশি বাধা মহাপ্রাচীর আমার আঙিনায়
যেন কোন মৃত জীবনের উপর জন্মানো ভারী ছত্রাক
দিন যায় তারা মহীরুহ হয়ে ওঠে
রাত যায় তারা আরও গভীরে হৃদয় অবধি বাড়িয়ে চলে সমূল বিস্তার
তারুণ্য মাখা হৈ চৈ ছেড়ে দূরে পালাই, লুকাই মুখ আলোতে পেঁচকের মতন
যে কোন হাসিতে মন পড়ে রয় বিষন্ন মতন
অথচ এই জীবনের মানে হতে পারতো ভালবাসা
হতে পারতো বাদশাহী সুখের একচ্ছত্র অধিপতি
পেলেও পেতে পারতো বোহেমিয়ান জীবন হতে স্থায়ী ছাড়পত্র
কোন এক মুখের হাসির জন্য আবারও
বরফ গলনাঙ্কের সাথে দিতে পারতো পাল্লা সে
শিখে নিতে পারতো সকল ভালবাসার সকল রকমফের সংজ্ঞা ও সহবত
শেকলে সুকৌশলে বন্দী বেয়াত্রিস আমার
দ্বিধায় বাধায় লৌকিকতায় অন্ধকারে নিমজ্জমান প্রেম
জোছনায় বা প্রখর রৌদ্রালোকেও সে আঁধারে বন্দী
প্রথায় আড়াল করেছে সুর্যদীপ্ত প্রেম
আমি অভিমানে নিমগ্নমান আহত তবু লুকাই ব্যথিত প্রাণ
শিরায় শিরায় শূন্যতা লুকাই বারংবার
রক্তকণায় নাচন যত ব্যাকুল আহ্বানের
তারে দেই ইচ্ছাধীন স্বাধীনতা
সেখানে অপাপবিদ্ধ আমার মন
শুধু বোহেমিয়ানের প্রয়োজন প্রেম
কেবলই প্রেম
আমি এমনকি নীল পানি ধূ ধূ সমুদ্দুর
মাঠে মঞ্চে ছন্দবদ্ধ নূপুর সুরেলা সুর
সব ছেড়ে ছেড়ে পড়ে থাকি দূরে দূর বহুদূর
কোন অনুচক্রিকায় বাধা পড়ে না আহতের ক্ষরণ
তোমাকেই তাই নিতে হবে তুলে প্রণয়ের দায়ভার
ভালবাসার।
আমার ভালবাসা এই তোমাকেই আমাদের ভালবাসার প্রয়োজন।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

ভালবাসা এত নিষ্ঠুরতা কোথায় পেল?
কে শেখালো? কেমন করে হলো?
তবু কে তারে ভালবাসা নাম দিলো?
পুড়ে যায় ভেতর বাহির সবকে সব অথচ
তবু পুড়ে যেতে ছুটে যায় মন,
পতঙ্গের মতন।
হয় চঞ্চল, ভালবেসে আঁচলে জড়াতে চায় অনুক্ষণ, প্রতিক্ষণ।
জানি তোমাকেও পোড়ায় ভালবাসা
আর তাই আরও ভালবাসা দিতে চাই
ভালবেসে যেতে চাই যতদূর দাহ্য সীমা ভালবাসার।
ভালবাসা পেতে চাই যতখানি তুমি ভালবাসতে পারো আমায়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।


নানা কথা নানা কাজ, নানান ব্যথা নানান সাজ
হাজার রকম দ্বিধা দ্বন্দ্বের কঠিন স্বরাজ আর
অগণন চিন্তা স্রোত দিনমান আমাতে রয় বর্তমান
তবু তোমার সঙ্গ বাসনা চিত্ত মাঝে হয় চঞ্চল
আনমনা করে তোলে এমনকি বর্ণিল ব্যস্ততায়,
দুঃখ ফেনিল হয়ে ওঠে প্রতিটা রক্ত কণায়।
প্রণয়ের বেলায় ভালবাসা জানাবার সাধ
হৃদয়ে পড়ে থাকে নিশ্চল, যত্নহীন।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

আমাকে শুদ্ধ করো।
তোমাকে দিতে চাই ভালবাসা অধিকার , সব জনমের
সম্ভবপর সবটুকু শ্রেষ্ঠ ভালবাসা, হৃদয়ের।
চোখে তুলে দিতে চাই পূর্ণ চন্দ্র জোছনা।
ভালবাসা সরোবরে চলো ফোটাই একটার পর একটা লাল নীল পদ্ম,
তারার গায়ে গায়ে তারার সমবয়সী চুমু
এনে দেবে জানি উজ্জ্বল দিন,
উষ্ণতা সীমাহীন।
আমরা পোড়াব বিগত অনাগত বিরহ, ব্যবধান, রবে কুহুতান প্রতিদিন।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

লালচোখ ম্লান ক্ষয়িষ্ণু চাঁদ জাগে
উৎকর্ণ হয়ে থাকে সারা রাত
টংকারে বেজে ওঠার মত নিউরন সেল ছাড়িয়ে
ছড়িয়ে পড়ে কোষে কোষে কলায় দৃষ্টিতে, তার আলো।
তখনই যদি প্রণায়াক্ত প্রাণ চায় শান্তির ঘুম
ঘুম ভেঙে যদি জেগে ওঠে আবার আর
প্রশ্ন করে সংশয়ে বিষ্ময়ে ভালবাসায়
"জেগে আছো কি?"
অথবা অভিমান নিয়ে বলে
"কাল রাতেই ঘুমপরী তোমায় এত ভালবাসলো?"
দূর পৃথিবীতে বিবসমনা ঘুমায়
ভাবুকেরে ভাবায়, ব্যাথার প্রাণ জাগায় আর
কেউ একজনকে পোড়ায়
অসহায় প্রতীক্ষায়
নক্ষত্রহীন হতে চায় অমানিশায় মোড়া আকাশ
তবু জোছনা এসে ছায়া ফেলে যায়
কংক্রীটের জঙ্গলে ঢাকা কোন নগরে, এমনকি গাঢ় সবুজাভ বনানীর পাখালীর বাসায়,
এমনকি আহত হৃদয়ে।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

বহু বহু দিন
আশৈশব পরিচিত মুখ, ক্ষুদ্রতর ছোট ছোট সুখ পাই না আমি।
বিরহে ব্যাকুল পত্রলেখক
শাপ পুর্ণ শাপান্ত আমায়
আর আনছে না কোন আলোচ্য সভায়, সুখের বা শোকের সম্মেলনে
তাদের কোন কেউ।
জানছে না আমার ছায়াপথের
উপগ্রহের কক্ষপথ শূন্য।
তাই রাত্রি নেমে এলে আঁধার আর কাটে না কিছুতেই,
দিনমান স্থির,
আর্দ্রতাহীন, বহুদিন
মাধুকরীর দিনই যেন চিরন্তন সত্য
তোকে হলা হয়নি কোন কিছু তার আদ্যোপান্ত। শোনার কেউ নেই আর
কী যে ব্যথায় ব্যথাতুর সুহৃদ হৃদয়পুর
প্রথায় সাব্যস্ত দোষী, প্রথাগত বিশ্লেষনহীন কথায় আমি দোষী
গ্রাহ্যযোগ্য সকল নিবেদনে
স্বেচ্ছামৃত্যুর পুরনো শপথ আমায় নিয়েছে টেনে
সব ঋতু হতে দূরে
হৃদয়ে ব্যথার ভার
তাকে সরাবার
কিংবা দিনে দিনে জমা গুচ্ছ গুচ্ছ ক্ষুদ্র তুচ্ছ সকল দুঃখের, একাকীত্বের সম্ভার
কোনভাবে কমাবার, শুন্যে নামাবার
কোন শ্লোক
কোন স্তাবক
কোন না কোনভাবে ভুলে যাবার ভুলিয়ে দেবার মাধ্যম... আমি এখনও
এখনও
আজ অবধি পাইনি।
মুখের ছবিগুলি কাগজে ভাসমান হবার আগে তার শুন্যে মেলাবার
সকল সম্ভাবনার দ্বারে করাঘাতে বহুবার প্রচেষ্টার
সর্বৈব মুখের বিস্তৃত রেখায়
খুজেছি ক্ষমাহীন হাসির বাইরে
এতটুকু প্রশ্রয়, গোধূলী আলোতে কমলা রঙা শৈশবের সামান্যতম হাসি নিংড়াবার একটা উৎস, কিন্তু-
পাইনি।
আমি বলেছি, আমি চাইনি।
দৈব হোক বা দুর্ঘটনা, আমি ক্ষমাহীন রয়ে গেছি যুগ যুগান্ত কালব্যাপী- সুহৃদের সন্নিকটে
এ আমার ক্ষোভ সুজন, এ আমার বিজিত বোধের উপর বোধহীনে আক্রোশ
ক্ষত হোক বা ক্ষতি
সবখানে এমনকি সব খানে
কাংক্ষায়,দাবীতে সবখানে ভালবাসার ব্যাপারীপনা
সমরে, শয্যায়, পঙ্কিলে, সজ্জায়, অস্থিতে, মজ্জায়,
ভাবনায়, আস্থায়, গৃহকোনে, রাস্তায়, এমনকি প্রথার ব্যবস্থায়
মরমে ভীড় করেছে মৃত্যুযন্ত্রণা।
দহনে দগ্ধ ভেতর বাহির, চোখ ও অন্তপুর।
স্নিগ্ধতা নেই, প্রখর দুপুর।
তবু হৃদয়ে আমার প্রণয়ের অবধারিত সুর।
হয়তো সুখ সুখেই আছে বহুদূর।
প্রাণখানি প্রাণের প্রণয় নিয়ে নিমজ্জমান দুঃখে, ভাবনায়।
তবু আমায় সঁপে দিতে চাই
শুদ্ধ প্রণয়ে,
প্রণয়ের বন্দনায়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

কোন এক পৌষি শীতার্ত রাতে মর্ত্যলোকের পৃথিবী ঘুমায় আর
চোখেমুখে জ্বলজ্বলে রূপা মেখে একাকী চাঁদ পুর্ণিমা হয়ে জাগে
তবু জোছনা তার ম্লান হয়ে রয়
এই এমন পুর্ণিমায় তোমায় চাই
চাঁদের মত নিরব থেকেই পুড়িয়ে নিতে চাই ঊষ্ণতায়, শীতার্ততা যদি কিছু জমে।
ভেলা হয়ে থাকে সমুদ্রে এই গোপন বাসনা...
এ যে এই প্রণয়গ্রস্ত যুগলের অবিসংবিদিত প্রাসাংগিক যৌক্তিক অধিকার।
আমরাও জড়াব প্রেম গায় গায়, শীতার্ত পূর্ণিমায়।
আর্দ্র অথচ আর্দ্রতা ছিনিয়ে নিতে
মেঘ হয়ে নামে কুয়াশা
চাদরে লুকায় পথ ঘাট প্রান্তর
ভরিয়ে তোলে ভেতর বাহির অভিসারে, সকল বিরহ ব্যথা জর্জর প্রাণ।
এমনিভাবে নিয়মিত হয় মিলনের লক্ষ সহস্র শত বার্ষিকী বছর বছর তাদের, ব্যত্যয়হীন।
তুমি আমিও অনাদিকালের সেই প্রাণের তৃষ্ণা মেটাবো জোছনা জলে।
তারে দিয়ে দেবো নিবারিত করবার দায়ভার, তায় মেটাবার অধিকার।
জোছনা আলো ছলকায় কুয়াশার বিন্দুকণায়, রূপালী জোনাকীরে দিয়ে পাখা।
এক একটা ভারী হুড়কো টানা দেয়াল ঘিরে রাখা তোমায় নিয়ে যেতে চাই এমন জোছনায়।
থৈ থৈ ভালবাসায় টুইটুম্বর জোছনা জলজ পৃথিবীর গায় চাঁদ লুকায়,
লুকোচুরি খেলায়।
ভরাট যুবতি হেসে নেচে বেড়ায় মাইলন্তক বিলের পরগনায়, পুর্ণিমায়।
আমরাও যদি না ভাসি তায়
না দেখি যদি মন মনন মাধুরী মাতানো রূপবতী অপরূপা তোমায় এই পুর্ণিমায়
কণ্ঠায় রবে কুয়াশা বাষ্পচাপ, চিরদিন।
ভেসে যাবে মুখ, অশ্রু লোনা জলকণায়।
সুখের কল্পনায়, উৎসবে, পার্বণে অথবা সকল সাদামাটা দিন আটপৌরে ভাবনায়
অসহায় যন্ত্রণায় হোক, অথবা কষ্টে লুকোনো প্রবল কান্নায়
তোমায় চাই শুধু তোমায়
অমাবস্যায়, পুর্ণিমায়- সব সময়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

তুমি বাহুতে জড়াও বিষন্নতা, বহু বহু প্রহর বিরামহীন।
তুমি আমার প্রেম।
তবু তুমিও দূর বন্দরের মধ্য দুপুর বিষন্নতা রাখো
তৃষ্ণ লোমকূপে, গ্রন্থিতে, মজ্জায়, ধমনীতে।
স্পন্দন দাও ইথারে, আনন্দে আরক্ত মুখ রাখো অন্ধকারে।
দেখো নিশ্চুপ দহন,
তুমিও তো পোড় সহমরণের চিতানলে তবু কেন যে পোড়াও এ হোমানলে।
আগুন আগুন চারদিক,
পথে পথে বেড়া তাঁর,দুর্বৃত্তায়ন,
দূষণের মিশ্রণ আদর্শে, অহংকারে, বাক্যে, ভাষায়
তখন আমাদের এসেছে মহেন্দ্রক্ষণ-
উজান ভাটির মোহনায় ভেলা ভাসাবার,
সরোবরে ডুব সাঁতারে পদ্ম তোলার
চুমুতে চুমুতে নামাবার ভীষন মুষলধারার
শিহরণ জাগাবার
জানাবার জানাবার পরস্পর পরস্পরায় প্রতি জাগ্রত প্রহরে বারংবার
আমরা অবগাহনের নামে ডুবে যাব জোছনায়
হাতে হাত রেখে, পিঠে পিঠ রেখে
কিঞ্চিৎকর কোন মুহূর্তের বিরহ ব্যথারে দিতে ছুটি
প্রজাপতি করে উড়িয়ে দিতে নীল জোছনায়
আমরা মিলবো দুটি প্রাণ।
আমাদের স্পন্দনেরে দিতে চাই ভাষা, ইথার ছেড়ে অন্তরে।
আমি তো দিয়েছি নিলামে স্বত্ব, সর্বস্বের- ভালবাসায়; এই অন্তর মন্তরে।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

আমাকে শুদ্ধ করো।
তোমাকে দিতে চাই ভালবাসা অধিকার , সব জনমের
সম্ভবপর সবটুকু শ্রেষ্ঠ ভালবাসা, হৃদয়ের।
চোখে তুলে দিতে চাই পূর্ণ চন্দ্র জোছনা।
ভালবাসা সরোবরে চলো ফোটাই একটার পর একটা লাল নীল পদ্ম,
তারার গায়ে গায়ে তারার সমবয়সী চুমু
এনে দেবে জানি উজ্জ্বল দিন,
উষ্ণতা সীমাহীন।
আমরা পোড়াব বিগত অনাগত বিরহ, ব্যবধান, রবে কুহুতান প্রতিদিন।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

দীর্ঘ, সিক্ত, নিষিক্ত চুম্বন...
এরপর চুপচাপ কিছুক্ষণ।
অনেকটা পথ চলতে চলতে দীর্ঘ কথোপকথনের মাঝে নিরবরতার মত কি?
নাহ।অন্যরকম।প্রতি ও প্রথম সমুদ্র দর্শনের আনন্দ মন্থন,
আর শুদ্ধ স্নানের পর বেলাভুমিতে জোছনা দেখার মতন।
আমরা লোকগত প্রথাগত সব সংকোচের আড়ালে
বহু প্রতিক্ষীত পরিতৃপ্ত সহবত নিয়ে বসে আছি কাছাকাছি
মুখোমুখি অথবা ঊর্ধ্বমুখী।
আমার আঙুল তোমার চিবুক ও চুলে চঞ্চল হবার আগ পর্যন্ত আমরা
নীরব,
নিমজ্জমান,
আয়নিত।
এরপর ক্রমশ জেগে ওঠে
বর্ষনে প্রমত্ত পাহাড়ি নদীর উৎসমূল, ঝর্ণার মতন।
জলের শিল্প নিয়ে বহতা নদী।
স্বচ্ছ টলটলে জলাচল তখন-ঘোলাটে, অন্ধ।
আমরা তখনও যাইনি তাবেদারীর তকমা ছেড়ে দূরে,
অথচ স্রোত পূর্বাপর সকল কূল ছাপিয়ে উঠে এসেছে
গোড়ালি হতে নাভিদেশ ছেড়ে গ্রীবায়,
চোখে, চাহনিতে- সবখানে।
অধমর্ণ আমার, তুচ্ছ আমার লোভ যদি হয়
দেনা পাওনা থেকে ঢের বেশী...
তাকে আর বলা যাবে না ভয়ার্ত ভালবাসা।
দাবী তখন দ্বৈত; পাওনা ও পরিশীলন।
তীক্ষ্ণ শীতে তুষারপাতে ছত্রীবিহীন আর গ্রীষ্ম ছিল মরুময়
বর্ষা এসে যদি রেখে যায় কিছু জলাধার পুর্ণ
সাগর হয়ে মহাসমুদ্র পরিভ্রমনের পর প্রত্যাবর্তনের
প্রণয়,
প্রলাপ নয়।
প্রতিবিম্ব, প্রতিকৃতি নয়।
প্রতীক্ষায় প্রত্যয় আমার, আমাদের, আগ্রাসী হয়ে ওঠে যদি
পৃথিবীর
চোখের শাসন
প্রথার বাঁধন
ছিন্ন ভিন্ন ছাই হবে,
দুজন পরস্পর দেহে মজ্জায় মিশে যাওয়া স্পন্দনে অভিন্ন প্রাণ।
ভরা হেমন্তের সোনালী আমন মাঠ থেকে চলে আসে উঠানে
মিশে যায় হাসিতে, সম্ভাবনায়।
তেমনি দুঃখ চারা সরল সমভূমিতে এনেছে মহীরুহ শালবনে শীতল বসতি,শান্তির ঘর।
রৌদ্র জল ছায়া ছেড়ে স্বপ্ন স্বীয় তালুতে বন্দী- আজ্ঞাধীন।
আমি তখন জমি জোতদার; চিরদিনের, চিরস্বত্ত্বের একচ্ছত্র অধিপতি।
মন হতে উঠে আসা আলোয়
আমাদের দিনমান, আমাদের শুভ দৃষ্টি দান,
সাধের শখের যুগল যুগ যুগ যাপন।
মধু ব্যপনের পার্বণে আর নেই শাখা কোন যেন
মূল সুত্র,ভালবাসায়।
শুধু যুগলের যুগ ছাড়িয়ে কালান্তক অবধি প্রণয় পরিভ্রমণ
সমূলে বহুদূর তার বিস্তার, বহু বর্ণে বর্ণিল তার বিবরণ।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

নিঃশ্বাসের আশে পাশে দীর্ঘশ্বাস ওড়ায় কণ্ঠায় জমা বাষ্পরাজি
যেন বাতাসে ভেসে আসে জলের ঘ্রাণ
বজ্রকন্ঠে ঘোষণা করবে বুঝি এখনই ঝড়ো হাওয়া এই তো পেয়ে গেলে প্রেমের জন্য সন্ধিনামা
অতি প্রাকৃত আলোর নিচে পৃথিবীকে ভরিয়ে দিতে
অজস্র লক্ষ কোটি চুম্বনে
সিক্ততায়, সশব্দে সাজাতে পৃথিবীর ত্বক।
ত্বকের গভীরে জলাধারে পৌঁছে দিতে
আরও শুদ্ধ জল কণা।
আমারই কেবল কাতর ব্যাকুল লোভাতুর মন
কুড়োনো আত্মবঞ্চনা, প্রাপ্তিতে জমা হয় অভিশাপ আর অভিমান,
কিছু না ভেবে যাচ্ছেতাই করার অক্ষমতার দংশনে আহত হতে হতে
শুষ্ক শুন্য মরুতে দীর্ঘ তপ্ত লু হাওয়া
মেলেছে পাখা যতদূর চোখ যায় তার ভেতর
ছুঁয়েছে জীবনের দশ দিক
দিগন্ত ছুঁয়ে মনের গভীরতম প্রাণে
কেন্দ্র হতে পরিধী অবধি ধোঁয়াশা,শুন্য মেঘ লেগে আছে
বেসামাল আমায় নিয়েছে উড়িয়ে বিপথে, ভৎর্সনায়
বিধেছে তিক্ষ্ণতম ক্যাক্টাসে,চোখ কুঁচকানো মুখর সমালোচনায়।
পাথরে বাধা পড়ে আছে জানি ঝর্নার ঘুম।
দীর্ঘ পথ লোকালয় উন্মূখ প্রান্তর কাছে বসে আছে অথচ চুমুতে চুমুতে পেরুতে পারি এক লহমায়
নদী হতে হতে থেমে আছে নিথর, নিশ্চল
যুগ যুগান্ত পাড়ি দেয়া আশ্রুলোনা মহাসাগরে
কেবলই বাড়িয়েছে কেন্দ্র হতে তার সীমানা
তবু কেন্দ্র হতে ব্যাসার্ধ সমান পথ বেয়ে
পরিধী হয়নি সীমায় সসীম
হয়নি কেন্দ্রাতিগ, হয়নি আপনার আপন
এখনও।
রাত্রি দিন বিভোর ভালবাসার আশায়
ভুলে গেছি কৃষ্ণপক্ষের সঠিক দিন ক্ষণ
শুধু আরক্তিম আকাশের গায় হেলাল উঠবে জেগে
ভাসাবে জগত জোছনায় এ বাসনায়
ক্লান্তিহীন চোখে দৃষ্টি মেলেছে হৃদয়
আমার অবুঝ হৃদয়
বলেছে আমার হৃদয়
হৃদয়ের আঙিনায়
আসবে তোমার বৃষ্টিজল
দৃষ্টি জুড়াতে
ঝর্ণায় মোড়াতে
তাপদহ অন্তঃপুর
কুহুতান, কলতান, রাগিনী সুর, স্বরলিপি ভালবাসার
যুগপৎ হৃদয়পুরে হবে মহাকাব্য রচনা, মগ্ন দুজনে দোঁহায়, রবে প্রেমে নিমগ্ন,আদরে আহ্লাদে বিভোর
বাতাসে জলের মত স্নিগ্ধতা নিয়ে
পৃথিবীতে আসে নেমে সবুজের ঢল
শুধু একলা আমারই বুঝি
বন্ধুর ছায়াহীন পথে চলাচল
আমারই জন্য হলাহল
শুন্যতায়, শুদ্ধ হাহাকারের
অবিশ্রান্ত কোলাহল
কন্ঠে বাষ্পীভূত অশ্রুজল।
দ্বিধায় আছ বলে
দূরবীনের থেকেও দূরে রও তাই
শ্রবণ সীমার বাইরে থাকো তারও দূরে থাকে তোমার মুখচ্ছবি, তোমার হাসি
এসো এই হৃদয় আহূত ব্যক্ত ভালবাসায়
এসো আহত প্রেমের শশ্রুষায়
এসো আঁধারের চন্দ্রবিন্দু নাম ছেড়ে
এসো জোছনায় মাখি যুগলের মুখ, মুখোমুখি
দেখো সখি, ঝর্ণার সিক্ততা নিয়ে নিষিক্ত হয় কেমনে পৃথিবীর সুখ
যুগ যুগান্ত দহনের দায় একমাত্র ভালবাসায়
শুধুমাত্র ভালবাসাতেই হবে সমাপন
জনমের মতন
সবুজে, স্নিগ্ধতায়, মহাসাগরে মহা মোহনায়
সুর শব্দে আলোকমালায়
রবে প্রেম, তোমাতে আমাতে মগ্ন
ভালবাসায়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

প্রিয়, তোমার প্রহরায় ভীষন সুখে উন্মূল ক্ষণ হয়ে যায় আনমনা।
বন্ধ হয়ে থাকা দরজার মধ্যভাগে শৈবালের আস্তরণ।
সমুদ্র শৈবাল।
যার সবুজে কোথাও না কোথাও লেগে আছে লোনা জলের ঘ্রাণ
আহত বিজিতের গর্জন শুন্য নগরীর প্রতিধ্বনি ক্রন্দন হয়ে বাজে ভেতরে
হেলা অবহেলা আর বিদ্রুপের বিকটদর্শন
দেখা দিয়েছিল কমলা রঙা সকালে সেই কবে
তার প্রতিটা দৃষ্টি এড়াবার আঁচড়
ডমরু হয়ে বাজে ঊর্ধ্ব তালে
বিরহ ছেড়ে বিষের পথে আমার পথ
উল্টো হয়ে চলে
যেতে চায় প্রাঞ্জল ছেড়ে পংকিলতায়
ক্রমশ যেতে চায় মসৃণতা ছেড়ে উর্বরতায়
বন্ধ দরজার ওপাশে ঘুমায় আমার কোয়েলিয়া
কাঠঠোকরার জীবন আর সযতনে গোপনে।
আড়াল না করে দেয়ালের লিখন
দেখা হবে না কি কোনদিন আর
তবু বারবার বারংবার আসে
সমুদ্র স্রোতের ঢেউ- বালুচর ভেজাতে
পাথর বালুতে ছড়িয়ে থাকা সবুজ
শ্রান্ত করে তোলে সিক্ত চোখের দৃষ্টি।
আমি চাই বিন্যাস্ত সবুজ, বিস্তৃত জলের পাশে ছায়া ফেলা সবুজ
নীলের নিচে অথবা প্রবল প্রচন্ড একটানা বৃষ্টির পর
আবছা যখন চারদিক ঘন জলকনায়-
তার ভেতর দিয়ে দেখা সবুজ
নতুন পাতা নিয়ে স্বচ্ছ রোদের সবুজ, সবুজের চকচকে হাসি।
চাইছি আমি এখনও
গুল্ম হয়ে জড়িয়ে ওঠা।
ঝোপঝাড় গড়া বসতি অঞ্চলে
বসবাস, যাতায়াত ও
পৃথিবীর কাছে সুর্যের রাত্রি যাপনের মতন
আপন হয়ে থাকা
প্রতি প্রত্যেক দিন
চির নতুন, চিরন্তন।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।


কেন যে আমার জোছনায় মিশে থাকে বিষন্ন বিষাদ
কেনই বা জোছনাহীনে মহাকাশের মহা শূন্যতা নেমে আসে হৃদয়ে
কৃষ্ণপক্ষের রাতের শুন্য শুন্য আকাশে যখন
একটা দুটো তারা জেগে থাকে
তখনও মনে হয়
পৃথিবীর দৃষ্টিসীমায় না হোক মহাশুন্যের কোথাও না কোথাও
পৃথিবীকে ঘিরে আছে সে, সেই সে একমাত্র যে পৃথিবীর চারপাশ ঘুরে বানিয়েছে কক্ষপথ তার
আসবে জোছনায় ধোয়াতে পৃথিবীর জলরাশি সাগরে মহাসাগরে।
মহা মোহানায় মিলাতে সুপেয় শুদ্ধ জল, অশ্রু লোনা জলে।
জেগে জেগে
ভেবে ভেবে
হয়রান হয়ে যাই;
এ ভাঙ্গা হৃদয়ে
তোমার হৃদয়!
তোমার ভালবাসা!
তুমি!
তোমার নাম!
তোমার অস্তিত্ব...
এক মুহূর্ত বিহবল করে তোলে আমায়
কিন্তু তারপর প্রতিধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়
এ ভাঙ্গনের দায় কার।।
এক অগ্নিগিরির বহু বহু কাংখিত উষ্ণতা পায়নি যে
তার জন্য দাবানল নিয়ে এলো
যুগ যুগান্ত দহন
সমস্ত সবুজ,সমস্ত কুহুতান, ছায়া ছেড়ে হয় ভষ্ম মাখা নিস্তব্ধ শ্মশান।
ভাঙল কি পাথরের নিচে ঝর্ণার ঘুম?
কেউ জানে না।
জানে না কবে হবে যন্ত্রণার উপশম।
শুধু জানে
মরুদ্যানকে সবুজ পত্রময় করে হলেও
জোছনায় ভাসবে পৃথিবীর ঝর্ণার জল
পৃথিবীতে ভাসবে, পৃথিবীরে ভাসাবে... ভালবাসায়।
নিয়ে যাবে তারে গভীরতম গভীরে
যেখানে জ্বলজ্বলে জীবন্ত সব অনুভূতি
যেখানে ভাষা ফিরে পাবে সব আকুতি;
রবে বিগত, অনাগত, সমাগত, সম্ভ্যাব্য ভালবাসাবাসি।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

কোন কিছুতেই লাগে না মন।
ঘুর ঘুর সারাক্ষণ।
চুপ থাকার ক্ষণ ভরিয়ে দেয়
মেঘলা দিনের ক্রন্দন।
পথে বিপথে চলার দহন
ব্যথা পায় অবুঝ চঞ্চল চির দুঃখী মন।
কথা নাই ভাষাহীন,
চেয়ে থাকে দৃষ্টিহী্‌ন,
আমাকে করে আনমনা আমার মন।
এখনও আসেনি যদিও মহা মহান মহেন্দ্রক্ষণ-
অথচ আমার কত কিছু ছিল বলবার, বুঝবার
বাকী রয়ে গেল চর্চা- ভালবাসার।
তবু সে দুঃখে শ্রান্তিতে,
ডুবে যেতে চায় ভ্রান্তিতে
ভালবাসা ভালবাসার নেশায়
প্লাবিত হয় মোহগ্রস্ততার সংসার, ভেসে গেছে সারা সার
তবু সে লুকাতে চায়, শব্দ নয়, ব্যথায়।
দারিদ্র তার ছাড়েনিকো পিছু আর- ভালবাসার।
মন পেতে পারেনি যুগ যুগান্ত অনাদি হতে অনন্ত কালের
উষ্ণ নিঃশ্বাসের তলে লোহিত কণার স্রোত।
হৃদয়ে প্রবল বেগে বহমান ঝর্ণার কলতান
বুদ্বুদ হয়ে উড়ে গেছে, মিলিয়েছে শূন্যে,
রয়ে গেছে এক একটা লহমায় এক একটা জনম- প্রতীক্ষার, যন্ত্রণার।
এখন আমার মনেতে সুর্য গ্রহণের আঁধার, সেখানে রাখা ইচ্ছা চঞ্চল
আঁধারেও খোঁজে সিক্ত অধর, আগ্রাসী চেতনারে ভরিয়ে দিতে নিষিক্ততায়।
পৃথিবী ঋতুমতি হয়
শ্রাবণে, বর্ষায়
তবু তার সন্তান বেড়ে ওঠে, বেঁচে থাকে ভাদ্রে মাঘে ফাল্গুনে
আমারও তেমনি মন খোঁজে সারাক্ষণ
প্রিয় প্রিয়ার কথোপকথন।
ভুলে যায় বিগত শাপ, বিগত যা কিছুরে মেনেছে পাপ, পিছু পথ বেদনাময়তার
নিজেকে ছেড়ে হয় আনমনা।
ফুলের থেকে ছুড়ে দিয়ে দূরে- কীটের ভক্ষণ লোভী ভালবাসা
জাগাতে চায় চরাচরে, সভ্যস্থলে নব জীবনের নব তান; মৌমাছি, ভ্রমরের মধুময় প্রণয়ের জয়গান
প্রণয় প্রেম ভালবাসার শ্লোগান, ক্ষোভে কি হাসিতে চিরদিন জানি রয় অম্লান।
তবু প্রতীক্ষায় প্রতীতি হয়েছে ক্ষয়
একমাত্র, শুধুমাত্র ভালবাসায়
ফিরে পেতে পারে প্রাণ।
ভালবেসে নিমিষে হতে পারে যে কোন সঙ্গীত, জীবনমুখী গান।
মন উচাটন
মন আনচান
মন... অপেক্ষমাণ
নূপুরের নিক্কনের, ভালবাসার আহ্বানের
অধর থেকে হৃদয় অবধি বিস্তৃত চুম্বনে
আরও অজস্র জনম দোঁহের দেহে
গড়ে নেবে অভিন্ন আবাসন
জোছনায়-রোদ্দুরে, অভিমানে-আদরে, লক্ষ কোটি বছর অষ্ট প্রহরে।
কোথাও লাগে না মন- বলেছে আমায় সে স্পষ্ট স্বরে
একাকী রবে না আর- অধর আধার।
প্রণয়ী হবে সে এখন,
আমার মন।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

আমি চাই চিরহরিৎ বনের মত
সবুজ হয়ে ওঠে যেন আমাদের ভালবাসা, চেতনায়
হলুদ হবে না একটা চিঠির পাতাও
ঝরে যাবে না কোন স্বপ্ন পত্রপূট
চুমুতে চুমুতে বৃষ্টি নামাব আমরা
শীতলতা থাকবে না আর
যে দৃষ্টিতে ভলবাসা হয়ে রয় জোছনা কমল
আমি চাই অনন্ত মহাকাশের শূণ্যতায়
মিশে যাবে দীর্ঘ লালিত প্রতীক্ষার প্রহর
রাত জাগা পাখিরা রবে না আর নিশ্চুপ
কোন কিছুতেই
বিরহী পাখি ফিরে পাবে
কোরাসের সুর যুগপৎ অন্তরে
তারপর
রাতভর
ভালবাসা বিনিময়
সুরেলা ছন্দগীতে মোহময়
আমি চাই
চোখের ঝিনুক
প্রখর সূর্যের আলোয় মুখোমুখি জমানো মুক্তার অশ্রুজল
আমি চাই
পাথর চিড়ে ঝরণা হোক
ঝর্ণা থেকে নদী- একোটাই যার মোহনা
জলের ছল পাবে হৃদয়ের স্পন্দন
হৃদয়ের ভাষা,
আমি চাই
আমাদের মিলিত স্বেদবিন্দু হয়ে উঠুক আকন্ঠ তৃষ্ণায় পদ্ম সরোবর
আমাদের শঙ্কা, আভিমান ঈর্ষা হবে পরিমিত
বোধের সীমায়
আর সব সহবত, নহবত আমরা করে নেব কোন একদিন সহজাতমতন
আমাদের ঠাট্টায়, আদরে ঘনিষ্ঠ লাল বিকেলে,
তারার ঝালরের নিচে, চূড়ায়, গুহায়, মুষলধারা বৃষ্টিতে, কুয়াশায়, সৈকতের বালুতটে
আমার, তোমার, আমাদের নিবিড় আলিঙ্গন
এক একটা মহাকাব্য
এক একটা বিঠোফেন স্বরলিপি
এক একটা গম্ভীর শৃঙ্গার শীৎকার
আমি চাই ভোর এসে চায়ের কাপের সাথে পৌঁছে দেবে
প্রেমমগ্ন ঊষার জন্ম সংবাদ, আরও একটা জনম
আমাদের যুগলের
আমি চাই
আঙুলে জড়ানো নিঃসঙ্গতার শাপ
বিলীন হবে, নিঃশেষ হবে
তোমার চুলে, চিবুকে, কণ্ঠায়, ত্বকে, গ্রীবায়, চোখে
জড়াবে তারা
তোমার আঙুলে যেনবা পরজীবি পরাশ্রায়ী উদ্ভিদের মত আমার আঙুল
নিউরনের অনুরনণ ফিরে পাবে
সৃষ্টির প্রথম লগ্ন হতে কুড়ানো গঞ্জনা
মুছে যাবে
আপন আপন ভালবাসায় জাগ্রত অনাদিকাল
গড়ে নেবে কালজয়ী নকশায় যদি চাও কংক্রিটে মোড়া অথবা মেঘের ভিতর নিরালা জতুগৃহ
সবুজে নীলে, খয়েরি ও লাল, সাদা বেগুনী দলরাজি
একাকার হবে
প্রেম সংশ্লেষণ
আমরা হব নির্ভার- বিগত বেদনার
আমরা হব নির্ঝর- পাহাড় প্রমাণ হিবাহ হতে
আমরাই হব নিঃসংশয়- আমাদের বোধনে, চেতনায়
চির সবুজ- চিরহরিৎ
ভালবাসায়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

তারস্বরে চিৎকার- বারবার বারবার
কান্নার, কষ্টের, অবোধ্য প্রয়োজনের
সহজবোধ্য অন্য সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের
প্রাপ্তির প্রত্যাশার আকাঙ্ক্ষার জটীল সমীকরণ
একক প্রতি গুনাগুণ নিয়ে চোখের সামনে নাচে অবজ্ঞা
নেচে চলে তীক্ষ্ণতম শর- শণিতের নেশায়
হৃৎকম্পনের অলিন্দে আহত রক্ত এসে জমে
বন্ধুবৎসল হৃদয় মাতে জিঘাংসায়, ক্ষোভে,অহংকার হরণের যুদ্ধে এবং ঈর্ষায়
বিগত দিনের বন্ধনে অথবা এখনও আসেনি এমন দিনের প্রতি।
সবখানে স্থির মুখচ্ছবি দোলে
দৃষ্টি আড়াল করে দীর্ঘ সৈকত, প্রাণোচ্ছল চোখ, চোখের দৃষ্টি
একটা বা প্রত্যেকটা কষ্টের বর্ণনাতীত ব্যাখ্যা আমার অন্তরস্থ পরিমন্ডলে পরিব্যাপ্ত হয়
প্রাকৃতিক প্রলয় বা প্রকৃতিগত বৈষম্যে অথবা মজ্জাগত নীল লোহিতের যে স্রোত বাধা হয়েছিল
সেইসব ব্যবধান অস্বচ্ছ ঘন কঠিন বরফের মত শীতল
ধ্বংসাত্মক রকম ভাবে নাগরিক বোধকে করেছে বিঘ্ন
আরম্ভ হয় নাই যার তারও জন্য বিমূর্ত হাহাকার
প্রারম্ভিক আলোচনাতে কেবলই দুর্নাম
মধ্যভাগে মধ্যরাত পোহাবার জন্য তারা গুনে গুনে রাখা
তাদের উত্থান পতনে যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ সমীকরণ
বিশ্বাস ছিল হব আস্থাশীল
হৃদয়ে ক্ষত দীঘিতে শতধা হওয়া চাঁদের গায়ে
বিম্বিত অক্ষরে লেখা হি-রি-দ-য়ে-র পে-রে-ম
ক্ষোভের উৎসমূলে অক্ষমের আর্তচিৎকার
তাতে ঘনীভূত বাষ্পজল আছে, আছে দংশন,আছে গোপনতাও
শুধু দক্ষিণ চক্ষে টলটলে কষ্ট।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

ব্যথা বারিধি! ব্যথা বারিধি!!
কত গভীরে তুমি লুকিয়ে রাখো পদ্ম কুঁড়ি!
ফাল্গুনের তপ্ত দুপুর লুকিয়ে রাখো বেমানান মেঘমালায়,
উদ্বায়ী দুঃখ বিষাদ সীসাভারে হয় ভারী।
গভীর লোনাজলেও তারা চির অমলিন।
হেলার হোলিতে যদি মাতো,
রুধীরে মাখো যদি রঙ,
যদি নিশ্চুপ হয়ে থাকো যুগলের রাত জাগা প্রহরে,
কথা না কও ভালবেসে তবে
তৃষিত হৃদয়দেশ তুষের আগুনে হবে ছাই।
জানবে না দহনে পুড়ে গেল কি না শিল্পমণ্ডিত প্রেম।
রৌদ্রঝরা ফাল্গুনের দিন মেঘে মেঘে অযথা ম্লান হয়ে রবে,
লাজুক মুখচোরা মন ব্যস্ত ভীড়ে প্রাণহীন হয়ে রবে
বিষাদের বাষ্প কণা জড়িয়ে রবে কণ্ঠায়।
পূর্ণিমার চাঁদ ঘোলাটে হয়ে যাবে,
বিষন্ন রঙা মেঘে ঢেকে যাবে অভিসারী জোছনা।
ব্যথা রবে না আর বুকের খাঁচায়
ছড়িয়ে যাবে তেজ কটালের জোয়ারের মত প্রতিটা রক্ত কণায়,
অনুভূতিতে,
প্রতি পদচারণায়,
সবখানে।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

তুমি, আমার কাছে তোমার তুমি একটা বিশেষ্য, তুমি বিশেষ্য জন।
তোমাতে বাস সব অসাধারণ বিশেষণ।
আর আমি সর্বনাম।
যেন তেন একজন 'সে', অথবা যে কেউ।
তোমাতে জমা আমার আনন্দ ভাগের সবটুকু অব্যয়।
আমাদের ক্রিয়াকরম এখনও দ্যাখো প্রত্যক্ষ প্রেমের থেকে দূর বহুদূরের অসমাপিকা ক্রিয়া।
আমাদের প্রেম পদাবলীতে দুঃখ,বিষাদ,বিরহ এসেছে বার বার বহুভাবে বহুবার,বহু বছরের, বহু জোছনার...
এসেছে প্রেম বিষ্ময়সূচক চিহ্ন নিয়ে।
হাহাকার, আর্তনাদ, প্রতীক্ষা আর দুঃখ আলোতে ভরা।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

এখন ঘুঘু ডাকা ঘোর দুপুর,
আকাশের নীলের মধ্যে মেঘের সারি,
মনে হয় যেন দিগন্ত ছুয়ে ঘন সবুজ পাহাড়ের বন...
যেখানে আমি ভেবে রেখেছি আমাদের ঘর বাড়ি।
বিস্তির্ণ বন্ধুরতায় আমাদের বুকে জমানো 'কষ্ট বহ্নি' থেকে
জ্বালবো অজস্র অনির্বাণ দীপালী প্রতি জোছনার দেওয়ালী উৎসবে।
সে আগুন ঝরা আলোয়
হবে পরস্পর শুভদৃষ্টি বিনিময়, প্রতিদিন।
আঁচলে শুকাবো ঘাম,
কাজলে মেশাবো নাম,
অধরে উষ্ণতা,
বোধে প্রশান্তি আর
ভাবনাতে ভালবাসা।
শুধু ভালবাসা।
অথচ ভালবাসার এই অগ্নিগিরির শহরে এমন দৃষ্টি ঝলসানো দুপুরে
আমি ডুবে আছি অন্ধকারে ।
আমি তার অগ্নুৎপাতের পাচ্ছি না কোন শব্দ।
যুগান্ত দাবানলের দহনে বরং
যোগ হয়েছে হোমাগ্নি, এক হাস্যোজ্জ্বল নারীর মুখচ্ছবিতে।
এই যে পৃথিবীর পথে পথে সবুজ পাতায় ঝকঝক করে ওঠে রৌদ্র
আশু শীতেই তারা ঝরে যাবে আগামী ফাল্গুনে ফিরবে বলে
নব জনমে,
নব সবুজ নিয়ে নবঘনের নিচে।
গ্রীষ্মে,
বর্ষায়,
শরতে,
হেমন্তে
আবারও হাসবে,
ভিজবে,
জোছনা মাখাবে,
জৈবিকতর অংশ হিসেবে জিরোবে মেঘের ছায়ায়।
শুধু তোমার আগমনী বার্তায় এখনও মিশে আছে প্রতীক্ষার কাঁটা।
হৃদয়ে অবিশ্রান্ত রক্ত ক্ষরণ,
অতি গোপন অশ্রু আহরণ,
অস্তিত্ব জুড়ে আলোড়ন
যেনবা দূরদেশ চলে গেছে সব দুরন্ত শিহরণ...
অজানা কারনে বা
অকারণ।
এসো এই জনমের বাকী দিন ভিজি ভালবাসায়,
ভাসি জোছনায়
আমরা যুগল যুগপৎ।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

দ্যাখো এই অন্ধ রাত্রি উন্মন হয়ে আছে সূর্যোদয়ের প্রতীক্ষায়,
সবুজে মেলবে বলে মুগ্ধ দৃষ্টি।
চেয়ে থাকে ঠায় দিগন্ত বরাবর
উষ্ণ উজ্জ্বল সূর্য কিরণে মেলে দেবে পাতায় পাতায় জমা অশ্রু শিশির,
নীলের মাঝে গোপনে রাখবে বলে ব্যাথা নক্ষত্ররাজি।
যেমন আমি চাই রেখে দিতে তোমায় অলিন্দে নিলয়ে,
সিক্ত পক্ষ্ণ ডোবাতে চাই ভালবাসা ওমে,
বৃষ্টি নামাতে চাই পেলবতা মাখা ত্বকে।
মনে হয় যেন সময় অন্ধ! সময় বধির!
দূরবীক্ষণে সে রেখেছে তোমায়,
আহতের আর্ত হাহাকারেও সে বধির হয়ে রয়।
ভালোলাগায় বিমূর্ত একটা আধটা মুহূর্ত ভালবাসার সাথে...
রেখেছে বন্দী করে দৃষ্টিসীমার বাইরে।
অনুভবে যুগান্ত তৃষ্ণা
বুঝিবা তলিয়ে যায় পংকিলে,
জোছনা হারিয়ে যায়,
এসে যায় পাতা ঝরা দিন,
শুভাশিষ মিশে যায় বুঝি আমার কানন ছেড়ে বুনোফুলে।
সঞ্চিত সাধে মেশে প্রতীক্ষার বিষফল,
পাথর সময় মাথা কুটে ফেরে পুজারী হৃদয়,
ঝর্ণার জল নদী হয়ে মিশবে মোহনায়,
দুর্যোগে উপদ্রত উপকূল পাবে সুপেয় জল।
তাল লয় সুরে কথামালায়, শুধু বেসুরো দীর্ঘশ্বাস আর
ইথারের বায়বীয় সংকেত জমা হয়।
দ্যাখো তবু এখনও এই অন্ধ রাত্রি বসে রয়
প্রতীক্ষায়, বুঝিবা বন্ধ কালের চাকায়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

পার্বণগুলি তুমিহীন হয়ে যায় নিতান্ত সাদামাটা
তুমি বিনা আটপৌরে দিন ভরাট হয়ে থাকে বিষন্নতায়
তোমায় ভাববো না ভেবে ভেবেও ভাবনায় বিভোর এক একটা দিন
তোমাকে দিতে চাই ভালবাসা করে
যতগুলো বিকেল,
যতোগুলি মুষলধারা বাদলের দিন
যতগুলি জ্যোৎস্না,
মুগ্ধ সকাল
বহু বহু গুণ করে।
উৎসব মুখর শহরে আমার বিষন্নতা লুকাতে চাই
জনারণ্যে ঢেকে রাখি একাকীত্ব
তুমি বিহীন সব শহর, নগর, বন্দর, জনপদ
বিশেষত্বহীন।
যে যুগল পরস্পরকে দিয়েছে হাতে হাত রাখার অধিকার
তাদের কাছে যাই না আশীর্বাদ কুড়াতে
কবল প্রতীক্ষার প্রহরগুলিকে দিতে চাই স্বল্পায়ুতার শাপ।
এই মুহূর্ত থেকে প্রতীক্ষা কষ্টকে ভুলিয়ে দিতে চাই পুনর্বার ফিরে আসার পণ, পথ ও প্রত্যাশা।
প্রথিতযশা করে তুলতে চাই প্রণয়, প্রাণে।
চুম্বনেরে দিতে চাই দুঃসময়ের দীর্ঘতা।
তোমাকে জড়াতে চাই এমনকি ভুলেও।
চোখের তারাকে দিতে চাই অনির্বাণ করে
ভালবাসা নক্ষত্রের দ্বৈত আকাশ আমার।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

ঘুম ঘুম কুয়াশা,
শীতার্ত ধূসর দিন,
মিশে থাকে দারুন আহ্বান যুগলের তরে,
স্বেচ্ছাবন্দি থাকার,
নেশাতুর দৃষ্টি দেখার,
ভালবাসা মাখিয়ে রাখার,
গড়ে তোলা প্রাসা্দ..
আস্থার,
আশার।
যার এমন প্রহর রয় প্রতীক্ষার প্রহরায়,
বেমানান নিঃসঙ্গতায়,
কিংবা বিষাদ বিষ মেশে সকল ভঙ্গীতে, সুরে, সঙ্গীতে,
তার তরে ব্যঞ্জনাময় প্রেম,
বহু বহু পৌষের আস্তরিত শীতলতা জয়ী উষ্ণ আদর,
চৈতন্যে মরুময়তাএ মেশাতে ষোড়শী সবুজ,
চলে এসো এই বেলা মেটাতে হৃদয়ের দায়,
অনুভবে মেশাতে শ্রেষ্ঠ শিহরণ।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

একটা চিঠির জন্য অপেক্ষা কত মধুর
তুমি জানো না।
পৌষের একটা শীতার্ত রাত স্পর্শ মেখে হতে পারে ভীষন উষ্ণ,
ক্ষুদ্র,
নাতিদীর্ঘ।
তুমি তা বুঝছো না কিছুতেই।
এক একটা মহামূল্য জ্যোৎস্না নিঃসঙ্গতায় ম্লান হয়ে যাচ্ছে,
তুমি দেখছো না।
দিনে দিনে বোধবেদ বাক্য রক্তাক্ত করে দিলো ভিতর-বাহির
তুমি শুনছ না।
শুনতে চাইছ না।
চোখে ভার হয়ে আসে চোখের তৃষ্ণা,
তুমি তবু ভালবাসা নিয়ে আছ দূরে।
আসছো না;
আসছো না।
বহ্নি জ্বলে,
বেদনা ভুলে তবু ভালবাসা জানাতে আসি তোমায়, ভালবাসা।
তুমি এমন পাথর নিরব হয়ে থাকো,
আমি লাভায় ভেসে যাই বহুদূর,
তবু করুণা নয়, মায়া মোহ নয়
প্রেম চাই বারংবার।
অনামিকায় জড়াবো তোমার নাম,
হৃদয়ে দিতে ধনুকের ছিলার টান,
দৃষ্টিকে দিতে ও মুখচ্ছবির সহজলভ্যতা,
সকল বিকেল গুলিকে দিতে অমরতা।
শুভ দৃষ্টিকে বানাবো দাহকালের এনসাইক্লোপিডিয়া,
লুটেরা হৃদয়কে দেবো প্রেমের সন্ধিনা্মা,
অমরায় লালিত ভালবাসাকে দিতে চাই শ্রেষ্ঠত্ব,
আর...
তোমাকে পেতে চাই আগামী স-ব জনমে।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

ভালবাসি শব্দটা ভরা পুর্ণিমায় প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসে আমার কাছেই বারবার
কোমল সুধাকর বহ্নি হয়ে জ্বলে।
বারুদ হয়ে জমে থাকে আকাঙ্ক্ষা প্রবল।
জোছনায় গা ডুবিয়ে হাঁটি
ছায়া হয়ে থাকে অন্ধ অনুভূতি
কথোপকথনের প্রয়োজনীয়তা দুঃসহ নিরবতায় দুর্বিসহ একাকীত্বে ভারী হয়ে থাকে
তুমি প্রহসনের চাদর যদি জড়িয়ে রাখো গায়
ভীষন ভাললাগা এমন সন্ধ্যায়
এমন উথালী জোছনায়
তৃষিত অমরায়
তবে ব্যর্থ হবে অনুভবের শুদ্ধ আকুলতা যত।
যদি চাও স্থিত আবেগের,স্পন্দন অনুরণনের,বহু বহু জনমের বিশ্বাসের ব্যবচ্ছেদ তবে
পেতে পারো অতি নাটকীয়তার উদাহরণ
শুন্য শূন্যতার ব্যথা
কিছু ভয়ংকর উপকরণ অথবা
পদ্মে ভ্রমরের একটানা গুঞ্জরণ অথবা
পুরপুরি আমাকে।
কী প্রয়োজন তার বলো
আমাদের এখনো অনেক ভালবাসাবাসি রয়েছে বাকী।
অনেক
অনেক
অনেক এবং
অনেক।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

আমি অবাকই হই এতগুলো আনন্দাশ্রু নিয়ে আমি দুঃখগুলোকে করেছি নিমজ্জমান
তবু বোধের ভেতর বাহির ব্যথায় পেয়েছে পূর্ণতা।
যে অধিষ্ঠমান থাকে নিশ্বাসের কাছে,
যে কায়মনো বাক্যের চাওয়া,
যার জন্য উচাটন অনুপল অনুক্ষণ,
দীর্ঘ চৌপহর শেষে যে তারাগুলি ফিরে আসে প্রতিদিন
সে থাকে আমার থেকে তারও বেশুমার দূরে।
যে পোড়ালো দাবানলে যুগান্তকাল
সে এসে ইথারে রয়,
ছায়া লুকায়,
রয় তিন শতক ক্রোশ দূরে আর হৃদয় প্রদেশ মরুকরণে রয় চুপ।
তারে ভালবাসি শব্দ শোনাই,
তারে ছুঁই দূর উপগ্রহ হয়ে কদাচিৎ।
মুহূর্তগুলি হয়ে উঠতে পারে না দায়হীন।
দেনা বেড়ে চলে।
বেড়ে চলে তৃষ্ণা, কান্না, দহন, হাহাকার তোমার নামে।
কখনও মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে দুঃস্বপ্নে, বা পিপাসায়
তোমাকেই চাই পাশে প্রতিবার।
কখনও মনে জেগে ওঠে শঙ্কা, লজ্জা, ভয়
তোমাতেই লুকোতে চাই থরথর হৃদয়।
তোমাকে শুধু তোমাকে পেতে চাই ভালবাসা সমেত
আর কোন চাওয়া নয়,
তোমাকেই গন্তব্য মেনেছে তাই বোহেমিয়ান হৃদয়।
তোমাকে মেশাতে চাই ভাবনায়, ভালবাসায়, উন্মূল বাহুমূলে।
আমাকে হারাতে চাই তোমার অঙ্গুলী হেলনে, দৃষ্টিতে, ঐ চুলে।
তোমায় দিতে চাই বহুদূর হতে এসে শেষে শ্রান্তির ঘুম,
অজস্র উষ্ণ,সিক্ত, আর্দ্র দীর্ঘ ভালবাসা চুম।
আমায় পোড়াব না নতমুখে আর,
হৃদয়ে জড়াবো সাধ তোমায় তুমি তুমি বলে ডাকবার।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

অন্ধ রাত্রি সূর্যকে নিয়ে ভোর হয়ে ওঠে
তবু জমাট কুয়াশা অভিশাপের মতো ঘিরে আসে
এমনকি শ্রেষ্ঠ একটা দিনেও।
অভিসার সুখ ঢেকে রাখে চাদরে
শীতল করে রাখে দশ দশটি আঙুল
উষ্ণ রৌদ্রকর থাকে দূরে, আড়ালে।
তুমি ঠাট্টাচ্ছলে হাসতে পারো তবু
ছটফটে প্রাণের ক্রন্দনটাকে ভুলো না।
বুঝে নিও তুমি এভাবেই অবিনশ্বর সময়রে মাঝে আমাদের চলে গেছে দিন
যুগল যাপনের।
এভাবেই আমাদের চির যুগলের জমেছে বহুবিধ বহু বহু ঋণ, ভালবাসার।
তুমি আজ থেকে আর শুন্য রবে না আর
হবে বৃত্ত, ভালবাসার।
বিন্দুকে দেবে অধিকার, পরিবাহিতার।
কেন্দ্রবিন্দুকে দেবে তার সবটুকু পরিসীমায় পরিবাহিতার সম অধিকার।
যেখানে সময়ে ভর করে দুঃসহ প্রতীক্ষা,
চলৎশক্তিহীন করে রাখে চঞ্চল ঘড়ির কাঁটা
অথবা তার আবর্তনে স্থির হয়ে থাকে স্বাভাবিক পরিবর্তনশীলতা,
শীতার্ত কুয়াশায় সিক্ত করে রাখে চোখের পলক
ওড়াওড়ি ডানার পালক
সেখানে রেখে দেব আমাদের প্রেম
পরস্পরকে অনুভবের সর্বৈব বাসনা এবং
সবগুলি উপকরণ সম্ভার।
আমরা চেয়ে নেব প্রেম,
আমরা বিগত বিরহকাল শত সহস্র জনম করে চাইবো বহু বহু ভালবাসা মুদ্রায়
কিনে নেব কিছু চুমুতে সিক্ত উষ্ণতা
প্রলেপ করে পৌঁছে দেব ত্বকের ভেতর হয়ে প্রতিটা নিউরন সেলে
দেব অলিন্দ নিলয়ের দগ্ধ অমরায়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ, পেরিয়ে গেলে রাত্রি দ্বিপ্রহর
ধীর পায় অরুণোদয়ের দ্বারে হয় অবতীর্ণ।
চোখ তার লাল,
গায়ে তার বিষন্নতার গন্ধ ছড়ায় পৃথিবীর পরে,
তারা নক্ষত্রগণ কথা কয় নিশ্চল থেকে থেকে, তবু পৃথিবীর পথে পথে নিরবতা কাটে না
পরাণ পোড়ে তার, প্রতিবার
রাতের আঁধারে নিয়ন নিয়ে নেয় অধিকার আর
জোছনা হারায় নিয়নের হলদেটে আলো মেশা আবছা অন্ধকারে।
কবাটবদ্ধ অন্ধকার কোন এক যুগলের জন্য না এলে অবগুন্ঠণ ছেড়ে স্মিত হাসিতে ,
হবে না দিনের দিন হয়ে ওঠা।
যাপনের শুরু।
হৃদয় পাবে না এক লহমার শান্তি
অর্থপূর্ণ ভালয়াবসা রবে অধরা
কোষের কণায় কণায় রবে অপুর্ণতার আস্বাদ।
যোজিত না হলে ইলেক্ট্রনে ভালবাসা লেনদেন
এ পৃথিবীর সবুজে, সজ্জায়, স্পন্দনে, প্রাণের বন্ধনে শূন্য হয়ে রবে।
ভালবাসাহীন হলে পৃথিবী হারাবে তার আহ্নিক গতি।
চিরন্তন যা কিছু মিথ্যা হয়ে যাবে।
শুন্য নয়, মিথ্যা নয়
ভালবাসা ঠিক ঠিক একদিন ভালবাসা পাবে।
বিনিদ্র পক্ষ্ণ আনন্দ অশ্রুজলে নিষিক্ত হবে
পাবে রত্নাকর সমুদ্রের নির্জলা গৌরব।
আঙুলে, আলিঙ্গনে, ভঙ্গির ভাষা বিনিময়ে, কথপকথনে,
উৎকর্ণ নিউরণে, চুমুতে, চাহনিতে, অন্তকরণ ও বহিরাবরণে যুগল পরস্পর পাবে সহজাত পরিবাহিতা।
কোন এক কৃষ্ণপক্ষের অভিসার যদি রয় অপূর্ণ তাতে
ভালবাসা গতিতে ক্ষতি হবে না তবু
তৃষ্ণাতুর হৃদয় কোন এক পূর্ণিমায় আহত দৃষ্টিতে নোনাজলের আর্দ্রতা মাখাবে।
ছটফটে উচাতন মন নীলচে হয়ে যাবে।
হৃদয়াধারে প্রতীক্ষা বিষ আরো জমে যাবে।
ফাগুনে শাওন রবে,
ভাদ্রে খরা,
ভালবাসাহীন এক একটা মুহূর্ত বেঁচে থাকার...
অনন্তকাল হয়ে রবে।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

তখন আমি সবচে সুখী,
যখন বুঝতে পারি তোমার ভালবাসা।
যদিও মরুর জলতেষ্টার মতন তোমাকে ছোঁবার, নিবিড় করে কাছে পাবার ইচ্ছারা এসে
আমাকে শোনায় দাহকালের গান।
তবুও আমি সুখী।
তোমার ভাবনায় মিশে থাকে আমার নাম
এই ভাবনায় আমার ভিতরে সকলের অগোচরে জেগে ওঠে সুহাসিনী নির্ঝরিণী।
কোন কোন অন্ধ অমাবস্যাও আমাতে হয়ে ওঠে বর্ণিল।
আমাদের অনুভবে আমরা শুন্য থাকি না শুধু
চোখের বাতায়নে ভীড় করে অন্ধকার।
এসো, চোখের ভিতরে বুনি স্বপ্ন বাসনা সারি, আদিগন্ত ভালবাসা।
এসো, প্রতীক্ষার বন্দরেই নোঙর ফেলে জোছনায় জুড়াই মন।
চলো, এখানেই থাকি আরও কিছুটা ক্ষণ।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

আমাকে তখন যদি কেউ ডাকে আমি সোজা বলে দেবো, দুঃখিত,
আমি এখন যেতে পারছি না।
আমি এখন অন্য কিছু সেবনে ব্যস্ত।
এখন আমি ভালবাসা পান করছি।
ভালবাসার শুদ্ধ চুমু ভালবেসে করছি পান।
কোন অনুপান, কোন মহান শিল্পীর মোহন তান ছাড়াই
আমরা যুগল তখন বেঘোর মাতাল।
বহু বহু দিন প্রাপ্য প্রণয় সুধা হতে বঞ্চিত,
আমরা বাহ্যত জ্ঞানলুপ্ত দুটি প্রাণ।
আমাদের সাড়ে চার হাজার দিন পিছে চলে গেছে আরও তিন হাজার দিন বাকী।
যুগ জনম ছাড়ানো তৃষ্ণারে এইবার দাও ছুট্টি।
ভালবাসারে দাও অভ্যর্থনা,
শিমুলে বা পলাশে অথবা কৃষ্ণচূড়ার লাল গালিচায়।
স্পন্দনে আনো বিঠোফেন সুর।
চুমুতে আনো ঝংকার।
বহু জোছনা সায়রে ডুব সাঁতার,
বহু বহু পথ একলা চলার কষ্ট রয়েছে জমা।
ভালবাসার দায়খানি তো বুঝে নিতে দাও।
চেতনায় বিশ্বাসটুকু জেগে ছিল তাই কোন বিশ্বাসে পাই নাই সুরের আবেগ,
কোথাও পাই নাই সর্বনাশের এমন দ্বিধা সমুদ্দুর।
বোধনের শেষ সুরা মন্থনে সে আমার ভালবাসা,
রাত্রি শেষের ঊষা,
আমার সাধের পিরিতি,
আমার সুধা সঞ্জিবান,
আমার আধেক প্রাণ,
আমার শিয়রে জাগা রাত, রাত জাগা প্রভাত।
আমার সুখ, আমার আনমনা হবার অসুখ।
আমারই প্রেম, হৃদয় অববাহিকায় বসতির একমাত্র অধিপতি।
আমার ভালবাসা, আমার কান্না, আমার হাসা।
আমার কষ্ট, আমার আশা।
আমার প্রতীক্ষায় জাগা প্রত্যাশার ‘আমাদের ভালবাসা’।
মাঝে মধ্যে আমার মনে হয় জীবনের সঙ্গে চিৎকার করে কথা বলি,
ক্রোধে আক্রোশে কিছু একটা ভেঙে ফেলি,
দু'চোখ যেদিকে যায় যাই,
শুন্যে রেখে বাস্পরুদ্ধ কণ্ঠস্বর ফুসফুস উগড়ে ফেলি দু'একটা আর্তনাদ।
তোমাকে দেই ভালবাসা আলিঙ্গন
ইচ্ছেমতন।
নিভৃতে নিয়ে রাখি আমাদের প্রেম।
তাকে দেই দুষ্ট গ্রহ থেকে অনন্ত মুক্তি,
ইহলৌকিক ও পরলৌকিক মোক্ষলাভ।
তুমি... দৃষ্টিতে, ভালবাসা বৃষ্টিতে ভষ্ম করে দেবে যদি থেকে থাকে
থরের থেকেও বড় কোন শাপ।
দিতে বাদশাহী সুখ
বিগত দুঃখ গুলোকে দেবে দূরদ্বীপ নির্বাসন।
অশান্ত তনুমনে দেবে চুমুর শান্তি,
অনুভবে রবে দিনমান।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

ফাল্গুনের কুয়াশা শরতের মেঘ হয়ে নামে পথে পথে।
ঝাপসা দৃষ্টি ফেলে মরা কটালের চাঁদ,
দেখে পৃথিবীর নিশ্চুপ মুখ।
তবু মাটির হৃদয় ভেদ করে ছুঁয়ে যায় শিশিরের কান্না।
জোছনা জাগে আর জাগে প্রতীতি প্রতীক্ষা,
জেগে থাকে বিতস্ত্র ভাবনা শত শত।
জাগে শঙ্কা, স্বপ্ন যুগপৎ।
রাত্রি ভোর হবে, প্রণয় রবে জনারণ্যে দেদীপ্যমান,
দিনের তারার মত লুকাবে অভিমান,
রবে আদিগন্ত সবুজ,
বোহেমিয়ানের জন্য রবে কামার্ত আহবান, চোখে।
তাবৎ গুহাবাসী হারালেও গৃহাস্তলী সুখ,
ব্যাকুল হৃদয় পাবে আস্থার বিনির্মাণ,
তৃষিত ত্বক পাবে নিষিক্ত চুম্বন,
অমরতা পাবে ভালবাসা দিন,
পুষ্প রঙধনু পাবে হীরক বিচ্ছুরণ, হাসিতে।
ফাল্গুনের কুয়াশা শরতের মেঘ হয়ে নামে পথে পথে।
বড্ড বিষন্ন হয়ে থাকে হাওয়া।
আর্দ্র হয়ে থাকে মৌনতা,
কেননা কোন শব্দের সাথেই আমার কোন সংশ্রব নেই।
তুমি এখনও শখে, সুখে অথবা সময় নিরিখে থাকো দৃষ্টি ছেড়ে দূরে,
আমারে দেখো না হলাহলে নিমজ্জমান
তাই আর্তনাদেরে বলো আহবান।
অধিকারকে ভাবো আবদার,
প্রাণের প্রয়োজনকে বলো গৌণ।
আমি দেখি পথ, তুমি বলো পঙ্কিলতা,
আমি বলি মানবিক ভুল, তুমি বলো মনের রঙ্গিন ফুল।
আমি বলি প্রত্যাশার, পূজার প্রেম,
তুমি বলো ইথারে অস্পৃশ্য শুদ্রের প্রতীক্ষা রাগিনীতে প্রার্থণা ভজন।
আমার ভেতর দেখো কৃষ্ণচূড়া সারি সার পুষ্প পত্রহীন
কঠিন বল্কলে মোড়ানো স্বপ্ন সাধ রাশি রাশি যন্ত্রণায় জাগে অন্তর্গত অস্তিত্বে বারংবার
বারবার পলে অনুপলে পোড়ায় প্লাস্টিডে জমা রঙ
অনুভবে জমা অনুরাগ, অভিমান।
ত্বকে তৃষ্ণা, চোখে দিগন্ত জোড়া শূন্যতা,
এই নিয়ে চাতকের কেটে গেছে যুগান্তকাল ছাড়িয়ে আরও কত কত দিন...
এবার তো বৃষ্টি নামাও
চুমুতে দাও সাড়া।
হৃদয় রুধিরের ফল্গুধারা শুদ্ধ আবেগে হয় যদি হয় হোক ভীষণ বল্গাহারা,
জীবনের সব প্রভাতে তোমাকে চাই; এসো, হও ঊষা আলোকধারা ।
প্রণয়ে দাও সাড়া।
বিরহ, প্রতীক্ষা,কান্না, অভিমান যুগ ছাড়িয়েছে
এখনও বাহুবন্ধনে হয়নি উষ্ণতা বিনিময় যথাযথ,
ভালবাসি হয়নি বলা স্পন্দনের ভাষায়,
তবু ফাল্গুনের কুয়াশা শরতের মেঘ হয়ে নামে পথে পথে।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

যে শহরের বেলাভূমিতে শুরু হয়েছে মরুকরণ,
সমুদ্র হারিয়েছে তার গর্জন- হ্রদের মতন
যেখানে জোছনা হারায় নিওনের মাঝে
যেখানে লক্ষ জনতার ভিড়ে ঘুরে ফিরে এক একটা নিঃসঙ্গ মুখ
বৃষ্টিতে বা কৃষ্টিতে উল্লাস অনুভব হয় না সৃষ্টি
সেখানে তারার আলোতে আর
দিনের আলোতে থামেনা
মেঘলা হাওয়ার আসা যাওয়ার
রাত্রি দিন সমান নিদ্রাহীন।
শুধু স্বপ্ন...
স্বপ্ন জেগে রয় চোখের চারপাশে
মনের ঘরে, নিউরণের আঙিনায়
তন্দ্রাহীন, আলোহীন সুদীর্ঘ রাত্রির মত
স্বপ্নের মুখেরা মুখরা হয় প্রহর শেষে।
দৃষ্টিতে তারা শব্দহীন
দিনমান তাই নিদ্রার আয়োজন
শ্রান্তিরে নিয়ে আসা হৃদয় গহবর হতে
পায়ের আওয়াজ, সামান্য বোধে তারা হয়ে যায় লীন
সেখানে সেই শহরের কোন এক নিয়ন্ত্রিত সভায়
তুমি আমন্ত্রিত
তুমি এসেছো আমার প্রবেশাধিকারহীন শহরের সৈকতে।
আমি জানি আমার ছবি ছাপা হয়ে আছে
শহরের সব পোস্টারে, সমস্ত সরাইখানায়
প্রত্যন্ত গলিতে, রাজসভায়, বিচারালয়ে, শোভিত উদ্যানে
জলছাপ হয়ে আছি শ্ত্রুদল, মিত্রকূল
এমনকি অনেক অচেনা'র স্মৃতিতে
তুমি আলোর বিপরীতে ঠিক ঠিক পাবে তারে
স্বপ্ন সমাগম দরবারে।
সব ঊষা ফাগের সম্ভারে
অস্তাচলের সোনালী আঁধারে
রাজপথে, জনারণ্যে, জনশুন্যে,অনিদ্রায়। ঘোলাটে দৃষ্টির কাতারে
বোহেমিয়ানের আস্তিনে
পার্বণের কোলাহলে, প্রাচীন পাথরের ফাটলে
সবুজের আদলে
আবোল-তাবোলে
বহ্নিতে, দাবানলে
যেমন তোমার মুখের, গ্রীবায়, কন্ঠায়, স্বরের টেরাকোটা ছাপ
রেখেছি উল্কি করে আহত নিলয়ে।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

এসো, আরো সুপরিবাহী করে তুলি
আমাদের স্বরগাম, স্বরগ্রাম।
আরও সহজে অনূদিত হোক আমাদের ভাষা
এসো আমাদের দৃষ্টিকে আরও স্বচ্ছ করে তুলি
দৃষ্টিতে বিস্তৃত হোক আলোচনা
গভীরতর হোক তার ব্যাপ্তি।
বাহুময় আমাদের যুগলবন্ধন আরও দৃঢ় করে
খাঁজগুলো এসো মিলাই
চলো বাড়িয়ে দিই উষ্ণতা- তাপ
যুগ জনমের ব্যাথা দ্রবীভূত হোক
গলে ঝরে পড়ে যাক অনন্ত ব্যাপ্ত বিচ্ছেদ বিরহ
নিমেষে নিঃশেষ হোক নিখিলের নিচে সব হাহা্কার
চলো চুমুতে চুমুতে শিঞ্জন তুলি।
ক্ষনিকের দৃষ্টি বিনিময়ের 'সুখ শিখা'য় পুড়ে যাক দ্বিধার অবরোধ
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সমগ্র তাল লয় সুরে নেচে যাক হৃদয়।
আমাদের আন্তসীমায়
সীমারেখার সব প্রাচীর মহাপ্রাচীর ধ্বংস হোক
উন্মত্ত সাগরের ঢেউ এসে যেমন মুছে দিয়ে যায় বালুতটের হাবিজাবি দাগ।
ভালবাসার প্রতিকূলবাসী সকল 'না'
হারিয়ে যাবে কাতর শৃঙ্গার ধ্বনিতে।
আমরা হবো ঊষার ফাগ রাঙা রবির কিরণে জাগা
শান্ত শালবন।
আমাদেরও অন্তপুরে অশ্রুমতন ঝরা পাতা বুনেছিল যে মর্মর সুর
তাতে রবে মধুময় তান
মর্মবেদনা যত আহত চেতনে, ছাড়িয়ে যাবে বিঠফোনের সব সুর
মহাকাব্যে হবে তার বন্দনা বাণী।
মহাস্রোতে স্থির রবে মনের মাস্তুল
আমাদের সব বন্দর হবে বন্দনার বেদী
মহাকালের মানমন্দিরে অধিষ্ঠিত হবে
আমাদের পরিবাহী দৃষ্টির
বিগত, অনাগত ব্যাকুলতা যত
বলিদান হবে বিচ্ছেদ বিরহের
অনাদরের, প্রতীক্ষার প্রহরের, দীর্ঘ অনাবৃষ্টির।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

যদি পঙ্কিলে রাখি পা,
অভিমানে তোমার ছায়াকে লুকিও না।
জেনো আমি উল্টো হেঁটে বৃত্ত করেছি রচনা।
জেনো আমি তোমাকেই চেয়েছি, যেখানেই গিয়েছি
যেখানে রেখেছি পা।
যেখানে রেখেছি হৃদয়, তোমাতে মেনেছে সীমানা।
তুমি বন্ধুর প্রান্তর শেষে স্নিগ্ধ মেঠপথ।
আমি দহনে শুদ্ধ হবো বলে তাই
যারপরনাই আগুনে পুড়িয়েছি সর্বস্বের সবটুকু
অবশেষ যা কিছু অশেষ হবে ছুঁয়ে দিলে তুমি আহত হৃদয়
প্রবল গভীরতা নিয়ে প্রার্থিত ভালবাসায়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

তোমার জন্য আমার ভেতর আমি বুনে রাখি কৃষ্ণচূড়া সারি,
হৃদয় রুধীর হতে তারা নেয় কুসুমের রঙ।
পুষে রাখি বৃষ্টি ভেজা সবুজ,
এই দেখো গন্ডে গন্ডে সিক্ততা।
রাখি পাতা ঝরা শালবন,
গহীনে গোপনে লেখা অগণিত ভালবাসা চিরকূট সেখানে।
আমার ভেতরে দেখো সগর্জন সমুদ্র ঢেউ,
দিগন্ত জোড়া যার ব্যাপ্তি তবু ঠিক ঠিক ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্ষুদ্ধ জলকণা কূলে উপকূলে প্রতিদিন।
ঝর্ণাগত নদী বয় আমার ভেতর ...
স্বচ্ছ স্রোতে দেখি তোমার মুখ।
আর জোছনার আলোয়ান রাখি তোমায় পরাবো বলে।
আমি দেয়ালে দেয়ালে পাথুরে টেরাকোটায় লিখেছি তোমার নাম,
আমি চিৎকারে, সাবলীল ভাষায় তোমায় বলতে চাই ভালবাসি।
আমি তোমাকে মেনেছি আমার গন্তব্য চিরকাল,
আটপৌরে চাহিদায়, পার্বণে, বন্য বাসনায়, দুঃখঘেরা প্রহরে।
তোমারে দিতে চাই সর্বশ্রেষ্ঠ প্রেম।
আঙুলে জড়াতে চাই সম্মতি, অধরে দিতে চাই উষ্ণতা।
তুমি আমার প্রেম, আমার সদা সহচরী।
তোমাতে মেনেছি তীর্থ, তোমাতে দেখেছি তারার শর্বরী।
তুমি, তুমি আমার মৌনতার, মুখরতার ভাষা।
তুমি যুগান্ত প্রতীক্ষার সঞ্চিত বাসনা,
তুমি লালপেড়ে শাড়ির সুবসনা,
আধো আঁধারে শুদ্ধ বিবসনা।
তুমি যে আমার রঙ রূপ মাখা পৃথিবী,
আমার জনম জনমের পরিণয় পরিচয়।
আমারই তুমি।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

যত যুগল ফাল্গুনের পুর্ণিমায় পেল ভালবাসা পরশ,
মুহূর্তগুলি মদির করেছে ভালবাসায়,
যারা স্বপনেরে দিল এনে প্রজাপতি পাখা
তাদের জন্য ঈর্ষা নয়, শুভ কামনা।
শুধু গোপনে আমার ভেতর ক্ষরণের ধারা পুণর্বার পায় প্রাণ।
সুন্দরের প্রতি অনীহা জেগে ওঠে।
তুমি নাই, লু হাওয়া হয়, পোড়ায় অচ্ছুৎ ত্বক।
খরা আর অনাবৃষ্টিতে চৌচির হৃদয়দেশ,
তবু কোত্থেকে যে চোখের বাতায়নে জলোচ্ছ্বাস উঠে আসে।
রঙ মাখা বিকেলে তুমি নেই স্পর্শের বৃত্তে,
অনুভূতিগুলি প্রতীক্ষায় প্রতীক্ষায় পায় চঞ্চলতা,
উদাসীনতা এসে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে।
কে যে পোড়ায়,
কেন যে পুড়ি,
কেন যে অভিমানে ধূমকেতু হয়ে ছিটকে যেতে পারি না এই কক্ষপথ ছেড়ে দূরে,
যদি যাই যেতে দেবে?
ব্যথা পাবে না তো?
এই যে ফিরে ফিরে আসি বারবার...
তুমিও কি একাধিকবার তোমার চোখের জোছনায় দেখবে না অন্ধকার অভিমান আমার?
হবে না কি ক্রন্দসী, ভালয়াবাসার?
রবে না কি শত সহস্র যুগ জনম কেবলই আমার?
আমার ভালবাসার?
তবে কেন এই জোছনায় পূর্ণ করো আহত করবার দায়ভার?
কেন দাও অস্তিত্বে দাও অপূর্ণতা?
কেন যে এত দূরে রও,
ভালবাসো... তবুও কেন যে দহনে জ্বালিয়ে রাখো অনির্বান শিখা।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

প্রজাপতি পাখা নেবে?
কিছু স্বপ্ন রঙ পদ্মরেণু করে পক্ষ্ণতে জড়াবে।
নেবে নাকি ঝুমকো জবা ফুল?
কানের দুল করে দোলাবে?
কিংবা সোমেশ্বরী নদীর কলতানে কান পেতে রবে
উজানে বা ভাটিতে যেখানে যাও উৎসমূলে ঝর্ণা দেখতে পাবে।
তোমাকে দিতে চাই শীতার্ত জোছনায় উষ্ণতা, নিশ্বাসে।
তোমায় জড়াতে চাই বাহুমূলে, বিশ্বাসে।
চল যাই, যাবে?
হাসি হাসি সূর্যের দিন বিছিয়ে দিলে অচেনা রঙের বিকেল লাল মাটির শালবনে
অবচেতনভাবে, আনমনে গেঁথে নেব অনামিকা পরস্পর।
চলো যাই দেখে আসি পরিযায়ী পাখির প্রেম,
হাজার মাইল ভ্রমণ শেষে তারা ঠিক খুঁজে নেয় মৈথুন সঙ্গিনী,
জলকেলিতে মুছে ফেলে দীর্ঘ পথের একাকীত্ব
হৃদয়ে পোড়া দাগ।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

প্রিয় পংক্তিমালা কিছু হয়ে গেছে অচেনা, এমনকি ভাবলেশহীন
প্রিয় হবারই কথা ছিল এমন কিছু স্মৃতিচারণ করা যাচ্ছে না এখন আর কিছুতেই
মন মদিরা সরোবর গড়েছে তোমার নামে, তোমার ছায়াই সেখানে দিগন্ত জোড়া আকাশ হয়ে আছে
অলস পড়ে আছে সব অস্থিরতা, সব গন্তব্যেই তুমি মিশছ অবধারিতভাবে
তুমি এসে
তুমি এমন এক এক অদ্ভূত সময়ে চক্রাকার হয়ে আছো চিন্তায় লৌকিকতার রঙে
দেখছো না বিন্দুর মাঝে যে নীল আকাশ রৌদ্রকে ছাড়া হয়ে আছে কালো
যে আকাশের মতো এমন নীল কোথাও নেই আর
যেখানে কেবল রৌদ্র এসে সবুজে শ্যামলে পলাশে শিমুলে রাঙাবে কূজন কাকলি।
যেখানে তুমি কেবল তুমি এসে দেখাতে পারো সবুজ সঙ্কেত সকল সুখের
পঙ্কিলতা থেকে বাঁচাতে পারো নিঃসঙ্গ বিরহি হৃদয়ের সেই যে জ্যোৎস্নায় উন্মাতাল হাত ছুঁয়ে পরস্পর বিভোর হবার বাসনা
সেই যে আমাদের কথা হয়ে আছে ঠিক ঠিক যাব খুব তাড়াতাড়ি ঘাসেদের বাড়ির জোড়া বিলে বালিহাঁস দেখবো বলে
পাখি দেখে দেখে পরিযায়ী প্রেম ছেড়ে বানাবে বাসা বুকের ওমে।
অথবা যেখানে পল্লীওয়ালা এক, প্রেমের কাছে জগত জোড়া যশ যমুনার কালো জলে দিয়েছিল জলাঞ্জলী
ফেলে সাগর সেঁচা রত্ন আকড় ডুবেছে গহীনে,তবু সে পেয়ে গেছে সম্ভাবনা, অভাবিত ভালবাসা, সহজে।
সারি সারি শালবনে আমরা কুড়োব প্রেমের চিরকুট
পৃথিবীকে লেখা গাছেদের
নতুন সবুজের আগাম আগমনি সাদর সম্ভাষণ।
আমরা হারিয়ে যাব গমগমে বন্দরের ধোয়াটে ধূলার ব্যস্ততায়, গোপনে।
আমরা যাব ঘুম ঘুম তাতানো দুপুরে মাঝিদের , জেলেদের, জলের ও গাঙচিলের মাঝে ঢেউয়ে ঢেউয়ে দুলে দুলে ছায়ায় পাতা পাটাতনে
আমরা যাব ঝর্ণা ছেড়ে আসা খরস্রোতা সোমেশ্বরির বালু চরে,
আমরা যাব শ্রদ্ধায় নত সৌধের পাদদেশে, চত্ত্বরে, বেদীতে

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

কোনভাবেই এখনও জানা গেল না শাপ মোচনের মন্ত্রখানি,
প্রতীক্ষা প্রহর পেল না শ্রান্তির ছোঁয়া,
জগদ্দল পাথরের মত ভারী বিরহে ম্রিয়মান হৃদয় পেল না প্রদীপ্ত প্রত্যয় এখনও
আলো এসেছে ঠিক ঠিক তবু কবাটবন্ধ জানালায় রৌদ্র এসে ব্যথা পায়
অপরিবাহিতায় আটকে থাকে উষ্ণতা।
তোমায় ভালবাসি এই ভাবনা উদাস হয়ে রয় বেমানান নিঃসঙ্গতায়
দেখ, এই ভরাট জোছনায় তুমি নাই
আশু পূর্ণিমায় তুমি রবে না তাই
আমার কাছে শব্দময় পৃথিবী শবময় হয়ে রয়
আলো ছেড়ে আঁধারে যাই
পিছে পড়ে রয় সামনে চলার পথ।
প্রতিটা পল অনুপল তুমি ছুঁয়ে থাকলে কেমন করে কেটে যাবে
যল্পনার আল্পনায় রাঙিয়ে তুলি রিক্ত হাত, হাতের আঙুল
যন্ত্রণা মিশে যায় তন্ত্রীতে,
ধমনী শিরা হৃদয় হয়ে
কিছু দীর্ঘশ্বাসে, কিছু অশ্রুতে পায় অমরতা...
কিছু জমে থাকে উদাসীনতায়, মৌনতায়, নির্লিপ্ততায়
ঊষায়,ভর দুপুর, গোধুলী, সন্ধ্যায়
পূর্নিমায় হোক বা অমাবশ্যায়।
তুমি আছো, তুমি রও,
তুমি চুপ করে থাকো, তুমি কথা কও,
তুমি ভালবাসো, তুমি অনুরাগে ডোবাও,
তুমি দূর বহুদূর হতে দারুণ পোড়াও
আমাকে মোড়াও নিষেধের বেড়াজালে,
ছড়াও তৃষ্ণা নিউরনে, চোখে, ঠোঁটে, বাহুমূলে।
এসো, এ মনের ছায়াতলে,
কাছাকাছি আরো নিবিড় বাঁধনে,যুগল আলিঙ্গনে
চলো, ব্যাকুলতা করি প্রশমিত
এই জনমের মত।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

যেন আমার নতমুখে তোমার শতসুখ,
যেন আমি পরাস্ত হলে তুমি পুলকিত হও
তুমি রুদ্র হও যখন
আমি আমাকে শুদ্র ভাবি তখন
জোছনাকে মনে হয় তরল অন্ধকার
পথকে মনে হয় অপার্থীব, অচেনা।
তুমি আমার অস্থিরতাকে বলো অযৌক্তিক, বাড়াবাড়ি
আর আমার স্পন্দনে অদ্ভূত নিরবতা নামে
প্রবল প্রলয়ের পর যেমন মুখ থুবড়ে পড়ে রয় পৃথিবী।
তুমি প্রলয় আনো, প্রবঞ্চনা আনো
পরাবাস্তব লৌকিকতা আনো ঢের
শুধু শুন্যতাকে দেখো না আমাদের, আমাদের প্রণয়ের।
তুমি খেয়ালকে বলো ভালবাসা, ক্ষরণকে খেয়াল
তুমি প্রতীক্ষায় ডুবিয়ে রাখো প্রেম
দেয়ালে দেয়ালে মহপ্রাচীর করে আঙ্গুলের দাস্তানা বানাও।
তবুও আমার কেন মনে হয় সব দেয়ালের দেয়ালিকায় লেখা আমাদের নাম
প্রতীক্ষায় প্রথিতযশা হবে আমাদের প্রেম
প্রত্যাবর্তনে পড়ে রবে না কিছুই যা কিছু পাওনা পরস্পরের
মিলনে মদির রবে আঁখি যুগল
বধির বর্তমান পাবে উন্মাতাল ঝর্ণা
জোছনার দহন রবে না আর, রবে না তৃষ্ণার দায়ভার
দু'জনার।
শুধু এই বন্ধুর ক্ষণটাকে চলো চুমুতে করে তুলি কিছুটা মসৃণ
এসো, দৃষ্টিকে দাও স্বস্তি
শুষ্ক পাতার পোড়া গন্ধে নিমগ্নতার মত
থাকো, আটপৌড়ে দিনমান জুড়ে সকল সকাল,প্রতি ঊষা গোধূলীর লাল আভায় তোমায় চোখের দৃষ্টি সীমায়
দ্বিধার দেয়ালকে দাও নাজুকতা
আলিঙ্গন আনো
করতলে তুলে নাও কিছুটা ব্যাকুলতা, স্পন্দনে দাও তারে ভাষা।
বলো, কণ্ঠায় বাষ্পের চাপ
এরই নাম ভালবাসা।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

তুমিই আমার প্রেম,আমারই প্রেম।
তোমাতেই আমার আরব্য রজনী রূপকথা,
তোমাতে ভালবাসা
তোমাতে চুপকথা
তোমাতেই গল্প, হাসি, গাঁথা।
তুমি স্বপ্নচূড়ার রাজকুমারী,
বেশুমার ভালবাসার মেঘ-রোদ্দুর লুকোচুরি
তোমাতে আলোকধারা
তুমিই, তোমার নামে নামে রক্ত কণায় দুরন্ত প্রেম জমায় হৃদয় গহবরে
এক একটা স্রোত নিয়ে আসে তোমার মুখচ্ছবি, ভঙ্গিমা, হাসি ও চোখের বাতায়ন
তোমাতে বিভোরনামা
তুমি ভেতরেই কর বসবাস,
কথা কও ভালবেসে
তুমি তন্ত্রীতে রাগ রাগিনী সুর লহরী,
বাজো অনুক্ষণ, দিনমান
তুমি বোধনের সৃষ্টিলগ্নে সযত্ন শ্রেষ্ঠ চাওয়া,
একমাত্র তুমিই দহনেও দিতে পারো বিদগ্ধ অনুভবে শুদ্ধ প্রেম
তুমি মরুতে মরুদ্যান, অনুরাগে অভিমান
কুয়াশামাখা শীতার্ত সকালে তুমি উষ্ণ সূর্যস্নান।
ঘন নীল নিকষ কালো হলে রাতের আকাশে
তুমি হও জ্বলজ্বল্বে ধ্রুবতারা
শ্রাবণের ধারায় আনো তুমি সবুজের প্রাণ
তুমি ফাগুনে আগুন লাগা কৃষ্ণচূড়া সারি
তুমি প্রবাদপ্রতীম প্রেম আমার
নির্জনাতায় কুহুতান
কলাতান তুমি
তুমি চুমুতে চাহনিতে অদম্য সুখ,
তুমি সুখের অসুখ।
তুমি নেশাতুর শর্বরী
নিদ্রাহর নীল পরী।
তোমাতে জীবন যাপনের সব উপাদান,
তোমাতেই রেখে দিতে চাই তোমার জন্য উচাটন প্রাণ।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

প্রতীক্ষার ফরমালিনে ডুবিয়ে রাখো হেমন্তের বিকেলগুলি,
দৃষ্টিতে শ্রবণে লাগিয়ে রাখো তালা,
তোমাকে দেখি না তাই প্রতিটা রাত জাগা ভোর হয়ে যায় নিছক সাদা-কালো।
তখন আমার হাসি ম্লানময়,
আমার কন্ঠে জড়তা,
দৃষ্টিতে শুণ্যতা,
আমি চলি আমার ছায়া পড়ে রয় স্থবির ।
আমি নীলে ডুবিয়ে ছিলাম তোমার নাম,
আলোয় এসে হয়েছে তা দিগন্তজোড়া রঙধনু,
আমি ছেড়ে যেতে চেয়েছি তোমার পরিসীমা কিন্তু বিন্দু হয়ে রয়ে গেছি বৃত্তের ভিতর।
আমি আমার সর্বস্ব ডুবিয়ে এনেছি পংকিলে তবু দেখো
রয়ে গেছি একান্ত তোমারই।
যুগান্ত কালব্যাপী পুষে রেখছি আকাশছোঁয়া দাবানল
অথচ এখন এক অনুপলমাত্র আমার হৃদয়কে বাঁধতে পারি না কিছুতে।
পারি না।
পারি না।
সময় এসে কাঁটাতার বুনে রাখে আমার পথে,
এমনকি রাজপথ থেকে রাজপ্রাসাদ অবধি
আমার এ বিচ্ছেদ বিরহে হয়েছে একাট্টা।
দাবী আদায়ের আন্দোলন দোলায় আমার পুষ্পরথ।
যদিও বাহ্যত এ সবের সাথে আমার কোন সংশ্লেষ্টতা নেই তবু
এ দুর্বার বাধায় মন খুঁজে পায় গভীর ভালবাসার বন্দনা বাণী।
দগ্ধ, শুদ্ধ প্রেম।
পৃথিবীর সবখানে,
সব তানে, প্রতি আবর্তনে
আমাদের প্রণয় পাবে
বিচ্ছেদের মন্ত্রণায় সিদ্ধ অবিচ্ছেদ্য প্রেম,
বহু জনমের।
সব জনমের

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

দ্যাখো এই অন্ধ রাত্রি উন্মন হয়ে আছে সূর্যোদয়ের প্রতীক্ষায়,
সবুজে মেলবে বলে মুগ্ধ দৃষ্টি। চেয়ে থাকে ঠায় দিগন্ত বরাবর,
উষ্ণ উজ্জ্বল সূর্য কিরণে মেলে দেবে পাতায় পাতায় জমা অশ্রু শিশির,
নীলের মাঝে গোপনে রাখবে বলে ব্যাথা নক্ষত্ররাজি। যেমন আমি চাই রেখে দিতে তোমায় অলিন্দে নিলয়ে,
সিক্ত পক্ষ্ণ ডোবাতে চাই ভালবাসা ওমে,
বৃষ্টি নামাতে চাই পেলবতা মাখা ত্বকে।
মনে হয় যেন সময় অন্ধ সময় বধির সময় দূরবীক্ষণে রেখেছে তোমায়,
আহত আর্তনাদে হাহাকারে বধির হয়ে রয়।
ভালোলাগায় বিমূর্ত একটা আধটা মুহূর্ত ভালবাসার সাথে...
রেখেছে বন্দী করে দৃষ্টিসীমার বাইরে। অনুভবে যুগান্ত তৃষ্ণা
বুঝিবা তলিয়ে যায় পংকিলে,
জোছনা হারিয়ে যায়,
এসে যায় পাতা ঝরা দিন,
শুভাশিষ মিশে যায় বুঝি আমার কানন ছেড়ে বুনোফুলে।
সঞ্চিত সাধে মেশে প্রতীক্ষার বিষফল,
পাথর সময় মাথা কুটে ফেরে পুজারী হৃদয়,
ঝর্ণার জল নদী হয়ে মিশবে মোহনায়,
দুর্যোগে উপদ্রত উপকূল পাবে সুপেয় জল।
তাল লয় সুরে কথামালায়, শুধু বেসুরো দীর্ঘশ্বাস আর
ইথারের বায়বীয় সংকেত জমা হয়।
দ্যাখো তবু এখনও এই অন্ধ রাত্রি বসে রয়
প্রতীক্ষায়, বুঝিবা বন্ধ কালের চাকায়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

পার্বণগুলি তুমিহীন হয়ে যায় নিতান্ত সাদামাটা
তুমি বিনা আটপৌরে দিন ভরাট হয়ে থাকে বিষন্নতায়
তোমায় ভাববো না ভেবে ভেবেও ভাবনায় বিভোর এক একটা দিন
তোমাকে দিতে চাই ভালবাসা করে
যতগুলো বিকেল,
যতোগুলি মুষলধারা বাদলের দিন
যতগুলি জ্যোৎস্না,
মুগ্ধ সকাল
বহু বহু গুণ করে।
উৎসব মুখর শহরে আমার বিষন্নতা লুকাতে চাই
জনারণ্যে ঢেকে রাখি একাকীত্ব
তুমি বিহীন সব শহর, নগর, বন্দর, জনপদ
বিশেষত্বহীন।
যে যুগল পরস্পরকে দিয়েছে হাতে হাত রাখার অধিকার
তাদের কাছে যাই না আশীর্বাদ কুড়াতে
কেবল প্রতীক্ষার প্রহরগুলিকে দিতে চাই স্বল্পায়ুতার শাপ।
এই মুহূর্ত থেকে প্রতীক্ষা কষ্টকে ভুলিয়ে দিতে চাই পুনর্বার ফিরে আসার পণ, পথ ও প্রত্যাশা।
প্রথিতযশা করে তুলতে চাই প্রণয়, প্রাণে।
চুম্বনেরে দিতে চাই দুঃসময়ের দীর্ঘতা।
তোমাকে জড়াতে চাই এমনকি ভুলেও।
চোখের তারাকে দিতে চাই অনির্বাণ করে
ভালবাসা নক্ষত্রের দ্বৈত আকাশ আমার।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

কখনও কখনও ক্রোধে কান্নায় চিৎকার করে বলি ভালবাসি,
কখনও গোপনে মনে মনে বলি,
সারাটি দিন মুখোমুখি বসে ভালবাসি বলবার সাধ ভার হয়ে থাকে,
ইচ্ছে করে দৃষ্টির কাছে তুলে দিয়ে ভালবাসার ও ভালবাসি বলবার দায়ভার,
আমরা দুজনা মুখোমুখি হয়ে যাব আনমনা
অথচ সেই কবে থেকে অসহ যন্ত্রণায় ডুবে ডুবে
অবচেতন মনও হয়েছে অচেতন ।ভালবাসা বুদবুদ মিলায় অন্ধকারে
একা একা,
চেয়ে থেকে থেকে প্রতীক্ষায়
দৃষ্টি হয়েছে ঝাপসা,
ক্ষরণে হয়েছে নিরবধি নদী,
লোনাজল ছলকায় জোছনায়,
পূর্ণিমা এসে ডুবে যায় নিঃসংগতায়।
ভালবাসা নিয়ে থাকো দূরে,
পুড়ে যায় বেহুলা বাসর
তবু উদাসীন
প্রতিদিন
অশ্রুবিহীন।
ভালবাসবার দায় হারিয়ে যায় বুঝি পারিপার্শ্বিকতায় আর
আমাকে দাও স্থবির সংশয়,
বোধে ও ভালবাসায়;
ডুবাও বিস্বাদ বিষাদে,
পোড়াও অসহনীয় অবহেলায়।
আমি পুড়ে যাই,
ডুবে যাই,
ভেসে যাই,
তুমি হেসে হেসে দূরে যাও,
সুরে সুরে হেসে যাও।
তোমার সংগীতে, ভংগিতে বেমানানরকম বেসুরো নির্মমতা,
অথচ তোমার কাছে জমা আমার পূর্বাপর প্রেম,
আপামর ছন্দগীতের স্বরলিপি,
বস্তুগত লৌকিকতা,
অপাপবিদ্ধতার শপথ,
অপার্থিব চিত্তবাসনা এবং
তোমার কাছেই জমা আমার সব টুকু তুমি!

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

একটা রৌদ্রষ্ণ দুপুর হঠাৎ করেই হারিয়ে যায়,
হয়ে যায় ম্লান বিকেল।
আমার ভেতর বাহির স্তব্ধ রাত্রির মতো চুপচাপ,
কেবল শীতার্ত সবুজ পাতায় টুপটাপ শিশির ঝরার শব্দ।
শুদ্ধ, শুভ্র জোছনা দশমী বিফল হয় একা একা।
আমার নিঃসঙ্গ আঙুল খোঁজে প্রতিশ্রুত দশটি আঙুল।
পথে পথে জেগে থাকে নিয়ন তবু
কুয়াশায় জোছনা ম্লান।
প্রবল দুর্যোগে প্রাণবন্ত পৃথিবী লুকায় নিরাপদ আধারে, এমনকি আঁধারেও।
আমি তখনও দূর তোমাতে খুঁজছি উষ্ণতা,
তোমার স্মিত হাসিতে লুকাতে চাইছি পুর্বাপর বিষন্নতা,
একনাগাড়ে তিন সহস্র যুগ ভালবাসাহীন থাকার কষ্ট,
পোড়া মন ডুবাতে চাই ভালবাসা ভরা জোড়া দীঘিতে।
এসো, এই রঙহীন ফাল্গুন ডাকছে তোমায়,
তেত্রিশবার কড়া নেড়ে গেছে তবু
এখনও গভীরে বাস করে গাঢ় বাসনা সুবর্ণজয়ন্তীর।
তুমি আমার।
মহাকালের গায়ে লেখা যুগলের নাম,
তবু এই নশ্বর পৃথিবীর এক একটা পল অনুপল, মুহূর্ত বা দন্ড
অবিনশ্বর করে তোলে বিরহ যন্ত্রণা।
আমাকে পোড়ায় যাহাতক আছে এ হৃদয়ের দাহ্যসীমা।
নিস্তরঙ্গ হয় না তোমাতে নিবদ্ধ অনুভূতি,
আল্পস এসে বারংবার ঝর্ণাগত নদীপথ থামিয়ে দেয়,
বাড়িয়ে নেয় বিরহ অপার,
মোহনায় প্রতীক্ষা ছলকায়,
ক্ষয়ে যায় ক্রমশ বালুকা থেকে বিস্তৃত জনপদ।
সারি সারি সবুজ, কালের আবর্তে লীন হয়ে যায়।
বসতী ঘিরে আসে গোবি, সাহারা, উদ্দাম লু হাওয়া
তবু অন্তপুর উষ্ণতাহীন।
ভালবাসা নিতে চায় নিরাপত্তা শরণ।
নিদারুণ অপহরণ আপামর প্রণয় ধরণ।
অকারণ, কখনও কখনও অচল কার্যকারণ
এই সব নিরব পরাজয় আমাকে পোড়ায়,
ভাষায় নিয়ে নেয় মৌণবরণ।
পৌষে এসে বৃষ্টি নামায় চন্দ্রগ্রস্ত কুয়াশা,
তনুমন শীতে আর্তস্বর হলেও কঠিন বল্কলের আড়ালে চলছে জানি পুরাদম প্রস্তুতি সবুজ হয়ে ওঠার,
টকটকে লাল ঊষায় একদিন পলাশ শিমুল মেলাবে অন্তর্গত ভালবাসা সম্ভার,
তার, তার ও তাদের রঙ,
জানি এই শীত শীত বিরহ ধূন ছেড়ে তারা বাহ্যত মিলবে আর
অন্দর দেশে আড়মোড়া ছেড়ে আলোড়ন তুলবে উদ্যানজোড়া সবুজ,
নুপূর হয়ে রবে,
শিঞ্জনে ধরা দেবে,
রোদে ফিরে পাবে উষ্ণতার ভাষা,
কোষ হতে কোষে,
কলায়,
তন্ত্রীতে।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

পার্বণগুলি তুমিহীন হয়ে যায় নিতান্ত সাদামাটা
তুমি বিনা আটপৌরে দিন ভরাট হয়ে থাকে বিষন্নতায়
তোমায় ভাববো না ভেবে ভেবেও ভাবনায় বিভোর এক একটা দিন
তোমাকে দিতে চাই ভালবাসা করে
যতগুলো বিকেল,
যতোগুলি মুষলধারা বাদলের দিন
যতগুলি জ্যোৎস্না,
মুগ্ধ সকাল
বহু বহু গুণ করে।
উৎসব মুখর শহরে আমার বিষন্নতা লুকাতে চাই
জনারণ্যে ঢেকে রাখি একাকীত্ব
তুমি বিহীন সব শহর, নগর, বন্দর, জনপদ
বিশেষত্বহীন।
যে যুগল পরস্পরকে দিয়েছে হাতে হাত রাখার অধিকার
তাদের কাছে যাই না আশীর্বাদ কুড়াতে
কেবল প্রতীক্ষার প্রহরগুলিকে দিতে চাই স্বল্পায়ুতার শাপ।
এই মুহূর্ত থেকে প্রতীক্ষা কষ্টকে ভুলিয়ে দিতে চাই পুনর্বার ফিরে আসার পণ, পথ ও প্রত্যাশা।
প্রথিতযশা করে তুলতে চাই প্রণয়, প্রাণে।
চুম্বনেরে দিতে চাই দুঃসময়ের দীর্ঘতা।
তোমাকে জড়াতে চাই এমনকি ভুলেও।
চোখের তারাকে দিতে চাই অনির্বাণ করে
ভালবাসা নক্ষত্রের দ্বৈত আকাশ আমার।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

দ্যাখো এই অন্ধ রাত্রি উন্মন হয়ে আছে সূর্যোদয়ের প্রতীক্ষায়,
সবুজে মেলবে বলে মুগ্ধ দৃষ্টি। চেয়ে থাকে ঠায় দিগন্ত বরাবর,
উষ্ণ উজ্জ্বল সূর্য কিরণে মেলে দেবে পাতায় পাতায় জমা অশ্রু শিশির,
নীলের মাঝে গোপনে রাখবে বলে ব্যাথা নক্ষত্ররাজি।
যেমন আমি চাই রেখে দিতে তোমায় অলিন্দে নিলয়ে,
সিক্ত পক্ষ্ণ ডোবাতে চাই ভালবাসা ওমে,
বৃষ্টি নামাতে চাই পেলবতা মাখা ত্বকে।
মনে হয় যেন সময় অন্ধ সময় বধির
সময় দূরবীক্ষণে রেখেছে তোমায়,
আহত আর্তনাদে হাহাকারে বধির হয়ে রয়।
ভালোলাগায় বিমূর্ত একটা আধটা মুহূর্ত ভালবাসার সাথে...
রেখেছে বন্দী করে দৃষ্টিসীমার বাইরে।
অনুভবে যুগান্ত তৃষ্ণা বুঝিবা তলিয়ে যায় পংকিলে,
জোছনা হারিয়ে যায়, এসে যায় পাতা ঝরা দিন,
শুভাশিষ মিশে যায় বুঝি আমার কানন ছেড়ে বুনোফুলে।
সঞ্চিত সাধে মেশে প্রতীক্ষার বিষফল,
পাথর সময় মাথা কুটে ফেরে পুজারী হৃদয়,
ঝর্ণার জল নদী হয়ে মিশবে মোহনায়,
দুর্যোগে উপদ্রত উপকূল পাবে সুপেয় জল।
তাল লয় সুরে কথামালায়, শুধু বেসুরো দীর্ঘশ্বাস আর
ইথারের বায়বীয় সংকেত জমা হয়।
দ্যাখো তবু এখনও এই অন্ধ রাত্রি বসে রয়
প্রতীক্ষায়, বুঝিবা বন্ধ কালের চাকায়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ, পেরিয়ে গেলে রাত্রি দ্বিপ্রহর
ধীর পায় অরুণোদয়ের দ্বারে হয় অবতীর্ণ।
চোখ তার লাল, গায়ে তার বিষন্নতার গন্ধ ছড়ায় পৃথিবীর পরে,
তারা নক্ষত্রগণ কথা কয় নিশ্চল থেকে থেকে, তবু পৃথিবীর পথে পথে নিরবতা কাটে না
পরাণ পোড়ে তার, প্রতিবার
রাতের আঁধারে নিয়ন নিয়ে নেয় অধিকার আর
জোছনা হারায় নিয়নের হলদেটে আলো মেশা আবছা অন্ধকারে।
কবাটবদ্ধ অন্ধকার কোন এক যুগলের জন্য না এলে অবগুন্ঠণ ছেড়ে স্মিত হাসিতে ,
হবে না দিনের দিন হয়ে ওঠা।
যাপনের শুরু।
হৃদয় পাবে না এক লহমার শান্তি
অর্থপূর্ণ ভালয়াবসা রবে অধরা
কোষের কণায় কণায় রবে অপুর্ণতার আস্বাদ।
যোজিত না হলে ইলেক্ট্রনে ভালবাসা লেনদেন
এ পৃথিবীর সবুজে, সজ্জায়, স্পন্দনে, প্রাণের বন্ধনে শূন্য হয়ে রবে।
ভালবাসাহীন হলে পৃথিবী হারাবে তার আহ্নিক গতি।
চিরন্তন যা কিছু মিথ্যা হয়ে যাবে।
শুন্য নয় মিথ্যা নয়
ভালবাসা ঠিক ঠিক একদিন ভালবাসা পাবে।
বিনিদ্র পক্ষ্ণ আনন্দ অশ্রুজলে নিষিক্ত হবে
পাবে রত্নাকর সমুদ্রের নির্জলা গৌরব।
আঙুলে, আলিঙ্গনে, ভঙ্গির ভাষা বিনিময়ে, কথপকথনে,
উৎকর্ণ নিউরণে, চুমুতে, চাহনিতে, অন্তকরণ ও বহিরাবরণে যুগল পরস্পর পাবে সহজাত পরিবাহিতা।
কোন এক কৃষ্ণপক্ষের অভিসার যদি রয় অপূর্ণ তাতে
ভালবাসা গতিতে ক্ষতি হবে না তবু
তৃষ্ণাতুর হৃদয় কোন এক পূর্ণিমায় আহত হৃদয় নোনাজল আর্দ্রতা মাখাবে।
ছটফটে উচাতন মন নীলচে হয়ে যাবে।
হৃদয়াধারে প্ররতীক্ষা বিষ আরো জমে যাবে।
ফাগুনে শাওন রবে,
ভাদ্রে খরা,
ভালবাসাহীন এক একটা মুহূর্ত বেঁচে থাকার
অনন্তকাল হয়ে রবে।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

আমার তুমি।
তোমার ভেতর ঝর্ণা আমার ভেতর ধারা হয়ে বইতে দাও।
এ অন্তকরণ দহণে দগ্ধ তোমার নামে,
তোমাতেই রয়েছে উষ্ণতা যাতে এ মরুময়তায় তাপসহ সবুজেরমরুদ্যাণ বানাবে,
ছায়া হয়ে রবে।
তোমাতে সুরা সঞ্জীবান
তোমাতে পাতাল্পুরীর লক্ষ কোটি জলাধার,
তোমাতেই আলোতে ডানা মেলা রঙধনু
তুমি কণ্ঠায় হয়ে চোখের আনাচে কানাচে অকস্মাৎ লোনা হয়ে ওঠার কারণ।
তুমি তুমি তুমি।
তুমিই আমার, তুমি আমার, তুমি আমারই, আমার তুমি।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

দেখো, জোছনা আসে ধীরে।
রাতের নদীর বুকে চাঁদের উজ্জ্বল মুখ লেগে থাকে, লেপ্টে থাকে মেঠো পথের মতো।
আমার শুন্যতা বঝার মত কেউ নেই বুঝি আর, সমব্যাথা জানাবার
ও ভালবাসা কিছুতে যাবে না বোঝানো সে যন্ত্রণার কণা কিঞ্চিত মাত্র।
ভেবেছি বারংবার যদি সীমাহীন বন্ধুরও হয় তবু
জোছনা এসে ঠিক্টহাক বুঝে নেবে আলোহীন পৃথিবীর সবগুলি পথ,
পথের সাথী ও সারথী।
আজ এই আলোমাখা জোছনা যদিবা স্রোতে, ঢেউয়ে শতধা হয় বারবার তবু সে জানে আলো তার চলমান স্রোতে নিবিড় চুমুর মত মিশে রয়।
এ আঁধার মাখা পৃথিবী আলোতে উজ্জ্বল হয়।
তুমি থাকো, হৃদয়ের কাছে, চোখের ও চুমুর গ্রাহ্যসীমায়।
থাকো কুয়াশা মাখা ভোরে, থাকো এই হৃদয়ের কাছাকাছি, ভাষা বিনিময়ের পরিসীমায়।
থাকো অনিবার্য স্পন্দনে আমাকে রাখো।
ভালবাসি ভালবাসি বলতে চাই,
হৃদয়ের এ ব্যাকুলতা তোমায় বোঝাতে যাই।
স্বপ্নে ঘুমে জাগরিত দৃষ্টিতে তোমাকে জড়াতে চাই।
নিশ্বাসের উষ্ণতায় জড়তা পোড়াতে চাই।
ঊষা অস্তে ও মুখখানি আঙুলে ছোঁয়াতে চাই।
কালবৈশাখীর মুখে কার্পাস করে বৈষম্যগুলি অড়াতে চাই।
সম্ভবে বা অসম্ভবে একান্ত তোমাকেই চাই।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

আমাদের শত যুগের সাধনার প্রেম,
তবু দেখ এখনও এখানে অখানে ওত পেতে থাকে সময়ের সৃষ্ট দ্বিধার প্রাচীর
তেপান্তরে জেগে ওঠে প্রথার পর্বতমালা
বিদ্ধ করে আমাদের না ও নিষেধের তীর
আহত হই ঠিক বারংবার, প্রতিদিন।
তবু কষ্ট ব্যাথা ভুলে আমরা গেঁথে যাই ভালবাসা মহাকাব্য শব্দে, ভাষায়
এমনকি মৌনতায়
জানি হৃদয় বাসনা ছুঁয়ে যাবে দূর শুভ্র বসনা তারার মত কালজয়ী ভালবাসা,
চিরন্তনে মিশে যাবে আমাদের কাছে আসা।
বিস্মৃত হবো সময়ের মাঝে বিচ্ছিন্ন থাকার যন্ত্রণা যত,
সকলের মাঝে রবো পাশাপাশি,
সব জনমে পাবো পরস্পরের তরে শ্রেষ্ঠ শুদ্ধ প্রেম।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

ভালবাসার নাম দুঃখ,
দুঃখ পুষে রাখার নাম সুখ।
আমার দুঃখ তুমি,
এ দুঃখে সুখী তুমি।
একদিন জানি আমাদের পরস্পরকে ঘিরে রবে সুখ দুঃখ যুগপৎ।
আমরা হব জ্বলজ্বলে তারার নিচে সুখ দুঃখের শ্রেষ্ঠ সুখী।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

লোহালিয়া নদীতীরে চুপচাপ সন্ধ্যা নামে
মাইল জোড়া চরে মেশে শান্ত মরা কটালের জোয়ার,
এক সার বক এক পায় দাঁড়িয়ে থাকে
এক সার বক উড়ে যায়।
কুয়াশায় ভর করে আঁধার মেশে বিস্তীর্ণ চরাচরে।
একে একে আসে শুকতারা, লুব্ধক,ক্যাসিওপিয়া, ঋষিমন্ডল।
এইখানে এই সভ্যতায় এক লোহামানবী আমাকে ভালবেসে রয় মৌণ
যেন এই জনমে হবে কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ।
ক্ষীণ হয়ে এলে কূজনের শব্দ,
পাখায় জড়াবে তারা জতুগৃহের গন্ধ,
তীরে তীরে পৌছাবে যখন জোয়ারের জল স্পন্দনের মত
সেই নারী তখন ছেড়ে দেবে জানি মৌণব্রত,
ভুলে যাবে প্রথাগত সংস্কার,
তার আনত নয়নে রবে প্রেম
বোহেমিয়ানের বাহুমূলের তৃষ্ণায় ডুবে যাবে সে।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

অন্ধ রাত্রি সূর্যকে নিয়ে ভোর হয়ে ওঠে
তবু জমাট কুয়াশা অভিশাপের মতো ঘিরে আসে
এমনকি শ্রেষ্ঠ একটা দিনেও।
অভিসার সুখ ঢেকে রাখে চাদরে
শীতল করে রাখে দশ দশটি আঙুল
উষ্ণ রৌদ্রকর থাকে দূরে, আড়ালে।
তুমি ঠাট্টাচ্ছলে হাসতে পারো তবু
ছটফতে প্রাণের ক্রন্দনটাকে ভুলো না।
বুঝে নিও তুমি এভাবেই অবিনশ্বর সময়রে মাঝে আমাদের চলে গেছে দিন
যুগল যাপনের।
এভাবেই আমাদের চির যুগলের জমেছে বহুবিধ বহু বহু ঋণ, ভালবাসার।
তুমি আজ থেকে আর শুন্য রবে না আর
হবে বৃত্ত, ভালবাসার।
বিন্দুকে দেবে অধিকার, পরিবাহিতার।
কেন্দ্রবিন্দুকে দেবে তার সবটুকু পরিসীমায় পরিবাহিতার সম অধিকার।
যেখানে সময়ে ভর করে দুঃসহ প্রতীক্ষা,
চলৎশক্তিহীন করে রাখে চঞ্চল ঘড়ির কাঁটা
অথবা তার আবর্তনে স্থির হয়ে থাকে স্বাভাবিক পরিবর্তনশীলতা,
শীতার্ত কুয়াশায় সিক্ত করে রাখে চোখের পলক
ওড়াওড়ি ডানার পালক
সেখানে রেখে দেব আমাদের প্রেম
পরস্পরকে অনুভবের সর্বৈব বাসনা
সবগুলি উপকরণ সম্ভার
আমরা চেয়ে নেব প্রেম,
আমরা বিগত বিরহকাল শত সহস্র জনম করে চাইবো বহু বহু ভালবাসা মুদ্রায়
কিনে নেব কিছু চুমুতে সিক্ত উষ্ণতা
প্রলেপ করে পৌঁছে দেব ত্বকের ভেতর হয়ে প্রতিটা নিউরন সেলে
দেব অলিন্দ নিলয়ের দগ্ধ অমরায়।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

ভালবাসি শব্দটা ভরা পুর্ণিমায় প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসে আমার কাছেই বারবার
কমল সুধাকর বহ্নি হয়ে জ্বলে।
বারুদ হয়ে জমে থাকে আকাঙ্ক্ষা প্রবল।
জোছনায় গা ডুবিয়ে হাঁটি
ছায়া হয়ে থাকে অন্ধ অনুভূতি
কথোপকথনের প্রয়োজনীয়তা নিরবতা দুর্বিসহ একাকীত্বে ভারী হয়ে থাকে
তুমি প্রহসনের চাদর যদি জড়িয়ে রাখো গায়
ভীষন ভাললাগা সন্ধ্যায়
এমন উথালী জোছনায়
তৃষিত অমরায়
তবে ব্যর্থ হবে অনুভবের শুদ্ধ আকুলতা যত।
যদি চাও স্থিত আবেগের,স্পন্দন অনুরণনের,বহু বহু জনমের বিশ্বাসের ব্যবচ্ছেদ তবে
পেতে পারো অতি নাটকীয়তার উদাহরণ
শুন্য শূন্যতার ব্যথা
কিছু ভয়ংকর উপকরণ অথবা
পদ্মে ভ্রমরের একটানা গুঞ্জরণ অথবা
পুরপুরি আমাকে।
কী প্রয়োজন তার বলো
আমাদের এখনো অনেক ভালবাসাবাসি রয়েছে বাকী।
অনেক
অনেক
অনেক এবং
অনেক।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

চন্দ্রগ্রস্ত পৃথিবীতে দেখ অস্তরাগের ফাগ নিয়ে হয় দিনের যবনিকাপাত
অস্তাচলে আবির রঙা গালিচায় জমকালো সম্বর্ধনা দিয়ে শুরু হয়
জোছনা রাত্রির বন্দনা।
যেমন তোমার নামে রক্তাক্ত আমার শুরু প্রতীক্ষা প্রহর যাপন।
তোমায় এক আকাশ তারায় গুনে গুনে দিতে চাই যথার্থ যৌক্তিক চুম্বন।
তোমায় বৃষ্টির জল মেশে যেমন সরবরের সাথে তেমন নিবিড় আলিঙ্গনে জড়াতে চাই।
রৌদ্র আলোতে তোমাতে হারাতে চাই
তোমার নামে ওড়াতে চাই দহনের কাল ভোকাট্টা ঘুড়ির মতন।
আঁচলে মুছে নিতে চাই যুগান্তকালব্যাপী একাকীত্বের ক্লান্তি।
যদিও মহাকালে মহাকাশে
কালের রথে ছায়াপথে লেখা আমাদের প্রেমগাথা
আমাদের নাম।
তবু তুমি অসহনীয় প্রতিক্ষায় রেখেছো ডুবিয়ে পুর্বাপর প্রেম।
কে জানি কী আনন্দে আমাকে পোড়াও
বিরহ অগ্ন্যুৎপাতে আমাকে মোড়াও
তৃষিত দৃষ্টি হতে আমাকে সরাও
থাকো দূরে
ইথারে ইথারে।
এসো এই বোহেমিয়ানের বুকে আর তোমার নামে রাখা প্রাণের স্পন্দনগুলি বুঝে নাও
এসো এই অভিশপ্ত প্রতীক্ষা পারস্পরিক উষ্ণতায় ভষ্ম করে দাও
তুমিই পারো জমানো অশ্রুজল করে দিতে সুপেয় শুদ্ধ জলের সুহিসিনী ঝর্ণা
তোমাতে সিদ্ধ করতে পারো আমার ব্যাকুলতা, আমার প্রেম, আমাদের ভালবাসা
আমার রক্তাক্ত বিকেল হতে পারে নরম আলোর মহৌষধি, ত্বকে এনে দিতে পারে প্রবল প্রশান্তি
নিকষ কালো রাতে খুঁজে নেব প্রগাঢ় নিরবতা পরস্পর
আলোতে, জনারণ্যে, সবখানে আমরা যুগল যুগলের দৃষ্টিতে হারাবো বারংবার।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শব্দমালায় প্রতিদিন অন্তত একবার চাই ভালবাসা বিনিময়
অনুভুতিগুলো শানিয়ে নিতে চাই চুমুতে
পৃথিবীতে নেমে আসা তাবৎ ভোরগুলি তোমার মুখ দেখে দেখে
মুগ্ধ সকাল করে নিতে চাই
তোমার ভালয়াবসায় দুঃখ ভাসাতে চাই
সকল সুন্দরের মুখমুখি দাঁড়িয়ে তোমাকে জড়াতে চাই
তোমার ভালবাসা পেতে চাই
তোমার হাসিতে জানি আমার বৃষ্টিমগ্ন দিন পাবে উজ্জ্বল রঙধনু
প্রতি অনু পরমাণু পাবে বিহ্বলতা
তুমি যদি স্পর্শ জড়াও পরিধির প্রান্তসীমায়।
তোমাকে পেতে চাই ঘুমে জাগরণে
উন্মুক্ততায়
আবরণে।
আমার সাহসী কল্পনায়
জীবন যাপনের সব উপকরণে
সহযাত্রায়
সহমরণে।
তোমাকে চাই।
তোমাকে চাই।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

ভালবাসা লুকাও যদি আঁধারে ছায়ার মতন
তোমারে লুকাও যদি আমার দৃষ্টি হতে দূরে
বিহ্বলতা করো গোপন যদি লৌকিকতায়
যদি বন্ধ করে দাও হৃদয় ঘরে যখন তখন আনাগোনা
তবে এই কাব্যিক পৃথিবী বোবা হয়ে যাবে
ঘোর লাগা বর্ষায় প্রতিটা জলকণায় রঙধনু তার রঙ হারাবে।
সূর্য না দেয় যদি উষ্ণ রৌদ্রকর
চন্দ্র শুক্লপক্ষে জোছনা হারাবে
শুধু কলঙ্ক পড়ে রবে।
পথ মধ্যপথে পথ হারাবে।
বৃত্তবন্দি বিন্দু দিশাহীন সমুদ্রে ভেলা হয়ে রবে
হারাবে কুয়াশামাখা ভোরে
ঝঞ্ঝাক্ষুদ্ধ রাত্তিরে
পাথুরে পাহাড়ে।
দৃষ্টিতে গ্রহণ লেগে রবে
বিষন্ন অন্ধকারে ঢেকে যাবে মুখায়বয়ব।
আর
তোমাতে মিশে রবে ভালবাসা লুকোবার অসুন্দর অগৌরব।

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

কেন পৃথিবী তাবৎ কক্ষপথ ঘুরপাক খেতে খেতে
দূরের বহুদূরে সূর্যকিরণ পেতে চায়,জানা নেই।
তবু সেই দূরের রৌদ্রকর পৃথিবীতে বৃষ্টি নামায়,
প্রখর খরতাপে পোড়ায় পৃথিবীর বুক,
শীতলতা ছেড়ে দলে দলে শতদল ফোটায় সুরভিত ফাল্গুনে।
পৃথিবী পায় প্রাণ, অগুণিত প্রাণের উচ্ছ্বাসে।
পৃথিবী জানে, এই আহ্নিক গতিই শেষ কথা নয়
সূর্য একদিন ঠিক মিলবে পৃথিবীর সাথে।
সেদিন পৃথিবী তার অন্তর্গত সব উপাদান তুলে আনবে দৃষ্টিসীমায়।
তারপরই শুরু হবে অনন্তকাল...
সে কালে র গভীরে রবে প্রেমের বন্দনা,
সেখানে অদ্ভূত উপায়ে বৃত্ত জেনে যাবে তার পরিধির সবটুকু জুড়ে আছে বিন্দু,
অজস্র ব্যাস-ব্যাসার্ধে কেন্দ্রবিন্দু পাবে সহজ পরিবাহীতা।
পৃথিবী তার ছিন্ন হৃদয় চাঁদে ভয়ালভাবে চন্দ্রগ্রস্ত হয়ে থাকে জলের অবগাহনে
ভাসায় অপলক চেয়ে থাকা জোছনায়,
আবার তারার ঝালরের নিচে ডুবায় অন্ধকারে।
পাহাড় হয়ে থাকা এক একটা দুঃখ কষ্ট নাম নিয়েছে কলঙ্ক বলে।
এরই মাঝে যা কিছু জোছনা হয়ে ঝরে তারও উৎস মূলে দূরবীন দূরের রৌদ্রকমল। দহনের নাম জোছনা,
বিচ্ছেদের নাম শবনম,
ভালবাসা সেখানে আলো- আলেয়া নয়।
রাত্রি শেষে লাজ রাঙা ভালবাসা হয়ে দেখা দেয়
অরুণাভ ভোর... প্রতিদিন।
আমার দৃষ্টি আধার হৃদয় হতে ছাড়া আর
কোথা হতে আনবে বলো নীলচে রঙা জোছনা কমল।
এক গ্রহণের দায় ভাঙেনি এখনও
এখনও আঁধার,
এখনও আবডাল,
আসেনি সকাল,
জাগেনি শোভিত সবুজ পৃথিবীর গায়।
গ্রহণ ছেড়ে গ্রহতে ছড়াতে ভালবাসা আলো
আরও কত প্রতীক্ষায় রাত জাগা প্রহর রবে নিমজ্জমান।
বরফের নিচে ঝর্ণাকে জাগতে দাও,
বইতে দাও প্রবল স্রোতস্বিনী,
ভেসে যাক বিগত অভিমান,
মরুকরণের সব উপাদান।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.