নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আপেক্ষিকতাপূর্ণ; তার অস্তিত্বও আপেক্ষিক

আশিস নাবীল

আিশস নাবীল

আিশস নাবীল › বিস্তারিত পোস্টঃ

চর্যাপদ কী, কেন এবং আমাদের ইতিহাসে এর গুরুত্ব (একটি জেনারেলাইজড আলোচনা)

০৭ ই জুন, ২০১২ রাত ১১:৪১

[এই পোস্টে চর্যাপদ নিয়ে কোন জ্ঞানগভীর আলোচনা করবো না, একটা জেনারেলাইজড আলোচনা করব, যাতে চর্যাপদ নিয়ে একটা সাধারণ ধারণা পাওয়া যায়। পড়লে অন্তত চর্যাপদ নিয়ে বেসিক একটা নলেজ পাওয়া যাবে। যারা চর্যাপদ নিয়ে ব্যাপক পড়ালেখা করতে চান, তাদের জন্য নিচে কিছু রেফারেন্স বইয়ের নাম দিয়ে দিলাম।]



চর্যাপদ কী, বা এটাতে কী আছে, সেটা সবাই একরকম জানে। তবু শুরুতে চর্যাপদের একটা সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে দিচ্ছি, যাতে কারো কোন কনফিউশন থাকলে সেটা দূর হয়। বলছি না, চর্যাপদ নিয়ে যে তথ্যগুলো দিচ্ছি সেগুলোই সঠিক, তবে যেগুলো অপেক্ষাকৃত বেশি গ্রহণযোগ্য, সেগুলোই দেয়ার চেষ্টা করবো।



চর্যাপদ নিয়ে প্রথম এবং চরমতম কথা হল, এটা বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম, এবং বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনযুগের একমাত্র নিদর্শন। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনযুগের এই একটাই নিদর্শন পাওয়া গেছে; তবে তার মানে এই নয়, সে যুগে বাংলায় আর কিছু লেখা হয়নি। হয়তো লেখা হয়েছিল, কিন্তু সংরক্ষিত হয়নি। সে নিয়ে পরে আলোচনা করা যেতে পারে। আপাতত চর্যাপদ সম্পর্কিত কিছু বেসিক তথ্য দেয়া যাক।



চর্যাপদ রচিত হয় ৮ম থেকে ১২শ শতকের মধ্যে। এ নিয়ে বেশ বিতর্ক আছে, তবে মোটামুটি গ্রহণযোগ্য মত এটাই। এটি মূলত বৌদ্ধ সহজিয়া বা বৌদ্ধ তান্ত্রিক সাধকদের সাধন সঙ্গীত।



বইটিতে মোট চর্যা বা পদ বা গান আছে ৫১টি। এরমধ্যে ১টি পদের টীকা বা ব্যাথ্যা দেয়া নেই। ৫১টি পদের মধ্যে পাওয়া গেছে সাড়ে ৪৬টি; একটি পদের অর্ধেক পাওয়া গেছে।



চর্যাপদের মোট কবি ২৩ জন। এ নিয়েও বিতর্ক আছে; যেমন অনেকেই বলেন দারিক পা আর দাড়িম্ব পা আলাদা ব্যক্তি, কিন্তু গ্রহণযোগ্য মত হল, এই দুইজন একই ব্যক্তি। এভাবে একেকজনের গণনায় কবির সংখ্যা একেকরকম; তবে গ্রহণযোগ্য মত ২৩ জন।



চর্যাপদের প্রাচীনতম কবি সরহ পা। অনেকে দাবি করেন, লুই পা সবচেয়ে পুরোনো; তাদের এই ধারণার পক্ষে প্রমাণ, চর্যার প্রথম পদটি তার রচিত, এই প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে আদিকবি'ও বলা হয়। কিন্তু পরে এটা প্রমাণিত হয়েছে, চর্যাপদের কবিদের মধ্যে প্রাচীনতম কবি সরহ পা-ই। আর সবচেয়ে বেশি পদ লিখেছেন কাহ্নু পা, ১৩টি। সরহ পা লিখেছেন ৪টি পদ। ভুসুক পা লিখেছেন ৮টি, কুক্কুরী পা ৩টি, লুই পা, শান্তি পা আর সবর পা ২টি করে। বাকি সবাই ১টি করে পদ লিখেছেন।



চর্যাপদ নিয়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিতর্ক হল, এটি কোন ভাষায় রচিত। এটা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ আছে, এবং এই বিতর্কের কোন শেষ হবে বলে ভাবারও কোন অবকাশ নেই। আমরা যেমন দাবি করি এর ভাষা বাংলা, তেমনি অসমিয়ারাও দাবি করে এর ভাষা অসমিয়া, মৈথিলিরাও দাবি করে এর ভাষা মৈথিলি, উড়িয়ারাও দাবি করে এর ভাষা উড়িয়া। এমনি দাবি করে মগহি, ভোজপুরিয়া আর নেওয়ারিরাও। কেবল হিন্দিভাষীদের দাবিই উড়িয়ে দেয়া যেতে পারে।



সমস্যাটা বুঝতে হলে এই অঞ্চলের ভাষার বিবর্তন সম্পর্কে কিছুটা জানা থাকা দরকার। এই লেখায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করছি না, সেটি ভিন্ন আলোচনা; কেবল এই তথ্যটা জানা জরুরি, তখনো বাংলা ভাষা পুরোপুরি স্বতন্ত্র ভাষা হয়ে ওঠেনি, বরং স্বতন্ত্র একটি ভাষা হয়ে উঠছে। এর কেবলই কিছু আগে বাংলা ভাষা থেকে আলাদা হয়েছে উড়িয়া ভাষা। তখনো মৈথিলি আর অসমিয়া বাংলা থেকে পুরোপুরি আলাদা হয়ে স্বতন্ত্র ভাষা হয়ে ওঠেনি; মৈথিলি পুরোপুরি আলাদা হয়েছে তের শতকে, অসমিয়া আলাদা হয়েছে ষোল শতকে। (ভাষা আলাদা হওয়ার ব্যাপারটা বোঝানো একটু কষ্টকর, এখানে তাই জটিলতাটুকু পরিহার করলাম) এই অঞ্চলের অন্যান্য ভাষাগুলোও বাংলা থেকে পুরোপুরি পৃথক হয়েছে খুব বেশিদিন হয়নি; ফলে চর্যার ভাষায় এই সব ভাষারই কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। আর উড়িয়া, মৈথিলি আর অসমিয়া, বিশেষ করে শেষ দুটি ভাষার বৈশিষ্ট্য চর্যাপদে বেশ ভালভাবেই বিদ্যমান। ফলে চর্যাপদের উপর এই ভাষাগুলোর দাবি কোনভাবেই নস্যাৎ করে দেয়া যাবে না। তবে এ ব্যাপারে কোনই সন্দেহ নেই, চর্যাপদ আমাদেরও সম্পদ।



চর্যাপদের ভাষা সম্পর্কে বেশ ভাল একটা উপসংহার টেনেছেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ; তিনি এর ভাষার নাম দিয়েছেন বঙ্গ-কামরূপী, বা প্রত্ন-বাংলা-আসামি-উড়িয়া-মৈথিলি ভাষা।



ভাষার প্রসঙ্গ গেল, এখন আলোচনা করা যাক চর্যাপদ রচনার কারণ কী। এটা আগেই বলা হয়েছে, চর্যাপদ মূলত বৌদ্ধ সহজিয়াদের বা তান্ত্রিকদের সাধন সঙ্গীত। কিন্তু এই বৌদ্ধ সহজিয়া কারা? সেক্ষেত্রে আমাদেরকে এই অঞ্চলের মানুষের বিশ্বাসের বা ধর্মের ইতিহাস একটু হলেও আলোচনা করতেই হবে।



এই অঞ্চলের প্রাচীন অধিবাসীদের নিজস্ব ধর্ম বা বিশ্বাস ছিল। সেই বিশ্বাসে প্রথম পরিবর্তন আসে আর্যদের আগমনের ফলে। কিন্তু তখনো বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়নি। বাংলা ভাষার উদ্ভবের অনেক আগেই বুদ্ধ এসেছেন, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তন করেছেন। এই অঞ্চলের মানুষ তখন ছিল মূলত বৌদ্ধ। কিন্তু নতুন ধর্ম কখনোই পুরোনো ধর্মের প্রভাব এড়াতে পারে না, বৌদ্ধ ধর্মও পারেনি। ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের বৌদ্ধধর্ম বিভিন্ন রকম হয়ে পড়ে। তখনকার বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদেরকে মোটমাট ১০টি শাখায় বিভক্ত করা হয়, এই শাখাগুলোকে বলা হয় যান। মোটা দাগে ধরলে, শাখা ছিল দুটি- মহাযান ও হীনযান বা সহজযান। মহাযানীরা ছিল মূলত চীন, জাপান, কোরিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়ার অধিবাসী; আর আমাদের উপমহাদেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা ছিল মূলত হীনযানী বা সহজযানী। এই ধারার বৌদ্ধ সাধকরাই আমাদের আলোচ্য সহজিয়া সাধক বা সহজিয়া তান্ত্রিক।



এই সহজিয়া তান্ত্রিকদের নিজস্ব সাধন সঙ্গীত ছিল, যেগুলোতে গুরুরা তাদের তন্ত্রসাধনার মন্ত্র গোপনে বেঁধে রাখতেন। কেবল যারা তান্ত্রিক সাধনা করে, তারাই সেই মন্ত্র বুঝতে পারবে, অন্যদের কাছে সেটা সাধারণ গানের মতোই অর্থবহ মনে হবে। এইরকম গানেরই উদাহরণ আমাদের চর্যাপদের পদগুলো। গানগুলোর দুটো অর্থ থাকে, একটি সবাই বুঝলেও আসল যে অর্থ, তান্ত্রিক সাধনার গোপন মন্ত্র, সেটা তান্ত্রিকরা ছাড়া অন্যেদের পক্ষে বোঝা মুশকিল; অন্তত বুঝতে হলে তান্ত্রিক সাধনা সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা দরকার। অর্থের এরকম দুর্বোধ্যতা, বোঝা গিয়েও বুঝতে না পারার কারণে এর ভাষাকে বলা হয়েছে সন্ধ্যা ভাষা বা সন্ধা ভাষা। অনেকে একে বলেছেন আলো-আঁধারির ভাষা।



এইরকম আরো গানের দেখা পাওয়া যায় নেপালে তিব্বতে। কেন এই গানগুলো আমাদের অঞ্চলে নেই, আর নেপালে তিব্বতে এই ধারার গান এখনো টিকে আছে (এই ধারার গান সেখানে বজ্রা গান নামে পরিচিত), তারও একটা ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।



একাদশ শতকের শেষে বাংলায় পাল সাম্রাজ্যের পতন হয় সেনদের হাতে। মানে, বৌদ্ধরাজের পতন হয়, হিন্দুরাজ শুরু হয়। ফলে স্বভাবতই, দেশের বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিধর্মী সম্রাটের প্রতি ভয় কাজ করে। আর মধ্যযুগে (আধুনিক যুগেও নয় কী?) স্বভাবতই রাজধর্মের বেশ প্রভাব ছিল। ফলে অপেক্ষাকৃত ধনী বৌদ্ধরা চলে যায় উত্তরে, নেপাল ভূটান তিব্বতে। আর যাদের সেই সামর্থ্য নেই, তাদের বড়ো অংশই হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে যায়। এদের একটা বড়ো অংশই পরবর্তীতে মুসলিম শাসনামলে মুসলমান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়। ফলে ঐ বৌদ্ধদের সাথে বৌদ্ধ তান্ত্রিকদের গানগুলোও চলে যায় নেপালে তিব্বতে। সেখানে যে আগে এই গানগুলোর চর্চা ছিল না, তা নয়; তবে বৌদ্ধদের মূল শিক্ষাকেন্দ্র ছিল এই অঞ্চলেই, এখানকার বৌদ্ধবিহারগুলো। কিন্তু এই পালাবদলের পর এই ধারার গানগুলোর বাহন ভাষারও পরিবর্তন ঘটল; এই অঞ্চলের ভাষায় এ ধারার গান রচনা বা গীত হওয়াও বন্ধ হয়ে গেল; এ ধারার গানের বাহন হয়ে উঠল মূলত তিব্বতি ভাষা।



এই একই কারণে চর্যাপদের পুঁথিটি পাওয়া গেছে নেপালে, বাংলায় বা বাংলার আশেপাশে নয়। এবং একই কারণে বাংলায় এ ধরনের আর কোন পুঁথিও পাওয়া যায়নি, হয়তো সেগুলোও নেপালে তিব্বতে চলে গিয়েছিল, সেখানে কেউ সেগুলো সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা বোধ করেনি।



আরেকটি তথ্য, চর্যাপদের যে পুঁথি পাওয়া গিয়েছিল, তাতে ছিল সাড়ে ৪৬টি পদ, কিন্তু আমরা জানি, চর্যাপদের মোট পদ ৫১টি। এমনকি একটি পদ টীকা না করা, সেটিও জানি। কিন্তু কীভাবে?



এসব তথ্য জানা গেছে চর্যাপদেরই তিব্বতি সংস্করণের মাধ্যমে। সেখান থেকেই জানা গেছে টীকাকারের নাম মুনিদত্ত। তিনি সম্ভবত প্রচলিত চর্যাগান গুলো থেকে এই ৫১টি গান বা পদ বাছাই করেছিলেন। এবং সেগুলোর টীকাও করেছিলেন। টীকা করার সময় একটি পদের টীকা করার প্রয়োজন বোধ করেননি।



আশা করি, উপরের আলোচনায় চর্যাপদ কী, কেন রচতি হয়েছিল, এবং আমাদের ইতিহাসে এর যে গুরুত্ব আছে- এ সকল ব্যাপার কিছুটা হলেও পরিস্কার হয়েছে। অন্যথায় কমেন্ট করার অপশন তো থাকছেই।



[পোস্টটি ইতিমধ্যেই অনেক বড়ো হয়ে গেছে, আর বড়ো করতে চাচ্ছি না। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরেকটি পোস্ট আসতে পারে। তবে প্রতিশ্রুতিমতো শেষে রেফারেন্স বইয়ের একটি তালিকা দিয়ে দিচ্ছি।]



বাঙালি ও বাঙলা সাহিত্য (প্রথম খণ্ড); আহমদ শরীফ

বৌদ্ধধর্ম ও চর্যাগীতি; শশিভূষণ দাশগুপ্ত

চর্যাগীতি; তারাপদ মুখোপাধ্যায়

প্রাচীন কবিদের পরিচয় ও সময়; সুখময় মুখোপাধ্যায়

বাঙলা সাহিত্যের সম্পূর্ণ ইতিবৃত্ত; অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়



[আর রেফারেন্স বইয়ের নাম এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না। পরে মনে পরলে কমেন্টে দিয়ে দিবো। ;) ]

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১২ রাত ১১:৪৯

অতুল মিত্র বলেছেন: ভাল

০৮ ই জুন, ২০১২ রাত ১২:১৯

আিশস নাবীল বলেছেন: ধন্যবাদ... ধন্যবাদ...

২| ০৭ ই জুন, ২০১২ রাত ১১:৫৮

সাদাসিধা মানুষ বলেছেন: বাংলা কিছুই জানি না পারিও না। আপনি খুব চমৎকার ১টা কাজ করেছেন। খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখেছেন। এনিয়ে ১টা সিরিজ করে ফেলুন, আমি সহ অনেকে উপকৃত হবে।

০৮ ই জুন, ২০১২ রাত ১২:২২

আিশস নাবীল বলেছেন: সিরিজ করার কথা ভাবছিলাম... পরে কষ্টের কথা চিন্তা করে ইচ্ছাটা শুকায় গেছল... এরকম প্রেরণা পাইলে করেও ফেলতে পারি :) :) :)

৩| ০৮ ই জুন, ২০১২ রাত ১২:৪০

সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: বাহ খুব ভালো লাগল । ভাইয়া পারলে এটা নিয়ে একটা সিরিজ লিখে ফেল । জানার আগ্রহ আছে কিন্তু কঠিন কঠিন বই পড়তে ভালো লাগেনা । এ লেখার মত সহজ কিছু ভালো পাই ।

০৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৩:৫২

আিশস নাবীল বলেছেন: আশা থাকল... ব্যস্ততার ফাঁকে করতে পারলে আমারও ভাল লাগবে...

৪| ০৮ ই জুন, ২০১২ রাত ১:০২

আল-আমিন সেখ বলেছেন: াল লাগল। উপকার হল। চালিয়ে যান।।

০৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৩:৫৩

আিশস নাবীল বলেছেন: ধন্যবাদ... ভাল লাগার জন্য এবং প্রেরণার জন্য

৫| ০৮ ই জুন, ২০১২ ভোর ৬:১১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: চমৎকার। ধন্যবাদ।

০৮ ই জুন, ২০১২ দুপুর ১২:৩৩

আিশস নাবীল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ...

৬| ০৮ ই জুন, ২০১২ ভোর ৬:৩৮

আশফাকুল তাপস বলেছেন: অতিরিক্ত ভাল একটা পোস্ট।

অসংখ্য ধন্যবাদ।

আরো পর্ব লিখতেই হবে।দাবি জানায় রাখলাম।

০৮ ই জুন, ২০১২ দুপুর ১২:৩৪

আিশস নাবীল বলেছেন: দাবির মুখে মনে হচ্ছে লিখেও ফেলতে পারি... ;) ;) ;)
আসলে আমার নিজেরও এসব নিয়ে আরো লেখার আগ্রহ আছে...

৭| ০৮ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:০২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
চরম পুস্ট...

০৮ ই জুন, ২০১২ দুপুর ১২:৩৪

আিশস নাবীল বলেছেন: ধইন্যবাদ... :)

৮| ০৮ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৯

নির্লিপ্ত বাঁধন বলেছেন: প্লাস সহ প্রিয়তে :D

০৮ ই জুন, ২০১২ রাত ১০:৫৬

আিশস নাবীল বলেছেন: প্লাস সহ ধন্যবাদ :)

৯| ১৩ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৪:১০

আই আনাম বলেছেন: ভাই, আপনি বিসিএস চটি বইয়ের রাজত্ব নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলেন, খুবই ভালো লেগেছিল। নিলক্ষেতের চটি বই নিয়ে আমারও দীর্ঘদিনের আপত্তি আছে। আপনার ঐ পোস্টে কমেন্টেও করেছিলাম। যা হোক, চর্যাপদ নিয়ে আপনার এ লেখাটি পড়ে খুব উপকৃত হলাম। আমরা যদি এ ধরণের বিষয় নিয়ে অনলাইনে লেখালেখি শুরু করি তাহলে বিসিএসে নিলক্ষেতের চটি বইয়ের ওপর নির্ভরশীলতা অনেকাংশেই কমে যাবে।

অফটপিকঃ আপনি কি বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছেন? কোথায় আছেন?

১৩ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:৩৪

আিশস নাবীল বলেছেন: বুদ্ধিটা খারাপ না, কিন্তু সেজন্যে একটা প্ল্যাটফর্ম দরকার... ব্লগ কোন প্ল্যাটফর্ম হতে পারে না। কারণ, এটা একটা মুক্তাঞ্চলের মতোন জায়গা; এখানে যে কোন বিষয় নিয়েই বিতর্ক হইতে পারে। ধরেন, আমি বললাম 'শাদা', আরেকজন বলল 'শাদা' ভুল বানান, হবে 'সাদা'; এইটা নিয়া বিতর্ক করতে পারবো, এবং সেই বিতর্ক কোনদিন শেষ হবে না, চর্যাপদের ভাষার বিতর্কের মতোই আরকি। কারণ, বানানরীতিতে এ সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোন কিছু বলা নাই। কিন্তু আমি যেখানে এডুকেশন নিয়ে কথা বলব, সেখানে বানান 'সাদা' হওয়া উচিত, সেইটা বেশি গ্রহণযোগ্য। এই ধরনের অনেক সমস্যাই থাকে ব্লগে। মানে, ব্লগে অনেক মানুষ লেখে, অনেক বিষয় নিয়ে লেখে, অনেক মতে লেখে, এইটা পড়াশুনার আদর্শ ব্যবস্থা না। পড়াশুনাতেও বিতর্কের জায়গা থাকে, কিন্তু নির্দিষ্ট জায়গায়, নির্দিষ্ট বিষয়ে। সব বিষয়ে বিতর্ক করার মতো কারিকুলাম আমরা এখনো ছেলেমেয়েদেরকে দিতে পারি নাই।

এটার জন্য এডুকেশনাল ওয়েবসাইট দরকার; সেজন্যেই ওই ওয়েবসাইটটার কথা এতো ইম্পর্টেন্স দিয়া বলছিলাম... ওদের কাজকর্ম দেখে মনে হইছিল ওরা একটা ভাল এডুকেশনাল ওয়েবসাইট বানাইতেছে। যদি শেষ পর্যন্ত ভাল একটা ওয়েবসাইট বানাইতে পারে, খুবই ভাল হয়। ওইরকম ওয়েবসাইট বানানোর প্ল্যান আমারো ছিল, কিন্তু হয়ে ওঠে নাই। ওইটা যারা করতেছে, ভাল করতেছে... ভাবতেছি, ওইখানে কাজ করুম কিনা...

আর লেখালেখি তো করতেছিই, সবাই মিলে করতে থাকলেই হয়ে যাবে...

আর আমার বিসিএস দেয়ার ইচ্ছে কখনোই ছিল না, এখনো নাই; কিন্তু পরীক্ষার প্রশ্ন সলভ করতে আমার ছোটবেলা থেকেই খুব ভালো লাগে... এখনো ওই কাজটা আমি কইরা বেড়াই, যেই প্রশ্নই হাতের কাছে পাই, সলভ কইরা ফেলি :) :) :)

১০| ১৭ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৩:৫৬

আিশস নাবীল বলেছেন: এসে গেছে পরের কিস্তি... :)

চর্যাপদ আবিষ্কার এবং এর নামকরণ (চর্যাপদ নিয়ে জেনারেলাইজড আলোচনার দ্বিতীয় পর্ব)

১১| ১৭ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৫৯

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: চর্যাপদ নিয়ে উল্লেখযোগ্য বইয়ের লেখকদের মধ্যে আরো আছেন সুকুমার সেন, জাহ্নবীকুমার চক্রবর্তী এবং নির্মল দাস। এর মধ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় নির্মল দাস কে মাস্টারমশাই হিসেবে পেয়েছিলাম। চর্যাপদ নিয়ে ভাষাতাত্ত্বিক আলোচনার জন্য সুনীতিবাবুর ওডিবিএল খুবই গুরূত্বপূর্ণ। চর্যার সময়কাল নিয়ে বিতর্ক আছে, আমি অষ্টম শতাব্দী নয়, দশম শতাব্দীর মধ্যভাগকেই চর্যা রচনার সূচনাকাল বলে মনে করার পক্ষে। অসিতবাবুর সম্পূর্ণ ইতিবৃত্ত সাম্মানিক স্তরের পাঠকের পক্ষে ভালো, গবেষকদের জন্য ওনার দশখণ্ডের ইতিবৃত্তর প্রথম খণ্ডটি প্রয়োজনীয়। সেখানে অসিতবাবু বিস্তারিতভাবে বিভিন্ন মত আলোচনা করে দশম শতাব্দীর মধ্যভাগ - এই সময়টির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। সুনীতিকুমার ও এই মতটি পোষণ করতেন।
চুরযার কবিদের মোট সংখ্যা ২৩ এর বদলে ২৪ আর আদি কবি হিসেবে কাহ্নপাদ কেই ধরে নেওয়ার পক্ষপাতী আমি। যাইহোক, এই বিষয় গুলিকে একেবারে নিশ্চিত সিদ্ধান্তের মধ্যে এনে ফেলা বোধহয় সম্ভব নয়। আপনাকে পোষ্টটির জন্য অভিনন্দন।

১২| ১৭ ই জুন, ২০১২ রাত ১০:১৫

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: দু:খিত, ভুলবশত আদিকবির নাম লুইপাদ লিখতে গিয়ে কাহ্নপাদ লিখেছি আমার মন্তব্যে।

১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ১:০৬

আিশস নাবীল বলেছেন: আশা করি আপনার মন্তব্য আমি যাদের উদ্দেশ্যে লিখেছি, তাদের কাজে লাগবে... সবাই অন্তত বুঝতে পারবে, এই তথ্যগুলো আসলেও বিতর্কের দাবি রাখে। বিতর্ক চলতে পারে, আমি গ্রহণযোগ্য বলতে আমি যেগুলোকে মেনে নিয়েছি, বা আমার শিক্ষকরা যেগুলোকে মেনে নিয়েছে, সেই মতের কথা বলেছি, বিতর্ক হতেই পারে... যেমন, আমি আদিকবি হিসেবে সরহপাকে মেনে নিব, আমি এক্ষেত্রে আহমদ শরীফকে মেনে নিয়েছি... তবে বিতর্ক করতে হলে যেই পরিমাণ পড়াশুনা দরকার, যে কোন কারণেই হোক, বা আলসেমিতেই হোক, সেই পরিমাণ পড়াশুনা আমার এখনো করা হয়ে ওঠে নাই...

আমি একেবারে জেনারেলাইজড আলোচনা করার চেষ্টা করেছি, তাই বিতর্কগুলো ওভাবে বলি নাই, তাতে জটিলতা বাড়তে পারতো... তবে আপনার মন্তব্যে মনে হয়, সবাই বিতর্কের ব্যাপারটা ভালভাবে বুঝতে পারবে... এটার দরকার ছিল, সেজন্যে ধন্যবাদ... :)

আশা করি, পরের কিস্তিতেও আপনার কার্যকরি মন্তব্য পাব :)

১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ১:০৮

আিশস নাবীল বলেছেন: ভুলে যাওয়া রেফারেন্স বইগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ...

১৩| ১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ১:৩৯

অনন্ত আরেফিন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট!! পাঠ্য বই পড়ে এইসব বিষয় গুলো নিয়ে আরো ধাঁধাঁ লেগে যায়। যেমন ধরেন এর ভাষাকে আলো আঁধারির ভাষা বলা হয় কেনো সেটা এখানে না পড়লে হয়তো আর জানা হতোনা। চালিয়ে যান...।

১৯ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১২:১৩

আিশস নাবীল বলেছেন: ধন্যবাদ... আশা করি চালিয়ে যেতে পারব :) :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.