নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.nafaji.com

বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল। [১৭:৮১-পবিত্র কুরআন]

নাফাজি

পেশা: সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার

নাফাজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমরা যারা বুদ্ধি বিক্রী করে জীবিকা নির্বাহ করো

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪৫

বুদ্ধিজীবি শব্দটি যখনই আমার চোখে পরে তখনই আমার চোখের সামনে দুধরণের মানুষের ছবি ভেসে উঠে। এর একটি উগ্র ধর্মীয় বিদ্বেষী আরেকটি গঠণমূলক সমালোচনাই বিশ্বাসী। যারা গঠণমূলক সমালোচনা করে তাদের আমি অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা করি। তাদের লেখা আমি নিয়মিত পড়ি। তারা যখন কোন টকশোতে অংশগ্রহণ করেন তাদের সেই আলোচনা আমি অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে শুনি। কিন্তু যারা ধর্মীয় বিদ্বেষ লালন করে এ লেখা তাদের জন্যই।



এই ধর্মীয় বিদ্বেষীদের অগ্রভাগে রয়েছে এক জ্ঞানপাপী বহুমুখী প্রতিভার (যার মধ্যে কিছু খারাপ প্রতিভাও রয়েছে) অধিকারী, তিনি অত্যন্ত সুকৌশলে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেন। প্রথমত তিনি টার্গেট করেন জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠণ শিবিরকে। সেটা তিনি করতেই পারেন। কিন্তু সেখানেই তিনি থেমে থাকেন না। তিনি অত্যন্ত হীন উদ্দেশ্যে ধর্মীয় রীতিনীতির বিষোদগার করেন। আমাদের মা বোনেরা স্বেচ্ছায় হিজাব পরিধাণ করলে তিনি তার মধ্যেও জামায়াতীকরণের গন্ধ পান। তিনি তরুণ সমাজকে মুক্তমনা হতে উপদেশ দেন। তরুণ তরুণীদের বিবাহ পূর্ব ভালোলাগা ভালোবাসায় উৎসাহিত করেন। কওমী মাদ্রাসায় পড়ুয়াদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন। নিজেকে অনেক বড় দেশপ্রেমিক হিসেবে জাহির করেন অথচ মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। যুদ্ধের সময় তিনি কিন্তু আঠারো বছরের টগবগে তরুণই ছিলেন। আমার মাঝে মাঝে জানতে ইচ্ছা করে, আপনি কি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর চেয়েও বড় দেশপ্রমিক? কিভাবে সম্ভব? এ দেশেরই একটি পত্রিকায় বঙ্গবীর নিয়মিত লেখালেখি করেন। তার লেখনীতে যে পরিমাণ আল্লাহ্ভীতি ও ধর্মের প্রতি ভালোবাসার নমুনা আমরা দেখতে পাই তার চেয়েও বেশী পরিমাণ ধর্মীয় বিদ্বেষ দেখা যায় এই জ্ঞানপাপীর লেখনীতে। বর্তমানে বাংলাদেশে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর চেয়ে বড় মুক্তিযোদ্ধা, তার চেয়ে বড় দেশপ্রেমিক বলে যদি কেউ দাবী করে তার কথা অন্যরা বিশ্বাস করলেও আমি করবো না।



তার পরই যার কথা মনে পরছে তিনি হলেন, এক গান্ধীবাদী নেতা। এদেশের কোন নাগরিক যখন বিদেশে গিয়ে খুন খারাপী করে এবং এরপর যখন তার ঐ ভিনদেশে শাস্তি (শিরচ্ছেদ হয়) হয় তখন তিনি ঐ ক্রিমিনালদের পক্ষ নিয়ে শহীদ মিনারে অনশন করে শহীদ মিনারের পবিত্রতা ভুলুন্ঠিত করেন। কিন্তু এ দেশেরই যখন কোন তরুণ ভিনদেশের কোন কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থার পাতা ফাঁদে পা দিয়ে অপরাধী সাব্যস্ত হয় তখন তিনি কোন প্রতিবাদ করেন না। তিনি কথায় কথায় বলেন যে, ধর্মীয় রাজনীতির কারণে এদেশ পাঁচশো বছর পিছিয়ে মধ্যযুগে চলে গিয়েছে। আমার তখন খুব ইচ্ছে করে তার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে যে, তুরস্কে যে দলটি ক্ষমতায় আছে তারাও ধর্মীয় রাজনীতি করে। তারা পরপর তিনবার নির্বাচিত। এ কারণে তুরস্কের অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতি কি পিছিয়ে গেছে? তুরস্ক কোন দিক দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে? আপনার মত কত সহস্র বুদ্ধিজীবিকে ক্ষমতায় বসালে আপনারা পারবেন বাংলাদেশকে তুরস্কের উপরে নিয়ে যেতে। অথবা আমাদের প্রাচ্যের মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রুনেই দারুস সালামের কথাই ধরুণ। টিভিতে যখন এ সব দেশগুলোর উপর কোন প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয় তখন ঐ সব দেশে হিজাব পরিহিত নারীদের তুলনামূলক সংখ্যা বা তাদের ধর্মকে অনুসরণ করার মানসিকতা আমাদের চেয়ে অনেক বেশী বলেই অনুভূত হয়। আমার মনে হয় সে দেখেও দেখে না, বুঝেও না বোঝার ভান করে।



আরেকজনের কথা এবার বলি। তিনি নাটক লিখেই বেশী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তিনি অবশ্য সরাসরিই একটি দলের পক্ষ নেন। সে দলের মধ্যেই তার চিন্তা ভাবনা নিমজ্জিত। সেই রাজনৈতিক দলকেই তিনি দেশের আপামর জনতার দল হিসেবে তুলে ধরেন। এরকম নগ্ন দলবাজি করেও যে জনপ্রিয়তা হাসিল করা যায় তিনি তার অতি উন্নত মানের উদাহরণ। বরাবরের মতই তিনি নিজেকে অনেক বড় দেশপ্রেমিক হিসেবে জাহির করেন। যে পরিমাণ সস্তা বস্তাপঁচা বিনোদনমূলক নাটক তিনি লিখেছেন তার চারভাগের একভাগও কিন্তু তিনি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখেননি।



আরো আছে কিছু বাম ঘরানার বুদ্ধিজীবি। এরা খুব সঙ্গত কারণেই ধর্মের বিষোদগার করে। কারণ আজ থেকে প্রায় বিশ বছর পূর্বে এ দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশকে তাদের বাপ দাদারা জোরপূর্বক দখল করতে গিয়ে ধর্মীয় বিশ্বাসে বলিয়ান একদল জন গোষ্ঠীর কাছে কুপোকাত হয়। পতন নেমে আসে তাদের সেই ভ্রান্ত আকীদার। তারা হয়ে পরে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন, টুকরো টুকরো।



এসব মাথা মোটা বুদ্বিজীবিরা যখন জামায়াত আর ইসলামকে গুলিয়ে ফেলে তখন তারা বুঝতেও পারে না যে নিজের অজান্তেই তারা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের (সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারলাম জামায়াতের ভোটার সংখ্যা মাত্র ত্রিশ লাখ অথচ এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের সংখ্যা এর চেয়ে অনেক অনেক বেশী) ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। কোন অপরাধীর প্রতি কখনোই আমার কোন দয়ামায়া ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না। আমি সকল অপরাধীর (যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধী, খুনি, সন্ত্রাসী, চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, দূর্নীতিবাজ...) দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করি। নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে অবশ্যই তাকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। সমাজের বৃহত্তর জনগণের স্বার্থেই এটা করতে হবে।



এই বুদ্ধজীবিরা কথায় কথায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে গালিগালাজ করে। অথচ এসব দেশেই আমাদের দেশের এক বিশাল জন গোষ্ঠী কাজ করে দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসছে। আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে উপসাগরীয় দেশগুলোর উন্নত রাস্তাঘাটের মত রাস্তাঘাট সারা বাংলাদেশে আদৌ কি আছে? কবে হবে? উপসাগরীয় দেশগুলো যে পরিমাণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আমাদের দেশের কোন শহরটি তাদের সাথে তুলনীয়? প্রযুক্তির ছোয়া যেভাবে ঐসব দেশের মানুষ উপভোগ করে আমরা কি পেরেছি আমাদের জনগণকে সেই সুযোগ সুবিধা দিতে? আপনি হয়তো বলবেন তারা খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ, আমি বলি আমরাও মানবসম্পদে পরিপূর্ণ, খনিজ সম্পদও আমাদের কম নেই। আমরা কি পেরেছি আমাদের এই সম্পদকে সঠিকভাবে দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে কাজে লাগাতে? অবশ্যই পারিনি। আর এ জন্য নিশ্চয়ই আপনি ধর্মকে দোষারোপ করবেন না।



২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করবে কাতার। কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার পরিচিতি আজ বিশ্বব্যাপী। দুবাই বুরুজ খলিফার মত একটি সুউচ্চ দালান বা তার অর্ধেক উচ্চতার দালান এই দেশে বানানোর কথা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। এই মধ্যপ্রাচ্য থেকেই আবির্ভূত ধর্ম দর্শন চিন্তাধারাই বাংলাদেশ সহ সমগ্র বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের বিশ্বাস ও জীবণকে পরিচালিত করে। আমরা (এই তথাকথিত বুদ্ধিজীবিরা) যখন তাদের মধ্যযুগীয় বর্বর বলে গালি দেই তখন আমাদের অবস্থান কোথায় থাকে তা কি একবারও চিন্তা করে দেখেছি? উপসাগরীয় দেশগুলোর পাশের দেশ ইরান। স্বাধীণ বাংলাদেশের বয়স যত প্রায় সমপরিমাণ সময় ধরে ইরানে ক্ষমতায় আসীন ধর্মীয় সরকার। এখন বলুন আমরা ধর্মকে বিসর্জন দিয়ে ইরানের চেয়ে উপরে উঠতে পেরেছি কি? অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, সংস্কৃতি কোন দিক দিয়ে আমরা ইরানকে টেক্কা দিতে পেরেছি?



ধর্ম কখনোই উন্নয়নের পথে বাঁধা হতে পারে না। একটি দেশের উন্নতি নির্ভর করে দেশটি কিভাবে পরিচালিত হচ্ছে তার উপর। দেশের চালিকাশক্তি যাদের হাতে তাদের কর্মকান্ডের উপর। এবার প্রিয় পাঠক খুব ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন, গত চার দশক ধরে আমাদের দেশটি কিভাবে পরিচালিত হয়েছে? কারা পরিচালনা করেছেন? যারা পরিচালনা করেছেন তারা কিভাবে এ দেশটিকে পরিচালিত করেছেন? যারা দেশকে পরিচালিত করেছেন তাদের হাতে কারা এ দেশের পরিচালনার ভার তুলে দিয়েছে? আবারো বলছি, খুবই ঠান্ডা মাথায় ভাবুন। আঙুল কিন্তু আপনার দিকেই আসবে...



মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪১

অনির্বাণ তন্ময় বলেছেন:
ভালো লাগল

প্রিয়তে নিলাম

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৩

নাফাজি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে? আমি ভাবছিলাম কেউ কমেন্ট করে না কেন? এত মনোযোগ দিয়ে লিখেছি... :)

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৯

আবদুল্লাহ্‌ আল মামুন বলেছেন: খুবই চমৎকার একটি পোস্ট। এইসব নাস্তিক - ফাউল বুদ্ধিজীবিরা জামায়েত এবং ইসলামকে এক-করে অত্যন্ত সুকৌশলে ইসলাম বিরোধী প্রচারনা করে।

আমি অবশ্যই যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চাই, কিন্তু সঠিক বিচার হতে হবে।

তুরস্ক, ইরান দেশগুলোর উদাহরণ গুলো অত্যন্ত যুক্তি যুক্ত পূর্ণ।

এই রকম পোস্ট আরও আশা করছি।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৮

নাফাজি বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। এই সব বুদ্ধিজীবিরা মুখোশ পরে থাকে, মিষ্টি কথার আড়ালে এরা এদের উদ্দেশ্য হাসিল করে নিতে চায়, এদের থেকে সাবধান।

৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১৩

সরলদোলক বলেছেন:
আপনার কথার সাথে আমি একমত। ধর্ম কখনও উন্নয়নের বাধা হতে পারেনা। তবে ধর্মীও গোঁড়ামি উন্নয়নের বাধা। আজ আপনি ইরান, তুরস্ক, মালায়েশিয়াকে দেখুন তারা ধর্মীয় গোঁড়ামি থেকে বেরিয়ে এসেছে। ইরানে মেয়েরা পরাশুনা করছে, ইউনিভার্সিটিতে যাচ্ছে, মেয়েরা সফটয়্যার কম্পিটিশনে প্রথম হচ্ছে, কিন্তু সবাই হিজাবের মধ্যে। এত সব অশালীন দৃশ্যের ছবির ভীড়ে ইরানের হিজাব ওয়ালা চলচ্চিত্রটিই এবার অস্কার পেলো। তাই আমার বিশ্লেষণ হল, যদি মানুষের মাঝে শিক্ষা, মনন, মেধা, রুচির বিকাশ ঘটে তবে ধর্ম তাতে বাধা হয়না। তবে স্বল্প শিক্ষা ও গোঁড়ামি জাতিকে উগ্র পন্থি করে দিতে পারে। আফগানিস্তানে আজও নারীরা পাশবিকতার শিকার। ১০/১১ বছরের মেয়েকে ৪০/৪৫ বছরের বিশাল দেহী মানুষ তৃতীয় বা চতুর্থ স্ত্রী হিসাবে বিয়ে করছে। একটুতেই শারিরিক নির্যাতন, শিক্ষা হতে বঞ্ছিত আর চার দেয়ালের মাঝে আবদ্ধকরণ। নির্বিচারে চলছে হেরোইন উৎপাদন আর যে বয়সে শিশুদের লেখাপড়া- খেলাধুলা করার কথা, সেই বয়সেই হাতে উঠছে ভারি আগ্নেয়াস্ত্র। ছোটবেলা থেকেই তাদের মানসিকতা রুক্ষ হয়ে পরছে। তাই আমি বলতে চাই, দেশে অবশ্যই ধর্ম চর্চা থাকবে, তবে শিক্ষা ও প্রগতিশীলতাকে ধারন করে। আমরা চাই আমাদের মাঝে শিল্পবোধ থাকুক, অশ্লীলতা নয়। যেকোনো মূল্যে সহিংসতা পরিহার করা, অন্য ধর্মে শ্রদ্ধা করা, মানুষের প্রতি মমতা বোধ করা যেন আমাদের কাম্য হয়। আমরা চাই ইরানের অস্কার পাবার মত, আমাদের ধর্মের সৌন্দর্য দেখে বিশ্ববাসী আমাদের ধর্ম গ্রহন করে। আর ৭১ এ যারা আমাদের মা-বোনদের ধর্ষনে সহায়তা করেছে, তারা তো আমাদের এই সুন্দর ধর্মের অনুসারী হতে পারেনা, তাই না। অপরাধীর কোন ধর্ম নেই, সে শুধুই অপরাধী। আমরা বিশ্বজিৎকে হত্যা করা ছাত্রলীগ চাইনা, আমরা রগকাটা শিবির চাই না, আমরা স্বাধীনতা প্রিয়, মানবতাবাদী, দেশপ্রেমী, প্রগতিশীল ইসলামী শাসনতন্ত্র চাই। এরকম কাউকে পেলে ভোট দেব নইলে না।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৩

নাফাজি বলেছেন: দুপুরের লাঞ্চ ও যোহরের সালাত আদায় করার পর পোস্টি ব্রাউজ করে আপনার মন্তব্যটি পড়ে আমি আনন্দে আত্নহারা। আমি আপনার সাথে একশত ভাগ না বরং দুইশত ভাগ একমত। একদম আমার মনের কথাটিই বলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।

৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২৩

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন: বুদ্ধির ফেরিওয়ালাদের কোন আলাপ না তেখে বড়ই আমোদতি হচ্ছি...

অবশেষে ধরা খেয়ে গেল!

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩০

নাফাজি বলেছেন: হুমমমম...
আরেকটি বিষয় আপনারা খেয়াল করেছেন কিনা জানি না?!! এ সব ধর্ম বিদ্বেষী বর্ণচোরা বুদ্ধিজীবিদের অধিকাংশই মিডিয়ার সাথে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। বিশেষ করে যারা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার (নাটক, গান...) সাথে জড়িত তাদের অনেককেই দেখা যায় সারা বছর ধর্মের বিষোদগার করে কিন্তু দুই ঈদ খুবই ঢামাঢোলের সাথে পালন করে আর বলে বেড়ায়, ঈদ সার্বজনীন উৎসব। একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন কেন এরা ঈদ পালন করে। কারণ তাদের আয়ের একটি ভালো উৎস হলো এই দুই ঈদ। চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত দুই ঈদের অনুষ্ঠানে এরা কোন না কোন ভাবে জড়িত থাকে। যার ফলে ভালো কামাই রোজগার হয়। আর সে কারণেই সারা বছড় ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে দুই ঈদ মহা ধুমধামে পালন করে।

৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৬

আমিভূত বলেছেন: অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ।ব্যাপার গুলো আসলেই তাই ।
আমাকেই তো আমার অফিস কলিগ রা ঠাট্টা করেন হুজুর বলে আমি কিছু মনে করি না ,কিছু বলি না কেননা কথার পিঠে কথা চালানো উত্তম মানুষের কাজ নয় । তাঁরা ধর্ম সম্পরকে এতটাই অনভিজ্ঞ যে জানেন না তাঁরা হিজাব পরলে আর দাড়ি রাখলেই হুজুর হওয়া যায় না ।
আর ধর্ম নিয়ে জ্ঞান না থাকলে চুপ থাকাই উত্তম ।
ভালো লাগলো লেখা ,আল্লাহ্‌ আপানাকে আমাকে আমাদের সবাইকে উত্তম রুপে চলার তৌফীক দিন ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৭

নাফাজি বলেছেন: ধন্যবাদ, আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে উত্তম রুপে চলার তৌফীক দিন । আমীন।

৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫৫

ময়ূখ বলেছেন: ভাই...তিন ধরণের মানুষের কথা বললেন...প্রথম টাইপ টা কে বুঝতে পারসি...কিন্তু বাকী দুইটা কে...?! দেশে থাকি না, তাই হয়ত জানি না...প্রথম জন কে আমি নিজে একবার সামনা সামনি কিছু জিগ্গাসা করসিলাম, উত্তর দেয়ার সাহস হয় নাই...ধন্যবাদ...

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০১

নাফাজি বলেছেন: দেশের সর্বাধিক প্রচারিত একটি পত্রিকায় তারা কলাম লিখে। নাম উচ্চারণ করে এদেরকে হিট করতে চাই না।

৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫৪

তারান্নুম বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০২

নাফাজি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০২

আশফাক সুমন বলেছেন: আসসালাম ভাই,
আপনার এই পোস্টটা পড়ে অনেক কিছু নতুন ভাবে ভাবতে পারবে সচেতন মানুষেরা।
ধন্যবাদ- শুভকামনা আপনার জন্য

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০৬

নাফাজি বলেছেন: ওয়ালাইকুমুসসালাম। আপনাকে স্বাগত জানাই আমার ব্লগে। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: বাহঃ খুবই সহজভাবে সুন্দর যুক্তিশীল এবং অত্যন্ত মননশীল কথাগুলো বলেছেন। অনেক ভালো লাগলো।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২০

নাফাজি বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।

১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫

শরৎমেঘ বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন।
বর্ণনা ভঙ্গীটা চমৎকার ঝাঁঝাঁলো এবং বলিষ্ঠ যুক্তিপূর্ন।
বিষয়বস্তুকে বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে পড়লে আরো বাস্তব হয়ে উঠে! বলি তার পরও কী মোহ কাটবে বুদ্ধি বিক্রি করে সস্তা জীবন যাপন করা তথাকথিত ঐ সব বিশেষজ্ঞদের!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৪

নাফাজি বলেছেন: ওদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও ওদের মোহ কাটবে না। ওরা ধর্মান্ধ। অবাক হবেন না। ওদেরও ধর্ম আছে, তার নাম ধর্ম নিরপেক্ষতা, নাস্তিকতা, বাম দর্শন।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

১১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯

দিশার বলেছেন: ইরান এর মানুষ এর সাথে কথা বলসেন? আপনি কি জানেন ইরান এর মানুষ জন এখন আয় ধর্মান্ধ মোল্লাহ গোষ্টির কাছ থেকে মুক্তি র জন্য, কি কি বলে? ইরান কখনোই ধর্মান্ধ দেশ ছিল না, ইতিহাস পরে দেখেন, আয় মল্লার গুষ্টির কারণে ইরান আজকে কত কম দাম য়ে তেল বিক্রি করে জানেন? ইরান য়ে ফেইসবুক, ইউটুব এলাও না জানেন?
মিডল ইস্ট তেল বিক্রি করা ছাড়া কি দিসে বিশ্ব কে? ও হা দিসে কিসু ধন্গ্সকামি মতবাদ, আর উগ্র পন্থার চারণ ভূমি।
বড় বড় বিল্ডিং ( তবু নিজেদের প্রযুক্তি তে বানানো না) দেখে কাত হয়ে গেলেন?
হায়রে , ধর্মর নাম যে , মিডল ইস্ট এর সব রাজা বাদশারা, জনগণ রে দমায়ে রেখে , নিজেরে কি কি বিলাস যে আসে, দেখেন না ? নাকি অন্ধ সেজে থাকেন? মিডল ইস্ট এর সব পোলাপান পড়তে আসে কোথায় ?

তুরস্ক??? আপনে কি আসলে অন্ধ? কামাল আতাতুর্ক কি মুসলিম ছিল না সেক্যুলার ছিল?আধুনিক তুরস্কের রূপকার কামাল আত্মা তুর্ক কে চিনেনে নিশ্চয়? তুরস্কের উন্নতি আরো হত আয় ধর্মীয় গড়া দোল গুলা না থাকলে। তুরস্কের কারো সাথে কথা বলে জানবেন প্লিয়াসে। বা গুগল করেন। যে তুরস্কে সেক্যুলার দোল কত বসর ক্ষমতায় সিল।
আর তুলনা করেন, ফ্রান্স, নরওয়ে, স্বেদেন এর মত দেশ জ্ঞান বিজ্ঞান যে কোথায় আর আপনার ধর্মীয় দেশ গুলা কোথায় . মিলন দুর্নীতিতে করা চাম্পিয়ান , ধর্মীয় দেশ গুলা না স্কান্দানাভিয়ান দেশ গুলা? মেডিকেল সাইন্স যে করা আগায়ে? স্পেস টেকনোলজি তে?
পোস্ট একটা করসেন বাস, কিসু মানুষ এর তালি পাবেন . কিন্তু জ্ঞানী সমাজে কল্কি পাবেন না।
একটা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তে পরার সুযোগ য়ে , তুরস্ক , ইরান , আফগানিস্তান , সব জায়গায় বন্ধু পাবার সৌভাগ্য হয়েছে আমার।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.