![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশা: সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
কিন্তু আমি তোমাদের সত্যি বলছি; আমার চলে যাওয়া তোমাদের জন্য ভাল, কারণ আমি যদি না যাই তাহলে সেই সাহায্যকারী তোমাদের কাছে আসবেন না৷ কিন্তু আমি যদি যাই, তাহলে আমি তাঁকে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দেব৷
যখন সেই সাহায্যকারী আসবেন তখন তিনি পাপ, ন্যায়পরায়ণতা ও বিচার সম্পর্কে জগতের মানুষকে সচেতন করবেন৷
তিনি পাপ সম্পর্কে সচেতন করবেন, কারণ তারা আমাতে বিশ্বাস করে না৷
ন্যায়পরায়ণতা সম্পর্কে বোঝাবেন, কারণ এখন আমি পিতার কাছে যাচ্ছি, আর তোমরা আমায় দেখতে পাবে না৷
বিচার সম্বন্ধে সচেতন করবেন, কারণ এই জগতের যে শাসক তার বিচার হয়ে গেছে৷
আমার তোমাদের অনেক কিছুই বলার আছে, কিন্তু তোমরা সেগুলো গ্রহণ করার উপযুক্ত নও।
যখন সত্যের আত্মা আসবেন, তখন তিনি সত্যের পথে তোমাদের পরিচালিত করবেন৷ তিনি নিজে থেকে কিছু বলবেন না, কিন্তু তিনি যা শুনবেন তাই বলেন, আর ভবিষ্যতে কি ঘটতে চলেছে তা তিনি তোমাদের কাছে বলবেন।
তিনি আমাকে মহিমান্বিত করবেন, কারণ আমি যা বলি তাই তিনি গ্রহণ করবেন এবং তোমাদের তা বলবেন। বাইবেলের নতুন নিয়ম, যোন লিখিত সুসমাচার, অধ্যায় ১৬, শ্লোক ৭ থেকে ১৪
আমার মতে বাইবেলের নতুন নিয়মের চৌম্বক অংশ এই শ্লোকগুলি। আজ থেকে প্রায় দুই হাজার বছর পূর্বে মহা মানব যীশু ( ঈসা মসীহ (আ) ) পৃথিবীতে এসেছিলেন একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে। কিন্তু তাকে তা অসম্পূর্ণ রেখেই চলে যেতে হয়। তবে তিনি তার অনুসারীদের নিরাশ করেননি। তিনি তাদের এক সুসংবাদ দিয়ে যান। ভবিষ্যতে আগমণকারী আরেক মহা মানবের।
ত্রিত্ববাদীরা দাবি করে, যীশুর এই ভবিষ্যদ্বাণী পবিত্র আত্না (Holy Ghost) সম্পর্কে। ত্রিত্ববাদীদের মতে পবিত্র আত্না হলো, ঈশ্বরের তৃতীয় রূপ। প্রথম রূপ ঈশ্বর স্বয়ং, আর দ্বিতীয় রূপ হলো যীশু নিজেই। কিন্তু অত্যন্ত নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে উপরের শ্লোকগুলি পর্যবেক্ষণ করলে আপনি বুঝতে পারবেন, যীশু তার অনুসারীদের এক মহা মানবের সুসংবাদ দিচ্ছেন। যিনি ভবিষ্যতে আবির্ভূত হবেন। যিনি তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করবেন।
সেই মহা মানবের বৈশিষ্ট্যগুলোও যীশু উল্লেখ করেছেন। অবশ্যই তিনি একজন মানুষ, এক ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব। যীশু চলে যাবার পর তিনি আসবেন। তিনি পাপ সম্পর্কে, ন্যায়বিচার সম্পর্কে শিক্ষা দিবেন, তিনি মানবজাতিকে সত্য পথ দেখাবেন। তিনি যা শুনবেন তাই বলবেন। এর অর্থ কি হতে পারে? অবশ্যই তিনি ঐশীবাণী শুনবেন, যেমন শুনেছেন যীশু, জন দ্য ব্যাপটিস্ট ( ইয়াহিয়া (আ) ) এবং উনাদের পূর্বে ঈশ্বর প্রেরিত সকল নবী। সেই ঐশীবাণী মানবজাতিকে উপহার দিবেন। সেই মহামানব যীশুকে, তার পরিবারকে মহিমান্বিত করবেন।
এবার আমি আপনাদের ইতিহাসের আশ্রয় নিতে বলবো। যীশুর চলে যাবার পর কোন সেই ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব, যার মাধ্যমে তার ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণতা পেয়েছে। যীশুতো আরবের শুষ্ক রুক্ষ মরুর বুকে জন্ম নেয়া সেই মহামানবের কথায় বলেছিলেন, যিনি মানুষকে মূর্তিপূজার অভিশাপ থেকে মুক্ত করেছেন, একেশ্বরবাদী হতে শিক্ষা দিয়েছেন, যেভাবে শিক্ষা দিয়েছিলেন ইব্রাহীম (আ), মুসা (আ) ও ঈসা (আ)। মদ, জুয়া, খুন, রাহাজানি,পাপাচার, অনাচার ও ব্যাভিচার সম্পর্কে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় মানবজাতিকে সতর্ক করেছেন। মানুষের কাছে ঐশীবাণীকে অত্যন্ত যত্ন ও সতর্কতার সহিত পৌছে দিয়েছেন। মানুষকে ন্যায়বিচার ও সুশাসন সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছেন। যিনি যীশুকে, তার মা মরিয়মকে ইয়াহুদীদের দেয়া মিথ্যা, নোংরা অপবাদ থেকে মুক্ত করেছেন, মহিমান্বিত করেছেন। যীশুর অনুসারী বলে দাবিদারেরা যীশুকে খোদার আসনে বসিয়ে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে, তা থেকেও তাকে মুক্ত করেছেন।
যীশুতো তার কথাই বলেছিলেন, যিনি জন্ম নিয়েছিলেন এই রবিউল আউয়াল মাসে, যিনি প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে মদিনায় স্বর্গরাজ্য (Kingdom of Heaven) প্রতিষ্ঠা করে যীশুর অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করেছিলেন। নবুওয়তের ধারাবাহিকতার সমাপ্তি টেনেছিলেন।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১৪
নাফাজি বলেছেন: যীশু নিজে একজন ইয়াহুদী ছিলেন, রোমানদের বিরুদ্ধে বিপ্লব করে জেরুজালেমে স্বর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তিনি ইয়াহুদী পুরোহিতদের বিরুদ্ধাচারণ করেছিলেন কেননা তারা ধর্মকে বিকৃত করতে চেয়েছিল, তিনি তার শিষ্যদের নিয়ে সংস্কার করতে চেয়েছিলেন। তিনি শিষ্যদের জন্য নিয়ে এসেছিলেন ঐশীবাণী ও সুসংবাদ।
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫২
শার্লক_ বলেছেন: যে বাইবেল থেকে বললেন সেটা তো বিকৃত হয়ে গেছে। ঈসা (আঃ) যে কথাটি বলেছিলেন সে সর্ম্পকে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু মোটা দাগের কথাটি কখনোই বলেননি। ন্যায়পরায়ণতা সম্পর্কে বোঝাবেন, কারণ এখন আমি পিতার কাছে যাচ্ছি,...............
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০২
নাফাজি বলেছেন: কুরআনের আরেকটি নাম ফুরকান, যার অর্থ, সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী। যখন আপনি বাইবেল পড়বেন (পুরাতন বা নতুন নিয়ম) তখন কুরআনের সাথে মিলিয়ে পড়বেন। যা কিছু কুরআনের সাথে মিলে যাবে সেটাকে মেনে নিতে কোন সমস্যা থাকার কথা না। আবার যা মিলবে না তা বর্জন করতে হবে। এটাই মুসলিমদের জন্য উপদেশ।
যেমন, ত্রিত্ববাদ, এটা কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক। কুরআন শিক্ষা দেয় বিশুদ্ধ একেশ্বরবাদ। অন্যদিকে উপরে উল্লেখিত বাইবেলের শ্লোকগুলিতে যে ভবিষ্যদ্বাণীর কথা আছে সেরকম একটি আয়াত আছে কুরআনেও, যেমন, স্মরণ কর, যখন মরিয়ম-তনয় ঈসা (আঃ) বললঃ হে বনী ইসরাইল! আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর প্রেরিত রসূল, আমার পূর্ববর্তী তওরাতের আমি সত্যায়নকারী এবং আমি এমন একজন রসূলের সুসংবাদদাতা, যিনি আমার পরে আগমন করবেন। তাঁর নাম আহমদ। অতঃপর যখন সে স্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে আগমন করল, তখন তারা বললঃ এ তো এক প্রকাশ্য যাদু। পবিত্র কুরআন, ৬১ নং সূরা আস-সাফ, আয়াত নং ৬
আমি যদি কুরআনের আয়াত উল্লেখ করে বলতাম, এটা যীশুর ভবিষ্যদ্বাণী, তাহলে যীশুর অনুসারীদের কাছে এটা গ্রহণযোগ্য হতো না। তাই আমি তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য বাইবেল থেকে এই শ্লোকগুলি উল্লেখ করে ইতিহাসের আলোকে যাচাই করতে বলেছি।
আর পিতা শব্দটি রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয় ইয়াহুদীদের কাছে। যেমন বাইবেলের পুরাতন নিয়মের বই ইসাইয়া, ৬৩ নং অধ্যায়, ১৫ ও ১৬ নং শ্লোকদুটি খেয়াল করুন, "প্রভু, স্বর্গ থেকে নিজে তাকিযে দেখুন| এখন কি ঘটে চলেছে? আপনি স্বর্গস্থিত আপনার পবিত্র আবাস থেকে আমাদের দেখুন। আমাদের প্রতি আপনার সেই গভীর প্রেম কোথায়? আপনার ভিতর থেকে বের হয়ে আসা শক্তিশালী কর্মকাণ্ড কোথায়? আমার জন্য আপনার ক্ষমা কোথায়? আমার থেকে কেন আপনার উদার প্রেম সরিয়ে রেখেছেন? দেখুন, আপনি আমাদের পিতা! অব্রাহাম আমাদের জানে না। ইস্রায়েল (যাকোব) আমাদের স্বীকার করে না| প্রভু, আপনি আমাদের পিতা! আপনি আমাদের ঈশ্বর যিনি সর্বদা আমাদের রক্ষা করেন।" এখানে প্রভুকে পিতা হিসেবেও সম্বোধন করা হয়েছে। আশা করি, বোঝাতে পেরেছি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০২
খেলাঘর বলেছেন:
যীশু একজন রোমান বিরোধী বিপ্লবী ছিলেন; তিনি রোমানদের তোষামোদকারী ইহুদীদেরও বিরোধীতা করতে গিয়ে প্রাণ হারায়েছেন; এটুকুই।