নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়ারিশ আজাদ নাফির উঠোন

আমি একটু থামি। আমি বুঝি, আমি বোঝার চেষ্টা করি। আমার কোন আফসোস নেই, নেই অভিযোগ। আমি শুধু আমার লোক

আহারে বেচারা

আমি নরাধম অধার্মিক প্রেমিক। প্রেম, রাষ্ট্র , সমাজ, সিসটেম যার কাছে তালগোল পাকিয়ে গোলগাল কিছু একটা হয়ে গেছে

আহারে বেচারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ আমার মায়ের জন্মদিন

০৬ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

আমার হয়ত পৃথিবীতে আসাই হত না। পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ জন্ম না নেয়া ভ্রুনের তালিকায় আমি যুক্ত হতাম। ঘটনা সত্যি



আম্মা যখন আমাকে কনসিভ করে আম্মার সামনে মাস্টার্স পরীক্ষা । হটাত করে আম্মার প্রচন্ড নিওমোনিয়া হয়। একেবারে বাচা মরা অবস্থা। ডাক্তাররা বলে দেয় এ বাচ্চা নেয়া যাবেনা, এবোরশন কড়াতে হবে। আম্মা বলে বাচি মরি যা থাকে কপালে, কিন্তু আমার বড় সন্তান কে আমি মেরে ফেলতে পাড়ব না। বাসার সবাই অনেক বোঝায়। কিন্তু আম্মা অটল থাকে। সিদ্ধান্ত নেয় মাস্টার্স পরীক্ষা দিবেনা সে বছর। ১০ মাস ১০ দিন যুদ্ধ করেই আমাকে পৃথিবীতে আনে। আমি হওয়ার পড়ো আম্মা প্রায় ছয় মাস বিছানায় পড়ে ছিল। সে থেকে শুরু আম্মার প্রতি ঋণ



ছেলেবেলাটা অন্য দশটা বন্ধুর মত সাচ্ছন্দে কাটে নি।আব্বা বেকার অবস্থায় ঢাকা চলে আসে চাকরীর খোজে। টাকা দিতে পারেনা বলে লজ্জায় যোগাযোগও করেনা... আমরা বাড়িতে থাকি। ছোটভাই তখন সাত মাস বয়স। একদিন পাশের বাসার বাচ্চাকে আম খেতে দেখে ছোটভাই কান্না জুড়ে দিল আম খাবে। কিন্তু আম্মার কাছে তখন এক কেজি আম কেনার টাকা ছিলোনা। ছেলেকে আম না খাওয়ানর শোকে সারারাত কাদল আম্মা। কোটিপতির একমাত্র মেয়ে। জীবনে এক গ্লাস পানি নিয়ে খেতে দেয়নি নানাজান। সেই আম্মাকে দেখলাম। বাধ্য হয়ে এক এনজিওতে ফিল্ড ওয়ার্কের কাজ নিল। সকাল আটটায় আমাকে স্কুলে দিয়ে বের হত ।সারাদিন রোদে ঘুরে ফিল্ড ওয়ার্ক করে বিকালে বাজার করে বাসায় ফিরত। আমি চাইয়া চাইয়া দেখতাম...কিভাবে রোদে পুড়ে কালো হয়ে সংসার চালাত। তাও কারো কাছে হাত পাতেনি মাথা নিচু করেনি



খারাপ সময়টা হাতে হাত রেখে পাড় করছি। দিন পাল্টায়। আব্বার চাকরি হয়, আম্মাও বড় কলেজে চাকরি পায়। আমি পড়ালেখার জন্য ঢাকা চলে আসি। হোস্টেল থাকতাম। হোস্টেলের জঘন্য খাবার খাইতাম, মাকে বুঝতে দিতাম না। কিন্তু মা ত। বাড়িতে বড় কোন মাছ আনা হলে ডীপ ফ্রিজে ঢুকায় রাখতেন

-বড় পোলা আসুক, তারপর রান্না হইব

মাছ মাংস সব জমায় রাখতেন আমি বাড়ি কবে আসব এ অপেক্ষায়। মা রে...



মার কথা কত লিখব। লিখতে গেলে বুক ভাইসা যায়। মায়ের জন্মদিন এইত বারোটা বাজলেই। মায়েদের কি জন্মদিন থাকে। মনে হয়না। ছেলের জুতা, মেয়ের ড্রেস , বাবার টাই, মাসের বাজার , কাজের বুয়ার বেতন এত এত হিসাব করতে গিয়ে মায়েরা নিজেদের বয়সের হিসাব ভুলে যায়... মায়েদের কোন জন্মদিন থাকেনা। মায়েদের জন্মইতো হয় জন্ম দেয়ার জন্য। মাগো তুই বেঁচে থাক। আল্লায় আমার সবটুকু আয়ু তোকে দিয়ে দেক। তবুও তুই বেঁচে থা

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: কিছুই বলার নেই।

২| ০৬ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:০৩

তাসজিদ বলেছেন: কি যে লেখেন না ভাই। চোখ জাপ্সা হয়ে আসে।

মায়ের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

৩| ০৬ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:০৬

নীল জোসনা বলেছেন: মা , শুধুই মা...........

হাজার বার ডেকেও মন ভরেনা ।
শুভ জন্মদিন " মা "

৪| ১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৪১

অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: মা এর জন্য শুভ কামনা। আপনার জন্যও।

৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১৩

আহারে বেচারা বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.