নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জল সন্ধানী।
ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপরই যে দেখেছে
স্বৈরাচারের এক দেশ,
কথা শেখার পরপরই যাকে শুনতে হয়েছে
ক্রমিক মিথ্যা বয়ান,
বিদ্যালয় শুরু করার আগেই যার শিক্ষক হয়েছে
অসত্যের পূজারী,
সে তো স্বৈরাচারই হবে
স্বৈরাচার হবে তার প্রতিবাদের ভাষা।
বোধ হয়ে ওঠার পর যে দেখেছে
দক্ষতা নয়, কবে'কার কোন অবোধ চেতনা বিক্রি করে
দিব্যি চলা যায় এদেশে,
সে তো চেতনাবাজই হবে।
যে দেখেছে জ্ঞান কিংবা অভিজ্ঞতাকে
কীভাবে পাশ কাটাতে হয় গলাবাজি দিয়ে,
সে ছুঁড়ে ফেলবে প্রাজ্ঞকে,
আর নব্য এনিম্যাল ফার্মের নেতা হবার নেশায়
গাধার মত রপ্ত করবে উঁচু আওয়াজ!
আজন্ম যে হীরক রাজ্যের প্রজা
প্রবঞ্চনাই হবে তার সুবিচারের ভাষা।
জন্মমাত্রেই যে পেয়েছে
নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা এক জাতি,
আর ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো উন্মাদ জনতার এক আস্তাবল,
ক্ষমতা যেখানে গড়ার হাতিয়ার নয়, প্রতিশোধের চাবুক!
হাতে পায়ে বল পাবার পর যে দেখেছে
বারবার কীভাবে দেশের ভিত্তিমূল নাড়িয়ে দিয়ে
মূল্যবোধ, বিবেক, সমাজ, স্থাপনা, ইতিহাস...
সব ভেঙ্গেচুরে দিতে হয়,
তার বিনির্মাণের গন্ডীতো প্রতিশোধ পর্যন্তই!
যার বিকাশই বিভেদের বেড়াজালে
বিপ্লবও তার বিভেদাত্মক!
যে দারিদ্র্যকে ঘৃণা করতে করতে বড় হয়েছে
আনমনেই সে ঘৃণা করতে শুরু করেছে
রিকশায় আগুয়ান সুরত আলী, ক্ষেতে কাজ করা রুস্তম
কিংবা কামারশালার হরিদাসকে।
তাদের ভাষা, তাদের জীবনবোধ যে অপাংক্তেয়।
যে শ্রমিক ঘরে ঢুকতে ভয় পায়
দুর্মূল্যের বাজারে খাবারের জোগাড় নেই বলে,
যে মধ্যবিত্ত পালিয়ে বেড়ায়
দেনার টাকার শোধ নেই বলে,
প্রাত্যহিক বিপ্লবে যাদের জীবন জেরবার,
তার জীবনের উন্নতি কোথায়, তোমাদের রুপকল্পে কোথায় তার আওয়াজ?
তোমাদের ভাষায় সেতো ‘কোল্যাটারাল ড্যামেজ'!
আহা! তোমাদের প্রতিশোধ স্পৃহা
আর গলাবাজিতে যদি তাদের পেট ভরতো!
যে বিপ্লবে সুরত আলী, রুস্তম কিংবা হরিদাসের ঠাই নেই,
যে বিপ্লব শুধুই তোমার/তোমাদের
সেতো দিক হারাবেই!
©somewhere in net ltd.