![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেকচারার হবার পর বেশ ভালই সময় কাটছে। এখন আমি চাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের উন্নয়নে কিছু কাজ শুরু করতে। আমার মত যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসেবে আছেন, তারা নিজেদের মতামত শেয়ার করতে পারেন। কেউ আমার সাথে একসাথে হয়ে সবকিছু প্ল্যান করবেন প্লিজ?
আসুন, সবাই মিলে নিজেদের ক্যাম্পাসে বা আন্ত-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কি কি করা যেতে পারে সে ব্যাপারে কিছু আইডিয়া শেয়ার করি।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৬
নাফিস. বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি কি করেন?
২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২৩
বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন: মিঠাপুর যা কইছে এর পর আই একজন স্টুডেন্ট হইয়া আর কিছু কইতাম চাই না --
মিঠাপুর এর সব পয়েন্ট রেস্পেট করে - কিছু এড্ড করছি !!
তয় - বাস্তবিক জীবনে কাজে লাগে এমন কিছুর প্রতি খুব জোড় দেওয়া খুবই ভালো - ! যেমন আপনি মার্কেটিং পড়াচ্ছেন সেই সাব্জেক্টের অনেক চ্যাপটার আপনি হয়তো চেষ্টা করবেন ৪ মাসের সেমিষ্টারে ৮-১০ টা শেষ করবেন -- সত্য কথা বলবো ৯৫% স্টুডেন্ট কোর্স শেষ হওয়ার সাথে সাথে সব ভুলে যাবে !!
এর চেয়ে ভালো না - যেগুলো বেশি প্রয়োজনীয় সেই পয়েন্ট গুলো বারবার পড়িয়ে আপনার স্টুডেন্ট যাতে আপনার শিখানো কিছু অনেক দিন বহন করে --
এ বি এম সহিদ্দুল্লাহ স্যার একটা সঙ্গা পড়িয়েছে - এখন অবদি মনে আছে - আজব না ? বেশ বড় !
পড়াবেন অল্প কিছু যা পড়াবেন তা যেন স্টুডেন্ট ৮০% মনে রাখে -ক্লাসেও - সব থেকে ভালো হয় রিলিভেন্ট গল্পের মাধ্যমে বুঝানো -- রিলিভেন্ট উদাহারন --
স্টুডেন্ট যাতে আপনাকে ভয় না পায় সেই দিক ভালো করে খেয়াল করতে রেখেন - ভালো স্টুডেন্টকে ভালো রেজাল্ট দেওয়ার ক্রেডিট থেকে একজন দুর্বল ছাত্রকে ভালো করিয়ে আনতে পারা কে আমি বেশি ক্রেডিট দেই !! (অবশ্যই মোটিভেট করে - যোগ্যতার ভিত্তিতে )
একটা কাজ করবেন - দুর্বল স্টুডেন্টের ভয়েজ রেইজ যাতে করতে পারে তাদের থেকে উত্তর আগে জানতে চাইবেন - আপনি প্রথম দ্বিতীয় দিন বুঝতে পারবেন দুর্বল কারা !! মোটামোটি ভালো যারা তারা ভালো করবে তাদের প্রতি নজর খুব বেশি না দিলে চলে !!
( দুঃখিত একজন ছাত্র হয়ে অনেক ফ্রি উপদেশ মার্কা - বয়ান দিলাম - ভুল ত্রুটি মার্জনীয় দৃষ্টিতে দেখিবেন -আপনার সাফল্য জীবন কামনা করছি )
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৭
নাফিস. বলেছেন: অনেক ভাল লাগল। ধন্যবাদ।
৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৩০
নুরুন নেসা বেগম বলেছেন: এসাইনম্যান্টগুলো কি নিয়ে করতে হবে তা যথাসম্ভব আগেই বলে দিন।
সিলেবাস কভার করুন, অযথা গল্প, উদাহরণে সময় নষ্ট যেন না হয়। দরকারে আলোচনা করে বাড়তি ক্লাশ নিন।
নিয়ম সবার জন্য এক এবং জানিয়ে রাখুন।
মহিলাদের বাথরুমে ব্যাগ ঝুলাবার জন্য দরজায়/দরজা প্লাস্টিকের হলে দেয়ালে হুক লাগানোর উদ্যোগ নিন।
নামাজ ঘর, আসবাবপত্র, ঠিক আছে কিনা দেখুন।
নোটিশ বোর্ডে ঠিকমত নোটিশ লাগান যাতে সবাই পড়তে পারে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৭
নাফিস. বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি কি করেন?
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৩
মিঠাপুর বলেছেন: আপনি যেহেতু শিক্ষক তাই, আপনাকে জ্ঞান দেয়ার কিছু নাই।
তবে আমি আমার মতামত শেয়ার করি, বেয়াদবি নিবেন না।
সেমিষ্টারের প্রথম ক্লাসেই একটা কোর্স গাইড লাইন দিয়ে দেয়া।
এবং কেন পড়তে হবে, এটা পড়ে বাস্তব ক্ষেত্রে কি কি কাজে লাগতে পারে অথবা অন্য কোন বিষয় পড়তে গেলে প্রিরিকুইজিট কোর্স হিসাবে লাগবে কিনা- এই সম্পর্কে একটা ডিটেল ধারণা দেয়া।
এরপর ছাত্র-ছাত্রীদের ঐ কোর্সের উপর এক বা দুই দিন সময় দিয়ে, তাদের নিজেদেরকেই পড়তে বলা। কিছু বুঝুক বা না বুঝুক। চোখ বুলিয়ে নেয়া।
এরপর টিচার তার লেকচার শুরু করবে, এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কোন কোন জায়গায় বুঝতে অসুবিধা হলো, এবং শিক্ষক যেমন মনে করবেন, সেভাবে সিলেবাসের গুরুত্ব অনুযায়ী তার লেকচার দিবেন।
---------------------
এরপর, সেমিষ্টারের শুরু'র দিন থেকেই বাস্তবে সেই বিষয়ের সাথে সম্পর্ক যুক্ত বিষয়ের উপর আলোচনা, সচক্ষে পরিদর্শন, ক্লাসে দুটি বা তিনটি গ্রুপ করে, নিজেদের মধ্যে ঐ বিষয়ে ডিবেট করা।
শিক্ষক থাকবেন, একজন গাইড হিসাবে। গুরুত্বপূর্ন বিষয় এবং ভুল গুলো ধরিয়ে দিবেন।
..........................
এর পাশাপাশি নিয়ম মত, টিউটরিয়াল, মিড এক্সাম চলবে। এবং অবশ্যই ফাইনালে মিনিমাম, ৫ মার্ক হলেও পুরো সেমিষ্টারের কর্মকান্ডের উপর, ক্লাস, স্টুডেন্টের মধ্যে আলোচলা, পর্যবেক্ষণ এবং ছাত্রদের উদ্ভাবন, চিন্তাধারা, ঐ বিষয়'টা দেখার ক্ষমতার উপর - ভাইভা থাকবে।
_______________
ক্লাসে পাশ ফেলের ভয় ঢুকিয়ে না দিয়ে। শিক্ষক একজন সহযোগী হিসাবে, ক্লাসে সবার সতস্ফুর্ত, বিশ্লেষণধর্মী এবং আনন্দদায়ক ভাবে তুলে ধরা।
_____________
সবশেষ কথাঃ
আপনার প্রতি সন্মান রেখেই বলছি।
স্কুল, কলেজ শিক্ষকের কাছ থেকে জানা এবং শেখার জায়গা।
আর, বিশ্ববিদ্যালয়, শুধু শিক্ষকের কাছ থেকে লেকচার শোনারই ক্লাসরুম নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান তৈরী এবং অর্জনের স্থান।
জ্ঞান তৈরী হয়, বিদ্যা শেয়ারিং, কেয়ারিং , এক্সামিনিনেশান, ডিসকাশন এবং অবজারবেশন ফাইনালী নতুন জ্ঞান ইনভেশান এর মাধ্যমে।
______________
আজকে হতাশ লাগে, ত্রিপুরা আসামের মত জায়গার একটা ইউনিভার্সিটিতে যেখানে ১০০০ পিএইচডি ডিগ্রীধারী বের হয়, সেখানে আমার শিক্ষক, ছাত্ররা পাশ-ফেল সিজিপিএ নিয়ে ইদুর দৌড়ে ব্যস্ত।
একটা গভেষণাধর্মী পরিবেশ এবং দেশের নানাবিদ সমস্যা, এবং সম্ভাবনার সাথে মিল রেখে, একটা গভেষণা প্রতিষ্টান হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠুক এই কামনা করছি।
______________
একজন শিক্ষক হিসাবে আপনি ছাত্রদের সাথে নিয়ে, পাশে থেকে, ছাত্রদের দিয়ে দেশের নানাবিদ সমস্যা এবং আগামি সম্ভবনা'র দিকে লক্ষ্য রেখে ক্লাস করবেন, এবং একজন সফল শিক্ষক হিসাবে নিজেকে সত্যিকারের শিক্ষক হিসাবে জাতির সবথেকে মহান দায়িত্ব পালন করবেন। এই শুভাকামনা করছি।
দেশের প্রতিটি ইউনিভার্সিটি হয়ে উঠুক জ্ঞান তৈরী এবং নতুন গভেষনাগার।
পাশ ফেল নাম্বারের গোডাউন নয়।