![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাসপাতালে অনেক ভিড়। ছোট মেয়েটিকে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়াচ্ছেন দুলাল মিয়া। ৫ বছরের মেয়েটির ভীষন শ্বাসকষ্ট। ছোট বাচ্চাদের ইনহেলার আর সেটি ব্যাবহারের সরঞ্জাম কেনা সম্ভব না তার পক্ষে। হাসপাতালে এসেছেন তাই নিবুলাইজ করাতে। টিকেট কেটে বসে আছেন ঘন্টাখানেক হলো, হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে লোক নেই। একবার এইদিক আরেকবার সেইদিক দৌড়াচ্ছেন তিনি। মেয়ে তার মুখ হা করে পৃথিবীর সব বাতাস টেনে নিতে চাচ্ছে, পারছেনা। বুকে চেপে বসা জগদ্দল পাথরটি এত সহজে সরার পাত্র না। চিৎকার করার সাহস নেই দুলাল মিয়ার। শহরে একটাই হাসপাতাল। চিৎকার করার অপরাধে এখান থেকে বের করে দিলে মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার মতো জায়গা নেই আর। ঘন্টা পেরিয়ে আরেক ঘন্টা শুরু হলো। লাঞ্চ করে হেলেদুলে রুমে আসলেন ইমার্জেন্সির লোকেরা। হাতের টিকেটটি দেখে দুলাল মিয়াকে বললেন একজন, “এই ইনজেকশনটা নিয়া আস”। দুলাল মিয়ার স্পর্ধা নেই জিজ্ঞাস করে সেটি হাসপাতালে আছে কি না। দৌড়ে ইনজেকশনটি আনতে গিয়ে আরো মিনিট বিশেক চলে গেলো। ইনজেকশনটি ওয়ার্ড বয়ের হাতে দিয়ে এতক্ষনে আবার মেয়ের দিকে নজর গেলো দুলাল মিয়ার। হা করা মুখটিতে আর বাতাস টানার আগ্রহ নেই। মৃতেরা বাতাস টানেনা। "খানকির পোলারা" বলে একটা চিৎকার দিলেন দুলাল মিয়া... অধিকারের চিৎকার এমনই হয়, সেটিকে 'আর্তনাদ' বলে।
©somewhere in net ltd.