![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেকটা অপ্রত্যাশিত রকম খারাপ ব্যাটিং করেই আজ হেরে গেল আমাদের বাংলাদেশ। কি অসম্ভব মন খারাপ আজ আমাদের প্রায় সবার তা নিজেকে দিয়েই বুঝতে পারছি। একটা চাপা বিষন্নতা, খুব বেশি নিরাশা, তীব্র দুঃখবোধ। আর তার সাথে প্রত্যাশিতভাবেই শুরু হয়ে গেছে বাংলাদেশ টীমের গুষ্ঠী উদ্ধার। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই কিছু কথা লিখার ইচ্ছে হল। খেলা শেষ হওয়ার পর অনেককেই বলতে দেখছি, আমাদের সামর্থ্যই নাকি এরকম ৭৮ রান করার,তারপর ও আমরা সমর্থকেরা নাকি আশার ফানুসটা বেশি উড়িয়েছিলাম! এই অতি ক্রিকেট বোদ্ধাদের বিনীত ভাবে বলতে চাই, আপনারা বোধহয় আমাদের গত তিনটা ম্যাচ জেতার কথা ভুলে গিয়েছেন। একটু মনে করিয়ে দিই আপনাদের। আয়ারল্যান্ডের সাথে মাত্র ২০৭ করার পরও দুর্দান্ত ভাবে স্নায়ু চাপ সামলে ডু অর ডাই ম্যাচ জিতেছিলাম আমরা। অবিশ্বাস্য মানসিক চাপ আর সমালোচনার বাণে বিদ্ধ হয়েও ইংল্যান্ডের ২২৪ চেজ করে জিতেছি এই আমরাই। আর নেদারল্যান্ডের সাথে ধরে রেখেছি জয়ের ধারাবাহিকতা। কিন্তু এরপরও আজ যে আমরা এরকম বাজে ব্যাটিং করলাম তার প্রধান কারন আমাদের তরুন ক্রিকেটারদের অনভিজ্ঞতা।তাছাড়া আজকের ম্যাচের খুব গুরুত্বপূর্ন দুটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল ডু প্লেসিস আর তামিম ইকবালের ব্যাপারে টিভি আম্পায়ারের সম্পূর্ন ভুল সিদ্ধান্ত। ডু প্লেসিস এর নিশ্চিত আউট আম্পায়ার না দিয়ে কতটা মনোবল ভেঙ্গে দিয়েছিল বাংলাদেশের ,তা আব্দুর রাজ্জাকের পরের ওভারেই তার ১৮ রান নেয়া থেকে বোঝা যায়। আর তামিম ইকবালকে পুরো সন্দেহের ভিত্তিতে বিতর্কিত আউট দিয়ে আমাদের চেজ করার গেম প্ল্যানই নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। যেটা খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব রেখেছে পরের ব্যাটসম্যানদের খেলায়। কিন্তু আমাদের এই অতি মাত্রার ক্রিকেট " বিশেষজ্ঞ" রা এসব না দেখার ভান করছে, তাহলে যে বাংলাদেশ টীমকে মনের সুখে গালি দেয়া যায়! হ্যাঁ আমাদের ব্যাটসম্যানরা কয়েকজনই বেশ বাজে ভাবে আউট হয়েছেন। কিন্তু অতি চাপের দিনে এরকম হওয়াটা খুব অস্বাভাবিক না, এমনকি সেটা এক বিশ্বকাপে দুই বার হলেও না। আমাদের দলটার গড় বয়স টা জানেন তো? মাত্র ২৪। যে বয়সে আমরা অনেকেই চায়ের দোকানে বসে রাজা-উজির মারছি, সেই বয়সেই এই তরুনেরা ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশা ঘাড়ে নিয়ে তাদের চেয়ে প্রায় একফুট বেশি লম্বা, শারীরিক-আর্থিক সামর্থ্যের অধিকারী অন্য প্লেয়ারদের সাথে লড়াই করে যাচ্ছে। সুতরাং এরকম লড়াই এ দুই একটা দিন পা হড়কালে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার কিছু নেই। অনেক মেধাবী। দুর্দান্ত টীম ভারত। কেমন খেলেছিল তারা ৯৯, ২০০৭ এর বিশ্বকাপে? সেরা দল নিয়ে আসা দক্ষিন আফ্রিকা কেমন খেলে প্রতিবার চাপের মুখে? আর এই দেশের তরুনরা শক্তিশালী টীমকে হোয়াইট ওয়াশ করে , বিশ্বকাপে ভালো খেলে , তারপর দুইটা ম্যাচ খারাপ খেললেই সব দোষ হয়ে যায় তাদের। তাদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, তাদেরকে শাস্তি দেয়ার প্রশ্ন ওঠে, আমাদের ট্যাক্সের টাকায় খেলছে এই অজুহাতে তাদের পিন্ডিও চটকানোর চেষ্টা চলে। আরে ভাই, এতই যদি আপনাদের হিম্মত হয়, তো নিজে কেন কৈশোর থেকে ক্রিকেটে যান নি? এই ছেলেগুলো নিজেদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত করে শুধু ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসাতেই সব ছেড়ে ছুটেছে ক্রিকেটের পিছনে। যখন তারা অনুর্ধ ১৬, ১৯ এসব খেলেছে তারা কিন্তু জানত না জাতীয় দলে চান্স পাবে কিনা।তারা জানত না তারা গাড়ী পাবে নাকি লীগে খেলে রিকশায় চড়ে বাড়ী ফি্রতে হবে। আজকেও যারা জাতীয় টীমে খেলছে , লীগে খেলছে যে কোন সময় তাদের আয় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ইনজুরিতে পড়ে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেতে পারে, ফর্ম হারিয়ে যেতে পারে।যখন তবুও ক্রিকেটারদের কত টাকা দেয়া হয়, কি পুরস্কার দেয়া হয় তা নিয়ে কি উদ্বেগ আমাদের! ভারত, পাকিস্তান এর দিকে তাকান। দেখেন তাদের খেলোয়াড়দের কত টাকা দেয়া হয়।অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকার কথা বাদই দিলাম। তবুও তারা খেলছে শুধু ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসায়, দেশের প্রতি আবেগের টানে। ভুলে যাচ্ছেন কেন, এই তরুনদের খেলার কারনেই আজ আমরা এরকম কঠিন গ্রুপে পড়েও কোয়ার্টার ফাইনালে, এমনকি সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখি। এই তরুনদের কারনেই আজকে বাংলাদেশের লক্ষ তরুন স্বপ্ন দেখে বিশ্বসেরা ক্রিকেট হওয়ার, আপনি আপনার ছোট ভাই অথবা ছেলেকে কিনে দেন ব্যাট। তবুও কি কুৎসিত ভাবেই না এদের সমালোচনা করা হয়।
একজন ক্যাপ্টেন যখন চোখে হাত দিয়ে মাঠ ছাড়েন, দর্শকদের দিকে ফিরে "সরি" বলেন তখন বোঝা যায় ক্রিকেটটা শুধু তার জীবিকা নয়, এর চেয়ে বেশি কিছু। ক্রিকেট তার আবেগ,অনুভুতি। তবুও ম্যাচ শেষে তার গুষ্ঠী উদ্ধার করা হয়, তিনি ইংল্যান্ডে বাড়ী বানাচ্ছেন কিনা তা নিয়ে বিশাল গবেষনা হয়, এমনকি তার "সরি" বলাটাও দোষের হয়ে যায়।
একটা সময়ের কথা মনে আছে? যখন আমাদের দল ১৫০ করতে পারলেই আমরা অবাক হতাম। বোলিং ছিল যাচ্ছেতাই। ২০০৩ বিশ্বকাপের কথাই মনে করে দেখুন না। আর এখন? বলে কয়ে বড় দলগুলোকে হারাচ্ছি আমরা। আমাদের দেশে এসে হোয়াইট ওয়াশ হচ্ছে র্যাংকিং এর অনেক উপরে থাকা দল। স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচ জিতছি আমরা। এর মাঝে আবার পা পিছলেও পড়ে যাচ্ছি কোন সময় হয়ত। কিন্তু একটা তরুন শক্তিশালী দলের এরকম হওয়াটা খুব অস্বাভাবিক না। আমাদের ক্রিকেট যে অনেকদূর এগিয়েছে তা স্বীকার করতে এত কুণ্ঠা কেন আমাদের? এটা কি আমাদের মানসিক হীন্মন্যতারই পরিচয়ই দেয় না?
আজ আমরা ৫৮ রানে অল আউট হয়ে কালই আবার হারিয়ে দিচ্ছি অন্য দলকে। ফিরে আসছি দুর্দান্তভাবে, যা আগে কল্পনাও করতাম না। এসবই আমাদের নতুন ভবিষ্যতের কথা বলে। কিছু অতি "বিশেষজ্ঞদের" সমালোচনায় আমাদের ক্রিকেট পিছিয়ে যাবে না। কারন আমরা শিখে গেছি কি করে এগিয়ে যেতে হয়। একটা হারেই আমাদের সব কিছু হারিয়ে যায় না। ওয়ার্ল্ড কাপ শেষেই সফরে আসছে অস্ট্রেলিয়া। দেখাই যাক না কি হয়!!!!!!!!! আজ যেমন হেরে, কষ্ট পেয়েও বাংলাদেশের ক্রিকেট এর জাগরন দেখে বলছি, " এই দিন দিন না আরো দিন আছে", ঠিক তেমনি হয়ত অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েও মনে মনে বলব , " এই দিন দিন না, আরো দিন আছে!!!!"
১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৪২
নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
২| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৩৪
মাহবুবুর রহমান বলেছেন: ভাই একদম খাটি কথা বলছেন আপনি। এখন পর্যন্ত আপনার কাছ থেকে পজিটিভ লেখা পেলাম। সবাই মোটামুটি ভাবে ক্রিকেটারদের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করে ফেলেছে। এই জন্য আপনারে ++++++++ । এখন পর্যন্ত যে খেলা তারা দেখিয়েছে আমি খুশি তাদের খেলায়। তবে এই দলটা যদি পরের ওয়ার্ল্ড কাপে দেখা যায় আশা করি তারা আর নিরাশ করবে না। ভাল ক্রিকেট খেলতে হলে ম্যাচুরিটি লাগে শুধু একটা ফিফটি করলেই ভাল খেলোয়াড় হওয়া যায় না। আশা করি বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড কাপের পরের সিরিজ গুলোতে ভাল খেলবে।
১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৪৪
নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: অবশ্যই আমাদের পজিটিভ হতে হবে। ইন্ডিয়া অথবা ইংল্যান্ডের সাপোর্টার মিডিয়ার মত হওয়া যাবে না।
৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৪১
আন্ধা পোলা বলেছেন: কি আর কমুরে ভাই ঐসব গুলারে কিছু কওনের নাই।।এভয়েড করেন।। লেখা ভালো হইছে ভাই!
১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৪৪
নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৪৫
এমএিব সুজন বলেছেন: তবে গত বিশ্বকাপ ২০০৭ এর মত এবারও ২০১১ বিশ্বকাপে তরুণ ক্রিকেটার নির্ভর দল হয়ে গ্যাছে। ভব্যিষতে এদের হয়ত কেউ কেউ থাকবে না আবার নতুন কারও কারও অভিষেক হবে এই ভ্রান্ত ধারণা বদলাতে হবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত আমাদেরও সিনিয়র জুনিয়র মিলিয়ে একটি সুন্দর ব্যালেন্স টিম গঠন করতে হবে। নতুবা বার বার কম বয়সী বাচ্চাদের কাছ থেকে এসব দায়িত্ব জ্ঞানহীন অঘঠন সয়ে যেতে হবে। বর্তমানে যে ১৫ জন আছে তাদের সর্বোপরি মোট যে ২৩ জনের প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হয়েছিল তাদেরকে আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত সুযোগ দিলে আগামী বিশ্বকাপে হয়তবা আমরা অন্তত এবারের মত অবস্থার সৃষ্টি হবেনা ইনশাল্লাহ্।
১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৪৫
নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: সহমত আপনার সাথে
৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৪৭
এমএিব সুজন বলেছেন: তবে গত বিশ্বকাপ ২০০৭ এর মত এবারও ২০১১ বিশ্বকাপে তরুণ ক্রিকেটার নির্ভর দল হয়ে গ্যাছে। ভব্যিষতে এদের হয়ত কেউ কেউ থাকবে না আবার নতুন কারও কারও অভিষেক হবে এই ভ্রান্ত ধারণা বদলাতে হবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত আমাদেরও সিনিয়র জুনিয়র মিলিয়ে একটি সুন্দর ব্যালেন্স টিম গঠন করতে হবে। নতুবা বার বার কম বয়সী বাচ্চাদের কাছ থেকে এসব দায়িত্ব জ্ঞানহীন অঘঠন সয়ে যেতে হবে। বর্তমানে যে ১৫ জন আছে তাদের সর্বোপরি মোট যে ২৩ জনের প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হয়েছিল তাদেরকে আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত সুযোগ দিলে আগামী বিশ্বকাপে হয়তবা আমরা অন্তত এবারের মত অবস্থার সৃষ্টি হবেনা ইনশাল্লাহ্।
১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৪৯
নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: সহমত আপনার সাথে
৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৪৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: লেখক বলেছেন: অবশ্যই আমাদের পজিটিভ হতে হবে। ইন্ডিয়া অথবা ইংল্যান্ডের সাপোর্টার মিডিয়ার মত হওয়া যাবে না।
সহমত।
২৪ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ৭:০০
নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:১০
সত্য সন্ধানী আমি বলেছেন:
ভাই আমার পোস্টের লিংকটা সাংবাদিকের পোস্টে একটু দিয়ে আসবেন?
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:২৬
তানিম৭১৯ বলেছেন: সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনার সাথে একমত।