নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাহিদ ৭৮৯

কেউ কোনোদিন শুনে নি যে ভালোবাসা মার খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে

নাহিদ ৭৮৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সফট ড্রিংকস ও এনার্জি ড্রিংকস কেনো আপনি খাবেন না

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

কারণ আপনি মোটা হতে চান না

মোটা হওয়া মানে শুধু দেখতে খারাপ বা শারীরিক অস্বস্তির ব্যাপারই নয়। ওজন বাড়লে আপনি খুব অনায়াসে যে অসুখগুলোতে আক্রান্ত হবেন তা হলো টাইপ টু ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেশার,স্ট্রোক, হার্ট এটাক, ক্যান্সার, গলব্লাডারে পাথর, আর্থ্রাইটিস। পরিণামে অকাল মৃত্যু। মোটা হওয়ার সঙ্গে সফট ড্রিংকস-এর একটা সরাসরি যোগাযোগ আছে। বোস্টনের শিশু হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ এবং হার্ভার্ড স্কুল একসাথে গবেষণা করে যা বের করেছে তাহলো, একটি শিশু যদি প্রতিদিন একটা করে বাড়তি সফট ড্রিংকস খায় তাহলে তার ওজন বাড়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় ৬০%। এক বোতল বা এক ক্যান সফট ড্রিংকসে ক্যালরির পরিমাণ হলো ১৬০ যা ১০ চামচ চিনির সমান। এ পরিমাণ ক্যালরি ঝরাতে সপ্তাহে আপনাকে ভারী ব্যায়াম করতে হবে সাড়ে ৪ ঘণ্টারও বেশি। কিন্তু আপনি কি তা করেন? তাহলেই বুঝুন পরিণতি!



কারণ আপনি আপনার দাঁত হলুদ বানাতে চান না

ধরুন, আপনি আপনার বন্ধুদের একটা জাদু দেখাতে চান। আপনার ধবধবে সাদা মুক্তোর মতো দাঁতগুলোকে আপনি ১ ঘণ্টার মধ্যে স্থায়ীভাবে হলুদ করে ফেলবেন। কিছুই না, এক ঢোক কোলা মুখে নিয়ে ১ ঘণ্টা ধরে রেখে দিন। ব্যস, এনামেল ক্ষয়ে দাঁতগুলো হলুদ হয়ে যাবে। সফট ড্রিংকসের ঝাঁঝালো স্বাদ বাড়ানোর জন্যে এতে ফসফরিক এসিড ব্যবহার করা হয়। এ এসিড এত শক্তিশালী যে, একটা নখ এর মধ্যে ডুবিয়ে রাখলে ৪ দিন পর আর আপনি নখটাকে খুঁজে পাবেন না। তাছাড়া সফট ড্রিংকসে যে চিনি ব্যবহার করা হয়, ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে এটাও এসিড তৈরি করে।



কারণ আপনি ভঙ্গুর হাড় চান না

ফসফরিক এসিডের আরেকটি কাজ হলো হাড়ের ক্যালসিয়ামকে ক্ষয় করা। ১৯৯৪ সালে টিনএজ মেয়েদের ওপর চালানো হার্ভার্ডের এক গবেষণায় দেখা যায়, যে মেয়েরা সফট ড্রিংকস পান করে অন্যদের তুলনায় তাদের হাড়ভাঙার প্রবণতা ৫ গুণ বেশি। পরবর্তীকালে অস্টিওপরোসিস নামক হাড়ের ক্ষয়জনিত একটি রোগ এদের হতে পারে। এ রোগে হাড়ের ঘনত্ব কমে এবং গঠন দুর্বল হয়ে যায়। ফলে হাড় সহজে ভেঙে যায়। সাধারণত বয়স্ক মহিলাদের এ রোগটি বেশি দেখা দেয় আর আশঙ্কার কথা হলো, ভাঙা হাড় আর সহজে সেরে ওঠে না। ২,৫০০ প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার ওপর এ ধরনের আরেকটি গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, এমনকি যারা নিয়মিত দুধ বা অন্যান্য ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করেন তারাও কোলাজাতীয় ড্রিংকসের ক্ষতিকর এ প্রভাব থেকে মুক্ত থাকেন নি।



এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

মাহিরাহি বলেছেন: কিছুক্ষন আগে আলজিজিরা দেখালো কোক জাতীয় পানীয় হলে মারাত্মক রকমের এজমা হওয়ার প্রবনতা বেড়ে যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.