নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Restless

I want to make me as a blog writter.

রাশিদুল ইসলাম নাহিদ

I like to explain the international affiars.

রাশিদুল ইসলাম নাহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২০



দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কি অনিশ্চিত আগামীর ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাহলে নানামুখী সংকটে থাকা অর্থনীতির কি হবে, তা নিয়ে শংকা ক্রমেই বাড়ছে। এমনিতেই রফতানি ও রেমিটেন্সে ভর করে চলা অর্থনীতিতে অভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে। এদিকে রেমিট্যান্স ছাড়া কমে গেছে আমদানি, রফতানি, বিনিয়োগ, সঞ্চয়, রাজস্ব আয়। এমনকি পদ্মা সেতুর দুর্নীতির কারণে দাতা সংস্থাগুলো প্রতিশ্রুত অর্থ ছাড় করছে না। ফলে ধীর গতিতে চলছে সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচী। অন্যদিকে বছরের শুরু থেকেই ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে এই উত্তাপ দিন যতই এগিয়ে যাবে ততই বাড়বে। কেননা বছরের শুরু থেকেই এ পযর্ন্ত ১৬ দিন হরতাল ও একদিন অবরোধ পালিত হয়েছে। এই কর্মসূচীগুলোকে কেন্দ্র করে বিরোধীদল রাজপথ দখলে রাখতে চাইছে এবং সামনের দিনগুলোতেও এইরকম কর্মসূচীর সম্ভাবনা দেখা যাচেছ। আর এতে সবচেয়ে বেশি খতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি। আর সকলেই এটা জানে অর্থনীতি খতিগ্রস্থ হওয়া মানে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হওয়া। উন্নয়ন ব্যাহত হওয়া মানে বেকারত্ব সৃষ্টি এবং এরপর দরিদ্রতা ও নৈরাজ্য।



বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার বাইরেই সমস্যাগ্রস্থ অর্থনীতির অন্যতম একটি দিক হচ্ছে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট। আবাসন খাতে অনেকদিন ধরেই মন্দা চলছে। নির্মিত ও অর্ধনির্মিত বহু ফ্লাট অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়া এর প্রধান কারণ। এই আবাসন খাতের সঙ্গে যুক্ত অনেক শ্রমঘন শিল্প ও বিনিয়োগ। এই শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১৫ লাখ ব্যবসায়ী জড়িত রয়েছেন। বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করে তারা এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে। গ্যাস-বিদ্যুতের তীব্র সংকট সামাল দিতে বিনিয়োগকারীরা হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন। ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার ও দফায় দফায় জালানি মূল্য বৃদ্ধিতেও বিনিয়োগকারীরা চাপের মুখে রয়েছেন। এমনিতেই অবকাঠামোগত প্রকট সমস্যার কারণে এ খাতে মন্দার প্রভাব পড়েছে, এরই সাথে দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি যুক্ত হওয়ায় চলতি বছরেও এই খাত ভাল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। ফলে নতুন বিনিয়োগ করার ভরসাই পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু নতুন বিনিয়োগ না হলে কর্মসংস্থান হবে কিভাবে, প্রবৃদ্ধিইবা বাড়বে কি করে-এমন প্রশ্ন বিশ্লেষকদের।



এদিকে পণ্য রফতানিতেও পড়েছে বিরুপ প্রভাব। সাম্প্রতিক সময়ে বিনিয়োগ মন্দার কারণ হিসেবে রফতানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টর্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশর প্রেসিডেন্ট আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধান রফতানির বাজার ইউরোজোন ও আমেরিকায় অর্থনৈতিক মন্দার কারণে রফতানির প্রবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে। এর উপর দফায় দফায় জালানি তেল, বিদ্যুত, গ্যাস, ফ্যাক্টরি স্থাপনা ভাড়া, আয়কর, আমদানি শুল্ক, ব্যাংকের সুদহার বৃদ্ধিসহ কাচাঁমাল আমদানি ও রফতানি পণ্য পরিবহণ খাতে ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন খরচ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগি দেশের রফতানিমূল্য তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় বাংলাদেশ রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে।



অন্যদিকে দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও হরতালের কারণে পণ্য রফতানি দেরি হওয়ায় ক্রয় আদেশ প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। অন্য দেশ থেকেও এই রকম হুঁশিয়ারী আসছে। তাই উদ্বিগ্ন পোশাক শিল্পের মালিকরা। কেননা হরতালের কারণে অনেক কারখানায় পণ্য উৎপাদন কমছে এবং যেটুকু উৎপাদন হচ্ছে তাও সময়মত নেয়া যাচ্ছে না বন্দরে। বন্দরে জমছে কনটেইনার। জমাকৃত সেই কনটেইনার বিলম্বে খালাস করতে গিয়ে আবার বেড়ে যাচ্ছে পণ্যের ব্যয়। সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতি এখন টালমালটাল। বাজেট সামনে রেখে ব্যবসা বাণিজ্যের এমন দুর্দশায় পাওয়া যাচ্ছে অশনি বার্তা।



হরতালের বিরুপ প্রভাব শুধু রফতানির ক্ষেত্রেই নয়, এর ফলে কমে যাচ্ছে ব্যাংকিং লেনদেন। সরকারদলীয় ও বিরোধী দলের টানা সহিংসতায় অনেকে ব্যাংক থেকে উঠাচ্ছেন নগদ টাকা। এতে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে অর্থনীতি।



লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, ২০১০ সাল থেকে পুঁজিবাজারে যে অস্থিরতা ও দরপতন হয়ে আসছে তার উপর নতুন করে বিরুপ প্রভাব ফেলছে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা। দেশের দুই পুঁজি বাজার কর্তৃপক্ষ বহু কাঠখড় পুড়িয়ে ফেব্রুয়ারীর প্রথম দিকে বাজারে নতুন করে গতি এনে দিতে সক্ষম হলেও তা টেকসই হচ্ছে না। কয়েকদিন টানা হরতালের কারণে আবার সেই পতনের পুরনো ধারায় ফিরে যাচ্ছে পুঁজিবাজার। অথচ এই পুঁজিবাজারের সাথে জড়িত অসংখ্য ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী। তাই বিশ্লেষকরা মনে করছেন পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আবারো দীর্ঘমেয়াদে আক্রান্ত হবে পুঁজিবাজার। তাই উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত যেকোন মূল্যে রাজনৈতিক অনিশ্চিয়তা দুরীকরণে পদক্ষেপ নেয়া। কারণ রাজনৈতিক অস্থিরতা অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিকে বাধাগ্রস্থ করবে। এ ছাড়া শেয়ারবাজার সবসময় খুবই স্পর্ষকাতর জায়গা। এ অস্থিরতা দুর না হলে আবারো বড় ধরনের বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।



দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কাঙ্খিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে শিল্প বিনিয়োগ বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। শিল্পে বিনিয়োগ বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়ে, বাড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশের মতই বাংলাদেশের নীতনির্ধারকদের কাছে আকাঙ্খিত বিষয় হলো প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ। কিন্তু বিভিন্ন অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে আশানুরুপ বিনিয়োগ প্রবাহ দেশে আসছে না। ফলে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি দেশীয় বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন শিল্পে আটকে রয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ। আর এই নানামুখি সংকটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা। যার প্রভাব ইতোমধ্যেই অর্থনীতিতে শংকার সৃষ্টি করেছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো বাংলাদেশের যে বর্তমান রাজনৈতিক সংকট তাতে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে কতটুকু আগ্রহী হবে এবং প্রবৃদ্ধি অর্জনের যে লক্ষ্য মাত্রা তা কতটুকু অর্জিত হবে? কেননা বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরা সবসময় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে লক্ষ্য রাখে।



বাংলাদেশে জনশক্তি প্রেরণ করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি বড় বাজার হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। এছাড়াও বর্তমান সময়ে মালেশিয়ায় একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা জনশক্তি প্রেরনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সচল রাখে রফতানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ। বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রবাসীদের এই আয় উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে দেশের উদ্ভুত রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রবাসীদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। কেননা এরই মধ্যে দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি কে কেন্দ্র করে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোসহ অন্যান্য দেশ থেকে আন্তর্জাতিক চাপ আসছে। যা আমাদের রেমিট্যান্স প্রবাহের ক্ষেত্রে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।



আমাদের মতো দেশে অর্থনীতিকে গতিশীল ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বিদেশী সহায়তা খুবই গুরত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিগত চার অর্থবছরে দাতা দেশ ও সংস্থগুলো বিপুল অর্থসহায়তা দিতে সম্মতি দিলেও সে অনুযায়ী অর্থছাড় করেনি। এসময় ছাড় হয়েছে প্রতিশ্রুত অর্থের অর্ধেকেরও কম। অর্থ ছাড়ের পরিমাণ মাত্র ৭৮০ কোটি ডলার। মূলত দুর্নীতি ও বাস্তবায়নের ব্যর্থতার কারণেই দাতারা অর্থ ছাড়ে এগিয়ে আসে নি। বর্তমান সময়ে দেশে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে জাতিসংঘসহ অনেক দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাই যদি এই অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ থাকে সেক্ষেত্রে অন্য দেশ ও সংস্থা থেকে সহায়তা হিসেবে প্রতিশ্রুত অর্থ কতটুকু পাওয়া যাবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।



বছরের শুরুতেই মানবতা বিরোধী অপরাধের রায় ও বিরোধী দলের তত্তাবধায়ক সরকার ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশে যে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা শুরু হয়েছে তার প্রভাব পড়েছে গ্রামীন অর্থনীতিতেও। এমনিতেই নিত্য প্রয়োজনীও জিনিসের দাম সাধারন ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে তারপর আবার হরতালের কারণে পণ্য-দ্রব্যের দাম বেড়েই চলছে। যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে জনজীবনে অস্থিরতা। গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক কর্মসূচী থাকতে পারে তবে ধ্বংসাতœক কর্মকান্ড দেশ ও অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক নয়। তাই দেশের অর্থনীতিকে প্রাধান্য দিয়েই শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচী গ্রহন করা উচিত।



অনেক আশা নিয়ে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ২০ শতাংশ। অথচ অর্থবছরের ৮ মাস পরও এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের আশা করা যাচ্ছে না। অর্থনীতির সূচক থেকে বুঝা যাচ্ছে প্রবৃদ্ধির হার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক নিচে থাকতে পারে। এর বড় কারণ হলো বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়া। কারণ উদ্যোক্তরা অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে এমনিতেই বিনিয়োগ করতে চাইছে না। তার উপর রাজনৈতিক অস্থিশীলতা তীব্র হয়ে উঠায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বড় ধরনের চাপের মুখে রয়েছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, মানবাধিকার সংগঠন ও অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন অর্থনীতিকে শক্ত ভিত্তির উপর দাড় করাতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা খুব প্রয়োজন। এছাড়া সামনে জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে । মানবতা বিরোধী অপরাধের রায় ও নির্বাচন কেন্দ্রীক সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকট দীর্ঘায়িত হলে তা অর্থনীতিতে নেতিবাচক ভুমিকাই রাখবে বলে মনে করছেন তারা।





মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: গণজাগরণ সংশ্লিষ্ট ঘোষণা
সারা বাংলার চেতনা
তৃতীয় দ্বারা গঠিত হবে / বাংলার গনতান্ত্রিক মুক্তি ।
জাতীয় বাঙ্গালি শুশিল সমাজ
সব মহলের উত্তম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব গনের সম্মিলিত
এ উদ্দ্যুগে সকলের সংশ্লিষ্টতা , সহযোগিতা , এবং একাত্ততা হবে
বাংলাদেশের নব অগ্রজদের আত্তপ্রকাশ
তথা বাংলাদেশ জাতীয় এক্য গনমূর্ছা ।
আপনাদের সুচিন্তিত মতামত হবে / দেশ গড়ার সংগ্রামে
নিয়োজিত সংশ্লিষ্টদের দিক নির্দেশ ।
আমরা আমাদের স্বাধীনতা / ধর্ম এবং দেশীয় সংস্কৃতিকে
সংরক্ষন করব শান্তি ও সুদ্ধতায়
এক্যর নিরিখে নব্বারতায় ।
অনলাইন অফ্লাইন কত্রিপক্ষ । এ বিষয়ে সুনিপন লেখা চাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.