নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Restless

I want to make me as a blog writter.

রাশিদুল ইসলাম নাহিদ

I like to explain the international affiars.

রাশিদুল ইসলাম নাহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতিসংঘ দিবসে প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০২

১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর সানফ্রান্সিসকো সম্মেলনে ৫০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২৪ অক্টোবরকে জাতিসংঘ দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। সদস্য দেশগুলোর উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে জাতিসংঘ তার কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। আজ জাতিসংঘ দিবসকে সামনে রেখে এই সংস্থা বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য এই বছরকে ‘ইয়ুথ ফর ডেভেলপমেন্ট’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। জাতিসংঘ দিবসে জাতিসংঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রাপ্তিগুলোও কম নয়। আজকের দিনে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় জাতিসংঘের উল্লেখযোগ্য ভুমিকা গুলো হচ্ছে, ১৯৫০ সালের কোরিয়া সংকট, ভারত-পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভের পর সৃষ্ট কাশ্মীর সংকটে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করণে শান্তিরক্ষি বাহিনী প্রেরণ, ১৯৪৮ সালের প্যালেস্টাইন সংকটে, ১৯৫৬ সালে সুয়েজ সংকটে, ১৯৭৩ সালে মধ্যপ্রাচ্য সংকটে, ১৯৮৮ সালে ইরান-ইরাক সংকটে, কুয়েত সংকটে, ১৯৯২ সালে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা সংকটে এবং সোমালিয়ায় শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণের মধ্যে দিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে।



জাতিসংঘ প্রায় ৫০ টি দেশের স্বাধীনতা অর্জনে, ৯০ এর দশকে নামিবিয়া, এলসালভেদর, মোজাম্বিক ও কম্বোডিয়ায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এবং বিভিন্ন দেশে গণভোট পরিচালনায় সক্রিয় ভুমিকা পালন করেছে। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ কর্তৃক মানবধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহিত হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক, সামাজিক, মানবিক, অর্থনৈতিক, নাগরীক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সম্পর্কিত ৮০ টিরও অধিক চুক্তি স্বাক্ষরে সহায়তা করেছে জাতিসংঘ। ১৯৭২ সালে মন্ট্রিল ঘোষণা ও ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিওডি জেনিরোতে ধরিত্রী সম্মেলন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী পরিবেশ বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে এই সম্মেলন সচেতনতা সৃষ্টিতে গুরত্ব পূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এছাড়া জাতিসংঘ ইউনিসেফ ও আইএলও এর মাধ্যমে শ্রমের অধিকার, শ্রম ও মজুরির সমতা বিধান এবং বিশ্বব্যাপী শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি অসহায় শিশুদের খাদ্যসংস্থান ও শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অনেকটাই সফল। জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী জনগণের স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করতে ডব্লিউএইচও, ইউনিসেফ ও ইউএন এফপি এর মাধ্যমে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে আফ্রিকার দেশগুলো সহ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুর হার অনেক কমেছে এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পরিবার পরিকল্পনার ব্যাপক প্রসার ঘটিয়েছে। নারী শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মৃক্ত বাণিজ্য প্রসারে জাতিসংঘের কার্যক্রম প্রসংশনীয়। এছাড়া জাতিসংঘের প্রচেষ্টায় তিন শতাধিক আন্তজাতিক চুক্তি আইনে পরিণত হয়েছে। তবে দীর্ঘ সময়ে জাতিসংঘের প্রাপ্তিটুকু বিশ্বের সর্ববৃহৎ সংস্থা হিসেবে খুব বেশি নয়। বরং জাতিসংঘের নিরপেক্ষতা নিয়ে বির্তক সৃষ্টি হয়েছে।



কেননা গত সাত দশকে জাতিসংঘ যেসব কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে তাতে ১৯৩ টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা পূরণে অনেক সময় পেয়েছে জাতিসংঘ। কিন্তু যে সংস্থাটি সমতা, স্বাধীনাতা, বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার রক্ষার শ্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছে কিনা তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। কেননা জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল স্বাধীনাতহীন ও সা¤্রাজ্যবাদের করাল গ্রাসে পতিত ছোট রাষ্ট্রসমূহকে স্বাধীনতার ছায়াতলে নিয়ে আসতে কিন্তু এই বিশ্বসংঘের উদ্দেশ্য ও মূলনীতিকে কাঁচকলা দেখিয়ে পরাশক্তিগুলো স্বাধীনতাপ্রাপ্ত রাষ্ট্রগুলোর স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হরণ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। অথচ একটু পেছনে ফিরে তাকালে দেখা যাবে যে ভয়াবহতা ও অঙ্গিকারের মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের জন্ম হয়েছিল তার নিরপেক্ষতা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আজ সন্দিহান। যে সা¤্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর সা¤্রাজ্যগ্রাসের অনিবারিত ফসল হিসেবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। যুদ্ধের ধ্বংসলীলা বিপন্ন মানবতা বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে যুদ্ধ বন্ধ এবং শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রণোদিত করেছিল। যার প্রত্যক্ষ সুফল হিসেবে ‘লীগ অব নেশন’ গঠিত হলেও বৃহৎ রাষ্ট্রসমূহের আগ্রাসী তৎপরতা বন্ধ করা যায়নি। বরং ইতালী কর্তৃক আবিসিনিয়া দখল, জাপান কর্তৃক চীনের মাঞ্চুরিয়া দখল, জার্মানী কর্তৃক ওঝিক করিডোর দখল, রাশিয়া কতৃর্ক ফিনল্যান্ডের স্বাধীনতা গ্রাস এবং হিটলারের প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ গ্রহনের আকাঙ্খার মধ্য দিয়ে অনিবার্যভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এই যুদ্ধের ভয়াবহ ধ্বংসাতœক তান্ডবলীলা প্রথম বিশ্বযুদ্ধকে ছাড়িয়ে যায় এবং সৃষ্ট মানবতার বিপর্যয় বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯৪১ সালের জুন থেকে ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত নানা সম্মেলন ও প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে লীগ অব নেশনের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে পুনরায় জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। কিন্তু যেসব কারণে লীগ অব নেশন তার অস্তিত্ব ধরে রাখতে পারেনি। ঠিক একই কারণে জাতিসংঘ পক্ষপাতদুষ্ট। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক নয়া সা¤্রাজ্যবাদের কবলে ইরাক, আফগানিস্থান, লিবিয়া, সিরিয়াসহ আফ্রিকার অনেক দেশ তাদের সার্বভৌমত্ব হারিয়ে ফেলেছে। আর এসব বাস্তবায়ন করতে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘকে প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করছে। যা কিনা এই বিশ্বসংঘকে বৃহৎ শক্তির আজ্ঞাবহ সংস্থায় পরিণত করেছে। অথচ শান্তি ও স্থিতি নিশ্চিত করা ছাড়াও মরণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও মজুদ হ্রাস, শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘœকারী রাষ্ট্র ও শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে জাতিসংঘ সফল হবে এটাই ছিল সবার প্রত্যাশা। কিন্তু তা কতটুকু বাস্তবয়ন হয়েছে তা নিয়ে জিজ্ঞাসা বিশ্ব শান্তির অভিভাবক জাতিসংঘের কাছে।



উন্নয়নের অপরিহার্য শর্ত হচ্ছে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা, সমতা ও স্বাধীনতা। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অনুন্নত ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোর উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। কিন্তু উন্নয়নের শর্তগুলো বাস্তবায়ন করতে পারেনি। কেননা প্যালেষ্টাইন অঞ্চলে ইসরাইলের ক্রমাগত আগ্রাসন, ২০০৩ সালে ইরাকের সাদ্দাম হোসেন সরকারকে উৎখাতের আগ্রাসন রোধে জাতিসংঘের ব্যর্থতা, বসনিয়া, হার্জেগোভিনায়, কসোভোয়, আফগানিস্থান, চেচনিয়া, ইরাকে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে, সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়া ও মিশরে গণহত্যা রোধে জাতিসংঘ ব্যর্থতার পরিচয় প্রশ্নাতীত। যে জাতিসংঘ বিভিন্ন দেশের নির্বাচনে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে সেই জাতিসংঘই আবার নাইজেরিয়া, ১৯৯২ সালে আলজেরিয়ার ইসলামপান্থী সরকার, মায়ানমারে নির্বাচতি সরকার অংসান সুচিকে এবং সাম্প্রতিক সময়ে মিশরে নির্বাচিত সরকারকে উচ্ছেদ করে গণতন্ত্রকে বিপন্ন করলেও জাতিসংঘ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। জাতিসংঘের মূলনীতিতে বলা হয়েছে জাতিসংঘ সকল সদস্যের সার্বভৌম ক্ষমতা ও সমতার নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত এবং একটি রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও ভৌগলিক অখন্ডতায় হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এই মূলনীতি সকল সদস্য মেনে চলে না। কারণ জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বৃহৎ রাষ্টগ্রলো অন্য রাষ্ট্রের উপর নগ্ন হামলা চালিয়েছে। গ্রানাডায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপ, ভিয়েতনামে যুক্তরাষ্ট্রের নগ্ন হামলা, আফগানিস্থানে সোভিয়েত অনুপ্রবেশ, সাইপ্রাসে তুরস্কের সেনা মোতায়েন, চেচনিয়ায় রুশ আক্রমণ, আফগানিস্থানে ও ইরাকে ইঙ্গ-মার্কিন হামলা, সাম্প্রতিক সময়ে লিবিয়ায় ন্যাটোর হামলা এবং সন্ত্রাস দমনের নামে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশে ড্রোন হামলার মাধ্যমে অন্য রাষ্ট্রের উপর হস্তক্ষেপ করলেও জাতিসংঘ এসব রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারেনি। জাতিসংঘ কর্তৃক সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা হলেও জাতিসংঘ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। কেননা জাতিসংঘ বিভিন্ন রাষ্ট্রের উপর বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছে। ইরাকে জাতিসংঘের অবরোধের কারণে খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহের অভাবে লাখ লাখ শিশুর মৃত্যু মানবাধিকার হিসেবে চিহিত হয়েছে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী নিরস্ত্রিকরণের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ ব্যর্থ হয়েছে এবং পক্ষপাতদুষ্ট দোষে দোষি। কেননা উত্তর কোরিয়া ও ইরানের উপর জাতিষংঘ অবরোধ আরোপ করলেও ইসরাইল সহ পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর নিরস্ত্রীকরণে কোন ধরণের পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারে নি। গত দুই বছরের অধিক সময়ে সিরিয়া যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছে লাখ লাখ সিরিয়ান। যারা কিনা দুটি বৃহৎ শক্তির ভেটো ক্ষমতার বলি। এখানেও জাতিসংঘ নিরুপায় এবং বৃহৎ শক্তির খেলার মাঠে জাতিসংঘ হচ্ছে দর্শক। অথচ আজকের দিনটিতে জাতিসংঘের কাছে প্রত্যাশা ছিল অনেক।



¯œায়ুযুদ্ধের অবসান ও গণতান্ত্রিক শক্তির অভ্যুদয়ে বিশ্বব্যাপী নতুন এক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হলেও উগ্র জাতিয়তাবাদ, বর্ণবৈষম্য, দারিদ্র, অর্থনৈতিক সা¤্রাজ্যবাদ, সমরাস্ত্র উৎপাদন প্রভৃতির অবসান হয়নি। তাই শান্তি প্রতিষ্ঠায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ঐক্যমত জরুরী। এছাড়া ব্রেটন উডস এর সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়া পরিবর্তন করতে হবে যাতে করে স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিকতা বজায় থাকে। ডব্লিটিও এর বৈষম্যমূলক বাণিজ্যিক নীতি পরিহার করতে হবে। উন্নত ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের সমান অধিকার এই ধারণার অবসান ঘটাতে হবে। জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠনগুলোর কার্যক্রম আরো বেশি প্রসারিত ও কার্যকর করার উদ্দ্যোগ গ্রহন করতে হবে। জাতিসংঘের নীতি ও আদর্শ অনুযায়ী নয় বরং পরাশক্তিকেন্দ্রীক বিশ্বে পরাশক্তির ভুমিকা মুখ্য, জাতিসংঘ প্লাটফর্ম মাত্র এই নীতির অবসান ঘটাতে হবে। মানবাধিকার সংরক্ষণে জাতিসংঘকে আরো কার্যকর করতে হবে। বৃহৎ শক্তির আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে এবং পারমাণবিক শক্তিধর ইসরাইলের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে কার্বন গ্যাস নির্গমন কমাতে উন্নত দেশগুলোকে বাধ্য করতে হবে এবং কার্বন বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। এনপিটি ও সিটিবিটি চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল সহ পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করাতে হবে। ভেটো ক্ষমতা সম্পন্ন রাষ্ট্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করে ভারসাম্য আনয়ন করতে হবে। দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়া থেকে জাতিসংঘের নিরপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য বৃদ্ধি করতে হবে। সর্বপরি, সব উন্নয়নমূলক কাজের সাথে সাথে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের উদ্দ্যোগে ফিলিস্তিন, মধ্যপ্রাচ্যে বৃহৎ শক্তির অর্থনৈতিক আগ্রাসন, কাশ্মীর সংকট, সিরিয়া সংকট, মরণাস্ত্রের বিস্তার রোধ, যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনে জর্জড়িত রাষ্ট্রসমূহের পুনর্গঠনসহ জাতিসংঘের উপর যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্ব নিরসনের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় উপরোক্ত সংকট গুলোর স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে হবে। যাতে করে আগামী দিনগুলোতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রাপ্তি গুলো বাস্তবায়ন হয়। জাতিসংঘ দিবসে এটাই প্রত্যাশা আমাদের।



রাশিদুল ইসলাম নাহিদ



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.