নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Restless

I want to make me as a blog writter.

রাশিদুল ইসলাম নাহিদ

I like to explain the international affiars.

রাশিদুল ইসলাম নাহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণে বাধা অসহিষ্ণু রাজনীতি

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৪

বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির স্বাধীন অভ্যুদ্বয় ঘটেছিল শোষন, নিপীড়ন, বঞ্চনা আর ভাষাগত পরাধীনতার কারণে। দীর্ঘ ২৩ টি বছর পশ্চিম পাকিস্তানের দ্বারা শোষিত হয়ে স্বাধীনতা-উত্তর এদেশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল। সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছিল যোগাযোগ ব্যবস্থা। ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা। এদেশের অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে গড়ে তোলা হয়েছিল গুরত্বপূর্ণ কলাকারখানা, ইন্ডাস্ট্রি ও বড় বড় অট্টালিকা। ফলে সেই সময়ে এদেশের জাতীয় অর্থনীতি শুধু মাত্র তলানিতেই উপনীত হয়নি, বরং শূন্য অতিক্রম করে মাইনাস থেকে শুরু করতে হয়েছিল সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশের সরকারকে। স্বাধীনতার পরও অগ্রগতির সামনে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় কয়েকটি বড় চ্যালেঞ্জের। স্বাধীনতার ৫ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ এমন সব ভয়াবহ ঘটনা-দুর্ঘটনার শিকার হয় যে অনেকের মনে আশঙ্কা হয়েছিল যে বাংলাদেশ একটি অকার্যকর রাষ্ট্রেই পরিণত হবে।



কারণ ১৯৭৪ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ, তিনটি সফল সামরিক অভ্যুত্থান, প্রায় ৩০ টিরও বেশি ব্যর্থ অভ্যুত্থান এবং চারটি ভয়াবহ বন্যায় বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মেরুদন্ড প্রায় ভেঙ্গেই পড়েছিল। এই দৃশ্য দেখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হেনরি কিসিঞ্জির আমাদের এই দেশকে বলেছিলেন ‘তলাবিহীন ঝুড়ি। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার বাকশাল ও পরবর্তীতে সামরিক শাসনের যাতাকলে থাকলেও ১৯৯০ সালের পর থেকে তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার উন্নতি হয় এবং এদেশের কৃষক ও খেটে মানুষের শ্রমনিষ্ঠার ফলে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হাটি হাটি পা পা করে আজকের অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। এমনকি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, আগামী চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর পরে বাংলাদেশ ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রায় সমকক্ষ হয়ে দাড়াবে। নাইট ফ্রাঙ্ক ও আমেরিকান সিটি গ্রুপ কর্তৃক যৌথভাবে প্রণীত ‘দ্য ওযেলথ রিপোর্ট ২০১২’ তে বলা হয়েছে ২০৫০ সালের মধ্যে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনে নাইজেরিয়া, ইরাক ও ভারতের পরেই চতুর্থ অবস্থানে থাকবে বাংলাদেশ।



ধারণাটি অমুলক নয় কারণ সীমিত সম্পদ, সহজ ও স্বল্প ব্যয়ে জীবনধারণ, দক্ষ জনশক্তি ও সস্তা শ্রমের বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে এদেশের মানুষের হাসিকে আজ সুখী মানুষের হাসি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিভিন্ন চড়াই-উতরাই এর মধ্যে দিয়েও বাংলাদেশ বিগত দুই দশক ধরে ৫.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। সাম্প্রতি বছর গুলোতে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি অর্জিত হচ্ছে। ফলে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের ভুখা-নাঙ্গার সাধারণ মানুষের দেশ সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে দুটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য সামনে রেখে অগ্রসর হচ্ছে। প্রথমত, ২০১৫ সালের মধ্যে জাতিসংঘের ঘোষিত মিলিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি ) বা সহ¯্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা। দ্বিতীয়ত, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা অর্থাৎ ভিশন-২০২১ বাস্তবায়ন করা।



পৃথিবী থেকে ক্ষুধা ও দারিদ্র হ্রাসের উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের উদ্যেগে গত ২০০০ সালে বিশ্বের ১৯২ টি দেশের সরকার প্রধানরা একসঙ্গে মিলিত হয়ে উন্নয়নের জন্য আটটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে। ২০১৫ সালের মধ্যে ক্ষুধা দারিদ্র, সার্বজনীন শিক্ষা, মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুমৃত্যুর হার কমানো, লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন, সংক্রামক রোগ, বৈশ্বিক সহযোগিতা এবং টেকসই পরিবেশ- এ আটটি বিষয়ে লক্ষ্য অর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়। সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার কিছু লক্ষ্য বাংলাদেশ সফলতার সাথে অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এমডিজির অগ্রগতির প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে একটি রোল মডেল বলা হয়েছে। কেননা বাংলাদেশ ফিবছর দারিদ্রের মাত্রা ৩.২ শতাংশ হারে কমিয়েছে। যেখানে ভিত্তি বছরে দারিদ্রের হার ছিল ৫৬.৬ শতাংশ, বর্তমানে তা ৩১.৫০ শতাংশ। প্রাথমিক শিক্ষার হার উল্লেখযোগ্য হারে অর্জিত হয়েছে। ভিত্তিবছরে ভর্তিরহার ছিল শতকরা ৬০.৫০ ভাগ, বর্তমানে তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৯৪.৯০ শতাংশে। এইডসের প্রাদুভাব শতকরা ০.১ ভাগের কম। এছাড়া সফলতার সঙ্গে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ, চরম দারিদ্র ও ক্ষুধা নির্মুল, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা আনয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তবে পরিবেশ, টেকসই উন্নয়নসহ কিছু ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্য অর্জনে আশঙ্কা রয়েছে। তবে আফ্রিকা ও এশিয়ার অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক।



সমাজবিজ্ঞানি অফধস চৎুবড়িৎংশর বলেছেন, ‘যেসব দেশে মাথাপিছু আয় ১ হাজার ডলারের কম সেখানে গনতন্ত্রের আয়ুস্কাল ৫ বছরের কম, আর যেখানে মাথাপিছু আয় চার হাজার সেখানে কোন গণতন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটেনি।’ কিন্তু মজার ব্যাপার হলো আমাদের এত কম মাথাপিছু আয় সত্ত্বেও অর্থনীতির দিক থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আর্কষণ করে তাত্ত্বিক এডামের ঐ ধারণাকে তাক লাগিয়ে দিয়েছি। এইচআইপি ইনডেক্স অনুযায়ী বাংলাদেশে ১১ তম সুখী দেশ। বৈশ্বিক মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৮৭ টি দেশের মধ্যে ১৪৬ তম। ১৯৯০-২০১২ সালের মধ্যে মানব উন্নয়ন সূচকে ভারত যেখানে ২৪ দশমিক ৫০ শতাংশ ঘাটতি কমাতে সক্ষম হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ কমিয়েছে ২৪.১০ শতাংশ। এই ঘাটতি কমানো সূচকে ভারতের অবস্থান ৪৫তম, বাংলাদেশের ৪৭ তম। প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্ত্বেও বাংলাদেশ ৬ শতাংশের উপরে জিডিপি অর্জন করছে। আইএমএফ এর মতে, বিশ্ব অর্থনীতির বিশালতার দিক থেকে বাংলাদেশ ৪৩তম স্থানে অবস্থান করছে। পোশাক শিল্প রফতানির দিক থেকে চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। গত বছর বৈদেশিক বিনিয়োগ ছিল উল্লেখযোগ্য হারে ১১৩ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। প্রবৃদ্ধি অর্জনে উল্লেখযোগ্যহারে অবদান রাখছে প্রবাসির পাঠানো রেমিট্যান্স। ২০১২ সালের অক্টোবরের পর থেকে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ওপরে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ২০০৯ সালে যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল ৩৫০০ মেগাওয়াট, বর্তমানে উৎপাদনের সক্ষম ৬০০০ মেগাওয়াট। এছাড়া বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী, যারা দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনে ভুমিকা রাখছে অসামান্য। নতুন নতুন প্রযুক্তি গ্রহনের ক্ষেত্রে ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বাংলাদেশ এগিয়ে। যে বাংলাদেশের ১৯৭২ সালে মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৭৫ মার্কিন ডলার, বর্তমানে তা ৮৪৮ মার্কিন ডলারে উপনীত হয়েছে। যদিও মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে হলে মাথাপিছু আয় হতে হবে নূন্যতম ১০০৬ মার্কিন ডলার।



বাংলাদেশের এই সম্ভাবনা গুলো কোন ফাঁকা বুলি নয়। প্রকৃতপক্ষেই বাংলাদেশ ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এবং শ্রমের মূল্য কম হওয়ায় অর্থনৈতিক দিক থেকে বৈদেশিক বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে পারছে এবং ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার ক্ষেত্রে একটি ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আর এই সম্ভাবনাকে আন্তর্জাতিক আঙ্গনে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি গোল্ডম্যান স্যাক্স সমীক্ষা পর্যালোচনা করে ব্রিকভুক্ত দেশ তথা ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চায়না, দঃ আফ্রিকা ছাড়াও সম্ভাবনাময় নেক্সট ইলেভেন নামের আরও ১১ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে অন্তভুক্ত করেছে। বিশ্বব্যাংকের মতে, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে পারে। কারণ বৈশ্বিক মন্দা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্ত্বেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। লন্ডনের গার্ডিয়ানে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের প্রবৃদ্ধির বিচারে বাংলাদেশ পশ্চিমাদেশগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে। ২০১২ সালে ইকোনমিস্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্জনগুলো এতই ইতিবাচক যে, এ পরিবর্তন বা অর্জনগুলো ধরে রাখতে পারলে সত্যিই অনুন্নয়ন ও দারিদ্র কাটিয়ে উঠতে পারবে দেশটি।



পূর্বেই উল্লেখ করেছি বাংলাদেশর ৬.৩ শতাংশ হারে (বর্তমানে ৫.৭৫ শতাংশ হারে অর্জনের সম্ভাবনা) প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। আমাদের বর্তমান মাথাপিছু আয় ৮৪৮ মার্কিন ডলার। বিশ্বব্যাংকের মতে, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রয়োজন হবে ৭.৫-৮ শতাংশ হারে। আর মাথাপিছু আয় হতে হবে নূন্যতম ১০০৬ মার্কিন ডলার। তাছাড়া এমডিজির লক্ষ্য অর্জনে এখনও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কেননা এমডিজি অর্জনে প্রতিবছর ৩ থেকে ৪ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। অর্থাৎ ২০১৫ সালের মধ্যে এমডিজির লক্ষ্য পুরণে প্রয়োজন ৭৮.২০ মার্কিন ডলার। দারিদ্রের হার কমিয়ে ২৯ শতাংশে নিয়ে আসতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন বাড়াতে হবে। কিন্তু এসব লক্ষ্য বাস্তবায়ন এবং মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার জন্য প্রয়োজন সুষমভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলে আয় বাড়বে। তাই প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে যে বাধা গুলো রয়েছে যেমন দুর্বল অবকাঠামো ও পরিবহন খাত, অপর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রয়োজেন তুলনায় দক্ষ জনশক্তির অভাব, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, ও দুর্নীতি । এসব সমস্যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বড় বাধা। এসব সমস্যা নিরসনের মাধ্যমে এমডিজির লক্ষ্যগুলো অর্জন ও ২০২১ সালের মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার প্রচেষ্টাকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং এটা অসম্ভব কিছু নয়।



কিন্তু অসম্ভব না হলেও সম্ভাবনার দ্বার বর্তমানে অনেকটাই রুদ্ধ। কারণ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার যে ভিশন, তা আজ রুপ নিয়েছে ক্ষমতার মসনদ পাকাপোক্ত করার ভিশন-২০২১। বছরের শুরু থেকেই বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহালের দাবি, যুদ্ধাপরাধিদের বিচার নিয়ে জনমনে শংকা, নাস্তিক ব্লগারদের ফাসির দাবিতে এবং ইসলাম রক্ষায় হেফাজতের উত্থান, হেফাজতের সমাবেশে রাতের আধারে সরকারের অভিযান, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা এবং সর্বোপরি একের পর এক হরতালে অর্থনীতি ও জনজীবন বিষন্ন। এদিকে গার্মেন্টস শিল্পে একের পর এক অশনিসংকেত, শ্রমিকদের মৃত্যু সব মিলিয়ে অর্থনীতির চাকা আজ মন্থর গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রবৃদ্ধি অর্জন ৭ দশমিক ২ শতাংশ হারে হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতির কারনে তা ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ অর্জিত হতে পারে বলে জানিয়ে দিয়েছে অর্থমন্ত্রী। তাই দেখা যাচ্ছে স্বাধীনতার চার দশক পর যখন আমাদের অর্থনীতি একটি শক্তিশালী ভিত্তিতে দাড়িয়েছে তখন রাজনীতির এই অপসংস্কৃতি আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে মারাতœকভাবে বাধাগ্রস্থ করছে।

এখন এই পরিস্থিতিতে অর্থবহ সংলাপই একমাত্র পথ সংকট নিরসনের। জাতিসংঘ দূত আমাদের বলেছেন যে সময় খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তাই সামনের নির্বাচন কে কেন্দ্র করে যাতে অর্থনীতি বাধাগ্রস্থ না হয় সেদিক লক্ষ্য রেখে সকল দলের অংশগ্রহনে একটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে যে দলই সরকার গঠন করুক না কেন আমাদের সকলের লক্ষ্য হবে রাজনৈতিক স্থিতিশীল আনয়ন করে এবং অন্যান্য সব অবকাঠামোগত অসুবিধা গুলো দুর করে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে বাংলাদেশকে উন্নীত করতে সকলকে সহনশীলতার মধ্যে দিয়ে একসাথে কাজ করা। দুর্যোগ পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করে জিডিপিকে নিতে হবে ৮ শতাংশ উচ্চতায়। রেমিটেন্স প্রবৃদ্ধিও নিশ্চিত করতে হবে। গার্মেন্টস শিল্পে অস্থিরতা দুর করে পোশাক রফতানিতে চীনকে ছাড়িয়ে যেতে হবে। কৃষিক্ষেত্রে শতভাগ অর্জন নিশ্চিত করতে হবে। অর্থনৈতিক কূটনীতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে জিএসপি রক্ষাসহ নতুন রফতানি বাজার সৃষ্টি করতে হবে। পর্যটন শিল্প, জাহাজ শিল্প ও চিংড়ি রফতানিতে প্রণোদনা দেয়ার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে। বেসরকারি খাতকে শক্তিশালী করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দুর করতে হবে। সর্বোপরি শতভাগ নির্ভরশীলতা অর্জনের মাধ্যমে ক্ষমতার নয় বরং মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার ভিশন-২০২১ বাস্তবায়ন করতে হবে।



রাশিদুল ইসলাম নাহিদ





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.