নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বন্ধু তোমার লাল টুক টুক স্বপ্ন বেচো না

জন্মের প্রয়োজনে ছোট ছিলাম এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি

চতুরঙ্গ

করর্পরেট চাকর... সাধারন ভাবনা

চতুরঙ্গ › বিস্তারিত পোস্টঃ

:P :P ছেলেবেলার - ছেলে খেলা :P :P

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৫৬

সন্ধাবেলা। যথারীতি অফিস থেকে ফিরছি। রিক্সায় বসে সারাদিনের ক্লান্তিতে ঝিমুচ্ছি। এমন সময় পাশ থেকে শুনলাম "কুমির তোর জলে নেমেছি"। চকিতে ক্লান্তি কেটে গেল। ঘুরে দেখলাম কয়েকজন দেবশিশু ফুটপাথে খেলা করছে।

হঠাৎ অনেকগুলো পুরোনো স্মৃতি এসে ভর করল।



যখন খুব ছোট ছিলাম তখন এ খেলাটি খেলেছিলাম। যে সময়ের কথা বলছি তা আশির গোড়ার দিকের। খেলার নিয়মনীতি কিছুই মনে নেই। শুধু মনে আছে আমরা ভাইবোনেরা একটা খাটের উপর থাকতাম আর ফ্লোরে একজন থাকত। আমরা একজন একজন করে খাট থেকে লাফ দিয়ে নিচে নামতাম আর বলতাম "কুমির তোর জলে নেমেছি"



সে সময় আরেকটা খেলা খেলতাম... "ফুল টোক্কা"। যারা জানেন তারা হয়ত অনেকেই মিটিমিটি করে হাসছেন... আরে এটা তো মেয়েদের খেলা !! তখন আমার বয়স এতই কম ছিল যে খেলা গুলোকে মেয়ে - ছেলে বলে আলাদা করার বোধও ছিল না। তাই সেসময় কুতকুত খেলেছি, পুতুল ও খেলেছি। পুতুলের বিয়ে নিয়ে কাজিনের সাথে মারামারিও করেছি। তবে সবচেয়ে বেশি ঝগড়া হত লুডু খেলা নিয়ে। আমি আবার চুরি বিদ্যায় বিশেষ এক্সপার্ট ছিলাম। :P :P :P তবে মা এর হাতে শুধু ধরা খেতাম।



আরেকটু বড় হওয়ার পর ছোয়ছুয়ি, বরফ-পানি, টিলো-এক্সপ্রেস খেলতাম খুব। এর মাঝে টিলো-এক্সপ্রেস খুব পছন্দের ছিল। ঘরের নানা জায়গায় লুকিয়ে থাকতাম। এমনকি চাল রাখার ড্রামেও :D:D:D

এসময় কাগজ দিয়ে খেলতাম "চোর-ডাকাত-পুলিশ-বাবু" আর "রাম-সাম-যদু-মধু"



একটু বয়স বাড়ার পর কিছুদিন মার্বেল খেলেছিলাম। মা তখন খুব বকা দিয়েছিল। এগুলো বস্তির খেলা আরো কতকি...

খুব ক্ষোভ জন্মেছিল তখন। খেলার মাঝে বস্তি এলো কিভাবে ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। তবে এটা সত্যি যে খেলা গুলো আমি বস্তির কিছু ছেলেদের কাছ থেকেই শিখেছিলাম আর খেলতাম ও তাদেরই সাথে :P



এরপর লাঠিম খেলা শুরু করলাম। নানা ধরনের লাঠিম ছিল। সেগুলোর নানা রকম নামও ছিল যার কিছুই মনে নেই। কেবল মনে আছে তিনটা লাঠিম আমার খুব প্রিয় ছিল। একটা ছিল খুব ছোট। আরেকটা ছিল একটু বড় কিন্তু লম্বা আল ছিল। আরেকটা হচ্ছে পেট মোটা একটা লাঠিম। এবার লাঠিম নিয়েও মা ইচ্ছেমত বকলেন অনেক বস্তিদের খেলা বলে। সেবার আমিও রাগ করলাম। বল্লাম খেলা তো খেলাই... তার আবার বস্তি কি? কারো তো ক্ষতি করছিনা। মা কি বুঝলনে জানিনা... কিন্তু খেলা নিয়ে অন্তত আর কখনো বকেননি।



সেসময় একদিন ছাদে বসে ঘুড়ি ওড়ানো দেখছিলাম। খুব মন খারাপ হচ্ছিল আমার ঘুড়ি নেই বলে। সন্ধায় মাকে বললাম সুতো দিতে। কাল বিকেলে ঘুড়ি ওড়াবো।

পরদিন বাবা দেখি একটা ছোট সাইজের নাটাই নিয়ে এসেছেন আর দুইটা ঘুড়ি। আমি খুশিতে লাফ দিয়েছিলাম সেদিন। আমি আর বাবা সেই ঘুড়ির ইয়া বড় লেজ লাগালাম। তারপর দুজন মিলে ওড়ালাম জীবনের প্রথম ঘুড়ি। যখন ওড়ানোয় একটু পক্ক হয়ে গেলাম তখন মাঞ্জা দেওয়ার পালা শুরু হল। কি একটা যেনো কনডেন্সমিল্ক এর কৌটায় গরম করে আঠা বানিয়ে তাতে নষ্ট হয়ে যাওয়া বাল্বকে গুড়ো করে মিশিয়ে দিতাম। তারপর সুতোয় সেই আঠা লাগিয়ে শুকিয়ে মাঞ্জা কর্ম শেষ হত। আহ! কি দিন ছিল সে সময়.... /:)



সে সময় সাতচারা, বোম বাষ্টিং খেলাটাও খুব পছন্দের ছিল। আর বাসায় বাবার সাথে কেরাম বোর্ড আর বাগাডুলি খেলতাম।



যখন ৬ষ্ট কিংবা ৭ম শ্রেনীতে পড়ি তখন মনে হয় ফুটবল আর ক্রিকেট খেলা শুরু করলাম। কারন আমি খুবই শুকনা পটকা ছিলাম। সে সময় অন্তত ধাক্কা ধাক্কিতে পড়ে যাওয়ার ভয় টা কমে গিয়েছিল।



তাশ আর দাবা খেলার হাতে খড়ি করিয়েছিলেন বাবা। বাবা খুবই তাশ খেলতে পছন্দ করতেন। শুক্রবার এলেই বাবা আর কাজিনরা মিলে ২৯ খেলত। আমি পাশে বসে বসে দেখতাম। এভাবেই একসময় আমিও ২৯ এর পার্টনার হয়ে যাই। বাবা খুবই ভাল খেলতেন আর খুবই ভাল বকতেন যদি ভুল হয়ে যেতো। ইউনিভার্সিটির পুরো সময় আইবিএ কেন্টিনে তাশ খেলেই কাটিয়েছিলাম। এমনকি বাসায় বন্ধরা এলে বাবাও বসে যেতো আমাদের সাথে।



কাবাডি আর হাডুডু খেলেছি গ্রামে গিয়ে। ঢাকায় এ খেলাটা খুব একটা খেলা হত না। পরীক্ষা শেষ হলে ডিসেম্বরে যখন গ্রামে যেতাম সে সময়টা খুব মজা হত। তখন ধান কাটা শেষ হয়ে যেত। মাঠের মাঝে খড়ের বিশাল একটা স্তুপ করা হত। তার মাঝে মিষ্টি আলু দিয়ে পুরো খড়টা জ্বালিয়ে দিত। এটা একটা উৎসবের মত ছিল। আমরা অনেক রাত পর্যন্ত জেগে মিষ্টি আলু খেতাম আর সেই আগুনের তাপ নিতাম।



আমি জানি এ লেখা পড়ে অনেকেই প্রথম দিকে বলা খেলাগুলোর নামই শুনেননি। খুব দুঃখও হয় এখনকার প্রজন্মের জন্য। খেলার জন্য না আছে জায়গা না আছে মানুষিকতা। খেলাগুলো অত্যাধুনিক হয়ে চলে এসেছে কম্পিউটারের স্ক্রীনে।



কিন্তু আজো এই স্মৃতিগুলো খুব নষ্টালজিক করে দেয়। জানি কখনো ফিরে পাবোনা, কখনো ফিরে যাওয়াও যাবে না। ছেলে বেলার ছেলে খেলা গুলো কেবল স্মৃতিই হয়ে থাকবে। আর এই স্মৃতিগুলো রোমন্থন করে এখনো মনে মনে হাসি, এক ধরনের ভাল লাগা ছেয়ে যায় সাথে কিছুটা বিষাদও।



ছেলেবেলাটা কেন এত বর্নিল হয়? জীবনের এতটা পথ পাড়ি দিয়েও সেই সময়ের সাথে তুলনীয় কিছুই পাইনা। /:)



হয়ত একদিন পুটুশ করে মরে যাব কিন্তু আমার এই অমূল্য স্মৃতিগুলো যেনো আমৃত্যু আমার স্মৃতিতে সজীব থাকে।

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৫৯

সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: পুত্তুম লাইক.........ভাইয়া এখন পড়ি....... 8-| 8-|

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৪৬

চতুরঙ্গ বলেছেন: না পড়েই লাইক দিলেন। পড়ে ভালো না লাগলে কি করবেন? :P :P

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:০৬

সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: "চোর-ডাকাত-পুলিশ-বাবু" আর "রাম-সাম-যদু-মধু" এই খেলাটা ছোটো বেলায় স্কুল এ থাকতে শিখেছিলাম.............তবে আমরা বাবু এর জায়গায় দারোগা নাম দিয়ে খেলতাম........মনে পড়ে সেই সময় পুলিশ আর দারোগা তে দুস্টুমি করে চিহ্ন দিয়ে রাখতাম............. :D :D :D

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৪

চতুরঙ্গ বলেছেন: হা হা... এই চালাকি আমিও করতাম। সেটা নিয়ে পড়ে ঝগড়াও কম হয় নি। :P :P

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:০৮

সৈয়দ ফয়সল রেজা বলেছেন: তখনতো বুঝিনি বড় হওয়া বড়ই শক্ত.....

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৮

চতুরঙ্গ বলেছেন: বড় হওয়াটা শক্ত না.. বড় হয়ে যাওয়ার দুঃখ টা হজম করাই কষ্ট বেশি।

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:২৭

নীল কষ্ট বলেছেন: এখনকার বাচ্চাদের জন্য কষ্ট হয় ওরা বড় হচ্ছে যান্ত্রিক পরিবেশে।
আলো-বাতাসে খেলে বড় হয়ে ওঠার আনন্দ ওরা কি পাবে কোনদিন?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:১০

চতুরঙ্গ বলেছেন: হয়ত পাবেনা.... দুঃখ তো সেজন্যই লাগে। আলো-বাতাসে বড় না হতে হতে মানুষিকতাও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাদের।

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৪২

ইয়েন বলেছেন: ++.... Ami jibone r 1 bar borof-pani khelte chai :( ...jani hbe na boyosh matro 20 amar tao crckt e khela hoy na borof pani tilo express to durer ktha :(

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:১১

চতুরঙ্গ বলেছেন: আমি বরফ পানি না.... সবগুলোই খেলতে চাই। আসেন একদিন প্ল্যান করি। :D :D

৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৪

পুরাতন বলেছেন: চোর-ডাকাত-পুলিশ-বাবু এই খেলাটা খেলতাম আমরা তিন ভাইবোন আর আব্বু। আব্বু কেমনে যেন বলে দিত কে চোর... 8-|

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৩২

চতুরঙ্গ বলেছেন: এই খেলাটা খুব ভালোই লাগতো। যতদুর মনে পড়ে বাবুর পয়েন্ট ছিল ১০০।

৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৬

সৈয়দা আমিনা ফারহিন বলেছেন: সিনেমার মতন কি যেন ভেসে উঠল চোখে....!!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:১৫

চতুরঙ্গ বলেছেন: আসলে শৈশবটাই এমন... সিনেমার মতনই... হুঠ করে শেষ হয়ে যায়... আর অনুভূতি গুলো তাড়িয়ে বেড়ায়।

৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:২১

কবির চৌধুরী বলেছেন: 'রেসকিউ' টা বাদ পরছে :P
আসুন প্রতিটি খেলার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করি।

পোস্টটি প্রিয়তে রাখলাম।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৬

চতুরঙ্গ বলেছেন: ভাল একটা খেলার কথা মনে করছেন। এটার কথা ভুইলাই গেসিলাম। ধইন্যা মনে করে দেয়ার জন্য। :D :D :D

৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:১০

আসিফ মুভি পাগলা বলেছেন: লেখাটা পড়ে সত্যিই ভাল লাগলো । ছেলেবেলার অনেক কথা মনে পড়লো । ঘুড়ি উড়ানো কিংবা মার্বেলের মত খেলার সুযোগই হয় নি । কিন্তু বাচ্চাদের
কুমির তোর জলে নেমেছি,লুডু,ছোয়াছুয়ি, বরফ-পানি, টিলো-এক্সপ্রেস,চোর-ডাকাত-পুলিশ-বাবু,সাতচারা, বোম বাষ্টিং সবই খেলতাম । আরও খেলতাম কানামাছি । কি দিনই না ছিল । মারামারি করতাম খেলা নিয়ে । কান্নাকাটি করে মায়েদের কাছে বিচার দিতাম । ক্রিকেট খেলায় ব্যাটিং ঠিকমত না দিলে ব্যাট নিয়ে চলে যেতাম ।

আপনি আইবিএ কোন ব্যাচ? আমার ব্যাচমেটরা আইবিএ ১৭th .

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৪২

চতুরঙ্গ বলেছেন: ভালো বলছেন... আমার ব্যাট নিয়া আমি চলে আসতাম। আর আমার এক বন্ধুর স্ট্যাম্প ছিল। সেও মাঝে মাঝে রাগ করে স্ট্যাম্প নিয়ে হাটা ধরত। তখন ইট দিয়ে স্ট্যাম্প বানাতাম।
আমি আইবিএ তে পড়িনি। বিজনেস স্ট্যাডিস ফ্যাকাল্টি (গ ইউনিট) এর ৪র্থ ব্যাচ এ পড়তাম। কিন্তু পুরো সময়টাই আইবিএ কেন্টিনে কাটিয়েছি।

১০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৪৩

নষ্টছেলে বলেছেন: আমি যখন পাড়ার আপুদের সাথে সব মেয়েলি খেলায় অংশ নিতাম :P :P কিন্তু বড় হয়ে কপাল পুড়লো :(( :(( :(( :(( :(( :((

তবে মার্বেল,সাত চারা, ফুটবল, ক্রিকেট,বাস্কেটবল,হ্যান্ডবল,ব্যাটমিনটন এরকম খুব কম খেলা আছে যা আমি খেলিনি :) :) কিন্তু কোনোটার স্কিল জাতীয় তারকা হওয়ার মতো যথেষ্ট ছিলো না :( :( :( তার উপর হিটলার (আমার মা) সারাজীবন তো আমার খেলোয়াড় সত্তার লিছনে লেগেছিলো :(( :((

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:০৬

চতুরঙ্গ বলেছেন: হা হা হা।
তবে নষ্টছেলে হিসাবে তারকা খ্যাতি দিন দিন বাড়ছে আপনার।
:P :P :P

১১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:২১

শিপু ভাই বলেছেন: কিন্তু আজো এই স্মৃতিগুলো খুব নষ্টালজিক করে দেয়। জানি কখনো ফিরে পাবোনা, কখনো ফিরে যাওয়াও যাবে না। ছেলে বেলার ছেলে খেলা গুলো কেবল স্মৃতিই হয়ে থাকবে। আর এই স্মৃতিগুলো রোমন্থন করে এখনো মনে মনে হাসি, এক ধরনের ভাল লাগা ছেয়ে যায় সাথে কিছুটা বিষাদও।
চরম সত্য বলেছেন।
আমার আফসোস যে আমি লাটিম ঘুরাতে পারতাম না, মার্বেল খেলা বা ঘুড়িও উড়াতে পারতাম্না তবে জুয়া টাইপ খেলায় আগ্রহ বেশি ছিল। যেমনঃ কাঠাল বীচি, আমের আটি, তেতুল বীচি, ম্যাচের বাক্স, ধুয়া-পুরা ইত্যাদি।

পোস্ট পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:১৫

চতুরঙ্গ বলেছেন: আরো কিছু খেলা ছিল নাম মনে নেই... কাগজে কাটাকুটি খেলতাম, আরেকটা খেলা ছিল মাটিতে ঘর কেটে তিনটা বিচি নিয়ে খেলতাম....
আসলেই মন খারাপ হয়... সে সময়গুলো খুব মনে পড়ে।

১২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৩৮

এস এম শাখওয়াত আহমেদ বলেছেন: মাঝে মাঝে স্মৃতী গুলো তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়,
যদি পারতাম ফিরে যেতে সেই দিন গুলোর কাছে
আরা চাইতামা না ফিরে আসতে ?

ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:১২

চতুরঙ্গ বলেছেন: আসলেই চাইতাম না... সময়ের সাথে সাথে সব বদলে যায়... বদলে যাচ্ছে মানুষের আন্তরিকতাও... যান্ত্রিকতাই যেনো সব কিছু গ্রাস করে নিচ্ছে।

১৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৪৫

যৈবন দা বলেছেন: ফুটবল খেলা শুরু করছিলাম হাত ইঞ্জুরড হবার পর, পরে এটার ই প্রেমে পড়ে গেলাম। কিন্তু বুড়িচ্চু(এই নামেই খেলাটা ছিলো),সাতচাড়া, আরো সব খেলাই খেলতাম।বেড়ে উঠেছিলাম কলোনীতে,ফলে শহুড়ে যান্ত্রিকতা কেড়ে নিতে পারেনি আমার শৈশব

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৭

চতুরঙ্গ বলেছেন: হুম... কিন্তু এখনকার ছেলেমেয়ে গুলোর জন্য সত্যি আফসোস হয়.. ওদেরও দোষ নেই.. খেলবে কোথায়? না আছে জায়গা.. না আছে তেমন পরিবেশ। গ্রামের ছেলে মেয়েরা তাও এখনো পারে।

১৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৪৯

যৈবন দা বলেছেন: ফুটবল খেলা শুরু করছিলাম হাত ইঞ্জুরড হবার পর, পরে এটার ই প্রেমে পড়ে গেলাম। কিন্তু বুড়িচ্চু(এই নামেই খেলাটা ছিলো),সাতচাড়া, আরো সব খেলাই খেলতাম।বেড়ে উঠেছিলাম কলোনীতে,ফলে শহুড়ে যান্ত্রিকতা কেড়ে নিতে পারেনি আমার শৈশব

১৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৭

পাগলা যোদ্ধা বলেছেন: সন্ধ্যাটায় মন খারাপ কের দেয়ার জন্য আপনি দায়ী, আপনি.... :(( :(( :((

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:২৯

চতুরঙ্গ বলেছেন: আমারো তো মন খারাপ... :(( :(( :(( :(( :(( :(( :(( :((

১৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:৫২

আহাদিল বলেছেন: সুন্দর একটা লেখা!

নস্টালজিক!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৩১

চতুরঙ্গ বলেছেন: ধন্যবাদ। আসলেই মাঝে মাঝে নষ্টালজিক হয়ে যাই।

১৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৫:৫০

ঝটিকা বলেছেন: মেয়ে হয়েও, ভাইয়াদের সাথে ওদের অনেক খেলায় অংশ নিতাম। ক্রিকেট খেলতে যেয়ে আমার কাজ ছিল মুলত ওদেরকে বল কুড়িয়ে দেওয়া, মাঝে মাঝে দু-একবার ব্যাটিং এও চান্স পেতাম।ব্যডমিন্টনও খেলেছি।

তাস, দাবা, ক্যারাম প্রচুর খেলেছি। লুডুও অনেক খেলেছি। গ্রীষ্মের ছুটিতে কাজিন রা আমাদের বাসায় আসত, তখন খেলা আরো বেশি জমত। চোর- ডাকাত, রাম-সাম, নাম-দেশ-ফুল-ফল, word making আরো কত কি!!! আর হত পিকনিক। খুব খুব মিস করি সে সব দিন গুলো,কি দিনই না ছিল!!!

বিয়ের পর চেষ্টা করছি, আমার ঘরও যেন যান্ত্রিক না হয়ে সেই আগের মত উচ্ছল আনন্দঘন হয়। তাই সব ধরনের খেলার সারঞ্জাম কেনা শুরু করেছি।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৩৩

চতুরঙ্গ বলেছেন: নাম দেশ ফুল ফল টা মিস হয়ে গেল লিখা থেকে। আরো কত কত খেলা ছিল সব মনেও পড়েনা.. পিংপং বল দিয়ে ঘরের মধ্যে ফুটবল খেলতাম... আরো কত কি..

আপনার উদ্যোগ টা ভাল। আপনার অতীত আপনার ভবিষ্যতের মাঝে ফিরে আসুক।

ভাল থাকবেন।

১৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:০৯

টিনটিন` বলেছেন: কি একটা যেনো কনডেন্সমিল্ক এর কৌটায় গরম করে আঠা বানিয়ে তাতে নষ্ট হয়ে যাওয়া বাল্বকে গুড়ো করে মিশিয়ে দিতাম। তারপর সুতোয় সেই আঠা লাগিয়ে শুকিয়ে মাঞ্জা কর্ম শেষ হত। আহ! কি দিন ছিল সে সময়....
@

সাবু সিদ্ধ করে নিয়ে তার সাথে গদের আঠা আর কাচের গুড়া মিশিয়ে মান্জা দিতে হতো।

"দাসকসের" নামটা বাদ পড়েছে বোধহয়, আর "দাড়িয়াবান্ধা"? "বউচুরি" আর "নাম দেশ ফুল ফল"? :)

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৩৬

চতুরঙ্গ বলেছেন: আরে হা...দাসকস, দাড়িয়াবান্ধা, বউচুরি, ডাংগুলিও খেলেছি কত কত খেলা..

মাঞ্জার প্রক্রিয়াটা মনে করিয়ে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাবছি অচিরেই ঘুড়ি ওড়াবো মাঞ্জা দিয়ে... :-B :-B

১৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:১৯

নস্টালজিক বলেছেন: আহারে!

কি নির্ভার দিন ছিলো তখন!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৩৮

চতুরঙ্গ বলেছেন: নির্ভার এবং নিভিঘ্ন। কেবল খেলা ধুলা নিয়ে যা একটু চিন্তা ছিল।

২০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪১

মিজান ঢাকা ব্লগ বলেছেন: আমি একটা খেলা খেলতাম গ্রামে গেলে, সেটার নাম চাড়া খেলা। মাটির হাঁড়ির ভাঙ্গা অংশ দিয়ে তৈরি হতো চাড়া। আর ছিল সিগারেটের খালি প্যাকেট। একটা ঘর আঁকা হতো মাটিতে। ওখানে এক পা রেখে চাড়াটা ছুঁড়ে মারা হতো দূরে। এরপর প্রতিপক্ষ ঐ চাড়াটার কত কাছাকাছি মারতে পারে এটাই হল খেলা।

২১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩৮

tanbir10 বলেছেন: অনেক খেলার নাম পেলাম:
--------------------------------
কুমির তোর জলে নেমেছি
ফুল টোক্কা
কুতকুত
পুতুল
লুডু
ছোয়ছুয়ি
কানামাছি
বরফ-পানি,
টিলো-এক্সপ্রেস [আমরা লুকোচুরি বলতাম]
চোর-ডাকাত-পুলিশ-বাবু
রাম-সাম-যদু-মধু
মার্বেল
লাঠিম
ঘুড়ি ওড়ানো
সাতচারা
বোম বাষ্টিং
কেরাম বোর্ড
বাগাডুলি
ফুটবল
ক্রিকেট
তাশ
দাবা
কাবাডি
হাডুডু
বাস্কেটবল
হ্যান্ডবল
ব্যাটমিন্টন

জুয়া টাইপ:
------------
কাঠাল বীচি
আমের আটি
তেতুল বীচি
ম্যাচের বাক্স

ধুয়া-পুরা

কাটাকুটি:
------------
-কাগজে কাটাকুটি
-মাটিতে ঘর কেটে তিনটা বিচি নিয়ে খেলা
বুড়িচ্চু
নাম-দেশ-ফুল-ফল
word making
পিংপং
দাসকস-সিংগারা-বুলবুলি..
দাড়িয়াবান্ধা
ডাংগুলি
বউচুরি
চাড়া খেলা
রেসকিউ [আমার অজানা]

এইগুলি আমার এলাকার কিছু:
---------------------------------
বদন [হা ডু ডু টাইপ কিন্তু আলাদা]
দুধ ভাত খাই ভুলে যাই [এইটা আমরা বলতাম, অনেকটা কানামাছির মত]
বরফ পানি [এইটাই মনে হয় আসল নাম, আর ঐটা বলতাম "কুমির তোর.."]

নিয়মগুলো জানতে পারলে ভালো হত, ভুলে গেছি। ভাবছি একটা পোষ্ট দিব নিয়ম আহ্বান করে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.