নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসল নাম নাহিদ হোসেন, ব্লগ যেহেতু সীমিত তাই আমাকে নক করতে পারেন এই ঠিকানায়: about.me/nahidh

নাহিদ০৯

ভালোবাসি বাংলা

নাহিদ০৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিষিদ্ধ গ্রাফিতি ‘সুবোধ’

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩

বিভিন্ন রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার একটা শিল্পিত মাধ্যম হিসেবে পশ্চিমা দেশগুলোতে গ্রাফিতি খুবই জনপ্রিয়। তবে বাংলাদেশে আগে এর তেমন ব্যবহার দেখা যায়নি। অথচ এর ইতিহাস এতই পুরোনো যে প্রাচীন মিসর, গ্রিস ও রোমান সাম্রাজ্যে এর নিদর্শন আছে।


১৫০০ বছরের পুরনো গ্রীক গ্রাফিতি

বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোতে গ্রাফিতি অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। নিকট অতীতে দিল্লির ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন, অকুপাই ওয়ালস্ট্রিট আন্দোলন, ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন কিংবা সম্প্রতি যাদবপুরে শিক্ষার্থী নিগ্রহের প্রতিবাদে ‘হোক কলরব’ আন্দোলনেও ছিল গ্রাফিতির জোরালো উপস্থাপন। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ব্রাজিল বিশ্বকাপে পথশিল্পী পাওলো ইতোর আঁকা একটি গ্রাফিতিতে ক্ষুধার্ত শিশুর সামনে ফুটবলের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়। এটি আঁকা হয়েছিল আয়োজক দেশ হিসেবে ব্রাজিলের অমিতব্যয়ী আচরণের প্রতিবাদ হিসেবে।


২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ব্রাজিল বিশ্বকাপে পথশিল্পী পাওলো ইতোর আঁকা গ্রাফিতি

এর আগে নব্বইয়ের দশকে, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয় এলাকায় ‘কষ্টে আছি—আইজুদ্দিন’—দেয়াল লেখাটি বেশ নজর কেড়েছিল। পরের দশকে দেখা গেল আরেকটি দেয়াল লিখন—‘অপেক্ষায়...নাজির’। তখনকার রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে অনেকে এগুলোকে ব্যাখ্যা করতেন।

গ্রাফিতি এক অবৈধ শিল্প নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে কোলকাতা থেকে, লিখেছেন বীরেন দাশ শর্মা। তিনি সেখানে গ্রাফিতি সম্পর্কে বলেছেন ‘এক অর্থে গ্রাফিতি সাহিত্য না হয়েও লেখার শিল্প, চিত্রকলা না হয়েও অঙ্কনশিল্প।’

কয়েক দিন ধরেই রাজধানীর আগারগাঁও এবং মিরপুরের কয়েকটি দেয়ালে ‘সুবোধ’-এর গ্রাফিতি বা দেয়ালচিত্র পথচলতি মানুষের নজর কাড়ছে। এই দেয়ালচিত্রগুলোর একমাত্র চরিত্র ‘সুবোধ’। এর সব কটিতে লেখা: ‘সুবোধ তুই পালিয়ে যা, এখন সময় পক্ষে না।’ ‘সুবোধ তুই পালিয়ে যা, মানুষ ভালোবাসতে ভুলে গেছে।’ ‘সুবোধ তুই পালিয়ে যা, তোর ভাগ্যে কিছু নেই’, কিংবা ‘সুবোধ এখন জেলে, পাপবোধ নিশ্চিন্তে বাস করছে মানুষের মনে’।

‘সুবোধ’-এর এই দেয়ালচিত্র অনেক পথচলতি মানুষের আগ্রহের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়েছে এই চিত্রগুলো। সেখানে অনেকেই সুবোধ এবং এর আঁকিয়ে কিংবা আঁকিয়েদের পরিচয় জানতে কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন।

নিচে সুবোধ শিরোনামে প্রাপ্ত গ্রাফিতি গুলো দেওয়া হলো।


খাঁচাবন্দী কমলা রঙের সূর্য হাতে পলায়নপর ‘সুবোধ’। গ্রাফিতিটি আঁকা হয়েছে পুরাতন বিমানবন্দরের দেয়ালে


এখানে ‘সুবোধ’-এর সূর্যের রং লাল। ভাগ্যবিড়ম্বিত সুবোধ এখানেও পালাচ্ছেন


আগারগাঁও থেকে শিশুমেলায় যেতে সড়কের ডান পাশে ‘সুবোধ’

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পড়লাম B-))

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.