নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সু-স্বাগতম। আপনার আগমনে ধন্য আমি। মানুষ আমি, আমাকে মানুষই ভাববেন, আমি তাই হতে চাই njnoyon.com
প্রায়ই নীরব নিঝুম শান্ত রাতের সাথে আমার বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। আমি আর রাত্রি অনেক গরিষ্ঠ হয়ে যাই। একা একা কথা বলি মনে মনে, আকাশে ওই উজ্জল তারাটির দিকে তাকিয়ে। কখনো বা অন্ধকারের বুকে জেগে থাকা রুপালী চাঁদটার সাথে। আজও তাই হচ্ছে। চারিদিকে নীরব। কোথাও কোনো জন-মানুষের শব্দ নেই। স্তব্ধ চারিধার, গভীর ঘুমে অচেতন পৃথিবী। শুধু, নীরব রাত্রি আর আমি। আর কেউ নেই। রাতকে বলি হে ঘুমহীন রাত্রি, তুমি কি জানো তোমার সাথে আমার কেমন সম্পর্ক? কেন তোমার মাঝে ফিরে আসি প্রায়ই? কথায় কথায় ভারি করে তুলি তোমার শ্রবণ! রাত্রি কিছু বলে না। শুধু নীরবে আমার দিকে ছুড়ে দেয় শীতল দীর্ঘশ্বাস। আমি বুঝে নেই, হয়তো কষ্টের ভুজা বইতে বইতে বোবা হয়ে গেছে, তাই আর কথা বলতে পারেনা। রাতের দীর্ঘশ্বাসের শীতল বাতাস গায়ে লাগতেই বুঝে যাই, একা একা ভাবতে ভাবতে ভেতরবাড়ি বরফ পাথরে পরিণত হয়েছে। তাই বুঝি দীর্ঘশ্বাস খুব শীতল।
আজকের রাতে কুয়াশা একটু কম হলেও শীতের কোনো কমতি নেই। মাফলার, গরম জেকেট, টাইসের উপরে প্যান্ট, পায়ে কেডস তবু পশ্চিমা ঠাণ্ডা শীতল বাতাসে প্রায় কাঁপাকাঁপি অবস্থা। এরকম কত শীতের রাত জেগেছি তার কোনো হিসেব রাখিনি। আমার ময়না পাখিটি আমাকে ছেড়ে চলে গেছে আমার সীমানা ছাড়িয়ে বহুদূর। তা প্রায় ষোলো বছর পার হতে কিছুদিন বাকি। তার পর থেকেই আমার এই রাতের সাথে সখ্যতা। মাঝেমধ্যেই ঘুমুতে পারিনা। বিছানা ছেড়ে বেরিয়ে আসি বারান্দায়। কখনো কখনো মুক্ত ছাঁদে। আজ বারান্দায় বসে আছি চেয়ার পেতে। ভাবছি হারিয়ে যাওয়া ময়না টিয়া আর বুলবুলির কথা। আমি একা একা দূরের ওই চাঁদটির সাথে কথা বলি। মনের অজান্তে বেরিয়ে আসে সব দুঃখ, বেদনা ভরা কষ্ট আর কিছু সুখ মিশানো কথাগুলো। আমি সব বলে যাই। চাঁদটি মুগ্ধ স্রোতা হয়ে শুধ শুনে যায়।
ময়না পাখিটার কথা খুব মনে পড়ছে আজ। জানিনা পাখি আমার কেমন আছে। হয়তো ঘুম ভেঙে গেছে। লেপ মোড়া দিয়ে শুয়ে শুয়ে ভাবছে আমার কথা। ফেলে যাওয়া স্মৃতিগুলো ভাবতে ভাবতে হয়তো ফোটা দুই অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে গাল বেয়ে। তাই বুঝি আজ আমার মনটা হয়েছে উদাসী। হারিয়ে গেছে ঘুম, মনের ক্রান্তি। না! কিছু ভাবতে পারছিনা। মাথাটা কেমন যেন যন্ত্রণা করছেে। চুপ হয়ে আছি ওই বাঁকা অর্ধ চাঁদটার দিকে। এইমাত্র ছবিটা তলেছি সেলফোনে। অর্ধ চাঁদ।
সত্যিই কি সে আমাকে এখনও ভাবে! মনে হয় ভাবে। আমি দেখেছি প্রিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে। সেই আগের মতোই গভীরতা আর মুগ্ধতা লেগে আছে। ও চোখ আমাকে দেখেই বলে দেয়, প্রিয়তম মোর আজও আমায় ভালোবাসে। মনে করে। মনে মনে সোহাগিনী হয়ে দেয় সোহাগ অতি গোপনে। এই তো কিছুদিন আগের কথা। আমার সাথে হেটে হেটে বললো, আজও আমাকে মনে হলে চোখ ভাসে শ্রাবণে। আমার সামনে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, কতক্ষণ কত কথা বললো! আমি দেখেছি ও চোখে চেয়ে। যেনো আষাঢ়ের আকাশের গন-মেঘ তার চোখের ভেতর, এখনওই বৃষ্টি হয়ে ঝরবে। হ্যা, প্রিয়া হয়তো এখনো ভালোবাসাে আমাকে...।
অবাধ্য মনটা আজ কোনো কথাই শুনছে না! মনে হয় পণ করেছে কাঁদবে বলে। আমি কাঁদবো না। আমি আর ভাববো না। আমি ফাঁসবো না আর কারো মায়া জালে। আমি আমার মতোই থাকবো, বাঁচবো। নীরব রাত্রি আর আমি একাকীত্ব ভুলে হাসবো মন খুলে....
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:২৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হাটে হয়তো কেউ কেউ। আমি জানিনা।
আমিও হাটতাম প্রায় পনেরো বছর আগে। এখন আর হাটি না, বসে থাকি। কখনো গাছের নিচে বা বারান্দায় নয়তো ছাঁদে।
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৪৮
জীবন সাগর বলেছেন: সেই ভালো, মন খুলে হাসতে থাকেন।
ভালো লাগলো। তবে রাত্রি জাগা ভালো না।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রইল। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:০৯
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন
আমি জানিনা সত্যিই আপনার লেখার টোনটা ধরতে পেরেছি কিনা! তবে যা বুঝেছি তার উপর ভিত্তি করে বলছি স্মৃতিচারন ভাল তবে ঐ সকল স্মৃতিচারন করাই বেস্ট যা আমাদের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে! ইচ্ছা শক্তি হ্রাস করেেএবং প্রয়োযন বোধকে তুচ্ছ জ্ঞান করে!!!!
যদি আপনি উপভোগ করতে জানেন তবে জীবনটা অনেক সুন্দর ভাই!
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বিলিয়ার ভাই,
আসলে আমি লেখা লেখি করি না। অঅভ্যস্ত নই এরকম স্মৃতিচারণে। গত রাতে ঘুম আসছিল না। মনটাও বলতে পারেন খারাপই ছিল। সবস্মৃতি যেন এসে ভর করছিল মনে। তাই লিখেছিলাম। জানিনা লেখার টোন কোনদিকে গেছে। তবে ভাল করে স্মৃতি কথাগুলো লেখতে পারিনি এটা বুঝেছি পরে যখন পড়ি। অনেক স্মৃতি আটকা পড়ে আছে। যা প্রকাশ করতেও পারিনা।
আপনার মন্তব্য অনুযায়ী ভাল স্মৃতিচারণা করা আমার পক্ষে সম্ভব হবে কিনা জানিনা।
তবে অনেক স্মৃতি আমার স্মরণীয় করে রাখতে মন চায়।
জীবনটাকে উপভোগ করতে পারছিনা। কেবল কষ্ট আর বিরহানল বুকের ভেতর।
তবে কোনো টেনশন বা অনিশ্চয়তায় ভোগিনা কোনদিন। ভালই আছি। দোআ করবেন।
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪১
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: হায় !!!!
আমার মন্তব্যে টাইপো ছিল
মন্তব্যটা আসলে এরকম হবেঃ-
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন
আমি জানিনা সত্যিই আপনার লেখার টোনটা ধরতে পেরেছি কিনা! তবে যা বুঝেছি তার উপর ভিত্তি করে বলছি স্মৃতিচারন ভাল তবে ঐ সকল স্মৃতিচারন না করাই বেস্ট যা আমাদের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে! ইচ্ছা শক্তি হ্রাস করেেএবং প্রয়োজন বোধকে তুচ্ছ জ্ঞান করে!!!!
যদি আপনি উপভোগ করতে জানেন তবে জীবনটা অনেক সুন্দর ভাই!
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: এবার বুঝেছি ভাই।
দেখেন, মাত্র "না" শব্দটার জন্য পুরোটা মন্তব্য এত সুন্দর গুরুত্ববহন করার পরও কেমন গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছিল। আমার বুঝতেও সমস্যা হয়েছিল। ভেবেছিলাম, ভাইয়া এটা কি বোঝাইল! কৃতজ্ঞতা রইল আপনার ফিরে আসায়।
ভাল মন্দ সবই আছে, থাকেও পাশাপাশি। তবে অনেক ভালো কাজই কেবল উপস্থাপনের জটিলতায় গুরুত্ব হারিয়ে মন্দের ভাগে পড়ে যায়। একজন লেখক অবশ্য বুঝতে পারে একটা লেখা কতোটা গুরুত্ব বহন করবে। অবশ্য এর জন্য প্রফেশনাল লেখক বা পাঠক হতে হবে। আমি তো লেখকই নই-ই ভাল পাঠকও নই ভাইয়া। কেমনে লেখার ধরণ বুঝবো। কেমনে বুঝবো আমার লেখার ভালো মন্দ কতটুকু। কোন লেখাটা অকল্যাণকর বা কোনটা কল্যাণকর।
(আমি কিন্তু মন খারাপ করে বলিনি বা আপনাকে কষ্ট দিতে নয়। আমি জানতে চাই আপনাদের কাছ থেকে শিখতে চাই। অনেকেই এমন বললে মাইন্ড করে। তাই বলে রাখলাম।)
আপনাকে বিরক্ত করে ফেললাম না তো!
৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯
সুমন কর বলেছেন: রাতের একাকী কথোপকথন ভালো লাগল।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: মন্তব্যে আসায় কৃতজ্ঞতা জানাই।
ভালো লাগা জেনে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।
শুভকামনা রইল।
( আপনাদের 'কাটাতারের এপার-ওপার' এর জন্য শুভকামনা। আমি গর্ববোধ করছি বাংলাদেশের প্লাস সামুর কিছু প্রিয় লেখক স্থান পাওয়ায়।)
৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:০৯
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: আমি মাঝে মাঝে রাতে একা একা তারার সাথে কথা বলি।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:৫৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে, আমার মতো একজন সঙ্গী পাওয়া গেল হা হা হা।
আমি আজকের রাতটিও কাটিয়ে দিলাম নির্ঘুম, অথচ কিছুই লিখলাম না কোথাও! যদিও লেখার খুব ইচ্ছে ছিল! কিন্তু ব্লগে আমার প্রায় প্রতিদিনই পোষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সেটা ব্লগের জন্য মোটেও ভালো নয়, বিরক্তিকর। তাই লিখা হলো না আর কিছুই !
অনেকদিন পর গতকাল মিনতিরে ফোন দেই, রিসিভ করতে একটু দেরি হলেও শেষ সময় রিসিভ করলো। আমি একটু নীরব ছিলাম। ভাবছি দেখি কে ধরেছে। পরে আবার আমার জন্য তার না সমস্যা হয়ে যায়! না, মিনতিই ধরেছিল। কিন্তু, আমার সাথে কথা বলার কোন আগ্রহ তার মাঝে বোঝলাম না। কারণ, আমার নাম্বারটা সে জানে, কিন্তু ও প্রথম থেকেই শুধু হ্যালো হ্যালো করছে, তারপর যখন আমি সালাম দিলাম, সে সালামের জবাব না দিয়ে কেবল বললো, ও ও তুমি? মনে হল একটু হাসি ছিল তার মুখে। তবুও আমি তার আগ্রহ না দেখে সোজা সুজি ফোন দেওয়ার উদ্দেশ্যটা বলে দেই, 'শুভ নববর্ষ, নতুন বছরের শুভেচ্ছা দিতেই ফোন দিয়েছি'। সে কিছুই আর বললো না শুধু 'ও ও' ছাড়া! আমি সবসময় বা সবদিন ফোন দেই না তাকে। কারণ, আমি জানি ওর সংসার আছে, এবং খুব সুখেই আছে সে। নতুন আরেকটা বাচ্চা হয়েছে মনে হয় মাস দুই হবে, আমি সঠিক জানিনা। কারণ, তার সাথে আমার এখন আর ভালো যোগাযোগ নাই বললেই চলে। তবুও গতকাল কলটা দিয়েই ছিলাম। খুব মনে পড়ছিল কয়েকদিন ওকে। আমার কয়েকদিন শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। জ্বর, পাতলা পায়খানা, সর্দী, কাশি সব মিলিয়ে খুব কষ্টে সময় পার করছি। খুব মনে পড়ছিল তাকে, তবুও ফোন দেই নি। কিন্তু গতকাল আর নিজেকে আটকাতে পারলাম না। দুপুরে শরীরটা অনেক ভালো মনে হলো। ভাত খেয়ে বিছানায় শুয়ে ব্লগে একটা নতুন কবিতা লেখছি। কবিতাটা গোসলে যাওয়ার আগে হঠাৎ মনডা একটু কেমন যেন খারাপ লাগছিল। সিগারেট ধরিয়ে টানছি আর ভাবছি যাই, গোসল করেই আসি। কিন্তু কিছুতেই উঠতে মন চাইলো না। খুব মনে পড়ছে মিনতিকে। অনেকদিন হয় তার সাথে কথা হয় না আমার। কেন যে মনে পড়ছে বুঝিনা। চোখ বন্ধ করে ভাবছি আমার স্কুল জীবন, কলেজ জীবন, মিনতির সাথে আমার সুন্দর মুহূর্ত গুলো। কিন্তু, যখন মনে হল, সে অনেকদিন যাবত আমার আর কোন খোঁজ খবর নিচ্ছে না, কষ্টটা একটু বেশিই হচ্ছিল পুরনো সেই সুন্দর হাসিখুশি দিনগুলো। কিন্তু, তাকে ফোন দিতে পারছিনা, পরে কোন সমস্যায় পড়ে যদি তার স্বামী সাথে থাকে তো! সিগারেট টানতে টানতেই কবিতাটির প্রথম চার লাইন টেবিলে থাকা সাদা কাগজে লিখে ফেললাম। তখন ভাবলাম তাহলে লেখেই ফেলি একটা কবিতা এখন তাকে ভেবে। পরে প্রায় ঘন্টা খানেক স্মৃতিরোমন্থন করে লিখে ফেললাম কবিতা 'কেমন'রে তুই কতই সুখী' পরে অমনি টেবিলে রেখে গোসল করতে যাই পাশের নদীতে। গোসল করে এসে দুপুরের খাবার খেয়ে শুয়ে সেই কবিতাটাই কাটছাঁট করে ব্লগে লেখছি। তখনও খু্ব মন চাইছিল মিনতির সাথে কথা বলি। কিন্তু, তখন দেখি প্রায় তিনটা বাজে। ভাবলাম তার প্রফেসর স্বামী যদি বাসায় থাকেন তো তার জন্য খারাপই হতে পারে। এসব ভাবছি আর কবিতাটি ব্লগে তুলছি। ভাবছিলাম, দুপুরে একটু ঘুমোবার জন্য। কিন্তু কবিতাটা ব্লগে তুলতে তার কথা আরও বেশি মনে পড়তে লাগলো। পরে ব্লগ থেকে বের হয়ে ফেসবুকে ঢুকি। পরে ফেসবুকেই কাটলো বিকাল পাঁচটা সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। পহেলা বৈশাখ, নববর্ষের শুভেচ্ছা দিতে আর আমার ফেসবক পোষ্ট গুলিতে কমেন্টের উত্তর দিতে দিতেই চলে গেল সময়। মাঝেমধ্যে ব্লগে ঢোকে দেখতাম নতুন পোষ্ট বা নববর্ষ, যদি কোন শুভাকাঙ্ক্ষী মন্তব্য করে তো প্রতিউত্তর করতে হবে। পরে সন্ধ্যার আগে আগে মনে হল এখন হয়তো তার স্বামী বাসায় নাও থাকতে পারে, ৬ টা ৬ মিনিটে ফোন দিয়েই ফেলি তাকে। কিন্তু, তার কথা বলার অনাগ্রহে সোজাসুজি নববর্ষের শুভেচ্ছা দেওয়ার পর ওর শুধু 'ও ও' শুনে চুপ হয়ে গেলাম। ভাবছি ওই কেটে দিক আগে বা কি করে দেখি। সেও পাঁচ সাত সেকেন্ড চুপ থেকে ফোন কেটে দিল। মাত্র ৪২ সেকেন্ড কথা হল তার সাথে। হঠাৎ করে ওর এত অনাগ্রহ দেখে একটু ভাবলাম চুপচাপ। মনে মনে বললাম, তোকে আর কখনো ফোন দিবো না মিনতি ...! তুই সুখেই থাকিস সবসময়।
পরে আবার ফেসবুক আর ব্লগ ঘুরতে ঘুরতেই রাত ৯ টা পার হলো। পরে রাতের খাবার খেয়ে ফেসবুক দেখছি। এমন সময় বাহিরে যেতে হলো। বাহির থেকে শোয়া ১২ টার দিকে ফিরে এসে ফেসবুক আর ব্লগ ঘুরতে পড়তেই সকাল হয়ে গেল। চোখে সামান্য ঘুম আসলো না! এখন এই লেখছি।
কষ্টের অনেক কথাই মনে হলো সারা রাত। কিন্তু কিছুই লেখতে পারলাম না কোথাও! আমার সবকিছু কেমন যেনো স্তব্ধ হয়ে আছে এখনো। কত রাত এভাবে সকাল হয়েছে তার কোন হিসেব রাখিনি আমি। গরীবের জন্য ভালোবাসা না, ভালোবাসা কেবল ধনীদের জন্যই। পূর্ণতা কখনওই ভদ্র ছেলেরা পায় না ভালোবাসায়! যারা নোংরামি করে ভালোবেসে, তাদের কাছেই মেয়েরা ধরা দেয়। মন থেকে যারা ভালোবেসে ফেলে, তারা ভালোবাসা পায় না, অবহেলিত হয় শুধু!
যাক, আর কিছু বলবো না ...! রাতটা স্মৃতি হয়েই থাকুক। ভালো থাকুক মিনতি, সুখে থাকুক সবসময়....
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
অনেক রাত্রে আমি গ্রামের রাস্তায় হাঁটতাম, সে ছি আমার স্কুলের সময়; আজও কি মানুষ হাঁটে?