নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সু-স্বাগতম। আপনার আগমনে ধন্য আমি। মানুষ আমি, আমাকে মানুষই ভাববেন, আমি তাই হতে চাই njnoyon.com
সমাজ ও রাজনীতিতে সবাই ‘নেতা’ বা ‘নায়কের’ স্থান করে নিতে পারে না, হাতে গোনা গুটিকয়েক মানুষের পক্ষেই কেবল তা সম্ভব হয়।
মাঝে মাঝে অসাধারণ ক্যারিশমা সম্পন্নরা অবশ্য ‘বড় নেতা’ অথবা ‘মহানায়ক’-এর আখ্যায়ও ভূষিত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। তারা সবাই সমসাময়িক কালের নেতা, চলতি পারিপার্শ্বিকতার প্রেক্ষাপটের নায়ক। কিন্তু ‘ইতিহাসের নায়ক’ হওয়ার মতো যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষ সব কালে, সব যুগে সৃষ্টি হয় না। ইতিহাসের আপন তাগিদেই তার ‘নায়কের’ উদ্ভব ঘটায়, আর সেই ‘ইতিহাসের নায়ক’-ই হয়ে উঠে ইতিহাস রচনার প্রধান কারিগর-স্থপতি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের একজন অবিসংবাদিত বড় মাপের নেতা ও রাজনীতির একজন মহানায়কই শুধু ছিলেন না। তিনি ছিলেন ‘ইতিহাসের মহানায়ক’। আরো সত্য করে বললে, বঙ্গবন্ধু ছিলেন ‘ইতিহাসের এক মহানায়ক’।
রাজনৈতিক-সামাজিক ধারাবাহিক বিবর্তনের মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধু ইতিহাসের মহানায়কের এই অবস্থানে উত্থিত হতে পেরেছিলেন। তাঁর ভাবনা-চিন্তা আদর্শবোধ-জীবন দর্শন ইত্যাদি আত্ম-পরিচয়ের মৌলিক উপাদানগুলো ক্রমান্বয়ে বিকশিত হয়েছে। এক অবস্থান থেকে উন্নততর অবস্থানে সেসবের উত্তরণ ঘটেছে।উত্তরণ ও বিবর্তনের এই গতি কোনোদিন বন্ধ হয়নি, অব্যাহত থেকেছে তাঁর জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত।
রাজনীতির অনেক আঁকা-বাঁকা পথে তাঁকে চলতে হয়েছে, অনেক আগু-পিছু করে করে তাঁকে রাজনীতির দুর্গম পথ পরিক্রম করতে হয়েছে, বাস্তবতার প্রতিকূলতার মুখে কখনো কখনো তাঁকে সাময়িক আপোষও করতে হয়েছে,- কিন্তু তাঁর সার্বিক বিবর্তনের গতি ছিল সামনের দিকে, প্রগতি অভিমুখে।
এটাই ছিল নিশ্চিত ও আবশ্যম্ভাবী। কেন? কারণ, তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের লোক, ছিলেন জনতার নেতা। রাজনীতির তাত্ত্বিক পণ্ডিত তিনি কখনওই ছিলেন না। তিনি সর্বজ্ঞানী অথবা কোনো এক বা একাধিক বিষয়ে দক্ষ বিশেষজ্ঞও ছিলেন না। কিন্তু তিনি ছিলেন অসাধারণ প্রজ্ঞাবান একজন নেতা। তিনি ছিলেন মানুষের লোক। মানুষের কাছ থেকে তিনি গ্রহণ করতে পারতেন, বিচার-বিবেচনার রসদ সঞ্চয় করতে পারতেন। সব বিষয়ে শেষ ভরসা করতেন মানুষের ওপরে। মানুষবর ওপর জনতার ওপর তাঁর এহেন অপার ভালোবাসা ও নৈকট্যই তাঁর ক্রমবিবর্তনের প্রগতিমুখীন হওয়াটাকে আবশ্যম্ভাবী করে তুলেছে।
শুরুতে ছিলেন দুরন্ত কিশোর-মুজিবর। অনেকের কাছে মুজিব ভাই। তার পর মুজিবুর রহমান, অথবা শেখ মুজিবুর রহমান। তার পর বহুদিন ধরে মানুষের মুখে মুখে তাঁর নাম ছিল ‘শেখ সাহেব’। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন পরিচয় ‘বঙ্গবন্ধু’। একাত্তরের পর তিনিই স্বাধীন দেশের স্থপতি ‘জাতির পিতা’। তিন দশক সময়কালের মধ্যে এভাবেই ঘটেছিল তাঁর অবস্থানের ইত্তরণ।
তিন দশকের রাজনৈতিক জীবনে তাঁর চিন্তাধারা-জীবন দর্শনেও উত্তরণ ঘটেছে। শুরুটা ছিল পাকিস্তান আন্দোলনের ছাত্র-কর্মী হিসেবে। কিন্তু সেসময়ও মুসলিম লীগের মধ্যে উদারনৈতিক ও কিছুটা প্রগতিমুখীন যে প্রবণতা ও অংশ ছিল, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সেই আবুল হাশেম-সারোয়ার্দ্দী সাহেবের অনুগামী।
তিনি ছিলেন ঢাকার নবাবদের নেতৃত্বাধীন প্রতিক্রিয়াশীল অংশের বিরুদ্ধে। তিনি একই সাথে ছিলেন নেতাজী সুভাষ বোসের ভক্ত। কংগ্রেস, মুসলিম লীগ, কমিউনিস্ট- এই তিন দলের ঝাণ্ডা নিয়ে কলকাতায় ‘রশিদ আলী দিবস’ পালনসহ নানা কর্মসূচীতে সঙ্গী-সাথী-অনুগামীসহ তিনি ছিলেন একজন উৎসাহী যৌবন দীপ্ত অংশগ্রহণকারী। মুসলিম লীগের কর্মী হওয়া সত্ত্বেও তখন থেকেই কমিউনিস্ট ও বামপন্থীদের সাথে তাঁর পরিচয়, কিছুটা ঘনিষ্ঠতার সূচনা। তখন থেকেই তার মাঝে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের প্রতি একটি গভীর মনের টানের উন্মেষ। সাথে সাথে অসাম্প্রদায়িক বোধের জাগরণ।
পাকিস্তান সৃষ্টির পর বাঙালি জাতির ওপর পরিচালিত শোষণ-বঞ্চনা, বাংলা ভাষার ওপর আঘাত, প্রতিক্রিয়াশীল অংশের দ্বারা মুসলিম লীগের নেতৃত্ব করায়ত্ত হওয়া ইত্যাদি তাঁকে অতি দ্রুতই পাকিস্তান সম্পর্কে মোহমুক্ত করে তোলে। সাধারণ কর্মচারীদের দাবি নিয়ে সংগ্রাম করে তিনি জেলে যান। মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তিনি ভাষানী-সারোয়ার্দ্দীর নেতৃত্বে গঠিত আওয়ামী লীগের একজন প্রধান সংগঠক হয়ে ওঠেন। জেলে ও জেলের বাইরে আওয়ামী লীগে কাজ করতে করতে কমিউনিস্ট বা বামপন্থীদের সাথে তাঁর সংযোগ আরো ঘনিষ্ঠ হয়।
প্রাদেশিক মন্ত্রীসভায় ‘শেখ সাহেব’ দুইবার মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামী লীগ ভেঙে ন্যাপ গঠিত হয়। চলে নবগঠিত ন্যাপের ওপর আওয়ামী-হামলাবাজি। ‘শেখ সাহেব’ অচিরেই বুঝতে সক্ষম হন যে, বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে শুধু তাঁর নেতা সারোয়ার্দ্দী সাহেবের ওপর নির্ভর করে বসে থাকলে চলবে না। দলের ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও এ্যাসেমব্লিতে ন্যাপ উত্থাপিত স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিতে তিনি অস্বীকৃতি জানান। প্রগতিশীলদের সাথে তাঁর নৈকট্য আরো বৃদ্ধি পায়।
আইউবী সামরিক শাসন জারির পর প্রবল নির্যাতন ও আক্রমণের মুখে ‘শেখ সাহেব’ অনেকদিন হতাশায় আচ্ছন্ন থাকার পর আবার চাঙা হয়ে ওঠেন।
‘৬১-সালের শেষ দিকে আন্ডারগ্রাউন্ড কমিউনিস্ট পার্টি নেতা মনি সিংহ, খোকা রায় প্রমুখের সাথে কয়েকটি গোপন বৈঠকে তিনি মিলিত হন। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন সূচনা করা কৌশল নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। ‘শেখ সাহেব’ একাধিকবার পার্টির নেতাদের বলেন যে, গণতন্ত্র, বন্দীমুক্তি প্রভৃতি দাবির সাথে সাথে পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার দাবিও এখনই উঠানো উচিৎ। পার্টির নেতারা তাঁকে বুঝানোর চেষ্টা করেন যে, ‘স্বাধীনতার দাবিটি সঠিক বটে, তবে তা উত্থাপনের জন্য এখনো অবস্থা পরিপক্ব হয়নি। এখন গণতন্ত্রের দাবি নিয়ে ছাত্রদের মধ্য থেকে আন্দোলন শুরু করতে হবে।’ ‘শেখ সাহেব’ তাঁর নেতা সারোয়ার্দ্দী সাহেবের সাথেও কথা বলেন। শেষ বৈঠকে তিনি পার্টির নেতাদের বলেন যে, ‘দাদা, আপনাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিলাম, কিন্তু তার পরেও আমার কথা অনেক থেকে গেল, যুক্তিগুলো সব মানলাম না’।
সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনের বছরগুলোতে জেলখানাগুলো ভরে উঠল রাজনৈতিক বন্দীদের দিয়ে। ‘শেখ সাহেব’ এবং আরো অনেকেরই নিয়তি হলো জেলে যাওয়া, আবার বের হয়ে আসা, আবার জেলে যাওয়া। ‘শেখ সাহেব’ও দেখলেন যে, ‘আমরা তো আসি-যাই, কিন্তু কিন্তু জেলখানার প্রায় স্থায়ী বসবাসকারী হয়ে রয়েছেন কমিউনিস্ট নেতারা। তাদের কাজ তো দেখি সবসময় আমাদেরকে অভ্যর্থনা জানানো ও বিদায় দেয়া’। কমিউনিস্টদের আত্মত্যাগ তাঁকে অভিভূত করে। এ কারণে তিনি আজীবন কমিউনিস্টদেরকে শ্রদ্ধার চোখে দেখেছেন। তাদের সমাজতন্ত্রের আদর্শের প্রতিও একটি সহানুভূতি ও আকর্ষণ তাঁর মধ্যে গড়ে উঠতে থাকে।
৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পর ‘শেখ সাহেব’ বুঝতে পারেন যে, এখন স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে সামনে রেখে বাঙালির স্বাধিকারের জন্য জোরেশোরে নামার সময় এসে গেছে। তিনি ৬-দফা দাবি পেশ করে আন্দোলনে নেমে পড়েন। আওয়ামী লীগের প্রবীণ ও নামডাকওয়ালা নেতাদের আপত্তি অগ্রাহ্য করে তিনি দৃঢ়চেতাভাবে এগিয়ে যেতে থাকেন।
আইয়ুব-মোনায়েম সরকারের আক্রমণকে উপেক্ষা করে সাহসী মহাবীরের মতো আপসহীনভাবে এগিয়ে যেতে থাকেন বাঙালির স্বাধিকারের দাবি নিয়ে। দলের কর্মীরা শুধু নয়, সমগ্র দেশবাসী এই ৬-দফা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তাঁর পেছনে সমবেত হতে থাকেন।
সরকার মরিয়া হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ দিয়ে তাঁকে সবদিক থেকে ‘শেষ করে দেয়ার’ চেষ্টায় নামে। কিন্তু ‘শেখ সাহেব’ ছিলেন ইতিহাসের পক্ষে এবং ইতিহাস সৃষ্টির মতো প্রজ্ঞা, জেদ, প্রত্যয় ও দক্ষতাসম্পন্ন। পাক-সরকারের প্রতিটি আঘাত তাঁর জন্য বীরমাল্য স্বরূপ ভূষণ হয়ে ওঠে। ক্রমান্বয়ে তাঁর জনপ্রিয়তা অসামান্য উঁচু স্তরে পৌঁছে যায়। তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালির একক ও অবিসংবাদিত নেতা। ৬-দফাকে প্রগতিশীল কর্মসূচিতে সমৃদ্ধ করে রচিত হয় ঐতিহাসিক ১১-দফা। সংগঠিত হয় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান। মুক্ত হয়ে আসেন মহানায়ক। শেখ সাহেব হয়ে ওঠেন ‘বঙ্গবন্ধু’।
‘৭০-এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু তাঁর দলকে নিয়ে অভূতপূর্ব বিজয় ছিনিয়ে আনে। ইয়াহিয়া খান সেই বিজয়কে কেঁড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জাতীয় পরিষদের বৈঠক বাতিল করে দেয়। দেশের অঘোষিত সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার অধিকার নস্যাৎ করার পথ গ্রহণ করা হয়।
প্রতিবাদে গর্জে ওঠে সমগ্র বাঙালি জাতি। বঙ্গবন্ধু জনতার ক্রোধ ও স্বাধিকারের প্রত্যয়কে ধারণ করে জাতিকে স্বাধীনতার সংগ্রামের পথে এগিয়ে নেন। ৭ মার্চের ভাষণে তিনি বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ‘তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করো’। ‘মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো, তবুও শত্রুর হাত থেকে এদেশকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ্’।….. ইত্যাদি। স্বাধীনতার পথে বাঙালির যাত্রার শীর্ষ পর্যায়ের ও প্রত্যক্ষ অধ্যায়ের সূচনা সেখান থেকেই। বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠলেন স্বাধীনতার জন্য জাগ্রত জাতির ঐক্যের প্রতীক। স্বাধীনতার স্থপতি। জাতির জনক।
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ হানাদার মুক্ত হয়। কিছুদিনের মধ্যেই পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন স্বদেশের মাটিতে পদার্পণ করেন জাতির জনক। নতুন রাষ্ট্রের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্যকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় সাংবিধানিক রূপ প্রদানের কাজটি তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। রচিত হয় ‘৭২-এর সংবিধান, ঘোষিত হয় ৪ ( গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং জাতীয়তাবাদ) রাষ্ট্রীয় মূলনীতি।
একথা সত্যি যে, শেষ বিচারে ইতিহাসের স্রষ্টা হলো জনগণ। কিন্তু ব্যক্তির ভূমিকাকেও ইতিহাস অগ্রাহ্য করে না। ইতিহাসের চাহিদা অনুযায়ী যে ব্যক্তি জনগণকে জাগিয়ে তুলতে পারেন, এবং জাগ্রত জনগণের গণবাণীকে সঠিক রূপে প্রতিফলিত করতে পারেন-তিনিই হয়ে ওঠেন ‘ইতিহাসের নায়ক’।
ইতিহাসের মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ‘শেখ মুজিবুর রহমান’- তোমায় সালাম!
[(লেখক- মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। সূত্র- মত ও পথ।) ছবি নেট থেকে নেয়া। অক্ষরগত ভুল হতে পারে লেখকের লেখার কোন পরিবর্তন করা হয়নি।]
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ডাবল হয়ে গেছে, সমস্যা নেই আমি বুঝে নিয়েছি।
সুন্দর মন্তব্যে আমি উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি। আপনার শ্রদ্ধা ভালোবাসার প্রতি রইল সালাম।
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯
জীবন সাগর বলেছেন:
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: এই মহানায়কের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর গভীর ভালোবাসা রইল।
আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল।
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪
Syeed Rafiqul Haque বলেছেন: ইতিহাসের নায়ক সবাই হতে পারে না।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই, ইতিহাসের নায়ক সবাই হতে পারেনা।
আপনার মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রইল। প্রথম আসায় অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
সময়ের সাথে, উনার কার্যাবলী, পার্টির আদর্শ, ৬ দফা, ১০ই জানুয়ারীতে ফিরে এসে ১২ই জানুয়ারী ক্ষমতা গ্রহন, ছাত্রলীগ থেকে জাসদ'এর উদ্ভব, মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারে স্হান না দেয়া, ৩ বছর সময় চেয়ে নেয়া, তাজুদ্দিনকে মন্ত্রী সভা থেকে বাদ দেয়া, জাসদ'কে কঠিন হাতে দমন, স্বাধীনতার পর ছাত্রলীগ চালু রাখা, দেশে খাদ্যের অভাব না বুঝা, ৭২ সাল থেকে লেখাপড়া ফ্রি না করা, বাকশাল করতে গিয়ে মানুসকে সম্পৃক্ত না, সবকিছু কমপাইল করলে উনাকে বুদ্ধিমান মনে হয় না।
উনার প্রতি সন্মান অটুট আছে, তবে নতুন বাংলাদেশ চালনার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা উনার ছিলো না; আজকে আমাদের খারাপ পরিস্হিতে আসার পেছনে উনার অদক্ষতাও একটা বড় ফ্যাক্টর।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথেও কিছুটা একমত। তবে পুরোপুরিভাবে নয়। আপনার দেখনো কারণ গুলোতে পুরোপুরিভাবে তাঁকে দায়ী করাটা মনে হয় ঠিক হবে না। '৭২-সংবিধান প্রণয়ন করার পর থেকে তাঁর থেকে অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নেন। সহযোগিতার পরিবর্তে গোপনে ষড়যন্ত্র করতে থাকেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে কি অবশিষ্ট ছিল, কেমন সম্পদ ছিল তা বিভিন্ন বই বা ওয়েবসাইটগুলো ঘুরে যা দেখেছি। তাতে জনগণের খাদ্যের অভাব থাকাটা স্বাভাবিক। সবকিছুর মূলে যে আর্থিক সমস্যা ছিল সে ছাপও বিভিন্ন লেখক রেখে গেছেন বিভিন্ন লেখায়।
আপনার মন্তবে ভালো লাগা রাখছি। অনেক কিছু জানার আগ্রহ ইচ্ছা আমার আছে। আপনাদের কাছ থেকেই জানবো শিখবো।
ভালোবাসা জানবেন। আপনার স্পষ্টবাদিতা আমাকে মুগ্ধ করে সবসময়।
৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম নিজেই বড় ধরণের অথর্ব; এরা না জেলে, না চাষী, না রাজনীতিবিদ; এদের অথর্ব আচরণ বাংলাদেশের মানুষের ভেতর সোস্যালিজমের ভয় ঢুকায়ে দিয়েছে; এরা অর্থনীতির না বুঝে, মানুষের মাঝে অপ্রয়োজনীয় কথা বলে, সোস্যালিজমকে নাস্তিকতার প্রবক্তা বানিয়েছে, মগজহীনগুলো!
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমি ওনাকে চিনিনা। তার লেখাটা পেয়েছিলাম একটা পাক্ষিকে। তা থেকেই সংগ্রহ করা।
৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১
অতৃপ্তচোখ বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর প্রতি 'গাজী' ভাইয়ের সম্মান অটুট আছে জেনে খুশি খুশি লাগতেছে।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা, আমি আনন্দিত হয়েছি তাতে।
৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
"লেখক বলেছেন: আমি ওনাকে চিনিনা। তার লেখাটা পেয়েছিলাম একটা পাক্ষিকে। তা থেকেই সংগ্রহ করা। "
-উনি বাংলাদেশ কম্যুনিস্ট পার্টির সভাপতি। ইনি ছাত্র রাজনীতি করতেন; ছাত্র রাজনীতি করে সবকইছু করা সম্ভব, শুধু লেখাপড়াটা হয়ে উঠে না, সময় থাকে না। উনারা যা শিখেছেন, সেটা দিয়ে আধুনিক রাজনীতি বুঝা ও পার্টি চালানো অসম্ভব।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: জানতে পেরে ভালো লাগলো।
এভাবেই শিখবো ভাই। কৃতজ্ঞতা রইল আপনার প্রতি।
আপনার এই মন্তব্যে একমত রইল।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভাই, 'বিভুরঞ্জন সরকার' ও তার এক লেখার শিরোনাম দিয়েছেন 'ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'
৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ওনার আদর্শের অনুসারীরা তাকে পাব্লিক না করে গ্রুপওয়াইজ প্র-পাগান্ডা চালিয়েছে। তাই তাকে নিয়ে এখনো মানুষের মুখে নানান কথা বলতে শোনা যায়, যা কাম্য নয়।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন শাহাদাৎ ভাই। আপনি আসল জায়গাই তুলেছেন।
যে শত্রুরা বাহিরে থাকার কথা ছিল, তারা ভিতরে থেকেই প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে। আর সেজন্যই এখনো অনেক লোকে অনেকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে আঙুল তুলে কথা বলে। যা করোরই কাম্য ছিল না।
কৃতজ্ঞতা জানবেন। সত্যকে জানতেই হবে। আমার আগ্রহ আছে।
আপনাদের কাছ থেকেই জানবো, শিখবো।
শুভকামনা রইল +++++
৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বিভুরঞ্জন সরকার'-এর লেখা থেকে-
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে ইতিহাস থেকে তাঁর নাম মুছে ফেলা এবং বাংলাদেশের রাজনীতিকে পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। কিন্তু আজ এটা জোর দিয়েই বলা যায় যে, বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে বাদ দেওয়ার অপচেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
যিনি নিজে ইতিহাসের স্রষ্টা, ইতিহাসের যিনি মহানায়ক তাঁর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার মূঢ়তা কোনোভাবেই জয়যুক্ত হতে পারেনা। পৃথিবীর কোথাও এটা হতে দেখা যায়নি। শুরুতে বঙ্গবন্ধুর ঘাতকচক্র এবং তাঁকে হত্যার পর বেনিফিশিয়ারি হিসেবে যারা রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করেছিল, তারা নানা অপপ্রচার চালিয়ে দেশের মানুষকে সাময়িকভাবে বিভ্রান্ত করতে পারলেও সেটা খুব স্থায়ী হয়নি। দেশের মানুষের মনে বঙ্গবন্ধুর জন্য শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা উজ্জল থেকে উজ্জরতর হয়ে উঠেছে।
তবে তাঁকে হত্যা করে দেশের রাজনীতিকে পাকিস্তানি ধারায় চালিত করার যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল সেটা ষোল আনা সফল না হলেও একেবারে ব্যর্থ হয়েছে, বলা যাবে না।
১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
"নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বিভুরঞ্জন সরকার'-এর লেখা থেকে- "
-শেখ সাহেব আমাদের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন, মানুষ উনার পেছনে সমবেত হয়েছিলেন, ৬ দফার পক্ষে উনাকে ভোট দিয়েছিলেন। পাকীদের ষড়যন্ত্র রুখতে ২১ দিনের অসহযোগ আন্দোলন করেছেন, পাকী আক্রমণ ঠেকায়ে ৯ মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন।
সেই স্বাধীন দেশের মানুষের আশা, স্বপ্ন, অধিকার, ঐক্য, কি হওয়ার কথা বিভুরঞ্জন সরকারদের মগজে ঢুকেনি; এরা রাজনীতি, সমাজ, মানুষকে সঠিকভাবে এনালাইসিস করতে পারে না; এরা গরুর রচনা লেখে।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই আপনার
-"শেখ সাহেব আমাদের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন, মানুষ উনার পেছনে সমবেত হয়েছিলেন, ৬ দফার পক্ষে উনাকে ভোট দিয়েছিলেন। পাকীদের ষড়যন্ত্র রুখতে ২১ দিনের অসহযোগ আন্দোলন করেছেন, পাকী আক্রমণ ঠেকায়ে ৯ মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন।"
"সেই স্বাধীন দেশের মানুষের আশা, স্বপ্ন, অধিকার, ঐক্য, কি হওয়ার কথা বিভুরঞ্জন সরকারদের মগজে ঢুকেনি"
এই কথাগুলোর জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। দেশের মানুষের আশা পূর্ণ হোক এই প্রত্যাশা। বাংলাদেশ স্বাবলম্বী হয়ে বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়াক এই কামনা।
অনেক জানাইলেন, কৃতজ্ঞ রইলাম।
১১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ সুন্দর তথ্যপুর্ণ লিখনিটি এখানে উপস্থাপনের জন্য । পোস্টের লিখা , মন্তব্য, প্রতি মন্তব্য সকলি দেখলাম । সব মিলিয়ে সরস কোন মন্তব্য লিখার যোগ্যতা এখনো অর্জন করতে পারিনি । সেই ৬৯ সত্তরের গন অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার একটি স্কুলের ক্লাশ কেপটেন হিসাবে প্রায় প্রতিটি ছাত্র মিছিলে ক্লাশের ছেলেদেরকে নিয়ে অংশ গ্রহন করেছিলাম। তারপর থেকে প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলন ও সংগ্রামের সাথে সম্পৃক্ত থেকে এবং পরবর্তীতে যা দেখেছি তাই নিয়ে একটি স্মৃতি কথা লিখে চলেছি একটি পুস্তক প্রকাশের ইচ্ছা আছে , তাই এ ধরনের সকল লিখাই সংগ্রহে রাখি , এ লিখাটিকেও সংগ্রহে নিয়ে গেলাম ।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রইল সুন্দর একটা মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য।
আমার জানার আগ্রহ আছে সুযোগ হয় না। তাই যখন বাঙালি সম্পৃক্ততা পাই কোন জায়গায় তা সংগ্রহ করি। আপনার পুস্তকটিও পাওয়ার আশায় থাকবো।
অনেকেই বঙ্গবন্ধুর ৭৩-৭৪ সাল আলোচনায় এনে ৪০ থেকে ৭২ ভুলে যায়। অনেকেই অস্বীকারও করে। আমার কাছে এটা স্বার্থপরতা মনে হয়। বাঙালিদের নেতৃত্ব নবাবও দিয়ে গেছেন, কিন্তু একটা স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়ে যেতে পারেননি। কিন্তু যাঁর হাত ধরে আমরা রাষ্ট্র পেলাম তাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে বসে থাকি। এটা আমার কাছে অন্যায় মনে হয়।
আপনার মন্তব্য আমাকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে জানার আগ্রহে। কৃতজ্ঞতা রইল।
১২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালো পোস্ট!
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রইল।
শুভকামনা জানবেন।
১৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:১৬
তোমার জন্য মিনতি বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা বঙ্গবন্ধুর প্রতি
পোষ্টে++++++
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রইল।
আমারও শ্রদ্ধা এই মহানায়ক এঁর প্রতি।
প্রথম আসায় অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানবেন।
১৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৪৩
একজন সত্যিকার হিমু বলেছেন: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সত্যিই তিনি মহানায়ক ছিলেন কিন্তু স্বাধীন দেশে একজন মহানায়ক যে কাজগুলি করে তিনি তাতে ব্যর্থ ।
মাহাথীর মোহাম্মদ চোখের পলকে মালয়েশিয়াকে বদলে দিয়েছিলেন ।বঙ্গবন্ধুও হয়তো পারতেন কিন্তু করেননি ।দেশ গঠনের থেকে তার কাছে অন্যান্য বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ ছিল ।
এই ব্যাপারে চাঁদগাজী ভাইয়ের মন্তব্য উল্লেখ্য ।।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: মন্তব্য করায় কৃতজ্ঞতা জানাই।
মাহাথীর মোহাম্মদ এঁর সাথে বঙ্গবন্ধুর তুলনা করলেন অথচ বঙ্গবন্ধুকে মাহাথীর মোহাম্মের মতো সময় সুযোগ দিলেন না। এটা কেমন তুলনা হল ভাই! মাহাথীর মোহাম্মদ এঁর দেশ পাওয়া আর বঙ্গবন্ধুর দেশ পাওয়ার মধ্যে পার্থক্য কিছুই উল্লেখ করলেন না! '৭২-৭৪-এর বাংলাদেশ রাজনৈতিক অর্থনৈতিক কোন অবস্থান উল্লেখ করলেন না। শুধু তুলনা করে গেলেন। তাহলে আমি শিখবো জানবো কিভাবে! আমি তো আপনাদের কাছেই জানবো, শিখবো। আমার জানার আগ্রহ আছে।
আপনার মন্তব্যে আমি কিছু জানলাম। তাতেই কৃতজ্ঞ রইলাম।
শুভকামনা জানবেন।
১৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৯
এম এ মুক্তাদির বলেছেন: তিনি জাতির পিতা। কিন্তু এখন তার পরিচয় তিনি স্বৈরশাসকের পিতা । এর চেয়ে বেশী দুঃখের বিষয় বাংলাদেশে আর কি হতে পারে ?
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সমস্যা তো ভাই আমাদের দেশে একটাই। আমরা তুলনা করবো অন্যের সাথে, কিন্তু সময় সুযোগ কোনটা দিবো না!
প্রথম আসায় অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানবেন।
১৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: চাঁদগাজী কোন এক কমেন্টসে বলে ছিলেন; “মুজিব রাষ্ট্রের জনগণ কে কাজ দেননি, তিনি সব কাজ একা নিজের কাঁধে নিয়ে ছিলেন, যার ফল জাতি প্রত্যক্ষ করেছে”।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: জ্বি ভাই দেখেছি।
একাত্তরের প্রায় এক যুগ পরে জন্ম আমার এক পাড়াগাঁয়ে। এসেসসি পর্যন্ত লেখা পড়াও সেই গাঁয়েরই একটা স্কুলে। কলেজ যদিও গ্রাম থেকেই এসে করতে হয়েছে। ডিগ্রিধারী হতে পারিনি। চাকরিজীবন শুরু করতে হয়েছে ব্যক্তি বা পারিবারিক প্রয়োজনে। ভাল কোন বই পড়ারও সুযোগ হয়ে উঠেনি। চাকরির ফাঁকে যেটুকু সময় পাই নেটেই পড়ে থাকি বিভিন্ন ওয়েব সাইটে। তাই বেশিকিছু ধারণা জ্ঞান আমার হয়নি। উত্তর গুলো ঠিক মতো দিতে পারিনা। জানার আগ্রহেই সামুতে বিভিন্ন লেখকের লেখা ঘুরে বেড়াই।
আপনার আবার আসায় ভাল লাগলো। শুভকামনা জানবেন।
১৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১
প্রবাসী দেশী বলেছেন: " দোআ করবেন যেন মানুষ হতে পার -" মানুষ হবার জন্য দোআ করতে হয়না ,দোআ করলেই যদি সবাই মানুষ হতো তাহলে সবাই মা এর দোআ নিয়ে অমানুষ হতোনা। মানুষ হতে হলে নিজে নিজেই চেষ্টা করে নিতে হবে হবে।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ ভাই, ঠিকই বলেছেন। উপদেশ আমার কাছে প্রেরণা হয়ে থাকবে।
প্রথম আমার ব্লগে আসায় অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানবেন।
শুভকামনা আপনার জন্য।
১৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৪
রাফা বলেছেন: বঙ্গবন্ধু নিজেই যেখানে ইতিহাস ,কার সাধ্য আছে ইতিহাসের পাতা থেকে তার নাম মুছে ফেলে।যারা চেষ্টা করেছিলো তারাই আজ আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।পুর্বের সকল ছাত্রনেতা হওয়ার প্রথম শর্তই ছিলো মেধাবি হতে হবে ।কাজেই না বুঝেই কাউকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার অর্থ হোচ্ছে ।সে নিজেই আসলে মূর্খদের দলে।
একাডেমিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলেই প্রকৃত শিক্ষিত বলা যায়না।কিছু কিছু মানুষ ৭২ থেকে ৭৫ কে অনুধাবন না করেই মন্তব্য করে বসে যা খুবই দুঃখজনক।অন্ন ,বস্ত্র,শিক্ষা,চিকিৎসা ও বাসস্থান মানুষের মৌলিক অধিকার।আর এই অধিকার গুলো দিতে হলে প্রথম এবং সবচাইতে প্রাথমিক কাজ হইতেছে সেই মানুষগুলোকে বাচিয়ে রাখা।স্বাধিনতার পর সেই সঙ্গতিটুকু ছিলোনা রক্তাক্ত বিজয়ি বাংলাদেশের।বঙ্গবন্ধু সেই প্রচেষ্টাই গ্রহণ করেছিলেন যা আজকের বা তখনকার কিছু মানুষও উপলব্দি করতে পারেনা।আপনার পোষ্টের মন্তব্যকারিদের মধ্যেও সেরকম মানুষ আছে বলেই এত কথা বললাম-দুঃখিত।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমকে ধন্যবাদ,তিনি উপলব্দি করে সাধারণের জন্য কিছুটা হলেও লিখেছেন বলে।আর আপনাকে ধন্যবাদ,ব্লগে পোষ্ট করার জন্য.।
সব-মন্তব্যের সাথে শহমত প্রকাশ সততার বিষয়ে সন্দিহান করে তুলে মানুষকে।যা সত্য তা শক্তভাবে বলুন।অজানা থাকলে নির্দিধায় স্বিকার করে ফেলুন-তাহোলেই কোন সমস্যা থাকেনা।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: প্রথমেই কৃতজ্ঞতা রইল আপনার প্রতি।
আমি ছোট মানুষ, ব্লগেও নতুন। তাই, চাই না কাউকে একটু কঠিন কথা বলে কষ্ট দিতে। আপনি সবগুলো মন্তব্য পড়েছেন তা বুঝতে পারছি। যেটুকু সহমত রেখেছি সেটুকু উল্লেখ করেছি। অনেক সিনিয়র সিনিয়র মুরুব্বীরা কমেন্ট করেছে। কারোর সাথে তর্কে যাই নি। তাছাড়া আমি সেই সময়কার সম্পর্কে অনেক কিছু তথ্য প্রমাণ সহ বলতে পারবো না। তবু যেটুকু পারি জবাব দিয়েছি। বুদ্ধিমানরা বুঝেছে। তাই আর আসেনি।
আপনার মন্তব্যে আমি যেমন উৎসাহিত তেমনি অনুপ্রাণিত। আপনি যতোটা সুন্দর করে বলেছেন, আমি ততটা সুন্দর করে তাদেরকে বোঝাতে পারতাম না। তারা কবেল তুলনা করে, আমি কিছু বলতে পারি না। যাদের বিবেকবোধ আছে তারা তুলনা করেনা। ৭১-৭৪ দেশে কি ছিল, কি কেমন ছিল রাজনৈতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তা অনেকেই জানেই না। আর তাদের মধ্যে জানার আগ্রহ টুকুও দেখিনি। তাই আমি তেমন কিছুই বলিনি। সত্যি ভাই আমি লজ্জিত।
আপনার উপদেশ আমার স্মরণে থাকবে জীবনভর।
অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানবেন। প্রেরণা হয়ে থাকবেন আমার আগামীর পথে।
১৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৮
অতৃপ্তনয়ন বলেছেন: ব্লগের প্রথম মন্তব্য এই মহানায়ক-এঁর পোষ্টে রেখে আমার যাত্রা শুরু করলাম।
ভালো একটা পোষ্ট।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: শুভ ব্লগিং।
মন্তব্যে প্রেরিত হয়েছি।
২০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:০৫
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই, বিশ্ব পেত এক মহান নেতা।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৫:২৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমরা পেতাম ফিরে জাতিরপিতা।
যদি রাত পোহালেই শোনা যেত....
কে আছে বাঙালি তাঁর সমতুল্য
ইতিহাস একদিন দেবে তাঁর মূল্য।।
সত্যকে মিথ্যের আঁড়াল করে...
যায় কি ঢাকা কখনো তা...!!!
অনেক অনেক ভালোবাসা রইল আপনার মন্তব্যে।
শুভকামনা জানবেন ভাই, সবসময় ভালোবাসা আপনার জন্য
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪
জীবন সাগর বলেছেন: এই মহানায়কের অসীম ভালোবাসা আর বিনম্র শ্রদ্ধা। আমার হৃদয় জায়নামাজে তাঁর স্থান। পৃথিবী রবে যতোদিন ততদিন রবে প্রতিটি বাঙালির মনে জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটা আমার ধারণা নয় বিশ্বাস। এই মহানায়কের অসীম ভালোবাসা আর বিনম্র শ্রদ্ধা। আমার হৃদয় জায়নামাজে তাঁর স্থান। পৃথিবী রবে যতোদিন ততদিন রবে প্রতিটি বাঙালির মনে জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটা আমার ধারণা নয় বিশ্বাস।