নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সু-স্বাগতম। আপনার আগমনে ধন্য আমি। মানুষ আমি, আমাকে মানুষই ভাববেন, আমি তাই হতে চাই njnoyon.com
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যাকে অস্বীকারের পাশাপাশি গণহত্যার জন্য উল্টো মুক্তিবাহিনীর উপর দোষ চাপানোর মতো বিকৃত তথ্য-চিত্র সম্বলিত ‘ক্রিয়েশন অব বাংলাদেশ: মিথস এক্সপ্লোডেড’ নামে একটি বই লিখে প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের জনৈক জুনায়েদ আহমদ। বাংলাদেশের সৃষ্টি নিয়ে লেখা বিভ্রান্তিমূলক বইটি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা-আইএসআই পাকিস্তানে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে পাঠিয়ে এটি ‘মূল্যবান দলিল’ হিসাবে সংরক্ষণের জন্য রীতিমতো চিঠি লিখে অনুরোধ জানিয়েছে। এই অনুরোধ করেছেন পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অব ইন্টেলিজেন্স আমজাদ ইকবাল বাদল।
এই ঘটনায় বিষ্ময় প্রকাশ ও তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘লাখো শহীদের রক্ত ও মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশ নিয়ে এই ধরনের অপপ্রচার অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। এই স্পর্ধা ও সাহস ওরা পেল কোথায়? পাকিস্তানের কাছে আমরা জোরালো প্রতিবাদ জানাবো।’ গতকাল বুধবার সংসদে দেওয়া অনির্ধারিত বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিকাল পৌণে পাঁচটার দিকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হওয়ার পর বইটির বিষয়ে সংসদকে অবহিত করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ম্ললীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ। এসময় তিনি ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব করেন।
পরে এ ব্যাপারে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে। এ ব্যাপারে পাঠ্যপুস্তকেও বিস্তারিত তথ্য থাকতে হবে- যেন নতুন প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানতে পারে। সংসদেও প্রস্তাব আসতে পারে। এ ব্যাপারে আইনিভাবে কিছু করার থাকলে সেটিও ভেবে দেখা হবে। পাশাপাশি তথ্য-প্রমাণ পাঠিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের কাছেও আমরা দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসাবে পালনের জোর দাবি জানাব।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শেষে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসাবে ঘোষণার প্রস্তাব রেখে অন্য একজন সংসদ সদস্য ইতোমধ্যে নোটিশ দিয়েছেন। আজ মাননীয় মন্ত্রীও (বাণিজ্যমন্ত্রী) প্রস্তাব দিলেন। প্রস্তাব দুটো নিয়ে আমরা অগ্নিঝরা মার্চের কোনো একটি দিনে সংসদে আলোচনা করব।’
শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ফের অপপ্রচার শুরু করেছে। পাকিস্তানিরা বই লিখে উল্টো মুক্তিবাহিনীর উপর দোষ চাপিয়ে নিজেদের কৃতকর্ম ও গণহত্যা ঢাকা দেয়ার অপচেষ্টা করছে। গণহত্যার জন্য ওদেরই লজ্জা হওয়া উচিত। গণহত্যার দায় মুক্তিবাহিনীর উপর চাপানোর এই অপচেষ্টা গ্রহণযোগ্য নয়। একাত্তরের গণহত্যা, নির্মমতা, নির্যাতন, ধর্ষন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আমরা তাদেরকে মাফ চাইতে বলেছি। ওরা মাফ চায়নি। উল্টো এখন আমাদের উপর দোষ চাপানোর ধৃষ্টতা মেনে নেব না। আমি এই ঘটনার ধিক্কার জানাই। এই ধরনের বই লেখার ক্ষেত্রে এখান (বাংলাদেশ) থেকে কারা মদদ দিয়েছে সেটাও খুঁজে বের করা দরকার। যারা বিদেশি প্রভুদের মদদ দেয়, তাদেরও খুঁজে বের করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইয়াহিয়া কিভাবে সারাদেশে গণহত্য চালায়, মানুষকে হত্যা করে-তা নিজ চোখে দেখেছি। ঢাকার ধানমন্ডি, মিরপুর, পিলখানা, সাতমসজিদ রোডসহ বিভিন্ন স্থানে আমি নিজে লাশ পড়ে থাকতে দেখেছি। আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন দেশটাকে শত্রুমুক্ত করার ঘোষণা দিলেন তখন আমাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। শুধু গণহত্যা নয়, কলাবাগান, ধানম্লিসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ১৩/১৪ বছরের বাচ্চা মেয়েদের তুলে নিয়ে ধর্ষন করেছে, তাদের চিত্কার শোনা যেত। এ কাজে তাদের সহায়তা করেছিল রাজাকাররা। এদেশের সবাই নাকি হিন্দু হয়ে গেছে, এরকম কথা বলে তারা সেদিন আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। তারা মানুষ নয়, শুধু মাটিটা চেয়েছিল।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ৩০ লাখ শহীদ হয়েছে-সবাই যখন মেনে নিল তখন বিএনপি নেত্রী কেন এনিয়ে প্রশ্ন তুললেন? গণহত্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে উনি বিদেশি প্রভুদের সুযোগ করে দিয়েছেন। সেটিরই প্রতিফলন এই বইটি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ (গতকাল) ১৫ ফেব্রুয়ারি, দিনটা নানা কারণেই উল্লেখযোগ্য। ’৬৯ এর এদিনে সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে যে গণআন্দোলন-গণঅভ্যুত্থান গড়ে ওঠে, তাতে পাকিস্তান ও তাদের দোষররা পরাজিত হয়। আমাদের বিজয়ের প্রতিশোধ নিতেই তারা ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘটায়। ২১ বছর পর আমরা ক্ষমতায় আসার পর মানুষ সঠিক ইতিহাস জানতে শুরু করে। জিয়াউর রহমানও গণহত্যাকে ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু যেসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু করেছিলেন-জিয়া তাদের মুক্তি দেন।
তিনি বলেন, ’৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ভোটারবিহীন নির্বাচন করে। আমরা সব দল তা বয়কট করি। কেউ ভোট দিতে আসেনি। আমাদের আন্দোলনের ফলে ৩০ মার্চ খালেদা জিয়া পদত্যাগে বাধ্য হন। ১৫ ফেব্রুয়ারির ওই নির্বাচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর খুনি রশীদ ও হুদাকে সংসদে নিয়ে আসেন খালেদা জিয়া। হুদার ফাঁসি হয়েছে, ফাঁসির দ্ল নিয়ে রশীদ এখনও পলাতক। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিরোধী দলের চেয়ারে বসানোর কারণেই মনে হয় মাত্র দেড় মাসের মাথায় খালেদা জিয়া পদত্যাগে বাধ্য হন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, একদিন আগে ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি। ’৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এরশাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনা পাঠিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর আক্রমণ চালায়, আমাদের সবাইকে সেদিন গ্রেপ্তার করে। নির্যাতিতদের কয়েকজন এখন এই সংসদেও আছেন। আমাদের তিনজনকে পরদিন নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ডিজিএফআই অফিসে।
প্রধানমন্ত্রীর আগে বিষয়টির অবতারণা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমি আজ একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানে বাংলাদেশে গণহত্যার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিয়ে কথা হয়। এই অনুষ্ঠানেই বইটি পাই। মিথ্যা তথ্য দিয়ে বইটিতে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ ও ৫ লাখ মা-বোনের ইজ্জত হারানো সবকিছ অস্বীকার করা হয়। বইটিতে কিছু ঐতিহাসিক ছবি আছে। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে- পাকিস্তানি আর্মির সামনে রিক্সাওয়ালার লাশ পড়ে আছে। সেখানে ক্যাপশন দেয়া হয়েছে- মুক্তিবাহিনী তাকে হত্যা করে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করব-তিনি যেন ব্যবস্থা নেন। তোফায়েল বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে খালেদা জিয়া যে মন্তব্য করেছিলেন-বইটিতে তার বক্তব্যের হুবহু মিল রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর তোফায়েল আহমেদ বইটি তার কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীকে মনোযোগ দিয়ে বইটির বিভিন্ন পৃষ্ঠা উল্টে দেখতে দেখা যায়। বিশেষ করে বইটিতে ব্যবহূত ছবিগুলো গভীরভাবে দেখছিলেন শেখ হাসিনা।
৭ জনকে আর্থিক সহায়তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াত চক্রের ২০১৪ ও ২০১৫ সালের হরতাল ও অবরোধের সময় তাদের অগ্নিসন্ত্রাস ও বোমা হামলার শিকার ৭ জনকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। এর মধ্যে হামলায় গুরুতর আহত ফেনীর এসএসসি পরীক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম অনিক ও শাহরিয়ার হূদয় রয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে অনিকের মা আমেনা আকতার জেসমীন ও হূদয়ের বাবা আবুল খায়েরের হাতে প্রত্যেককে ১০ লাখ করে টাকার চেক তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম একথা জানান। তিনি বলেন, এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ঢাকার তেজগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল কাদের মিয়া, গাজীপুরের শেরপুরের গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও ঝিনাইদহের শৈলকুপার মো. লিটন মিয়া প্রত্যেককে ১০ লাখ করে টাকা এবং ঢাকার মিরপুরের মধ্য পাইকপাড়ার সৈয়দ মো. আবদুল মতিন ও ঢাকার বংশালের মো. সেলিম হোসেন সেলিম প্রত্যেককে ৫ লাখ করে টাকার চেক প্রদান করেন।
রাজশাহীতে নির্মিতব্য বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটারের নকশা অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে নির্মিতব্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভো থিয়েটারের স্থাপত্য নকশা ও মডেলের অনুমোদন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই অনুমোদন দেয়া হয়। রাজশাহীতে এই নভো থিয়েটার নির্মাণের অনুমোদন দেয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর নকশার বিষয়ে কিছু পরামর্শ দেন।
ইত্তেফাক রিপোর্ট। প্রকাশ:-১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ইং।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৫৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনার কাছে আরও বড় ধরণের মন্তব্যের আশা করেছিলাম। কারণ, আপনার গায়ে জ্বালা ধরার কথা।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে বাংলাদেশে পাকিস্তান নামক এই জঙ্গি রাষ্ট্রের কোনো অস্তিত্ব দেখতে চাই না। সকল প্রকার সম্পর্ক বাতিল করা হোক তাদের সাথে। পাকিস্তানি হাই-কমিশনের সামনে বীরাঙ্গনা মূর্তি আর গণহত্যা চিত্রসংবলিত মূর্তি স্থাপন করা হোক, এমনটা চাই।
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:১৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সভ্য পাকিরা সবসময়ই বাংলাদেশে গণহত্যার নিন্দা করে গেছে।
তবে পাকিস্তানে অসভ্যের সংখাই বেশী।
দেখেন না গতকাল করাচির কাছে একটি মসজিদে পেটে বোমা বেধে দুই আন্তঘাতি জঙ্গি দুই দিক থেকে গ্রেনেড ছুড়তে ছুড়তে মুসুল্লিদের একটি জাগায় নিয়ে আসে, যাতে সর্বচ্চ সংখক খতম করা যায়। এরপর দুইটি বিশাল বিষ্ফোরন! নিহত ৯০। আহত অগনিত।
কিছুদিন আগে একটি শিশুপার্কে ৭০, কোয়েটায় হাসপাতালে বোমা হামলায় অন্তত ৭৪ জনের প্রাণহানির পর এটিই পাকিস্তানে বড় হত্যাকান্ড।
এদের অপরাধ এরা মোসলমান হইলেও সহি মোসলমান না।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৫৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনার সাথে আমিও একমত। এরা সহি মুসলমান না।
দেশের কষ্টার্জিত টাকায় পাকিস্তানি মানুষরূপী কুত্তাদের প্রতি খরচ করা বন্ধ করুক বাংলাদেশ, এই (পাকিস্তানি) জঘন্য জাতির প্রতি কিসের আবার মানবিকতা, কিসের জেনেভা কনভেনশন ? মানি না।
৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:২৮
জীবন সাগর বলেছেন: প্রথমেই আবেদন থাকবে পাকিস্তানি কুত্তা-সম্প্রদায়ের সাথে বাংলাদেশের সকল প্রকার সম্পর্ক শেষ করতে।
তারপর সেই লেখকের বিরুদ্ধে মানহানিকর মামলা করতে।
ভালো খবর তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশ এর দাঁতভাঙা জবাব দিক এটাই চাই।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৫১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমিও চাই এই কাজের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হোক পাকিস্তানকে।
ভালো থাকুন।
৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৯
অতৃপ্তচোখ বলেছেন: যে নিকৃষ্ট জাতি নিজেদের মধ্যে মানবতা দেখাতে পারেনা, সেই নিকৃষ্ট জাতির প্রতি আমাদের দেশের কোনোপ্রকার সখ্যতার প্রয়োজন আছে কি ???
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৫২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: কোনো প্রয়োজন দেখিনা সেই নিকৃষ্ট জাতির সাথে সম্পর্ক রাখার।
পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৫৩
কলাবাগান১ বলেছেন: যে নিকৃষ্ট জাতি নিজেদের মধ্যে মানবতা দেখাতে পারেনা, সেই নিকৃষ্ট জাতির প্রতি আমাদের দেশের কোনোপ্রকার সখ্যতার প্রয়োজন আছে কি ???
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:০৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: কোনো প্রকার সখ্যতার প্রয়োজন অাছে বলে আমি মনে করি না। তারা আসলেই নিকৃষ্ট জাতি। মসজিদে যারা বোমা মেরে নব্বই জন নিরিহ নামাজীকে খতম করতে পারে, তাদের নিকৃষ্ট জাতি বললে ভুল হবে না। আমি তাই মনে করি।
পাশে অনুপ্রাণিত ভাই। শুভ সকাল।
৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:১৮
অতৃপ্তনয়ন বলেছেন: ভালো একটা খবর তুলে ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ভালো লাগলো। তাই লাইক দিলাম। প্রিয়তে রাখবো। খবরটা থাকুক প্রতিবাদ হিসেবে।
শুভ সকাল।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
এর উপযুক্ত জবাব দিক বাংলাদেশ অর বাংলাদেশি লেখকরা এটাই কাম্য।
৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২৯
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এদেশে পাকিদের দোশর জামায়াত যতদিন থাকবে ততদিন তারা ক্ষীণ আশায় এই সমস্ত অপকর্ম করে যাবে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: মনে হয় মোক্ষম কথাটাই বলেছেন। এই দেশের শত্রু একমাত্র জামায়াত।
তারা যেকোনো ভাবে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে। আমাদের আরও সচেতন হওয়া জরুরী। দেশের স্বার্থে সকলকেই এক থাকা যৌক্তিক মনে করি। মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানাই।
৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২২
শূন্যনীড় বলেছেন: পাকিস্তানকে বাংলাদেশে ব্যান করা হোক। কোনোপ্রকার সম্পর্ক রাখতে চাই না সেই অমানবিক নিকৃষ্ট জাতির সাথে।
ভালো পোষ্ট, এমন খবর সকলের জানা উচিৎ বলে মনে করি। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ভালো লাগলো, লাইক দিয়েছি।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: পাশে পেয়ে উৎসাহিত হয়েছি।
আপনার সাথে একমত আমিও।
দেশের ভালো মন্দ খবর সবারই রাখা উচিৎ। বেশিক্ষণ ব্লগে থাকি, তাই খবরাখবর দেখার সময় পাই না। সবাই কে জানানোই আমার উদ্দেশ্য ছিল।
৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬
নাগরিক কবি বলেছেন: পাকিস্তান পাকিস্তানের কথা বলবে এটাই স্বাভাবিক।এ নিয়ে এত মনে কষ্টের কিছু নাই। আমার নিজের পাকিস্তানের মাটিতে অপমানিত হবার অভিজ্ঞাত আছে। বইটার দুই কপি আমাকে পাঠাইয়েন। জুনায়েদ আর আমজাদ এর পুচ্ছদেশ এ দিব।
গণহত্যা দিবসের প্রস্তাব ভাল।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: মন্তব্য পেয়ে সাহসী হলাম।
গণহত্যা দিবসের পক্ষে আমিও।
১০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৭
নাগরিক কবি বলেছেন: আগেরটার পক্ষে নাই?
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অবশ্যই আছি। কিন্তু বই কেমনে দিবো। আমার কাছে তো কুত্তাদের কোনো ভয় নাই।
পাকিস্তানি কুত্তাদের কেউ গালি দিলে আমার খুউব ভালো লাগে। ক্যারে ভালো লাগে জানিনা, তবে ভালো লাগে।
১১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬
খোলা মনের কথা বলেছেন: ‘ক্রিয়েশন অব বাংলাদেশ: মিথস এক্সপ্লোডেড’ নামে একটি বই লিখে প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের জনৈক জুনায়েদ আহমদ।
স্বাধীনতার যুদ্ধে তার জন্ম হয়েছিল???
ইতরদের লজ্জা না থাকারই কথা।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জন্ম হয়েছিল কিনা জানিনা।
তবে ইতরদের লজ্জা থাকেনা, এটা বলতে পারি।
পাশে পেয়ে কৃতজ ভাই।
১২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: এটা আগেই পড়ছি তাই আর পড়লাম না। আমি নিয়মিত সব পত্রিকাই পড়ি।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই, সবাইকে দেখার জন্যই দিয়েছিলাম।
আগে পড়ে থাকলে তো ভালোই। খবরটা আগে পত্রিকায় পড়েছিলেন জেনে ভালো লাগছে।
ভালোবাসা জানবেন সবসময়।
১৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:২৮
পলাশমিঞা বলেছেন: এসব আমি বুঝি না।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৩৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমিও বুঝি না ভাই। খবরটা ভাবছিলাম দেখাই। তাই দিয়েছিলাম। তাছাড়া পাকিদের এমন কুকর্ম মানষের দেখা উচিৎ।
১৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৩৭
পলাশমিঞা বলেছেন: এসব খবর সবাই প্রকাশ করবে না। যে বেশি বাড়াবাড়ি করবে তাকে মেরে ফেলবে।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:০০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: এটা কি বাড়াবাড়ি পোষ্ট হইছে ভাই ?
১৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৪৯
পলাশমিঞা বলেছেন: আপনি অন্যভাবে নিচ্ছেন।
সকলে জানার আগে ওরা কাজ করবে। আপনি দশের পক্ষে বলছেন। আজকাল নিজের পক্ষ সবাই।
বিপদে পড়লে কাউকে পাশে পাবেন না।
আবেগে মানুষ অসহায় হয়।
চারপাশে তাকিয়ে দেখুন, সব বিশ্লেষিত হবে।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৫৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই, বিপদে কেউ পাশে থাকে না, জানি।
অন্যভাবে নেইনি ভাই। আচ্ছা রিপ্লাই টি মুছে দেই।
কিন্তু দেশের সম্মান যাবে এমন দেখেও চুপচাপ থাকা যায়!
১৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:০৩
পলাশমিঞা বলেছেন: মুছে দেন।
যে বই লিখেছে সে আসলে খুব চালাক। সত্বর ধনি হওয়ার জন্য বইটা দেশে দিয়েছি। যত হাউমাউ করা হবে সে তত ধনি হবে।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:১৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: রিপ্লে মুছে দিয়েছি।
হতে পারে আপনার কথাই ঠিক।
কিন্তু সে ইতিহাস বিকৃতি করেছে। এর কি কোন বিচার হওয়ার নয়?
১৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:২০
পলাশমিঞা বলেছেন: তার সাহস আছে এবং নিশ্চয় তার হাত অনেক লম্বা। মানে। তাকে নিশ্চয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে এবং বই বেশি বিক্রার করার জন্য বাংলাদেশে পাঠিয়েছে।
চিন্তা করে দেখুন কত বড় ঘটনা?
তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু আমাদের সরকার হয়তো বলবে সে ভুল করেছে তাকে আমরা ক্ষমা করে দিয়েছি।
যত্তসব ঢং!
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:২৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমার মনে ক্ষমা হবে না, চেষ্টা চলেই যাবে শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য।
১৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৪৪
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: পাকিস্তান একাত্তরে যে জঘন্য পাপ করেছে তার মূল্য তাদের প্রতি পদে পদে দিতে হচ্ছে ! বর্তমানে পাকিস্তান একটি চরম অকার্যকর রাষ্ট্রে পর্ষন্ত হয়েছে, যার মূল কারণই হচ্ছে বাঙালিদের অভিশাপ ! যদিও ওই দেশের বেকুব জনগণ এটা এখনো বুঝে না ! যাহোক পাকিস্তানের কোথাকার এক নিম্নমানের লেখক কি বললো না বললো তা নিয়ে লম্ফো ঝমফ না করে এদের আঁতে ঘা দেয়ার মতো কিছু করা দরকার ! যদি সত্যিই বাংলাদেশ সরকার সঠিক কিছু করতে চায় তবে সর্বপ্রথমেই বেলুচিস্তানের স্বাধীনতাকামিদের সর্বপ্রকার সহায়তা এবং সমর্থন করা উচিত বাংলাদেশের ! পাকিস্তানকে টুকরা টুকরা করার এখনই মোক্ষম সুযোগ - এবং বাংলাদেশই পারে এর ক্যাটালিস্ট হতে !
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলোই বলে গেলেন। অনেক কিছু বোঝলাম।
আমার পোষ্টি দিয়েছিলাম যে এত বড় একটা মিথ্যে অন্যায় করেছে তা দেখুন বাংলার লেখকরা। জবাব দিক লেখনি স্ব স্ব আন্তরিকতায় নিজেদের লেখায়। পাকিস্তান যদি এভাবেই চলতে থাকে তো বিভক্ত হবে এটা মনে হয় নিশ্চিতই বলা যায়। দুইদিনে। দুনিয়াতে জঘন্য রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে পাকিস্তান। মানবিকতা বলতে তাদের মাঝে কিচ্ছু আর অবশিষ্ট নেই।
আপনার মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন। শুভকামনা রইল।
১৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা অস্বীকারের স্পর্ধা ও সাহস ওরা পেল কোথায় এরকম একটি সংবাদ জনকন্ঠে পরেছিলাম তাই এই শিরোনামটি দেখে মনে হয় স্কীপ করে গিয়াছিলাম , এর ভিতরে যে আরো ভাল ভাল খবর আছে তা পাঠে খুশী হলাম ।
ধন্যবাদ আমাদেরকে জানানোর জন্য ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খবর জেনে খুশি হওয়াতে কৃতজ্ঞতা জানবেন। আমি ইত্তেফাকে পেয়েছি। শুধু শিরোনাম চেঞ্জ করে নিজের মতো দিয়েছিলাম। খুঁশি হয়েছেন জেনে আনন্দিত।
শুভকামনা জানবেন সবসময়।
২০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১৯
কালীদাস বলেছেন: ফাকিস্তানিদের বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে বিকৃতি করা নতুন কিছু না। কিছু পরাজয় আছে হজম করা সম্ভব না, এটা ছিল ফাকিস্তানিদের জন্য। তবে আপনার পোস্টে বলা নিউজটা সত্য হয়ে থাকলে জিনিষটা ডিপ্লোমেটিকালি সলভ করা উচিত অতি আবেগী না হয়ে, সেদিকে পার্লামেন্ট বা এই পোস্টেও কারও নজর দেখলাম না। যখন এই হাস্যকর বইটা কোন অফিশিয়াল আমাদের কনসুলেটে পাঠাবে আর্কাইভে যোগ করার রিক্যোয়েস্টসহ, তখন সেটা আমাদের ইতিহাসের ভিতে আঘাত হানা হয়ে যায়। এটার উপযুক্ত প্রতিবাদ সংসদে হাউকাউ করা বা অনলাইনে ফাকিস্তানের ছিলা চামড়া আবার ছিলার চেষ্টা করা না। একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রের কাছে এরচেয়ে ভাল কিছু আসবেও না।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমার পোষ্ট করার কারণই ছিল প্রতিবাদ জানানো আর সবাইকে দেখানো যে ফাকিস্তান কতটা নিকৃষ্ট রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যে রাষ্ট্রে মানবিকতার সামান্যত নজির নাই সেই নিকৃষ্ট রাষ্ট্রকে অনেকেই সমীহ করে। যা দেখে আমারও গা জ্বলে।
ঠিক বলেছেন, একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রের কাছে এরচেয়ে বেশি আশা করাটাই বোকামি। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
পাকিস্তানী লেখক কি মুক্তিযোদ্ধাদের পাকিস্তানের বীর সন্তান হিসেবে দেখার কথা?
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধকে যেই চোখে দেখে, পাকিস্তানীরা বিপরিতভাবে দেখা লজিক্যাল, বুঝতে সমস্যা আছে?
আমাদের প্রাইম মিনিস্টারের বুঝার মাঝে অনেক সমস্যা আছে; এগুলোর সমাধান এই জীবনে আর হবে না!
আসল সমস্যাকে ঢেকে রাখার অপচেস্টা?