নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সু-স্বাগতম। আপনার আগমনে ধন্য আমি। মানুষ আমি, আমাকে মানুষই ভাববেন, আমি তাই হতে চাই njnoyon.com
পরম করুণাময় মহান আল্লাহ্'র উপর লাখো কোটি শুকরিয়া রাখছি....
বিপদে পড়লে আমাদের আল্লাহ্'র উপরই ভরসা করতে হয়। তাতেই মুক্তি।
যাওয়ার সময় মোবাইলে তুলা ছবি।
গতরাতে যখন অামাকে বলা হল 'আগামীকাল সকালে আপনাকে খালিয়াজুরি যেতে হবে'। তখনই মনটা খারাপ হয়ে গেল, আমি বলে রাখলাম না, আমি যেতে পারবোনা, অন্য কাউকে দেখেন। প্রতিউত্তর পেলাম, লোক নেই, আপনাকেই যেতে হবে। আমি পারবোনা বলে অফিস থেকে বেরিয়ে এসে রাতের খাবার খাই তখন প্রায় দশটা বাজে। খাচ্ছি আর ভাবছি, সত্যিই তো আর কোন ফ্রি লোক নেই, যেতে তো আমাকে হবেই। মনটা একটু খারাপই হলো।
খাওয়া শেষে পাশের দোকানে বসে ফেসবুকে ঘুরছি। মনে সকালের চিন্তা। না, কষ্টই হয়ে যাবে কাল। চারিদিক ভাসা পানি। যাবো তো নৌকাতে বসে বসেই। কিন্তু ফিরবো কিভাবে! ফিরবোও তো নৌকাতে বসে বসেই। তাহলে তো কষ্ট হওয়ার কথা না। তবুও মনে হচ্ছে কষ্টই হবে। হ্যা, কষ্ট হবে। কারণ, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাকে না খেয়েই থাকতে হবে হয় তো। মাথাটা কেমন যেন ভার মনে হচ্ছে। এগারোটা পর্যন্ত দোকানে বসে থাকার পর আর থাকতে মন চাইলো না। রুমে এসে শুয়ে পড়লাম। শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপছি। ফেসবুক আর ব্লগের নোটিফিকেশন দেখে প্রতিউত্তর গুলো দিয়ে চোখ বোজে শুয়ে রইলাম।
সকালে ঘুম ভাঙলো স্যারের ডাকে। স্যার একশো টাকা আগবাড়িয়ে যখন বললো যানগা, ঘুরে আসেন। আমি আর না করতে পারলাম না। না, টাকার জন্য নয়। একেতো লোক নেই, তারপর স্যারের এই সৌজন্যতা আমাকে না রাখলে সেটা বেয়াদবি হয়ে যাবে। তাই, টাকাটা রেখে বললাম, আচ্ছা রেডি হচ্ছি। স্যার বললো সাড়ে ছয়টা বেজে গেছে, তাড়াতাড়ি রেডি হন। আমি টয়লেট সেড়ে সেভ হয়ে গোসল করতে যাবো। এমন সময় স্যার ঘাট থেকে এসে বলছে নৌকা ৭.১০ মিঃ এ ছেড়ে যাবে। আমি গোসল করার চিন্তা বাদ দিয়ে ব্রাশ করে হাতমুখ ধোয়ে রেডি হয়ে ঘাটে চলে এলাম। সত্যিই নৌকা যথাসময় ছেড়ে দিল।
হঠাৎ বৃষ্টিপাতে ডুবে যাওয়া হাওড়ের ফসলের বেঁচে যাওয়া কিছু অংশ উরুসমান পানিতে দাঁড়িয়ে কাটছে কৃষক। ছবিটি জগন্নাথপুরের কাছ থেকে নেওয়া।
নৌকাতে যেতে ভালই লাগছে। হাল্কা বাতাস নৌকার ছাউনিতে বসে ভালই উপভোগ করছি চারপাশের নতুন পানি। টুইটারে একটা আড়াই মিনিটের লাইভ দিলাম ভ্রমণটাকে স্মৃতি হিসেবে রাখতে। ভালোই লাগলো সকালের এই নৌকাপথ। সাড়ে নয়টার দিকে পৌঁছে গেলাম খালিয়াজুরী। আমার কাজ বলতে কাজগ ভরা একটা খাম। অফিশিয়াল কাগজপত্র। খামটা বুঝিয়ে দিলাম আমার কাজ শেষ। তখন প্রায় দশটা বাজে। কিন্তু আরেকটা কাগজ নিয়ে আসতে হবে আমাকে। সেজন্য দেরি করতেই হবে, কারণ, বিদ্যুৎ নাই। বিদ্যুৎ এলে ফটোকপি করে তারপর নিতে হবে। দেরি হবে দেখে পাশের হোটেলে গিয়ে রুটি খেয়ে নিলাম। দুপুরবেলা খাওয়া না'ও হতে পারে তাই স্বাভাবিকের চেয়ে একটা রুটি বেশিই খেয়ে নিলাম ডিম ভাজা আর ডাল দিয়েই।
প্রচণ্ড গরম। রোদেগরমে তিক্ত মানুষ, আমিও। বিদ্যুৎ এর জন্য অপেক্ষা করতে করতে অসহ্য মনে হচ্ছে। স্যারকে ফোন দিলাম। স্যার, বিদ্যুৎ নেই, তাছাড়া শুক্রবার সব দোকান বন্ধ। স্যারের উত্তর, আপনাকে তো দুটো পর্যন্ত নৌকার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে। তাই একটু অপেক্ষা করে বিদ্যুৎ আসলে ফটোকপি করে নিয়ে আসেন, কাগজটি লাগবেই। আমি জ্বি স্যার বলে অপেক্ষা করতে লাগলাম বিদ্যুৎ এর জন্য। শেষে বিদ্যুৎ এল তখন বারোটা পার। ফটোকপি করে ঘাটে আসলাম একটা বাজতে কয়েক মিনিট বাকি।
ঘাটে এসে মাথা নষ্ট, কোন নৌকা নেই লেপশিয়া যাওয়ার। সূর্যর তাপ গরম আর নৌকার অপেক্ষা তখন আমার কেমন লাগছে তা না বলাই ভালো। খুব রাগ হচ্ছিল মনে। কিচ্ছু করার নেই, এটাই আমার চাকরির অংশ। আমার জীবনটা যে চাকরিতে বাঁধা।
বসে আছি ঘাটের সাথে দোকানের ছায়ায়। ঘুরছি ব্লগে। একটা নৌকা যাবে বোয়ালি ঘাটে দুটার দিকে। আমাকে বোয়ালি ঘাটে গেলে আবার সেখান থেকে লেপসিয়ার নৌকা ধরতে হবে। তাতে সময় কমকরে হলে সাড়ে তিন ঘন্টা নৌকাতে থাকতে হবে। তারচেয়ে বরং আমাকে ইটনা ফেরত নৌকার জন্যই অপেক্ষা করা ভালো। যে নৌকা দিয়ে সকালে এসেছি। তাই বসে রইলাম সাড়ে তিনটা বাজার অপেক্ষায়। ব্লগে ভালো লাগলো না, খুব রোদ। মোবাইল রেখে দোকান থেকে স্প্রীড কিনে খাচ্ছি আর ভাবছি এই তো আমার ভবঘুরে জীবন। কখন কোথায় কি অবস্থায় তা নিজেও জানিনা।
অনেক তাপদাহ শেষে তিনটার দিকে হঠাৎ রোদ নেই। আকাশে মেঘ জমছে। দূরে কোথাও হয়তো বৃষ্টি হচ্ছে। ঠাণ্ডা বাতাসে দাঁড়িয়ে দেখছি সামনের হাওড়ে পানির মৃদু নাচন। ইটনা ফেরত নৌকাটাকেও দেখা যাচ্ছে না। সাড়ে তিনটা পার হয়ে গেছে। একটু টেনশন হচ্ছে। আকাশে মেঘ দেখে যদি নৌকা না আসে তবে আমাকে এখানেই থেকে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় দেখছিনা। এর মধ্যে দূরে চোখে পড়লো একটা নৌকা আসছে। সেটাই কিনা ঠিক বুঝতে পারছিনা। একটু পরে বুঝতে পারি হ্যা, এটাই সকালের নৌকা। যাক, আমার দুশ্চিন্তা দূর হলো। নৌকা ঘাটে এসে থামলো।
নৌকায় ওঠে বসে বসে আকাশ দেখছি। কেমন যেন চিন্তা হচ্ছে মনে। পথে যদি কোনরকম বাতাস ওঠে তো কি অবস্থা হবে! তখনও তেমন বাতাস নেই। যদিও মাঝে মাঝে বিজলি চমকাচ্ছে তবুও তেমন সমস্যা হবে বলে মনে হলো না। নৌকায় মালামাল যা ঘাটে নামানোর ছিল নামিয়ে রেখে নৌকা ছেড়ে দিল। রোদ নেই, হাল্কা ঠাণ্ডা বাতাস, ভালই লাগছে। বসে বসে পানি দেখছি চোখ যতদূর যায়।
ফেরার সময় নৌকা ছাড়ার পর নৌকার ছাউনিতে বসে তুলেছিলাম।
কিছুক্ষণ নৌকা চলার পর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়া শুরু। সঙ্গে কাগজ মোবাইল ভিজবে ভেবে নৌকার ভিতরে ঢোকলাম। মুহূর্তের মধ্যে প্রচণ্ড শব্দ করে বিজলি চমকানো শুরু সঙ্গে বিষণ বৃষ্টি আর বাতাস। নৌকার ভেতর যাত্রী আর নৌকার চালক কর্মী মিলে মাত্র পঁচিশ থেকে ত্রিশ জনের মতো। নৌকার দোল দেখে মনে ভীষণ চিন্তা। মনে মনে 'লা ইলাহ ইন্না আন্তা ছোবহানাকা ইন্তি কুন্তু মিনায যোঁয়ালেমিন' পড়ছি। কতবার পড়ছি তার হিসেব নেই। উপরের ছাউনির কাঠ ধরে আছি। ভিতরে ছোট বাচ্চাসহ এক মায়ের কান্না। আমরা শান্তনা দিচ্ছি, সাহস দিচ্ছি। আল্লাহ্ ভরসা, কিচ্ছু হবে না। মনে মনে তো আমার সেই লা ইলাহ চলছেই। নৌকা উল্টার চিন্তা। প্রচণ্ড বাতাস। নৌকা দোলছে রীতিমতো। সবার বুকেই ভয়। এভাবেই প্রায় বিশ মিনিট। এর মধ্যে চালক নৌকার ইঞ্জিন বন্ধ করে দিয়েছে। নৌকা নিজে নিজেই দোলছে আর চলছে ভাটির দিকে। তারপর শুরু পুরোদমে শিলাবৃষ্টি। বাতাস কমে গেছে। নৌকা এখন আর তেমন দোলছে না। সবার মনে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। আল্লাহ্ এভাবের মতো ক্ষমা করলেন হয়তো.....
সারাদিন আল্লাহ্'র কথা স্মরণ যদিও হয়, কিন্তু এত মমতায় কখনো ডাকা হয় না। যখন কোন অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ সামনে আসে, তখন আল্লাহ্ ছাড়া কেউ থাকেনা মনে। এর জন্যই আমি স্বার্থপর। আমি বিপদেআপদে আল্লাহ্'কে স্মরণ করি কিন্তু সেভাবে স্বাভাবিক সময়ে স্মরণ করিনা।
ঝড় বৃষ্টি শেষে ফেরার সময় নাও টানা মোড় পেরিয়ে পশ্চিম আকাশে সূর্যের শেষপ্রহর।
কষ্ট, মানসিক যন্ত্রণা আর হঠাৎ মৃত্যুভয়ে আজকের দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকুক আমার।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা আপু আজ খুব ভয় পেয়েছিলাম। আমি এরকম বিপদে আর পড়িনি। আল্লাহ্ নিজে হেফাজত করেছেন আজ। শুকরিয়া আমারও।
আন্তরিক মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা আপনার জন্যও রইল।
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: শুরু হতে শেষ বেশ ভাল লাগল
লিখা ও ছবি বেশ সামঞ্জস্যমুলক
শেষ কথাটুকু বেশ মুল্যবান
কষ্ট, মানসিক যন্ত্রণা আর হঠাৎ মৃত্যুভয়ে আজকের দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকুক
এটা সকলের জন্য প্রযোয্য ।
শুভেচ্ছা রইল
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: মন্তব্যে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই। আজকের দিনটা স্মরণীয় করে রাখার জন্যই লিখে রেখেছি। ভালো লেগেছে জেনে দৈনিন্দ স্মৃতি লেখায় উৎসাহিত হলাম। প্রেরণা হয়ে থাকবেন সবসময়।
শুভেচ্ছা জানবেন। শুভকামনা সবসময়।
আল্লাহ্ আপনাকে হেফাজত করুক সবসময়।
৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
১০০ টাকা দিয়ে আপনাকে বাইরে পাঠালো, আপনার তিন বেলা খাবারের পয়সা কেন দেয়নি লোকটি? অফিসের বাইরে কাজে গেলে সব খরচ দিতে হয়; অনেকের কমনসেন্স নেই।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভাই, আপনার কথায় সবসময় সঠিকত্ব থাকে, এবারও পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আসলে এমন একটা চাকরি আমার, সে যদি একশ টাকা না'ও দিতো, তবুও যেতেই হতো আমাকে। টাকাটা দেয়াতে তার মধ্যে সৌজন্যতা কাজ করেছে। সেজন্য আমি তার কাছেও কৃতজ্ঞ। আমার পকেট থেকে প্রায় আড়াইশ টাকা খরচ হয়েছে সারাদিন। এরকমই হয়ে থাকে বাহিরে কোথাও গেলে। বড় বিপদ থেকে ফিরেছি সেটাই শুকরিয়া।
আবারো কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি।
শুভকামনা রইল। আল্লাহ্ আপনাকে হেফাজত করুক সবসময়।
৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৯
সুমন কর বলেছেন: অভিজ্ঞতা বা অনুভূতির প্রকাশ ভালো লেগেছে। +।
তবে ৩ নং মন্তব্যটা কিন্তু যথার্থ।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার কাছে আমার লেখাটা ভালো লেগেছে জেনে। উৎসাহিত হলাম স্মরণীয় স্মৃতি লেখায়। প্লাসটা প্রেরণা হয়ে থাকবে দাদা। ৩নং মন্তব্যে আমার কৃতজ্ঞতা আছে।
শুভকামনা জানবেন। আপনার মঙ্গল হোক সবসময়।
৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২৬
শূন্যনীড় বলেছেন: ভালো লাগলো স্মৃতিচারণ। শুকরিয়া
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: স্মৃতি ধরে রাখায় উৎসাহিত হলাম ভাই।
হ্যা ভাই অনেক শুকরিয়া মহান আল্লাহ্'র কাছে।
শুভকামনা জানবেন। আল্লাহ্ আপনাকেও হেফাজত করুক সবসময়।
৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪১
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আজকের লেখাটা ভালো হয়েছে!
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হঠাৎ আজকের দিনটা অনুভাবী লেখাটা ভালো লেগেছে জেনে অনেক প্রেরণা ভাই স্মৃতিচারণায়। অনুপ্রাণিত হলাম ভাই মন্তব্য পেয়ে।
শুভকামনা জানবেন সবসময়। আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল করুক সবসময়।
৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:২৯
ধ্রুবক আলো বলেছেন: প্রথমত লেখাটা বেশ গোছানো সাজানো ভালো লাগলো +
যাই হোক, অফিসের কাজ সেরে এই বিপদ কাটিয়ে এসেছেন আল্লাহর লাখ কোটি শুকরিয়া আদায় করুন । সব সময় শুকরিয়া আদায় করুন, আল্লাহকে স্মরণ করুন।
বিপদ আসবেই এটা এক ধরণের পরীক্ষা।
শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৩১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই, বিপদ আসবেই, আল্লাহ্'ই রক্ষাকর্তা। মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা আপনার জন্যও সবসময়।
৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩০
ধ্রুবক আলো বলেছেন: আর গাজী ভাইয়ের মন্তব্যের সাথে একমত
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৩৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই, গাজী ভাই উচিৎ কথা বলেছেন।
লেখাটা ভালো লাগায় উৎসাহিত হয়েছি।
শুভকামনা জানবেন। ভালোবাসা সবসময়
৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩০
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সত্যিই জীবনের কোন বাকে এসে যখন মানুষ রিয়িলিটিটা অনুধাবন করে তখন সেই যে সত্যটুকু প্রকাশ করে তা সবচেয়ে নির্মল হয়। দেখেন কি সুন্দর এক পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। অনেক সুন্দর ছবি ও দারুণ বর্ননা।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৩৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক সুন্দর বাস্তবজ্ঞান নিয়ে বলে গেছেন ভাই প্রথম লাইনে। কৃতজ্ঞতা মন্তব্যে।
পোষ্টির প্রশংসা আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করবে এরকম বাস্তব নিজের স্মরণীয় দিন গুলো লেখার জন্য। প্রেরণা হয়ে থাকবেন ভাই।
মন্তব্যে অনেক শ্রদ্ধা রাখছি। ভালোবাসা জানবেন।
শুভকামনা রইল ভাই।
১০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ভালো হোক, আর মন্দ হোক কিছু কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে হয় । খুব সুন্দর করে লিখেছেন ।
শুভ কামনা রইল প্রিয় কবি।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক সাহস পেলাম ভাই মন্তব্য পেয়ে। প্রেরণা হয়ে থাকবেন সবসময়।
প্রিয় কবির কবি সত্ত্বায় শ্রদ্ধা রাখছি। শুভকামনা জানবেন ভাই।
১১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০০
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয় ভাই। মন্তব্য পেয়ে প্রেরণা পেলাম।
শুভকামনা জানবেন। ভালোবাসা সবসময়।
১২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল থাকতে আমরা আল্লাহকে কম স্মরন করি। সুস্থ থাকা কালিনও আমরা যেন আল্লাহকে বেশি বেশ স্মরন করতে পারি সে কামনাই করি।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রইল মন্তব্যে। ঠিক আমার কথাটাই বলে গেছেন মন্তব্যে।
শুভকামনা জানবেন ভাই।
১৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮
মাহিরাহি বলেছেন: আপনি ভাগ্যবান।
দরদ দিয়ে আল্লাহকে ডাকার সৌভাগ্য হয়েছে আপনার।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সত্যিই ভাই, গতকাল একদম মন থেকে আল্লাহ্'কে ডেকেছি। মহান আল্লাহ্'র নিকট শুকরিয়া।
মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো ভাই।
শুভকামনা জানবেন।
১৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি বিপদসঙ্কুল পরিস্থিতির কথা সুন্দর করে সচিত্র লিখে রেখে গেলেন, পাঠকরাও পড়ে আনন্দিত হলো আপনার বিপদ থেকে রক্ষা পাবার কথা জেনে। বিপদে পড়লে মানুষ একাগ্রচিত্তে আল্লাহ'র সাহায্য প্রার্থনা করে। আল্লাহতা'লাও তাঁর নিজ উদারতায় তার বান্দার ডাকে সাড়া দিয়ে থাকেন।
পোস্টে ভাল লাগা + +
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: শ্রদ্ধা রইল প্রিয় কবি'র প্রতি। আগমনে ধন্য।
অনেক সময় নিয়ে সুন্দর করে মন্তব্য রেখে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা রইল। লেখাটা ভালো লেখেছি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত ও উৎসাহিত হলাম। আল্লাহ্'র সাথে আপনার মন্তব্যেও শুকরিয়া রাখি। প্রেরণা হয়ে থাকবেন। প্লাসগুলো আমাকে অনুপ্রাণিত করবে সামনের দিনে।
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন সবসময়।
১৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: নৌকায় ঝড় বৃষ্টির গল্পটা পরে। অামার অনেকবার নৌকা চড়ার কথা মনে পরে গেলো। একবার এমন বৃষ্টি ঝড়ের কবলে পরেছিলাম।
নৌকা উল্টে যায় নাই এবং শেষে সূর্যাস্তের সুন্দর ছবিটা বাড়তি পাওেনা। ভালো লাগল অভিজ্ঞতা।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রইল মন্তব্যে।
ভালো লাগাটুকু আমার প্রেরণা হয়ে থাকবে আপু। আপনিও এমন পরিস্থিতি থেকে একবার ভালোভাবে ফিরেছেন জেনে ভালো লাগলো।
শুভেচ্ছা রইল। শুভকামনা সবসময়।
১৬| ০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৫০
মানবী বলেছেন: অসাধারন! বর্ণনা এতোটাই জীবন্ত যে ঝড়ের সময় উত্তাল ঢেউ নৌকার যাত্রীদের মতো আমার মাঝেও আতংকের সৃষ্টি করেছিলো!
ছোট্ট সন্তান সহ মায়ের অসহায়ত্বটা খুব পীড়াদায়ক মনে হয়েছে!
আল্লাহর রহমতে সবাই নিরাপদে ফিরেছেন জেনে ভালো লাগলো।
"বোয়ালি ঘাটে", "লেপসিয়া" স্থানগুলোর নাম কখনও শোনা হয়নি তাই কোথাও জানা নেই। নতুন স্থানের নাম জেনে ভালো লাগলো। "ইটনা" আরেকটি স্থানের নাম না অন্য কিছু বুঝতে পারছিনা!
বর্ণনার গুনে জীবন্ত হয়ে উঠা পোস্টের জন্য ধন্যবাদ নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন
০৫ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:৫১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা আপু, সেদিন মুহূর্তে মৃত্যুভয় চেঁপে ছিল। আল্লাহ্'র অশেষ রহমতে সবাই নিরাপদ ফিরেছিলাম।
বোয়ালী একটা খেঁয়াঘাটের নাম, আর লেপসিয়া বাজার। দুটুই নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ পার হয়ে খালিয়াজুরী উপজেলাদীন।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন মন্তব্যে।
শুভকামনা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩৪
ওমেরা বলেছেন: জী বিপদে পড়লে আল্লাহর নাম মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে ।যাক আল্লাহ আপনাকে হেফাজত করেছেন এটাই শুকরিয়া !