নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সু-স্বাগতম। আপনার আগমনে ধন্য আমি। মানুষ আমি, আমাকে মানুষই ভাববেন, আমি তাই হতে চাই njnoyon.com
অনেকদিন পর- না, অনেক বছর পর আজ সকালে বক্সে মোবাইল চার্জার খুঁজতে গিয়ে পুরনো কয়েকটি ডায়েরী চোখে পড়ে। পরনো বলতে ১৮ থেকে ১৯ বছর আগের। আমার ডায়েরী লেখার সখ বা অভ্যাস কোনটাই কোনদিন ছিল বলে মনে নেই। তবে মন চাইলে অনেক কথাই লিখতাম। সেটা পড়া লেখার খাতাতেই চলে যেতো। মনে আছে, ১৯৯৭ইং সালে এসএসসি পাশ করে কলেজে ভর্তি হওয়ার পর একটা ডায়েরী কিনেছিলাম। তাও কলেজে সবার দেখাদেখি বললেই চলে। এখন আর সেই ডায়েরীটা খুঁজে পাই না। তবে, এইচ এস সি পাশ করার পর ১৯৯৯ইং আমার বড় ভাই আব্দুল লতিফ নূর আমাকে খুশি হয়ে একটা ডায়েরী উপহার দিয়েছিল। সেই ডায়েরীটা উপহার পাওয়ার পরে বিভিন্ন খাতায় লিখা অনেক কথাই তুলে রেখেছিলাম। তাছাড়া দৈনিন্দন কোন ঘটনা তেমন সেখানে লেখা নেই বললেই চলে। যা কয়েকটা দৈনিক বর্ণনা তা সংখ্যায় খুব কম। সেই ডায়েরীটা আজ সকালে বক্সের রাখা ডায়েরী গুলোর নিচ থেকে বেরকরে কিছুক্ষণ পড়লাম। অনেক লেখা কেমন যেন অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বুঝতে সমস্যা না হলেও হয়তো কোনদিন নাও বুঝা যেতে পারে। তাই ভাবলাম লেখাগুলো শেয়ার করবো অনলাইনে।
একটা বিষয় আমাকে অবাক করেছে আজ, তা হলো পরোটা ডায়েরী পাতা উল্টিয়ে মোটামুটিরকম পড়ে কোথাও কোন সুখের অস্তিত্ব পাইলাম না। যেখানে যা লেখা তা কেবল বিষাদিত সব কথা। সেই সময় বা তার অনেক আগে থেকেই গান আমার খুব প্রিয় একটা বিষয় ছিল। নিজের একটা টেপরেকর্ডার ছিল। ক্যাসেট কতগুলো ছিল হিসেব রাখিনি। তো গান শুনতাম খুব বেশি। শুনতে শুনতে অনেক গান মুখস্থ হয়ে যেতো। সেই গান গুলোর অনেক গান আমার ডায়েরীতে জায়গা পেয়েছিল। তবে সেই গান গুলোও বিরহবেদনা ভরা। গানের নিচে একদু লাইন মন্তব্য লেখা সবগুলোর মধ্যে। নিজেরও অনেক লেখা আছে দেখলাম। বেশিরভাগ লেখাই গানের মতো করে নয়তো কবিতার মতো করে। কিছু গদ্যের মতোও লেখা আছে। কিন্তু সবই আমার তখনকার বিরহ বেদনাময় বিষাদিত কথা। ডায়েরীর কোথাও সুখের অস্তিত্ব চোখে পড়লো না। এটা সত্যিই আমাকে অবাক করেছে আজ। কত মানসিক কষ্টের সময় পার করেছি আমি। কতটা যন্ত্রণা ছিল আমার মনে তা ডায়রী দেখে কিছুটা পরিমাপ করা সম্ভব মাত্র। কারণ, অনেক কথাই লিখে রাখিনি সেখানে। কেন লিখতে পারিনি বা লেখিনি সে বিষয়টা আমার মনে পড়ে গেছে ডায়েরী দেখেই।
১৯৯৪ই সালের শেষের দিকে সম্ভবত মিনতির সাথে আমার প্রেম শুরু। শুরু বলতে তার সাথে কথা বা চিঠিপত্র আদান প্রদান শুরু হয়েছিল। আমার এসএসসি পাশ করার পর থেকে মিনতি আর আমার মধ্যে বিরহের শুরু। ঠিকমতো দেখা হতো না, কথা হতো না। যখন না সে কোন খবর পাঠিয়ে ডেকে নিয়ে যেতো। যদিও সংবাদ ছাড়া দেখাও হতো দুজনার তা খুবই কাকতালীয়। তখন মোবাইল ছিল না। দুজনার গ্রাম ছিল দুটা। আমার গ্রাম থেকে একগ্রাম পর ছিল তার গ্রাম। তাই খুঁজ খবর নিতে মাধ্যমই বেশি লাগতো। অনেক সময় মাধ্যমও পাওয়া যেতো না। তখন খুব সমস্যা হতো দুজনার। মাঝেমধ্যে আমিও যেতাম তাদের বাড়ির দিকে ঘুরতে। তা তো আর প্রতিদিন যাওয়া হতো না। মাঝেমধ্যে যাওয়া হতো তার গ্রামের দিকে। বেশিরভাগ দিনই তার সাথে দেখা হতো না। অনেকদিন তার ঘরের পাশে দাঁড়িয়ে তার মুখের দুটো কথা শুনে আসতাম হাসি মুখে। যেদিন তার সেই অদেখা কণ্ঠও ভাগ্যে জুটতো না, সেদিন থেকে প্রতিক্ষণ কেমন চলতো আমার তা বোঝাবো কেমনে। যাক, এভাবেই চলতে হতো আমাদের ১৯৯৭ইং সালের প্রথম থেকে ২০০০ই সালের তৃতীয় মাস পর্যন্ত।
যে বিষয়ে লিখতে বসেছি এখানে তাই বলি। তার আমার প্রেম নিয়ে একটা লেখা আছে আমার। 'বড় ভুল করেছিলাম তোমায় ভালোবেসে' গল্প আকারে লেখা সেখানে তার আমার বিস্তারিত থাকবে। এখানে পুরনো ডায়েরী গুলির লেখাই প্রকাশ করার ইচ্ছে নিয়ে আমার এ লেখা। কিভাবে শুরু করবো সেটাই ভেবে পাচ্ছি না....।
যাক, শুরু তো করতেই হবে, লিখবো যখন ভেবেছি। পুরনো একটা মোটা খাতা পেয়েছি। সম্ভবত লেখার জন্যই কিনেছিলাম। কিন্তু সেখানে বেশি লেখা নেই। মাত্র কয়েকটি লেখাই সেখানে। সেটা থেকেই শুরু করি। এই পোষ্টে সমস্ত লেখাই ১৯৯৫ইং থেকে ২০০৩ইং পর্যন্ত থাকবে আমার বিভিন্ন ডায়েরী বা খাতা থেকে সংগৃহীত।
কবিতার মতো করে লেখা, কোন তারিখ উল্লেখ নেই। এটা সম্ভবত ২০০০ অথবা ০২ সালের মধ্যে লেখা হবে।
তুমি ছাড়া
পাষাণ পৃথিবী আমায় কি দিলে
ভাবো একবার, বিরহ ছাড়া।
ঝলমলে মনটা পুড়িয়ে গেলে,
হৃদয়টাকে করে গেলে কয়লা।
সুখ কি লিখে'নাই প্রভু এই ভাগ্যে
দিয়ে গেলে কেবল বিরহ যন্ত্রণা।
আকাশের তারা গুনে কেটে যায় রাত আমার,
ভালোবাসার বিনিময় কষ্ট পেলাম এমনি বরাত।
ভাগ্যের ফে'রে পড়ে আমার এই জীবন,
চলে যাবে হায় শুধু কি একা!
ঘুমহীন চোখে স্বপ্ন গুলো আমাকে কাঁদায়,
সুন্দর পৃথিবী মেঘলা হলো সুখেরি নেশায়।
সুখ তো এখনো অনেক দূর বহুদূরে,
পাবো কিনা কভু আর তাও অজানা।
মিনতিকে হারানোর পর আমার দিনগুলো কতটা হতাশা ঘেরা ছিল তা আজ ডায়েরী পড়তে গিয়ে বুঝতে পারি। সুখের নেশায় ভালোবেসে ছিলাম মিনতিকে। তখন, একটা ভালোবাসার মানুষ পাওয়াই কাম্য ছিল। পেয়েও ছিলাম মিনতিকে। তাকে পেয়ে ভেবেছিলাম আমার জীবনটা তাকে নিয়েই সুখী করে তুলবো। নতুন জীবনের উম্মাদনাকে লুকিয়ে শুধু স্বপ্ন দেখতাম কবে পাবো তাকে আপন করে। কিন্তু সে স্বপ্ন আমার স্বপ্নই থেকে গেছে, তাকে আর পাওয়া হয়নি আপন করে। তাকে হারানোর ব্যথা কতটা পুড়িয়েছে তা বোঝানো সম্ভব হবে না। সবাই বলবে বোকারাম, একটা মেয়েকে হারিয়ে কেন এত আহাজারী, কেন এত নিঃস্বতা? আসলে যাকে সাপে দংশে'নি কখনো সে কি করে বুঝবে বিষের যন্ত্রণা! আরেকটা পাতায় লিখেছিলাম-
সুখ কোথায়...।
জীবনের ধারাবাহিতায় যাচ্ছে সময় চলে,
কেবল এই সুন্দর ভুবনে আমার কষ্টগুলো
এখনো রয়ে গেছে হৃদয় জুড়ে।
নয়ন যদি আবার আসতে পারতো পৃথিবীতে,
তাহলে তার জীবনে আর দুঃখকষ্ট থাকতো না।
নয়ন যদি সামান্য সুখের আশায়
বিশ্বাসের মালা গাঁথে, আর যদি সেই মালার
পাপড়ি গুলো ঝড়ে ঝড়ে পড়ে যায়,
তাহলে অবশিষ্ট আর কি রইল পাওয়ার...!
আসলে নয়নের জন্মটাই বৃথা যাবে হয়'তো...
এই জীবনে সুখের দেখা পাবো কি কখনো...!
এই পৃথিবীতে কি একটিও মানুষ নেই....
আমাকে দিতে পারে সামান্য শান্তনা,
দিতে পারে সামান্য সুখের ঠিকানা।
হবে কি কোনদিন কাঙ্ক্ষিত সেই সুখের দেখা...!
হে আল্লাহ্! আমি ভালোবাসতে চেয়েছিলাম,
তোমার সৃষ্টির এক অনন্য সুন্দরী নারীকে।
তার ভালোবাসার রঙেই রাঙাতে চেয়েছি
আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত, পারিনি...।
মনে হয় আর সুখ পাওয়া হবে না আমার জীবনে...!
সুখী আমি হতে পারবোনা কোনদিন...।
ভালোবাসা যদি হয় প্রতারিত, মিথ্যে...
প্রেম যদি হয় শুধু কলঙ্কের উৎস
তবে আর সুখ থাকে কোথায়....!
লেখাটা সম্ভবত ২০০১ইং সাল অথবা '০২ইং সালের মধ্যেই লিখেছিলাম। আমি লেখা বিশ্লেষণ করার মতো জ্ঞান কখনওই অর্জন করতে পারিনি। তাই বোঝাতে পারবো না তখনকার এই লেখা গুলোতে কি প্রকাশ করেছিলাম। তবে এইটুকু বোঝতে পারছি, তাকে হারানো ছিল একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। তাই হয় তো বেশিই কষ্ট পেতাম সবসময়। কয়েক বছর কতটা বিষণ্ণতা আমাকে পুড়েছিল তা এখন বোঝানো আমার পক্ষে সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।
সেই সময় গুলোর আরেকটা পাতায় লেখা-
যে নয়ন ছিল এক রোখা, জেদি, সাহসী, গম্ভীর...আবার হাস্যময় চঞ্চল কিশোর - কেউ জানেনা সেই নয়ন আজ কিরকম জীবন পার করছে.... কি ভাবে একা মনে সারাক্ষণ। কেনই'বা তার মনের আকাশ জুড়ে লেগেই থাকে কালো মেঘ... কিসের এতো কষ্ট তার... কিসের কষ্টে তার চোখদুটো সবসময় বেদনায় ভরে থাকে......
তখনকার সময়টা কেমন কাটিয়েছি তার কিছুটা বুঝা যায় আমার প্রাণের বন্ধু মিন্টুকে লেখা একটা অসমাপ্ত চিঠি দেখে। চিঠিটা সম্ভবত ২০০১ইং সালেই হবে। যখন আমি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলাম, আর বাড়ি যেতে পারছিলাম না। তখন মোবাইল ছিল না, তাই চিঠি লিখেই খুঁজ খবর বা নিজের পরিস্থিতি জানাতে হতো। নিচে বন্ধু মিন্টুকে লেখা সেই অসমাপ্ত চিঠি দিয়ে আজকের মতো বিদায় নিবো। দেখা হবে নতুন আরেক পোষ্টে 'পুরনো ডায়েরী থেকে' নেয়া কথা নিয়ে....
মিন্টু-
আমার শুভেচ্ছা নিস। আশা করি ভালোই আছিস। আমি দোআ করি তোরা সুখী হ। আল-আমিন কেমন আছে। তোর কাছে চিঠি দিয়েছিলাম। জানিনা তোরা আমার চিঠি পাস কিনা। নাকি পেয়ে আমার প্রতি ঘৃণায় অভিমান জড়িয়ে থাকিস।
মিন্টু- কি লিখবো তোদের কাছে। তোদের একটু সংবাদ পাইলে নিজেকে সুখী লাগে। মনে হয় আমার দেহে এখনো প্রাণ আছে। মিন্টু- তোদেরকে নেশা করতে মানা করেছিলাম। আমিও বাদ দিয়েছি। আমার মনের ভিতর তুষের আগুনে পুড়ে ছাই হওয়া অন্তর, মাঝে মাঝে সূর্যের খড়াতাপে তপ্ত হয়ে দেহের ভিতর আঘাত করে। তখন নিজেকে মনে হয় অনেক রোগা। মনে হয় আমিই পৃথিবীর অবহেলিত মানুষ, যে কিনা সারাটা জীবন প্রতারিত হলো আর লাঞ্চনা পেলো প্রিয়জনদের কাছ থেকে। মিন্টু- নিজেকে প্রকৃতির অবস্থান থেকে আলাদা করে নিজের মনের কাছে ফেরারি হয়ে বেঁচে ছিলাম - তাই হয়তো ভালো ছিল । আসলে এই পৃথিবী আমাকে চায় না। আমি বোকার মতো পৃথিবীর বুঝা হয়ে বেঁচে আছি।
মিন্টু- আমার চাওয়ায় আল্লায়ে ভুল ডুকিয়ে দেয়। - এই জগতে মনের মূল্য পেলাম না.......
আজকের মতো এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে 'পুরনো ডায়েরী থেকে- নয়ন' দ্বিতীয় পর্বে।
সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: প্রথমটা হলেও পড়েছেন জেনে অনেক প্রেরণা পেলাম ভাই। প্রশংসাটুকু আমার পুরনো ডায়েরীতে লেখাগুলো প্রকাশ করায় অনুপ্রাণিত করবে। অনেক উৎসাহ পেলাম ভাই।
শুভকামনা জানবেন। ভালোবাসা নিরন্তর।
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫৫
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ডায়েরী এখন আর লেখা হয় না ....... সেদিন গুলোকে এখনো মিস করি । এখন ফেসবুক এসে পোলাপান........ !
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই ঠিক বলেছেন, যখন থেকে নেট ব্যবহার করতে শিখছি সেদিন থেকে ডায়েরীতে লেখার আর সময় হয় না। আর এখন তো সবকিছু ফেসবুক ব্ললস্পটেই চলে যাচ্ছে।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই। প্রেরণা হয়ে থাকবেন আমার ডায়েরী প্রকাশে।
শুভকামনা জানবেন ভাই।
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫৭
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনার ডায়েরি তো অনেক ভালো, আমার গুলো তো মাথা নষ্টের মন্ত্র।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হা হা হা গুরু আর শিষ্যের তফাৎ তো থাকবেই গুরু। এই লেখা গুলো আমার তেরো থেকে বিশ বছরের মধ্যে লেখা। আজ পড়ে ভাবলাম লিখেই ছিলাম যখন আর লজ্জা পেয়ে লাভ কি, প্রকাশ করে দেই। সেজন্য শুরুকরে দিলাম ডায়েরীর পাতায় লিখা কথাগুলো জড়ো করতে।
মন্তব্যে আসায় কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা রইল
৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৬
ওমেরা বলেছেন: লাল কষ্ট ,নীল কষ্ট হরেক রকম কষ্ট সবই আমার ভাইয়ার আছে , লাগবে নাকি কারো , নিলে একটু নিতে পারেন ।
আসলেই কষ্টের সময়ের স্মতি যখন ভাবি মনে কত কষ্টকর সময় পার করেছি এটাও মনে হয় এই কষ্টা এখন আসলে হয়ত সহ্যই করতে পারতাম না । সত্য কথা সময় চলে যায় সুখে হোক বা কষ্টে হোক ।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক সুন্দর মন্তব্য রেখে গেছেন আপু। কৃতজ্ঞতা জানাই।
হ্যা আপু, আপনার কথাই ঠিক, আসলেই অনেক রকমের কষ্টের সময় পার করতে হয়েছে আমাকে। যার অনেককিছু অরক্ষিত, হারিয়ে গেছে। যেগুলো আছে সেগুলো একসাথে রাখার চেষ্টা করছি এই সিরিজে।
মন্তব্য পেয়ে অনুপ্রাণিত হলাম আপু, সাহসও পাইলাম লেখায়।
শুভকামনা জানবেন।
৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১০
শূন্যনীড় বলেছেন: সুখী হবেন আপনি। প্রথম কবিতা পর্যন্ত পড়েছি। ভালো লাগলো +++++
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আল্লা্হ আপনাকে কবুল করুক ভাই। সুখের বড়ই অভাব গেছে আমার। বিশেষ করে মনের দিক থেকে কখনো সুখের তৃপ্তি আসেনি। বড় বিষণ্ণতা ভরা ছিল আমার সময় গুলো।
মন্তব্য পেয়ে অনেক অনুপ্রাণিত হলাম।
শুভকামনা জানবেন ভাই।
৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২২
শূন্যনীড় বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন। কবিতা গুলোও সুন্দর হয়েছে। শেষের চিঠিটা যেন দুঃসহ যন্ত্রণাময় সময়ের প্রকাশ
ভালো লাগা রইল ভাই, চালিয়ে যান। পাশেই থাকবো।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: পাশে থাকবেন জেনে অনেক সাহস পেলাম ভাই। পড়েছেন জেনে ধন্য হলো লেখাটি।
শুভকামনা আপনার জন্যও সবসময়।
ভালোবাসা নিরন্তর।
৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৫
শূন্যনীড় বলেছেন: আল্লাহ্ আপনাকে সুখী করুক, আমিন
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক ভালোবাসা পাইলাম ভাই। কৃতজ্ঞতা জানবেন মন্তব্যে।
আল্লহ্ আপনাকে ভালো রাখুক সবসময়।
শুভকামনা রইল।
৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪১
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: সফলতা কামনা করি।
(আমি কিন্তু তখন বাংলা জানতাম না। শব্দকোষ থেকে প্রতিশব্দ ব্যবহার করতাম। আমি এখনও বাংলা জানি না। শিখতেই আছি। আপনাদের লেখা পড়ে মনে মনে বলি, ওরা এত সুন্দর কেমনে লিখে?)
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনার জন্যও সফলতা ও কল্যাণ কামনা সবসময়।
সত্যি কিন্তু গুরু.... আপনি যদি বলেন বাংলা পারেন না, তাহলে সেটা হাসির ভাববে মানুষ। কারণ, বাংলা না জানা লেখক কিভাবে মহা উপন্যাস লেখতে পারেন। হা হা হা, আসলে কিন্তু বাংলা সম্পর্কে আমিও সব জানিনা। জন্মের পর থেকে শুনছি আর পড়তে পড়তে যেটুকু হয়েছে তাই। কিন্তু বাংলা অনেক কঠিন মনে হয়।
কৃতজ্ঞতা রইল গুরু। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা সবসময়।
৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি দু:খকে লালন করছেন!
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আসলে অনেকটা সেরকমই হয়েছে। যতবার সুখের কথা ভেবেছি, স্বপ্ন দেখেছি, ততবার আমি হেরে গিয়ে পুরনো দুঃখকষ্ট অনুভব করেছি। ভেবেছি আমার দ্বারা কিচ্ছু হবে না। বিষণ্ণতায় ডুবে থেকেছি সবসময়।
এই পনেরো বছরে আমি অনেকটাই বদলে গেছি। দোআ করবেন।
মন্তব্য পেয়ে আনন্দিত হয়েছি।
১০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫৬
নাগরিক কবি বলেছেন: পুরনো ডায়েরী প্রকাশ নয়, সযত্নে রাখতে হয়
কবিতা দুটো ভাল ছিল।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ব্লগের চেয়ে যত্ন আর কোথাও হবে বলে মনে হয় না ভাই। ডায়েরীর পাতা ঝাঁপসা হয়ে যাচ্ছে। হারিয়েও গেছে অনেক। ৯৯ এর আগের দুটো ডায়েরীর খুঁজ পাই না। সেজন্য ভাবলাম ব্লগে থাকুক জড়ো হয়ে সব।
কবিতা ভালো লাগায় অনেক প্রেরণা পেলাম ভাই। মন্তব্যে আসায় উৎসাহিত হলাম।
শুভকামনা জানবেন সবসময়।
১১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৬
সুমন কর বলেছেন: ডায়েরীর কোথাও সুখের অস্তিত্ব চোখে পড়লো না। -- আসলেই তো !!
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা দাদা, খুব কঠিন সময় পার করেছি তখন। আজ দেখে নিজেই অবাক হয়ে গেলাম। আমার সব সুখ তখন এক জায়গাতেই আটকে ছিল। তাই এমনটা হয়েছে।
ধন্যবাদ পেয়ে সাহসী পেলাম ডায়েরীর লেখাগুলো শেয়ার করতে।
মন্তব্যে আসায় কৃতজ্ঞতা জানবেন। শুভকামনা রইল।
১২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২১
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বয়সের কারনে প্রথমদিককার ডায়রীগুলিতে সাধারনতঃ নীল কষ্টটাই বেশী থাকে।। আবেগ বলে কথা।। ভালই তো লাগলো।। চলুক সিরিজটি।।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক অনেক প্রেরণা পেলাম মন্তব্যে পেয়ে। ভালো লাগাটুকু আমাকে অনুপ্রাণিত করবে ভাই।
আমারও ইচ্ছা ডায়েরী গুলোর লেখা সব ব্লগে জড়ো করবো। দোআ করবেন।
শুভকামনা জানবেন ভাই।
১৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩০
ধ্রুবক আলো বলেছেন: নিজের কথা ডায়েরি তে লিখে রাখা ভালো একটা কাজ। আমার ধারণা মতে।
আপনি দুঃখ টাকে পুষে রেখেছেন। পুরোনো স্মৃতী খুব কষ্টের,
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৫৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই ঠিকই বলেছেন, আমি দুঃখগুলো পুষে রেখেছি।
আসলে সেই সময়গুলোতে আমার সব ভালো লাগা, সুখ বলতে এক জায়গাই ছিল। দুঃখও ছিল সেই একই জায়গার। সুখের কথাগুলো হয়তো লেখা হয়নি, কিন্তু, দুঃখ গুলো খুব কষ্ট দিত, তাই হয়তো মাঝেমধ্যে খাতায় বলে শান্তি পেতাম। যাক ভাই, সেই সময় কেটে গেছে।
মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগছে। শুভকামনা জানবেন।
১৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:১৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: নয়ন ভাই আপনি বলেছেন,ডায়েরী পড়ে কোথাও কোন সুখের অস্তিত্ব পাইলাম না। যেখানে যা লেখা তা কেবল বিষাদিত সব কথা। আমি ও এক সময় ডায়েরী লিখতাম। মানুষ মনে হয় নিজের দুঃখটাকে কোথাও ঢেলে দিতে চাই আর সেই উত্তম জায়গাটা হল ডায়েরীর পাতা। তাই হয়তো ডায়েরীতে সুখের কথা কম পাওয়া যায়।
কষ্টকে বুকে পুষে জানি কোন লাভ নেই তবু আমার কষ্টকে বুকে পুষতে পছন্দ করি।
ভাল থাকুন নয়ন ভাই।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই, আপনার কথাগুলোই মনে হলো আমার পুরনো ডায়েরী পড়ে। সুখের কথা লেখতে তেমন আগ্রহ না থাকলেও, কষ্টের সময় মনের কথাগুলো কারো সাথে বলতে না পারলেও খাতার পাতায় খুব সহজেই বলতে পারি। তাই হয়তো ডায়েরীতে সুখের কথা কমই থাকে।
কিছু কষ্ট পোষতে না চাইলেও তা থেকেই যায় হৃদয়ের আঙ্গিনায়।
আপনার জন্যও শুভকামনা সবসময় ভাই।
১৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭
সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: এত বিরহ কেন ভাইয়া????
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বিরহের তো অনেক কারণই থাকে ভাইয়া। আমার কারণটা পোষ্টে বলেছি অনেক কিছুই।
এই বিরহ ছিল একসময়, এখন অন্যরকম।
মন্তব্যে আসায় ভালো লাগলো ভাই।
শুভকামনা জানবেন।
১৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭
ধ্রুবক আলো বলেছেন: হে হারায় সেই হারানোর কষ্ট বুঝে!
কবিতা দুটো বেশ ভালো লাগলো।
শেষের চিঠিটা বেশ আবেগী, নেশা ছাড়তে পেরেছেন সেটা অনেক বড় ব্যাপার। শুভ কামনা
(মিন্টু- আমার চাওয়ায় আল্লায়ে ভুল ডুকিয়ে দেয়। এইখানে কথাটা বুঝলাম না!)
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: কবিতা দুটো ভালো লাগা জেনে লেখাটা সার্থকতা পেল ভাই। প্রেরণা হয়ে থাকবেন।
মিন্টু আমার ছোটকালের বন্ধু। ও আমার মুখ দেখেই বলে দিতে পারতো আমার মনের খবর। সে আমার সবকিছু বুঝতো। সে আমাকে সবসময় শান্তনা দিত। আমি চাকরিতে রাজি ছিলাম না, কারণ, এই চাকরিটা একজনের নিষেধ ছিল। পরে সেটাই করি। তাকে এটাই বুঝাতে চেয়েছিলাম, যেমনটি চাইলাম তেমন পেলাম না কখনো।
শুভকামনা জানবেন ভাই। ভালোবাসা সবসময়
১৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬
তারেক ফাহিম বলেছেন: খুব সন্দুর কবিতার চরনগুলো পাঠে মুগ্ধ হলাম, ++
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: পাঠে মুগ্ধতা জেনে অনেক প্রেরণা পেলাম ভাই। প্রশংসাটুকু আমাকে অনুপ্রাণিত করবে সামনের দিনে।
অনেক মুগ্ধতা রইল মন্তব্যে।
শুভকামনা জানবেন ভাই।
১৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮
নীলপরি বলেছেন: অনবদ্য লেখনী । শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক উৎসাহ প্রেরণা পেলাম প্রিয় আপুর মন্তব্য পেয়ে। প্রশংসাটুকু আমাকে অনুপ্রাণিত করবে পুরনো ডায়েরীর পাতা থেকে লেখাগুলো শেয়ার করার জন্য।
শুভকামনা রইল আপু।
১৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আত্না এমন একটি বস্তু যাকে হত্যা করা যায়না। সে চিরঞ্জীবী এই অবিনস্বর আত্নাকে শুধুই কয়লার মতো জ্বালানো যা, যদি আপনি কয়লায় আগুন দেন তাহলে জ্বলবে না দিলে জ্বলবে না। অামারা মানুষ কষ্ট নিজে লোফে নেই সুখ পা দিয়ে লাথি মারি এ যেন আমারদের সভাবত ধর্ম। আজ যে খানে দাঁড়েয়ে সেখানে অঢেল সুখ যদি একটু চিন্তা করি, কিন্তু তা কি করা হয় ! শুধুই যে হারালাম তোমায় তুমি জগতের হেন তেন। আচ্ছা দোস্ত যাকে মূল্যায়িত করা হয় সে মূল্যবান?
যদি তাই হবে তাকে আবার ঘৃণা হয় কেন! দরুণ অাজ এই বেলায় আমি আপনার সাথে অনেক সুখ শব্দ দিয়ে প্রীরিতির দুই-চারটা রসের আলাপ দিলাম ঠিক এই আমিই যখন কাল সকালে ঘুম থেখে ওঠার পর পরই একটা কর্কষ গালি দিয়ে বলি আয় তোর বুকের পাটা দেখবো তখন আমি হয়তো বলবেন ভাল বাসার কথা বলবেন না জবাবে আমাকে ১০ টি গালি দিবেন। যদি তাই হবে এই কি জীবনের দর্শণ নয়। যা আপনি দেখেছেন তা সীমাহীন নয় অসীস সে যার দয়ায় আজো সুখে অাছেন।
একদিন এক লোকের দাঁদে অনেক পেইন হলো এমন পেইন সে কোন দিন ফিল করেনি। আচ্ছা এই লোকটি যদি সারা জীবন এই পেইন ফিল করতো তা হলে সে পেইন কি বুঝতে পারতো না। পেইন একটি পরিচিত কিছু তাই না। আমার মতে হৃদয় জ্বলে এমন খাবারের সাথে ভুলে বেশি মরিচ খেলে যেমন বুক জ্বলে তেমন।
তবে এতো দিন আগের পুরানো ব্যাথা না আবার নির্ঘোম করে অাপনাকে, না আরো কষ্ট দেয়। খেয়াল রাখবেন শরির-আত্না এই সব আপনার। তার সাথে জরিত যে আত্না গুলো তারা আপনার সুখ রচনাতে ব্যাস্ত তাদের আবেশে নিজের সুখ সন্ধ্যান করুণ।
০১ লা মে, ২০১৭ রাত ১২:০৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভাই, অনেক সময় ব্যয় করে অনেক মূল্যবান কথা বলেছেন। আপনার এতগুলো কথা বলার মধ্যে অনেক আন্তরিকতা বুঝেছি আমি। এই আন্তরিকতা আমার কাছে পাহাড় সমান ভালোবাসা পাওয়া। আমার জন্য আপনার মনে চিন্তার উদয় হয়েছে বলেই এতগুলো কথা বলতে পেরেছেন। কিভাবে এই ভালোবাসা শুকরিয়া জানবো ... শ্রদ্ধা জানবেন ভাই।
ভাই, এই কথাটা বিশ্বাস কইরেন, আমি আমার পনেরো বছর আগের আবেগই প্রকাশ করি। এখনকার মন অনেক শক্ত আমার। সেই পুরনো চিন্তায় মেতে ওঠার কোন চান্স নাই, ইচ্ছাও নাই আমার। পুরনো ডায়েরীতে লেখাগুলো প্রকাশ করাই প্রধান লক্ষ্য এখানে। সুখেই আছি, নিজেকে এখন সুখী মানুষ ভাবি। কারণ, সুখে উপলক্ষ্য আমার আছে। লেখাগুলো থাকুক না স্মৃতি হয়ে। আমার প্রথম জীবনের আট বছর থাকুক না একটা সাক্ষ্য হয়ে। আমার এই হারানো আট বছর সবারই জানা, যারা পরিচিত। তাই, সাহসটা হয়েছিল লেখাগুলো প্রকাশ করার।
ভাই, কি করে বোঝাবো যে, আমি নিজেকে সুখী মনে করি বলেই দুঃখের কথাগুলো প্রকাশ করতে পারছি। নয়তো যুগের পর যুগ পড়েই থাকতো বদ্ধ বক্সে কথাগুলো। একা একা ভাবতা শুধু। এখন প্রকাশ করে হাল্কা করছি জমে থাকা দুঃখকে।
শুভকামনা জানবেন ভাই। আমাকে সুখী ভাববেন, কারণ, আমি সুখীই।
২০| ০১ লা মে, ২০১৭ রাত ১:০৫
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমি সুখের ফেরী করতে চাই। আমি চাই দুনিয়ার সবাই সুখী থাকুক। সুখ এমন একটি জিনিষ ফিনিক্স পাখীর মতো একবার ছুটতে পারলে আর মিলে না। আপনার সাথে সখ্যতা বলেই হয়তো একটু বেশি শুভাকাঙ্খী। মাইন খায়েন না বন্ধু। জীবনে এমন কতো কারো অধ্যায় আমার উপর দিয়ে গেছে তা বলতে আমারো আকাশ নীলে ঢেকে যায়। কষ্ট যে কেমন নীলকন্ঠক তা আমি জানি। তাই আপনাকে বলি। আমার ও এমন এক গত হওয়া দিন গেছে যেখানে এমন একটি অধ্যায় রচিত হয়েছিল। যা আমার ভবিষৎ নষ্ট করে(আজকের আমিতে) নিম্মজিত করেছে। এই আমি যানি আঁধার কতো নির্মম!
০১ লা মে, ২০১৭ সকাল ১০:৫৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভাই, বন্ধু বলে ডাকেন আবার বলেন মাইন্ড না করতে, কষ্ট লাগে। আপনার কথায় মাইন্ড রাগ কেন হবে আমার!!! তেমন প্রশ্ন আমার মনে এখন পর্যন্ত কারো মন্তব্যে হয়নি। সবার আন্তরিক মন্তব্য আমাকে সবসময় সাহসী করেছে কষ্টের সময়গুলো প্রকাশ করতে। অপনার পরামর্শ আমার আশীর্বাদ মনে করি ভাই। দোআ করবেন যেন নির্দ্বিধায় বলে যেতে পারি সব কষ্টভরা সময়গুলো।
অবশ্যই শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানবেন সবসময়।
শুভকামনা আপনার জন্য।
২১| ০১ লা মে, ২০১৭ রাত ১:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুখ কোথায়...।
জীবনের ধারাবাহিতায় যাচ্ছে সময় চলে,
কেবল এই সুন্দর ভুবনে আমার কষ্টগুলো
এখনো রয়ে গেছে হৃদয় জুড়ে।
ডাইরী ঘেটে লিখাটি সুন্দর হয়েছে
ভাল লাগল পাঠে ।
০১ লা মে, ২০১৭ সকাল ১১:০৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক অনেক প্রেরণা আর সাহস পেলাম ভাই মন্তব্য পেয়ে। আমার পুরনো ডায়েরীর লেখাগুলো সব প্রকাশ করার ভাবনা থেকেই এই পোষ্টের শুরু করেছি। এখানে কবিতা গান কথা সবই ৯৫ থেকে ২০০২ পর্যন্ত লেখা। সে সময়টা আমার জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন মনে করি এখন। কারণ, খুব কষ্ট আর বিষণ্ণতা ভরা সেই সময় গুলো। ভেবেছি লেখছিই যখন তাহলে সেই সময়গুলোও তুলে রাখি।
দোআ করবেন। আপনার মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করবে সবসময়।
শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানবেন। বিদ্যুৎ না থাকায় প্রতিউত্তর দেরি হয়ে গেল, সেজন্য দুঃখিত ভাই।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
২২| ০৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমিও একসময় ডায়েরী লিখতাম। এখন আর সময় হয়না।
০৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই, এখন আর ডায়েরী আমিও লেখিনা। ফেসবুক, ব্লগ, ব্লগস্পট এগুলোতেই চলে যাচ্ছে।
এই ডায়েরীটা ৯৯ থেকে ০৩ পর্যন্ত লিখা। আবার তারও আগে অংক খাতায় লেখা কিছু তুলে রাখা ছিল এখানে।
অনেক শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতা জানবেন মন্তব্যে।
শুভকামনা সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫০
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
প্রথম কবিতা পড়েছি ....... খুব সুন্দর +++