নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অন্তর ভাঙা এক যুবক! সহজেই বুঝে যাই কান্নার সুরে-দুঃখটা কত গভীর,অনুভবে শিহরিত হই বাস্তব কত কঠিন, কতটা নির্মম হতে পারে মানুষ! shapnaneer.com \'স্বপ্ননীড়\'।।

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন

সু-স্বাগতম। আপনার আগমনে ধন্য আমি। মানুষ আমি, আমাকে মানুষই ভাববেন, আমি তাই হতে চাই njnoyon.com

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্রাতৃত্ব-বোধ বিবেকবোধ মমত্ববোধ হারিয়ে মনুষ্যত্বহীন সমাজ!

২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:০২



ভ্রাতৃত্ব-বোধ বিবেকবোধ মমত্ববোধ-হারিয়ে যাচ্ছে সমাজ থেকে নিত্য-সমাজপতিদের নোংরা প্রভুত্বের লড়াইয়ে!-মনুষ্যত্বহীন হয়ে একভাই আরেক ভাইকে-করে দিচ্ছে দা'য়ের কোপে ক্ষতবিক্ষত!

সমাজপতিদের প্রভুত্বের লড়াইয়ে বলি হচ্ছে পরিবার সমাজ দেশ। মানুষের মন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ভ্রাতৃত্ব-বোধ। বিবেকবান লোকের অভাব প্রতিটি সমাজে বেড়েই চলেছে। এখন আর মানুষের মনে মানুষকে দেখে মমতার জন্ম হয় না। আজকের প্রতিটি সমাজে সামাজিকতা বলতে সমাজপতির শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মনুষ্যত্বহীন অপচেষ্টা। পরশ্রীকাতরতা প্রতিটি মানুষের বৈশিষ্ট্যে যোগ হয়ে যাচ্ছে দিনদিন ব্যাপকভাবে। মানুষসুলভ চিন্তাজগত হারিয়ে যাচ্ছে মানুষের মন থেকে। মানুষের মধ্য থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মানুষ। এখন মানুষের মনে পশুত্ব করছে স্থায়ী বসবাস! তাই বুঝি আজকের এমন ঘটনাদি ঘটেই চলেছে....

সুমনের দিনটি আজ ভালোই শুরু হয়েছিল। সুমন শিক্ষিত মানুষ। প্রত্যন্ত হাওড় অঞ্চলে সুমনের বাড়ি। গ্রামের চারিদিক ভাসা পানি। একগ্রাম থেকে অন্য গ্রাম যাতায়াত ব্যবস্থা নৌকা ডিঙি। আয় রোজগার বলতে হয়তো হাওড়ে রোদবৃষ্টি ঝড়ো প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে মাছ আহরণ, নয় তো নৌকা চালিয়ে যাত্রী পারাপার। সুমন লেখাপড়া কিছু করেছিল। চাকরিবাকরি কোনটা তার কপালে না জুটলেও সুমন নিরাশ নন কখনওই। বাপের অঢেল সম্পত্তি চার ভাই ভাগ করে নিয়েছে বাবা মারা যাবার পর। বেচাকেনা করে যেটুকু আছে তা থেকে ধান চাষবাস করে সংসারচলা হয়ে যায় তার। সে রোজ নৌকা চালায়। বউ প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকতা করেন। ছেলে মেয়ে নিয়ে ভালোই চলছে তার সংসার।

দূরের খ্যাপ নিয়ে গিয়েছিল গতরাতে। সকাল সকাল বাড়িতে পৌঁছেন সুমন। বাড়িতে পৌঁছে ছোটমেয়ের কাছে ভাত চান। মেয়ে বলে আব্বু তুমি হাত মুখ ধুয়ে আসো, আমি খাবার রেড়ি করছি। সুমন হাত ধুয়ে এসে ভাত খেয়ে কিছুক্ষণ পর টয়লেটে যাওয়া জন্য বদনা হাতে টয়লেটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। টয়লেটের কাছাকাছি যেতেই পিছন থেকে মাথায় দা'য়ের বারি মারে তারই বড়ভাই সমির। সুমন মাথা ধরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সমির তাতেও ক্ষান্ত নন, দা দিয়ে কোপ দেয় ডান পায়ে। হাটুর নিচের মাংস কেটে আলাদা হয়ে যায়, রক্তে ভিজে উঠে মাটি। তাতেও সমিরের রাগ কমে না, বুকের উপর দা-এর গোড়ালি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। সুমন মাটিতে জ্ঞানহারা হয়ে পড়ে আঘাত হজম করছে। মেয়ের চিল্লাচিল্লি শুনে আসেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে যায়। সমির হাতের দা নিয়ে ধীরেধীরে আড়ালে চলে যায়। কোথায় গেছে কেউ জানেনা। মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করছে সুমন। আশেপাশের লোকজন ধরাধরি করি একটা নৌকার ব্যবস্থা করে আহত সুমনকে থানা উপজেলা হাসপাতালে পাঠায়। ডাক্তারবাবুরা আশঙ্কাজনক দেখে সেখান থেকে দ্রুত ময়মনসিংহ নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সুমন এখন ময়মনসিংহ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

সারা গ্রাম ছিছিছি করে ঘৃণা ছড়াচ্ছে বড়ভাই সমিরে প্রতি। খবর গেছে থানায়। থানার বড়বাবু একজন দারোগা দুইজন সিপাই পাঠিয়ে দিয়েছে ঘটনার তদন্ত করার জন্য। দুপুর-প্রায়, ভীষণ রোদ্দুর, গরমে দিশেহারা জনমন। ছাউনিহীন নৌকাযোগে দারোগা বাবু আসলেন সুমনের বাড়িতে। বাড়িতে কেউ নেই, নীরব। দারোগা বাবু ডেকেও কাউকে বের করতে পারছেন না। সুমনের মেয়েটা দাঁড়ানো ছিল উঠনে, পুলিশ দেখে দাদির কাছে ছুটে গেল। সুমনের মা তার নাতিকে বলছে বলে দে বাড়িতে কেউ নেই। দারোগা শুনে রেগে সুমনের মা'কে দোষী করে বলছেন, কেমন মা আপনি নিজের ছেলেদের শাসন করতে পারেননা? বারবার ঘটনার জন্য মা'য়ের দায়িত্বহীনতা বলে যাচ্ছেন দেখে আমি একটু বিরক্ত হয়েই প্রতিবাদ করলাম। বললাম, আপনি শুধুশুধু বৃদ্ধা মহিলাকে দোষারোপ করছেন। বর্তমানে কয়জন ছেলেমেয়ে বাবা-মা'য়ের কথামতো চলে! বাবা'র চোখ রাঙানোই ভয় করেনা আর স্বামী হারা বৃদ্ধা মায়ের কথা কিভাবে শুনবে! আমার কথায় দারোগা বাবু একটু বিরক্ত বোধ করলেও তখনকার মতো মা'কে দোষারোপ বন্ধ করলেন।

ঘটনার সাক্ষী কেউ পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক বুঝিয়েও দারোগা বাবু কোন লোককে রাজি করাতে পারলেন না সাক্ষী হতে। পরে দু'একজন মুরুব্বী আসলেন। তারাও কিছু জানেননা বলছেন। তারমধ্য একজন লোক ঘটনার বৃত্তান্ত বর্ণনামতে বলে গেলেন। তারপর সুমনের মা ও মেয়ের কাছে শুনে আরও লোকজন বললো, আজ ঘটনাটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটে গেছে। সুমনের আজ কোন দোষ নেই। সুমনের মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণী পড়ে। তার বিবরণ (উপরে উল্লেখিত)-থেকে বুঝি-
সকালে ঘুম থেকে ওঠে বাশি হাড়িপাতিল ধুইতে যান টিউবয়েলে। সেখানে কিছুক্ষণ পর সমিরে মেয়েও যায় এবং সুমনের মেয়ের আগেই ধুইতে চায়। তাতেই দুইজনের ঝগড়া বাঁধে। কথা কাটাকাটি শেষে সব ঠিকঠাকই ছিল। সুমনের স্ত্রী স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে রান্না শেষে। সুমন বাড়ি আসার পর ভাত খেয়ে টয়লেটে যাওয়ার সময় সমির অতর্কিত হামলা করে এবং দা দিয়ে কোপায় সুমনকে। সুমনের মা কিছু না বলার কারণ জানতে চাইলে কেঁদে কেঁদে বললেন সেরকমই। তিনি বললেন, বাবা! ছেলেদের বাবা গত হওয়ার পর আমার খবর নেয়ারই কেউ নাই। আমার কথার কোন দাম নাই ছেলেদের কাছে। দুই ছেলে শহরেই থাকে। দুই ছেলে বাড়িতে। বাড়ির পাশে মেয়েটির বিয়ে হয়েছে বলেই মেয়েটা আমাকে দেখভাল করছে। দুবেলা দুমুঠো ভাত খেয়ে বেঁচে আছি।
দারোগা বাবু কিছুদিন আগেও একবার এই বাড়িতে এসেছিলেন দুই ভাইয়ের কলহের জের ধরে। দারোগা বাবু দুঃখ প্রকাশ করে সাক্ষীদের কাছে যা জানার পরে চলে গেলেন।

সেবার সেই কলহ সামাজিক দরবার করে মিমাংসা হলেও দ্বন্দ্ব শেষ হয়নি দু ভাইয়ের। দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিলই মনে মনে। একভাই আরেক ভাইয়ের প্রতি হিংসা জিইয়ে রেখেছিল। তার জের ধরেই আজকের এই মর্মান্তিক ঘটনা। যে লোক প্রথম দেখেছিল তার কথায় বুঝা যায় সে না চিল্লানি দিলে আজ হয়তো ভাইয়ের হাতে ভাইয়ের মৃত্যই হতো। যদিও এখনও জখম আশঙ্কাজনক।

ঘটনার রেষারেষি যা বুঝলাম তা হলো গত চেয়ারম্যান নির্বাচন ঘিরে সূত্রপাত। বড়ভাই সমির এক প্রার্থীর সমর্থক অার ছোটভাই সুমন আরেক প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন। তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের শুরু সেখান থেকেই। সুমনের প্রার্থী চেয়ারম্যান জয়ী হওয়ায় বড়ভাই সমিরের প্রতিহিংসা বেড়ে যায়। সুমনের বউ চাকরি করেন, সুমনও বসে নেই, তাই সংসার ভালো চলে। বড়ভাই দেখে দেখে হিংসায় পুড়ে। সেই হিংসা ক্ষোভ থেকেই এর আগেও তুচ্ছ ঘটনার কেন্দ্র করে তাদের দুই ভাইয়ের ঝগড়া বাঁধে। কিন্তু সমাজের দুই প্রভাবশালীত্ব টিকিয়ে রাখতে তাদের দ্বন্দ্বের শেষ করতে কেউই হয়তো আগ্রহী দেখাননি। যদি সামাজিক ভাবে চাপ সৃষ্টি করতেন তাহলে হয়তো আজকের এই বিবেকহীনতা দেখতে হতোই না আমাদের।

মানুষের প্রতিহিংসা আর পরশ্রীকাতরতা কাজে লাগিয়ে সমাজপতিরা সমাজে শ্রেষ্ঠত্বের খেলায় মেতে রয়েছেন এভাবেই। কোন কোন পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তাদের নোংরা প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে। মানুষ সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন সমাজপতিদের এমন প্রভাববিস্তার দেখে দেখে।

বাবা-মা বৃদ্ধ হলে পরিবার থেকে সম্মান হারিয়ে(যদিও অনেক পরিবারে সম্মানিত হয়েই আছেন অনেক বাবা-মা।) অসহায় হয়ে পড়ছেন। ছেলে ছেলে-বউয়ের দয়ায় বোকা বনে পড়ে থাকেন। মনের কষ্ট আর আফসোস নিয়ে সমাজের দিকে আশার চোখে চেয়ে থাকেন। সমাজ নিরুত্তর, নির্বাক। সমাজের যেন কিছুই করার নেই আর....!!

(ঘটনার বিবরণ আজকের। আমি কাল্পনিক নাম ব্যবহার করেছি। আমার কাছে ঘটনাটি খুবই খারাপ লাগায় লিখে রাখলাম মাত্র।)

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:১০

নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: আসলেই দুঃখজনক। রক্তের সম্পর্কগুলোর মধ্যে যদি এমন হয় তবে বাকীদের কথা আর কি বলবো?

২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:০৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সেরকমই ভাই! দুপুর থেকে অনেকবার ভেবে শেষে নামঠিকানা গোপন রেখে বলেই ফেললাম মনের কষ্টগুলো! মনুষ্যত্বের কি অবনতি!!!

২| ২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:২৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কি বলব বুঝতে পারছি না!!

২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:১০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সমাজের কিছু প্রভাবশালী দুষ্টু লোক গুলোই সামাজিক মনুষ্যত্বহীনতার কারণ ভাই!! আমিও ঘটনাটি শুনার পর নির্বাক ছিলাম। ভেবেছি অনেককিছু। ইচ্ছে থাকলেও বলতে পারিনি মনের অসন্তোষ পুরোপুরিভাবে।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

৩| ২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
কিছু বলার ভাষা নেই !

২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:১৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সমাজে প্রতিহিংসা বেড়ে যাচ্ছে দিনদিন ব্যাপকভাবে। কিছু প্রভাবশালী এই সব দ্বন্দ্ব জিইয়ে রাখে নিজেদের সার্থে!! এর জন্যই সমাজে দায়িত্ববোধ সম্পন্ন লোকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে!

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

৪| ২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


অশিক্ষা ও অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা মানুষকে অমানুষ করে ফেলেছে; জাফর ইকবাল ও হুমায়ন আহমেদের সম্পর্ক কখনো এ রকম হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো না।

২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:২৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রাখছি।

আমি শুধু অশিক্ষা আর আর্থিক অসচ্ছলতাকে দায়ী করতে পুরোপুরিভাবে রাজি নই। আজকের ঘটনাটি শিক্ষিত ও সচ্ছল পরিবারের! তাছাড়া সমাজে একশ্রেণীর অসভ্য লোকের প্রভুত্ব টিকিয়ে রাখতে অনেক পরিবার বাড়ি বাড়ি দ্বন্দ্ব বাঁধিয়ে রাখে। সঙ্গে মানুষের পরশ্রীকাতরতা ভাব তো আছেই।

৫| ২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ইবলিসের পাঁচটি ছেলে রয়েছে। এদের মাঝে একজনের নাম হচ্ছে দাসিম। এই শয়তানের কাজ হচ্ছে দু'টি মানুষের সম্পর্কের মাঝে ঢুকে গিয়ে তার বারোটা বাজিয়ে দেওয়া।

আপনার উল্লেখিত বিষয়ে দাসিমের প্রভাব চোখে পড়ার মত।

২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: দারিদ্র্যের আঘাত যতোই কঠিন হোক ভাই হয়ে আপন ভাইয়ের হত্যাচেষ্টার মতো জঘন্য প্ররোচিত করতে পারেনা ভাই, যদিনা সমাজপতিদের কুচক্র প্ররোচিত না করে। সমাজে প্রভাববিস্তার নিয়ে সমাজপতিদের নগ্ন খেলা সমাজ থেকে দায়িত্ববোধ সম্পন্ন লোকের সংকট দেখাদিচ্ছে দিনদিন। সামাজিক চাপ বলতে কথাটা প্রভাবশালীত্বে আটকা পড়ে আছে। (নিজস্ব মতামত ভাই)

সুন্দর মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ভাই।
শুভকামনা জানবেন।

৬| ২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৪২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এই জামানায় এখন এমনই হবে, যা খুবই দুঃখ জনক, হতাশা জনক। রক্তের সম্পর্কের যে টান তা দিন দিন কমে আসছে!

২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই, খুব দুঃখজনক আজকের ঘটনাটা!! মানুষ সামান্য ব্যাপারে নিজের ভাইকে এভাবে আহত করতে পারে তা আমি ভাবতেও পারিনি!! তার বৃদ্ধা মায়ের কান্না দেখে আরও হতাশ হয়েছি। মা, ভয়ে কোন পক্ষেই বলতে রাজি নয়! ভালোটা বা সত্যটাও না!

ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে।
মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

৭| ২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: হিন্দি সিরিয়াল গুলা এর জন্য ভালো দায়ী।

২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৫১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হিন্দি সিরিয়াল গুলো পারিবারিক কলহ বৃদ্ধি করছে এর মধ্যে আমার কোন দ্বিমত নাই।
তবে আজকের এই ঘটনা যেখানে ঘটেছে সেখানে ডিস চ্যানেল নাই। তবুও এমনটা কেন সেটা ভাবনার বিষয় থেকেই যায়।

সুন্দর মন্তব্য রেখে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা রাখছি ভাই।
শুভকামনা জানবেন সবসময়।

৮| ২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৫২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কি আর বলব কবি। বলার ভাষা হারিয়ে ফেলছি।

২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন, কিছুকিছু ঘটনা আমাদের নির্বাক করে দিয়ে যায়! কোথায় যাচ্ছে দিনদিন মানুষের মন!! তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপনা ভাইয়ের প্রতি এমন অমানবিক হওয়াটা কিসের লক্ষণ সেটাই ভাবনার!!!

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় কবি চৌধুরী ভাই।
শুভকামনা জানবেন সবসময়।

৯| ২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশ থেকে মানবতা উঠেই গেছে।

২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:১১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: তাই মনে ভাই!!! খুব কষ্টের ঘটনাটা আজকে দেখলাম। এমনটা আশা ছিল না কখনওই।
আমাদের সমাজ, মানুষের মন কোথায় যাচ্ছে দিনদিন!!!

মন্তব্য আসায় অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রাখছি শ্রদ্ধার সাথে।
শুভকামনা জানবেন সবসময়।

১০| ২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১:১৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দুঃখজনক। লোভ, লালসা, প্রতিযোগীতা মানুষকে অন্ধ করে দি্চ্ছে...

২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৩০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো মন্তব্য, সুন্দর বলেছেন। কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

শুভকামনা আপনার জন্য।

১১| ২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১:২০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: খুব স্বাভাবিক ভাবেই সমাজের প্রতিফলন দেখা যায় পারিবারিক জীবনেও।।

২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৩২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ধীরেধীরে সমাজ ধ্বংসের দিকেই এগুচ্ছে!! মনুষ্যত্বহীন হয়ে পড়ছে মানুষ!!

সুন্দর মন্তব্য রেখে গেছেন ভাই। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা রইল আপনার প্রতি।

১২| ২৪ শে মে, ২০১৭ সকাল ৮:১৫

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: বলার কিছুই নেই ।
মানুষ আস্তে আস্তে মনুষত্ব হারিয়ে পশুত্ব গ্রহন করছে।

২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:১৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: একমত ভাই আপনার সাথে। সেটাই চিন্তার!

কৃতজ্ঞতা জানবেন মন্তব্যে।
শুভকামনা আপনার জন্য।

১৩| ২৪ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:০২

সামিয়া বলেছেন: দুঃখজনক

২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:১৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব দুঃখজনক আপু! খুব বিস্মিত হয়েছিলাম আমি! কেন মানুষ এমন হবে !

কৃতজ্ঞতা জানবেন মন্তব্যে।
শুভকামনা জানবেন সবসময়।

১৪| ২৪ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এখন মানুষে মানুষে সম্পর্ক গুলি কেমন ভাসা ভাসা।
মানুষ নিজ স্বার্থে অন্ধ হয়ে যায়।

২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:১১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই! স্বার্থান্ধ হয়ে যাচ্ছি দিনদিন!! নয়তো এমন ঘটনা কেন ঘটবে!!

কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।
শুভকামনা সবসময়।

১৫| ২৪ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩৭

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:
দঃখ জনক।
দেশে সামাজিক অবক্ষয় দিন দিন বেড়েই চলেছে।

২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:০৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সমাজ শেষ হয়ে যাচ্ছে দিনদিন!! মানুষের মনে পশুর বসবাস!!

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রইল ভাই।
শুভকামনা জানবেন।

১৬| ২৪ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫

নীলপরি বলেছেন: দুঃখজনক ঘটনা । তবে এগুলো ঘটছে ।

লেখার জন্য ধন্যবাদ ।

২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:০৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুবই দুঃখজনক ঘটনা আপু।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা আপনার জন্য।

১৭| ২৫ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৫৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই মর্মান্তিক বিষয় ,
সমাজ সচেতনতামুলক লিখাটির জন্য রইল
আন্তরিক অভিনন্দন ।

২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:২৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সবসময় আপনার কাছ থেকে আত্মবিশ্বাস পাই, আজও অনেক প্রেরণা রেখে গেছেন। কৃতজ্ঞতা জানাই শ্রদ্ধা ভরে।

আমাদের সমাজ এমন হীন মনুষ্যত্বহীন ঘটনাকে ঘৃণা করুক, ভালোবাসায় ভরে উঠুক মানুষের মন।

শুভকামনা জানবেন ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.