নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সু-স্বাগতম। আপনার আগমনে ধন্য আমি। মানুষ আমি, আমাকে মানুষই ভাববেন, আমি তাই হতে চাই njnoyon.com
বাজান, গত দুপুরবেলা অল্প কিছু ভাত খেয়েছিলাম দক্ষিণ পাড়ার সোলায়মানদের ঘরে। রাতে বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার কুড়ে ঘরের মেজে পানি, চুলা পানির নিচে। রাতে আর পাক করে খাওয়া হয়নি। বাড়ি ফেরার সময় পথে পাওয়া একটা পানির বোতলে কলিমদের টিউবয়েল থেকে পানি নিয়ে গিয়েছিলাম। তাই পেটপুরে খেয়ে রাত কাটিয়েছি। কতবাড়ি পার হয়ে এলাম, কারো কাছে দু মুঠো ভাত চাইতে সাহস করিনি। এখন বড্ড অসহ্য লাগছে, তাই এখানে বসতে চেয়ে পড়ে যাই, উঠতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শুয়েছিলাম এখানেই। চলে যাচ্ছি বাবা। এই বলে সত্তর ঊর্ধ্ব শীর্ণকায় শরীরের বৃদ্ধটি পাশে থাকা লাঠিতে ভর দিয়ে দাঁড়াতে চেষ্টা করতেই আবারো পড়ে যায়। জীবন হাত বাড়িয়ে চেষ্টা করেও বৃদ্ধ ভিক্ষুকটিকে পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারলো না। পড়ে যাওয়া বৃদ্ধের হাত আর পাজর ধরে কোনরকম তুলে বসায় তার চেয়ারে।
আপনে বসেন বাবা, আমি দেখি আপনাকে কিছু খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারি কিনা। ক্ষুধার্ত ছলিমউদ্দিনের মুখে সামান্য হাসি অনুভূত হল জীবনের কথা শুনে। জীবন বাড়ির ভিতর গিয়ে তার বউকে বলে কোনরকম একথাল ভাত আর তাদের খেয়েদেয়ে বেশি হওয়া তরকারি নিয়ে বাহিরে এল। জীবনের পিছুপিছু তার মেজো ছেলে একটা বস্তা নিয়ে দাঁড়ায়। জীবন ছেলের কাজে খুশি হয়ে ছেলেকে চুমা দিয়ে বস্তাটি মাটিতে পেতে ভিক্ষুক চাচাকে ধরে সেখানে বসিয়ে বলে, চাচা, আমারা কিছুক্ষণ আগেই খেয়েদেয়ে যা ছিল তাই আপনার জন্য এনেছি। আপনি একটু কষ্ট করে খান চাচা। বৃদ্ধার মুখে হাসি ফোটে উঠে। হ্যা বাবা, খাবো, মন ভরে খাবো, আল্লাহ্ তোমার ভালো করুক। বৃদ্ধ ছলিমউদ্দিন ভাত খাচ্ছে। জীবন আর তার ছেলে পাশে বসে দেখছে। কি ক্ষুধার্ত! মুহুর্তেই একথাল ভাত খেয়ে ফেললো! চাচা, আপনার ছেলে মেয়ে নাই? জীবনের প্রশ্নে ছলিমউদ্দিনের চোখে হতাশার ছাপ, দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে, বাবারে, ছেলেমেয়ে ছিল, এখন নেই!
তারা কোথায় চাচা?
তারা এখন বড় হইছে, শহরে থাকে। একটামাত্র ছেলে আমার। খুব কষ্টকরে ছেলেকে লেখাপড়া করিয়েছিলাম। মানুষের বাড়িতে কাজ করে, ভিক্ষে করে ছেলেকে উচ্চশিক্ষিত করার চেষ্টা করেছিলাম। ছেলে, খুউব শিক্ষিত হয়েছে। বড় চাকরি করে, শহরে থাকে, গাড়িতে চড়ে। কিন্তু বাবা...! কথাটুকু বলে বৃদ্ধের কেমন যেন উদাসী অবস্থা। চোখে মুখে হতাশার ছাপ, অতৃপ্ত মনের ক্ষোভ দুঃখ যেন চোখবেয়ে নামতে চাইছে। কোনরকম নিজের চোখ মুছে ছলিম উদ্দিন বলে, আর মেয়ে মাশাল্লাহ্ ভালো ঘরে বিয়ে হয়েছে। তার জামাই বিদেশে চাকরি করে। মেয়েকেও সাথে নিয়ে গেছে বিদেশে। তোমার চাচী মারা যাবার পর ওই হাওড়ে একজনের পতিত জমিতে কোনরকম একটা শুয়ে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে।
বৃদ্ধের কথা শুনে জীবন স্তব্ধ হয়ে গেল। ছেলে উচ্চশিক্ষিত, মেয়ে বড়বাড়িতে বিয়ে হয়েছে, সে আবার অন্যের বাড়িতে মাথাগোঁজার ঠাই পাইছে! জীবনের মাথায় কিছু ঢুকছে না। তাই আবারো প্রশ্ন করে, চাচা, ছেলের বাড়ি যেতে পারেননা?
গিয়েছিলাম বাবা! দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো।
তয়, আপনার এমন পরিস্থিতি কেন? একটু বিস্ময়ের সাথেই প্রশ্ন করে জীবন।
বাবারে, ভাবছিলাম ছেলের চাকরি হলে আমাদের বুড়াবুড়ির কপালে সুখ হইবো, কিন্তু হয় নাই বাবা! আমরা গ্রামের মুর্খ মানুষ, বয়স হয়ে গেছে। আমরা বাসায় থাকলে ছেলের বউয়ের সাথে ছেলের রোজই ঝগড়া বাঁধে। অনেক কটুকথা শুনেও ছিলাম। কিন্তু, যখন আমাদের বৃদ্ধাশ্রমে রাখার ব্যবস্থা করলো ছেলে, তখন আর থাকতে পারিনি। বৃদ্ধাশ্রম না গিয়ে ওই গাঁয়ে এসে দুইজনে পুরনো দিনের মতো জীবন কাটাতে থাকি। রোগে শোকে বুড়িটিও আমাকে ছেড়ে চলে গেল গতবছর। আমি আর এখন আগের মতো হাটতে পারিনা বাবা। কেমন যেন অসহ্য লাগে, খুব হাফিয়ে উঠি। সারাদিন মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে যা পাই, তা কোনরকম পাকিয়ে খেয়ে শুয়ে থাকি। এখন আর পাকও করতে পারিনা ঠিকমতো। তাই মাঝেমধ্যে না খেয়েই থাকতে হয়। কত মানুষ মরে যাচ্ছে, আমার মরণ আল্লাহ্ কেন দিচ্ছে না বুঝি না! কথাগুলো বলতে বলতে বৃদ্ধের চোখ জলে ভরে উঠেছে। চোখ মুছে জীবনের মাথায় হাত বুলিয়ে 'বেঁচে থাকো বাবা, আল্লাহ্ তোমার ভালা করবেন' বলে লাঠিতে ভর দিয়ে চলে যাচ্ছে বৃদ্ধ ছলিমউদ্দিন। বয়স্ক লোকের এমন করুণ কাহিনী শুনে কখন যে নিজের চোখেও জল গড়িয়ে পড়ছে তা টেরই পায়নি, জীবন নীরবে বৃদ্ধের চলে যাওয়া দেখছে, আর মনে মনে ভাবছে.... এইতো জীবন!!
(কল্পনিক, মনগড়া লেখা। ছবির কৃতজ্ঞতা গুগলি সার্চ।)
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধতা প্রেরণা দুইই পেলাম ভাই।
এরকম অনেক বাবা মা বৃদ্ধাশ্রমে বা একা একা জীবন পার করছেন কষ্টের সাথে যুদ্ধ করে। আমার কাছে বৃদ্ধাশ্রম একটা দুঃখজনক জায়গার নাম, কষ্টের সর্বোচ্চ স্থান।
লেখাটি ভালো লাগাতে উৎসাহ পেলাম।
শুভকামনা জানবেন ভাই
২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার অতি পরিচিত একটা প্যাটার্ণ; শিক্ষিতদের দায়িত্ব এসব সমস্যার সমাধান করা; আপনি হয়তো গল্পাকারে লিখেছেন; কিন্তু এটা দীর্ঘদিনের পরিচিত প্যাটার্ণ
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অথচ! শিক্ষিত ছেলেরাই বৃদ্ধ বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখে!!
শিক্ষা বাড়ছে দিনদিন, কিন্তু এটা স্বীকার করতেই হবে যে মানুষ যতো শিক্ষিত হচ্ছে তত বর্বরতা বাড়ছে!!
বৃদ্ধাশ্রম আমার কাছে খুব দুঃখ কষ্টের নাম।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানবেন সবসময়।
৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২১
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: বয়স্ক লোকের এমন করুণ কাহিনী শুনে কখন যে নিজের চোখেও জল গড়িয়ে পড়ছে তা টেরই পায়নি, জীবন নীরবে বৃদ্ধের চলে যাওয়া দেখছে, আর মনে মনে ভাবছে.... এইতো জীবন!!
ছোট বলে একটানে পড়ে ফেললাম। বাস্তবতার ছোঁয়া রয়েছে গল্পে।
ভাল লাগল। শুভেচ্ছা নিন।
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক আনন্দিত হয়েছি প্রিয় কবি আমার গল্পটি পড়েছেন জেনে। কৃতজ্ঞতা রইল সুন্দর মন্তব্যে।
বৃদ্ধাশ্রম নামটাকে আমার কাছে সবচেয়ে কষ্টের, দুঃখের জায়গা মনে হয়।
কিছু শিক্ষিত মানুষ বৃদ্ধাশ্রমকে সাপোর্ট করে!!
আমি ঘৃণা জানাতে চেয়েছি।
শুভেচ্ছা জানবেন প্রিয় কবি, শুভকামনা সবসময়।
৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫
আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক আনন্দিত ও উৎসাহিত হলাম প্রশংসিত হয়ে। প্রেরণা হয়ে থাকবেন।
শুভকামনা জানবেন ভাই।
৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লিখেছেন , সকলের মাঝে সচেতনতা আসুক ।
উপরের প্রচ্ছদের ছবিটা দেখে অনেক আগের একটি সত্য কাহিনী মনে পড়ে যায় ।
এটা সত্তর দশকের কথা , কিছুদিন বরিশাল শহড়ে খাকতে হয়েছিল ।
সেখানে গভীর রাতে প্রায় ২ টা থেকে রাত ৩টার দিকে এক বৃদ্ধ লোক হাতে একটি লাঠি নিয়ে চিল্লায়ে চিল্লায়ে বলত
" আল্লাহ চারটা ভাত দে , আল্লাহ কি না খাওয়ায়ে মারবে " লোকটি এ কথা কয়টি বলে খুব দ্রুত বেগে শহড়ের এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্তে চলে যেত । তার চিল্লানী শুনে কেও তাকে ভাত দিতে গেলে তার নাগাল পেতোনা । কেও যদি কোন ক্রমে তাকে ধরতে পারত তাহলেও তার কাছ হতে সেই বৃদ্ধ লোকটি খাবার নিতনা , বলত আমি কি তোর কাছে ভাত চেয়েছি , আল্লার কাছে চেয়েছি , তিনি ভাত দিলে তবেই তা নিব , যা এখন ঘরে যা , গিয়ে শান্তি মতে ঘুম দে ।
সেসময়কার বরিশাল বাসীর অনেকে্র কাছেই হয়ত এ বিষয়টা জানা থাকতে পারে যদিও বিষয়টি ৪০/৫০ বছর আগের ঘটনা ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: প্রিয় ভাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য পোষ্টের মান বাড়িয়ে গেল। কৃতজ্ঞ রইলাম ভাই।
মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে দিনদিন, কিন্তু বর্বরতায় ভরে উঠছে মন, বিবেকহীনতা বাড়ছে!
আমি বৃদ্ধাশ্রমকে ঘৃণা জানাতে চেয়েছি।
আপনার সুন্দর স্মরণীয় গল্পাংশ পড়ে ভালো লাগলো। কৃতজ্ঞতা।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানবেন, ভালোবাসা সবসময়।
৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮
ধুতরার ফুল বলেছেন: ্কবিতা এর পাশাপাশি গল্পও ভালো লেখেন। দুটোই চালিয়ে যান। সামুতে এখন কবিতা বেশি আসে। তাই সমস্যা বিশ্লেষণ, আলোচনা সমালোচনা মুলক পোস্ট কম দেখা যায়। এখন থেকে বেশি বেশি গঠন মুলক পোস্ট করবেন আশা করি।
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রাখছি ভাই আপনার পরামর্শ মূলক মন্তব্যে।
গল্পটি সামান্য একটা বিষয়ের প্রতি ঘৃণা জানিয়েছি, তা হল বৃদ্ধাশ্রম। যখন বৃদ্ধাশ্রমের কোন বৃদ্ধার ছবি দেখি মনে ভীষণ কষ্ট লাগে।
ভালো লাগা জেনে উৎসাহিত হলাম ভাই, দোআ করবেন।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানবেন সবসময়।
৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬
আহলান বলেছেন: সুন্দর ..
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রইল ভাই। প্রেরণা হয়ে থাকবেন।
প্রশংসা টুকু আশীর্বাদ হয়ে থাকুক।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানবেন ভাই।
৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০
সনেট কবি বলেছেন: খুব দরকারী গল্প। এমন যেন কারো না হয় সেই কামনা থাকল।
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: প্রিয় কবির কাছে প্রশংসিত হয়ে অনেক সাহসী ও আনন্দিত। শ্রদ্ধা ভালোবাসা জানবেন সবসময়।
মানুষ শিক্ষিত হোক, সাথে বাবা মা'র প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসাও যেন থাকে সে প্রত্যাশা।
শুভকামনা জানবেন প্রিয় কবি।
৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
"শিক্ষা বাড়ছে দিনদিন, কিন্তু এটা স্বীকার করতেই হবে যে মানুষ যতো শিক্ষিত হচ্ছে তত বর্বরতা বাড়ছে!! "
-স্রোতের মাঝে বালু ফেললে কাজ হয় না, পাথর ফেলতে হবে।
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আবারো এসে সুন্দর গুরুত্বপূর্ণ কথা বলায় কৃতজ্ঞতা রাখছি ভাই।
আমিও শিক্ষার পক্ষেই সেই ছোট থেকে, যখন নিজে স্কুল ফাঁকি দিতাম তখনও বাড়ির বা আশপাশের ছেলেমেয়েদের স্কুলে না যাওয়া নিয়ে শাসন করতাম ধমক দিয়ে। গতকাল শুনলাম ভার্সিটিতে শিক্ষক ছাত্র গণ্ডগোল! কি বুঝলেন ! কে বালুর বদলে স্রোতে পাথর বসাবেন !!
শিক্ষার সাথে মানুষের বিবেকবোধ বাড়ছে না!!
শুভকামনা জানবেন সবসময়।
১০| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০
তোমার জন্য মিনতি বলেছেন: সুন্দর গল্প, ভালো লিখেছেন
বৃদ্ধাশ্রমকে না বলাই উচিৎ।
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো প্রিয় ভাইকে মন্তব্যের ঘরে পেয়ে। ভাবছিলাম হয়তো রাগ করে ভুলেই গেছেন!!
অনেক প্রেরণা পেলাম ভাই।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানবেন সবসময়।
১১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। অসহায় পিতা মাতার দায়িত্ব সরকারের নেয়ার কথা। কিন্তু তারাও লুটপাটে ব্যস্ত থাকে। আর যেসব ছেলে মেয়ে এসব করে তাদের সামাজিক ভাবে বয়কট করা উচিত...
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রাখছি ভাই। খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে গেছেন।
সেইসব বিবেকহীন শিক্ষিত ছেলে মেয়েদের সামাজিকভাবে বয়কট করাই উচিৎ।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়।
১২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: থিম ভালো লেগেছে।
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক সাহসী ও উৎসাহিত প্রিয় লেখক ভাইয়ের প্রশংসা পেয়ে। প্রেরণা হয়ে থাকবেন ভাই।
কষ্টের পাহাড় বুকে নিয়ে বৃদ্ধ বাবা মা'রা বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন মনে হয় আমার কাছে।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানবেন সবসময়।
১৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০৬
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ভালো লেগেছে +
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগা জেনে আনন্দিত হলাম ভাই। প্রেরণা হয়ে থাকবেন।
দোআ করবেন ভাই।
এখানে অকৃতজ্ঞ ছেলের বিবেকহীনতা বোঝাতে চেয়েছি।
শুভকামনা জানবেন সবসময়।
১৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৮
নীলপরি বলেছেন: অত্যন্ত সংবেদনশীল লেখা । মন ছুঁয়ে গেলো ।
++++++
শুভকামনা ।
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: এখানেও অনেক প্রেরণা পেলাম আপু। এধরণের লেখাতেও আগ্রহ বেড়ে গেল।
প্লাসগুলো অনুপ্রাণিত করবে আমাকে।
শুভকামনা আপনার জন্যও সবসময়।
১৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০৬
শখের লেখায় ২৩৪৩ বলেছেন: +++++
৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক দেরি করে ফেলেছি ভাই আপনার প্রেরণা দেখতে। কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই মন্তব্যে। প্লাসগুলো আমাকে অনুপ্রাণিত করবে ভাই।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানবেন।
১৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৩৫
সুমন কর বলেছেন: গতকালই পড়েছিলাম। নেট ছিল না বলে মন্তব্য করতে পারিনি।
বাস্তবিক গল্প। বর্ণনা ভালো হয়েছে। +।
৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: প্রিয় কবির কাছে প্রশংসিত হয়ে ধন্য হলো সামান্য লেখাটি। অনেক অনুপ্রাণিত হবো ভাই।
ভালো লাগাটুকু আশীর্বাদ হয়ে থাকুক।
শুভকামনা জানবেন, ভালোবাসা সবসময়
১৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫১
ওমেরা বলেছেন: বাস্তবতাপূর্ন গল্প ভাল হয়েছে । ধন্যবাদ ভাইয়া ।
৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক আনন্দিত ও অনুপ্রাণিত করে গেছেন আপু। ধন্য হলো লেখাটি।
(হঠাৎ ব্যস্ততায় ব্লগে আসার সুযোগ পাইনি আপু তাই দেরি হয়ে গেল)
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানবেন সবসময়।
১৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩
বিজন রয় বলেছেন: বৃদ্ধাশ্রম!! আমি কল্পনাও করতে পারি না।
বাস্তবতার গল্পিকায় মর্মাহত হতে হল।
মানুষের জীবনটা অদ্ভূত!।
৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৩৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমিও কষ্টবোধ করেছি সেদিন বৃদ্ধাশ্রমের কথা ভাবতে গিয়ে। কতটা কষ্ট বুকে চেপে একজন বাবা একজন মা বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন। আমি সেই সব শিক্ষিত লোককে কুত্তার সাথেও তুলনা করতে ঘৃণাবোধ করি। তাই ভাবছিলাম একটু কষ্ট প্রকাশ করি। ভালো লাগা জেনে ধন্য হলো লেখাটি।
বড়ই অদ্ভুত দাদা! মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে কিন্তু বিবেকবোধ হারিয়ে যাচ্ছে দ্রুত!!
শুভকামনা জানবেন দাদা সবসময়।
১৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: বেশ পরিচিত এবং পুরোনো থিম কিন্তু বাস্তবে খুবই প্রভাব এর । যদি মনে হয় বিয়ে করলে বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাতে হবে তবে ছেলেকে আজীবন বিয়ে না করেই কাটিয়ে দেয়া ভাল । এই উপলব্দিটা ছেলের মধ্যে থাকা উচিত।
গল্প ভাল লেগেছে ।
৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ভাইয়ের উপস্থিতিতে অনেক অনন্দিত ও উৎসাহিত হলাম। কৃতজ্ঞতা রাখছি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যে।
"যদি মনে হয় বিয়ে করলে বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাতে হবে তবে ছেলেকে আজীবন বিয়ে না করেই কাটিয়ে দেয়া ভাল।" - অসাধারণ বলেছেন ভাই। আমিও আপনার সাথে একমত প্রকাশ করছি।
লেখা ভালো লাগাটুকু অাশীর্বাদ হয়ে থাকুক ভাই।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানবেন।
২০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: অসাধারন হয়েছে।
৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক আনন্দিত ও উৎসাহিত করে গেছেন খুরশীদ ভাই। কৃতজ্ঞতা রাখছি মন্তব্যে।
শুভকামনা জানবেন ভাই সবসময়।
২১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১৫
সোহানী বলেছেন: এখানে ছেলে-মেয়ে শব্দটা হবে না... হবে কুলাঙ্গার ছেলে-মেয়ে। কারেকশান করে নিবেন.... যদিও এটা আমাদের সমাজেরই প্রতিচ্ছবি তারপর ও ঘৃনা করি উভয় পক্ষকে কারন ছেলে-মেয়েতো কুলাঙ্গারই আর বাবা-মা ব্যার্থ। যে ছেলে-মেয়ে তার বাবা-মাকে ভালোবাসতে ব্যার্থ তার পিছনে অর্থ সময় নস্ট করা পুরোপুরি বোকামী। সে হিসেব করা সব বাবা-মায়েরই উচিত.... তারপর নিজের ভবিষ্যত অন্যের হাতে তুলে দেয়াও একটা বিশাল বোকামী..................
যাহোক ভালোলাগলো সামাজীক গল্প।
৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমারও রাগ আর ক্ষোভ হচ্ছিল সেই সব কুলাঙ্গার ছেলে মেয়েদের ইচ্ছে মতো গালি দিই। যারা বাবা হয়, তারা বোঝেন ছেলেমেয়ের কি জিনিশ। একজন বাবা-মা ছেলে-মেয়ের অমঙ্গল কামনা করে না কোন অবস্থাতেই। বাবা-মা'রা মরার আগ পর্যন্ত সন্তানদের শুধু দিয়েই যান, বিনিময়ে সন্তানদের সুখ কামনাই করেন তাঁরা।
অনেক সুন্দর মন্তব্য ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ রেখে গেছেন আপু। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
লেখাটি ভালো লাগা জেনে অনেক অনন্দিত ও উৎসাহিত হলাম আপু, প্রেরণা হয়ে থাকবেন।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানবেন।
২২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ওয়াও আমার কবি ভাইটি গল্পও লিখছে দেখছি। ভাস্তব একটি পটভূমিতে চিত্রায়নে আপনার চেষ্টা যথার্থ।
তারপর বলেন যাচ্ছে কেমন?
৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক আনন্দিত হলাম প্রিয় ভাইয়ের উপস্থিতিতে। লেখার প্রশংসা পেয়ে অনেক অনেক উৎসাহিত হলাম। প্রেরণা হয়ে থাকবেন ভাই।
যাচ্ছে ভাই মোটামুটি একটু ব্যস্ততা ছাড়া আপনাদের দোআ আল্লাহ্'র রহমতে ভালো আছি। আপনি ভালো আছেন ভাই ? আপনার চোখের অবস্থা কি! অপারেশন করিয়েছেন?
ভালোবাসা জানবেন ভাই
২৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬
তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন বলেছেন: আমাদের সরকার অনেক আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এমন সকল অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর। তবু অর্থনৈতিক খারাপ অবস্থা থাকায় গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টির কোন সমাধান হয়নি।
০১ লা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অত্যন্ত সুন্দর মন্তব্য রেখে গেছেন ভাই, কৃতজ্ঞতা রাখছি মন্তব্যে।
বয়োবৃদ্ধ বাবা-মা'দের আল্লাহ্ হেফাজত করুক।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানবেন ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: নয়ন ভাই গল্প লিখেছেন দেখে অনেক ভাল লাগল।
সাবলীল বর্ননা ছিল । বৃদ্ধ মানুষটির কষ্ট আমার মনটাকেও ছুয়ে গেল।
আসলেই এই তো জীবন....