নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অন্তর ভাঙা এক যুবক! সহজেই বুঝে যাই কান্নার সুরে-দুঃখটা কত গভীর,অনুভবে শিহরিত হই বাস্তব কত কঠিন, কতটা নির্মম হতে পারে মানুষ! shapnaneer.com \'স্বপ্ননীড়\'।।

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন

সু-স্বাগতম। আপনার আগমনে ধন্য আমি। মানুষ আমি, আমাকে মানুষই ভাববেন, আমি তাই হতে চাই njnoyon.com

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবতা শুধু বাঙালি আর বাংলাদেশেরই কেন দেখাতে হবে ? অন্যান্য দেশ কেন নয়!!

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯




আজকে একদিনেই ৭০ হাজার ঢুকছে, এখন পর্যন্ত তার সংখ্যা হয়তো ১ লাখ ছাড়িয়েছে! গত দুই দিনে প্রায় ৬০ হাজার প্লাস ঢুকেছিলো!
সূত্র - আল জাজিরা!

কথা সেটা না, কথা হলো আগের দেড় মিলিয়ন রোহিঙ্গা এখনো দেশে বসবাস করছে! নতুন করে আসছে আরো ৫/৬ লাখ!  যদিও পুরো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১১ লাখ! ( তথ্য অনুযায়ী সবাইকে যদি তাড়িয়ে দেয়; তবে!) অন্যদিকে জাতিসংঘ আরাকানে খাদ্য সাহায্য বন্ধ ঘোষণা করেছে! চীন রোহিঙ্গা সংকট নিরসনের প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে!

জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের  প্রধান সৌদিআরব কোন নিন্দা প্রস্তাব দেয়নি! যেমনটা দিয়েছিলো মীর কাশেমের ফাসির রায় দেয়ার পরে!  বলেছিলো, " বাংলাদেশ জুডিশিয়াল কিলিং করছে!"
একেই বলে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড!  জিহাদিরা জিহাদের ডাক দিয়েছে!

ফেঁসে যাচ্ছে প্রিয় মাতৃভূমি! আন্তর্জাতিক_ষড়যন্ত্রের_গন্ধ_পাচ্ছি! 
অনেকেই বলে থাকেন মুসলিম মুসলিম ভাই ভাই, তাদের সাহায্য করা আমাদের ঈমানি দায়িত্ব ইত্যাদি ইত্যাদি!

গতকালের একটা ঘটনা বলি, রোহিঙ্গাদের নিয়ে  জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে চীন!
চীন মায়ানমারের সবচেয়ে বড় বন্ধু, আর চীনের ঘনিষ্ঠ মিত্র পাকিস্তান! 
অথচ সেই চীন দিল ভেটো!  পাকিস্তান কেন নিরব? পাকিস্তান অবশ্য চীনের মুসলিমরা রোজা না রাখার সরকারী আদেশ নিয়েও কোন কিছু বলে না! ২০০১ থেকে ২০০৪  পর্যন্ত চীন থেকে  পালিয়ে আসা উইঘুর শরণার্থী দের সি আই এর কাছে শপে দেয় সন্দেহভাজন আলকায়েদা সন্ত্রাসী বলে!
সেই আমেরিকা এদের ধরে নিয়ে যায় গোয়ানতানামো বের কারাগারে! বারাক ওবামা ক্ষমতায় এসে এদের মুক্ত করার পর বিবিসির এক প্রতিবেদনে তারা সেই হৃদয় বিদারক কাহিনী বর্ণনা করেন!
একই কাজ করে নিউরো সাইন্টিস্ট আফিয়ার ক্ষেত্রে!

অন্যদিকে  সৌদিআরব তার প্রতিবেশী জাত ভাই ইয়েমেনীয় দের গত ছয় বছর ধরে বোমা মেরে সাড়ে চার লাখ নিরীহ হুতিদের হত্যা করেছে,  গৃহহারা হয়েছে প্রায় ৮০% জনগণ!  তার বিচার কে করছে?

প্যালেস্টাইনের গাজা একটা অবরুদ্ধ শহর, ২০১৪ সালে  ইসরায়েল বোমা আর মিসাইল মেরে ১৫০০+ ফিলিস্তিন নারী ও শিশু হত্যা করেছে! -- আরব বিশ্ব কি পদক্ষেপ নিয়েছিলো?
অন্যদিকে গাজার প্যালেস্টাইন দের একমাত্র আসা যাওয়ার রাস্তা মিশরের সিনাই,  তাও মাটির নিচ দিয়ে মাটি খুড়ে টানেল দিয়ে! ( টানেল চিনেন তো? অনেকটা ইদুরের গর্তের মতো) সেখানেও ইসরায়েলের কড়া অভিযোগে মিশর সরকার মাটির অনেক গভীর থেকে দেয়াল দিয়ে সিলগালা করে দিয়েছে! যাতে কেউ অবরুদ্ধ গাজা থেকে মিশরে আসতে না পারে!

পাকিস্তান ধর্মের ভাই হওয়া সত্ত্বেও ২৪ বছর আমাদের শোষণ করে ৩০ লাখ নিরীহ বাঙালি হত্যা আর দুই লাখ মা বোন ধর্ষণ করেছিলো! 

একেই বলে মুসলিম ভ্রাতৃত্ব বোধ!

দুই বছর আগে রওনা দেয়া এরদোগানের যুদ্ধজাহাজ এখনো পৌঁছায়নি!

আর লেটেস্ট নিউজ হলো, মালয়েশিয়াতে গতকাল রোহিঙ্গা দের নিয়ে করা মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ এবং অনেককে গ্রেফতার! ( সূত্র- আল জাজিরা)

আরেকটা ভুল ধারনা অনেকের মাঝে আছে, আর তা হলো, " রোহিঙ্গারারা মুসলিম,  তাই নির্যাতিত হচ্ছে!" -- ভুল এবং মিস কনসেপ্ট!
মায়ানমারে ৪% মুসলিম আছে, যার ০.৯০ % রোহিঙ্গা মুসলিম!
অন্যদিকে বার্মিজ আর্মি আরাকানের হিন্দুদের ও তাড়িয়ে দিচ্ছে!  তাদের সমস্যা ধর্মেও না, তারা মনে করে রোহীঙ্গারা বাঙ্গালি! 
তাদের অনলাইন নিউজ মিডিয়ায় ঢুকলে দেখবেন তারা রোহিঙ্গা দের " বাঙ্গালি সন্ত্রাসী " বলে অভিহিত করছে!
তাছাড়া আর্মিদের অত্যাচারে অনেক রোহিঙ্গা হিন্দুও পালিয়ে এসেছে শরণার্থী শিবিরে!
( সূত্র-- দৈনিক ইত্তেফাক)

অনেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার কে দুষছেন, বর্ডার খুলে দেয়ার কথা বলছেন, কিন্তু কোন প্রপার ডকুমেন্টেশন ছাড়া এরা দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে কতটা বিপদ হতে পারে তা ভেবেছেন কখনো?
আচ্ছা সৌদিআরব, কুয়েত, , আরব আমিরাত, ওমান, বাহরাইন   এর বর্ডার ইরাক, সিরিয়া,  ইয়েমেনের জন্য কেন খোলা না বলেন তো??? কারন আইএস আই এস আর স্থানীয় সন্ত্রাসী সংঘটন - যেমন আল নুসরা,  আল কায়েদা সহ বিভিন্ন সংঘটনের সন্ত্রাসী হামলার ভয়!

তাছাড়া একবার মূল জনগোষ্ঠীর সাথে মিশে গেলে তাদের আলাদা করা প্রায় অসম্ভব হবে! এমনিতে ৭০ এর দশক হতে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা এইদেশে প্রবেশ করেছে, যার বর্ত্তমান সংখ্যা প্রায় দুই মিলিয়ন ছাড়িয়েছে!  আর এর প্রমাণ - কক্সবাজারে স্থানীয় বাঙ্গালির চেয়ে রোহিঙ্গার সংখ্যা বেশি! আর এটা মানব জাতির ইতিহাস- কোন যায়গায় যে জাতি বেশি,  সে জায়গার দখলদারিত্ব তারা দাবি করে বসে!
উদাহরণ - ব্রিটিশ আমলে চায়ের বাগানে কাজ করতে আসা তামিলরা শ্রীলংকার জাফনায় এবং গোর্খারা ভারতের নর্থ ইস্টে,  ইহুদিরা ইস্রায়েলে, তুর্কিরা সাইপ্রিয়টে!

অনেকে রোহিঙ্গা  ARSA মিলিটারির মিয়ানমার সামরিক চৌকিতে  হামলাকে সঠিক মনে করছে, আর একে ৭১ এর  মুক্তিযুদ্ধের সাথে মিলিয়ে নিচ্ছে! -- গ্রেট মিসটেক!'
আমাদের ২৪ বছরের দীর্ঘ সংগ্রাম ছিলো! শেখ মুজিবুরের মতো নেতা নেতৃত্ব ছিলো যিনি দীর্ঘ ১২ বছরের অধিক জেল খেটেছিলেন!  যার ফলে ৭০ এর জাতিয় নির্বাচনে নিরুঙ্কুশ বিজয়ী হয়ে ছিলাম! নেতা হতে হবে নেলসন মেন্ডেলা অথবা ইয়াসির আরাফাতের মতো! '
বন্ধুক হাতে চোরাগোপ্তা হামলাকারী পাকিস্তানে ট্রেনিং প্রাপ্ত জুন্নুন বা জাফর কাওয়ালির মতো না!'

মোদ্দাকথা, আমরাও চাই রোহিঙ্গা সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান হোক! কিন্তু তা কখনোই আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়ে না!
কারেন খ্রিস্টান দের হত্যার কারনে আমেরিকা পর্যন্ত চেয়েছিলো সামরিক অভিযান চালাতে, কিন্তু চীনের অসহযোগীতায় তা কখনো পূরণ হয়নি!

আর বাংলাদেশের কোন যৌক্তিকতা নেই সামরিক অভিযান চালানোর! এটা পৃথিবীর কোন দেশই করবে না! অযথা যুদ্ধে লিপ্ত হলে আমেরিকা এই সুযোগে ঘাটি ঘেড়ে বসবে! আর সামরিক শক্তির দিক থেকেও মায়ানমার অনেক শক্তিশালী! 
মোদ্দাকথা, যুদ্ধে জড়ানো মানেই বাংলাদেশ সিরিয়া লিবিয়া বা সোমালিয়া হয়ে যাওয়া-- এই ফাঁকে  জঙ্গিগ্রুপ  গুলো মাথা চাড়া দিবে!
তখন আমাদের পাশে কেউ দাঁড়াবে না, কারন আমাদের তেল স্বর্ণ কিছুই নেই।
পাকিস্তান চীনের ইশারায় নাচবে, ভারত মুখ ফিরিয়ে নেবে! ওয়েক আপ বাংলাদেশ!

পানিতে ভাসা একটা ছোট্ট মেয়ের মৃত ছবি ভাসতেছে অনলাইনে। ছবিটার সোর্স কি?  এর সাথে রোহিঙ্গার সম্পর্ক কি?

মনে আছে সিরিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার সময় নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া সিরিয়ান শিশু আইনাল কুর্দির কথা?
রিফিউজিরা যখন অবাধে ইউরোপে ঢুকতে পারছিলো না অথবা ধনিক আরব রাষ্ট্রগুলো যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো- তখন সাগরের পাড়ে শুয়ে থাকা মৃত শিশুর ছবি বিশ্ব বিবেক নাড়া দিয়েছিলো!
ফলে ইউরোপীয়রা বর্ডার উন্মুক্ত করে দিয়েছিলো- কিন্তু বছর না ঘুরতেই রিটার্ন পেতে শুরু করে জার্মানি,  ফ্রান্স, ব্রিটেন, বেলজিয়াম,  ফিনল্যান্ড,  রাশিয়া, তুর্কি এবং সাম্প্রতিক স্পেন!
স্টেডিয়ামে বোমা হামলা, ক্রিস্টমাসের অনুষ্ঠানে বোমা, গাড়ি বা লড়ি নিয়ে পথচারী দের উপর হামলা, রাস্তাঘাটে এখানে সেখানে ছুরিকাঘাত,  যৌন হয়রানি চলতেই থাকে!
ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই তারা শরণার্থী ধরে ধরে ফেরত পাঠাচ্ছে!

পানিতে ডুবা বা ভাসমান রোহিঙ্গা মেয়ের ছবির মধ্যে সম্পর্ক বুঝাটা খুব কঠিন নয়। এটা সাইকো-ওয়ারফেয়ারের অংশ মাত্র।
এই ছবির পটভূমি আপনার আমার অবচেতন মনে কিসের ব্যাখ্যা নিয়ে আসছে খেয়াল করুন একবার।
রোহিঙ্গারা ভারত পালাচ্ছেনা?
অবশ্যই পালাচ্ছে ; কিন্তু এই টাইপের পার্টিকুলার ছবি দেখলে অবচেতন মনে ভূগোল মিলছে কাদের বর্ডারের সাথে?

ছবিটি দেখলেই মনে হবে আমাদের এবং বার্মার বর্ডারের কাছে এসেই যেন এদের মেরে নাফ নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে।
যদিও আমি হলফ করে বলতে পারি এরা সিট্বয়ি (Sittwe) হতে জেলেবোটে বোটে চড়ে মালয় অথবা ইন্দোনেশীয় দ্বীপ পারি দিতে গিয়ে মারা যায়, নিজেদের স্বগোত্রীয় রোহিঙ্গা আদম ব্যবসায়ীদের হাতেই। এমন অহরহ সংবাদ ইন্টারনেট ঘাটলেই পাবেন।

এটা জ্যাস্ট আমাদের দেশেই ব্যবহৃত হচ্ছে কারন, ছবি দেখে মানসিক চাপে পড়ে পাবলিক অবচেতন মনে নিজেই অপরাধ প্রবণতায় ভুগছে বলে।

আসুন এইবার রোহিঙ্গাদের ইতিহাস দেখি:-

৬২ সালে আইয়ুব খানের পলিসি অনুযায়ী কক্সবাজার ও টেকনাফে রোহিঙ্গা চাল স্ম্যাগলিং গ্যাং এর নেতাদের দিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী ক্যাম্প করা হয় বার্মাকে প্রেশারে রাখতে। যেমন, পার্বত্য চট্টগ্রামে মিজো বিদ্রোহীদের ১২টা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিলো, ভারত কে প্রেশারে রাখতে।

মুক্তিযুদ্ধ ৭১ আমাদের ভুলতে দেয়না, কক্সবাজার টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জানোয়ার গুলো পাইক্যাদের তুষ্ট করতে কিভাবে বাঙ্গালীদের জবাই করে খালে ভাসিয়ে লাল করেছিলো। 

চট্টগ্রামের আমিন জুট মিল এর পার্শ্ববর্তী এলাকা বার্মাইয়া পাড়ার ওসমান মাঝী নামের জল্লাদ বাহিনীর জন্যে বাঙ্গালীদের হত্যা করে বধ্যভূমি ছিলো পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের খাদ গুলো।

বিহারীদের হাতে "শহীদ জহির রায়হান" হত্যার কারনে বইপত্র ঘেঁটে আজ আমরা অনেকেই জানি বিহারীদের নিরস্ত্রীকরণ করতে ৭২সালের মাঝামাঝি লেগেছিলো কিন্তু জানেন কি রোহিঙ্গাদের নিরস্ত্রীকরণ করতে টাস্কফোর্স গঠন করতে হয়েছিলো, যা ৭৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত  কার্যকরী ছিলো?

৮০ এর দশক এর মাঝামাঝি হতে বার্মিজ চালের আড়ালে আসা হেরোইন এবং ২০০৪-৫ সাল হতে শুরু হওয়া ইয়াবা নামক মরন মাদকের ছোবল এই রোহিঙ্গাদের মাধ্যমেই চালু এবং নিয়ন্ত্রিত হয়।

রোহিঙ্গা শরণার্থী কর্তৃক কক্সবাজার অঞ্চলে পুলিশ -আনসার ক্যাম্পের রাইফেল লুণ্ঠন কিংবা হালের ভুজপুরে রোহিঙ্গা ভাড়াটে খুনিদের হাতে আমার দেশের ভবিষ্যৎ শিক্ষিত প্রজন্ম নিরস্ত্র ছাত্রদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালানোর সময় রোহিঙ্গা খুনিদের তোলা ভিডিওতে পৈশাচিকরূপে উল্লাসিত রোহিঙ্গাদের মুখগুলির কথা ভুলি কি করে?

তারপর ও মানবিক কারনে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেয়া যেতো, যদি না তারা সশস্ত্র জিহাদে আহবান না করতো! 
আতাউল্লাহ  জুন্নুন নামের  ARSA লিডার সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের এবং জিহাদে অংশগ্রহণ করতে উদাত্ত আহবান জানিয়েছে! সেই সাথে মুসলিম উম্মাহর সাহায্য কামনা করেছে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং টিভি চ্যানেলে!

বন্ধুক হাতে মিলিটারি ড্রেস পরা জিহাদির ছবি ইতিমধ্যে ইন্টারনেটের কল্যাণে ভাইরাল হয়ে গেছে!
ইতিমধ্যে দেশের অভ্যন্তরেও অনেকে জিহাদের ডাক দিয়েছেন! ---- চোখটা বন্ধ করে ভাবেন তো কি হতে যাচ্ছে?
একটা শান্তিপূর্ণ দেশ অশান্ত হতে যাচ্ছে! হাজার হাজার জিহাদি বন্ধুক গ্রেনেড হাতে চষে বেড়াবে, যখন যাকে খুশি হুমকি দিবে-- আর তার অডিও ভিডিও বার্তা বিশ্বের মিডিয়া প্রচার করবে!
বাংলাদেশ বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরবে! এনজিও, দাতা সংস্থা,  কূটনীতিক অফিস, বিদেশি কোম্পানি গুলো দেশ ছেড়ে পালাবে!

একটা স্বাধীন দেশে যখন এই রকম মিলিটারি এক্সারসাইজ চলে,  তখন সেই দেশ হয় অচল! আর যার ইচ্ছে হলো, সেই জিহাদে যোগ দিবে! ফলাফল --- আরেকটা আফগানিস্তান বা সোমালিয়া! 

অনেকে ৭১ এ ভারতের উদাহরণ দিয়ে থাকে; ভুল!
আমরা ভারতে গিয়ে ইয়াবা ব্যবসা করিনি, তাদের মিলিটারি ক্যাম্পে হামলা করে অস্ত্র লুট করিনি!
আর তারা জিহাদের আহবান জানিয়ে বাংলাদেশকে বহির্বিশ্ব তে সন্ত্রাসী রাষ্টের ট্যাগ দিবে!
বাংলাদেশ হিন্দু রাষ্ট্র ভারত না, একটা মুসলিম দেশের অভ্যন্তরে আরেকটা মুসলিম দেশের মিলিটারি বা জঙ্গি প্রশিক্ষণ হলে সেটা জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হয়! উদাহরণ - পাকিস্তান! 

অনেক রক্ত আর সংগ্রামের বিনিময়ে পাওয়া এই স্বাধীনতা আমরা ভূলুণ্ঠিত হতে দিতে পারি না কিছু স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আর পাকিস্তানী প্রেতাত্মা দের হাতে!

( Al Bakky Al myzan ভাইয়ে ফেসবুক পোষ্ট থেকে সংগৃহীত করা সম্পূর্ণ পোষ্ট। আমার ভালো লাগায় আমার ব্লগে রেখে দিলাম অনুমিত হয়ে)

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাম্প্রতিক গেরিলা আক্রমণ নতুন করে সমস্যার সৃস্টি করেছে; নিরীহ নারী, বাচ্চারা নিরাপদ যায়গার আশায় পালিয়ে আমাদের দেশে আসছে; সরকার কি করছে, মানুষ কিছুই জানে না।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: তারা সে দেশে সেনা পুলিশের ক্যাম্পে আক্রমন করবে আর আমাদের মানবিকতা টিকিয়ে রাখতে তাদের আশ্রয় দিতে হবে! তাহলে তো আমাদের দেশ সন্ত্রাসীদের আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হবে বিশ্ববাসীর কাছে!!

সরকারের কঠিন হাতে রোহিঙ্গা প্রবেশ ঠেকানো উচিৎ বলে মনে হয় আমার কাছে।

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


যারা পালাচ্ছে, তাদের মতামত নিয়ে নিশ্চয় গেরিলা হামলা করা হয়নি; যদিও তাদের সমর্থন থাকা সম্ভব; তবে, মুল সমস্যার সৃস্টি করেছে বার্মার সরকার ও রাখাইন মগেরা।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুযোগ দেয়া হয়েছে মগদের তাদের উপর নির্যাতন করার। কিছু মওদুদী বাদী রোহিঙ্গা এরকম করে আসছে মাঝেমধ্যে। তারা অনেকবার এরকম হামলা করেছে, অনেক গ্রুপ লিড়ার এযাবৎ আত্মসমর্পন করেছে। এরা বাংলাদেশে জায়গা পাওয়ার জন্যই এরকম হামলা করে থাকে সম্ভবত। আর পরে বহুসংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে স্থায়ী হয়, হচ্ছে
আমার মনে হয় এরা একসময় বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী হামলাকারী রূপে চিহ্নিত করার জন্যই এমনটা করছে।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৮

সনেট কবি বলেছেন: বিষয়টা আসলেই ভাববার মতো।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ঠিকই বলেছেন প্রিয় কবি, বিষয়টি অনেক ভাবনার।
আমাদের সবার আগে দেশ ও দেশের মানুষের ভালো দিকটাই ভাবা উচিৎ।

মায়ানমারের রাজধানী শহরে মুসলমানদের মসজিদ আছে, অন্যান্য প্রদেশেও মুসলমানরা আছেন, তাদের উপর কোন হামলা হচ্ছে না, তাদের অন্য দেশে যেতে হচ্ছে না পালিয়ে। রোহিঙ্গারা সবাই খারাপ সেটা বলছি না। তবে এদের মধ্যেই পাকিস্তানি সন্ত্রাসী গ্রুপ যারা উগ্রপন্থীর বসবাস। তারা মাঝেমধ্যে সে দেশের সেনা পুলিশের ক্যাম্পে আক্রমন করে, বিদ্রোহী কাজ কারবার করে, কোন দেশই তাদের এমন কাজকারবার মেনে নিবে না।
তাদের উদ্দেশ্য এখন আমাদের দেশ থেকে মায়ানমার আক্রমন চালানো, যাতে মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক শত্রুতায় পরিণত হয়।

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমি চাই সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিক।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বুঝতে পারছি সুপ্রিয় রাজীব ভাই, মানবতা আপনাকে তাড়িত করছে।
কিন্তু ভাই, দেশ ও দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ যাতে হুমকির মধ্যে না পড়ে সেদিকেও আপনার আমার খেয়াল রাখা নাগরিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কতটা সচেতন আমাদের দেশ ও দেশের জনগণ সেটাও ভাববার বিষয়।

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আমি বরাবরই বলে আসছি দেশাত্ববোধে উদ্বুধ্য হয়ে এই বিষয়ে সকলের সচেতনতা প্রয়োজন । এই মুনুষ্যসৃষ্ট ইস্যুটা আসলে কাদের স্বার্থ আদায়ের লক্ষ্যে পরিচালিত তা সকলের অনুধাবনে আসা দরকার । এতে আখেরে সকলেরই ভাল হবে । এই ওয়েবসাইটে Archive for the ‘Rohingya Reports’ Category ভিজিট করলে বিষয়টি সস্পর্কে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক কথাবার্তা দেখা যাবে

https://refugeeresettlementwatch.wordpress.com/category/rohingya-reports/

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই, আমাদের মধ্যে দেশত্ববোধ কমে এসেছে তা বলাই যায়। আমরা শুধু মুসলমান জাতির ধোঁয়া তুলে দেশে ও দেশের মানুষদের বিপদে ফেলার নষ্ট মানবতা জড়িয়ে পড়ে আছি। দুনিয়ার সব মানবতা আমাদের গাড়ে এসে জুড়ে বসেছে। আমরা বুঝতে চাইছি না কোনটা পরিকল্পিত সংকট কোনটা মানবতা

আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামতে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা, লিঙ্কটির জন্য কৃতজ্ঞতা রাখছি।

৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৬

সুমন কর বলেছেন: সময় উপযোগি চমৎকার শেয়ার।

বাংলাদেশের মতো ছোট দেশে, বিপুলসংখ্যক বাড়তি লোকসংখ্যা চিন্তার বিষয় !!

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন:


বাংলাদেশের মতো ছোট দেশে, বিপুলসংখ্যক বাড়তি লোকসংখ্যা চিন্তার বিষয় !! - চিন্তার আসল কারণটাই তুলে ধরেছেন প্রিয় কবি। আমাদের দেশ ও দেশের মানুষ কতটা সচেতন সে হিসাবটা আমরা অনেকেই ভুলে গেছি! আমরা মানুষের সৃষ্টি সংকটে নিজেদের মানবতার দোকান খুলে বসে আছি, ভাবছিনা দেশ ও দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ!

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রাখছি ভাই।

৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: পাকিস্তান মায়ানমারকে যুদ্ধবিমান J5 -17 তৈরি করার সব রকম প্রযুক্তি বিক্রয় এবং কারিগরি সহায়তা করছে!
সূত্র-- The Dawn, (পাকিস্তানি পত্রিকা)

এই পাকিস্তান সেই পাকিস্তান না বলে যারা সারাদিন তর্ক করে, তাদের এই খবর প্রমাণ সহ দেয়ার পর আর কি অজুহাত দেখাবে?

আবার তারাই ( পাকিস্তানি রা) বাংলাদেশকে উস্কে দিচ্ছে ট্রেনিং প্রাপ্ত মুজাহিদ পাঠিয়ে!

অন্যদিকে এই দেশিয় কিছু পাকিপন্থি সেনাবাহিনী কি করছে বলে কৈফিয়ত চাইছে! এরা হয়তো যানে না সেনাবাহিনী অপর নাম ডিফেন্স মিলিটারি! -- এরা আক্রমণ হলে প্রতিরোধ করে! এগ্রেসিভ এট্যাক করে না!
অথচ দিন রাত তারা নিউজ ছড়াচ্ছে, মায়ানমার যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে! বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বসে বসে কি করছে?
অবশ্য যুদ্ধ লাগলে যে এদের খুঁজে পাওয়া যাবে না সেটা ভিন্ন কথা!

কিন্তু একটা দেশকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়ে এরা কাদের মনোবাসনা পূরণ করতে চাইছে? ------ অবশ্যই পাকিস্তানের!
কারন পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে বাংলাদেশ জিডিপি, মাথাপিছু আয়, মুদ্রার মান, কূটনীতি, শিক্ষাদীক্ষা, খেলাধুলা সব কিছু থেকে এগিয়ে আছে!

অন্যদিকে তাদের দেশে দিনে রাতে যখন তখন আত্মঘাতী বোমা ফাটে! কেউ খেলতে আসে না! বৈদেশিক কোন ইনভেস্ট নাই ( একমাত্র চায়না ছাড়া)!
আর চায়নার কাছ থেকে বিলিয়ন ডলার সুদ নিয়ে দিনাতিপাত করা পাকিস্তান মায়ানমারকে বিমান তৈরিতে সহায়তা করছে!

এখন প্রশ্ন হলো, রোহিঙ্গা দের উপর বার্মিজদের অত্যাচারের কাহিনী জেনেও কেন পাকিস্তান এমন করলো?
কারন তারা চায় বাংলাদেশ ধ্বংস হোক! ইউজ ইউর কমন সেন্স!

(Al Bakky Al myzan)

৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন:

৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শুধু এইটুকু বলি, রোহিঙ্গারা শুধু আমাদের দেশেই নয়, ভারত, থাইল্যান্ডেও যাচ্ছে।। ঠিক আমাদের মত, যে যান দিয়ে বর্ডার কাছে পাচ্ছে, সেখান দিয়েই.....। তবে আমাদের ক্ষেত্রে যেমন ভারত ছিল, মায়ানমারের ক্ষেত্রে তেমনটা নেই।।
ভাল থাকবেন আর ঈদের রইলো রক্তগোলাপ শুভেচ্ছা।।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য রেখে গেছেন ভাই, ভালো লাগলো।


তবে আমার সামান্য কথা আছে। ৭১-এ বাঙালি একটা স্বাধীন রাষ্ট্রের আশায় যুদ্ধ করেছে , রোহিঙ্গারা কিসের জন্য মায়ানমারে সেনা পুলিশ মারছে ? তারাকি স্বাধীন রাষ্ট্র চায়? মায়ানমার কি সেই সুযোগ দিবে ? আমার মনে হয় না দিবে। যদি রোহিঙ্গা মনে করে তারা আলাদা দেশ স্বাধীন করবে, সেটা ভুল হবে। আর ভুল দ্রোহিতাদের আশ্রয়ের অডরাধে অপরাধী হবে বাংলাদেশ। আমি এদেশের নাগরিক হিসেবে কখনওই চাইবো না আমার দেশ সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা হোক। ভাই, মুসলিম তো বিশ্বে অনেক জায়গাতেই নির্যাতিত হচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রে আমাদের মায়া কেন ঝরছে না!!

ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন ভাই।
ঈদ আনন্দ লেগে থাকুক প্রতিক্ষণ, শুভ হোক আগামী সময় গুলো।
শুভকামনা সবসময়।

১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কবির শুভেচ্ছা শিরোধার্য।। বিশেষ করে আন্তরিক।।
হয়তো তর্কের খাতিরেই তর্ক।। আবেগ বাদ দিলে '৭১রে ও কিন্তু বিশ্ব ভাবে নাই, আমরা স্বাধীন হবো।। আর তখন আম ভারতীয়দের মনোভাবই কিন্তু এমন ছিল।। তরা বাসের টিকেটে মা্র ২ পয়সা বেশী দিত বলেই আজো কিন্তু ভাবছে আমাদের স্বাধীনতা তাদেরই তুলে দেয়া " মোয়া"।। তেমনি রোহিঙ্গাদের কথাও ভাবুন না।। ব্যাক্তিস্বার্থ ছাড়িয়েই কিন্তু সমষ্ঠি।।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই, আমি যে রোহিঙ্গাদের এভাবে মার খাওয়ার পক্ষে তা কিন্তু না। আমিও চাই তাদের এই সংকট দূর হোক।
তবে এমন যাতে না হয় যে, রোহিঙ্গাদের মানবতা দেখাতে গিয়ে আমার দেশের ক্ষতি হয়। আমেরিকা চাপ না দিয়ে বসে যে আমার দেশে গেরিলা সন্ত্রাসী রয়েছে। মাতব্বরি করতে সুযোগ খুঁজে পায় এমনটা নিশ্চয় চাইবো না। যে বিষয়ে জাতিসংঘ নীরব, অন্যান্য মুসলিম দেশ কোন চাপ দিচ্ছে না মায়ানমাররকে। তাছাড়া, গেরিলা হামলা আর স্বাধীনতা ঘোষণা কিন্তু এক না ভাই। রোহিঙ্গারা যা করছে তা সন্ত্রাসী ছাড়া কিছুই নয়। রোহিঙ্গা মুসলিম হতে পারে, কিন্তু বাঙালি বন্ধু এমনটা ভাবা মনে হয় তেমন যুক্তিসঙ্গত হবে না ভাই।

১১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



আন্তর্জাতিক রাজনীতি না বুঝে হাউকাউ করা পাব্লিক দেশে বেশি..... এরা আবেগকেন্দ্রিক.... তবে বাংলাদেশ যথেষ্ট করেছে রোহিঙ্গাদের জন্য।এখন বিশ্ববাসীরর এগিয়ে আসা উচিত!

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:১১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সহমত আপনার সঙ্গে প্রিয় কবি, আসল কথাই রেখে গেছেন মন্তব্যের ঘরে। মন্তব্যে শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতা রাখছি।

আমাদের আবেগ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, ভাবতে হবে দেশের ভবিষ্যৎ, দেশের মানুষের ভাল মন্দ বিবেচনায় রাখতে হবে।
বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য আশীর্বাদ সরূপ। এখন আন্তর্জাতিক ভাবনার উপর ছেড়ে দেয়া উচিৎ বিষয়টি।
ইতিমধ্যে সীমান্তে আনসার ক্যাম্প লুট হয়েছে, সাম্প্রতিক এক ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে নিহত হয়েছে রোহিঙ্গা সর্দার। সামনে আরও কত বিপদ আছে কে জানে!

১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: স্যরি আমি মুসলিম/অমুসলিম নিয়ে কখনো ভাবি না।। আমরাও যে ৭১রে ভারতে যেয়ে নীরিহ শরনার্থী হয়েই ছিলাম না তারই প্রেক্ষীতে বলেছি।। আর আমি কিন্তু কোথাও বলি নি, বাংলাদেশ থেকে কোন হামলার সুযোগ দেয়া হোক।। শুধু বলতে চেয়েছি, আশ্রয়।। যা ইতিমধ্যেই ভারত এবং থাইল্যান্ড়ও দিয়েছে।। এটা কিন্তু এখন আন্তর্যাতিক সমস্যা।। এবং এর বিনিময়ে (আরাকানে সাহায্য বন্ধ হলেও, আমাদের এখানে কিন্তু হয় নি) যে সাহায্য আসছে তর কথাও ভুলে গেলে চলবে না।।
ধন্যবাদ।।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:১৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: না না ভাই, আমি আপনার জন্য বলিনি, অনেকেই এমনটা মনে করে থাকেন, মুসলিম মুসলিম ভাই ভাই, সে হিসেবেই আমার বলা আর কি। দুঃখ পেয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন ভাই।


জাতিসংঘ রোহিঙ্গা সাহায্য বন্ধ করার ঘোষণা সম্ভবত দিয়ে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে বর্তমানে রোহিঙ্গা সংকট গেরিলা হামলার ফল মনে করা হচ্ছে। সেজন্যই আমার উদ্বেগ। যদি আন্তর্জাতিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশ দোষী হবে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়ার অপরাধে। সেটাই চিন্তার বিষয় ভাই।

১৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

কানিজ রিনা বলেছেন: নাইম জাহাঙ্গীর আপনি লেখাটা শিয়ার
করেছেন বলে প্রথমেই ধন্যবাদ। অনেক
যুক্তি আছে তো বটেই যুক্তি কখনও
কখনও মানবতা হেড়ে যায়।
অলরেডি আন্তরজাতীক গয়েন্দা রহিঙ্গা
ক্যাম্পগুলতে অবস্থান নিচ্ছে। রহিঙ্গা
গেড়িলারা কেন পুলিশ ফাঁড়ি আক্রমন
করল। আর কতকাল ওরা অনিদৃষ্টকাল
রিফুজী হয়েদেশে দেশে কুত্তার মত জীবন
অতিবাহীত করবে।
এখানে প্রশ্ন রহিঙ্গারা অনেক দেশে অবস্থান
করছে ওরা সেসব দেশ থেকে প্রশিক্ষন
দিয়ে নিজের মাত্রীভূমি জন্য যুদ্ধ করবে
এটা সাভাবীক।
মায়ানমার সরকার যুগ যুগ ধরে রহিঙ্গাদের
অত্যাচার নিপীরন করে আসছে সরকারী
সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত শিক্ষা ব্যবস্থা
চিকিৎসা আরও অনেক কিছু। মায়ানমার
সরকার সংসদে পাশ করেছে রহিঙ্গাদের
নাগরিকত্ব্ নিশিদ্ধ।
বৃটিশদের দালিলিক খাতায় ওদের নাম নাই
এই কচ দেখিয়ে রহিঙ্গা নিশিদ্ধ করা হয়েছে।
অথচ ওদের হাজার বছরের মাতৃভূমি।
এখন বলুন রহিঙ্গারা যদি গেড়িলা যুদ্ধে
নামে স্ত্রী সন্তান বাবা মা মৃত্যুমুখে ঠেলে
দিয়ে। এখন মানবতা সাধুবাদ জানাতে
বাধ্য।
আমাদের সরকার অনেক মানবতা দেখিয়েছে
জাতীসংঘের কথার আশ্বাসে। এবারের অবস্থা
মানবতা লঙ্ঘন সীমা অতিক্রম করছে।
রহিঙ্গারা অনিদৃষ্টকালের রিফিউজী হবে কিনা
আমাদের এই ছোট্টদেশ মানবতা দেখাতে
গিয়ে বিশফোরা পচতে শুরু হয়েছে।
এখন ওরা গেড়িলা যুদ্ধে হয়ত নেমেছে।
পালিয়ে আসা এক রহিঙ্গা মহিলা বলেছে
তার স্বামী তাকে বাংলাদেশ বর্ডারে কাছে
দিয়ে বলেছে যদি বেঁচে থাকি আবার দেখা
হবে। তাইত এবার শুধু নারী শিশু বৃদ্ধ আসতে
দেখা গেছে।
এখন রহিঙ্গা গেড়িলাদের জঙ্গী বলে মায়ানমার
সরকার চেচামেচি করছে। অথচ মায়ানমার
সামরীক জান্তা সরকার যুগ যুগ ধরে জঙ্গী
থেকেও বড় জঙ্গীপনা করেছে রহিঙ্গাদের
সাথে। তবুও আমাদের দেশের রহিঙ্গারা
কোনও বাইরের জঙ্গীদের পাললায় আছে
কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা জরুরী।
আমাদের দেশে পাঁচলাখ রহিঙ্গা একলাখ
পুরুষ গেরিলা যুদ্ধে যায়। ওরা হয়ত মড়বে
তবুও বীরের মত মরবে। অতি দূর্গম এলাকা
যেখানে গেড়িলা যুদ্ধ অনেক কঠিন।
তবুও আশা রাখি ওরা যুদ্ধে জয় করুক।
অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রাখছি রিনা আপু, আপনার সুচিন্তিত মতামত আমাকে অনেক কিছুর জানান দিয়ে গেল।
আমিও চাই রোহিঙ্গারা তাদের পৈতৃক ভূমিতে সগৌরবে থাকার সুযোগ পাক। আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপু।

শুভকামনা জানবেন আপু।

১৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: আপনার শেয়ার করা পোস্টটি পড়লাম। অনেক তথ্যবহুল। ধন্যবাদ আপনাকে। তবে, আমি আমার একটি দৃষ্টিভঙ্গির কথা আপনার সাথে শেয়ার করছি-
জাতিসংঘ তাঁদের সাহায্যের হাত গুটিয়ে নিয়েছে বা নিচ্ছে এটা স্বাভাবিক একটা ঘটনা!!! কারণ?
এই জাতিসংঘ?? এইটা আবার কী? ইতিহাসের খেরো খাতার গেরো গুলো খুলে দেখুন,সেখানে মুসলমানদের জন্য কোন সাহায্য সহযোগীতার কথা লেখা নেই। তারা হচ্ছে বিশ্বমোড়লদের পেইড একটা সংস্থা। মোড়লরা কোন সমস্যাকে সমস্যা বললে সেটাতে তারা নাক গলায় আর নাহলে তাঁদের নাক গর্তে ঢুকিয়ে রাখে।। রোহিঙ্গারা যদি গেরিলা হামলা করে থাকে তারপরও এটার জবাবে এত শত মানুষ মারা কী জায়েজ হয়ে যাবে? সোজা কথা কেউই কিন্তু চায়না নিজের নাক কেটে নিজের বিপদ ডেকে আনতে। প্রিয় স্বদেশ কেইইবা ছাড়তে চায়? অন্তত নারী, শিশু, বৃদ্ধ এরাতো কোন দোষ করেনি। সন্ত্রাসীদের অপরাধের দায় কেন কোন পুরো জনগোষ্ঠী ভোগ করবে? সেই অর্থে রোহিঙ্গাদের এদেশ থেকে পুশব্যাক করার আগে এদের জন্য কিছু করণীয় করতে হবে। না হলে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি বারংবার ঘটতেই থাকবে। যা আমাদের কারোরই কাম্য হতে পারেনা।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রাখছি ভাই আপনার সুচিন্তিত মতামতে। অনেক সুন্দর মতামত রেখে গেছেন।
আমিও চাই রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী কোন সমাধান হোক, তাদের পৈতৃক ভূমিতে সগৌরবে বসবাস করার সুযোগ হোক।

শুভেচ্ছা জানবেন ভাই
শুভকামনা সবসময়।

১৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১

আদর্শ সৈনিক বলেছেন: ১) রোহিঙ্গারা দেশে ঢুকলে জঙ্গিবাদ বাড়বে
২) রোহিঙ্গারা অপরাধ-প্রবণ। তারা দেশে ঢুকলে অপরাধ ও উপদ্রব বেড়ে যাবে
৩) রোহিঙ্গারা দেশে দারিদ্র্য বাড়াবে, সাধারণ মানুষের কাজের সুযোগ কমে যাবে
৪) রোহিঙ্গারা পাকিস্তানপন্থী
৫) বাংলাদেশ একায় কেন রোহিঙ্গা সমস্যা সামলাবে? আরও তো দেশ আছে, তাই না?

এবার আসুন এই কথাগুলোর যৌক্তিকতা বিচার করি।

১) রোহিঙ্গারা দেশে ঢুকলে জঙ্গিবাদ বাড়বেঃ-
মায়ানমারে থাকা ৮ লক্ষ রোহিঙ্গাদের নিয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনার প্রয়োজন আছে। এদের মধ্যে যদি উগ্রবাদের উত্থান ঘটে তবে সেটা আমাদের জন্যও ভোগান্তি নিয়ে আসবে। সাধারণ মানুষ আসতে না পারুক, রোহিঙ্গা জঙ্গিদের যে এদেশে ঢুকতে কোন সমস্যা হবেনা সেটা বলাই বাহুল্য। জঙ্গিবাদের যে অভিযোগ রোহিঙ্গাদের উপর সেটা খুবই হাস্যকর । এমন তো নয় যে আমাদের দেশে জঙ্গি নেই। যারা হত্যা করছে, যারা চাপাতি নিয়ে ঘুরছে এরা তো বাঙালি, তাই না? এদেশে এতটাই জঙ্গিবাদের প্রসার ঘটেছে যে তারা দেশের ৬৩ টি জেলায় একযোগে হামলা চালাতে সক্ষম। ঘোষণা দিয়ে, তালিকা করে দিনের পর দিন হত্যাযজ্ঞ চালাতে সক্ষম, সেখানে রোহিঙ্গারা দেশে ঢুকলে জঙ্গিবাদ বাড়বে এ ধরণের অভিযোগ হাস্যকর শোনায়। জঙ্গিবাদ বাড়ার বাকি আর কী কিছু আছে? রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করুক আর না করুক তাদের মধ্যে যাতে জঙ্গিবাদ না ছড়ায় সেটা নিয়ে পরিকল্পনার প্রয়োজন। যারা দেশের মধ্যে আছে তাদেরকে বিশেষ তদারকির মধ্যে রাখাও দরকার। শুধু রোহিঙ্গা নয়, ধর্মীয় উগ্রপন্থা থেকে রক্ষার জন্য সকলের মধ্যেই সহিষ্ণুতার ব্যাপক চর্চা দরকার। সকল মানব সমাজের জন্য এটি অপরিহার্য হয়ে দাড়িয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেক সরকারপন্থী সেক্যুলার রোহিঙ্গাদের মুসলিম পরিচয়কে মুখ্য করে তুলছে, এবং জঙ্গিবাদের ধুয়ো তুলে নিরীহ নারী-শিশুকেও এরা আশ্রয় দিতে রাজি হয় না। এরা একচোখা মানবতার দোষে দোষী। সত্য হচ্ছে, বিজিবির চোখ এড়িয়ে হাজারো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। অথচ বিজিবি যদি তাদের পুশব্যাক নীতির বদলে এই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গ্রহণ করে, শরণার্থীদের জন্য পরিচয়পত্র প্রদানের ব্যবস্থা করে তবে সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। মনে রাখতে হবে, অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের খুব সহজেই উগ্রবাদের দিকে উদ্বুদ্ধ্ করা সম্ভব, অতীতেও তা হয়েছে। একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে জাতি-ধর্ম-গোত্র নির্বিশেষে নিপীড়িত আশ্রয়প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ানো। যে রাষ্ট্র সজ্ঞানে কোনো আশ্রয়প্রার্থীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়, সে রাষ্ট্র আর যাই হোক, মানবিক হতে পারে না।

২) রোহিঙ্গারা অপরাধ-প্রবণ। তারা দেশে ঢুকলে অপরাধ ও উপদ্রব বেড়ে যাবেঃ-
এটা হয়তো ঠিক যে দেশের প্রচুর মানুষ রোহিঙ্গাদের উপর বিরক্ত। কিন্তু অসহায় মানুষদের মধ্যে অপরাধ-প্রবণতা থাকলেও তাদের আশ্রয় দিতে হয়। কারণ আমরা মানুষ, আর মানুষ হওয়া একটা যন্ত্রণাপূর্ণ ব্যাপার। রোহিঙ্গাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটলে তাদের এই প্রবণতা কমবে। শিক্ষার হার বাড়ানো, নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা ধীরে ধীরে তাদেরকে সে প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে। এমনকি মায়ানমারে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যেও কিভাবে শিক্ষার হার বাড়ানো এবং অশিক্ষা থেকে মুক্তি দেয়া যায় তা নিয়ে ভাবা দরকার। আমাদের দেশের মানুষ এতই অপরাধ-প্রবণ যে যখন রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে এটি বলা হয় তখন বিব্রত বোধ করি। বিপদগ্রস্থ অসহায় মানুষ অন্য সক্ষম মানুষের কাছে আশ্রয় না পেলে এই মানব জীবনের অর্থ কি? বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বার্মাতে (আজকের মায়ানমার) অসহায় বাংলাদেশের অনেক মানুষ আশ্রয় পেয়েছিলো এইসব অতি দরিদ্র্র রাখাইন বাসীদের কাছে। সেই নাফ নদী পার হয়েই, উল্টোদিকে। ওদের কাছে নুনভাত ছাড়া দেবার আর কিছুই ছিল না। আর ছিলো পাতায় ছাওয়া, মাটিতে গর্ত করা শৌচাগার। বস্তিতে, গলিতে, কুঁড়ের স্যাঁতসেতে মাটির বারান্দায় শুয়েছে উদ্বাস্তু বাংলাদেশের তাড়া খাওয়া মানুষ, মাসের পর মাস। মানুষের জন্য মানুষ যদি না পাশে দাড়ায় তবে কি অর্থ এই মানব জীবনের? শরণার্থী, উদ্বাস্তু, আশ্রয়প্রার্থী এদের সবার প্রথম পরিচয় সে মানুষ এবং অতঃপর বিপদগ্রস্থ, যা তারা নিজ থেকে তৈরী করেনি। বাংলাদেশের শরনার্থী নীতিমালা কী আমরা জানি না। জাতিসংঘের সাথে বাংলাদেশের কী চুক্তি আছে তাও জানি না। মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্ক কী সেটাও পরিষ্কার নয়। কিন্তু এইসব অসহায় মানুষগুলোকে আশ্রয় না দিলে তারা যাবে কোথায়? এদেরকে নিয়ে খেলা করা আসলে অপরাধই বটে।

৩) রোহিঙ্গারা দেশে দারিদ্র্য বাড়াবে, সাধারণ মানুষের কাজের সুযোগ কমে যাবেঃ-
অন্য একটা গল্প শুনাই, বাংলাদেশে কয়েক লক্ষ ভারতীয় বসবাস করছেন, যাঁদের বেশির ভাগ অবৈধ অভিবাসী । ২০০৯ সাল থেকে পাঁচ লক্ষ ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে বসবাস করছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যেমন: এনজিও, গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, আইটি সংস্থায় তাঁরা কর্মরত রয়েছেন। উপার্জিত অর্থ তাঁরা হুন্ডি হস্তান্তর পদ্ধতিতে ভারতে পাঠায়। ২০১২ সালে, বাংলাদেশ ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনক্ষেত্র হিসেবে পঞ্চম দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়। সে বছর এই ভারতীয় অভিবাসীরা বাংলাদেশ থেকে ৩.৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার উপার্জন করে ভারতে পাঠিয়েছে। এই অভিবাসীদের বেশিরভাগই পর্যটন ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে আসেন, তবে একবার ঢোকার পর এঁদের বের হওয়ার কোন প্রবণতা দেখা যায় না। এভাবে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এই অভিবাসীরা মাঝে মাঝেই দুই দেশের মধ্যে বিবাদের কারণ হয়ে ওঠেন। প্রাপ্তিসাধ্য প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই লাখ লাখ ভারতীয় অভিবাসীরা প্রকৃতপক্ষে পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা এবং মিজোরামের বাসিন্দা। তো এদের নিয়ে কাউকে হৈচৈ করতে শুনলাম না। কেউ বলল না - এসব অবৈধ ভারতীয়দের তাড়িয়ে দাও। চুলকানিটা কেবল রোহিঙ্গা দের নিয়ে? কেন ভাই? যে দেশে চার হাজার কোটি টাকা কোন টাকাই না, সে দেশে দুমুঠো ভাত খাওয়ালে অভাবে মরে যাবেন?? মাত্র ৮ লক্ষ রোহিঙ্গা মানুষ বাংলাদেশের ১৬ কোটির তুলনায় খুব একটা বড় নয়। আর এই ৮ লক্ষের মধ্যে হয়ত কয়েক হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে চায় প্রতি বছর। এদের মধ্যে যেহেতু শিক্ষার হার খুব কম তাই তারা শুধু নিম্নবিত্ত মানুষদের সাথেই প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম। যদি রোহিঙ্গাদেরকে শরণার্থী ক্যাম্পে রাখা হয়, ক্যাম্পগুলো ভিন্ন জেলায় স্থাপন করা হয়, এদেরকে বিভিন্ন জেলায় স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম হবে। আমাদের দেশটা আহামরি কোনো স্বর্গ নয় যে রোহিঙ্গারা এখানে এসে একদম বিশাল একটা কিছু পেয়ে যাবে। বেশির ভাগই এসে কোনো একটি ঝুপড়ি ঘরে বাস করে মানবেতর জীবন-যাপন করে। এর মধ্যে রয়েছে মানুষের ঘৃণা। আমরা অনলাইনে কিছু মানুষশেষের তৎপরতায় মনে করতে পারি এদেরকে হয়ত দেশে খুব আদরে রাখা হয় কিন্তু বাস্তবতা খুবই ভিন্ন। আমাদের দেশের মানুষের মত রেসিস্ট আর দুনিয়ায় নেই। রোহিঙ্গাদের অধিকাংশ মানুষ একটুও সহ্য করতে চায় না। নারী-শিশু বোঝাই নৌকা নিয়ে যারা এসে সীমান্তরক্ষীদের প্যাঁদানি খায় তারা আসলেই অসহায়। এরা দালালকে টাকা দিয়ে নির্বিঘ্নে দেশে প্রবেশ করার ব্যবস্থা করতে অসমর্থ। এদেরকে ফিরিয়ে দেয়ার অর্থই হচ্ছে হয়ত নৌকা ডুবে তারা মারা যাবে অথবা ভাসতে ভাসতে পশু-পাখির মত কোথাও গিয়ে থাকবে। রাষ্ট্রসংঘ এখানে বাংলাদেশ এবং মায়ানামার এই দুই দেশকে বলতে পারে আলোচনার টেবিলে বসার জন্য। এই মানুষগুলির দায়িত্ব এই দুই দেশ অস্বীকার করতে পারে না ।

৪) রোহিঙ্গারা পাকিস্তানপন্থীঃ
ত্রিশ লক্ষ মানুষকে হত্যার পরও যেখানে আমাদের দেশের প্রচুর মানুষ পাকপন্থী সেখানে নিরক্ষর এবং পাকিস্তানিদের হাতে নির্যাতিত না হওয়া মুসলমানদের পাকিস্তানের প্রতি আগ্রহকে খুব একটা গুরুত্ব না দেয়াই ভাল। বরং এদেরকে শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির সুযোগ দেয়া হোক। অবস্থা স্থিতিশীল হলে রোহিঙ্গাদেরকে কিভাবে নিরাপদে মায়ানমার প্রত্যাবর্তন করানো যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ উচিত। রোহিঙ্গাদের অনেকেই ফিরতে চায় না, কিন্তু পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকলে নিজ দেশে ফিরে না যাওয়ার কোন কারণ থাকতে পারেনা। তাই এজন্য মায়ানমারের প্রতি চাপ দেয়ার কোনো বিকল্প নাই। কিন্তু বাংলাদেশ বরাবরের মত এক্ষেত্র চরম কূটনৈতিক ব্যর্থতা দেখাচ্ছে।

৫) বাংলাদেশ একায় কেন রোহিঙ্গা সমস্যা সামলাবে? আরও তো দেশ আছে, তাই না?
উত্তরঃ- সৌদিতে ২ লক্ষ রোহিঙ্গা থাকে, পাকিস্তানে ৩ লক্ষ থাকে, বাংলাদেশ তো একা এই সমস্যায় নেই। বাস্তবতা হচ্ছে- মিয়ানমারে যখন কচু কাটা হচ্ছে- তখন বাঁচার জন্যে রোহিঙ্গারা এইদেশে বর্ডার পার হয়ে আসার চেস্টা করবেই। যতই ফিরিয়ে দেয়া হোক না কেন- তারা অন্য যেকোন উপায়েই হোক- বারেবারে চেস্টা করবে। এটা এমন না যে- বাংলাদেশ কোন স্বর্গ রাষ্ট্র, এইখানে আসলেই তারা থাকা- খাওয়া- কাজ এসবের দারুন সব সুব্যবস্থা পাবে, এসবের নিশ্চয়তা দিয়ে দেবে বাংলাদেশ! বরং তারা জানে- বাংলাদেশের সরকার এদেরকে কি চোখে দেখে, বাংলাদেশের মানুষ এদের কি চোখে দেখে ! তারপরেও তারা বাংলাদেশে আসতে চায়- তার একমাত্র কারণ- মিয়ানমারে তারা নিরাপদ নয়। ফলে- যেভাবে রোহিঙ্গারা দেশে ঢুকছে- তারই ভয়ানক ফল বাংলাদেশ ভোগ করছে- সামনেও আরো করবে! সরকারীভাবে যখন শরণার্থীদের প্রবেশ করতে দেয়া না হয়- তখন সেই শরণার্থীরা রাষ্ট্রের তথা সরকারের দৃষ্টির বাইরে থাকে, নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে। এদেরকে দিয়েই বাস্তবে নানা অপরাধমূলক কাজে কর্ম করানো সম্ভব হয়। ফলে- এই অনিবন্ধিত প্রবেশকারী রোহিঙ্গারাই টার্গেটে থাকে, নানা মাফিয়া- চোরাকারবারি গোষ্ঠীর নজরে থাকে। উল্টোদিকে এরকম রোহিঙ্গাদের এই দেশে এসে কোনরকমে টিকে থাকার জন্যে যেনতেন কাজের দরকার, যেনতেন শেল্টার দরকার, ফলে মরিয়া হয়ে তারা যেকোন কিছুতেই জড়িয়ে পড়ে। এইসব বন্ধ করার একটাই উপায়- বাংলাদেশ সরকারকে ঘোষণা দিয়ে রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করা উচিৎ। টেকনাফ- কক্সবাজার- চট্টগ্রামে যদি চাপ বেশি হয়ে যায়- দেশের অন্যান্য জায়গায় এদেরকে রাখার ব্যবস্থা করতে পারে। এইসব রিফিউজিকে রাখার জন্যে বিশাল জায়গার প্রয়োজন হয় না, প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে বড় সড় ক্যাম্প করে করে এদের রাখা যায়। যেখানে নিয়মিত হাজিরা দেওয়াটা বাধ্যতামূলক- শরণার্থী হিসেবে নিয়ম-কানুন ভাঙলে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারটাও জারি রাখলে- কিছুটা কন্ট্রোলে রাখা সম্ভব। সরকারীভাবে যখন এই রিফুজিদের গ্রহণ করা হয়- তখন বাংলাদেশ অটোমেটিকভাবে আন্তর্জাতিক ফোরামে ভয়েস রেইজ করার ব্যাপারে লেজিটেমেসি অর্জন করে। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে- অনেক সংস্থাও এই রিফিউজিদের ক্যাম্প করা, তাদের খাবার দাবার থেকে শুরু করে নানা দরকারের প্রয়োজনীয় ফান্ড দিতে পারে- যেইটা এখনকার অবস্থায় সম্ভব না। বাংলাদেশ এর আগে- যতবার এই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছে- সবই সরকারিভাবে শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করার কারণেই … শরণার্থী ক্যাম্পের শরণার্থী জীবন কোন চিরস্থায়ী ব্যবস্থা না- ফলে এক দেশ থেকে একটা জনগোষ্ঠী আরেকটা দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে মানেই- সেই দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠা। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রতিটা ফোরামে তাকে একরকম জবাবদিহি করতে হয়- সেই শরণার্থীদের ব্যাপারে।
এটা বুঝা উচিৎ- অবৈধ অভিবাসী যত বড় সমস্যাই হোক- এটা নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে কথা বলার বা চাপ তৈরির স্কোপ খুব কম- কেননা এটাকে আভ্যন্তরীন সমস্যা ধরা হয়- অবৈধভাবে প্রবেশ বন্ধ করা- তাদেরকে চিহ্নিত করা, তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া- সবই অভ্যন্তরীন ব্যাপার ধরা হয়। কিন্তু, শরণার্থী সমস্যাকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আলাদাভাবে গুরুত্বের সাথেই দেখা হয়
আমরা দেখবো মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে। রোহিঙ্গা সমস্যাকে উটকো সমস্যা বলে মনে করার কোন কারণ নেই। আশেপাশের কোন দেশে বিপর্যয় ঘটলে তা যে আমাদেরকে স্পর্শ করবে সেটা স্বাভাবিক এবং এই একই ধরণের সমস্যায় রয়েছে অনেক দেশই। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ ভারতে চলে যায় প্রতি বছর, শুধু হিন্দু নয় মুসলমানরাও। পাকিস্তানে এখনো বিশাল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে, স্বাধীনতার পরেও কিন্তু অনেকেই চলে গেছে রোজি-রোজগারের সন্ধানে। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছে উন্নত দেশগুলোতে। আগে মানুষ, তারপর দেশ। মানুষকে বাচতে দিতে হবে। যখন কিছু মানুষ হাড় জিরজিরে মহিলা-শিশুদের নিয়ে জীবন বাচানোর জন্য একটা ভাঙ্গা নৌকায় পানিতে ভাসতে ভাসতে আমাদের দেশে পাড়ি জমায় তখন এদেরকে ফিরিয়ে দেয়ার কোনো মানবিক যুক্তি আমার জানা নেই। রোহিঙ্গাদের জীবনাচরণ, সংস্কৃতি সব কিছু বড্ড বেশি মিলে যায় এদেশের মানুষের সাথে। একজন রোহিঙ্গার ছবি দেখলাম মাটে কাজ করছে, না বলে দিলে বোঝা কঠিন যে সে বাঙ্গালদেশি নয়। রোহিঙ্গাদের ভাষা মোটামুটি বুঝি, চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাথে পুরাই মিলে যায়। যখন একটা বোধগম্য ভাষায় কেউ এসে বাচার আকুতি জানায় তখন এদেরকে ফিরিয়ে দেয়ার দৃশ্যটা কেমন হতে পারে ভেবে দেখুন

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: প্রথমেই কৃতজ্ঞতা রাখছি তথ্যবহুল সুচিন্তিত মতামত রেখে যাওয়ায়। আপনার প্রতিটি স্টেপ পড়লাম। আপনার সাথে দ্বিমত পোষণ করার কোন যুক্তি আমার কাছে নেই। ভালো লাগলো আপনার মতামত।

রোহিঙ্গাদের যদি পরিচয়পত্র সহ এদেশে রাখার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে এটা সত্যই বলেছেন। আমিও মানছি রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ সহজ ও কাছাকাছি বলেই তারা এদেশে বেশি আসছে। তবে বাংলাদেশের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ যদি রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে ভাবেন তো রোহিঙ্গাদদের স্থায়ী একটা সমাধান সম্ভব।

৪নং স্টেপে বলা যুক্তি মেনে নেয়াই যায়, তবে একটু ভাবনার বিষয় যে, মিয়ানমার মুসলমান রোহিঙ্গাদের প্রতি এত নিদয় তবুও পাকিস্তান তাদের কাছে সামরিক যন্ত্রপাতি বিক্রয় করছে। তাহলে পাকিস্তান চাইছেটা কি, এটা কিন্তু ভাবনার আকাশে ঘুরতেই থাকে। বাংলাদেশ এতটা স্বনির্ভর নয় এখনো হয়নি যে সাত আট লাখ রোহিঙ্গাকে পরিপূর্ণ তদারকি করা সম্ভব। তার মধ্যে আন্তর্জাতিক মহল যদি সাহায্যের হাত ঘুটিয়ে নেয় তা বাংলাদেশের জন্য কষ্টসাধ্য হবে এতে কোন সন্দেহ নেই।

সবচেয়ে বড় সমস্যা রোহিঙ্গারা অভাবের তাড়নায় সবধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে খুব সহজেই। এখন আমাদের দেশের নাগরিক ও রাষ্ট্র সচেতনতা কতটুকু সেটাও ভাবনার বিষয়।

তবুও চাই, রোহিঙ্গাদের একটা স্থায়ী সমাধান হোক, তাদের পৈতৃক ভূমিতে সগৌরবে বসবাস করার সুযোগ পাক। আন্তর্জাতিক মোড়লেরা এগিয়ে আসুক রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে।


অনেক অনেক ভালো লাগা জানবেন মন্তব্যে।
শুভকামনা আপনার জন্য।

১৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০

তারেক ফাহিম বলেছেন: মানবতা শুধুই বাঙালিরই আছে।
ইতিহাস স্বাক্ষী দেয় মগরা আমাদের কী দিয়েছেন। দেশ থেকে এখনও মগের মুল্লুক প্রবাধটি যায় নি।


নয়ন ভাই, দেখি, গদ্যতেও তুখর। ভালো লাগলো বিশ্লেষন, ধন্যবাদ জানবেন।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রাখছি ভাই সুচিন্তিত মতামতে।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান হোক এটাই কাম্য, তবে নিজের দেশের ক্ষতি হোক এমনটা নিশ্চয় চাইবো না কোনভাবে।



ধন্যবাদান্তে
শুভকামনা জানবেন সবসময়।

১৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

নীলপরি বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম আপনি লিখেছেন । তারপর দেখলাম শেয়ার । যাহোক , আপনি এর মাধ্যমে সুচিন্তিত মতামত দিয়েছেন ।
১২ নং মন্তব্যের মতো আমারো মনে হয় এটা আন্তর্যাতিক সমস্যা । এখন আমরা আশা রাখতে পারি রাষ্ট্রগুলোর চিন্তাবিদদের উপর !

বাংলাদেশ হিন্দু রাষ্ট্র ভারত না, একটা মুসলিম দেশের অভ্যন্তরে আরেকটা মুসলিম দেশের মিলিটারি বা জঙ্গি প্রশিক্ষণ হলে সেটা জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হয়! উদাহরণ - পাকিস্তান!
লাইনটা ভালো । তবে তথ্যে একটু ভুল আছে । ভারত হিন্দু রাষ্ট্র না । ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র । আর এতো সরলভাবে চিন্তা না করলেই বোধহয় ভালো । মানে বাংলাদেশকে এতো সহজে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিনত করা যাবে না । কারণ কোনো দেশের মনোভাবের সাথে মিল থাকলে সেখানে সেরকম কাজ হতে পারে । এখানে এই ইস্যু নিয়ে ব্লগে যে যার মতো পোষ্ট দিচ্ছেন । পাকিস্তান হলে এটা সম্ভব ছিল না ।
তবে সমস্যা গভীর । এটা মানতেই হবে ।

শুভকামনা ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমার চিন্তা ভাবনা ছিল রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে একটা লিখা লিখার জন্য, কিন্তু এতকিছু আমার জানার বাহিরে। যদিও অনেকের লেখাই পড়েছি, রোহিঙ্গা সম্পর্কিত অনেক কিছু জানলে লেখাটা হয়ে উঠে না আমার, পুরোপুরিভাবে না জানলে যা হয় আরকি। সেদিন বাক্কি ভাইয়ের পোষ্টগুলো পড়ে আমার কাছে মনে হলো এগুলো আমার ব্লগে তুলে রাখার মতো। তাই অনুমতি নিয়ে ব্লগ ও আমার সাইটে তুলে রেখেছি। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে মানুষের জানা উচিৎ।

আপনার মন্তব্যে একটা ভরসা রেখে গেছেন, খুব ভালো লাগলো আপু। এত সহজেই বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করা যাবেনা। আমিও বিশ্বাস করি আপু। আপনার সাথে একমত।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা প্রিয় আপুর জন্য

১৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭

নীলপরি বলেছেন: গেরিলা নীতি কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য নয় ! একটা কথা ভেবে অবাক লাগে যে আমরা সাধারণ মানুষরা যখন এসব নিয়ে এতো ভাবছি তখন যাঁদের ভাবার দায়িত্ব , তাঁদের ভাবনাগুলোই অস্পষ্ট থেকে যাচ্ছে সাধারণের কাছে । তবুও তাঁদের উপর আস্থা না রেখে উপায়ও নেই !

আবারো শুভকামনা রইলো ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমার চিন্তা ও উদ্বেগের মূলে এই গেরিলা আক্রমণ। তারা যদি এদেশ থেকে মিয়ানমারে হামলা করতে থাকে তাহলে বাংলাদেশে ভাবমূর্তি অনেকাংশ খারাপই হবে।

বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যতটা আগ্রহী তার সাথে যদি আন্তর্জাতিক মহল এগিয়ে আসে তো রোহিঙ্গা সমস্যা স্থায়ী ভাবে সমাধান হওয়া সম্ভব বলে মনে হয় আমার।

আবারও কৃতজ্ঞতা আপু সুচিন্তিত মতামতে।
শুভকামনা জানবেন সবসময়।

১৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সোহানী বলেছেন: শতভাগ সহমত। দেশ দিনকে দিন গার্বেজে পরিনত হচ্ছে........... যাদের চিন্তা করার কথা তারা নাকে সর্ষের তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে.............

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রইল প্রিয় আপুর সুচিন্তিত মতামত রেখে যাওয়ায়

তবে, আশা করছি বাংলাদেশের সাথে আন্তর্জাতিক মহল একমত হয়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবেন এবার।

শুভকামনা জানবেন আপু।

২০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

জাহিদ অনিক বলেছেন: কবিদের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা থাকে।
ভাল লাগলো।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: প্রিয় কবিকে পেয়ে অনেক ধন্য হলাম। দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থ সবার আগে, তার নয়নের ব্যক্তিস্বার্থ, এমনটা সবসময় হৃদয়ে পুষি প্রিয় কবি। বেশকিছু দিন যাবত রোহিঙ্গা সমস্যা ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ দিকগুলো ভাবাচ্ছিল ভাই। সেদিন এক বড়ভাইয়ের প্রোফাইলে পোষ্টগুলো পড়ে মনে হল বিষয়টি ব্যাপকভাবে জানা উচিৎ। তাই শেয়ার করেছি। ভালো লাগা জেনে উৎসাহিত হলাম।

শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানবেন প্রিয় কবি
ভালোবাসা সবসময়।

২১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সুন্দর লেখাটি শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ নয়ন ভাই।
ভাল আছেন নিশ্চয়?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্
ভালো আছি প্রিয় সোহেল ভাই। অনেকদিন পর আপনাকে আনন্দবোধ করছি।

শেয়ার ভালো লাগায় উৎসাহিত হলাম।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানবেন ভাই সবসময়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.