নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নাজিব। বই পড়তে ভালবাসি। লেখালেখির প্রতি অনেক ঝোক আছে। কিন্তু ভালো লিখতে পারি না। দেশ ও পরিবারকে ভালবাসি।ভবিষ্যৎএ ইচ্ছা আছে ব্যবসা করা। সবার ভালবাসা ও দোয়া কামনা করছি।

মোহাম্মদ এন ইউ ইসলাম নাজিব

একজন নিরব পাঠক..যার চেষ্টা কিছু লেখার ।

মোহাম্মদ এন ইউ ইসলাম নাজিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বকুল

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

আমি তখন উত্তরার একটা হোস্টেলে থেকে ক্লাস ফাইভে পড়ি।আমাদের হোস্টেলটা ছিল ছয় তলা।আমি থাকতাম চতুর্থ তলার ছোট রুমে।রুমে ছিলাম আমরা মোট নয় জন।রুম ক্যাপ্টেন ছিলাম আমি। আমাদের রুমে বকুল নামে একজন ছাত্র ছিল।সে পড়তো দ্বিতীয় শ্রেণীতে। সে কিছুদিনের জন্য অসুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিল।তার খালি বিছানা হলো ঘটনার মূল নিয়ামক। ঘটনার দিন ছিল শুক্রবার। ঐদিন আবার বকুলের হোস্টেলে ফিরে আসার কথা ছিল।
রাত বাজে দশটা। আমরা সবাই রাতের খাবার খেয়ে যার যার বিছানায়।আমিও আমার বিছানায় শুয়ে পরলাম।সবার মিলে গল্প করছি।রুমের বাতি নিভানো।আমি সবসময় দক্ষিণে মাথা দিয়ে ঘুমাতাম।আজকে গল্প করার জন্য উত্তরে মাথা দিয়েছি।আমার মাথার পাশে রুমের বাহিরে বাথরুমের দরজা।আমাদের বিছানা গুলো ছিল আধুনিক তিনতলা সিস্টেম। আমার বিছানা ছিল এরকম তিনতলার উপরে।গল্প চলছিল।সাথে করে রাত বাড়ছে।পাশাপাশি ঘোর অন্ধকারে যেনো রুমে ছেয়ে যাচ্ছে।এতঘন অন্ধকার কিছুই দেখা যায় না।রাত তখন প্রায় বারটা বাজে।হঠাৎ দেখলাম বকুলের বিছানা থেকে একটা ছেলে বের হয়ে আসলো।ঠিক বকুলের মত ফর্সা।সাদা একটা শার্ট গায়ে দেয়া।
আমি বকুল বকুল বলে পিছন থেকে ডাকছি।আমার ডাকে তার সারা দেওয়ার কোন ইচ্ছা তার মাঝে দেখতে পাচ্ছি না।সে রুম থেকে বের হয়ে সোজা ড্রইং রুমে গেল।সেখান থেকে ডাইনিং হয়ে সোজা হেটে চারতালা থেকে বের হয়ে গেল।আরও যারা ছাত্র ছিল তারাও তাকে বকুল বকুল বলে পিছন থেকে ডাকছিল।এতো রাতে সে কোথাও যায়।সবার কথা উপেক্ষা করে সোজা পাঁচ তলায় চলে যায় বকুল।
আমাদের ছোট বকুল চলে গেল পাঁচ তলায়।আমি সব চিন্তা বাদ দিয়ে আবার সবার সাথে গল্প শুরু করেছি।দশ মিনিট পর পাঁচ তলা চিৎকার আর হইচই শুরু হলো।
আমি দৌড়ে পাঁচ তলায় উঠলাম।সেখানে গিয়ে শুনতে পেলাম।খুব ভয়ানক অবস্থা। নুর আলম নামে আমাদের এক ক্লাসমেট ছিল।সে বাথরুম থেকে বের হওয়ার পর। তাকে কেউ জোড়ে গলা টিপে ধরে।সে শুধু আ আ আর ঘর ঘর জাতীয় শব্দ করছিলো।বলে রাখা ভালো নুর আলম ছেলেটা ছিল অনেক দুষ্ট আর একটু অপরিষ্কার। সবসময় ভাতের সাথে ঘী খেতো।আমার অন্য ক্লাসমেটরা সবাই নুর আলম দুষ্টমি করছে মনে করলো।যখন কয়েক মিনিট কেটে গেলো।তার আ আ আর ঘর ঘর জাতীয় শব্দ কমে না।তখন তাদের সবার সন্দেহ হলো খারাপ কিছু হয়েছে।সবাই একসাথে মশারির লোহার স্ট্যান্ড নিয়ে নিচে নেমে এলো।তারা দেখলো ছোট একটা সাদা শার্ট গায়ে দেয়া ছেলে। নুর আলমের গলায় চিপ দিয়ে ধরে ঝুলে আছে।তারা যখন ঐ ছেলেটাকে লোহার স্ট্যান্ড দিয়ে মারতে গেলো।ছেলেটা নুর আলমকে ছেড়ে দৌড়ে ছয় তলায় উঠে গেলো।সবাই তার পিছনে পিছনে ছুটে গেলো।কিন্তু তাকে কোথাও খুজে পাওয়া গেলো না।
আমি তাদের সব কথা শুনে বললাম।এইটা আমার রুম থেকে কিছুক্ষণ আগে বের হয়ে পাঁচ তলায় আসছে।ক্লাসমেটরা এটা নিয়ে আর কিছু বললো না।নুর আলম বেচে গেছে এতেই সবাই খুশি।তারা আর কিছুক্ষণ দেরি করলে বড় ধরনের একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতো।আমরা হারাতাম দুষ্ট বন্ধু নুর আলমকে।
এবার আসি আমার কথায়।সব ঝামেলা শেষ করে নিচে আমার রুমে চলে আসলাম।বিছানায় উঠলাম ঘুমানোর জন্য।ঘুম আর আসে না।ভয়ে সমস্ত শরীর ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে আমার।চারদিকে ভীষন অন্ধকার।এই প্রচন্ড গরমের মধ্যে কম্বল মুরি দিয়ে নাক মুখ ডেকে সারা রাত পরে রইলাম।ঘেমে সব কিছু ভিজে গেছে।কিন্তু ভয়ে আমি কম্বলের নিচে থেকে মাথা বাহিরে বের করতে পারিনা।এভাবে ছয়টা মাস আমি ভয়ের মাঝে কাটালাম।সবাই যখন ঘুমে বিভোর।তখন আমি ভয়ে কাতর।সারা রাত জেগে থাকি।লজ্জায় কারও কাছে বলতে পারি না।ছয় মাস পর কখন যে আমার ভয় দুর হলো। এটাই ছিল জীবনের শেষ ভয়।এই কথা এখন মনে পরলে অবাক হয়ে যাই।কোথায় ভুত। কোথায় ভয়।
এখন এগুলো কিছু নেই।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

রাকু হাসান বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন ,ভাল লাগলো ,নাজিব ভাই ।


নতুন লিখলেন ,প্রথম পোস্ট , আমার প্রথম মন্তব্য , সামু স্বাগতম আপনাকে । সুন্দর লিখেছেন ,ভাল লাগলো ,নাজিব ভাই ।


নতুন লিখলেন ,প্রথম পোস্ট , আমার প্রথম মন্তব্য , সামু স্বাগতম আপনাকে ।
ব্লগের পথ চলা হোক দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হোক ,লিখুন পড়বো আমরা ।
নতুন হিসাবে কয়েক টা লিংক শেয়ার করি ,যদি সময় থাকে ,পড়ে দেখলে কিছু জানার কথা ,একজন নতুন সামু পরিবারের সদস্য হিসাবে । একটি অনুরোধ থাকবে আপনার প্রতি এভাবেই বা আরও ভাল করে সামুর নতুন দের লিংক দিয়ে সহায়তা করার । ভাল থাকুন আপনি ।

২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: হ্যাপি ব্লগিং।

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

মোহাম্মদ এন ইউ ইসলাম নাজিব বলেছেন: ধন্যবাদ..আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।চেষ্টা করবো.. প্রতিটা কথা মেনে চলার।

৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৯

মোহাম্মদ এন ইউ ইসলাম নাজিব বলেছেন: ধন্যবাদ...দাদা...।

৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:১১

রাকু হাসান বলেছেন:
[link|http://www.somewhereinblog.net/blog/nadanblog/28797199|নতুন হিসাবে এ লিংখটিও পড়তে পারেন।

ছবিতে দেওয়া দাগে ক্লিক করলে অপশন আসবে তখন মন্তব্য করলে কমেন্টকারী নিকট নোটিফিকেশন যাবে । খুব সহেজে এসে দেখতে পারবে ,আপনি প্রতি উত্তরে কি বলেছেন ।

শুভ সকাল

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:১৫

রাকু হাসান বলেছেন:
আরেক টু যোগ করি ,মনে কিছূ নিবেন না ।

ছবি তীর চিহ্নিত স্থানে ক্লিক করলে একটি বক্স আসবে তখন লিখলে ভাল হয়, ক্রস এ ক্লিক করলে মন্তব্য মুছে যাবে , হাতের আঙ্গুলের মত দেখেছেন সেটাই কারও মন্তব্যতে লাইক দেওয়া ।

৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১

ভাইয়ু বলেছেন: হ্যাপি ব্লগিং! অনেক অনেক শুভকামনা রইলো...

৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

মোহাম্মদ এন ইউ ইসলাম নাজিব বলেছেন: ধন্যবাদ...দাদা..উৎসাহ আর সাহস দেওয়ার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.