নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাজমুল হাসান ০০১

আশা”, ছোট্ট এই শব্দটি আমাদের মনে দারুন দোলা দেয়। স্বভাবগত ভাবেই মানুষ চিরকাল আশাবাদী। মানুষ আশায় বেঁচে থাকে, মানুষ আশা নিয়ে বেঁচে থাকে, আশার মাধ্যমেই মানুষ শত কষ্টের বেলাভূমি পেরিয়ে আগামীর জন্য কাজ করে যেতে পারে। দেখতে পারে অপার সবুজাভ স্বপ্নের, দেখাতে পারে কল্পনায় আকা নির্মল দৃশ্যপট।

নাজমুল হাসান ০০১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শরৎচন্দ্রকে এত ভালো লাগার কারনাবলিঃ-

২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

বরাতজোরে শরৎচন্দ্রের সমস্ত রচনার সমগ্র হাতে পেয়েছি এবং এ কয়দিন এ নিয়েই আছি। শরৎচন্দ্র আমার খুবই প্রিয় একজন লেখক, স্কুলে থাকাকালীন মহেশ পড়েছিলাম- পড়েছিলাম বিলাসী, সে সময় আমি সেবা প্রকাশনীর- তিন গোয়েন্দার মহাভক্ত ছিলাম, রাতদিন তাহা নিয়াই মাতিয়া থাকিতাম, আমার বাপ আমার এই অবস্তা দেখে একদিন একখানা বই পড়ে দেখেছিলেন তিন গোয়েন্দার, সে বই পড়ে তিনি আমাকে কিছু বলেন নাই কিন্তু পরের দিনই আমাকে কিনে দিয়েছিলেন শরৎচন্দ্রের শ্রীকান্ত নামক বইটি, সে থেকেই শরৎবাবুর যে লেখা আমি হাতে পেয়েছি তা অন্তত দুইবারের কম না পড়িয়া ছাড়ি নাই।



আমি অত পড়ুয়া না হলেও নিতান্ত কম লেখকের বই পড়ি নাই, রবীন্দ্রনাথ, সমরেশ, শীর্ষেন্দু, হুমায়ুন, জাফর ইকবাল, আনিসুর রহমান আরও অনেকে সবার নাম এই মুহূর্তে মনে পড়ছেনা, তবে এদের লেখা আমি মনোযোগ দিয়ে পড়ি আর এদের অসংখ্য লেখাই আমি পড়িয়াছি।



শরৎচন্দ্রের সাথে ইহাদের বিস্তর ফারাক, তিনি জাতিতে হিন্দু ছিলেন, কিন্তু নিজের জাতির অসম্মানের কথা প্রকাশ করতে তিনি কুন্ঠিত হন নাই , তার প্রায় রচনায় তিনি উচু জাতের-নিচু জাতের প্রতি অন্যায় অবিচারের কথা বলেছেন, তিনি মেয়েদের বাল্যবিবাহের নামে হিন্দু-সমাজে যে মেয়েদের অত্যাচার করা হতো তার কথাও লিখেছেন, তিনি নারীদের নিয়েই বেশী লিখেছেন, কিন্তু নারীজাতিকে বহুবিদ বাহুল্লে ভূষিত করেন নি, বরংচ নারীদের যে সমাজে সত্যিকারের স্থান কোথায়, আর কোথায় এদের স্বাধীনতা তাহাই তিনি প্রতিটি লেখায় প্রকাশ করে গেছেন বারবার। তাহার লেখাগুলো শরতের আকাশের মেঘের মতই নির্মল, মনের আকাশে নির্বিবাদে ভেসে বেড়ায়, কোথাও বিন্দুমাত্র আটকাইয়া থাকেনা।



রবিন্দ্রনাথ তখনকার সমাজে অনেক বড় কুলীন ব্রাহ্মণ জমিদার ছিলেন তাই তার লেখাগুলোতে সমাজের উচু বংশের কথাই বারংবার এসেছে এবং রবিন্দ্রনাথের লেখাগুলোতে গাম্ভীর্য তেমনি প্রবল, কিন্তু রবীন্দ্রনাথের গানগুলোর কথা আলাদা করে বলতেই হবে, এই গান আজীবন সকল সম্প্রদায়কে মোহাবিস্ট করে রাখবে।



সমরেশ, শীর্ষেন্দুরা সমাজের চাইতে সংসারের কথাই বলিয়াছেন বেশী, সংসারের বিভিন্ন জটিল কাহিনী তারা রচনাও করেছেন বেশ, কিন্তু তাদের লেখা প্রথমবার অনেক ভালো লাগা নিয়ে পড়ি কিন্তু দ্বিতীয়বার পড়িতে আর ইচ্ছা হয়না।

হুমায়ুন আহমেদ ও জাফর ইকবালের দুই একটি রচনা বাদে বেশীরভাগই কমেডি শ্রেণীর, পড়তে অনেক মজা লাগে, কৌতুক পড়ে যেমন হাসি আসে তেমনি হাসি আসে, কিন্তু দ্বিতীয়বার পড়ার ইচ্ছা বা ধৈর্য কোনটাই হয়ে উঠেনা।



** ভালোবাসার মানে যে শুধু দুইজনকে দুইজনার পাওয়া নয়, বরং সংসারের সকলকে সাথে নিয়া নিজেদের আপন করিয়া পাইবার নামই ভালোবাসা, এমনটা বোধহয় একমাত্র শরৎচন্দ্রই এমনভাবে বুঝিয়াছিলেন এবং সকলের তরে লিখিয়া গেছেন, এইজন্যই শরৎচন্দ্রকে আমার এত ভালো লাগে, এত কাছের এত আপনার একজন বলে মনে হয়।।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০১

কালোপরী বলেছেন: আমার সবচেয়ে প্রিয় উপন্যাস হল বিপ্রদাস :)

২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১১

নাজমুল হাসান ০০১ বলেছেন: বিপ্রদাস একটু আগে পড়ে শেষ করলাম, অসম্ভব ভালো লাগার একটি উপন্যাস, তবে আমার সবচাইতে ভালো লেগেছে দত্তা।

২| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১১

মদন বলেছেন: +

৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

নাজমুল হাসান ০০১ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১৬

সোহাগ সকাল বলেছেন: আপনার লেখায়ও শরৎ বাবুর গন্ধ পাওয়া যায়! :) তবে আমি কোথায় যেন শুনেছিলাম, কবিতা ছাড়া অন্য কোঠাও সাধু-চলিত মিশ্রণ ঘটানো অন্যায়। :(
মহেশ পড়ে ভক্ত হয়েছিলাম, আর "চরিত্রহীন" নাকি "চরিত্রহীনা", নামটা ভুলে গেছি। বইটা পড়ে ধৈর্য হারিয়েছি। :(

৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৮

নাজমুল হাসান ০০১ বলেছেন: সাধু এবং চলিত ভাষার মিশ্রন ঘটার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আর আপনাকে ধন্যবাদ ঘঠনমুলক সমালোচনার জন্য।

৪| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

চরিত্রহীন আজো ভুলতে পারিনা।

৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

নাজমুল হাসান ০০১ বলেছেন: আমিও না।

৫| ২৯ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: শরৎচন্দ্র আমারও খুব প্রিয় লেখক, রবীন্দ্রবন্দনার পাশে আজকাল আর তাঁর খুব একটা নাম উচ্চারিত হয় না, কিন্তু মাটির একেবারে কাছের লেখক হিসেবে শরৎচন্দ্রই আমাকে বেশী টানে।

৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০৪

নাজমুল হাসান ০০১ বলেছেন: শরত বাবু আসলেই মাটির কাছের একজন লেখক।

৬| ২৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: আমিও ছোটবেলায় বই পড়া শুরু করেছিলাম তিন গোয়েন্দা দিয়ে...এরপর সেবার অন্যান্য বই...জাফর ইকবাল...হূমায়ূন


এরপর লাইব্রেরীতে হঠাত শরত রচনাবলী চোখে পড়লো।
তারপর শুরু করলাম...


পোস্টে ++++++++++++++

৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০৫

নাজমুল হাসান ০০১ বলেছেন: আপনার সাথে আমার অনেক মিল, প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

৭| ২৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৭

বটের ফল বলেছেন: প্রথম শরৎচন্দ্র শুরু করেছিলাম দেবদাস এর হাত ধরে। ক্লাস ফোরে থাকার সময় কিনে দিয়েছিলেন বাবা। সেই থেকে শুরু।

রবীন্দ্রনাথ তাঁর জায়গায় মহিমান্বিত , কিন্তু মাটির কাছাকাছি যেতে হলে, নির্মল আনন্দ পেতে হলে শরৎচন্দ্রের কোনো বিকল্প আমি এখনো খুঁজে পাইনা।

অনেক অনেক ভালো থাকবেন নাজমুল হাসান ০০১

৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০৬

নাজমুল হাসান ০০১ বলেছেন: আসলেই সতিকারের শান্তির, আনন্দের পরশ শরত বাবুর লেখায় আমি খুজে পাই।
আপনিও অনেক ভালো থাকবেন, বটের ফল।

৮| ২৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: শরতবাবু তো এক সময় আমার সফর সঙ্গী ছিলেন

৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০৯

নাজমুল হাসান ০০১ বলেছেন: শরত বাবু আমার আজীবনের সফর সঙ্গী।

৯| ২৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

মুক্ত বিহঙ্গ আমি বলেছেন: আমিও শরৎ ভক্ত ।

৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১১

নাজমুল হাসান ০০১ বলেছেন: আমিও তার চরম ভক্ত, ভালো থাকবেন বিহঙ্গ।।

১০| ২৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

নেক্সাস বলেছেন: খুব ছোটবেলায় শরৎচন্দ্র পড়া শুরু করেছিলাম। কি অদ্ভুত ব্যাপার আজো পড়ি। শরৎচন্দ্রের কথা সাহিত্য নেশার মত টানে।

আমার মতে এমন উৎকৃষ্ট কথা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যে আর কেউ লিখতে পারেন নি। শরৎচন্দ্রের লিখা পড়ে মনে হয় যে জিনিসটা পড়লাম ঠিক সেটা আমার চোখের সামনে ঘটে গেছে কিন্তু সেটা আমি এমন সুন্দরে করে বলতে পারিবোনা। যাপিত জীবনের সুখ দুঃখ হাসি কান্না প্রেম বিরহ সমাজ নীতি- অনীতি, সংস্কার- কুসংস্কার শরৎচন্দ্রের লিখায় জীবন্ত হয়ে ধরা পড়ে। যখন শরৎচন্দের লিখা পড়ি তখন আমি নিজেই গল্পের পটভূমিতে হারিয়ে যাই। মনে হয় সব কিছু আমার চোখের সামনে ঘটছে।


ধন্যবাদ লিখাটির জন্য।

৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১৩

নাজমুল হাসান ০০১ বলেছেন: আসলেই শরত বাবুর লেখাগুলো যেন নিজের চোখের সামনে ভাসতে থাকে, নিদারুন বাস্তবতার রুপ নিয়ে।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, অনেক সুন্দর এবং গুছানো কমেন্ট এর জন্য, ভালো থাকবেন।

১১| ২৯ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: শরৎচন্দ্র বাংলা সাহিত্যের প্রথম জনপ্রিয় লেখক। আমি ক্লাশ থ্রিতে থাকাকালে পড়ে ফেলি তার উপন্যাস 'চরিত্রহীন'। কিছু না বুঝলেও ভাষাটা কেমন যেন নেশার মতো টানছিল।

৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১৫

নাজমুল হাসান ০০১ বলেছেন: বলেন কি ক্লাস থ্রিতে থাকার সময় !!
আমি ক্লাস নাইনে থাকার সময় প্রথম পড়ি শরত বাবুর লেখা।
শরত বাবুর লেখা আজো আমাকে নেশার মত টানে এবং দুর্নিবার তার আকর্ষণ।
ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.