নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

থামেনি ভাবনা গুলো, এলোমেলো; যন্ত্রনা নেই, স্বস্তি নেই, শান্ত ভাবনারা সব। ছুটছে ছুটছে ছুটছে- বিরামহীন.

নুরুল আমিন খোকন

থামেনি ভাবনা গুলো, এলোমেলো; যন্ত্রনা নেই, স্বস্তি নেই, শান্ত ভাবনারা সব। ছুটছে ছুটছে ছুটছে- বিরামহীন.

নুরুল আমিন খোকন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিঃসঙ্গ ললনা

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪




পড়ন্ত বিকেলে ছাদ থেকে অাকাশ দেখতে খুব লাগে, তাই সময় পেলেই ছাদে যায়। ডুবন্ত সূর্য কে ছাদ থেকে দেখলে অপরূপ লাগে। সূর্য ডুবা অবদি দাঁড়িয়ে থাকতাম। পাশে ছাদে একটি মেয়ে ঠিক ভালো করে বোঝা যাচ্ছে না। চেহারা টা বুঝা না গেলেও অামি ঠিকই অনুমান করলাম সেই মেয়ে, যাকে কিছু অাগে অামি হারিয়ে ফেলছি।
নতুন যখন এই বাসায় উঠি তখন প্রতিদিন বিকেলে ছাদে অাসতাম অাকাশ দেখতে। কয়েকদিন যেতে না যেতে পাশে ছাদের এক ললনা কে দেখতাম বিকেল ফুল গাছে পানি দিতে। অামি যখন ছাদে থাকি মেয়েটিও থাকতো। ফুল গাছে পানি দিয়ে ছাদের এক কোণে দাঁড়িয়ে থাকতো। মাঝে মধ্যে এদিকে ওদিকে তাকাতো। অামি তেমন টা তাকাতাম ওর দিকে, বলতে পারি অামি এক প্রকার অাকাশের জন্য পাগল। অাকাশ দেখতে দেখতে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হতো।তারপর অামি নেমে অাসতাম অামার রুমে।তবে কখনো দেখা হতো না মেয়ে টা কতক্ষণ পর্যন্ত ছাদে থাকতো।
একদিন সন্ধ্যা অবদি ছাদে দাঁড়িয়ে অাছি পাশের ছাদের সে ললনা ও অাছে। তবে প্রতিদিনের চেয়ে অাজ থাকে বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে? ডুবন্ত সূর্যের স্বর্ণালী অালেতে ললনার মুখখানি সন্ধ্যা প্রদীপের মতো ঝলঝল করছে। ললনা এমনটি সুন্দর না অামি ভুল দেখছি।অামি একদৃষ্টি তে তার দিকে তাকিয়ে অাছি। তবে ললনা তা দেখেও কিছু বলছে না। অনেক দিন ধরে তো দেখছি এই সুন্দর ললনাকে। তবে অাজ মনে হচ্ছে তাকে প্রথমবার দেখছি।
হঠাৎ মোবাইলেরর রিং এ দৃষ্টি সরে গেল। মা ফোন করতেছে রুম থেকে। রিং কেটে দিয়ে টাইম দেখলাম ৬:৪৫ মি। অার কোন দিকে না তাকিয়ে রুমে চলে এলাম। অাজ কিছু খেতে ইচ্ছে করছে না যদিও টেবিলে মা নাস্তা রেখে গেছে। চা শরবত হয়ে গেছে। একচুমুকে শরবতের মতো গঠগঠ করে গিলে ফেললাম।
রান্না ঘর থেকে মা ডাকছে। গেলাম মা'র কাছে।
-ছাদ থেকে কাপড় এনেছিস?
-না।
-না কেন? এতোক্ষন ছাদে কি করতেছিলি? শুধু অাকাশ দেখলে হবে? কি এক ছেলে দেখলাম।সামন্য একটা কাজ তাও মনে থাকে না। কি যে হবে একে নিয়ে?

মা প্রায় সময় এমন করে একটা কাজ না করলে অাগের সবগুলো কথা দেখায় দে। বার বার শুনতে শুনতে এখন অার খারাপ লাগে না। অাগে খারাপ লাগতো। মা হয়েছে তার বারার মতো মানে অামার নানার মতো।ওনি নাকি কাউকে কিছু বলতে গেলে পুরানো গুলো সহ শুনিয়ে দে। তবে মানুষ টা কে অামার খুব ভালো লাগে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার। রাগ অনেক কমে গেছে।শুনেছি মানুষ নাকি বৃদ্ধ হলে জগড়াটে হয়ে যায়,অল্পতে রেগে যায়। কিন্তু ওনি এখন সম্পূর্ণ বিপরীত। অাগে অামরা কেউ ভয়ে ওনার পাশে ঘেষতাম না। অার এখন ওনি অামি শহর গেলে অস্থির হয়ে যায় গল্প করার জন্য। তবুও যে যাই বলুক বৃদ্ধ কে অামার খুব ভালো লাগে।
ছাদে উঠেই একপ্রকার অবাক হলাম ললনা এখনও অাছে ছাদে! তবে সে অাগের জায়গায় নেই উত্তর কোণ থেকে সরে অামি কোণে দাঁড়িয়ে প্রতিদিন অাকাশ দেখি সে কোণে তাদের ছাদে দাঁড়িয়ে অাছে।
ছাদে ও একা কি করে? তাছাড়া একটা বিষয় অামাকে রীতিমত অাবাক করে দেয় তাহল ঐ মেয়েটি কে ছাড়া অার কাউকে তাদের ছাদে উঠতে দেখিনি। এমন কি কেউ কাপড় শুকাতেও না।
(চলবে.......)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.