![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সরকারের নতজানু ও অদুরদর্শিতার কারণে দেশের নিরাপত্তা প্রতিমুহূর্তে হুমকির মুখে পড়ে রয়েছে। দেশের তিনদিক ভারত দ্বারা বেষ্টিত। প্রতিনিয়ত আমাদের সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলার অগনিত মানুষকে শহীদ করছে।প্রায় প্রতি মাসেই নির্বিচারে গুলি করে ও ধরে নিয়ে যেয়ে পিটিয়ে আমাদের দেশের সীমান্তের জনগনকে শহীদ করছে। বাংলাদেশের কোনও সরকারই সন্ত্রাসী বিএসএফের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পারিনি। এখনও নূন্যতম নিরাপত্তা দিতে পারছে না সরকার। এমতাবস্থায় টিকফা চুক্তি যখন সম্পাদন হবে, তখন বাংলাদেশের অবস্থা দাঁড়াবে একটি কলোনীর মতো। পাকিস্তানের দিকে নজর দিলে বিষয়টি সহজেই বুঝা সহজ হবে। কথিত সন্ত্রাসনিধনের নামে ড্রোন হামলা করে হাজার হাজার পাকিস্তানী মানুষকে শহীদ করছে আমেরিকা। ইতোমধ্যে পাকিস্তানে আমেরিকারই পালিত সন্ত্রাসী লাদেনকে নিয়ে যে ঘটনা ঘটে গেছে তা সবারই জানা। সন্ত্রাসী লাদেনকে হত্যা করার জন্য সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি দেশটির অভ্যন্তরে অভিযান চালিয়েছিল। অথচ এ বিষয়টি পাকিস্তানের সরকার বা কেউ জানত না।
এ বাস্তব সত্য থেকে বলা যায়- বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার টিকফা চুক্তি হলে- এ ধরনের কোনো ঘটনার ক্ষেত্রে অথবা নিজেরা বাংলার মুসলমানকে শহীদ করার জন্য সন্ত্রাসী কিলার বাহিনী দাড় করিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপ করবে কারো কোনো তোয়াক্কা না করে। শহীদ করবে হাজার হাজার নিরাপরাধ বাংলার মানুষকে। আর আমেরিকার সে হস্তক্ষেপের বিরোধীতা করা বা প্রতিরোধ করার কোনো ক্ষমতা বাংলাদেশের সরকারের থাকবে না। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নামে মাত্র থেকে দেশ হবে আমেরিকার একটি কলোনী। হুমকির মুখে পড়বে হাজার হাজার মা-বোনদের ইজ্জত তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
©somewhere in net ltd.