নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তিতুমীর

”সব রাজাকারদের বিচার চাই”

কিলার অফ রাজাকার

আমি একা

কিলার অফ রাজাকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাদকাসক্ত অবস্থায় এবং প্রসাব দিয়ে অযু করলে যদি ফরয নামাজ না হয় তাহলে বেপর্দা হয়ে এবং হারাম ছবি তুলে কিভাবে হজ্জ হবে?

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪২





হজ্জ একটি ফরয ইবাদত। আর এ হজ্জ পালন করতে গেলে তার নিয়মকানুন পুরোপুরি মানতে হবে। পুরন করতে হবে পূর্বশর্ত। যেকোনও ইবাদত পালন করার আগে তার শর্ত পূরণ করতে হয়। শর্ত পূরা না হলে সে আমল কখনও কবুলযোগ্য হয়না। আরও উল্টো শাস্তি হয়। যে সম্পর্কে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা কিতাবের কিছু হুকুম মানবে আর কিছু হুকুম মানবে না অর্থাৎ অস্বীকার করবে? যে ব্যক্তি এরূপ করবে তার পরিণাম হচ্ছে, সে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছিত হবে এবং পরকালে কঠিন আযাবের সম্মুখীন হবে। আর খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের আমল সম্পর্কে খবর রাখেন”।

উপরোক্ত আয়াত শরীফে স্পষ্ট ঘোষনা করা হয়েছে,” নিজের ইচ্ছামত বা যুগের সাথে ইচ্ছামত মিলিয়ে কিছু কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ মোতাবেক আর কিছু বিধর্মীদের মোতাবেক আমল করলে চলবে না। পরিপূর্ণ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হালালের সাথে হারাম সংশ্লিষ্ট করতে পারবে না। যদি কেউ হালালের সাথে কিছু হারামের মিশ্রন ঘটায় তাহলে সে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছিত হবে এবং পরকালে কঠিন আযাবের সম্মুখীন হবে।



উদাহরণ হিসেবে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা যেতে পারে।

(ক ). নামাজ একটি ফরয ইবাদত। কিন্তু আমি যদি ফরয ইবাদতের দোহাই দিয়ে বা নামাজ না পড়ার ভিয়াবহ শাস্তি বর্ননা করে বলি যে ক্বিবলামুখী না হয়ে নামাজ পড়লে অসুবধা হবে না, নামাজ পড়লেই হবে তাহলে কি আসলে তার নামাজ হবে?

(খ). পানি না পেয়ে যদি ওযু পানির পরিবর্তে প্রসাব দিয়ে করি তাহলে কি নামাজ হবে?

(গ). টাকা পয়সার অজুহাতে জায়নামাজ কিনতে পারিনি বিধায় নামাজ পড়ার জায়গায় যদি কিছু মল-মূত্র থাকে তাহলে কি নামাজ হবে?

(ঘ). দুপুরে জরুরী কাজের দোহাই দিয়ে আমি যদি যোহরের নামাজ সকালে আদায় করতে চাই তাহলে কি নামাজ হবে?

(ঙ). মাদকাসক্ত অবস্থায় কি ফরয নামাজ পড়লে আদায় হবে?

(চ). সুদের টাকা দিয়ে মসজিদ তৈরি করলে সেখানে কি নামাজ হবে?

(ছ). হারাম খাদ্য খেয়ে যদি নামাজ আদায় করতে চাই তাহলে কি নামাজ হবে?

(জ). পোশাক যদি অপবিত্র হয় তাহলে কি ফরয নামাজ আদায় হবে?

(ঝ). আয়াত শরীফ আরবীতে পড়তে না পারার অজুহাত দিয়ে বাংলায় অর্থ করে পড়লে কি ফরয নামাজ আদায় হবে?

এরকম হাজারো বিষয় আছে যেগুলোর কারনে ফরয নামাজ ফরয হলেও আদায় হবে না। শুধু গায়ের জোরে বা লোক দেখানো আদায় করা যেতে পারে। কিন্তু আল্লাহ পাক কখনও কবুল করবেন না। বরং এভাবে আদায় করার পরও নেক্বী না দিয়ে আরও শাস্তি বাড়িয়ে দিবেন।

যদি নামাজের ক্ষেত্রে এমন হয় তাহলে আরেকটি ফরয আদেশ পর্দা লঙ্ঘন করে, হাদীছ শরীফে বর্নিত ছবি তোলা নিষেধ থাকার পরও ছবি তুলে কিভাবে হজ্জ হতে পারে? কোথায় আছে যে হারাম কাজ করে এবং আরেকটা ফরয তরক করে হজ্জ করা যাবে? শুধু হজ্জ কেন কোনও ইবাদতই হারামে নিমিজ্জিত থেকে বা হারাম পন্থায় আদায় করা যাবে না। আর হজ্জের বেলাই যদি বলেন হারাম কাজ থাকলেও হজ্জ হবে তাহলে উপরোক্ত কারনে নামাজ কেন হবে না? মূলত আল্লাহ পাক যেভাবে হ্জ্জ করতে বলেছেন ঠিক সেভাবেই করতে হবে। হারামের সামান্যতম সংমিশ্রন রাখা যাবে না। নিম্নোক্ত আয়াত শরীফ আমরা খেয়াল করলেই আমরা বুঝতে পারবো ইনশাআল্লাহ।



পবিত্র হজ্জ উনাকে পালন করা প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যার উপর পবিত্র হজ্জ উনাকে পালন করা ফরয সে যেন পবিত্র হজ্জ উনাকে পালন করতে গিয়ে নির্জন অবস্থান ও তার সংশ্লিষ্ট কোন কাজ না করে এবং বেপর্দা-বেহায়ামূলক কোনো কাজ না করে এবং কোনো প্রকার ফাসিকী বা নাফরমানিমূলক কাজ না করে এবং ঝগড়া-বিবাদ না করে।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯৭)

তাই সকল মুসলমান উনাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী ছবি ব্যতীত ও পর্দার সাথে পবিত্র হজ্জ উনাকে পালন করা। গায়ের জোরে বেপর্দা হয়ে এবং হারাম ছবি তোলে হজ্জ করলে আরও কঠিন শাস্তি হবে। যা আমরা বর্তমান হাজিদের দিকে তাকালেই দেখতে পাই।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

বাহলুল বলেছেন: বেকুব দেখি আজকাল গাছেও ধরে। এদের জন্মহার এত বাড়ল কিভাবে বুঝিনা। আজিব।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

কিলার অফ রাজাকার বলেছেন: যারা মূর্খ তারা প্রকৃত ইসলাম মানতে চায়না। জামাত শিবিরের আর সৌদির ইহুদী সরকারের ইসলাম মানতে চায়। যারা মদের আগে ইসলাম লাগিয়ে জায়িজ বলতেও দ্বিধা করবে না।
আর কোথায় আছে একটা ফরয তরক করে আরেকটা ফরয পালন করা যাবে? কোথায় আছে হাজার হাজার কবিরা গুনাহ করে ফরয করা যাবে?

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

রাতুল রেজা বলেছেন: আপনার কিছু কথার সাথে সহমত যে ইবাদত হল শর্তযুক্ত, নামাজ পড়ার শর্ত পালন করে নামাজ পড়লেই সেটা এবাদত হবে নতুবা হবেনা। কিন্তু হজ্জের ব্যাপারটা এখন ছবি না তুললে পাসপোর্ট হয়না, পাসপোর্ট না হলে যে দেশে মক্কা শরিফ রয়েছে সেই দেশ ঢুকতে দেবেনা, এমন অবস্থায় কি করার আছে? এটা তো আর যে হজ্জে ভাবে তার দোষ না।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১০

কিলার অফ রাজাকার বলেছেন: এজন্য উভয় সরকারকে বাধ্য করতে হবে হজ্জ অবস্থায় পর্দার এবং ছবিবিহীন ব্যবস্থা করতে।
কেননা হ্জ্জ যেমন ফরয তেমন পর্দা করাও ফরয। আর ছবি তুলা কবিরা গুনাহ ও হারাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.