![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নাম যতই লম্বা হোক, কথা আমার শর্টকার্ট
বাচ্চু রাজাকারের রায়ের মাধ্যমে আমাদের ঐতিহাসিক দিনের তালিকায় আরেকটি পালক যুক্ত হলো গতকাল। এভাবে বাঙ্গালীর ঐতিহাসিক দিনের সংখ্যা বেড়ে চলছে এবং শীঘ্রই তা ৩৬৫ দিনকে ছাড়িয়ে যাবে আশা করা যায়। পাশাপাশি আশঙ্কাও হয় আমাদের ভবিষ্যতের নায়করা যখন আবার নতুন করে ঐতিহাসিক দিবস সৃষ্টি করবেন তখন যদি বর্তমানের ইতিহাসগুলুকে সত্যের মুখোমুখি হতে হয় সেক্ষেত্রে এর চেহারাটা বিবর্ণ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আর এজন্যই আনন্দের মিস্টিমুখওয়ালাদের মিস্টিগুলো দ্রুত হজম করে ফেলা উচিৎ, প্রয়োজনে হজমী খেয়ে হলেও।
এছাড়া গতকাল রায়-এর পর হতে আজ পর্যন্ত ফেসবুকসহ বিভিন্ন ওয়েবে বাচ্চু মিয়ার পক্ষে বিপক্ষে লেখা আসছে এবং আসবেও অবিরাম। এখানে দুটো বিষয় লক্ষণীয়-
১. যারা উনার পক্ষে বলছেন তারা তাদের পরিচয়কালীন সময়ে উনার কর্মকাণ্ডের উপর ভিত্তি করে মন্তব্য করছেন। অরিজিনালি ভদ্র/অভদ্রলোকটি কখনও ৭১-এর ২৫ মার্চ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালীন তার কর্মকাণ্ডের ডায়েরি জনতার সমানে শেয়ার করেনি।
তাই শুধু বতর্মানের উপর ভিত্তি করে কারও অতীত বিশ্লেষণ করা অবাস্তব।
২.পক্ষান্তরে যারা উনার বিপক্ষে বলছেন তারাও জানেন না ৭১-এ 'রাজাকার' 'আলবদর' 'আল শামস' ইত্যাদি বাহিনী এবং 'শান্তি কমিটি' (যারা পাক হানাদার বাহিনীর যুদ্ধাপরাধের প্রত্যক্ষ সহযোগী ছিল) কবে কোথায় কীভাবে গঠিত হয়েছিল, এসবের নেতৃত্বে কারা ছিল, তাদের অপরাধের সীমা কতটুকু ছিল নাকি আদৌ ছিল কি না। কারণ, ৭১-এর ইতিহাস নির্মাতারা সেসব কখনও আমাদের জানাননি এবং জানাবেনওনা।
তারা আমাদের শুধু বুঝিয়েছেন সমকালে যারা বা যে দলগুলো তাদের আদর্শিক বা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছেন তাদের দুনিয়া থেকে সরিয়ে না ফেললে সমস্যা আছে। আর তাই ৭১-এর কলঙ্কের সাথে এদের জড়িয়ে ফেলে দ্রুত বিচারকার্য মঞ্চস্থ করা উচিত। আর আমরাও সেটাকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মনে করে ব্যাপক হারে নেচে যাচ্ছি।
আমাদের মনে রাখা দরকার অতীতের সরকারগুলো একাজটি করতে না চাইলেও বর্তমান সরকার অবশেষে তা করলেন এজন্য যে কালের আবর্তে এই লোকগুলো তাদের রাজনীতির জন্যে হুমকি হয়ে উঠেছেন। সুতরাং 'বন্ধুর শত্রু শত্রু, অথবা শত্রুর বন্ধু শত্রু' এই সুত্র মিলে যাওয়ায় সরকারের জন্যে কাজটি করা সহজ হলো, ১৯৯৪ হতে ২০০১ সাল পর্যন্ত যেটা সম্ভব ছিল না।
কিন্তু এ বিচারের জন্যে যারা আন্দোলন করেছেন, জেল খেটেছেন, আমাদের মতো তরুণদের উদ্ভূদ্ধ করেছেন (আমরাও নানাভাবে তাদের ব্যাপক ভক্ত), মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে ব্যবসাকারী এসব মহাজনদের বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির আদেশের পর যেমনি করে বিজয়সূচক ভি চিহ্ন দেখাতে, মিস্টি খেতে এবং খাওয়াতে দেখা যায়, একইভাবে তাদের আবার রাষ্ট্রের ক্ষমাপ্রাপ্ত বা মামলা প্রত্যাহারের মাধ্যমে পুরুস্কৃত সমকালের ভয়ানক সব খুনি, ধর্ষক আর লুটেরারাদের সাথেও এক হয়ে ভি চিহ্ন দেখাতে, মিস্টি খেতে, খাওয়াতে এবং টকশোতে বসে ওদের পক্ষে উকালতি করতে দেখি।
কিন্তু ইদানিং ব্লগে এবং রাজপথে সচেতন হয়ে উঠা তরুণ-তরুণীদের কাউকেই এদের মুখ বা মুখোশ উন্মোচন করার মানসিকতা দেখি না।
২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
নামটা একটু লম্বা বলেছেন: জ্বি ইতিহাস পড়ছি এবং পড়তেই থাকবো। তবে আপনিও জানেন গল্প উপন্যাস ইতিহাস নয়। রাজাকারদের কীর্তির উপরে অনেক বই আছে, যার মুটামুটি সবগুলোই পড়া আছে, কিন্তু এগুলোর কোনটাতেই আমার প্রশ্নের উত্তর নেই, কারণ সত্যের মুখোমুখি হওয়াটা ঐসব লেখকদের চীরকালের ভীতি । মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার দরকার হয়না, দরকার হয় দালালদের তালিকার। কিন্তু সেটা করবে কে শরষের মধ্যেইতো ভূত আছে। স্বীকার করলেন তাহলে যে, 'গ্রামগঞ্জে সবাই জানে একাত্তরের ঐ নয়মাস কোন চু**** বেটা কোথায় কি করেছে।'
"একাত্তরের ঘাতক-দালালরা কে কোথায়"। বইটা পড়েছি, ওখানে আমাদের প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই, আছে লেখকের আদর্শিক প্রতিপক্ষের প্রতি তীব্র আঘাত, যে আঘাতে সত্য লণ্ডভণ্ড। আর আছে পরিমল, মানিক আর বিকাশদের রক্ষার জন্যে আল্লামাদের ঢাল বানিয়ে ব্যবহারের নিরন্তর চেষ্টা ।
সুতরাং ইতিহাস জানার জন্যেই সত্যকে খুঁজি আর দেখি 'যারা এদের বিরুদ্ধে বলেন, আর এরাও যাদের বিরুদ্ধে বলেন' সেখানে শীতকালের শৈত্যপ্রবাহ ছাড়া আর কোনও সত্যের লেশ মাত্র নেই। আর তাই ঐসব মহাজনদের কথা বুঝতে সুবিধার দরকার হয়না, এমনিতেই বুঝা যায়।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
নিষ্কর্মা বলেছেন:
ইতিহাস পড়বেন, রাজাকারদের কীর্তির উপরে অনেক বই আছে। দুঃখের কথা হল, আমার একচল্লিশ বছর ব্যস্ত আছি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা নিয়ে, একটা রজাকারদের তালিকাও কিন্তু তৈরি হয় নাই। কেন তৈরি হয় নাই? কেননা গ্রামগঞ্জে সবাই জানে একাত্তরের ঐ নয়মাস কোন চু**** বেটা কোথায় কি করেছে।
রাজাকারের লিস্ট করার দরকার নাই। একটা বই আছে, "একাত্তরের ঘাতক-দালালরা কে কোথায়"। সেইটা পড়লেও অনেক কিছু জানা যাবে। জানা যাবে যারা আজেক আল্লামা তারা সেই সময়ে ছিল একেকটা পরিমল, একেকটা মানিক, একেকটা বিকাশ।
সুতরাং নিজদের ইতিহাসকে আগে জানুন, তা হলে যারা এদের বিরুদ্ধে বলেন, তাদের কথা বুঝতে অনেক সুবিধা হবে।