![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নাম যতই লম্বা হোক, কথা আমার শর্টকার্ট
" মতিঝিলের ঘটনা নিয়ে অপপ্রচার চলছে। সেদিন কোনও গুলাগুলি বা হতাহতের ঘটনা ঘটে নি। হেফাজতের কর্মীরা সেদিন সেই দিন মতিঝিলে গায়ে রঙ লাগিয়ে পড়ে ছিলো, পুলিশ গেলে ‘লাশ’ উঠে দৌড় মারলো।"
আজ জাতীয় সংসদে সরকারীদল এমনভাবেই মতিঝিলের ৬ইমের ঘটনার বিশ্লেষণ করেছেন।
কিন্তু এধরণের মিথ্যাচারের জবাবে কি এমন মিথ্যাচার কেউ করবে?
''২০০৪ সালের একুশে আগস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর (তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা) সমাবেশে আইভি রহমানরা গায়ে রং মাখিয়ে বসেছিলেন বা বোমাবাজদের দৌড় খেয়ে পালিয়ে গেলেন।''
বা তৎকালীন সরকারের জজ মিয়া নাটক কি কেউ বিশ্বাস করেছিল?
যদি রাতের সাথে দিনের কথার মিল না হয় তাহলেতো এটাও বলা যাবে না যে, ''১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধূ ও তার পরিবারের সদস্য বৃন্দ বা ২০১১ সালে সাংবাদিক সাগর সারোয়ার এবং মেহেরুন রুনি রাতের বেলায় গায়ে রং মাখিয়ে শুয়ে ছিলেন। আর শেষ রাতে খুনিদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে গেলেন।''
কোনও হত্যাকাণ্ড নিয়ে এধরণের উপহাস করা আমাদের রাজনীতিতে পুরোনো অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়েছে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, সিরাজ শিকদার নিহত হওয়ার পর এদেশের পার্লামেন্টেই বলা হয়েছিল, 'সিরাজ শিকদার আজ কোথায়?'
কর্ণেল তাহেরকে বিচারের মোড়কে হত্যার পরও নাতি এরকম কৌতুক পরিবেশন করা হয়েছিল। কিন্তু ইতহাস কি কাউকে ক্ষমা করেছে?
২১ বছরের অন্দোলন শেষে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় পূনর্বহাল হয়ে বাংলাদেশ অওয়ামীলীগ মুশতাকের তৈরী করা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধুর সেদিনকার বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের বিচার শুরু করে, এবং ২০১০ সালে খুনিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করে।
সুতরাং মতিঝিলে সেদিন যে জঘণ্য হত্যাকাণ্ড হয়েছিল, ক্ষমতার মদমত্ততায় সেটা অস্বীকার করা বা এ নিয়ে উপহাস করা কারও জন্যই অনাগত ভবিষ্যতে শুভবার্তা বয়ে আনবে না।
বাংলার মাটিতে কোনও না কোনো একদিন এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দাতা, পরিকল্পণাকারী এ বাস্তবায়নকারীদের পাশাপাশি যদি আজকের এই পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে এই হত্যার পক্ষে সাফাই গাওয়া ব্যক্তিদেরও বিচারের দাবি উঠে সেটাতো মনে হয় কোনও অন্যায় আবদার হবে না।
২০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭
নামটা একটু লম্বা বলেছেন: গোছায়া গাছায়া লন বেশি দিন পাইবেন না সময়
আলামত দেখতাছি মানুষের অইবোই জয়।
২| ১৯ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫
মদন বলেছেন: ক্ষমতার দম্ভে মানুষ অনেক কিছুই বলে, কিন্তু ইতিহাস তাকে ক্ষমা করে না।
২০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
নামটা একটু লম্বা বলেছেন: গোছায়া গাছায়া লন বেশি দিন পাইবেন না সময়
আলামত দেখতাছি মানুষের অইবোই জয়।
কলিমুদ্দিনের পোলা চিডি দিয়া জানাইছে, --- ‘ভাই
আইতাছি টাউন দেখতে একসাথে আমরা সবাই,
নগরের ধাপ্পাবাজ মানুষেরে কইও রেডি অইতে
বেদম মাইরের মুখে কতোক্ষন পারবো দাঁড়াইতে।‘
৩| ১৯ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭
জহির উদদীন বলেছেন: প্রধানমন্ত্রীর সর্ব বিষয়ে উপহাসকৃত কথা ও কটাক্ষ করা আগামী নির্বাচনে ভরাডুবির অন্যতম কারণ হবে.....
২০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২
নামটা একটু লম্বা বলেছেন: গোছায়া গাছায়া লন বেশি দিন পাইবেন না সময়
আলামত দেখতাছি মানুষের অইবোই জয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সুতরাং মতিঝিলে সেদিন যে জঘণ্য হত্যাকাণ্ড হয়েছিল, ক্ষমতার মদমত্ততায় সেটা অস্বীকার করা বা এ নিয়ে উপহাস করা কারও জন্যই অনাগত ভবিষ্যতে শুভবার্তা বয়ে আনবে না।
বাংলার মাটিতে কোনও না কোনো একদিন এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দাতা, পরিকল্পণাকারী এ বাস্তবায়নকারীদের পাশাপাশি যদি আজকের এই পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে এই হত্যার পক্ষে সাফাই গাওয়া ব্যক্তিদেরও বিচারের দাবি উঠে সেটাতো মনে হয় কোনও অন্যায় আবদার হবে না।
কিন্তু ক্ষমতার রঙিন চশমায় এই সত্য এই অনুভব ধরা দেয় না....
তাই এভাবেই চলছে।
ইতিহাসের শিক্ষা ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষ নেয়নার হাত ধরে.....