![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নাম যতই লম্বা হোক, কথা আমার শর্টকার্ট
বিংশ শতাব্দীর শেষ দিককার কথা। ধরলাম ১৯৯২-৯৭ সাল। সময়ের হিসেবে নেহাত কম নয়। আমাদের গ্রামের বাজার হাট বসত সপ্তাহে দুই দিন। শনি আর মঙ্গলবার। আব্বু বাজার থেকে ফিরলেই ব্যাগ খুলে দেখতাম কী মাছ কিনেছেন! সাধারণত: রুই, মৃগেল, ইলিশ, কালি বাউশ, চাপিলা বা কাচকি, অর্থাৎ যে মাছগুলো সচারচর ধরতে পাওয়া যায় না সেগুলোই কিনতেন।
তাও চাকুরীজীবী বলেই আব্বুকে মাছটা কিনে খেতে হতো। কারণ, দুই শ্রেনীর লোক তখন মাছ কিনতে দেখা যেত- এক. চাকুরীজীবী, দুই. বাদাইম্যা (বাপের টাকা খাওয়া অলস পুত্র)। বাজারে গেলে জেলেদের মুখে শুনতাম- 'এই মাস্টার সাবরে বড় মাছটা দে ত। কারণ, মাছ ধরে খাওয়ানোর মতো লোক তার ঘরে নাই।
অর্থাৎ মাছ কিনে খাওয়াটা তখন অবস্থাভেদে আভিজাত্য বা অলসতার লক্ষণ ছিল। কিন্তু এখন আর সেদিন কোথায়? মাছ কিনে খাওয়াটাই এখন মুখ্য। শুনেছি পুকুরে নাকি এখন বোয়াল মাছেরও চাষ হয়, ক'দিন পর হয়তো ইলশেরও হবে। আমার বয়সে এসে আমার অনাগত সন্তানের জন্য চলতি বর্ষার শেষ দিকে চাচাত ভাইকে নিয়ে মাছ ধরার এরকম দৃশ্য হয়ত হবে শুধুই স্মৃতি।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪০
রাখালছেলে বলেছেন: