![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নাম যতই লম্বা হোক, কথা আমার শর্টকার্ট
আমাদের অংক পরীক্ষার্থী বন্ধুরা আবার পরীক্ষা দিতে বসে গেছে। এবারো তারা পাশ না করা পর্যন্ত পরীক্ষা ছেড়ে উঠবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে।
একটা কথা বলে রাখি- আমাদের প্রধান পরীক্ষক সাহেব প্রায়ই তার এক ছাত্রীকে নিয়ে কটাক্ষ করেন, যে কিনা অনেকদিন আগে মেট্রিক পরীক্ষায় শুধুমাত্র উর্দ্দু আর অংকে পাশ করেছিলো। আর তাই পরীক্ষক সাহেবের এত খেদ। সব বিষয়ে ফেল মারলেও অংকে সে পাশ করল কীভাবে ?
পক্ষান্তরে আমাদের বন্ধুরা নিজেদের সাজানো গোছানো কেন্দ্রে, অনুকূল পরিবেশে, যেখানে কিনা পরিদর্শকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, দেদারসে রসদ সরবরাহ হয়, পরীক্ষার সময়ও অনন্ত, বিষয়ও মাত্র একটি- অংক; তারপরও উত্তীর্ণ হতে পারছে না। কেন?
একবার বলা হলো, 'বাবারা সূচনা আর উত্তরটা মিলিয়ে লিখে দাও, অংক হয়ে যাবে।'
পরীক্ষক বললেন, 'অংকের বডি লাগবে তো!'
প্রধান পরীক্ষক বললেন, 'বডি একটা হলেই হলো, উত্তর মিলেছেতো! এছাড়া পরীক্ষার্থীদের মনোভাব দেখে পরীক্ষকদের পাশমার্ক দেয়া উচিৎ।'
যাক, পরীক্ষার্থীরা আপাতত: পাশ করলেন বলে মনে হলো।
ক্রমে ফলাফলের দিন-ক্ষণ ঠিক হয়ে গেল। পরীক্ষার্থীরা আবার কেন্দ্রে জড়ো হলেন। এবার ফলটাও প্রকাশ হয়ে যাবে মনমতো।একটু গোল বেঁধে গেল বটে। তাতে সমস্যা কী? আজ হয়নি, কালতো হবে।
যদিও এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক কম, পরিবেশটাও বেম ম্যারম্যারে। আর রসদের যোগানদাতারা বসে গেছেন অন্য হিসেব মিলাতে।
তারা কেবলই ভাবছেন, আজকাল করে সময়ও বয়ে চলবে। একদিন প্রধানসহ বাদবাকী পরীক্ষকরা বদল হবে। খাতা আবার দেখা হবে।
সূচনা আর উত্তর মিলিয়েই কি শুধু অংকে পাশ করা যাবে, বডিতে যে গোলমাল রয়েই গেল!
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩১
মদন বলেছেন: বাঁশের গায়ে এতো কঞ্চি রেখে বাঁশ দেয়া কি ঠিক?