নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজকে এলাম

নামটা আমার লম্বা বটে তবে কথা বলি শর্টকার্ট

নামটা একটু লম্বা

নাম যতই লম্বা হোক, কথা আমার শর্টকার্ট

নামটা একটু লম্বা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একবিংশ শতাব্দীর রাজনীতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিবারতন্ত্র

১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:০৩

একবিংশ শতাব্দীর রাজনীতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিবারতন্ত্র ও সাত ভাই চম্পার ইতিকথা।

১. শ্রীলংকা দ্বীপে একদা অনেক কিছু ঘটিল। মাতা শ্রীমাভো বন্দরনায়েকে প্রেসিডেন্ট, তো মেয়ে কুমারাতুঙ্গা কণ্যা চন্দ্রিকা প্রধানমন্ত্রী হইয়া বসিলেন। অসুখে শান্তিতে চক্ষু কর্ণ হারাইয়া মা-মেয়ে মেয়াদ পার করিলেন বটে, কিন্তু ইহার পর তাহারা মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষুধের মত ভাগাড়ে পড়িয়া গেলেন।

২. আরেক দ্বীপ ইন্দোনেশিয়ায়ও একদা সূকর্ণপুত্রী মেঘাবতীকে মোসাহেবগণ রাজনীতিতে পূণর্বহাল করিলেন। কালক্রমে তিনি দেশটির রাষ্ট্রপতিও হইলেন। ইহার পর রাজনীতি হইতেই হারাইয়া গেলেন।

৩. বাংলাদেশে ক্ষমতাশীন বিএনপি জিয়াপুত্র তারেককে জুনিয়র অবস্থাতেই সিনিয়র পদে বসাইয়া দিল। কালক্রমে ক্ষমতার পাঁচ বছর পূর্ণ হইল। ইহার পর তাহারা এমন মাইনকা চিপা, থুক্কু… মঈনুদ্দীন চিপায় পড়িলেন যে ২০০৮ এর নির্বাচন ক্রীড়ার পরে নিতান্ত করুণাক্রমে বিরোধী দল হইয়া বাচিয়া থাকিলেন বটে, কিন্তু পাঁচ জানুয়ারির পর মৃত্যুপথযাত্রী গণতন্ত্রের সহিত নিজেরাও শব যাত্রী হইবার উপক্রম হইলেন।

৪. পাকিস্তানে বোমা হামলায় বেনজীর ভুট্টোর বিয়োগান্তক মৃত্যুর পর দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে বসানো হইলো ত্বদীয় নাবালেগ পুত্র বিলওয়ালকে। পিপিপি নানান চড়াই উৎরাই মোকাবেলা করিয়া পূর্ণ পাঁচ বছরই ক্ষমতার স্বাদ আশ্বাদন করিল। কিন্তু ইহার পর নির্বাচনে যাহা হইল তাহাতে নিতান্ত ভাগ্যচক্রে আপাতত: বিরোধী দল হিসেবেই নিজেদের পরিচয় অবশিষ্ট রহিল।

৫. শ্যামদেশ থাইল্যান্ডে দেখিলাম থাকসিনের সুন্দরী ভগিনী ইংলাক বেশ ডাট পাট লইয়া প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হইলেন, কালক্রমে তিনিও এমনি ঠেলায় পড়িলেন যে, তাহার আর কোনও কূলই রক্ষা হইলো না।

৬. ব্রহ্মদেশ মিয়ানমারে সূচীকণ্যা অংসাং সাবালিকা হইতে যতই বৃদ্ধাশ্রমে যাওয়ার উপক্রম হইতেছেন, ততই তাহার বিরোধী নেত্রীর পদবীটা স্থায়ীত্ব পাইতেছে।

৭. এইবার গণতন্ত্রের স্বর্গদেশ ভারতের কথা বলিব। সেইখানকার উদারমনস্থ মা জননী সোনিয়া গান্ধীর পিতৃহীন বালক রাহুলকে কংগ্রেস-এর সাধারণ সম্পাদক করিয়া অসাধারণভাবে উপস্থাপন করা হইল।দশ বছর ক্ষমতার হালুয়া-রুটি চাটিয়া পুটিয়া খাইয়া যেইনা দলটি নির্বাচনে আসিল, তাহাদেরকে বিরোধী দলের আসনে বসাইতেও আর কাহারও করুণা হইল না। এইবার নাকি তাহারা আদালতে যাইবেন, শুনিতেছি সেইখানেও করুণা জিনিসটা বড়ই দূস্প্রাপ্য হইয়া পড়িবে।

আবার স্বদেশে ফিরিয়া আসি। সম্প্রতি এক সন্ধ্যায় কতিপয় পরিচিত বুড়া মোসাহেবকে দেখিলাম মন্ত্রমূগ্ধ হইয়া এক প্রয়াত পুরোহীত দৌহিত্রের কাছ থেকে গণতন্ত্র আর সমুদ্র রেখার দ্বীক্ষা লইতেছেন।দৌহিত্রও আপন মনে গণতন্ত্রের অন্তেস্টেক্রীয়ার আর কী কী লগ্ন বাকী আছে তাহার বিবরণ দিয়া উপস্থিত সবাইকে ধন্য করিতেছেন আর সমানে হাততালি কুড়াইতেছেন। দৌহিত্র তাহার জননীর সহিত এখনো দিবালোকেই সময় কাটাইতেছেন আর ভাবিতেছেন রাত্রি নামক কৃষ্ঞকায় মূহুর্ত তাহাদের জীবনে আর অসিবে না।

এক হইতে সাত পর্যন্ত সাত ভাইয়ের সাতটি গল্প বলিলাম, পরেরটা ফাও। এইবার চম্পাবতীর পালা।

সবাই অল্প-বিস্তর কোরাজান একুইনোর নাম শুনিয়া থাকিবেন। ফিলিপাইনের স্বৈরশাসক ইমেল-দা-মার্কোসের হাত হইতে গণতন্ত্র পূণরুদ্ধার করিয়াছিলেন তিনি। ইহার পর জোসেফ এস্ত্রাদা আর গ্লোরিয়া অরোয়ার প্রতারণায় পড়িয়া গণতন্ত্র যখন আবার পথ হারাইতে বসিয়াছিল, তখন সেই কোরাজান একুইনোপুত্র বেনিগোনো চম্পাবতীর মতই উড়িয়া আসিয়া ফিলিপাইনকে সঠিক ঠিকানায় পূন:স্থাপন করিলেন।

পরিশেষে আমি ঘটি রাণীকে হটাইয়া বায়ান্ন হাজার বর্গমাইলের ষোল কোটি ভাইকে রক্ষা করিতে কে হইবে বাংলাদেশের একবিংশ শতাব্দীর চম্পাবতী; সেই অপেক্ষায় গল্প অসমাপ্ত রাখিলাম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.