![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আড্ডা দিতে ভালোবাসি, বিনয়ী মানুষ কে অনেক শ্রদ্ধা করি। আর মিশুক লোক সবসময় পছন্দনীয়!
বকুল বেগম রাতে তাহাজ্জুদ নামায পড়ে তার গর্ভে থাকা সন্তানের জন্য প্রায় দোয়া করেন যাতে শিশুটি খুব মিষ্টি চেহারার হয় শারীরিক ভাবে সুস্থ হয়। চারদিকে যখন আঁধার নেমে আসে নিরব নিস্তব্ধতা প্রকৃতি, তখন তিনি তার গর্ভে থাকা সন্তানের সাথে কথা বলে বা কখনো হাসে কখনো গল্প শোনায়। দিন গড়িয়ে সময় চলে আসে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হবার। বকুল বেগমের স্বামী অনেক বড় আলেম তিনি এই অবস্থার মধ্যে দেশের বাইরে রয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল একটা প্রোগ্রামে। বকুল বেগম কে সহযোগিতা করার জন্য পাশের বাড়ির ২/৩ জন মহিলা চলে আসেন। আর বাসায় আছেন তার কিশোরী থেকে একদম ছোট ৪মেয়ে। একসময় তার প্রসব বেদনা শুরু হলো, আস্তে আস্তে সফল ভাবে তার একটি পুত্র সন্তান দুনিয়াতে ভূমিষ্ঠ হলো। খুব মায়া সেই চেহারায় ঘন চুল। তিনি সেই অসুস্থ অবস্থায় উঠে শিশুটিকে কোলে নিতে চাইলেন, যখন শিশুটিকে কোলে নিলেন আম্মা বলে এক চিৎকার দিয়ে উঠলো শিশুটি। সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখছে সদ্য জন্ম হওয়া শিশুটি তার মাকে চিৎকার করে ডেকে উঠলো। সেই মুহুর্তে তিনি বলে উঠলেন, আল্লাহ্ জানে হয়তো এই সন্তান আমাকে বেশীদিন মা বলে ডাকতে পারবে না। পাশে থাকা প্রতিবেশী এক মহিলা বলে উঠলো আহা, এমন অলুক্ষণে কথা বলবেন না ভাবী। নতুন ভাই হবার পরে বোনদের আনন্দের সীমা নেই, সবাই অনেক খুশী। সারাদিন ভাইকে নিয়ে বসে থাকে কতরকম কথা বলে আর শিশুটি ও ওদের দেখে হাসে। বাচ্চার বয়স যখন ১১ দিন, হঠাৎ প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন বকুল বেগম। সেই অসুস্থ অবস্থায় তার চারপাশে প্রতিবেশী দের ভীড়। একসময় তিনি একা একা দোয়া দুরুদ পড়ে, তার স্বামী তখনো দেশের বাইরে। এদিকে তার ছোট ছোট মেয়েরা মায়ের এই অবস্থা দেখে কাঁদতে থাকে। বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি, কালেমা পড়তে পড়তে একসময় ঘুমিয়ে পড়েন তিনি আর জেগে ওঠে না। আকাশ থেকে ভীষন বজ্রপাত হচ্ছে আর ছোট ছোট কিছু ছেলে মেয়ে মৃত মাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কাঁদছে। কোন কোন সময় মানুষের শোকে প্রকৃতি ও গভীর ভাবে শোকাতুর হয়ে ওঠে। সেই ১১দিনের শিশুটির কারনে তার মা পেয়ে যায় জান্নাতের পূর্ণ ঠিকানা। জীবন কারো জন্য থেমে থাকে না, সেই শিশুটি ও বড় হয় বোনদের ভালোবাসায় পৃথিবীর অনেকের ভালোবাসায়। তবে মা তার কাছে চিরজীবন আঁধার রাতের শুকতারার মতই দুরত্বে অবস্থান করে!!!
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:২৯
নষ্ট অতীত বলেছেন: প্রামানিক ভাই, অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়বার জন্য!
৩| ২৬ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫
কাবিল বলেছেন: স্বাগতম।
ভাল হইছে।
বিঃ দ্রঃ মন্তব্বের প্রতিউত্তর দেয়ার সমর সবুজ তীর চিহ্ন ক্লিক করে উত্তর দিন।
৪| ২৬ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭
নষ্ট অতীত বলেছেন: ধন্যবাদ, কাবিল
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫২
প্রামানিক বলেছেন: করুণ কাহিনী। ধন্যবাদ গল্প-এর জন্য।