নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

"সত্যিকার ঈমানদার ব্যক্তি হচ্ছে তারা, যারা আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসূলের ওপর ঈমান আনে, অতঃপর (আল্লাহ তায়ালার বিধানে) সামান্যতম সন্দেহও পোষণ করে না এবং জীবন ও সম্পদ দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে; এরাই হচ্ছে সত্যনিষ্ঠ।" {সূরা আল হুজুরাত, আয়াত ১৫}

মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী

"প্রত্যেক প্রাণীই মরণের স্বাদ ভোগ করবে ... এই পার্থিব জীবন কিছু বাহ্যিক ছলনার মাল সামানা ছাড়া আর কিছুই নয়।" {সূরা আল-ই-ইমরান, আয়াত ১৮৫} "সত্যিকার ঈমানদার ব্যক্তি হচ্ছে তারা, যারা আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসূলের ওপর ঈমান আনে, অতঃপর (আল্লাহ তায়ালার বিধানে) সামান্যতম সন্দেহও পোষণ করে না এবং জীবন ও সম্পদ দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে; এরাই হচ্ছে সত্যনিষ্ঠ।" {সূরা আল হুজুরাত, আয়াত ১৫}

মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিপ্রাপ্ত দল কোনটি?- ১ম পর্ব

০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:৫২

দুনিয়া পরকালের কর্মক্ষেত্র। দুনিয়ায় মানুষের কাজের উপর ভিত্তি করেই আল্লাহ পরকালে জান্নাতে বা জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। পরকালে জাহান্নাম থেকে বেঁচে জান্নাত লাভ করাই চূড়ান্ত মুক্তি। আর সেই মুক্তির লক্ষ্যে প্রত্যেকের উচিত পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী আমল করা। কুরআন ও হাদীছে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করার নির্দেশ থাকলেও মুসলমানগণ বিভিন্ন সময় আক্বীদা ও আমলের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে। আর সকল দলই নিজেদেরকে মুক্তিপ্রাপ্ত দল দাবী করেছে এবং অন্যদেরকে পথভ্রষ্ট বলে আখ্যায়িত করেছে। এই মতবিরোধপূর্ণ বিষয়ের ফায়ছালা কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে আমাদের জেনে নেওয়া উচিত।



রাসূল (ছা.) মুক্তিপ্রাপ্ত দলের নাম বলেননি। বরং তিনি মুক্তিপ্রাপ্ত দলের বিভিন্ন গুণ ও বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন। ইবনু মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,



‘আমাদের জন্য রাসূল (ছা.) নিজ হাতে একটা দাগ টানলেন, অতঃপর বললেন, ‘এটা আল্লাহ তা‘আলার সোজা ও সঠিক রাস্তা। অতঃপর তাঁর ডানে ও বামে আরো কিছু দাগ টানলেন। তারপর বললেন, এগুলি অন্য রাস্তা যাদের প্রত্যেকটার শুরুতে শয়তান বসে মানুষদেরকে তার দিকে ডাকছে। তারপর আল্লাহর বাণী পড়লেন, ‘এটাই আমার সোজা ও সঠিক রাস্তা। সুতরাং তোমরা অবশ্যই এর অনুসরণ করবে এবং অন্যান্য রাস্তাসমূহের অনুসরণ করো না, তাহ’লে এ রাস্তাসমূহ তোমাদেরকে তাঁর রাস্তা থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। তিনি এভাবেই তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন, যাতে তোমরা মুত্তাক্বী হ’তে পার’ {আন‘আম ৬/১৫৩}।*১* এ হাদীছ থেকে প্রমাণিত হয় যে, মুক্তির জন্য একটি সঠিক রাস্তা ছাড়াও শয়তানের তৈরী বিভিন্ন ভ্রান্ত রাস্তা থাকবে।



অন্য হাদীছে রাসূল (ছা.) উম্মতে মুহাম্মাদীর বিভক্তির কথা উল্লেখ করে মুক্তিপ্রাপ্তদের বর্ণনা দিয়ে বলেন,



‘নিশ্চয়ই বনী ইসরাঈলরা ৭১ দলে বিভক্ত হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৭০ দল ধ্বংস হয়ে গেছে এবং একটি দল নাজাত পেয়েছে। আর আমার উম্মত অচিরেই ৭২ দলে বিভক্ত হয়ে যাবে। তাদের মধ্যে ৭১ দল ধ্বংস হবে (জাহান্নামে যাবে) এবং একটি দল মুক্তিপ্রাপ্ত হবে। ছাহাবাগণ বললেন, মুক্তিপ্রাপ্ত দল কোন্‌টি? রাসূল (ছা.) বললেন, তারা একটি দল, তারা একটি দল’।*২* অন্য হাদীছে রাসূল (ছা.) বলেছেন,



‘ওহে, অবশ্যই তোমাদের পূর্বে আহলে কিতাবগণ (ইহুদী ও নাছারা) ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছিল। আর নিশ্চয়ই এই উম্মত অচিরেই ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। তন্মধ্যে ৭২ দল জাহান্নামী ও একদল জান্নাতী। (জান্নাতীরা হ’ল) একটি জামা‘আত বা দল’।*৩*



উপরোক্ত হাদীছ থেকে স্পষ্ট বুঝা গেল যে, মুসলমানদের মধ্যেই ৭২/৭৩টি দল হবে। তন্মধ্যে ৭১/৭২টি দল জাহান্নামে যাবে এবং একটি দল জান্নাতে যাবে। সেটিই মূলত মুক্তিপ্রাপ্ত দল। অন্য হাদীছে রাসূল (ছা.) হক্বপন্থী দল প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে একটি দল সর্বদা হক্বের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে, বিরোধীরা বা পরিত্যাগকারীরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না, এই অবস্থায় ক্বিয়ামত এসে যাবে, তারা ঐ অবস্থায়ই থাকবে’।*৪*



বর্তমানে সকল নামধারী ইসলামী দলই এই হাদীছগুলিকে উল্লেখ করে নিজেদেরকে মুক্তিপ্রাপ্ত দল বলার চেষ্টা করে। আর বিরোধী দলকে পথভ্রষ্ট ৭২ দলের অন্তর্ভুক্ত বলে প্রচার করে। আসলে মুক্তিপ্রাপ্ত দল কোন্‌টি?



রাসূল (ছা.) স্বীয় ছাহাবীদের সম্মুখে মুক্তিপ্রাপ্ত দলের কথা বর্ণনা করলে তারা রাসূল (ছা.)-কে প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছা.)! মুক্তিপ্রাপ্ত দল কোন্‌টি? রাসূল (ছা.) ছাহাবীদের প্রশ্নের যে উত্তর দিয়েছেন, সে সম্পর্কে দু’টি বর্ণনা পাওয়া যায়।



(১) রাসূল (ছা.) মুক্তিপ্রাপ্ত দল সম্পর্কে বলেছেন, ‘এটা হ’ল একটা দল’।*৫* এ হাদীছ থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় না যে, মুক্তিপ্রাপ্ত দল কোনটি। তাই এই অস্পষ্টতাকে পুঁজি করে অনেক দলই বলে থাকে, এখানে যেহেতু জামা‘আতের কথা বলা হয়েছে সেহেতু জামা‘আত যত বড় হবে তারাই হবে মুক্তিপ্রাপ্ত দলের অধিকারী। দলীল হিসাবে একটি যঈফ হাদীছ পেশ করে যে, রাসূল (ছা.) বলেছেন, ‘তোমরা বড় জামা‘আতের পায়রাবী কর’।*৬* ইবনু মাজাহতে আনাস (রা.) কর্তৃক এ সম্পর্কিত একটি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, সে হাদীছটিও যঈফ।*৭*



জামা‘আতের উপরোক্ত ব্যাখ্যা ঠিক নয়। এই ব্যাখ্যা গ্রহণ করার আগে আমাদেরকে জামা‘আতের সঠিক সংজ্ঞা জানতে হবে। মূলতঃ জামা‘আতের জন্য লোক বেশী হওয়া শর্ত নয়, হক্বের অনুসারী হওয়া শর্ত। জামা‘আতের সংজ্ঞায় প্রখ্যাত ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রা.) বলেন, ‘জামা‘আত হচ্ছে হক্বের অনুগামী হওয়া, যদিও তুমি একাকী হও’।*৮*



যেমন আল্লাহ ইবরাহীম (আ.)-কে একটি দল বলেছেন। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই ইবরাহীম ছিলেন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর হুকুম পালনকারী একটি উম্মত বিশেষ এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না’ {নাহল ১৬/১২০}। এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা ইবরাহীম (আ.)-কে জাতি বলে ঘোষণা দিয়েছেন, যদিও তিনি ছিলেন একা। এখানে আল্লাহ সংখ্যাধিক্যের দৃষ্টিতে নয়; বরং হক্বের উপরে থাকার কারণে ইবরাহীম (আ.)-এর প্রশংসা করেছেন।



আবদুল্লাহ বিন মুবারক (রহ.)-কে জামা‘আত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, আবূবকর ও ওমর (রা.)। তাকে বলা হ’ল, তাঁরাতো ইন্তেকাল করেছেন। তিনি বললেন, তাহ’লে অমুক অমুক। তাকে বলা হ’ল, তারাও তো মৃত্যুবরণ করেছেন। তখন তিনি বললেন, আবু হামযা আস-সুকরী হ’ল জামা‘আত। অর্থাৎ একজন নেক ফাযেল ব্যক্তি সুন্নাত ও সালাফে ছালেহীনের পথের অনুসারীই হচ্ছেন জামা‘আত ও আহলে হক্বের মানুষ। সুতরাং সংখ্যাধিক্য এখানে বিবেচ্য নয়। বরং লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে সুন্নাতের অনুসারী হওয়া এবং বিদ‘আত পরিত্যাগ করা’।*৯* সুতরাং হক্বের অনুসারী একজন হ’লেও সে বড় দলের অন্তর্ভুক্ত। সংখ্যায় অধিক হ’লেই বড় দল বা জামা‘আতে হক্ব নয়। অনুরূপভাবে সংখ্যাধিক্য দেখে বড় দলের অনুসরণ করলেই হক্বপন্থী হওয়া যায় না। বরং পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের নিঃশর্ত অনুসরণ করাই প্রকৃত অর্থে হক্বপন্থী হওয়ার পূর্বশর্ত। এই হক্বপন্থীগণই হ’লেন বড় জামা‘আত। আর তারা হ’লেন ছাহাবায়ে কিরাম, সালাফে ছালেহীন ও তাদের যথাযথ অনুসারীগণ। সুতরাং যারা খুলাফায়ে রাশেদীন ও ছাহাবায়ে কেরামের মাসলাক অনুসরণে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী আমল করবেন, তারাই বড় জামা‘আতের অন্তর্ভুক্ত হবেন। অতএব নিঃশর্তভাবে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী আমল করতে পারলে সংখ্যায় কম হ’লেও তারাই হবে নাজাতপ্রাপ্ত দল। পক্ষান্তরে সংখ্যায় বেশী হ’লেও সেখানে কুরআন ও হাদীছ মোতাবেক আমল না থাকলে সেটা হক্বপন্থী ও নাজাতপ্রাপ্ত দল নয়।



অনেক সময় কোন দলে লোক সংখ্যা বেশী দেখে মানুষ মনে করে ঐ দলের লোকেরাই হক্বের পথে আছে। তাদের ধারণা এত লোক মিলে কি ভুল পথে যেতে পারে? আর আমরা হক্বপন্থী হ’লে আমাদের সংখ্যা কম কেন? আবার অনেকে বলেও থাকেন, দশজন যেখানে আল্লাহও সেখানে। এ ধারণা ঠিক নয়। কারণ হক্বপন্থী হওয়ার জন্য সংখ্যায় বেশী হওয়া শর্ত নয়। বরং বাতিলের সংখ্যা হক্বপন্থীদের তুলনায় বেশী হবে, এটাই স্বাভাবিক। যেমন রাসূল (ছা.) হক্ব দল ১টি এবং বাতিল দল ৭২টি উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ রাসূল (ছা.)-এর উম্মতের ৭৩ দলের মধ্যে ৭২ দলই জাহান্নামী আর একটি দলই মাত্র জান্নাতে যাবে। সুতরাং হক্বপন্থীদের সংখ্যা কম হবে, এটাই রাসূলের ভাষ্য।



সাধারণভাবে কোন দলে লোক বেশী থাকাই বাতিল হওয়ার প্রমাণ। কারণ রাসূল (ছা.)-এর উম্মাতের ৭৩টি দলের মধ্যে ৭২টি দলই জাহান্নামে যাবে। সুতরাং বাতিলদের সংখ্যা বেশী হবে, এটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে সঠিক দলটি খুঁজে বের করে সে অনুযায়ী আমল করতে হবে। আর মানুষ সাধারণত এ বিষয়ে বেশী গুরুত্ব দেয় না; বড় দল ও সংখ্যা বেশী দেখে তাদের অনুসরণ করে। এজন্য দিন দিন বাতিলের সংখ্যা বাড়ছেই।



ইনশাআল্লাহ আরো দুই পর্বে সমাপ্ত হবে ...



রচনাঃ

মুহাম্মাদ আবদুল ওয়াদূদ

তুলাগাঁও, দেবিদ্বার, কুমিল্লা।



*১* আহমাদ, নাসাঈ, হাকেম, মিশকাত হা/১৬৬; তাফসীরে ইবনে কাছীর সূরা আন‘আমের ১৫৩নং আয়াতের তাফসীর দ্রঃ।

*২* মুসনাদে আহমাদ হা/২৫০১; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২০৪, সনদ হাসান।

*৩* আহমাদ হা/১৬৯৭৯; ইবনু মাজাহ হা/৩৯৯২; মিশকাত হা/১৭২।

*৪* বুখারী হা/৩৯৯২; মুসলিম ‘ইমারত’ অধ্যায় হা/১৯২০।

*৫* তাহক্বীক্ব মিশকাত হা/১৭২, সনদ ছহীহ, ‘কিতাব ও সুন্নাহ আঁকড়ে ধরা’ অনুচ্ছেদ।

*৬* হাদীছটি যঈফ; তাহক্বীক্ব মিশকাত হা/১৭৪-এর টিকা ‘ঈমান‘ অধ্যায়, ‘কিতাব ও সুন্নাহ আঁকড়ে ধরা’ অনুচ্ছেদ।

*৭* যঈফ ইবনু মাজাহ হা/৭৮৮; সিলসিলা যঈফা হা/২৮৯৬।

*৮* ইবনু আসাকির, তারীখু দিমাশক্ব ১৩/৩২২ পৃঃ; সনদ ছহীহ, তাহক্বীক্ব মিশকাত হা/১৭৩, ১/৬১ পৃঃ।

*৯* ড. নাছের বিন আব্দুল করীম আল-আকল, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের পরিচিতি, অনুঃ মুহাম্মদ শামাউন আলী, (ঢাকা : ইসলামী ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংস্থা, জানুয়ারী ১৯৯৭), পৃঃ ৬৪।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:৫৯

মুহম্মদ তুষার খান বলেছেন: বাতিল ফিরক্বাহগুলোর আক্বীদা জানুন তাহলে নাযাতপ্রাপ্ত দল কোনটি বুজতে পারবেন

বাতিল ফিরক্বাহ

০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৩

মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:১২

আবদুস সবুর খান বলেছেন: জনাব মাসিক আত-তাহরীকের প্রবন্ধ কপি-পেষ্ট করছেন অথচ সূত্র উল্লেখ করছেন না।

এটা কি পাঠকের সাথে এবং উক্ত পত্রিকার সাথে ধোকাবাজি নয় ???

০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৫

মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেছেন: -
-
-
সম্পাদক,
মাসিক আত-তাহরীক
নওদাপাড়া মাদরাসা (বিমানবন্দর রোড)
পোঃ সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩।
ফোন ও ফ্যাক্সঃ (০৭২১) ৮৬১৩৬৫।
সহকারী সম্পাদক, মোবাইলঃ ০১৯১৯-৪৭৭১৫৪
সার্কুলেশন বিভাগ, মোবাইলঃ ০১৫৫৮-৩৪০৩৯০
ই-মেইলঃ [email protected]

উপরের ঠিকানায় আপনার অভিযোগটি পেশ করুন।

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:১২

আবদুস সবুর খান বলেছেন: রাসূল (সঃ) বলেছেন, “ওহে, অবশ্যই যারা তোমাদের পূর্বে ছিল তারা ৭২ দলে বিভক্ত ছিল এবং অবশ্য্ই আমার এই উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। ইহাদের সকল দলই দোযখে যাবে এক দল ব্যতিত। সাহাবা (রাঃ) জিজ্ঞেসা করলেন, “ইয়া রাসূলুল্লাহ, সেটি কোন দল? নবী (সঃ) বললেন, ” আমি এবং আমার সাহাবীগণ যার উপর আছি, তার উপর যারা থাকবে।”
(তিরমিজী ও আবু দাউদ, রেওয়ায়েতে মেশকাত শরীফ ১ম খন্ড, হাদীস নং- ১৬৩)


আল্লামা কুরতুবী রঃ তাফসীরে কুরতুবীতে লিখেন-
وقد مضى في “آل عمران” معنى قوله عليه السلام : “تفرقت بنو إسرائيل على اثنتين وسبعين فرقة وأن هذه الأمة ستفترق على ثلاث وسبعين” . الحديث. وقد قال بعض العلماء العارفين : هذه الفرقة التي زادت في فرق أمة محمد صلى الله عليه وسلم هم قوم يعادون العلماء ويبغضون الفقهاء ، ولم يكن ذلك قط في الأمم السالفة.( الجامع لأحكام القرآن
المؤلف : أبو عبد الله محمد بن أحمد بن أبي بكر بن فرح الأنصاري الخزرجي شمس الدين القرطبي (المتوفى : 671)
প্রথম উম্মতের মাঝে ইজতিহাদ ছিলনা। তাই ইজতিহাদের দুশমনও ছিলনা। এই উম্মতের মাঝে ইজতিহাদ আছে। তাই ইজতিহাদের দুশমনও আছে। আর এই উম্মতের অতিরিক্ত জাহান্নামী ফিরক্বা হল ইজতিহাদের দুশমন ফুক্বাহায়ে কিরামের দুশমন দল। {তাফসীরে কুরতুবী, তাফসীর সূরাতুল আনআম}

এই ফুক্বাহাদের দুশমন জাহান্নামী ফিরক্বা বাড়বে উম্মতে মুহাম্মদীতে। আল্লাহ তায়ালা এতটা মর্যাদা দিয়েছেন ফুক্বাহায়ে কিরামকে।

عَن�’ عَم�’رِو ب�’نِ ال�’عَاصِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَ�‘هِ -صلى الله عليه وسلم- « إِذَا حَكَمَ ال�’حَاكِمُ فَاج�’تَهَدَ فَأَصَابَ فَلَهُ أَج�’رَانِ وَإِذَا حَكَمَ فَاج�’تَهَدَ فَأَخ�’طَأَ فَلَهُ أَج�’رٌ
হযরত আমর বিন আস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যখন কোন বিশেষজ্ঞ হুকুম দেয়, আর তাতে সে ইজতিহাদ করে তারপর সেটা সঠিক হয়, তাহলে তার জন্য রয়েছে দু’টি সওয়াব। আর যদি ইজতিহাদ করে ভুল করে তাহলে তার জন্য রয়েছে একটি সওয়াব। {সহীহ বুখারী, হাদিস নং-৬৯১৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৩৫৭৬, সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-৪৫৮৪}

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:১৩

আবদুস সবুর খান বলেছেন: তাফসির ইবনে কাসীর, সুরা নিসার ৫৯ নং আয়াতের ব্যাখ্যায়

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:১৪

আবদুস সবুর খান বলেছেন: রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন- “তোমরা বৃহৎ সম্প্রদায়কে অনুসরণকরিবে। কেননা যে তা হইতে পৃথক হইবে, সে দোজখে পতিত হইবে”
(ইবনে মাজা-মিসকাত)।

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন- “যে জন মুসলমানের বড় জামায়াত হতে এক বিঘতও সরিয়া পড়িল, সে নিশ্চয় তাহার ঘাড় হইতে ইসলামের রজ্জু ফেলিয়া দিল। আল্লাহ্‌’র হাত মুমিনের বড় জামায়াতের উপর”
(আবূ দাউদ-মিসকাত)।

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:১৪

আবদুস সবুর খান বলেছেন: রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘মূসা (আঃ)-এর উম্মত ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছিল আর আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। তন্মধ্যে একটি মাত্র দল জান্নাতে যাবে। ছাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, সে জান্নাতী দল কোন্টি? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, আমি ও আমার ছাহাবীগণ যে মত ও পথের উপর প্রতিষ্ঠিত আছি, সেই মত ও পথের উপর যারা প্রতিষ্ঠিত থাকবে, তারাই জান্নাতী দল’ (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৭১)।

৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:১৪

আবদুস সবুর খান বলেছেন: শায়েখ ইবনে তাইমিয়া র. বলেন-
فاهل السنة والجماعة هم المتبعون للنص والإجماع

অর্থাৎ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত হল ঐ সকল লোক-যারা কুরআন সুন্নাহ এবং ইজমায়ে উম্মতের অনুস্বরণ করে
(আল মানহাজুস সুন্নাহ-৩/২৭২)

০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৭

মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেছেন: আবদুস সবুর খান ভাইকে কষ্ট করে এখানে ও এসবি ব্লগে (মোহাম্মদ সুমন নামে) মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.