নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার প্রিয় কিছু পাপের কাছে আমি বন্দি হয়ে আছি

নাভিদ কায়সার রায়ান

তৃতীয় ধরণের পাগল হল সেয়ানা পাগল। এটা সবচেয়ে কঠিন ধরণের পাগলামি। এই পাগল কি সুস্থ না অসুস্থ সেটা বোঝা খুব কঠিন। যখন সে পাগলামি করছে তখন তার কাজকারবার হবে সুস্থ মানুষের মতো। জটিল সব যুক্তি দিয়ে সে তার পাগলামি প্রতিষ্ঠিত করবে। আবার যখন সে সুস্থ থাকবে তখন তার চিন্তা ভাবনা হবে পাগলের মতো। অফিসে এবং বাসায় নিয়মিত ভাবে আমি এই পাগলের ভূমিকায় অভিনয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার কাছে ভালোই লাগে। শুধু মাঝে মধ্যে আমার মাথার মধ্যে জ্যোৎস্না ঢুকে পড়ে। তখন খুব অস্থির লাগে। কেন লাগে জানি না। আপনারা কেউ কি জানেন?

নাভিদ কায়সার রায়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিলমুনতত্ত্ব

২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭

“হ্যালো, স্লামালিকুম! নাভিদ স্যার বলছেন?”

ফোনের অপর প্রান্ত থেকে একটা মিহি কণ্ঠ ভেসে আসে। আওয়াজ শুনেই বোঝা যায় কোন সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ হবে। এদের কণ্ঠে আলাদা মধু মাখানো থাকে। শুনলেই মনে হয়, আহা বেচারা! অনেক কষ্ট করে ফোন করেছে! সাধারণত আমি অপরিচিত নাম্বার থেকে আসা ফোন ধরি না। তার উপর আজকে আমার মাথা ঠিক নাই। আজকে শুক্রবারে আমরা কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার মিলে যার যার প্রোজেক্টের একটা রিপোর্ট বানাচ্ছি। আগামী কাল সেই রিপোর্টের ওপর হাই প্রোফাইল মিটিং আছে। পরিস্থিতি ভালো না।

আমি একটু ভাব নিয়ে জবাব দিলাম, “ওয়ালাইকুম সালাম! নাভিদ বলছি। কি ব্যাপার?”

ওপাশ থেকে জবাব আসে, “আমি পাবনা মেন্টাল হাসপাতাল থেকে বলছি। আপনার নামে একটা কেবিন বুকিং দেয়া হয়েছে। আপনি কবে আসছেন স্যার?”

আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। ফোনের ওপাশ থেকে রাজর্ষির কুৎসিত খ্যাক খ্যাক হাসির আওয়াজ ভেসে আসে।

হারামজাদা তাহলে ঢাকায় এসেছে! যাক বাঁচা গেল। হুট করে ব্যাটা চাকরী নিয়ে চিটাগাং চলে গেল। আমাদের ফেলে গেল গভীর সমুদ্রে।

রাজর্ষির পাশে অন্য আরও কেউ আছে। কারণ ফোনের স্পিকার দিয়ে তালে তালে দুই ধরণের হাসির আওয়াজ পাচ্ছি। আরেক শয়তানটা কে ঠিক বুঝলাম না। আমি ধাক্কা সামলাতে সামলাতেই ওপাশ থেকে রাজর্ষি প্রশ্ন করে, “কি স্যার! আসবেন নাকি?”

আমি দ্রুত একবার রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে দেখলাম। নাহ! অবস্থা ভয়াবহ। রিপোর্ট এখনো প্রিন্ট দেয়া হয়নি। তারপর প্রুফ রিডিং দেখতে হবে। অ্যাটাচমেন্টগুলো সিরিয়ালি সাজাতে হবে। ড্রয়িং একটা বাদ পড়ে গেছে। সাইট থেকে কাউকে দিয়ে সেটা আনিয়ে নিতে হবে। ম্যালা কাজ!

আমি উদ্বিগ্ন কণ্ঠে জিজ্ঞেস করি, “তোরা কোথায়? কতক্ষণ আছিস? কি করবি?”

রাজর্ষি অদ্ভুত কণ্ঠে জবাব দেয়, “এএএএই তো আমরা এখন ন্যুইয়র্ক আছি, পরের ফ্লাইটে জাপান যাবো, তারপর সেখান থেকে তোকে চিকিৎসার জন্য পাবনা মেন্টালে রেখে আসবো। হা হা হা!...”

আবার দমকা হাসি।

“এই, তোরা কইরে, হারামি? তোর সাথে কে?”

রাজর্ষি বিচিত্র ভঙ্গিতে হাসতে হাসতেই জবাব দেয়, “আমরা এখন আছি মধু পাগলের বাসায়। কুচকুচে কাইল্লা কাবু অফিস থেকে বের হয়ে আমাদের নিয়ে যাবে টঙ্গি। সেখানে কিছু কাজ আছে। যাবি নাকি?”

মধু পাগল, মানে তন্ময়। যার আরেকটা নাম আছে – ট্রিপল এম। মাথা মোটা মধু। আমরা যখন ছোট তখন রেসলিং এ ট্রিপল এইচ চূড়ান্ত জনপ্রিয় ছিল। আমরা তার সাথে মিলিয়ে মধুকে বানালাম ট্রিপল এম। তন্ময়ের মাথা দেহের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ন হলেও আমাদের কাছে সেটা অস্বাভাবিক বড় মনে হয়। আমাদের কাছে কি মনে হচ্ছে সেটাই গুরুত্বপুর্ন। আপাতত পাগল নামের ব্যাখ্যা করলাম না। সেটা তন্ময়ের কাজ কারবার দেখলেই বোঝা যায়। এমন জটিল কিছু না।

আমি রাজর্ষিকে সংক্ষেপে বললাম, “আধা ঘন্টা অপেক্ষা কর। আমি একটু ঝামেলায় আছি। কাজটা গুছিয়েই বের হব।”

“শুক্রবার দিন অফিস করছিস। হ্যাহ হ্যাহ হ্যাহ!”

পিত্তিটা জ্বলে গেল। ফোন রেখে যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করলাম। কাজের মাঝেই ফোন আসলো, ওরা রওনা হয়ে গেছে। আমি যেন শ্যামলী চলে আসি।

আমি কোন রকমে কাজ গোছগাছ করে একটা রিক্সা নিয়ে শ্যামলী দৌড়ালাম। শ্যামলীতে ওদের খুঁজে নিয়ে আর দেরী করলাম না। দ্রুত একটা বাসে উঠে পড়লাম।

বাসে উঠে জিজ্ঞেস করলাম, “কাবু কোথায়?”

“কাবু সাইট পাহারা দিচ্ছে। ওর চেয়ারম্যানের নাকি শুক্রবারে বিকার ওঠে। আজকে ওকে সাইটে থাকতে বলেছে। ওকে সোহাগ করতে সাইটে আসবে। কাবু তেল মেখে রেডি হয়ে আছে।”

কাবুর সুরেশ খাঁটি সরিষার তেল মাখানো একশ কেজির থলথলে দেহ কল্পনা করে আমরা বাস কাঁপিয়ে হাসলাম। আমাদের সামনের সিটে কয়জন বয়স্ক আন্টি ছিলেন। সম্ভবত আমাদের অশ্লীল কথাগুলো তাদের কানেও গেছে। কারণ তারা এরপর পুরো রাস্তাই ঘুরে ঘুরে আমাদের দেখেছিলেন আর বিড়বিড় করে কি যেন বলছিলেন। বলুক। আমাদের তাতে থোরাই কেয়ার।

এখানে কাবুর পরিচয় দিয়ে নেই। কাবুর আসল নাম আহামুদুল হক দস্তগির। ডাকনাম বাবু। ইউনিভার্সিটিতে বাবু আর রাজর্ষি আমার রুমমেট ছিল। বিভিন্ন কাজে কর্মে চূড়ান্ত আলসেমির পরিচয় দেয়ায় একসময় ওর বাবু নামটা কাবুতে কনভার্ট হয়ে গেছে। বাবু নামে ডাকলেও ও এখন আর সাড়া দেয় না।

কাবু সময় মতোই অফিস থেকে বের হয়েছিল। ইন ফ্যাক্ট সে আমাদের আগেই টঙ্গি পৌঁছেছিল। টঙ্গি পৌছেই কাবু বৃষ্টির মতো ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করতে লাগলো - “কোই তোরা?” “কত দূর?” “হেঁটে হেঁটে আসলেও তো এরচেয়ে আগে পৌঁছানো যায়!”

আমরাও আমাদের স্টাইলে উত্তর দিলাম, আগারগাঁ থেকে বললাম বনানী আছি, বনানী পৌঁছে বললাম উত্তরা পৌঁছে গেছি। স্টাফ রোডে গিয়ে বললাম, বাস থেকে এক পা নামিয়ে দিয়েছি।

সবচেয়ে অদ্ভুত কাজ করল রাজর্ষি, টঙ্গি পৌঁছানোর পর। বাস থেকে নেমেই সাঁই করে দোকানপাটের ভিড়ে হারিয়ে গেল। কোন রকমে বলে গেল – তোরা বাসে উঠে আগাতে থাক, আমি আসতেছি।

“মানে কি? বাসে করে আমরা চলে গেলে ওকে আমরা পাবো কোথায়?”

“বুঝলাম না।”

“কোই গেলরে হালায়?” তন্ময় জিজ্ঞেস করল।

আমি বললাম, “নিশ্চিত বড়টা। এবং ... অবস্থা বেশী সুবিধার না।”

হি হি! হি হি!

আমি, কাবু আর তন্ময় একটা ঠান্ডা মেরিন্ডা খেতে খেতে ব্যাপারটা অ্যানালাইসিস করলাম। তন্ময় বুদ্ধি দিল, “ওরে একটা ফোন দে। টয়লেটের মধ্যে ফোন বাজতে থাকলে ব্যাপারটা সেই রকম হবে।”

হি হি! হি হি!

খানিকক্ষণ পরেই রাজর্ষি চলে এলো। আগামী কাল ও চট্টগ্রাম চলে যাবে। টিকিট কাটতে গিয়েছিল।

টঙ্গি থেকে আমরা গেলাম স্টেশন রোড। সেখান থেকে সিএনজি নিলাম। প্রথমে আমরা যাবো মীরের বাজার। সেখান থেকে পুবাইল বাজার।

মীরের বাজারে শর্টকাটে কাজ শেষ করে গেলাম পুবাইল স্টেশন। পুবাইল স্টেশনের একপ্রান্তে ভাঙ্গা পাথরের একটা বিশাল ঢিবি বানানো হয়েছে। সম্ভবত কোন কন্সট্রাকশনের কাজের জন্য। আমরা পুবাইল ষ্টেশনের পাশ দিয়ে হেঁটে হেঁটে আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছালাম। যেতে যেতে শুনলাম এখানে নাকি কয়টা শুটিং স্পট আছে। জায়গাটা ভালো করে ঘুরে দেখার জন্য আমরা ওখানকার অচেনা রাস্তা ধরে হাঁটতে শুরু করলাম। অনেক দিন বন্ধুবান্ধব মিলে কোথাও বেড়াতে যাই না। এখানে এসে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর ব্যাবস্থা হল। ওখানেই এক দোকানে চারজন মিলে আইসক্রিম খেলাম। মাগরিবের আজান শুনে মধু গেল নামাজ পড়তে। নামাজ শেষে আমরা গেলাম কাবুর বাসায়। ছেলে আর বউকে নিয়ে কাবু নতুন সংসার পেতেছে। জায়গার নাম শিলমুন। নামটা আমার পছন্দ হয়েছে। ওটা মীরের বাজার থেকে ষ্টেশন রোড ফেরার পথেই পড়ে।

বিয়ের চার বছর পর হঠাৎ কাবুর শিলমুনে বাসা নেয়ার ব্যাপারটা বলে ফেলি। আমার বন্ধুদের চরিত্র সম্পর্কে তাহলে একটা আইডিয়া দেয়া যাবে।

কাবু এতো দিন কালীগঞ্জ থেকে গুলশানে এসে অফিস করতো। কালীগঞ্জ কোথায় সেটা যারা জানেন না তাদের বলছি – মনে করুন আপনাকে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়ার বর্ডার থেকে হেঁটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে বলা হল। শুধু তাই না। আপনাকে প্রতিদিন ঢাকায় পৌছাতে হবে সকাল নয়টার মধ্যে। সারাদিন অফিস করে আবার সেই বর্ডারে ফিরে যেতে হবে। - কালীগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসে অফিস করার বিষয়টা আমার কাছে অনেকটা সেরকমই।

আমার প্রায় সব বন্ধুই যে কোন সমস্যার যুগান্তকারী সমাধান বের করতে সিদ্ধহস্ত। কাবু তার দুলাভাইকে ভুলিয়ে ভালিয়ে একটা মোটর সাইকেল কিনিয়ে ফেলল। কাবু বাইক চালাতে জানে না। প্রতিদিন তার দুলাভাই কাবুকে কালীগঞ্জ থেকে গুলশানে নিয়ে আসে। আবার অফিস শেষে কালীগঞ্জ নিয়ে যায়। কাবুর মাথায় নাহয় সমস্যা আছে বুঝলাম। দুলাভাইয়ের কি সমস্যা সেটা বুঝলাম না। আমার ধারণা এর পেছনেও কাবুর হাত আছে। আমাদের কাবু যে কোন বিষয়ে সাংঘাতিক যুক্তি দাঁড় করাতে ওস্তাদ। দুলাভাই যে ওর সেই ধরণের কোন অস্ত্রের শিকার সেই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।

তো, এতোদিন সব কিছু ভালোই চলছিল। সমস্যা হয়ে গেল যখন দুলাভাই ধুম করে চাকরী ছেড়ে দিলেন। নতুন চাকরীতে তাকে ঢাকার বাইরে যেতে হবে।

“তাতে সমস্যা কি?” আমি জিজ্ঞেস করলাম।

কাবু উৎফুল্ল কণ্ঠে জবাব দেয়, “আমি তো বাইক চালাতে পারি না!”

“বাইক চালানো এমন কঠিন কোন কাজ না। একটু চেষ্টা করলেই পারবি।”

কাবু এক হাতে ব্যাপারটা উড়িয়ে দিয়ে বলে, “আরে ধুর ধুর! আমি অনেক চেষ্টা করেছি, পারি না।”

“বুঝলাম না! তুই বলতে চাস চেষ্টা করেও তুই বাইক চালানো শিখতে পারবি না? বাইক চালানো কি এতই কঠিন? আর সবাই চালাচ্ছে না? রুম্মন অনেকদিন ধরে বাইক চালাচ্ছে। ওর কাছে একটা কোর্স নে।”

কাবু উদাস কণ্ঠে জবাব দেয়, “আমাকে দিয়ে এসব হবে না।”

ঠিক তখনই আমি কাবুর রোগটা ধরতে পারলাম। কাবু এতদিন বাইকের পেছনে চেপে অফিসে এসেছে, বাইক চালানোর কষ্টটা তাকে করতে হয়নি। এখন হঠাৎ করে বাইক চালিয়ে অফিসে আসার ব্যাপারটা চিন্তা করতেই কাবুর কাহিল লাগছে। আমি আর কিছু বললাম না।

বাইক ছাড়া কালীগঞ্জ থেকে অফিসে আসার কোন উপায় নাই। তাহলে উপায়?

কাবু এবারও যুগান্তকারী সমাধান বের করল। সমাধান একটাই। বাসা চেঞ্জ করতে হবে। বাসার লোকেশন এমন হতে হবে যেন কাবুর আব্বা-আম্মাও নাতিকে খুব সহজে দেখতে আসতে পারেন, আবার কোন সমস্যা হলে সনি তার ছেলে ওয়াফিকে নিয়ে দ্রুত কালীগঞ্জ চলে যেতে পারে। আবার কাবু অফিস থেকেও যেন সহজে আসা যাওয়া করতে পারে। আর শিলমুন নাকি এক্ষেত্রে একেবারে পার্ফেক্ট। আমি শিলমুন পৌঁছে বুঝলাম না গুলশান থেকে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ বর্ডার দূরে, না শিলমুন। যাক, সে প্রশ্ন না করাই ভালো।

“ঢাকায় একটা মেসে থেকে অফিস করলে কি সমস্যা” – এই প্রশ্নের জবাবে কাবু আবারো উদাস হয়ে গেল। আমি বুঝলাম এই বিষয়ে আলাপ করে লাভ নেই।

শিলমুন নেমে একটা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কাবুর ছেলের জন্য কি নেয়া যায় আমরা আলোচনা করছিলাম। রাজর্ষি বুদ্ধি দিল দোকানের সামনে যে কুকুরটা শুয়ে ছিল সেটাকে বেঁধে নিয়ে যাই। আমি বুদ্ধি দিলাম কুকুরটাকে একটু রং করে নিলেই চিত্রা হরিণ হিসেবে চালিয়ে নেয়া যাবে। হে হে! ইম্পর্টেড চিত্রা হরিণ, দুই-তিনটা ল্যাংগুয়েজ জানা আছে।

বদমাইশি বুদ্ধি বাদ দিয়ে শেষ পর্যন্ত একটা আইসক্রিম কেনা হল কাবুর ছোট্ট সংসারের জন্য।

সনি আমাদের জন্য নুডুলস রান্না করেছিল। বিকেলে হাঁটাহাঁটি করে আমাদের ব্যাপক ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল। তাই খেলামও পেট ভরে। কি আর বলবো! খাওয়া দাওয়া শেষ করে একটু ঘুম ঘুম পেয়ে গিয়েছিল। তবে খাওয়া দাওয়া এখানেই শেষ না। নুডুলসের পর টোস্ট বিস্কুট দিয়ে চা! ওহ! অসাধারণ। খাওয়া শেষ করে আজকের মিশন নিয়ে অনেকক্ষণ আলাপ হল। পরবর্তী কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করা হল।

কাবুর বাসাটা ভালোই। জানালা দিয়ে হু হু করে দখিনা বাতাস আসে। আমি ভেবে দেখলাম কোন এক চন্দ্রালোকিত রাতে কাবু আর সনি এই জানালার পাশে বসে হয়তো গল্প করবে – তার জন্য একটু কষ্ট করাই যায়। অফিস টফিস করে আমাদের মনের মধ্যে যে পরিমাণ গ্লানির পাথর জমে প্রতিদিন, সেটা নাহয় এভাবেই চাঁদের আলোতে ধুয়ে যাক।

আর কিছুক্ষণ দেরী করলে মনে হয় কাবুর বাসাতেই থেকে যেতে হত। সাড়ে নয়টার দিকে কাবুর বাসা থেকে বের হলাম। বাসায় এসে পৌছালাম রাত এগারোটায়। বাসায় ঢুকেই টের পেলাম কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসছে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো। বিশেষ করে ডায়লগগুলো অনেক মজার।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৯

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ডায়ালগের ক্রেডিট সম্পুর্ন আমার বন্ধুদের। ওরা এভাবেই কথা বলে।
ভালো লাগলো জেনে খুশী হলাম।

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: সুন্দর

২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

শ্রাবণধারা বলেছেন: চমৎকার মজার একটা লেখা............।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: বন্ধুবান্ধব আশে পাশে থাকলে সব সময় এমন মজাই হয় আমাদের। আর কিছু থাকুক আর না থাকুক মজার কোন অন্ত নাই।

৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩২

মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লাগলো । বন্ধুদের মাঝে খুনসুটিগুলো খুব মজার ।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ঠিক বলেছেন মামুন ভাই।

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৬

ডি মুন বলেছেন: বন্ধুরা এমনই :) :)

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০০

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ঠিক বলেছেন ডি মুন ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.