![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Loading ... ╔════════════════╗ ║█████████████99% ║ ╚════════════════╝ নিজের সম্পর্কে ঢাক ঢোল পেটানো উচিৎ না।যদি এখানে আমি নিজের সম্পর্কে কিছু বলতে যাই,তাহলে হয়তোবা শুধু আমার ভাল দিক গুলোই বেশি বলে ফেলব।কারন মানুষ স্বভাবতই নিজের প্রশংসা শুনতে ভালবাসে। তাই নিজের সম্পর্কে কিছুই বলতে যাব না। আমার বলা ''আমি'' আর বাস্তবের ''আমি'' এক না ও হতে পারে। প্রতিটা মানুষ চেতন বা অবচেতন মনে নিজেকে সবচেয়ে '' ঠিক '' ভাবতে ভালবাসে।তাছাড়া নিজের ভুল,অপরাধ বা দোষ নিজের চোখে খুব কম ই পড়ে। তাই নিজেকে নিয়ে কিছু বলতে চাইনা। আমার সাথে যারা মিশবে তারা আপনা আপনি আমাকে জানতে পারবে, আমার নিজের থেকে ও ভাল বলতে পারবে আমার সম্পর্কে।
কখনো কি চিন্তা করেছেন টোটাল “ওয়াল্ড মার্কেট” এ বাংলাদেশ রপ্তানিকৃত তৈরি পোশাকের পরিমান কতটুকু? বিশ্ব পোশাক মার্কেটের প্রায় ২৭% পোশাক বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা হয়!! যে আমেরিকা অস্ত্র বানিয়ে সারাবিশ্বের কোটি কোটি ডলার নিজের করে নেয়, সে আমেরিকার থেকে প্রতিবছর ৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার আমরা হাতিয়ে নেই, শুধু তৈরি পোষাক রপ্তানি করে। জানেন কি, টোটাল পোষাক রপ্তানির প্রায় ৪০% আমরা আমেরিকা আর ৬০% ইউরোপের দেশ গুলোতে করে থাকি... ২০১৩ তে ৪ মিলিয়ন শ্রমিক এ সেক্টরে কাজ করে প্রায় ১৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার দেশে নিয়ে এসেছে বাংলাদেশে!!! পরিসংখ্যানটা খুবই ভালো এবং ঈর্ষণীয়... তারপরে ও দেশের আজ একটা বড় অংশের গার্মেন্টস ফ্যক্টরি হুমকির মুখে!! “কেন??”
অথচ পাশ্ববর্তী দেশ ‘ইন্ডিয়া’ থেকে আমরা যে পরিমান পোষাক আমদামী করি, দুঃখিত আমদানী করি না... “আমদানী করতে হয়” , তার ৮০% আসে ঈদের মৌসুমে...!! শুধু তাই নয়, এর ১০% এর মত আসে বৈধ পথে আর বাকি সব ট্যাক্স ফাকি দিয়ে...!!
গার্মেন্টস সেক্টরে কখন ও আমাদের চেয়ে ইন্ডিয়া ভালো ছিল না। অথচ তাদের থেকে আমরা পাখি, তেরেঙ্গা, সানিয়া মির্জা, সোনম কাপুর, রিদিমা, যোধা আকবর, সাওরিয়া, মনপুরা, বীরজারা, কাশিস, কাহোনা কাহো, ধুপিয়ান, চোরি চোরি আমদানি করি... SORRY…করি না আমদানী করতে হয়... কেন আমদানী করতে হয়... এইসব “কেন” এর উত্তর জানার জন্য দোকানদারকে জিজ্ঞাসা না... জিজ্ঞাসা করতে হবে সেই সব মেয়েদের যারা বলে, “ I love colourful designs of indian salwar kameezes. Though the local quality is better in quality but less attractive to me…
২| ২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৪৫
ভোরের সূর্য বলেছেন: “ I love colourful designs of indian salwar kameezes. Though the local quality is better in quality but less attractive to me… আমি একমত তবে আরো কিছু কারণ আছে ভারত থেকে বাংলাদেশে পোষাক আমদানি করার।
আপনি যে ওয়ার্ল্ড মার্কেটের হিসাবটা দিয়েছেন সেটা আসলে হবে শুধু গার্মেন্টস শিল্পের পোশাকের। সেগুলো কিছু আইটেমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।কিন্তু ফ্যাশনেবল পোশাক কিন্তু আমাদের গার্মেন্টসে তৈরি হয় না। ধরূন শাড়ী,লেহেঙ্গা,সালোয়ার কামিজ,শাল,কুর্তা ইত্যাদি পোষাকগুলো গার্মেন্টস শিল্পের আওতায় নয়। আর যেহেতু এগুলো ফ্যাশনেবল তাই এটা নির্ভর করে বেশিরভাগ নজরকারা ডিজাইনের উপর বা কিরকম রং,হাতের কাজ,কাটিং ইত্যাদি। দেখা যায় যে আমাদের দেশের কাপড়ের মান খুব ভাল কিন্তু এগুলোর ডিজাইন বা হাতের কাজ যেমন সুতার বুনন কিংবা পুথির কাজ এগুলো আকর্ষণীয় নয় যেগুলো কিনা ভারতের পোশাকগুলোতে উপস্থিত আর তাই ভারত থেকে এসব কাপড় আমাদের দেশে আমদানী হয়।
আর একটা বড় কারণ হচ্ছে ওদের মার্কেটিং। যেমন এবার একটা কামিজের নাম পাখি যেটা কলকাতার একটা বাংলা সিরিয়ালের নায়িকার নামে। বাংলাদেশের মানুষ হিন্দি,বাংলা সিরিয়াল দেখছে কিংবা সিনেমাগুলো দেখছে আর সাথে সাথে তাদের পোশাকগুলোর সাথে পরিচিত হচ্ছে। আর এদিক দিয়ে বাংলাদেশের পোশাকগুলো পিছিয়ে আছে যার ফলের ভারতের পোশাকের প্রতি একটা আকর্ষণ আছে।
২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:১৭
নাভিদ আরমান শিফাত বলেছেন: সহমত ভাই। আমরা মানে ভালো হলে ও কিছু কিছু জিনিসের ডিজাইনের ক্ষেত্রে তাদের কাছে যেতে পারিনি
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৩৭
রাজিব বলেছেন: যারা দিন রাত ২৪ ঘণ্টা গালি দিয়ে ভারতের জিনিস কেনেন তারা যদি দিনে মাত্র ১ ঘণ্টা সময় দিতেন বাংলাদেশের পন্যকে প্রমোট করার জন্য তাহলে আমাদের দেশে একটা ছোট খাট নয় বরং বড় ধরনের বিপ্লব ঘটে যেত এতদিনে।
উপরে ভোরের সূর্য ভাইয়ের সঙ্গে অনেকটাই একমত। মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ফ্যাক্টর। এখন ব্লগ, ফেইসবুক আর ইউটিউবের যুগ। ভারতের সিরিয়ালের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারি না পারি ব্লগ, ফেইসবুক আর ইউটিউবকে তো কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে পারি।
বাংলাদেশী ফ্যাশন হাউজকেও কিছুটা মূল্যছাড় দিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আর সবার আগে দরকার বড় একটা ফেইসবুক গ্রুপ, ইউটিউব গ্রুপ, সামু গ্রুপ যারা ডেডিকেটেড ভাবে বাংলাদেশের পন্যকে প্রমোট করবে। বাংলাদেশের পোশাকের ছবি তুলে আপলোড করবে, ভিডিও দেবে, বাংলাতে লিখবে ইংরেজিতে অনুবাদ করবে। ফেইসবুকে লাইকের বন্যায় ভাসিয়ে দেবে, ইউটিউবে ১০ লাখ বার দেখবে।
দেশি পোশাকের বিক্রি বাড়লে ডিজাইনারদের কদর বাড়বে আপনাআপনি এবং এ খাতে অনেক মেধাবী লোক আসবে।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪০
নাভিদ আরমান শিফাত বলেছেন: আমরা যতই ভালো পোষাক তৈরি করি্, মিডিয়ার যথেষ্ট প্রচার ও প্রচারনা ছাড়া তার গুনগত মান বাঙালি বুঝতে পারবে না
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:০৬
রাজিব বলেছেন: মজার বিষয় হচ্ছে এ ধরনের একটি সিরিয়ার পোস্টে কমেন্টের অভাব। অথচ ২৪ ঘণ্টায় ভারত বিরোধী ২৪ টি বা কোন কোন দিন ৪৮ টি পোস্ট পাবেন। কিন্তু ভারতের পোশাককে হারিয়ে বাংলাদেশের পোশাক কিভাবে আরও বেশি চলতে পারে এ ধরনের আলোচনায় এখন কেউ নেই। এ ব্যপারে আপনার পোস্ট টি হতে পারে আলোচনার এক সুন্দর উপায়। এখান থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর আইডিয়া আসতে পারে যা আমাদের অনেককে অনুপ্রানিত করতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:২২
নতুন বলেছেন: “ I love colourful designs of indian salwar kameezes. Though the local quality is better in quality but less attractive to me…