![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলা ভাষার অক্ষরগুলোকে এদিক সেদিক ঘুরিয়ে ফিরেয়ে ভাষাটার সাথে বেয়াদবী করি। বেয়াদবীগুলোর মধ্যে নকশা খুঁজতে গেলে গোলকধাঁধায় পড়বেন বলে দিচ্ছি।
বুড়ো শহর আজ ধুঁকে ধুঁকে কাশে, সাদা ঘোলা চোখ তার,
নির্মম মানুষ ঘোরে ফুসফুসে, পাপ করে হাহাকার।
সারাটা শরীরে না যায় দেখা এতটুকু ভালবাসা,
শিরা উপশিরায় নষ্ট চুমুর কালো গাঁদ বাঁধে বাসা।
হাহা হাহা হাহা অট্টহাসি, হিংস্র ছায়ার বাঁশি,
বিবেকের তারা ছামড়া ছাড়িয়ে ধর্ষে ঠান্ডা লাশই।
যেটুকু আলো জ্বালায় যে বা লুকিয়ে ঘরের কোণে,
ভয়ে ভয়ে থাকে, এই বুঝি বা, জানোয়ারগুলি শোনে।
মাঝে মাঝে তবু গর্জে ওঠে শিরদাঁড়াওয়ালা কেউ,
খোঁজ মেলে না, গলা থাকে না, ডোবায় রক্ত ঢেউ।
সবাই যেন শিখে গেছে আজ "পেতে দিতে হয় পিঠ",
ভিটেমাটি খাক, মান জলে যাক, জানের তো আছে গিঁট।
পিশাচের দল, শিশ্ন বাগিয়ে, দিন রাত করে ভোগ,
মাথা নিচু সব, গলাটা নামানো, ভুলে গেছে অভিযোগ।
বুড়ো শহরের শরীর কাঁপে, কানে আসে চিৎকার,
কত না সহজে নিভছে বিবেক, একেকটি ফুৎকার।
শ্বাস টেনে ছাড়ে, কাশে বারে বারে, দমটা আটকে যায়,
চেয়ে দেখে তার শেষ চড়ুইটি মৃত্যুর পথে প্রায়।
বুড়ো শহর বলে, হাতে তুলে তাকে, " বন্ধু বলে তো মানিস,
কতদিন ধরে বাঁচতে আমারও ইচ্ছে করে না, জানিস?"
©somewhere in net ltd.