![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলা ভাষার অক্ষরগুলোকে এদিক সেদিক ঘুরিয়ে ফিরেয়ে ভাষাটার সাথে বেয়াদবী করি। বেয়াদবীগুলোর মধ্যে নকশা খুঁজতে গেলে গোলকধাঁধায় পড়বেন বলে দিচ্ছি।
সবহারানো ধূসর চাষা, মলিন কাপড় গায়,
কূলখোয়ানো খুনী মায়ের ঠিক মধ্যিখানে চায়।
একচিলতে জমি ছিল তার, একটি দুধেল গাভী
ছোট্ট দোচালা ঘরের বাগান, ঠিক যেন জলছবি।
হঠাৎ সকালে কুমড়ো, লাউ অথবা একটু শাক,
তড়িঘড়ি তুলে বাজারের দিকে ধরতে হত বাঁক।
ছোট মুখটাতে সুর তুলে রোজ মেয়েটার আবদার
"বাজান, গাই বিয়াইলে বাচ্চাডা কি তায় আমার?"
শেষ বিকালে দাওয়ায় বসে কাঁথার কারুকাজ,
"পোলাই হইব, দেইখা নিও, রাজপুত্তুর সাজ।"
সবাই বলত, নদী ডেকেছে, এবার রক্ষে নেই
চাষা বলে, সাতপুরুষের ভিটে, যেইখানে ছিল সেই।
"নদীখানা মোর মায়ের লাহান, চোখটা চায়া দ্যাহে,
মূলখান মোর এইহানে গাঁড়া, সরাইলে লাগব বুহে।"
ভর আষাঢ়ে বান ডেকেছে, ক্ষেতে নতুন প্রাণ
সুদূর গ্রামে, কামলা খাটা, টাকার বড়ই টান।
সারাদিনের গতর খাটানি, শুয়েই ঘুমের ঢল,
শেষরাতে এল আজরাইল বাণী, মাটিখান টলমল।
অঝোর বর্ষা, তীব্র ঢেউ আর সাগরের আহবান,
মা বলে ডাকা নদীখানা দিল চাষার কলজেয় টান।
ছবির মত চালাখানা তার, মেয়েটা, পোয়াতী বউ,
আসমান চিড়ে আজাব নেমেছিল, ধরার ছিল না কেউ।
বসে দেখে আজ ভাঙা নদীপাড়, দুপায়ে ধরেছে জং,
ভেসে চলে গেছে তার ছোট্ট স্বর্গ, দুনিয়ার যত রঙ।
সবহারানো ধূসর চাষা, মলিন কাপড় গায়,
কূলখোয়ানো খুনী মায়ের বুকে আজ উজাড় হতে চায়।
©somewhere in net ltd.