![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"আপনার স্ত্রী কোনদিন মা হতে পারবে না!"
ডক্টর মুখার্জী কথাটা বেশ প্রফেশনাল ভঙ্গিতেই বললেন তার সামনে বসে থাকা ফয়সাল কে। দুদিন আগেই স্ত্রী ইরাকে নিয়ে দুজনই কিছু টেস্ট করিয়ে যায় তারা। যার রেজাল্ট জানার জন্যই আজ একাই এসেছে সে ডক্টর মূখার্জীর চেম্বারে।
ইরার প্রতি ফয়সালের তিব্র ভালবাসার গল্প নাহয় এখানে উহ্যই থাকলো, তথাপি সে ভেবে পায়না কিভাবে ইরা কে এতবড় দুঃসংবাদ জানাবে। বিয়ের ৩ বছরের মাথায়ও কোন ফলাফল না আসায় একরকম বাধ্য হয়েই ইরার চাপের মুখে চেকআপ করাতে রাজি হয় ফয়সাল। হাতে রিপোর্ট গুলো নিয়ে রুমাল দিয়ে ঘাম মুছতে মুছতে ডক্টরের চেম্বার ছাড়লো সে। উদ্দেশ্য 'ছাদেক ষ্টুডিও '। গুলশান ১ আর মহাখালির মাঝামাঝি অবস্থিত ছাদেক ষ্টুডিওর ছাদেক ভাই অসম্ভব ভালো ফটোশপের কাজ জানেন। একই জেলায় বাড়ি আর অফিসিয়াল টুকিটাকি কাজের সুবাদে ভালোই সখ্যতা তৈরী হয় ফয়সালের সাথে ছাদেক ভাইয়ের।
হাটতে হাটতে ইরার নিষ্পাপ মুখটা বার বার চোখের সামনে ভেসে উঠছে ফয়সালের। আজ সকালে বাসা থেকে বের হবার সময় ইরা খুব হাস্যজ্জ্বল ভঙ্গিতে টসটস করে বলেই ফেললো কথাটা
-"এই শোন, রিপোর্টে যদি সমস্যা তোমার হয় তবে আমরা একটা বাচ্চা দত্তক নিব। আর যদি সমস্যা আমার হয় তবে তুমি আরেকটা বিয়ে করে নিও, তখন আমি হব বড় বউ!!"
কথাটা বলার সময় ইরার গলাটা যেন একটু ধরে এলো। কোন প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে প্রতিউত্তরে ফয়সাল বলল
-"টাই টা বেধে দাও "
এই সুযোগে সে ইরার চোখের দিকে তাকালো, আর অবাক হয়ে দেখলো কি অসম্ভব নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা মেয়েটার! চোখের পানি গুলো যেন চিৎকার করে বের হয়েও হলোনা।
-"কি ব্যাপার ফয়সাল ভাই, কেমন উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছে?"
বলল ছাদেক ভাই।
-"কই নাহ সব ঠিকঠাক ফিটফাট, জ্ববরদাস্ত জিন্দাবাদ"
বলে হো হো করে হেসে দিলো ফয়সাল।
তারপর সাথে সাথেই কিছুটা গম্ভীর হয়ে ফয়সাল আবার বলল
-"যদি কোন প্রশ্ন না করেন তবে একটা কাজ করে দিতে বলব, দিবেন ছাদেক ভাই? "
-"কি কন মিয়া!! দিমুনা মানে? অবশ্যই দিমু কন কি কাম?"
রিপোর্ট গুলো ছাদেক ভাইয়ের হাতে দিয়ে ফয়সাল বলল
-"এরকম হুবহু আরেক কপি রিপোর্ট আমাকে বের করে দিতে হবে, যেখানে ফলাফল বসাবো আমি!!!"
ভালো করে সেটা দেখলো ছাদেক ভাই। তারপর কোন রকম প্রশ্ন ছাড়াই আঙ্গুলে একটা তুরি মেরে বলল-
-"৫ মিনিটের কাম, হয়ে যাবে। আপনি বইসা এক কাপ চা খান, আমি করতাছি।"
চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে সবকিছু ভাবতেই মনটা বেজায় ভালো হয়ে গেলো ফয়সালের। তার আর ইরার মাঝে আর কোন বাধা নেই, সংশয় নেই... নেই কোন সংকীর্ণতা। ঝটপট ফোনটা বের করে বন্ধু বাবু কে কল দিয়ে বলল
-"দোস্ত আমাকে কয়েকটা অনাথ আশ্রমের ঠিকানা দিতে পারবি !!!"
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৯
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সন্তানের বিষয়টি স্বর্গীয়। কিন্তু এক জীবনে মানুষ সব কিছু নাও পেতে পারে। ফয়সাল ইরাকে বেছে নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। কারন সত্যিকারের ভালবাসা পাওয়াটা সোনার হরিণ পাওয়ার মতই দুর্লভ।
৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০২
শামচুল হক বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: বাঙালিদের মাথায় ঢুকে গেছে- বিয়ের পর বাচ্চা লাগবেই।
আরে ভাই কি হয় বাচ্চা না থাকলে?
ঝাড়া হাত পা নিয়ে থাকা বিশাল আনন্দের ব্যাপার।
বাচ্চা না থাকলে নারী পুরুষের সারথকতা বোঝা যায় না। যাদের ঘরে সন্তান নাই তাদের হা হুতাস যদি দেখতেন তাহলে এমন কথা বলতেন না। তাছাড়া সবাই যদি সন্তান নেয়া বন্ধ করে দেয় তাহলে এক সময় পৃথিবীতে মানুষ নামের কোন চিহ্ণই থাকবে না।
৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এরকম বোঝাপড়া থাকলে সংসার ভালো থাকে। ফয়সালদের ত্যাগ ইরা-রা মনে রাখলেই হলো...
৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪০
ওমেরা বলেছেন: আল্লার সব চেয়ে বড় নিয়ামত হচ্ছে সন্তান । কাউকে আল্লাহ সেটা না দিলে সেটা একটা পরিক্ষা ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: বাঙালিদের মাথায় ঢুকে গেছে- বিয়ের পর বাচ্চা লাগবেই।
আরে ভাই কি হয় বাচ্চা না থাকলে?
ঝাড়া হাত পা নিয়ে থাকা বিশাল আনন্দের ব্যাপার।