নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছোট থাকতে পছনদো করি

নাঈম ফয়সাল নয়ন

সত্য কে সত্য আর মিথ্যা কে মিথ্যা বলার চেষ্টা করি

নাঈম ফয়সাল নয়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় (Season-2) - পর্ব- ১

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬



চোখ বন্ধ করলে দেখতে পাওয়া বা নির্দিষ্ট কোন কিছু ভেদ করে দেখতে পাওয়ার ক্ষমতাটা অনেকটাই আমার নিয়ন্ত্রণের ভিতরে চলে এসেছে। বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনতেও আমাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। যখন প্রথম আবিষ্কার করলাম যে আমি বন্ধ চোখে দেখতে পাই, শুধু বন্ধ চোখেই না, বন্ধ ঘরের ভিতরে কি হচ্ছে তা দেয়াল ভেদ করেও দেখতে পাওয়া বিষয় গুলো খুব ঝামেলায় ফেলেছিল আমাকে। একটা গাড়ি ড্রাইভিং শেখার ক্ষেত্রে প্রথম প্রথম তা নিয়ন্ত্রণে আনতে একজন ড্রাইভার কে যেমন বেশ বেগ পেতে হয় তেমনি আমাকেও অনেক বেগ পেতে হয়েছে। কখোনো কখোনো দূর্ঘটনার শিকারও হয়েছি অপ্রিতিকর দৃশ্য দেখার মাধ্যমে। যেমন গভীর রাতে কোন নববিবাহিত দম্পত্তির বাড়ির পাশ দিয়ে হাঁটার সময় খুব বেশি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে হয়েছে। তাও যদি তাদের ঘরের লাইটটা অফ থাকতো তবুও নিস্তার পেতাম কিছুটা। কিন্তু নতুন বিয়ে করেই সারারাত ঘরের লাইট জ্বালিয়ে রাখার কোন মানে দেখিনা। লজ্জা সরম নামক তরল পদার্থ আজ কর্পূরের মত বাতাসে মিশতে শুরু করেছে। লজ্জা কাকে বলে কত প্রকার ও কিকি তা উদাহারনসহ প্রমাণ রেখে গেছেন আগের যুগের নানী, দাদীরা।

তবে প্রথম দিকে আমার এই আধ্যাত্মিক দৃষ্টিগত বিষয়টা অনেকটা শর্ট-সার্কিটের মত কাজ করতো।যেমনঃ যা দেখতে চাইনি তা দেখতে হয়েছে, আবার যা দেখার জন্য মরিয়া হয়েছি তা দেখতে পাইনি। কখনো দেখতে পাচ্ছি আবার কখনো দেখতে পাচ্ছি না !! কখনো কখনো নেগেটিভের মত ফুটেজ দেখেছি!! আবার কখনো কখনো সাদাকালো ফুটেজ!! আবার কখনো কখনো কিছুই দেখতে পাইনি, অর্থাৎ পুরাই অন্ধ!! এজন্য কতবার গাছের সাথে, রিকশার সাথে ধাক্কা খেয়ে পরে গেছি তার ইয়ত্তা নেই। এসময় চোখে বেশ ব্যাথাও অনুভব করতাম।
তবে এখন আমি পাকা ড্রাইভারের মত এই অদ্ভুত ক্ষমতা কে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখে গেছি। যখন ইচ্ছা যেকোন পর্দা বা দেয়াল ভেদ করে তা দেখতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়র মত এই দৃষ্টি ক্ষমতার কোন নাম দিতে পারিনি। তবে এর একটা নাম দেয়া যেতে পারে। যেমন, যে ব্যক্তি এক চোখে দেখতে পায় সেটা “এক দৃষ্টি” যে ব্যক্তি দুচোখ দিয়েই দেখতে পারে তাকে “দ্বিতীয় দৃষ্টি”, এবং যে ব্যক্তি এই দুই চোখ বাদেও দেখতে পায় তকে বলা হবে “তৃতীয় দৃষ্টি”!! তিন দুগুণে ছয়!! তৃতীয় দৃষ্টি ও ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়!! চমৎকার কম্বিনেশন। কম্বিনেশন চমৎকার হতে পারে, কিন্তু আমার জন্য মোটেও খুশির খবর নয়। আমি চেয়েছিলাম আর দশটা সাধারণ মানুষের মত সাধারণ একটা জীবন। বিধাতা কেন আমাকে “সিক্সথ সেন্স” নামক এমন বিচ্ছিরি জিনিস দান করলেন তার উপর আবার এই “মরার উপর খারার ঘায়ের” মত করে “তৃতীয় দৃষ্টি” নামক এই অতিদৃষ্টি দিয়েই বা কোন পাপের শাস্তি দিচ্ছেন তা একদিন তাকে ঠিক জিগাসা করবো।

আমি ঝিনাইদহের বাস টার্মিনালের এক চায়ের দোকানে বসে এক কাপ চা খেতে খেতে "মাগুরা সেলুন কোচ" এর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। প্রথমে যাবো মাগুরা, এরপর যশোর, তারপর খুলনা … এভাবে সবগুলো জেলা। প্রত্যেক জেলায় থাকবো নিজের ইচ্ছেমত। উদ্যেশ্য- “বিনা পয়সায় বাংলা ভ্রমণ”। হ্যাঁ, পকেটে এক টাকা না থাকা স্বত্বেও আমি ঘুরতে চাই এদেশের জেলায় জেলায়, গ্রামে গ্রামে, অলিতে গলিতে। জানতে চাই হঠাৎ মাঝরাতে ঘুম ভেঙে উঠে কোন চাষী ঢুকরে ঢুকরে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে কেন কাঁদে? পায়ে আলতা দিয়ে ঘুরতে না দেওয়ায় কোন গৃহবধূ স্বামীর উপর মান করে বসে আছে কিনা? মিথ্যা প্রেমের ছলনায় কোন তরুণ তরুণীর কাঁচা জীবন শুরুতেই যাতা হয়ে যাচ্ছে কিনা? আমি সাঝ বেলায় মাছ ধরে জেলের সাথে বাড়ি ফিরে জ্যান্ত জিওল দিয়ে একবেলা ভাত খেতে চাই। ছেড়া জুতা দিয়ে স্কুলে মাসের পর মাস চালিয়ে নিচ্ছে কোন ছেলেটি? খুব কাছ থেকে দেখতে চাই দেশে দেশে, গ্রামে গ্রামে, মানুষের জীবন বৃত্তান্তের খুটিনাটি। সর্বপরি কাজী নজরুল ইসলামের মত করে দেখতে চাই -

"কেমন করে ঘুরছে মানুষ যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে
দেশ হতে দেশ দেশান্তরে ছুটছে তারা কেমন করে”

দুরে দেখা যাচ্ছে "মাগুরা সেলুন কোচ" হেঁচকি তুলতে তুলতে এগিয়ে আসছে। এই সেলুন কোচ সম্পর্কে খুব ছোট বেলায় আমার ধারণা ছিল, কেবল মাত্র নাপিতরাই এই বিশেষ বাসে করে যাতায়াত করে। এরপর একটু বুদ্ধি হবার পর ধারনা করলাম, যারা ব্যস্ততার জন্য চুল দাড়ি কাটার সময় পায়না তারা এই বাসে চরে চুল দাড়ি কাটতে কাটতে গন্তব্যস্থলে রওনা করে। এরপর আর এটা নিয়ে ভাবিনি।

যাইহোক, গাড়ি এসে বাসস্টান্ডে দাড়াতেই এদিক ওদিক না তাকিয়ে তাতে উঠে পরলাম এবং বাম দিকের জানালার পাশের সিট টাতে বসে পরলাম। এমন সময় জানালার কাচে কয়েকটা বারি পরতেই সেদিকে তাকালাম-
“-এই যে মামা, চায়ের বিল তো পাইলাম না!!”
বলল চায়ের দোকানদার। আমি হাই তুলতে তুলতে বললাম-
-”এক কাপ চা কত টাকা মামা?”
-”৬ টাকা”
-”ঠিক আছে, আরো ৪৪ টাকা পাওনা থাকলো। আরেকদিন এসে খেয়ে যাবো!”
-”তার মানে?”
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে জিজ্ঞাসা করলো লোকটা। আমি বললাম -
-”কেন মনে নাই?, টাকা ফেরত দেয়ার সময় আজ সকালে এক অন্ধলোক কে ৫০ টাকা কম দিয়েছিলেন? মনে করেন ওখান থেকেই আমাকে এককাপ চা খাওয়ালেন! আর বাকি থাকলো ৪৪ টাকা।”
লোকটা সন্দেহের দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকালো, তারপর ভ্রু কুঁচকে ঘোঁতঘোঁত করে বলল -
-”মিয়া পয়সা নাই হেইডা কইলেই পারেন, আজাইরা কুনহানকার”
বলে চলে যাচ্ছিল, আমি পিছন থেকে ডেকে বললাম-
-”মামা, এক কাজ করেন, বাকি টাকাটা কোন এক অন্ধ ফকির কে দান করে দিয়েন। তাতে যদি পাপ কাটা পরে!! এভাবে আর কত ঠকাবেন মানুষ কে? আজ থেকে প্রতিজ্ঞা করেন আর কাউকে ঠকাবেন না। এভাবে ঠকাতে থাকলে আল্লাহর সুদৃষ্টি পরবেনা আপনার উপর। আর সুদৃষ্টি না পরলে আপনার বাকি সন্তান গুলোও প্রতিবন্ধী হয়ে দুনিয়াতে জন্মাবে!!”
এবার লোকটা হা হয়ে গেল! তার চোখেমুখে বিষ্ময়ের রেখা ফুটে উঠেছে। তার মনে প্রশ্ন আর দ্বিধাদ্বন্দ্বের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। আমি কিভাবে জানলাম যে তার একটা প্রতিবন্ধী সন্তান হয়েছিল!! তাও সে বছর তিনেক আগের কথা। প্রতিবন্ধী জানার পর সেই সন্তান কে নিজ হাতে হত্যাও করেছিলেন তিনি। যদিও হত্যা করার বিষয়টি একদম গোপণ। তবুও সে তথ্যও আমি জানি কিনা এমন ভয় আর সংশয় যেন তার সমস্ত মস্তিষ্ক জুড়ে তোলপাড় করে যাচ্ছে। আমি বললাম -
-”ভয় নেই! এ পাপের শাস্তি দুনিয়াতে আপনাকে পেতে হবেনা বোধহয়। আর আমিও পুলিশ বা জজ সাহেব নই যে আপনাকে শাস্তি দেব!! তবে পরকালে কি হবে সে ব্যপারে তিনিই (আল্লাহ) ভাল জানেন।”
বলে আমি অন্যদিকে তাকালাম। গাড়িও চলতে শুরু করেছে। লোকটা আমার দিকে এখোনো ওইভাবেই তাকিয়ে আছে। কারো অবাক হওয়া বা আশ্চর্য হওয়া দেখতে আমার খুব অসস্থি লাগে। প্রত্যেক মানুষ তার নিজের গোপণ পাপের কথা জানে। কিন্তু সেটা কোনভাবে তৃতীয় পক্ষ জেনে গেলে এত অবাক হওয়ার কি আছে বুঝিনা। আরে তৃতীয় পক্ষ একজন তো সবই দেখছে উপরে বসে, সেটাও তো বোঝা উচিৎ।

তবে এই মূহুর্থে তা আর বুঝতেও চাচ্ছিনা। কেননা এই মূহুর্থে আমার পাশের সিট টাতে এসে বসেছেন বিখ্যাত “ডালিম” ভাই!! তিনি আঙ্গুল ঝাকিয়ে ঝাকিয়ে চরম অকথ্য ভাষায় কার সাথে যেন ফোনে খুব উচ্চস্বরে চিৎকার করে বলছেন -
-”ওই খা*** পোলা, আমারে চিনোস?? আমি হইলাম ডালিম … ডালিম …ডালিম আমার নাম ! এক্কেরে ইডের ভাডার মইদ্দে ছাইড়া দিমু শু**** বাচ্চা!!”
বলে ফোনটা কেটে পকেটে ঢুকিয়ে ঘাম মুছতে থাকলেন আর ফোস ফোস করে নিঃশ্বাস ছাড়তে থাকলেন। বাসের ভিতরের মানুষগুলো দেখলাম ডালিম ভাইয়ের দিকে ভয়ে ভয়ে তাকাচ্ছে। তিনি এই এলাকার বেশ বড়সড় মাপের মাস্তান বা গুন্ডা বলা যেতে পারে। আমি তাকে আপাদমস্তক একবার পর্যবেক্ষণ করলাম। তারপর মনেমনে বিখ্যাত ডালিম ভাইকে নিয়ে একটা কবিতা বানিয়ে ফেললাম -

-”তোঁতা গাছে আতা পাখী
মৌ গাছে ডালিম
ছেঁড়া জুতা গলায় দিয়ে
রাস্তাই বেঁচে হালিম”

কল্পনায় পাশে বসে থাকা হালিম ভাইকে গলায় ছেঁড়া জুতার মালায় দেখে খুব মজা লাগলো। আমি তাকে আঙ্গুল দিয়ে একটা গুঁতো দিয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বললাম-
-”ডালিম ভাই, ডালিম ভাই, আপনার মত মহান মানুষের দেখা পেয়ে সত্যি আমি চরম আনন্দিত। আপনার জন্য একটা কবিতা লিখেছি শুনবেন?”
সাথে সাথে বাসের ভিতরে বসে থাকা অনেক গুলো লোক আমাদের দিকে তাকাল। ডালিম ভাই সেদিকে একটু চোখ ঘুড়িয়ে তৃপ্তির সাথে অহংকার মিশ্রিত কণ্ঠে বললেন-
-”ওউ, তাই নাকি !! ঠিক আছে শোনান দেখি আপনার কবিতা”
আমি কোনদিকে না তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে এক নিঃশ্বাসে বলে ফেললাম-

-”তোঁতা গাছে আতা পাখী
মৌ গাছে ডালিম
ছেঁড়া জুতা গলায় দিয়ে
রাস্তাই বেঁচে হালিম”

সাথে সাথে ডালিম ভাইয়ের মুখের হাসি দপ করে নিভে গেলো। আমার কানমুখ গরম করে দেয়ার বদলে দেখলাম চোখমুখ কাচুমাচু করে আস্তে করে ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে বলে নেমে পরলেন!! জানিনা কেন বা কিসের ভয়ে তিনি এভাবে নেমে পরলেন!! তবে অনুমান করছি এর থকে বেশি তিনি আর কিছু শুনতে চাননি আমার মুখ থেকে। তিনি যে আজ হালিম বেচতে বেচতেই এতবড় নেতা পর্যায়ে এসেছেন সেটা ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয় আছে কিনা…

মাগুরা বাস স্ট্যান্ডে এসে গাড়ি থামলো। আমি গাড়ি থেকে নামতেই কন্টাক্টর বাধ সাধল -
-”কি মামা, ভাড়া না দিয়া যাইতাছেন গা কই?”
আমি আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে বললাম-
-”মামা, আমার কাছে তো কোন টাকা নেই !”
কন্টাক্টর কিছু একটা বলতে যাবে এমন সময়-
-”ওনার ভাড়া আমি দিব”
পিছন থেকে ৬০-৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ বলে উঠলো কন্টাক্টর কে !! তারপর একটা লাঠিতে ভর দিয়ে অন্য হাত শূন্যে হাতরে হাতরে বাসের দরজার কাছে আসলো এবং পকেট থেকে টাকা বের করে কন্টাক্টরের হাতে দিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসলো। বুঝলাম উনি অন্ধ। তাই ওনাকে নামতে সাহায্য করলাম। যদিও অন্ধদের কারো সাহায্যের প্রয়োজন হয়না। অন্ধরা দিব্যি সব কাজ করে এবং এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যায় কারো সাহায্য ছাড়া। আল্লাহ্‌ তাদের দ্বিতীয় দৃষ্টি কেড়ে নিয়ে তৃতীয় দৃষ্টি নামক কিছু দিয়েছেন কিনা সে ব্যাপারে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

বাস টা চলে গেলো। অন্ধের হাত ধরে দাড়িয়ে আছি আমি।

চলবে…

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া গল্পে ১০০ তে ২০০ নাম্বার দেওয়া হলো। আমি মুগ্ধ!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

নাঈম ফয়সাল নয়ন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

অন্তরন্তর বলেছেন: বিউটিফুল। আমি একাগ্রতার সহিত পড়ছিলাম আপনার গল্প। পাঠক ধরে রাখার মত লিখা। পরের পর্বের অপেক্ষা করছি। শুভ কামনা।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

নাঈম ফয়সাল নয়ন বলেছেন: অনেক অনুপ্রাণিত হলাম ভাই। কৃতজ্ঞ।

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা খুব সুন্দর হয়েছে। সহজ সরল বাষায় খুব সুন্দর লিখেছেন।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

নাঈম ফয়সাল নয়ন বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.