নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।
যুদ্ধ করে বাসে উঠলাম।
কিছুক্ষন পরে বিনা যুদ্ধে একটা বসার সিট পেয়ে গেলাম।
বসেই একটা প্রশান্তির শ্বাস ফেললাম। শ্বাস ফেলে পুনঃ শ্বাস নিতে না নিতেই মাথার চুলে কষে একটা টান অনুভব করলাম। উঃ করে পিছনে ফিরে দেখলাম গুন্ডা মার্কা বছর পঁচিশের একটা ছেলে। বলল, কন্ডাক্টরকে একটু ডেকে দেন তো।
কন্ডাক্টরকে ডাকার জন্য এই ভাবে ব্যথা দিয়ে চুল টানে?
মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে গেল। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম কষে একটা বিরাশি ছিক্কার চড় লাগাব তার কানের দেড় ইঞ্চি নিচে।
কিন্তু বেশভূষা দেখে সাহস হল না। একটু গোবোচারা টাইপের হলে না হয় কথা ছিল। তাই আর রিস্ক নিলাম না। অতি কষ্টে নিজের খায়েস নিবারন করলাম।
তাছাড়া আমরা তো হলাম রবি বাবুর‘শান্ত মোরা ভদ্র অতি, পোষ মানা এ প্রাণ।’
একটু পরে ঐ গুন্ডাকে ফোনে কথা বলতে শুনলাম। প্রতিটি শব্দের সাথে একটা গালি অনুপ্রাস হিসেবে ব্যবহার করছে। পুরো বাসের মনোযোগ ছেলেটি নিয়ে নিল। ভাবলাম, বেশ ভালই ব্রান্ডিং করছে গুন্ডাটা।
গুন্ডাটার পাশে একটা মেয়ে বসা। দুজনের মাঝে কি সম্পর্ক সেটা বুঝা যাচ্ছে না। বোন, ভাবি বা বৌ যে কোন একটা হতে পারে। আমি তাদের মধ্যকার সম্পর্ক মেলাতে মশগুল।
একটু পরে শুনলাম আমার পাশের বুড়ো ভদ্রলোক কাতরাচ্ছে।
ঘটনা কি?
দেখলাম বুড়ো চাচা মিয়ার সবেধন নীলমনি কয়েকগাছা চুল মুঠো করে ধরে আছে ঐ বিচিত্রবর্ণের গুন্ডাটি।
আমি ভয়ে এগুলাম না। কয়েকজনের হস্তক্ষেপে চাচা এ যাত্রায় রক্ষা পেলেন।
ঘটনা ছিল এইঃ
চাচা তার জানালার পাল্লা পেছনে ঠেলেছিলেন একটু বাতাসের জন্য। কিন্তু গুন্ডাটার এটা পছন্দ হয়নি। কারন তার জানালার দখল কমে গিয়েছিল।
ফলস্বরুপ, চাচার এই করুন দশা-
ঘটনা আরও বাকী ছিল-
পালোয়ান টাইপের একটা ছেলে এসে গুন্ডাকে খুবই ঠান্ডা স্বরে বলল, এই তোর পাশের এই মহিলা তোর কি হয়?
আচমকা এই প্রশ্নে গুন্ডাটা হতচকিত হয়ে গেল।
টাল সামলে নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করল, কেন? তোর কি দরকার!
-দরকার আছে। এই মহিলা যদি তোর বৌ হয় তাহলে তোর একরকম ট্রিটমেন্ট। আর যদি বৌ ছাড়া অন্যকিছু হয় তবে অন্য ট্রিটমেন্ট। আমি নিতান্ত বাধ্য না হলে বৌদের সামনে তাদের গুনধর বর মশাইকে নিদেনপক্ষে ঠেঙাই না।
পালোয়ানের এই রকম কথায় গুন্ডাটা একটু চুপসে গেল।
শত হোক পালোয়ান তো!
পালোয়ানের কাছে আবার গুন্ডাগিরি। হাহ!
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৩
নয়ন বিন বাহার বলেছেন:
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২১
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সুন্দর, আমারো লোকাল বাস তিনটি অভিজ্ঞতা তিন পর্বে লিখেছি সবাইকে পড়ার আমন্ত্রণ রইল,আমার লেখা প্রথম পাতায় আসে না তাই আমার ব্লগে সবাইকে আমন্ত্রণ ।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৯
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫০
এম. হাবীব বলেছেন: পালোয়ানের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি পুরাই চেঞ্জ...
অনের দিন আগের বাশি ঘটনা, আপনার পোষ্ট পড়ে মনে পড়ল-
মহাখালি থেকে উঠছি গন্তব্য এয়ারপোর্ট। আমতলি পার হওয়ার একটু পরই বাসের মাঝামাঝি সিটে বসা এক গুন্ডা সিগারেট ফুকানো শুরু করল। তার থেকে তিন সিট সামনে বসা আমার পাশের ছেলেটি সিগারেটের গন্ধ পেয়ে দাড়িয়ে গেল, এদিক ওদিক তাকিয়ে বলল, সিগারেট খায় কেডা?
একজন হাত ইশারায় দেখিয়ে দিল- এই যে,
ছেলেটি- ভাই সিগারেট্টা পালায়া দেন।
গুন্ডা- সিগারেট কি তোর পয়সা দিয়া কিনছি?
ছেলেটি- ভাই আপনার পয়সা দিয়া কিনছেন, তাও পালায়া দেন, গাড়িতে সিগারেট খাওন যাইবো না।
গুন্ডা- আমার সিগারেটের দাম তোর থেইক্যা বেশি পালান যাইবোনা।
ছেলেটি- সিগারেটের দাম আমার থেইক্যা বেশি?
গুন্ডা- হ
ছেলেটি- ঠিক আছে তোর সিগারেটের দাম জানার ব্যবস্থা করতাছি । এই বলে ছেলেটি বসে পড়ল, ফোন করল তার গ্রুফের এক কোন একজনকে। বলল ৪/৫ জন নিয়া কাওলা রেলগেট তার বর্ণনামতা গাড়ির সামনে দাঁড়াইতে। আর দেখাই দেওয়া মাত্র যেন রামধোলাই দিয়া দেয়।
কিছুক্ষনের মধ্যেই গাড়ি কাওলা রেলগেইট ষ্টপেজে এসে দাড়ালো।
যেই কথা সেই কাজ!! আর যাই কোথায়- মুহুর্তেই ৪/৫ যুবক গাড়িতে উঠে দোস্ত কই কই?
ছেলেটি দেখিয়ে দেওয়া মাত্র দোলাই আর কাকে বলে, ইচ্ছেমত মাইরা সবাই নেমে গেল।
বেচারা গুন্ডা
কুঁজো হয়ে সিটে বসে আছে।
একটু পর জিজ্ঞেস করলাম ভাই বেশি ব্যাথা পাইচেন? গাড়িতে সিগারেট আর খাইয়েন না।
বেচারা কিছু না বলে শুধু একপলকে তাকিয়ে আছে...
মনে মনে ভাবলাম পালোয়ান ছেলেগুলা না এলেতো তুমিও একটু আগে গুন্ডা ছিলা
আপনার মতো বলতে হয়
শত হোক পালোয়ান তো!
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৯
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: বাহ!
ভয়ংকর শিক্ষা।
৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমি এসব ঘটনা এড়িয়ে চলি...
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩০
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: ভাইরে...........
কতক্ষন আর এড়িয়ে চলা যায়।
৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০২
তামিম ইবনে আমান বলেছেন: শক্তের ভক্ত নরমের যম
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩০
নয়ন বিন বাহার বলেছেন:
৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫
সাইন বোর্ড বলেছেন: এসব ক্ষেত্রে বুদ্ধির চাইতে শরীর-স্বাস্থ্য একটু মোটা-তাজা থাকলে ভাল কাজ দেয়, তাছাড়া একটু সাহসেরও দরকার ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: যথার্থ সাইন বোর্ড।
কথায় বলে, ধারে না কাটলেও ভারে কাটতে হবে।
৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: ধন্যবাদ নুর ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৯
শামচুল হক বলেছেন: মজার ঘটনা।