নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমাদের এ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি। দূরে! বহু দূরে! ঈগল চোখের আড়াল খুঁজে নিচ্ছি- যেখানে সমস্ত পাপী স্বীকারোক্তি দেয় তাদের আকন্ঠ পাপের। অন্তত তারা সত্যের আড়ালে পাপ করে না; পাপ নিয়ে করে না কোন মিথ্যাচার!

নয়ন বিন বাহার

আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।

নয়ন বিন বাহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

নায়ক হতে গিয়ে

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

কে না চায়? সবাই চায়, নায়ক হতে। তাই আমার সে চাওয়ায় কোন দোষ আছে বলে আমি মনে করি না। কিন্তু দোষ তখনি যখন নায়ক হতে গিয়ে খলনায়ক হয়ে যাই।

সিনেমায় নায়কের এ্যকশন দেখে বাসায় প্র্যাকটিস করতে গিয়ে নিরীহ ছোট ভাইয়ের নাক ফাটিয়ে রক্ত বের করে নায়োকচিত চেহারায় বাহবা পাওয়ার আশা করছি তখন তার চিৎকারে ছুটে আসা মায়ের হাতে ঠ্যাঙ্গানি খেয়েও নায়ক হওয়ার সাধ বিন্দুমাত্র কমেনি।

নায়কেরা সব পারে। তারা কোথাও ব্যর্থ হয় না। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। তাই আমার ভিতর একটা সবজান্তার ভাব সবসময় থাকত। স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সকল ইভেন্টে নায়ক হওয়ার খায়েস ছিল প্রবল। দৌড় প্রতিযোগিতায় আমাকে কেউ হারাতে পারবে না এমন একটা ভাব আমার ভিতরে ছিল।

কারন আমার একমাত্র প্রতিযোগী দৌড় প্রতিযোগী বাবা বাঁশের কঞ্চি হাতে নিয়ে দৌড়ে আমাকে কখনো ধরতে পারতে না। তাই দৌড় নিয়ে বন্ধুরের কাছে গল্প করাটা বাড়াবাড়ি মনে হয়নি।

কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
বাঁশি বাজার কিয়ৎক্ষন পরেই নিজেকে আবিষ্কার করলাম ভূমিতলে। মাথা তুলে দেখি ততক্ষনে অন্যরা মাঠের অর্ধেকটা পেরিয়ে গেছে।

করলাম হাই জাম্পে অংশগ্রহন। জাম্প দিয়ে ভাবলাম দড়ি আমার গা স্পর্শ করেনি। যাক এখানে অন্তত পাশ করেছি। আনন্দে চোখটা চক চক করে উঠল। কিন্তু যখন শুনলাম, লাফিয়ে দড়ির উপর দিয়ে না গিয়ে দড়ির নিচ দিয়ে পেরিয়ে(পালিয়ে) এসেছি তখন সত্যি চোখের কোনাটা চিক চিক করে উঠেছিল।

যদিও আমার নায়কত্ব প্রমান করতে পারিনি তবুও তো আমি আমার জীবনের নায়ক। খেয়াল করলাম, নায়ক যেহেতু আছে, নায়িকাতো লাগবে? নায়িকা ছাড়া নায়ক, বড্ড বেমানান।

তবে নায়িকার দেখা পেতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি।

একদিন কুকুরের দাবড়ানি খেয়ে রাস্তার পাশে এক বাসায় নিরাপত্তার জন্য ঢুকে দেখি নায়িকা স্বয়ং। হাসছে খিলখিল করে।

সিনেমায় দেখেছি নায়ক যখন জয়ী হয় তখন নায়িকার মুখে হাসি শোভা পায়। আমি তো জয়ী। কারন কুকুর আমাকে ধরতে পারেনি। মনটা আনন্দে ভরে গেল। যাক সঠিক নিশানায় নায়ক হতে পেরেছি।

তাই একটু ধাতস্ত হওয়ার চেষ্টায় নিজেকে দেখতে গিয়ে দেখি পরনে শুধু আন্ডার ওয়ার।
আরে! পরনের প্যান্ট গেল কই??
আচানক কান্ড!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই আপনি এটা বানিয়ে লিখেছেন?

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: হা হা হা
=p~ =p~ =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.