নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।
রাষ্ট্র একটি যন্ত্র।
এই যন্ত্রের সবচেয়ে বৃহৎ এবং গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল জনগন।
যে কোন যন্ত্রের ক্ষুদ্রতম একটি অংশ যদি বিগড়ে যায় তাহলে পুরো যন্ত্রটাই বিকল। সে ক্ষেত্রে একটি বৃহৎ অংশের প্রভাব কতটুকু?
আসি জনগনের কথায়।
তাহলে বৃহৎ এই শক্তির প্রভাব কেন রাষ্ট্রের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রভাবিত হচ্ছে না ?
সবাই অভিযোগ করে দেশে আইন নেই। আইন থাকলেও কেউ আইন মানে না। ধনাঢ্য এবং ক্ষমতাশীনদের কাছে আইন বিক্রি হয়ে যায়।
এটার কারন আছে।
কোন একজন অন্যায়কারীকে আমরা সরাসরি বাঁধা দিই না। এর কারন কি? এর কারন দু’টো ঃ
এক ঃ উল্টো আক্রমনের ভয়।
দুই ঃ নিজেই অনেক সময় অন্যায়ের আশ্রয় নিই। তাই এ্যথিকেলি দুর্বল।
উল্টো আক্রমনের ভয় কিরকম?
আমাদের পাড়ার রাস্তাটা সংস্কার হচ্ছে। শুধু ছয় ইঞ্চি তুলে তা আবার ঢলে দিয়ে উপরে কার্পেট দিয়ে দিল। সবাই বলাবলি করছে। কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস করল না। একজন আনোয়ার ভাই (লোকাল দোকানদার) প্রতিবাদ করল। ওনাকে রাস্তার উপর ধরে মারল। কেউ প্রতিবাদ করল না।
আমার এক পরিচিত লোকের ছেলে দক্ষিন কোরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ায়। উনি একবার ওখানে বেড়াতে যান। এসে এক আজব অভিজ্ঞতা(ওনার ভাষায়) আমাদের সাথে শেয়ার করেন।
'কলা খেয়ে কলার খোসা ফেললাম রাস্তার পাশে একটা গাছের গোড়ায়। সচরাচর আমরা দেশে যেভাবে করি। কিন্তু কি লজ্জায় আমি পড়লাম তা ভাষায় প্রকাশিত হবার নয়। একটি মেয়ে এসে আমাকে বলল, এই অন্যায় কেন করলেন? আমি বুঝে উঠতে পারিনি অন্যায়টা কি করলাম। সে আমাকে বুঝিয়ে দিল, এভাবে খোসা যেখানে সেখানে ফেলা ঠিক নয়। এটা অন্যায়। আমাকে দিয়ে ওটা আবার কুড়িয়ে নিল। যদিও আমি অপমানিত হলাম তবে একটা শিক্ষা নিলাম।'
বললাম, দাদা, মেয়েটি কি পুলিশ ছিল?
'আরে নাহ! কোন পুলিশ দেখিনি। ওখানে নাগরিকরাই পুলিশের ভূমিকা রাখে।'
গল্প শেষে বাদাম কিনে হাঁটতে হাঁটতে খেতে শুরু করলাম। দাদা বাদামের খোসা খোদ রাস্তার মাঝখানেই ছড়ানো শুরু করল। বললাম, দাদা, কোরিয়া থেকে কি শিখে এলেন? আর এখন কি করছেন?
দাদা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললেন, ওখানে সবাই নিয়ম মানে, তাই অনিয়ম করা সম্ভব নয়। আমাদের দেশে তো সবাই অনিয়ম করে, তাই নিয়ম প্রতিষ্ঠিত হয় না।
এখন প্রশ্ন হল, সবাই নিয়ম মানবে কখন?
সবাই কি নিয়ম মানবে? নাকি নিয়ম মানাতে হবে?
যদি নিজেকে শিক্ষিত বলে পরিচয় দিই তাহলে আমাকে নিয়ম মানাতে হবে কেন?
যদি নিয়ম মানাতেই হয় তবে এ দায়িত্ব কার? রাজনীতিবিদদের না কি পুলিশের?
রাজনীতি নিয়েও রাষ্ট্রযন্ত্রের সুবৃহৎ অংশের এলার্জি কম নয়।
আমরা খারাপ রাজনীতিবিদদেরকে ভোট দিব। আবার তাদের থেকে সুফল আশা করব। সুফল না পেলে তাদেরকে গালাগালি করব।
কিন্তু ভালমানুষ রাজনীতি করুক তা চাইব না।
তাহলে কি দাঁড়াল? এ দায় কার?
এটা কি প্রজম্মের ব্যর্থতা নয়?
এখানে কেউ বলে, 'ভোট দিতে পারেন?'
পাঠক আমার সাথে আশা করি একমত হবেন।
ভোট দেয়ার জন্য ভোটারের যে যোগ্যতা লাগে তা বাংলাদেশের ৭০ ভাগ মানুষের নেই। এরা হয়তো বিএনপিকে অথবা আওয়ামীলীগকে ভোট দেয়। নতুবা যার পকেট ভর্তি টাকা আছে তার কাছে ৫০/৫০০ টাকায় পাঁচ বছরের অধিকার বিক্রি করে দেয়।
চারপাশে তাকালে এর প্রমাণ পাওয়া যায়।
প্রকারান্তরে আমাদের মস্তিষ্ক একজন শাষক চায় না। চায় একজন গুন্ডা। কারও মাথায় ডান্ডার বাড়ি মারতে গুন্ডার জুড়ি নেই।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: গুন্ডা ছাড়া ঠান্ডা করবে কে?
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫
ফেনা বলেছেন: "ভোট দেয়ার জন্য ভোটারের যে যোগ্যতা লাগে তা বাংলাদেশের ৭০ ভাগ মানুষের নেই। এরা হয়তো বিএনপিকে অথবা আওয়ামীলীগকে ভোট দেয়। নতুবা যার পকেট ভর্তি টাকা আছে তার কাছে ৫০/৫০০ টাকায় পাঁচ বছরের অধিকার বিক্রি করে দেয়।"
-- চরম বাস্তবতা।
লেখায় ভাল লাগা।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: আমরা নিজেদের অধিকার বিক্রি করে দিয়ে তার মালিকানা দাবি করতে ওস্তাদ।
৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের এখন রাজনীনিতিবীদদের কাছে হট কেক। ক্ষমতায় গিয়ে কেটে কেটে খেতে চায়।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: সেই কেকটা তাজা রাখতে জনগনের জুড়ি নেই।
৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমরা ব্রিটিশদের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে গোলামী স্বভাব পেয়েছি...
১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪০
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: আমি ভিক্ষা করলাম তাতে লজ্জা না থাকতে পারে কিন্তু আমার সন্তানও যদি ভিক্ষায় নিয়োজিত থাকে সেটা হল চরম ব্যর্থতা।
আমরা জাতি হিসেবে কি এখনো সেই ভিক্ষাবৃত্তি থেকে বের হওয়ার উপযুক্ত হই নি?
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮
কালো_পালকের_কলম বলেছেন: সত্যি গুন্ডা দরকার