নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমাদের এ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি। দূরে! বহু দূরে! ঈগল চোখের আড়াল খুঁজে নিচ্ছি- যেখানে সমস্ত পাপী স্বীকারোক্তি দেয় তাদের আকন্ঠ পাপের। অন্তত তারা সত্যের আড়ালে পাপ করে না; পাপ নিয়ে করে না কোন মিথ্যাচার!

নয়ন বিন বাহার

আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।

নয়ন বিন বাহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কেমন মানুষ? পর্ব-০৩

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৭

পাঁচ.

একটা সমাজে সবচেয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে ছাত্র/ছাত্রীরা।নিয়মিত স্কুলে ক্লাস, ক্লাস শেষে শিক্ষকের বাসায় প্রাইভেট কোচিং, তারপরে বাসায় টিউশন মাস্টারের কাছে পড়ালেখা। পড়ালেখা আর পড়ালেখা। দম নেওয়ার কোন ফুসরৎ নেই।
দেখতে কি যে ভাল লাগে, আহা!

কিন্তু...
এত টাইট শিডিউলে তারা কি শিখছে?
ক্লাসে, কোচিং- এ, টিউশনে?
এত তদারকিতে কি শিখছে তারা?
শতকরা হিসাবে কত ভাগ প্রকৃত শিক্ষা পাচ্ছে?
কি পাচ্ছে তার হিসাব করতে গেলে গোলমাল পাকাবে।

তবে- নিশ্চিত-
তারা নীতি-নৈতিকতা শিখছে না,
সামাজিকতা শিখছে না,
পড়ালেখার বেসিক শিখছে না,
সমস্যা সমাধানের মানসিকতা ধারণ করছে না,
স্বপ্ন দেখছে না,
পরিবর্তনের সাথে কিভাবে খাপ খেতে হয় তা শিখছে না,
ভিন্ন মতকে কিভাবে সম্মান দেখাতে হয় তা শিখছে না,
সমাজ পরিবর্তনের মানসিকতা অর্জন করছে না,
ঘটনার প্রাসজ্ঞিকতা ধরতে শিখছে না,
ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা থেকে বেরুতে পারছে না;

এমন কি যে শিক্ষকের কাছে দিন রাত পড়ালেখা শিখছে বলে দাবী করছে সেই শিক্ষককে কিভাবে সম্মান দেখাতে হয় তাও শিখছে না।
খুব কমই দক্ষতা অর্জন করছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। চাকরীদাতাদের হা-হুতাশ দেখলে এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ ধারণা পাওয়া যায়।

তাহলে স্পষ্ট দেখা গেল এসকল প্রচেষ্টার কোন ভ্যালু নেই। শুধু শুধু আমরা এফোর্ট দিচ্ছি। কাঙ্খিত ফলাফল পাচ্ছি না।
দেশ, সরকার, সিস্টেমের দোষ দিয়ে লাভ নেই। এরা কেউ ত্রাতা হিসেবে আসবে না। নিজের পরিবর্তনটা নিজে করার প্রচেষ্টা হাতে নিতে হবে।

আসুন সিস্টেমের ভিতরে থেকে সিস্টেমকে কাজে লাগাই।
Grow with Dream!

ছয়.

জীবনের আয়োজন টিকিয়ে রাখার দায় মাথায় নিয়ে মানুষের প্রত্যহ ছুটে চলা।

ক্লান্ত, শ্রান্ত মনে গৃহের প্রশান্তির স্বপ্নে নিত্য লোকাল বাসের যাত্রী।
রাস্তায় জ্যাম লাগবেই। লাগার যৌক্তিক কারণ থাকতেই হবে এমন মাথার দিব্বি কেউ দিয়েছে বলে আমার জানা নেই। তাছাড়া কারণ খোঁজার ইচ্ছাও আমার নেই।

আজ জ্যামে পড়ে একটা বিষয় মনে উদয় হল।
আমরা সবাই বিষয়টা হয়ত খেয়াল করেছি। পিঁপড়ারা যখন চলাফেরা করে তখন দেখা যায় এক লাইনে সারিবদ্ধভাবে তারা যাচ্ছে। অথচ তাদের চারপাশে বিস্তৃত জায়গা পড়ে আছে। তারা এলোমেলোভাবে কারও আগে কেউ যেতে হুড়োহুড়ি করে না।
অথচ রাস্তায় বেশিরভাগ সময় গাড়ি বা পথচারী শুধু এলোমেলো বিশৃঙ্খল চলাচলের কারনে, রং সাইড দিয়ে ওভারটেক করতে যাওয়ার কারনে জ্যাম দীর্ঘায়ত হয়।

তখন মনে হয়, ইহার চেয়ে হতেম যদি কালা কালা লাল পিঁপড়া!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.