নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমাদের এ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি। দূরে! বহু দূরে! ঈগল চোখের আড়াল খুঁজে নিচ্ছি- যেখানে সমস্ত পাপী স্বীকারোক্তি দেয় তাদের আকন্ঠ পাপের। অন্তত তারা সত্যের আড়ালে পাপ করে না; পাপ নিয়ে করে না কোন মিথ্যাচার!

নয়ন বিন বাহার

আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।

নয়ন বিন বাহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কেমন মানুষ? পর্ব- ০৫

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৮

নয়.

আমার দেখায় এ সমাজের প্রতিটি মানুষই সচেতন, প্রতিবাদী। তবে নিজের বেলায় নয় অন্যের বেলায়।

সামাজিক কোন অসংগতি বলেন, দুর্নীতি বলেন, ঘুষের লেনদেন বলেন সর্বোপরি যে কোন ধরনের অসামাজিক কর্মকান্ড নিয়ে সকল শ্রেণির, সকল বয়সের মানুষ খুবই সচেতন।

সে সচেতনতা শুধু পড়শির বেলায়, এক কথায় নিজে বাদে অন্য সকলের বেলায়।

অথচ
বাবা সকালবেলা কাঁচাবাজার করতে যে পাঁচশত টাকা দিয়েছে সেখান থেকে তিরিশ টাকা মেরে দিয়েছি। তাতে দোষ হবে কেন? ওটাতো আমার বাবার টাকা?

ব্যাংকে বা ডাক্তারের সিরিয়ালে লাইনে অপেক্ষা করতে কে চায়? দিয়ে দেই পঞ্চাশ টাকা। সিরিয়াল বাদ। আমি ভিআইপি।

এরকম হাজার হাজার উদাহরণ দিয়ে শেষ করা যাবে না।

আমরা যে কোন বিষয়কে ভাবি নিজেদেরকে ঐ বিষয় থেকে বাদ দিয়ে।

যে কোন সিস্টেমের সমালোচনা করি নিজেকে ঐ সিস্টেমের বাইরে রেখে।

নিজের মধ্যে এ সমস্যাগুলো থাকার দরুন আমাদের সমালোচনাগুলো কার্যকর হয় না। কোন অপরাধের খুব সহজে বিচার হয় না।

চায়ের দোকানে দুর্নীতির চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করা আমি দিনটা শুরু করি মিথ্যা কথা বলে।

যে কোন ভাবেই হোক স্বীয় স্বার্থ উদ্ধারের জন্য যে কোন অনৈতিকতার আশ্রয় নিতে বিবেক বাঁধা দেয় না।

তাই যে লোকটা আমার দুর্নীতিবিরোধী শক্ত অবস্থান দেখে মনে মনে প্রতিবাদী হওয়ার শপথ নিয়েছে সে লোকটা আমার ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দেখে হতাশায় নুইয়ে পড়েছে। ভরসা করার মত কাউকেই না পেয়ে তার গড্ডারিকাপ্রবাহে গা ভাসানো ছাড়া আর কোন গত্যন্তর থাকে না।

আমি ভাবি, 'আমি ছাড়া সমাজের সবই খারাপ'
আসলে ভাবনাটা ভুল।

সত্যিটা হল, সেই খারাপ সমাজের আমিও একটা অংশ। খারাপ অংশ।

নিজেকে যদি খারাপ অংশ ভাবা যায় এবং এই ভাবনাটা নিজের কাছে প্রতিষ্ঠিত করা যায় তবেই একটা পরিবর্তন সম্ভব।

দশ.

ধরুন,আপনি কারও সাথে ভেজাল করছেন।
কেন করছেন?

কারন আপনার স্বার্থ আছে এবং আপনি শক্তিশালী। আপনি জানেন আপনি প্রতিপক্ষের তক্তা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করে দিতে পারবেন।
কারন প্রতিপক্ষ অপেক্ষাকৃত দুর্বল।

স্বভাবত দুর্বল নিজস্ব বলয়ে কাঁইকুঁই করলেও ভেজাল করার সাহস যোগাতে পারে না।

এই যুদ্ধে দুর্বল প্রতিপক্ষকে আপনি ঠ্যাং ভেঙ্গে ব্যাং বানাতে পারবেন। আর্থিকভাবে মস্ত ক্ষতি করে হাতে ভিক্ষার থলি ধরিয়ে দিয়ে অচল পয়সা দান করতে পারবেন, সবেধন নীলমনি পিতৃদত্ত প্রাণটাও উড়িয়ে দেয়ার সক্ষমতা আপনি রাখেন।

কিন্তু আপনি এ সব খুব সহজে করতে পারলেও যা পারবেন নাঃ আপনি জিততে পারবেন না।

হ্যাঁ! ঠিক পড়েছেন। আপনি জিততে পারবেন না।

আপনার প্রতিপক্ষের অনিচ্ছাকৃত ভুলকে সংশোধনের সুযোগ থাকা স্বত্বেও যদি আপনি শুধুমাত্র হিংসা বা লোভের বশবর্তী হয়ে যে কোন ধরণের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে আপনার অপশক্তি প্রয়োগ করেন তবে করতে পারবেন কিন্তু আপনি জিতবেন না।

কিছু জায়গায় ক্ষমতা দেখাতে নেই। যেমন পরিবার এবং যেখানে বন্ধু বানানো সহজ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: সত্য কথন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: সত্য কথার ভাত নাই, লোকে বলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.