নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।
কামনায় অন্ধ, ভোগ বিলাসী এক অস্তিত্বকে এক স্বত্ত্বা প্রশ্ন করেছিল,‘আমার কাছে দু’টি বিকল্প আছে, শুধু তোমার জন্য।
একঃ মন;
দুইঃ দেহ।
তোমাকে আমি শুধু এদের একটিমাত্র দিতে পারি। বল কি নিবে?’
অস্তিত্ব তখন প্রাপ্তির আশায় বিভোর হয়ে স্বত্ত্বাকে বলল,‘দেখাও তোমার বিকল্পগুলি।’
স্বত্ত্বা মুচকি হেসে নিজের সমস্ত আচ্ছাদন খুলে ফেলল একে একে। থাকল শুধু নিরেট ঝঞ্জালবিহীন দেহটা।
অস্তিত্ব আকুল হয়ে স্বত্ত্বাকে বলল,‘তবে এটাই হোক শুধু আমার।’
অস্তিত্ব কামনার অগ্নিশিখায় হয়ে গেল বদ্ধ উম্মাদ! জিহ্বায় এল লালসার লালা। ভোগের খেলায় মেতে উঠল সমস্ত ইন্দ্রিয়।
এসব আয়োজনের ভীড়ে স্বত্ত্বা হাসে বিমূঢ় হাসি। সে হাসিতে থাকে রহস্যময়তা। পরাজয়ের তৃপ্তি।
এভাবে চলল মহাকাল।
ভোগ বাসনায় ব্যকুল সে অস্তিত্ব।
কিন্তু থাকলনা সে ব্যকুলতা চিরদিন। অসার হয়ে এল তার সর্বময়তা। দেখা দিল বিষন্ন বিকেল। মনে হল জীবনটাই ছিল হাহাকারে ভরা। সবকিছুই ছিল ভুলে ভরা। যা-ই পেয়েছিল এ জীবনে তা কি সুখ দিতে পেরেছিল? না কি দিয়ে গেছে একরাশ নিরবতা? এক মহা শুণ্যতা! দক্ষিণে হেলে পড়া সূর্যের কাছে চায় একমুঠো উষ্ণতা।
এই উপলব্ধির বিকেল বেলায় মনে করার চেষ্টা করল- অন্য বিকল্পটি যেন কি ছিল? মনে আসছে না। ঘোলাটে চোখের সীমানায় শুধু দেহের খানাখন্দগুলিই বারবার উঁকি দেয়। সাথে সাথে তীব্র যন্ত্রণায় কুঁকড়ে উঠে ইন্দ্রিয়সকল। একদিন যে স্বত্ত্বার দেহটাকেই মনে হয়েছিল সুখের আধার। আজ সে দেহটাই হাজির দু:সাহসিক নগ্নতায়। চাই না আর চাই না। চাই না আর ভোগী হতে। কষ্ট! কষ্ট! মুক্তি! মুক্তি চাই। বিহঙ্গ ন্যায়।
অস্তিত্বের এই আত্মসংঘাতে মাঝে হাজির হল স্বত্ত্বা । চোখ মেলে দেখল কথিত অস্তিত্ব। দেখেই ভয়ার্ত কন্ঠে বলল,‘সরাও! সরাও তোমার ঐ বিধ্বংসী রুপ। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। ফাঁকি! সবই ফাঁকি! তুমি অন্য আরেকটি বিকল্পের কথা বলেছিলে। কি যেন?’
স্বত্ত্বা গহীনের দহন থেকে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,‘মন’
‘হ্যাঁ, হ্যাঁ মন! ঐটাই দাও। মনটাই আমার বড্ড বেশি প্রয়োজন ছিল। আমি বোকা ছিলাম। বুঝতে পারিনি। এখন তীব্র অনুশোচনায় আমি জর্জরিত। তোমার দেহের কোন দরকার আমার নেই। আমার ‘মন’ -টাই দরকার। এতেই আছে অনন্ত সুখ। সুখের পারাবার। দাও! দাও! দেরী করোনা। দাও! ধন্য কর আমাকে। বাঁচাও আমাকে।
চরম নির্লীপ্তকন্ঠে বলল স্বত্ত্বা ,‘সে মনতো আজ আর নেই। ছিলো মোটে দু’টো জিনিস। তুমি নিলে দেহটা। আর মনটা দিলাম ঐ ওকে...’ বলে দেখাল এক অন্ধ এবং খোঁড়া বদছুরত মানবকে। যে অদূরে দাঁড়িয়ে ডাক দিল-‘মানবী’ বলে।
প্রশ্ন করল হতবাক সেই অস্তিত্ব,‘মানবী কে?’
আমাদের সেই স্বত্ত্বা বলল,‘আমিই মানবী। কিন্তু তোমার বোধ জাগল না কোনদিন।’
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১৫
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: যখন মনের মাহাত্ম্য উপলব্দিতে আসে তখন আর কিছু করার থাকে না। মানব জনম এভাবেই যায়.......
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: মনোরম লেখা।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১৬
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: ভালবাসা।
৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: বোধ সবারই আছে। কিন্তু বেশির ভাগ লোকের বোধই জাগ্রত হয় না।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১৯
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: বোধের মূল্যায়ন তখনই হবে যখন বোধ কাজ করবে। কাজ না করলে তাকে আর বোধ বলা যাবে না।
৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৯
এম এ হানিফ বলেছেন: মনকে বলি ও মন তুই দেহের পিছু ছুটিস না, মনের ভিতর দেহের বাসা ভুল করেও ভুলিস না।
সুন্দর লেখা, দেহ ও মন কে নিয়ে দারুণ বিশ্লেষণ।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: আমরা বেশিরভাগ সময় মরীচিকার পেছনেই সময় ব্যয় করি। যখন বুঝতে পারি তখন হয়ত আর কিছুই করার থাকে না।
৫| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩২
নৃ মাসুদ রানা বলেছেন: মন ও দেহের ভালো সংমিশ্রণ...
১৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০২
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: কোনটাই উপেক্ষা করা যায় না।
৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: বোধের মূল্যায়ন তখনই হবে যখন বোধ কাজ করবে। কাজ না করলে তাকে আর বোধ বলা যাবে না।
ইয়েস।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৩
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: জ্ঞানের চেয়ে অনুভব বেশি দামী।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৪
শের শায়রী বলেছেন: দারুন এক উপলদ্ধি। পোষ্টে ভালো লাগা। আসলেই মনটা অনেক বড় পাওয়া, কেউ সেটা বোঝে কেউ বোঝে না এই যা পার্থক্য।