নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।
বিখ্যাত চোর দমন কমিশন (চোদক) এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে আমার জানেমন দোস্ত। পরানের পরান, জিগারের টুকরা।
একান্ত আলাপচারিতায় তাকে কিছু কথা জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম।(সেখানে আপ্যায়নে পরিবেশিত হয়েছিল গরম গরম লালপানি। পাঠকের উর্বর মস্তিষ্ক যেন অন্য কোন কুচিন্তায় বিভ্রান্ত না হইতে পারে তাই খোলাসা করিয়া নিলাম। কারণ এরকম একান্ত আলাপচারিতায় বিভিন্ন রংয়ের ঠান্ডাপানি পরিবেশিত হইতে লোকমুখে শুনিয়াছি)
যাইহোক মুল কথায় আসি।
তাকে বলিলাম। দোস্ত তুই কিভাবে চোদকের চেয়ারম্যান হইলি?
সে বলল, আরে চোদাকের চেয়ারম্যান হইতে যা যা লাগে সবিতো আমার কাছে আছে।
আমি বিস্তারিত ব্যাখ্যা শুনিবার আগে তাকে সংশোধন করিয়া দিতে চাইলাম।
বলিলাম, দোস্ত তুমি কিঞ্চিৎ ভুল বকিয়াছ। চোদককে চোদাক বলিয়াছ।
সে যা বলিল তাহাতে আমার আক্কেল গুড়ুম!
'তুমি তো জান আমার মেরুদণ্ডের একটা হাড় বাঁকা। একবার শক্ত চুরিতে ধরা খাইছিলাম। পাষাণের দল এমন মার মারল, আমার মেরুদণ্ড ভাইঙ্গা পালাইলো। তখন থেকে কিছুটা স্বর বিকৃতি ঘটছে। তাই চোদাক উচ্ছারণ করি।'
আমি আশ্চর্য হইয়া বলিলাম, শুনিয়াছি গলার হাড় বাঁকা হইলে স্বর বিকৃত হয়, মেরুদণ্ডের হাড় বাঁকা হইলে স্বর বিকৃত হয়। এই প্রথম শুনলুম।
আচ্ছা যাক, তোমার সঠিক চিকিৎসা হয়নি। তোমাকে মল্য চিকিৎসকের কাছে নিতে হইবে।
সে বুঝিতে না পারিয়া বলিল, মল্য চিকিৎসক জিনিসটা আবার কি?
বলিলাম, শরীরের চিকিৎসা যে করে সে শল্য চিকিৎসক, তোমার সমস্যাতো মেরুদণ্ডে, তাই মল্য চিকিৎসকের স্মরনাপন্য হইতে হইবে।
সে কি বুঝিল কে জানে। তবে মহা বুঝদারের মত মাথা নাড়াইয়া সম্মতি জ্ঞাপন করিল।
যাই হোক মূল কথায় আসি।
তার আগে বলিয়া নিতে হয়, চোদকের বর্তমান চেয়ারম্যান আমার বন্ধু হইল কেমনে।
সে বহু আগের কথা। এই বোকান্দেশে তখন খুব বেশি চুরি হইত। চোরের জ্বালায় মানুষ এতই অতিষ্ঠ ছিল যে প্রতিটি মা বাবা তাদের অন্তত একটা ছেলেকে চোর বানাইত। ছেলে না থাকলে মেয়েকে চোরের সঙ্গে বিবাহ দিত। কারণ একটাই। কাক কাকের মাংস খায় না। তেমনি এক চোর আরেক চোরের বাড়িতে চুরি করে না। ভুলে যদিও চুরি হইত তবে সহজে চুরির মাল ফেরত পাওয়া যাইত। কারণ, এক চোর মোটামুটি সব চোরকে চিনে। সহজেই বের করা যাইত। তখন থেকে মূলত ঐ প্রবাদের উৎপত্তি,'চোরে চোরে মাসতুতো ভাই'।
যাই হোক মূল কথায় আসি।
কপালদোষে আমাদের পরিবারে চোর বানানোর মত কেউই ছিল না। কারণ, কেউ বদ্ধ পাগল, কেউ অর্ধ পাগল। পাগলের পক্ষে আর যাই হোক চোর হওয়া সমীচিন নয়। একমাত্র তুমুল সম্ভাবনা ছিল আমার। আমার বংশে একমাত্র মস্তিষ্ক বিকৃতির হাত থেকে আমিই রেহাই পেয়েছিলাম। তাই আমাকে নিয়ে সবাই স্বপ্ন দেখতে লাগল। কিন্তু বিধি বাম। আসলে আমার বুদ্ধি থাকলে কি হবে। শুধু বুদ্ধি দিয়েতো আর চোর হওয়া যায় না। গায়ে শক্তি থাকতে হয়। কিন্তু জন্ম থেকে আমি তালপাতার সেপাই।
তীব্র বাতাসে আমি দাঁড়িয়ে থাকতে হলে শক্তপোক্ত খুঁটির প্রয়োজন পড়ে। একবারতো ছয় নম্বর বিপদ সংকেতের বাতাসে আমি উড়ে যাচ্ছিলাম। আমার কাগু ধরে ফেলেছিল। কাগু না থাকলে কি যে হত, আল্লাহই জানে!
এহেন শক্তিবিদ্যা নিয়ে চোর হতে পারলাম না। ধরা খেলে তিন নম্বর ঘুশির আগেই সলিল সমাধি! এ নিয়ে কত লাঞ্চনা গঞ্জনা যে শুনতে হয়েছিল। পুরো বংশের মুখে চুনকালি দিলাম। কি বলব, দুঃখে কষ্টে দিশেহারা হয়ে গেলাম আত্মহত্যা করতে।
রাখে আল্লাহ, মারে কে?
সেখানেই দেখা বর্তমান চোদকের চেয়ারম্যান আমার পেয়ারা বন্ধুর সাথে।
বন্ধু, বাকিটা তুই বল। চোদকের চেয়ারম্যান সাবরে বলিলাম।
'সেদিনটা কি ভুলিতে পারি। ভাগ্য খারাপ ছিল সেদিন। চুরির জন্য বের হতেই কুত্তা ডাকছিল। আমলে না নিয়ে বের হইছি।
খাইলাম ধরা। দিলাম দৌড়। সামনে দেখি তুই বাড়ির কোণায় দাঁড়ায়া আছস? তোরে চিনতে পারিলাম। দাঁড়ায়া কথা কওনের সময় কই। তুই তালপাতার সেপাই, তাই তোরে কান্দে নিয়া দিলাম দৌড়। দৌড়াইতে দৌড়াইতে তোদের ঘরের সামনে আইসা দিলাম চিক্কুর।
কাগাগো, আন্নের হোলা ফাঁসি দিত গেছে, আঁই বাঁচাই আইনছি। এই কথা শুনি সবাই চোরের কথা ভুলিয়া গেল। আমি এই সুযোগে তোদের ঘরে চুরি করিয়া মনের আনন্দে চলিয়া গেলাম।
সেদিন তুই না থাকলে আমি ধরা পড়িতাম। তুইও আমাকে ধরাইতি পারতি। কিন্তু ধরাসনি। পরে নিজে নিজে চিন্তা করিলাম, তুই-ই আমার বন্ধু। বিপদে যে পাশে দাঁড়ায় সেইতো বন্ধু।
পরে তোদের সব মাল ফেরত দিয়েছিলাম।'
সেই থেকে আমরা পরম বন্ধু।
যাই হোক মূল কথায় আসি।
- দোস্ত আমার প্রশ্ন ছিল তুই এতবড় জানু চোর হয়েও চোর দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ বাগাইলি কেমনে?
- দোস্ত তোমার বুদ্ধি শুদ্ধি একটু থাকলেও আক্কল কম। তাই অনেক কিছু তুমি দেখ কিন্তু বুঝ না। মাঝে মাঝে বেক্কলের মত প্রশ্ন কর। আচ্ছা তুমি এটা বুঝ, যে, একটা চোরের পক্ষেই কেবল আরেকটা চোর ধরা সম্ভব?
- তা ঠিক।
- এইতো তোমার আক্কল হইছে। আমি যেহেতু বড় চোর তাই আমিই এই চেয়ারের যথোপযুক্ত মালিক!
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৯
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: লেখাটা লিখে খুব কনফিউশনে ছিলাম। কেউ আবার এতে উদ্দেশ্য খুঁজে পায় কি না। এখন কোনতো ঠিকমত মজাও করাও যায় না।
২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: প্রথম লাইন পড়েই আমি হাসতে জাসতে শেষ!!!!!!!! চোদক!!!!!!!!!!!!!
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২০
নয়ন বিন বাহার বলেছেন:
৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
শুরুটা বিশ্রী হয়ে গেছে
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি চোদকের বন্ধু এই পরিচয় না দেয়াই ভালো। মানুষ আবার অন্য রকম সন্দেহ করতে পারে। তবে চোদকের বন্ধু হওয়ার পরও আপনি ওনাকে নিয়ে যা লিখেছেন তার জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি কারণ আপনাকে সাধু বলেই মনে হচ্ছে।